মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় কোনো কোনো দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার রাজধানীর উত্তরায় ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গতকাল মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সত্য উদঘাটনের দায়িত্ব প্রশাসনের বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এ ঘটনায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের যাদের নাম পাওয়া গেছে, তাদের গতকাল রাতেই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ পরিবার। এর কোনো ছিদ্র পথে যদি দু’একজন দুষ্কৃতিকারী ঢুকে পড়ে, সেটি সব সময় খোঁজ রাখা যায় না। কিন্তু দুষ্কৃতিকারীদের কোনোভাবে যদি চিহ্নিত করা যায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করে না দল বা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রিজভী বলেন, গত পরশু রাতে পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়, সে রাতেই তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকালের যে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ কোনো কোনো রাজনৈতিক দল দেখছি, ওই ঘটনাকে রাজনৈতিক কালার দেওয়ার, রঙচঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এখানে দল কোথায় জড়িত? দলের নামধারী কেউ হতে পারে।
এটাতো দলের পদ-পদবি নিয়ে সংঘর্ষ হয়নি। দলের মতাদর্শ নিয়ে ঝগড়া হয়নি, ঝগড়া হচ্ছে তাদের ব্যবসা নিয়ে। এগুলো তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনারা শুনেছেন, ভাঙাড়ি ব্যবসা নিয়ে ঘটনা। এ ঘটনার সঙ্গে দল কোথায় জড়িত?
তিনি বলেন, যিনি নিহত হয়েছেন, আর যারা ঘাতক; তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছে। এটি যুগ যুগ ধরে তারা করে আসছে। এখন পট পরির্বতন হয়েছে ওয়ার্ড পর্যায়ের কেউ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হতে পারে, যা মহানগর বা কেন্দ্রীয় নেতারা জানেন না। তাবে কোনো ধরনের অপর্কম সংঘাত বা মানুষ হত্যায় যারা জড়িত, তাদের ছাড় নেই। মাটির গভীরে গেলেও সেখানে থেকে ধরে এনে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপান করুন, যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।
রিজভী বলেন, এ ঘটনার পর দু’-একটি দল মিছিল করে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন। আমরা যদি শেখ হাসিনার মতো নিশ্চুপ থাকতাম, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতাম, তাদের বহিষ্কার না করতাম, তাহলে এককথা ছিল। কিন্তু দল অবিলম্বে বিচার ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাহলে আপনারা মিছিল করছেন কেন? মানে একটা রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদের অতীত অপকর্ম ভুলে যাইনি। আমরা ভুলে যাইনি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্বিবিদ্যালয়ের ছাত্রদের কিভাবে পায়ের রগ কেটেছে। কিভাবে বাসের ভেতর থেকে ছাত্রদল নেতাকে ধরে বিনোদপুর গ্রামে হত্যা করা হয়েছে। আপনাদের নৃশংতা, আপনাদের ভয়াবহতা মানুষ ভুলে যায়নি।'
তিনি বলেন, এখনো মনে পড়ে, যে উপাধিগুলো মানুষ আপনাদের দেয়। আর আপনারা এখন মিছিল করেন। বিএনপির ইতিবাচক দিকগুলো উপক্ষো করে কেউ কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন, তাতে কোনো লাভ হবে না।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। অথচ বিএনপি ও তার দোসররা এ আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
রোববার (১৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে বিএনপিসহ একটি চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্র ও অপকৌশলের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। অথচ বিএনপি ও তার দোসররা এ আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতরা বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে উসকানি দিচ্ছে। সরকার একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনকে কেন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে? কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। ইতোপূর্বে বিএনপি ও তার দোসররা সব আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা শিক্ষার্থীদের এই কোটাবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করছে এবং এটাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। তাই কারও উসকানিতে পড়ে সরকারবিরোধী বক্তব্য না দিয়ে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের মানুষের যৌক্তিক দাবির প্রতি আওয়ামী লীগ সর্বদা আন্তরিক। কোনো যৌক্তিক দাবিই কখনই আওয়ামী লীগের কাছে উপেক্ষিত হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে একটি জনকল্যাণকর উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পুনরায় আহ্বান জানাব, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার জন্য।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, অন্তবর্তী সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কারের পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিলেও আশানুরূপ চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আয়োজনে ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের স্মৃতিচারণ’ প্রেরণার গণঅভ্যুত্থান-২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারদের কাছে গেলে এবং আহতদের পাশে গেলে তারা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বলে, জামায়াতে ইসলামী তাদের জন্য যেই ভূমিকা রেখেছে অন্য কোন দল এমনকি রাষ্ট্রও তা করেনি, করতে পারেনি।
জামায়াত আমির বলেন, এই আন্দোলনের বীরদের জামায়াতে ইসলামী দলীয় সম্পদ বানাতে চায় না। জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে আন্দোলনের শহীদ ও আহত সকল বীর আমাদের জাতীয় সম্পদ।
দলটির আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথম কাজ হবে শিক্ষিত জাতি গঠন করা। যে জাতি যতবেশি শিক্ষিত সেই জাতি ততবেশি উন্নত। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। বিগত সরকারের তৈরি শিক্ষানীতিতে কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী তৈরী হয়েছে। যেই শিক্ষা মানুষকে মানবিক ও আদর্শবান করে না, সেটি কখনো শিক্ষা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে জাতি জানতে পারছে, শেখ হাসিনা তিন বাহিনীর প্রধানদের গণভবনে ডেকে নিদের্শ দিয়েছে যত মানুষ মারার দরকার হয় মারতে। তুব তার ক্ষমতার গদি লাগবে, রাখতে হবে। মানুষ যখন মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলে তখনই এমন অমানবিক কথা বলতে পারে, নিদের্শ দিতে পারে। এক ব্যক্তি বা এক দলের ক্ষমতায় অতিতের সব সরকারকে হিংস্র করে তুলেছে। তারা ক্ষমতার লিপ্সায় মানুষ হত্যা করেছে। জামায়াতে ইসলামী এক ব্যক্তি বা এক দলের ক্ষমতায় বিশ্বাসী নয়। জামায়াতে ইসলামী গণতন্ত্রকামী সব দলের সমন্বয়ে সরকার গঠন করতে চায়। যেখানে একক কোন ব্যক্তি বা দলের ক্ষমতা ও প্রভাব থাকবে না। এমন একটি সরকার গঠন হলে জাতি সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে। একজন নাগরিক তার প্রাপ্য মর্যাদা ও অধিকার পাবে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের চিকিৎসা সহয়তা এবং শহীদদের পরিবারকে আর্থিক দুই লাখ টাকা করে সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী কিছুটা দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছে। শহীদ পরিবারদের সঙ্গে পূর্বে মতবিনিময় করে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা আমরা জানতে পেরেছি। আজ আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের স্মৃতিচারণের মাধ্যমে তাদের আগামী দিনে আশা-আকাঙ্ক্ষা জেনে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর এই আয়োজন।
অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন নিজ ঘরের বেডরুমে গুলিবিদ্ধ দুই বছর বয়সী রাফসানের মা, প্লাম্বার মিস্ত্রি আল-আমীন, জাফরুল হাসান, অটোরিকশা চালক আল-আমীন, লাশ গোসল দানকারী জামাল হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম, মো. মাহবুব, মো. মেহেদী হাসান শুভ, বেলাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, পরিবহন শ্রমিক নুরে আলম, মহি উদ্দিন রাব্বি, নাহিদ হাসান, নারী শ্রমিক পারভীন, মো. আশরাফুল ইসলাম, দোকান কর্মচারী মো. ইউসুফ, টাইলস মিস্ত্রি শাহ আলম, মো. শিফায়েত হোসেন আসিফ, আল-আমীন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. আবু তাহের, বনশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আ. ন. ম সামিত, এশিয়ান প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শারমিন রহমান, খিলগাঁও উত্তর এলাকার মো. নেছার উদ্দিন নাঈম প্রমুখ।
স্মৃতিচারণকালে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোন কিছু পাওয়ার আশায় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করিনি, আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করে নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু যাদের নেতৃত্বে ও আহ্বানে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি তারা আন্দোলন পরবর্তী শহীদ পরিবার ও আহতের থেকে দূরে সরে গেছে।
কেন আহতদের চিকিৎসা না করে ঢাকা মেডিকেল কতৃপক্ষ ফ্যাসিবাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে সে বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি প্রশ্ন রেখে তারা বলেন, আহতরা মারা গেলে বলা হয় আগামীকাল তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে নেয়া হতো! মরার আগে কেন বিদেশে নেয়া হয় না? বক্তারা গণহত্যার অপরাধে খুনি হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির ও এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারী যথাক্রমে মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, মোহাম্মদ কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান, শামসুর রহমান সহ মহানগরীর নেতৃবৃন্দ ও সাংগঠনিক ইউনিটের দায়িত্বশীলসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের কিছু লোক বলছেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা কঠিন। কিন্তু কেনো কঠিন হবে? নির্বাচন করতে এতো সময় কেনো লাগবে? যদি নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে জুন-জুলাই মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজশাহীতে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আহত ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহিদ পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দোয়া কামনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আমরা বিএনপি পরিবার।
রিজভী বলেন, নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি হলে অন্তবর্তী সরকারের বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হবে। আমাদের একটি সংবিধান আছে, তারপরও গণপরিষদ নির্বাচন কেনো? এ ধরনের কথাগুলো মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কারও কাছে মাথা নত করে না, এটাই বিএনপির অপরাধ, এটাই খালেদা জিয়ার অপরাধ। শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত আক্রোশ আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে শাস্তি দিয়ে মিটিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা একটি লুটেরা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি হবু চন্দ্র রাজা ও গবু চন্দ্র মন্ত্রীর মতো একটি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের হত্যা করে রক্তাক্ত হাত নিয়ে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছেন। শহিদদের রক্তের সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
বাংলাদেশ বিষয়ে ভারতের আগ্রহ নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের এত মাথাব্যথা কেনো? যারা লুটেরা, যারা খুনি, তাদেরকে ভারত আশ্রয় দেয়। শেখ হাসিনার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে একটি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া আহত ও নিহত ১৫ জনকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এহসানুল হক সমাজী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সচিবালয়ের ভেতরে ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে আছে, যারা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। এ কারণেই কি তাদের সরানো হচ্ছে না?
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র, সংস্কার ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ ধরনের প্রশ্ন তোলেন।
মির্জা আব্বাস দাবি করেন, সচিবালয়ের ভেতরে চারজন ও বাইরে একজনসহ মোট পাঁচজন সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা এবং উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্য প্রধান উপদেষ্টাকে সঠিক পথে চলতে দেবে না। এ কারণে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে। বিএনপিই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত দল। যদি ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশ আবারও ভারতীয় আধিপত্যের কবলে পড়বে।"
তিনি আরও যোগ করেন, মতপার্থক্য থাকলেও জাতীয় স্বার্থে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও অন্যান্য দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "বিপরীত শক্তি আমাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিছু ইউটিউবার দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চাইছে।"
মির্জা আব্বাস বলেন, "বিএনপি সংস্কার ও নির্বাচন—দুটিই চায়। তবে অপ্রয়োজনীয় সংস্কার থেকে দূরে থাকতে হবে, যা বিপদ ডেকে আনতে পারে। নির্বাচন নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে, যা মোটেও কাম্য নয়।"
তিনি জোর দিয়ে বলেন, "প্রশাসনে বিএনপির কোনো লোক নেই। বরং আওয়ামী লীগের দালালরাই সেখানে সুবিধা পাচ্ছে। এনসিপিও তাদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে।" কয়েকজন সচিবের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগের দালালদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে।"
শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, "আপনার আশেপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা আছে। তারা আপনাকে ভুল পথে নিয়ে যেতে পারে। সাবধান থাকুন।"
মন্তব্য করুন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে নৌকা মার্কা (আওয়ামী লীগ) নিশ্চিহ্ন করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার সময় তাদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে জুলাই ঘোষণাপত্র এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
শুক্রবার (২ মে) বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "জুলাই অভ্যুত্থানের নয় মাস পরেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও তাদের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে—এটা আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা। আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনের বিচার করব এবং দেশকে সংস্কার করব।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের জনগণ এই প্রথমবারের মতো রাজপথে নামেনি, জীবন দেয়নি। এর আগেও বহুবার মানুষ সংগ্রাম করেছে, প্রাণ দিয়েছে। ১৯৭১ সালের পর ১৯৭২ সালে 'সোনার বাংলা'র স্বপ্ন মুজিববাদীদের হাতে বিনষ্ট হয়। দেশকে ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন ধ্বংস করা হয়। মুজিববাদী সংবিধানে 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ'-এর নামে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। গণতন্ত্রের নামে বাকশাল কায়েম করা হয়।"
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে বারবার সামরিক হস্তক্ষেপ হয়েছে। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে জনগণ স্বৈরশাসনের পতন ঘটায়। কিন্তু ৩০ বছর পর আবারও সেই স্বৈরতন্ত্র ফিরে এসেছে। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়েছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।"
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যখন ছাত্র-জনতা তাদের অধিকারের দাবিতে রাজপথে নেমেছিল, তখন আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে দিয়ে গুলি চালিয়েছিল। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু বিগত নয় মাসেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।"
তিনি আরও অভিযোগ করেন, "যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তারা জামিন পেয়ে যাচ্ছে। মামলা-বাণিজ্য চলছে। তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।"
নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশন কার স্বার্থে কাজ করবে? আমরা দেখেছি, কিছু সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছেন—শেখ হাসিনা কি গণহত্যাকারী? তাদের বলছি, আপনারা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসর।"
সমাবেশে তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এবং সরকারের সমালোচনা করেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপি সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদসহ মোট ৬২টি প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে লিখিত প্রস্তাবনা তুলে দেয়।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালাউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে সূচনা থেকে তফসিল পর্যন্ত মোট ৬২টি প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়েছে। জুলাই-আগস্টের বিপ্লব এবং বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায়, ভবিষ্যতে যেন একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হয়, সেসব বিষয় মাথায় রেখে প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "আমরা বিচার বিভাগের ক্ষেত্রেও সুপারিশ করেছি। উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দিয়েছি। নির্বাহী, বিচার বিভাগ এবং আইন বিভাগসহ সব ক্ষেত্রেই এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, যাতে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় থাকে।"
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন এ প্রস্তাবনাগুলো সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে। কোনো বিষয়ে দ্বিমত থাকলে ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার বিষয়টি দেখবে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির জমা দেওয়া প্রস্তাবনা এখনো পড়ে দেখা হয়নি। তবে সবার সঙ্গে আলোচনা করে যেখানে প্রয়োজন, সেখানে সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে।
মন্তব্য করুন
পূর্ব ভারতের ওড়িশায় গতকাল ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে দ্রুতই রিপোর্ট পেশ করা হবে। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা, তা নিয়ে রেল এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের বিস্তর ফারাক দেখা গেছে। স্পষ্ট হয়নি এই ঘটনার মূল কারণ কী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের পেছনের চারটি বগি প্রথমে লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লাইনে উঠে যায়। ওই লাইন দিয়ে এসেই লাইনচ্যুত বগিকে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতেই চেন্নাইয়ের দিকে যাওয়া করমণ্ডলের সামনে পাঁচটি কামরা দুমড়েমুচড়ে যায়।
ওড়িশা রাজ্যের মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা জানিয়েছেন দুর্ঘটনাস্থল বালেশ্বরে অন্তত ২০০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১০০ জন অতিরিক্ত ডাক্তার সেখানে সেবায় নিয়োজিত করা হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮০ জনের নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একজন জানিয়েছেন, তিনি ১০ থেকে ১৫ জনের নিচে চাপা পড়েছিলেন।
তিনি বলেন, আমার হাতে আর ঘাড়ে আঘাত লাগে। আমি যখন ট্রেনের বগি থেকে বের হই, তখন দেখি কেউ হাত হারিয়েছে, কেউ পা হারিয়েছে, কারো আবার মুখ সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে গেছে।
এ ঘটনার পর ওড়িশা রাজ্যে একদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
এই দুর্ঘটনার পর শুক্রবার রাতে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশন একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করে।
সেখানে উল্লেখ করা হয় যে সাধারণত বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাওয়া আসা করতে করমোনডেল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্যবহার করে থাকেন।
বাংলাদেশি কোনো নাগরিক দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনে ছিল কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ রাখতে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন রেল কর্তৃপক্ষ ও ওড়িষ্যার রাজ্য সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এ বিষয়ে তথ্যের জন্য একটি হটলাইন নম্বরও চালু করেছে উপ-হাইকমিশন।
হটলাইন নম্বর: +91 90 38 35 35 33 (হোয়াটসঅ্যাপ)
এনএফ
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মন্তব্য করেছেন, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই।
বুধবার (২৬ মার্চ) সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন মির্জা আব্বাস জানান, ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই, যারা দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলে তারা আজকের দিনকে খাটো করে দেখাতে চায়। তাদের মুক্তিযুদ্ধে কোনো ভূমিকা ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে সবাই সব দলের প্রতিপক্ষ। দলগতভাবে মতভেদের পার্থক্য থাকলেও দেশের প্রয়োজনে সবার ঐক্য একই থাকবে।’
এদিকে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ৭১ দেশকে জন্ম দিয়েছে, তবে বিগত সময়ে স্বাধীনতার ধারণা নষ্ট করা হয়েছে। একাত্তরে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতেই চব্বিশের অভ্যুত্থান হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
জুলাই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান, বিএনপি ও ১২ দলীয় জোট উল্লেখ করে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়েনুল আবদিন ফারুক।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ এলডিপির প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলেও জানান ফারুক। তিনি বলেন, “আমরা রাস্তায় ছিলাম, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তারেক রহমান, বিএনপি, ১২ দলীয় জোট।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনার প্রতি আমাদের অগাধ বিশ্বাস আছে। সেই বিশ্বাস রাখতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন।”
তিনি আরও বলেন, “আউয়াল কমিশনের মতো নির্বাচন কমিশন চাই না, যে কমিশন ঘুম থেকে উঠে ফল ঘোষণা করে। আমরা এমন নির্বাচন চাই, যেখানে দিনের ভোট দিনে হবে, রাতে নয়।”
ফারুক বলেন, “আমরা মনে করি, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ঘোলাটে করার জন্য আরেকটা প্রতিক্রিয়াশীল চক্র চেষ্টা করছে। এর একটি ইঙ্গিত হচ্ছে বঙ্গভবনের সামনে নতুন করে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা।”
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “আপনি বহু মায়ের বুক খালি করেছেন। সেজন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিদায় নিয়েছেন। ২০৪০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর চক্রান্ত করছেন। বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষের খুনিকে ভারতের মোদী সরকার কীভাবে আশ্রয় দিতে পারে, সে প্রশ্ন বাংলাদেশের মানুষের।”
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিনি আশা করেন যে খুব শীঘ্রই জনগণের ইচ্ছানুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। এর মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ পাবে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, "৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করে আমরা একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছি। এই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার করে আমরা বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক, আধুনিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।"
এসময় তার সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়কসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, "সংস্কার নিয়ে একজন উপদেষ্টা গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা মূলত রাজনীতিকে হীন করার একটি প্রচেষ্টা। পৃথিবীর ইতিহাসে সব সংস্কারই রাজনীতিবিদরা করেছেন।"
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন