বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আসতে চায়, কিন্তু তারা একটি সুন্দর নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। এখন কত দ্রুত গণতন্ত্রের দিকে ফিরে যেতে পারবো সেটাই মুখ্য বিষয়।
শনিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। এই বিনিয়োগের উৎস হবে পুঁজিবাজার। আগামীতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হলে পুঁজিবাজারকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, দেশে পুঁজিবাজার ক্যাসিনোতে পরিণত হয়েছে। এখানে একটি গ্রুপ এসে খেলাধূলা করে চলে যায়। বিগত ১৫ বছর এভাবেই চলেছে। এ সময় পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা আনার ওপরও জোর দেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আসতে চায়, কিন্তু তারা একটি সুন্দর নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। এখন কত দ্রুত গণতন্ত্রের দিকে ফিরে যেতে পারবো সেটাই মুখ্য বিষয়।
শনিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। এই বিনিয়োগের উৎস হবে পুঁজিবাজার। আগামীতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হলে পুঁজিবাজারকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, দেশে পুঁজিবাজার ক্যাসিনোতে পরিণত হয়েছে। এখানে একটি গ্রুপ এসে খেলাধূলা করে চলে যায়। বিগত ১৫ বছর এভাবেই চলেছে। এ সময় পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা আনার ওপরও জোর দেন তিনি।
মন্তব্য করুন
সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে পারে এবং এতে কোনো বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার কমিশনগুলো যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তা দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, ঐকমত্য ছাড়া কোনো সংস্কার কার্যকর করা সম্ভব নয়।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
জুলাই-আগস্টে নির্বাচন হওয়া নিয়ে সন্দেহের বিষয়ে তিনি বলেন, "সংস্কার চলবে, নির্বাচনও চলবে। নির্বাচনের পর যে সরকার দায়িত্ব নেবে, তারা সংস্কারের কাজ এগিয়ে নেবে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমরা প্রতিটি প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।"
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, "সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করে জিয়াউর রহমান আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার শুরু করেন। তিনি একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করেন এবং বদ্ধ অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা করেন। তার হাত ধরে কৃষি ও শিল্পে বিপ্লব ঘটে।"
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, "জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই দল আজ বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।"
তিনি বলেন, "জিয়াউর রহমানের পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দলের দায়িত্ব নিয়ে বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করেছেন। বর্তমানে তিনি অসুস্থ হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন। আমরা তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করি। তার যোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমান এখন দেশকে হাসিনা-ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।"
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যদি সত্যিকার স্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে, সেখানেই স্বৈরাচারের উৎপত্তিটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শুধু নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করার মধ্য দিয়ে, রাষ্ট্রে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো দাঁড় করানো যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্যের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের কাজ করতে দিতে হবে। বিচার বিভাগকে বিচার বিভাগের কাজ করতে দিতে হবে। আইনসভাকে আইনের কাজ করতে দিতে হবে। সেখানেই থাকবে পুরো ক্ষমতার ভারসাম্য।
তাহলে পরে কোনো প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠানের ওপরে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। একটা আরেকটার ভারসাম্য হয়ে পাহারাদার হিসেবে কাজ করবে। বিশ্বাস করি, আমরা একটা জায়গায় ঐকমত্যে আসতে পারব। আমরা বলেছি, ১০ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রিত্বের আসনে বসতে পারবেন না।
এখানেই স্বৈরাচারকে রুখে দেওয়া হলো, এখানে ফ্যাসিবাদের উপত্তি বন্ধ করে দেওয়া হলো। তারপর কী করা হবে? রাষ্ট্রের সব গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই এই গণতন্ত্র রক্ষাকবজ হিসেবে শক্তিশালীর ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো হবে। তার জন্য বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটা প্রস্তাব দিয়েছি যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের এমপিরা গোপন ব্যালটে স্বাধীনভাবে ভোট দেবেন। সেটা আরেকটা বিপ্লব হবে।
আর প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ আমরা ১০ বছরে সীমাবদ্ধ করলাম। সেটা কি আমাদের বড় ধরনের অর্জন নয়? আমরা যদি প্রতিক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগকে সীমাবদ্ধ করি, তাহলে কিন্তু নির্বাহী বিভাগ দুর্বল হবে। রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনা করা যাবে না। আমরা সেই সংস্কার চাই, যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো নির্মিত হবে।’
মন্তব্য করুন
বিএনপি বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং সংবিধান মোতাবেক বিচার বিভাগের সকল কার্যক্রম যেন আইনসম্মত ও সাংবিধানিক হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির চলমান সংলাপের তৃতীয় দিনের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, আজকের বৈঠকে মূলত বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়ে আলোচনা হবে।
কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজ জানায়, বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় অনেক বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু বিষয়ে ভিন্নতা থাকলেও সেসব সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে আলোচনা করছে। তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, আজকের বৈঠকের মধ্য দিয়েই বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার সমাপ্তি ঘটতে পারে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আনুপাতিক হারে নির্বাচনের প্রশ্নই ওঠে না। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকাস্থ ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না বিএনপি। এছাড়া, বিএনপি আনুপাতিক হারে নির্বাচনের ব্যবস্থার পক্ষে নয়।
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিগত ১৭ বছরের সব গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। তিনি আরও বলেন, দেশে কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা বা নিষিদ্ধ হবে কিনা, তা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।
এছাড়া, ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
মন্তব্য করুন
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় কোনো কোনো দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার রাজধানীর উত্তরায় ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গতকাল মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সত্য উদঘাটনের দায়িত্ব প্রশাসনের বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এ ঘটনায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের যাদের নাম পাওয়া গেছে, তাদের গতকাল রাতেই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ পরিবার। এর কোনো ছিদ্র পথে যদি দু’একজন দুষ্কৃতিকারী ঢুকে পড়ে, সেটি সব সময় খোঁজ রাখা যায় না। কিন্তু দুষ্কৃতিকারীদের কোনোভাবে যদি চিহ্নিত করা যায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করে না দল বা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রিজভী বলেন, গত পরশু রাতে পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়, সে রাতেই তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকালের যে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ কোনো কোনো রাজনৈতিক দল দেখছি, ওই ঘটনাকে রাজনৈতিক কালার দেওয়ার, রঙচঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এখানে দল কোথায় জড়িত? দলের নামধারী কেউ হতে পারে।
এটাতো দলের পদ-পদবি নিয়ে সংঘর্ষ হয়নি। দলের মতাদর্শ নিয়ে ঝগড়া হয়নি, ঝগড়া হচ্ছে তাদের ব্যবসা নিয়ে। এগুলো তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনারা শুনেছেন, ভাঙাড়ি ব্যবসা নিয়ে ঘটনা। এ ঘটনার সঙ্গে দল কোথায় জড়িত?
তিনি বলেন, যিনি নিহত হয়েছেন, আর যারা ঘাতক; তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছে। এটি যুগ যুগ ধরে তারা করে আসছে। এখন পট পরির্বতন হয়েছে ওয়ার্ড পর্যায়ের কেউ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হতে পারে, যা মহানগর বা কেন্দ্রীয় নেতারা জানেন না। তাবে কোনো ধরনের অপর্কম সংঘাত বা মানুষ হত্যায় যারা জড়িত, তাদের ছাড় নেই। মাটির গভীরে গেলেও সেখানে থেকে ধরে এনে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপান করুন, যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।
রিজভী বলেন, এ ঘটনার পর দু’-একটি দল মিছিল করে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন। আমরা যদি শেখ হাসিনার মতো নিশ্চুপ থাকতাম, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতাম, তাদের বহিষ্কার না করতাম, তাহলে এককথা ছিল। কিন্তু দল অবিলম্বে বিচার ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাহলে আপনারা মিছিল করছেন কেন? মানে একটা রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদের অতীত অপকর্ম ভুলে যাইনি। আমরা ভুলে যাইনি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্বিবিদ্যালয়ের ছাত্রদের কিভাবে পায়ের রগ কেটেছে। কিভাবে বাসের ভেতর থেকে ছাত্রদল নেতাকে ধরে বিনোদপুর গ্রামে হত্যা করা হয়েছে। আপনাদের নৃশংতা, আপনাদের ভয়াবহতা মানুষ ভুলে যায়নি।'
তিনি বলেন, এখনো মনে পড়ে, যে উপাধিগুলো মানুষ আপনাদের দেয়। আর আপনারা এখন মিছিল করেন। বিএনপির ইতিবাচক দিকগুলো উপক্ষো করে কেউ কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন, তাতে কোনো লাভ হবে না।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন ভারতে। নেতাদের প্রায় সবাই আত্মগোপনে। গ্রেপ্তার হয়েছেন কেউ কেউ। জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীদেরও দেখা মিলছে না। টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের এই হাল নিয়ে নানা আলোচনা। নানা প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ আর রাজনীতিতে ফিরতে পারবে? ফিরলে কীভাবে, কোন কৌশলে ফিরবে? এসব প্রশ্নের চটজলদি জবাব হয়তো কারও কাছে নেই। তবে দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রের বরাতে মানবজমিন জানতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন শেখ হাসিনা। তার ধারণা ওই নির্বাচন আওয়ামী লীগের কোনো সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। সুযোগের বিপরীতে হতাশার বার্তাও নিয়ে আসতে পারে মার্কিন মুলুকের নির্বাচন। আসছে ৫ই নভেম্বর গণতান্ত্রিক পৃথিবীর অন্যতম দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু গত জুলাইয়ে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে সমর্থন দেয়ায় নয়া দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে। এরপর থেকেই ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলকান শিবির প্রচারণায় নেমে পড়েছে। ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিসের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার হাতছানি। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্যও বিশেষ বার্তাবহ হতে পারে। বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সরকারের সম্পর্কের বৈরিতার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে সময়ে সময়ে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির কর্মকর্তাদের হেয় করে কথা বলা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তরফেও বহু চেষ্টা চালানো হয়েছে আওয়ামী লীগের সরকারের সময়ে। দফায় দফায় কর্মকর্তারা সফর করেছেন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গেও নানা সময়ে আলোচনা চালিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই চেষ্টাকে ভালো চোখে দেখেনি বরং গণতান্ত্রিক এই চেষ্টাকে অবজ্ঞা করে স্বৈরতান্ত্রিক ভাবধারায় সরকার পরিচালনা করা হয়েছে। জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে বিদেশি শক্তির হাত থাকতে পারে এমন কথাও বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের কারও কারও তরফে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করেই জানিয়েছে, জুলাই-আগস্টের বিপ্লব বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
আওয়ামী লীগ মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডেমোক্রেট শিবির জয় পেলে বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন হবে না এবং ভারত সরকারের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পর্ক অপরিবর্তিত থাকবে। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হলে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন অবস্থানের হেরফের হতে পারে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন বাতাবরণ তৈরি হতে পারে। সুযোগ তৈরি হতে পারে আওয়ামী লীগের জন্যও। যদিও কূটনৈতিক বোদ্ধারা মনে করেন, নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হলেও যুক্তরাষ্ট্রর নীতি পরিবর্তন খুব একটা হয় না।
এসব দিক চিন্তা করে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরও ওই দেশের নির্বাচন নিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তানভীর কায়সারের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার টেলিফোন আলাপে এমন একটি ইঙ্গিত মিলেছিল। যদিও ওই টেলিফোন আলাপ প্রকাশ হওয়ার পর তানভীরকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই ফোনালাপে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে স্থানীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ৫ই নভেম্বরের আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবস্থানের খুব একটা হেরফের হচ্ছে না। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় দলীয় নির্দেশনা আসতে পারে। পরিবর্তন আসতে পারে দলের নেতৃত্বেও।
ওদিকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রচ্ছন্ন চাপে পড়েছে ভারত সরকার। দেশটিতে আশ্রয় নেয়ার পর শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টে অবস্থানের নির্ধারিত ৪৫ দিন পেরিয়ে গেছে আরও আগেই। এমন অবস্থায় তিনি কোন স্ট্যাটাসে ভারতে অবস্থান করছেন তা যুক্তরাষ্ট্রের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে চাউর হয়েছে ভারতে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট পেয়েছেন শেখ হাসিনা। এই ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে তিনি তৃতীয় কোনো দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। যদিও এই ডকুমেন্ট পাওয়ার বিষয়ে ভারত বা বাংলাদেশ কোনো পক্ষ থেকেই স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট যেকোনো দেশ যেকোনো ব্যক্তিকেই ইস্যু করতে পারে। আমাদের তা ঠেকানোর কোনো উপায় নেই। ভারত ‘ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট’ দিলে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট বা অবনতি হবে এমন আশঙ্কা নেই বলেও তিনি জানান।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনাকে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট নিয়েই ভারতে অবস্থান করতে হবে। এই ডকুমেন্ট দিয়ে তিনি তৃতীয় কোনো দেশেও যেতে পারবেন।
ওদিকে বিভিন্ন সূত্রে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে- ভারতের বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু আমিরাত তাকে গ্রহণ করেনি। তাকে বিমানবন্দরে ১৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় কাটাতে হয়েছে এমন খবরও এসেছে। যদিও এসব খবরের সত্যতা কোনো সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেনি।
ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে ইতিমধ্যে গণহত্যার দায়ে অনেক মামলা দায়ের হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব মামলার বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হতে যাচ্ছে দ্রুতই। এসব মামলায় পরোয়ানা জারি হলে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে করা ভারতের চুক্তির আওতায়ই এটির সুযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে টানাপড়েন হতে পারে এমন আশঙ্কাও রয়েছে। দলীয় সূত্রের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পর দলীয় অনেক বিষয় খোলাসা হতে পারে। শেখ হাসিনা ভারতে থাকবেন নাকি অবস্থান পরিবর্তন করবেন সেটিও এরই মধ্যে নিশ্চিত হতে পারে।
সূত্র: মানবজমিন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী, জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টা হাজিরকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়িতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা'য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনাদের মনে আছে, বিএনপি গত বছর ২৮ অক্টোবর জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকে হাজির করেছিল। সে বিএনপি কার্যালয়ে শুধু ইংরেজি বলছিল, পুলিশ যখন ধরে নিয়ে গেল তখন দেখি গড়গড়িয়ে বাংলা বলে। তার আগে বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করেছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শুধু তাই নয়, তারা সে সময় বলেছিল ভারতের অমিত শাহ ফোন করেছিল। কিন্তু অমিত শাহ’র অফিস থেকে বলা হলো তিনি কাউকে ফোন করেননি, যে আওয়াজ প্রচার করা হয়েছিল সেটা অমিত শাহ’র নয়। এসব জালিয়াতিই তাদের কাজ।
ড. হাছান বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে বিএনপি ও তাদের দোসরদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে দেখি জিএম কাদেরেরও মাথা খারাপ হয়ে যায়। নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি বিএনপি প্রতিদিন বিভিন্ন এম্বেসিতে ঘুরে বেড়াত আর দেন দরবার করতো, নির্বাচনটা যাতে বন্ধ করা যায়। এসবে কোনো লাভ হয় নাই। নির্বাচন হয়েছে, ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। যদি নির্বাচনের দিন কুয়াশা এবং প্রচন্ড ঠান্ডা না থাকতো তাহলে আরও বেশি মানুষ ভোট দিতো। আর বিএনপি যদি নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে মানুষের উপর হামলা, ট্রেনের মধ্যে শিশুসন্তানসহ পুরো পরিবারকে জ্বালিয়ে হত্যা না করতো তাহলে ভোটের হার ৬০ শতাংশের বেশি হতো।
অন্যান্য দেশের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, গত দু’তিন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে অনেক দেশে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। যদিও বা সেখানে নির্বাচনে বর্জন ও প্রতিহতের কোনো হুমকি ছিল না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন যদি চমৎকার না হতো তাহলে পৃথিবীর ৮০টা দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। সর্বশেষ দুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এসব কারণে বিএনপির মাথা খারাপ। সম্ভবত সেজন্য বিএনপি নেতা ড. মঈন খান ইদানিং জ্যোতিষীর মতো কথা বলছেন। বয়সে সিনিয়র বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, তিনি রাজনীতির বাইরে এখন জ্যোতিষীর দায়িত্বও পালন করা শুরু করেছেন।
ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন তখন মঈন খানের বাবা আবদুল মোমেন খান খাদ্য সচিব ছিলেন। খাদ্যবাহী জাহাজ ভারত মহাসাগর থেকে ফেরত যাবার পেছনে তার বাবার কারসাজি ছিল, যাতে দেশে খাদ্য সঙ্কট তৈরি হয়।'
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, 'খাদ্য সঙ্কট তৈরি করে বঙ্গবন্ধুকে অজনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে আবদুল মোমেন খানের ভূমিকা ছিল। সেটির পুরস্কার স্বরূপ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পর আবদুল মোমেন খানকে মন্ত্রীর মর্যাদায় খাদ্য উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন। ৭৯ সালের নির্বাচনের পর আবদুল মোমেন খান সংসদে খাদ্য মন্ত্রী হিসেবে বক্তব্যে বলেছিল খাদ্যের জন্য দরকার হলে দেশ বিক্রি করে দিব। ওনারই সন্তান মঈন খান।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, 'আজকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হলে, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনাই, এই দেশে আর কোন বিকল্প নেই। তিনি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। এবং সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটেছে। ২০১৮ সালে আমাদের স্লোগান ছিল- আমার গ্রাম আমার শহর। আজকে গ্রামগুলো শহরের মত হয়ে গেছে, গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।'
তিনি বলেন, 'এবার আমরা স্লোগান দিয়েছি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নেন্স এবং স্মার্ট পিপল। এই চারটি অনুসঙ্গকে আমরা সাথে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ রচনা করতে চাই। ইনশাল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এই অভিযাত্রায়ও বিজয়ী হবো। কিন্তু আমাদের অভিযাত্রাকে আটকে দিতে চায় বিএনপি এবং তাদের দোসররা। সেই কারণেই নানা ষড়যন্ত্র।'
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, শফিক আদনান প্রমুখ।
দিন অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম নগরীর কদম মোবারক এতিমখানায় যান। সেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন অনির্বাচিত সরকারের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার লক্ষণ প্রকাশ হতে শুরু করেছে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খসরু বলেন, দেশের জনগণ সাংঘর্ষিক রাজনীতি বা মবোক্রেসি চায় না। নির্বাচনের সঙ্গে বিচার, সংস্কার সাংঘর্ষিক নয়। সবগুলো চলমান প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, ভিন্নমত হলেও আমরা সম্মান করতে শিখব। ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক দল, সেনাবাহিনী- তিনটি শক্তি শেখ হাসিনার পতনে কাজ করেছে।
নতুন সরকারকে সাপোর্ট দিয়েছে। শেখ হাসিনা পলায়ন করেছেন। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ দেশের মালিকানা ফিরে পাবে, এমন আশায় আমরা বুক বেঁধেছি। জনগণের অধিকারহীন অবস্থায় আসার কথা ছিল না।
অনির্বাচিত সরকার যদি বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে, তবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য গণমাধ্যমের ওপর চাপ বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিক। রাজনীতিবিদদের অনুধাবন করতে হবে, আগামীর রাজনীতি আগের মতো হবে না।
সূত্র: কালেরকন্ঠ
মন্তব্য করুন