বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিতে বিভাজন চায় না বিএনপি। সব ধর্ম বর্ণের সমন্বয়ে রাজনীতি করে বিএনপি, তাই গণতান্ত্রিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার পূর্ণাঙ্গভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় দল।
মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, দেশের জনগণ নির্বাচনমুখী। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ও জনগণ জনসংযোগে আছেন। কোনও দল নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে জনগণ তাদের চিহ্নিত করবে এবং রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করবে।
দেশের গণতন্ত্র প্রক্রিয়া উত্তরণে বাঁধা সৃষ্টি করার চেষ্টা এখন দৃশ্যমান- এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশি-বিদেশি শক্তি যারাই ষড়যন্ত্র করবে তাদের প্রতিহত করবে জনগণ। দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার সূচনা ও ২,৩,৪ দফা নিয়ে আপত্তি আছে বিএনপির। সূচনায় অসত্য তথ্য দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার গুলশানের নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কিছু কিছু বিষয় আলোচনা না হলেও তা জুলাই সনদে রাখা হয়েছে। এছাড়া কিছু বিষয়ে সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়নি। সবকিছু পর্যালোচনা করে কমিশনের মতামত পাঠাবে বিএনপি। আগামী সংসদ গঠনের দুইবছরের মধ্যে সংবিধান সংক্রান্ত সংশোধনী পাশ করার কথা বলা হলেও চূড়ান্ত খসড়ায় তা নেই।
তিনি বলেন, জুলাই সনদে উত্থাপিত ৮৪ দফার মধ্যে যেসব দফায় সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে সেগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, যেসব বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট এসেছে সেগুলোর সুরাহা কীভাবে হবে এবং সংবিধান সংস্কার বিষয়ক যেসব কথা এসেছে তার বাস্তবায়ন কীভাবে, সেটা এখন জরুরি। এ সব কিছু পর্যালোচনা করে কমিশনকে মতামত জানাবে বিএনপি।
জুলাই সনদে সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে কথা এসেছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, অনেক বিষয় আছে যেসব বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন। সেগুলোর অনেক বিষয়ই অধ্যাদেশসহ সরকারের নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নযোগ্য। তবে সংবিধান সংশোধন এবং ঐকমত্য হওয়া সব বিষয় পরবর্তী সংসদ তাদের মেয়াদের দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে বলে অঙ্গীকার দেওয়ার কথা ছিল।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগের সনদে নির্বাচিত সংসদ পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবে বলা হলেও, নতুন সনদে তা নাই। এছাড়া দ্বিতীয় দফার আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অঙ্গীকারনামায় সনদকে সংবিধানের উপরে রাখা হয়েছে। তবে কোনো ডকুমেন্ট সংবিধানের উপরে হতে পারে না। যদি সনদ সংবিধানের উপরে রাখা হয়, তাহলে ভবিষ্যতের জন্য খারাপ নজির হবে। জুলাই সনদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবেনা বলা হয়েছে, এটাও সঠিক হয়নি।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন। কমিশনের প্রস্তুতি প্রায় শেষপর্যায়ে। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা খুব দৃঢ়ভাবে উচ্চারণ করেছেন। এটা নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। যারা নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা মাঠের বক্তৃতায় বলছেন তারা হয়তো নির্বাচনী কৌশল হিসেবে বিভিন্ন পক্ষকে চাপে রাখার জন্য বলতে পারে এটা তাদের বক্তব্য এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জনগণের ম্যান্ডেট না নিয়ে রাজপথে কোনও কর্মসূচি দিলে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হবে। যার যে দাবি তা নির্বাচিত হয়ে পূরণ করার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির তিন দিনব্যাপী শান্তি প্রশিক্ষণ প্রবক্তা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনায় যত দেরি হবে দেশ তত বিপদগ্রস্ত হবে। রাজপথের পর্ব শেষ হয়েছে। জনগণের মালিকানা ফেরানোর সময় এখন। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দ্রুত নির্বাচন না হলে দেশে বিভক্তি ও গৃহযুদ্ধের শঙ্কা থাকে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিবন্ধীদের স্বক্ষমতা বাড়ানো ও ক্ষমতায়নে বিএনপি কাজ করবে জানিয়ে বলেন, অন্য নাগরিকদের মত প্রতিবন্ধীদের জন্যও রাষ্ট্রের বিনিয়োগ করতে হবে। এ বিনিয়োগ হবে আর্থিক, নৈতিক ও মানবিক বিনিয়োগ।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হিসেবে নিজেদের করণীয় নির্ধারণ করছে বিএনপি। দান-অনুদান নয়, নাগরিককে সক্ষম করাই লক্ষ। সেই সঙ্গে বিএনপি উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি করে বলেও জানান দলটির সিনিয়র এই নেতা।
প্রসঙ্গত, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ আরও কয়েক দফা দাবিতে আগামী ১৮, ১৯ ও ২৬ সেপ্টেম্বর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ।
মন্তব্য করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, অপরাধী যত বড়ই হোক, ‘মব জাস্টিস’ বা উশৃঙ্খল জনতার বিচার সমর্থনযোগ্য নয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতা–কর্মীদের নিয়ে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচন ছিল শেখ হাসিনার একক নাটকীয় নির্বাচন। এসব নির্বাচনের সময়কার সকল নির্বাচন কমিশনারই ফ্যাসিবাদের অংশ। তবে তারা যত বড় অপরাধীই হোক, বিচার হবে আইনের মাধ্যমেই, মব জাস্টিসের মাধ্যমে নয়। মব জাস্টিস সমর্থনযোগ্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা এবং মব জাস্টিসের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।
রিজভী অভিযোগ করেন, দেশে আবারও করোনার ভয়াবহতা বাড়ছে, কিন্তু সরকার কোনে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। একইভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতিও অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সময় সংবাদকে বলেন, দেশের সমস্যা সমাধানে নির্বাচন ছাড়া কোনো উপায় নেই। যারা নির্বাচন বয়কট কিংবা বাধা দেয়ার চেষ্টা করবে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
গত মে মাসে লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে একটি ধারণা উঠে আসে। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে হচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
সেই পথে এবার হাঁটলো নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ্বে হচ্ছে নির্বাচন।
নির্বাচনী রোডম্যাপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। সময় সংবাদকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের সমস্যা সমাধানে নির্বাচন দেয়ার কোনো বিকল্প নেই।
যারা নির্বাচনে বাধা দেয়া কিংবা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা হটকারী সিদ্ধান্ত নেবে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এবারের নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু।
গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আগেও সহযোগিতা করেছে, সামনেও সব ধরণের সহায়তা করবে বলেও আশ্বস্ত করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন ভারতে। নেতাদের প্রায় সবাই আত্মগোপনে। গ্রেপ্তার হয়েছেন কেউ কেউ। জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীদেরও দেখা মিলছে না। টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের এই হাল নিয়ে নানা আলোচনা। নানা প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ আর রাজনীতিতে ফিরতে পারবে? ফিরলে কীভাবে, কোন কৌশলে ফিরবে? এসব প্রশ্নের চটজলদি জবাব হয়তো কারও কাছে নেই। তবে দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রের বরাতে মানবজমিন জানতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন শেখ হাসিনা। তার ধারণা ওই নির্বাচন আওয়ামী লীগের কোনো সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। সুযোগের বিপরীতে হতাশার বার্তাও নিয়ে আসতে পারে মার্কিন মুলুকের নির্বাচন। আসছে ৫ই নভেম্বর গণতান্ত্রিক পৃথিবীর অন্যতম দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু গত জুলাইয়ে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে সমর্থন দেয়ায় নয়া দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে। এরপর থেকেই ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলকান শিবির প্রচারণায় নেমে পড়েছে। ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিসের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার হাতছানি। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্যও বিশেষ বার্তাবহ হতে পারে। বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সরকারের সম্পর্কের বৈরিতার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে সময়ে সময়ে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির কর্মকর্তাদের হেয় করে কথা বলা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তরফেও বহু চেষ্টা চালানো হয়েছে আওয়ামী লীগের সরকারের সময়ে। দফায় দফায় কর্মকর্তারা সফর করেছেন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গেও নানা সময়ে আলোচনা চালিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই চেষ্টাকে ভালো চোখে দেখেনি বরং গণতান্ত্রিক এই চেষ্টাকে অবজ্ঞা করে স্বৈরতান্ত্রিক ভাবধারায় সরকার পরিচালনা করা হয়েছে। জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে বিদেশি শক্তির হাত থাকতে পারে এমন কথাও বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের কারও কারও তরফে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করেই জানিয়েছে, জুলাই-আগস্টের বিপ্লব বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
আওয়ামী লীগ মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডেমোক্রেট শিবির জয় পেলে বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন হবে না এবং ভারত সরকারের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পর্ক অপরিবর্তিত থাকবে। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হলে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন অবস্থানের হেরফের হতে পারে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন বাতাবরণ তৈরি হতে পারে। সুযোগ তৈরি হতে পারে আওয়ামী লীগের জন্যও। যদিও কূটনৈতিক বোদ্ধারা মনে করেন, নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হলেও যুক্তরাষ্ট্রর নীতি পরিবর্তন খুব একটা হয় না।
এসব দিক চিন্তা করে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরও ওই দেশের নির্বাচন নিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তানভীর কায়সারের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার টেলিফোন আলাপে এমন একটি ইঙ্গিত মিলেছিল। যদিও ওই টেলিফোন আলাপ প্রকাশ হওয়ার পর তানভীরকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই ফোনালাপে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে স্থানীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ৫ই নভেম্বরের আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবস্থানের খুব একটা হেরফের হচ্ছে না। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় দলীয় নির্দেশনা আসতে পারে। পরিবর্তন আসতে পারে দলের নেতৃত্বেও।
ওদিকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রচ্ছন্ন চাপে পড়েছে ভারত সরকার। দেশটিতে আশ্রয় নেয়ার পর শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টে অবস্থানের নির্ধারিত ৪৫ দিন পেরিয়ে গেছে আরও আগেই। এমন অবস্থায় তিনি কোন স্ট্যাটাসে ভারতে অবস্থান করছেন তা যুক্তরাষ্ট্রের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে চাউর হয়েছে ভারতে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট পেয়েছেন শেখ হাসিনা। এই ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে তিনি তৃতীয় কোনো দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। যদিও এই ডকুমেন্ট পাওয়ার বিষয়ে ভারত বা বাংলাদেশ কোনো পক্ষ থেকেই স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট যেকোনো দেশ যেকোনো ব্যক্তিকেই ইস্যু করতে পারে। আমাদের তা ঠেকানোর কোনো উপায় নেই। ভারত ‘ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট’ দিলে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট বা অবনতি হবে এমন আশঙ্কা নেই বলেও তিনি জানান।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনাকে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট নিয়েই ভারতে অবস্থান করতে হবে। এই ডকুমেন্ট দিয়ে তিনি তৃতীয় কোনো দেশেও যেতে পারবেন।
ওদিকে বিভিন্ন সূত্রে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে- ভারতের বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু আমিরাত তাকে গ্রহণ করেনি। তাকে বিমানবন্দরে ১৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় কাটাতে হয়েছে এমন খবরও এসেছে। যদিও এসব খবরের সত্যতা কোনো সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেনি।
ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে ইতিমধ্যে গণহত্যার দায়ে অনেক মামলা দায়ের হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব মামলার বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হতে যাচ্ছে দ্রুতই। এসব মামলায় পরোয়ানা জারি হলে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে করা ভারতের চুক্তির আওতায়ই এটির সুযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে টানাপড়েন হতে পারে এমন আশঙ্কাও রয়েছে। দলীয় সূত্রের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পর দলীয় অনেক বিষয় খোলাসা হতে পারে। শেখ হাসিনা ভারতে থাকবেন নাকি অবস্থান পরিবর্তন করবেন সেটিও এরই মধ্যে নিশ্চিত হতে পারে।
সূত্র: মানবজমিন।
মন্তব্য করুন
জুলাই গণহত্যায় জড়িত অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকর্মীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের যে সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েছে, সেটাকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
রবিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ এ কথা জানায়।
তিনি জানান, রাজনৈতিক দল হিসেবে মাফিয়া আওয়ামী লীগের দেশ-বিদেশে কোথাও স্বীকৃতি নেই। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র মানে না, তাদের ডিএনএতে গণতন্ত্রের কোনো অস্তিত্ব নেই।
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের আওতায় আনতে আইন সংশোধন এবং তাদের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে বিএনপি সাধুবাদ জানায়।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে সরকারকে আগামীতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে।
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের ২ দিনের টানা আন্দোলনের মুখে গতকাল আওয়ামী লীগ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। প্রায় ৩ ঘণ্টা বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকর্মীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনীতেও উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিয়েছে।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ শনিবার, ১০ মে ২০২৫ তারিখে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, এর পাশাপাশি আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপি সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদসহ মোট ৬২টি প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে লিখিত প্রস্তাবনা তুলে দেয়।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালাউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে সূচনা থেকে তফসিল পর্যন্ত মোট ৬২টি প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়েছে। জুলাই-আগস্টের বিপ্লব এবং বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায়, ভবিষ্যতে যেন একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হয়, সেসব বিষয় মাথায় রেখে প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "আমরা বিচার বিভাগের ক্ষেত্রেও সুপারিশ করেছি। উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দিয়েছি। নির্বাহী, বিচার বিভাগ এবং আইন বিভাগসহ সব ক্ষেত্রেই এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, যাতে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় থাকে।"
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন এ প্রস্তাবনাগুলো সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে। কোনো বিষয়ে দ্বিমত থাকলে ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার বিষয়টি দেখবে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির জমা দেওয়া প্রস্তাবনা এখনো পড়ে দেখা হয়নি। তবে সবার সঙ্গে আলোচনা করে যেখানে প্রয়োজন, সেখানে সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে।
মন্তব্য করুন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও তাদের মেয়ে জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক আইডি ব্যবহার করে একটি দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিতভাবে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী জানান, একটি দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিতভাবে ডা. জোবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক আইডি ব্যবহার করে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এআই পদ্ধতি অবলম্বন করে তা করা হচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জানান, ডা. জোবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোনো আইডি নেই।
তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের নামে একটি মহল নীল নকশা তৈরি করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো। এসব ব্যাধি বন্ধের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এ সমস্ত অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে মিথ্যার কোনো স্থান নেই, তাই প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে মিথ্যার সংস্কৃতি প্রসারিত করার চেষ্টা করা হলেও তা জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়।
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্বৈরশাসকরা একবার ক্ষমতা থেকে চলে গেলে আর ফিরে আসে না। আওয়ামী লীগের যুগের শেষ সময় এসে গেছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ইতিহাসে দেখা গেছে, একবার পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসকরা আর ফিরে আসতে পারেনি। এরা মূলত ডামি সরকার। সামান্য ধাক্কাতেই ভেঙে পড়ে।’
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড়মাঠে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধানের সভাপতিত্বে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল, আর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল কথিত ‘মিডনাইট নির্বাচন’। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনও ছিল একটি প্রহসন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার হুংকার দিচ্ছে যে তারা আবার ফিরে আসবে এবং আগের মতো ক্ষমতা দখল করবে। কিন্তু জনগণ তাদের এসব ষড়যন্ত্র বুঝে ফেলেছে।
জামায়াত আমির আরও বলেন, বিগত সময়ের শাসকরা জনগণের আমানতের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন না। তারা জনগণের সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন, চুরি-ডাকাতি ও লুটপাট করেছেন এবং সেই অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ভারত যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অশান্তির কারণ না হয়। ১৯৭২ সাল থেকে শুরু করে বাংলাদেশে সংগঠিত অপরাধগুলোর তদন্তের ভিত্তিতে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানান তিনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের বিপদের মুখে ফেলে দিয়ে ইসলামপন্থীদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এটি বৈষম্যের প্রমাণ। আগামী পরিকল্পনা কমিশনে ঠাকুরগাঁওয়ের জন্য একটি বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, শিবিরের সাবেক সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা যারা রাজনৈতিক দলগুলো আছি, নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো রকমের সংশয় নেই। উই আর কনভিন্সড যে ২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য যথেষ্ট জোরালো ছিল।
নির্বাচনের ব্যাপারে গত কিছুদিন ধরে তিনি যে কথাগুলো বলে আসছেন, এই ব্যাপারে, আমাদের অন্তত কোনো সংশয় নেই। আমরা যারা রাজনৈতিক দলগুলো আছি, আমাদের কোনো রকমের সংশয় নেই। উই আর কনভিন্সড যে ২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য জামায়াতে ইসলামী প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা সবাই এরসঙ্গে একমত।
আমরাও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু তার আগে কিছু বিষয় আছে গুরুত্বপূর্ণ, যেগুলোকে সমাধান করা দরকার। যেমন-জুলাই সনদ, এটির বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন না হলে সেখানে একমত হওয়ার কোনো বাস্তবতা নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানে নির্বাচনের বিষয়ে তিনি যা বলেছেন সেটার সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো কারণ আমরা দেখছি না। কিন্তু উনি তো বিস্তারিত কথা বলেননি।’
এ সময় জামায়াত নেতা নকিবুর রহমান তারেক উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন