ডেস্ক রিপোর্টঃ
কক্সবাজারের পেকুয়ায় আসছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী। তার আসার খবরে মাহফিল শুরু হওয়ার আগেই মানুষের ঢল নেমেছে।
পেকুয়ায় মরহুম মাওলানা শহিদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এ মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা করার কথা রয়েছে তার।
আয়োজক কমিটি ও প্রশাসন তাফসির ময়দানস্থলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
মিজানুর রহমান আজহারী আজ শুক্রবার রাত ৮টার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে পেকুয়া আসার কথা রয়েছে এবং তিনি রাত ১০টায় আলোচনা করবেন।
পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়ামত উল্লাহ নিজামী বলেন, ‘আজহারী হুজুরসহ জনপ্রিয় ইসলামী আলোচকদের আগমনে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। মানুষ সামাল দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে যৌথ বাহিনী আমাদের সহযোগিতা করছে। আজহারী হুজুর রাত ১০টায় আলোচনা করবেন।’
মাহফিলে আসা কয়েকজন যুবক বলেন, হুজুরকে দেখতে এসেছি। এত পরিমাণ মানুষ হয়েছে যে প্যান্ডেলে পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, বৃহত্তর ঐতিহাসিক তাফসির মাহফিল ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো.রাকিব-উর রাজা মাহফিলের স্থান পরিদর্শন করেছেন। আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টার:
তাবলীগ জামাতের একটি পক্ষের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তুলে তা অবিলম্বে ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে দূর করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে এই দাবি বাস্তবায়ন না হলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, “আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে এক গ্রুপের প্রতি চরম বৈষম্য করা হচ্ছে। ইজতেমায় প্রধান মুরুব্বিদের অংশগ্রহণ, কাকরাইল মসজিদ ব্যবহারের অনুমতি, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ ও ইজতেমার সময় বরাদ্দে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। এ ধরনের বৈষম্য ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে দ্রুত দূর করা জরুরি।”
তিনি আরও জানান, “যদি আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তবে আমরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হব।”
এ সময় কুৃমিল্লা সেট্রল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়ুম,উইলস স্কুলের ঢাকার শিক্ষার্থী মো.আবু বক্কর,কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট বাঞ্ছারামপুরের শিক্ষার্থী মো.আনাস খাঁন, ফতেয়াদ নায়েব আলী কলেজের শিক্ষার্থী মো.মহিউদ্দিনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লায় র্যাবের পৃথক অভিযানে জাবেদ মিয়া হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
১৯ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ফৌজদারী মোড় ও বাটপাড়া চৌমুহনী এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর সদস্যরা। অভিযানে যাবজ্জীবন যাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ আল আমিন (৪১) এবং রতন দত্ত (৩৮)কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আল আমিন (৪১) কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ সেলিম মিয়ার ছেলে এবং রতন দত্ত (৩৮) কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানার কালিয়াজুরি গ্রামের হরিপদ দত্তর ছেলে।
কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, গত ২৭ জানুয়ারী ২০১২ গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে চাঁদা দাবীর বিষয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ভিকটিম মোঃ জাবেদ মিয়া (২৫) কে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত গত ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে পেনাল কোড ৩০২/৩৪ ধারায় বর্ণিত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট হৃদরোগ, বাতজ্বর ও ডায়াবেটিকস এর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো: রুহুল আমিনকে ফাঁসাতে নানা অপবাদ দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারে নেমেছে কিশোরগঞ্জ জেলার একটি মহল। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ডাক্তার রুহুল আমিন জানান, কিশোরগঞ্জের নিকলী ও বাজিতপুর এলাকায় আমি ১২ বছর যাবত চেম্বার করি।এ এলাকার হাজার হাজার রোগী আমার চিকিৎসায় উপকৃত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। নিকলী হেল্থকেয়ার ডায়াগনস্টিক এর মালিক ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী বিলকিস বিভিন্ন সময় রিপোর্ট জালিয়াতি ও ভুয়া রিপোর্ট করে আমার কাছে ধরা পড়ে। এসব কারনে বিভিন্ন সময় আমি চেম্বার ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেই।তারা আর এসব ভুল করবেনা মর্মে ক্ষমা চায় এবং আমাকে বিভিন্নজনকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে চেম্বার করার অনুরোধ করে। আমি ভুল ও জালিয়াতি না করার প্রতিশ্রুতি পেয়ে চেম্বার অব্যাহত রাখি। উল্লেখ্য আমি নিকলী ও পাশ্ববর্তী সরারচর বাজারে দুইটি চেম্বার করি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরারচর, শুক্রবার সকালে নিকলী ও শুক্রবার বিকেলে পুনরায় সরারচর চেম্বার করি। বৃহস্পতিবার রাতে আমি নিকলী চেম্বার মালিকের বাসায় একটি রুমে থাকি। আমার পরিবার ২০১৭ সালে বাজিতপুর থেকে ঢাকায় চলে আসার পর থেকে আমি ওদের বাসায় প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে অবস্থান করতে হয়। চলতি বছরের ২৩ মার্চ সেহরির সময় চেম্বার মালিক ওমর ফারুক চৌধুরীর মাদকাসক্ত ছেলে ওমর বেলায়েত (পূণ্য)আমার কক্ষে মাদকাসক্ত অবস্থায় প্রবেশ করে আমার মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে যায় এবং আমাকে শারীরিকভাবে আহত করে।
তখন ওর বাবা-মা ৯৯৯ এ কল দিলে মাদকাসক্ত ও উন্মাদ ছেলেকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় পুলিশ দেশীয় অস্ত্রসহ ও আমার লুন্ঠিত মালামালসহ আটক করে।ছেলে পুলিশের হাতে আটক অবস্থায় বের হওয়ার পর আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।আমি চেম্বার মালিককে জানাই ছেলেকে জেল থেকে বের করলে আমাকে জানাতে এবং জেল থেকে রিহ্যাবে দিতে।কিন্তু তারা তা না করে আমাকে না জানিয়ে ছেলেকে জেল থেকে মুক্ত করে। আমি বিষয়টি জেনে আমার নিরাপত্তা ইস্যুটিতে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে ওদেরকে নিকলী চেম্বার ছেড়ে দেয়ার মৌখিক নোটিশ দেই। তারা আমাকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজের চেষ্টা করে।তারপরও আমি ১৮ এপ্রিল চেম্বারে না বসলে আমাকে নারীঘটিত ব্যাপারে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। ঐদিন সন্ধ্যার পর কয়েকজন ব্যাক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে আমার সরারচর চেম্বারে এসে জানায় - নিকলীর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী বিলকিস আমার বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন।
এর মধ্যে তারা বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে এবং সাংবাদিক পরিচয়ে কিছু ব্যাক্তি আমার কাছে নিউজ করার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করতে থাকে। এতে আমি ১৯ এপ্রিল টঙ্গী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি দায়ের করি। আমি কাউকে টাকা না দেয়ায় ২২ এপ্রিল কিছু ব্যাক্তি আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকে। ২৩ এপ্রিল তারা ঠিক একমাস আগে যে মামলায় তাদের নিজের ছেলের বিরুদ্ধে আমার ও তার নিজের বাবা-মায়ের উপর হামলার করেছিলো সেই ঘটনাকেই ভিন্নখাতে সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে শ্লীলতাহানির মামলা করে। আমি মাত্র একটি চেম্বার না করার পরপরই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মামলা করে। অথচ আমি ১২ বছর তাদের চেম্বারে রোগী দেখার পরও তারা কোনদিন আমার বিরুদ্ধে ন্যুনতম অভিযোগ করেনি।
এমতাবস্থায় বিভিন্ন ফেসবুক প্রোফাইল ও সংবাদপত্র আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মুখরোচক ভুয়া নিউজ করে আমার ও আমার পরিবারের জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলেছে। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে নিকলী থানায় ভুয়া অভিযোগ দায়ের করে আমাকে প্রচন্ড হয়রানি করছে। এমতাবস্থায় দেশের বিবেকবান মানুষ, ছাত্রজনতা, ডাক্তার সমাজ, বিবেকবান সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমার অনুরোধ একজন ডাক্তারকে ভয়াবহ হয়রানি থেকে রক্ষা করুন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১২৫০ পিস ইয়াবাসহ একজন মহিলা মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর সদস্যরা।
১৫ অক্টোবর সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার পশ্চিম মাঝিগাছা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
আটককৃত মাদক কারবারি কহিনুর বেগম (৪৫) কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানাধীন গোমতী নদীর চর গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ইয়াবা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটককৃতর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
২০২৪ সালের শেষ দিনে (৩১ ডিসেম্বর), বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (এআইকিউ) ২১০ স্কোর নিয়ে ঢাকার বায়ুর মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২৩৭ স্কোর) এবং তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (২০৪ স্কোর)।
সকাল ১১টায় আইকিউএয়ার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, শুধু আজ নয়, পুরো মাসজুড়েই ঢাকার মানুষ অস্বাস্থ্যকর বায়ুর সঙ্গে লড়াই করেছে। গতকালও একই সময়ে ঢাকার বায়ুমান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে ছিল।
বায়ুমান পরিস্থিতি: ঢাকার দূষিত এলাকা
প্রতিবেদন অনুসারে, ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বাতাস মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় (২৬১ স্কোর) পাওয়া গেছে। এরপরে রয়েছে বেচারাম দেউড়ি (৩৬২), মার্কিন দূতাবাস এলাকা (২৪৬), মহাখালীর আইসিডিডিআরবি এলাকা (২৩৩), কল্যাণপুর (২২৯), গুলশানের গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৬), তেজগাঁওয়ের শান্তা টাওয়ার এলাকা (২১০), এবং গুলশান ২ এর রব ভবন এলাকা (২১১)।
বায়ুমান সূচক অনুযায়ী দূষণের মাত্রা:
০-৫০: ভালো
৫১-১০০: মাঝারি বা সহনীয়
১০১-১৫০: সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর
১৫১-২০০: অস্বাস্থ্যকর
২০১-৩০০: খুবই অস্বাস্থ্যকর
ঢাকার দূষণের কারণ ও সতর্কতা:
বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উচ্চমাত্রাই ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ। আজ এর মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানমাত্রার তুলনায় প্রায় ২৬ গুণ বেশি।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, এই অবস্থায় নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হলে বাইরে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। খোলা জায়গায় ব্যায়াম এড়িয়ে চলতে হবে এবং ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ এ পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন চাকমা। তিনি বলেন, ৩ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত চলার সাথে সাথে নৌ যোগাযোগ বন্ধ রাখতে বলা আছে। একই সাথে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে চলতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার ভোর থেকে নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টিপাত কিছুটা বেড়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলাতে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। এ কারণে ৩ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বন্যায় বিভিন্ন সড়কে যে খাদাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোতে পানি জমে গেছে। এছাড়াও কিছু নিচু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষজন।
মন্তব্য করুন
নাফ নদীর মোহনায় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি আটক করে রাখা একটি পণ্যবাহী জাহাজ ১৬ দিন পর মুক্তি পেয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটি পণ্যসহ টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছায়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানান, গত ১৬ জানুয়ারি মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্যবাহী চারটি জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু রাখাইন সীমান্তে নাফ নদীতে আরাকান আর্মি জাহাজগুলো আটকে দেয়। এর দুই দিন পর ধাপে ধাপে তিনটি জাহাজ ছেড়ে দেওয়া হয়। অবশেষে ১৬ দিন পর বাকি একটি জাহাজও ছেড়ে দেওয়া হলে শনিবার দুপুরে সেটি টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছায়।
জসিম উদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, আরাকান আর্মি জাহাজগুলো তল্লাশির জন্য আটকে রেখেছিল বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
এদিকে, স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফের ব্যবসায়ীদের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়া তিনটি জাহাজ গত ১৬ জানুয়ারি দুপুরে নাফ নদীর মোহনার নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় পৌঁছালে আরাকান আর্মি তল্লাশির নামে সেগুলো আটকে দেয়।
মন্তব্য করুন
মৃত তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও পরিবারের ৪ জন সদস্য সোমবার রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক এর সাথে তার অফিস কক্ষে সাক্ষাত করেন।
এ সময় তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন জিওসি এবং নিহতের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং দোষীসাব্যস্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি আরো জানান যে, তৌহিদের পরিবার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার বিষয়ে সেনাবাহিনী সব সময় পাশে থাকবে এবং সকল প্রকার সহযোগিতা করবে।
তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও পরিবার এতে আশ্বস্ত হয়েছেন। এছাড়াও প্রতারণার মাধ্যমে যারা সেনা ক্যাম্পে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনার দাবী করেছেন। তবে তারা তৌহিদের মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি মামলা দায়ের করার সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন
মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া অফিসের উদ্যোগে প্রীতি কারাতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ( ১৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টায় কুমিল্লা জেলা স্টেডিয়াম জিমনেসিয়ামে কুমিল্লা নগরীর বালক-বালিকাদের অংশগ্রহণে প্রীতি কারাতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে ।
এ প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সুমন কুমার মিত্রের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মো: মঈন উদ্দিন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক বদরুল হুদা জেনু, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম চপলসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মেহেরাজ হোসেন ওরফে জিসান (৭) নামে এক শিশুকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আসামিদের দুটি ধারায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আবদুর রহিম ওরফে রনি (২১) ও একই গ্রামের সহিদ উল্যার ছেলে মো.সালমান হোসেন শিবলু (২২)।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন।
মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, হতার শিকার জিসান স্থানীয় জিরতলী বাজারের কাসেম উলুম মাদরাসার মাদরাসার দ্বিতীয় জামাতের ছাত্র ছিল। ২০১৯ সালের ২১ মার্চ দুপুর ১টার দিকে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভিকটিমের মায়ের অসুস্থতার কথা বলে অপরহরণ করে নিয়ে যায় আসামি রনি ও তার বন্ধু শিবলু। পরে তাকে জেলার সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের শাহাদাতপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে। একই দিন সন্ধ্যার পরে তার পরনের জামা কাপড় দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। একপর্যায়ে তার শরীরের অর্ধেক মাটিতে পুঁতে রেখে নিহতের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার দুদিন পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র জমা দেয়। আদালত ২২জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের যাবজ্জীবন করাদন্ড দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মামুনুর রশীদ লাভলু মামলাটি পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ভিকটিমের পিতা প্রবাসী ছিল। আসামি রনি ভিকটিম জিসানের একই বাড়ির দূর সম্পর্কের কাকা হয়। মূলত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনতে রনি তার বন্ধু লাভলুসহ অপহরণের ঘটনা ঘটায়। পরে তারা জিনাসকে হত্যা করে মুঠোফোনে চাঁদা দাবি করে। আদালত দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে রায় দেন।
মন্তব্য করুন