ডেস্ক রিপোর্ট:
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে। ইইউ-এর এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা পামপালোনি এ তথ্য জানান। এছাড়াও, দুর্নীতির বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করার ব্যাপারেও ইইউ এর সমর্থনের কথা বলেন তিনি।
বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন পামপালোনি। এ সময় ইইউ-এর বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান মাইকেল মিলারও উপস্থিত ছিলেন।
পাওলা পামপালোনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, “বার্তাটি খুবই পরিষ্কার—ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপনার পাশে রয়েছে। আমরা আপনার সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে চাই।” তিনি আরো জানান, সংস্কারের জন্য ইইউ অর্থের ঘাটতি হতে দেবে না এবং প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তাও প্রদান করবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এই অঙ্গীকারের জন্য ইইউ-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের সময় ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ স্মরণ করেন। যেখানে তারা বাংলাদেশের জন্য সমর্থন বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা করেছিলেন।
পামপালোনি জানান, “আমরা ইউএনজিএ-তে আপনার বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। আপনাকে একা ভাবতে হবে না; আমরা সত্যিই সমর্থন দিতে আগ্রহী।”
তিনি আরও জানান, ইইউ বাংলাদেশকে আরও বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করতে উৎসাহিত করছে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।
রাষ্ট্রদূত মিলার জানান, ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন, যা উভয় দেশের মধ্যে আরও ব্যবসায়িক সুযোগ সৃষ্টি করবে।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের শ্রম অধিকার সংস্কারে তার অঙ্গীকারের পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে চাই, কোনো গোপনীয়তা থাকবে না। আমরা আর পূর্বের পন্থা অবলম্বন করতে চাই না।”
ইইউ কর্মকর্তা অধ্যাপক ইউনূসের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। পামপালোনি বলেন, “এটি প্রথমবার যে আমরা নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দেখছি এবং এক্ষেত্রে আমরা আপনার ওপর নির্ভর করছি।”
প্রধান উপদেষ্টা ইইউ-কে নেপাল ও ভারতের সঙ্গে আঞ্চলিক বিদ্যুৎ সংযোগ বাড়াতে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “নেপালে বিপুল জলবিদ্যুৎ রয়েছে যা বর্তমানে অপচয় হচ্ছে। ইইউ-এর কিছু সহায়তায় নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভারত এতে উপকৃত হতে পারে।”
তিনি ইইউ-কে বাংলাদেশের যুব সমাজের ওপর মনোযোগ দিতে অনুরোধ করেন এবং দক্ষিণ এশীয় ফুটবলে বাংলাদেশি মেয়েদের সাম্প্রতিক সাফল্যের প্রশংসা করেন। তিনি ইইউ-এর একটি ফুটবল দল বাংলাদেশে পাঠানোর অনুরোধ করেন, যা বাংলাদেশি মেয়েদের অনুপ্রাণিত করবে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে "চোরতন্ত্র" প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বলেন, অর্থের বিনিময়ে বড় বড় প্রকল্পের কাজ দেওয়া এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ পাচার করা সেই সময়ের নিয়মিত ঘটনা ছিল। সে সময় পাচার করা অর্থ দিয়েই এখন প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে পাচারকারীরা।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই বিপ্লবের প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “যারা এই বিপ্লবে অংশ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এখানে কোনো গণঅভ্যুত্থান হয়নি বরং মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে। এ ধরনের অপপ্রচার করে পরাজিত শক্তি আপনাদের জঙ্গি হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, "জুলাই বিপ্লবের সময় অনেক গণমাধ্যম আন্দোলনকারীদের 'জাতির শত্রু' হিসেবে চিত্রিত করেছিল। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল যা শাসকদের কাছে আন্দোলনকারীদের দমন করার বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল। যদি ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হতো, তবে হাজার হাজার মানুষকে কারাগারে পাঠানো হতো এবং আন্দোলনকে 'অরাজকতা সৃষ্টিকারী' হিসেবে দেখানো হতো।"
সাংবাদিকতা কেবল পেশা নয়, এটি একটি দায়িত্ব উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, "জুলাই বিপ্লবে কার কী ভূমিকা ছিল তা আরও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। সবাইকে তাদের অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ লিখে রাখার আহ্বান জানাই।"
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, “যদি ফ্যাসিস্ট সরকার আরও এক মাস সময় পেত, তাহলে ২৫ মার্চের মতো আরও একটি কালরাত দেখা যেত। সেই রাতে শিক্ষক, সাংবাদিক এবং তরুণদের টার্গেট করে হত্যা করা হতো। ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে গেলে যুবসমাজের চাকরির অধিকারও হরণ করা হতো।”
মন্তব্য করুন
সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে গাজীপুরসহ সারাদেশে যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার থেকেই গাজীপুরসহ সারাদেশে এই বিশেষ অভিযান শুরু হবে। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আগামীকাল প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে পতিত স্বৈরাচারের সমর্থক সন্ত্রাসীদের হামলায় কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। এ সংক্রান্ত রায়ে দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে দলটির প্রতীক নিয়ে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা না দিয়ে এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের বিবেচনার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এক যুগ পর সেই রায় বাতিল করে দিলো আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারকের বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক।
রোববার মামলাটি কার্যতালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়েছে। গত ১৪ মে আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
ঐতিহাসিক এ রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর ভোটের রাজনীতিতে ফেরার এমনকি দলীয় প্রতীক নিয়ে আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খুলল জামায়াতে ইসলামীর।
জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা একই বছর আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে জামায়াতে ইসলামী।
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার গত বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের সাবেক উপ-কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দীন মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় এ মামলায় প্রথমবারের মতো পুলিশের কোনো কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানো হলো।
আজ (৩০ অক্টোবর) বিকেলে এ মামলায় তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। বিচারিক প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জসিম উদ্দীন মোল্লাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে শুনানি শুরু হয়।
এর আগে, বুধবার রংপুর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, প্রাথমিক তদন্তে জসিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়েছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম।
এর আগে, ১৩ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মো. মাহবুর রহমান শেখের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে জসিম উদ্দীনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। তিনি ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৭ অক্টোবর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তাদের আগামী ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত। জসিম উদ্দীন সেই ১৭ জনের একজন।
মন্তব্য করুন
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এখন সরকারি ক্রয় কমিটির বৈঠক ঘন ঘন হয়। ক্রয় কমিটির মিটিং করে অত্যাবশ্যকীয় জিনিস বা জরুরি বিষয় দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সরকার মোটামুটি কর্মব্যস্ত এটা তার একটা প্রমাণ। এত ঘন ঘন মিটিং আমি আগে দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, বাজারে আলুর দাম বেড়েছে, তবে অন্য কিছু পণ্যের দাম কমেছে। দাম বাড়ানোর বিষয়টি সবাই বলে, কিন্তু দাম কমানোর বিষয়ে অনেকেই কথা বলে না। বাজারের পরিস্থিতি এমন যে, এক পণ্যের দাম বাড়বে, অন্যটির দাম কমবে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, দ্রুত প্রসেস করে যে পণ্যগুলো কিনতে হবে, সেগুলো অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। আজকে বিভিন্ন ধরনের সার, এলএনজি, মসুর ডাল এবং সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, কিছু মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে, যা গতকাল বাণিজ্য উপদেষ্টা পরিষ্কার করেছেন। ৩০-৪০ বছরে সয়াবিন তেলের দাম এতটা বেড়েছে, যা আগে কখনো হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবই মুদ্রণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জেনারেল এডুকেশন ও মাদরাসার বইয়ের জন্য দ্রুত কাজ শুরু করা হয়েছে। জানুয়ারির মধ্যে এসব বই মুদ্রণ করা হবে, তবে সব বই জানুয়ারির মধ্যে প্রস্তুত হবে না।
শিক্ষার্থীরা ১ জানুয়ারি পাঠ্যবই পাবে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আজ যেগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর জন্য কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রেসগুলো খুব ব্যস্ত রয়েছে এবং তারা চেষ্টা করছে দ্রুত কাজ শেষ করতে।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজারে আমাদের পদক্ষেপের কিছু প্রভাব অবশ্যই পড়ছে, তবে আপনি শুধু আলুর দাম বাড়ছে বলছেন, কিন্তু অন্যান্য পণ্যের দাম সাশ্রয়ী হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাজারে এক হাজার টাকা নিয়ে গেলে কিছু পণ্যের দাম বেশি হবে, আবার কিছু পণ্যের দাম কম হবে। সব পণ্যের দাম কমানো খুবই কঠিন।
মন্তব্য করুন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৮ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ৩ হাজার ১৮০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৩০ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ঢাকার শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস হওয়ার দুই দিনের মাথায় চলতি অর্থবছরের শেষ বৈঠকে বসেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
বৈঠকে অনুমোদিত উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে— উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ, বিভাগীয় শহরগুলোতে মাদকাসক্ত নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন, চারটি নতুন মেরিন একাডেমিতে সিমুলেটর ও নৌপ্রশিক্ষণ সুবিধা স্থাপন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সমন্বিত সেবা সম্প্রসারণ, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম।
এছাড়াও অনুমোদন হয়েছে— বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সম্প্রসারণে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন, দেশের বিভিন্ন জেলায় নতুন ১৩টি সার সংরক্ষণাগার (বাফার গোডাউন) নির্মাণ, কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন, কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে টিটিইটি রিচার্জ প্রোগ্রাম, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প, উন্নয়ন বাজেট ব্যবস্থাপনায় নতুন ডিজিটাল ডাটাবেজ স্থাপন, আইপিআইএমএস শক্তিশালীকরণ এবং ডিজিটাল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরকারি নিরীক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প।
এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি এবং প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের অগ্রগতি প্রত্যাশা করছে সরকার।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সীমান্তে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে এবং সেখানে কোনো উত্তেজনা নেই। সীমান্তে নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণেরও কোনো কার্যক্রম নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার ময়মনসিংহ নগরীর সিটি করপোরেশন শহীদ সাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে সশস্ত্র বাহিনী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ময়মনসিংহ অঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, আগামী মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ডিজি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।
এছাড়া ভারতের সঙ্গে করা কিছু অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ভারতের সঙ্গে কিছু অসম চুক্তি হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে এসব চুক্তি পুনর্বিবেচনার বিষয়ে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। যেসব চুক্তি অসম বলে মনে করা হচ্ছে, সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি পুলিশের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “পুলিশই তদন্ত করবে। অন্য কোনো সংস্থাকে তদন্তের সুযোগ দেওয়া হবে না। ট্রাইব্যুনালের তদন্তও পুলিশের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে। পুলিশ যেন তাদের আগের কর্মোদ্দীপনা ও দক্ষতা ফিরে পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।”
সারের সংকট নিয়ে আলোচনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমানে সারের কোনো সংকট নেই। তবে কেউ যদি কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব ডিলার এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে, তাদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে। আগামী মাস থেকেই এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। কোনো অবস্থাতেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।”
কৃষকদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে সার পাবেন। এ বিষয়ে কোনো শঙ্কা নেই।”
বিদেশি গণমাধ্যমের অপপ্রচারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বিদেশি মিডিয়াগুলো অনেক সময় আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ভুল খবর প্রচার করত। কিন্তু দেশের সাংবাদিকরা সত্য প্রকাশ করায় এখন বিদেশি মিডিয়াগুলো আর অপপ্রচার করতে পারে না। এজন্য দেশের সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতেও সত্য প্রকাশে সাংবাদিকদের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।”
মন্তব্য করুন
শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, যারা বই ছাপানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন, তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অধীন শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যবই আর বিদেশে ছাপানো হবে না।
বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে পাঠ্যবইয়ের অনলাইন সংস্করণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “বই ছাপানোর বাণিজ্য বা একচেটিয়া ব্যবসা আরও সুশৃঙ্খল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উন্নতমানের ছাপা, ভালো মানের কাগজ এবং মজবুত মলাট নিশ্চিত করা হবে। এখন থেকে বই দেশেই ছাপা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধি অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। যারা মুদ্রণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেককে বদলি করা হয়েছে। অতীতে যারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানানো হবে।”
বই বিতরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধার মুখে পড়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আগের বাজারমূল্যে বই ছাপানো হয়েছে। যারা এই প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করেছেন, তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আগামী বছর যারা সরকারে থাকবেন, তাদের কাছে সেই তালিকা হস্তান্তর করা হবে।”
তিনি আরও জানান, দলীয় রাজনীতি নিরপেক্ষভাবে বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাঠ্যবইগুলো শুদ্ধ ও পরিমার্জন করা হয়েছে। আগের নিয়মে নবম ও দশম শ্রেণিতে শুধু সাধারণ গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান পড়ানো হতো, তবে এখন উচ্চতর গণিত ও উচ্চতর বিজ্ঞানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে দেশের অর্থনীতি কতটা চাঙ্গা হবে এবং স্থানীয়রা কতটা উপকৃত হবে তা বিবেচনায় নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রথমে ভাবতে হবে ফলাফল কি হবে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে একটি প্রকল্প নেওয়ার পরে জনগণ কতটা উপকৃত হবে। আমাদের দেশের উন্নয়ন এমনভাবে করতে হবে যাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে এবং অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বিনির্মাণে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের রূপরেখা সংক্রান্ত উপস্থাপনা অবলোকনকালে এ কথা বলেন।
রূপরেখা প্রত্যক্ষ করার পর, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়াতে এবং প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের কতটা উন্নয়ন হবে এবং মানুষ কতটা উপকৃত হবে তা আপনাদের বিবেচনা করতে হবে। দ্রুত কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে বলে দেশবাসী এর সুফল পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা একটি লক্ষ্য নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল জনগণের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, গবেষণার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির করে আমরা সফলভাবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তার সরকার রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিল এবং উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভের মধ্যদিয়ে সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে রূপান্তর করা। আমরা সেই রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
আজ মঙ্গলবার থেকে দেশের সাড়ে ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি-বেসরকারি কলেজে ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ মিলিয়ে এ বছর বন্ধ থাকবে মোট ২১ দিন। আজ থেকে ছুটি শুরু হয়ে চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত। আগামী ২৪ জুন থেকে পুনরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে।
এদিকে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজ ১০ দিন বন্ধ থাকবে। কলেজে শুধুমাত্র ঈদের ছুটি থাকবে। সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন অবকাশ নেই। কলেজের শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি কলেজে ঈদুল আজহার ছুটি আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ জুন পর্যন্ত। ১৩ জুন থেকে পুনরায় কলেজে পুরোদমে ক্লাস শুরু হবে।
এবার দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে ছুটির ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৩ দিন বন্ধ, আবার কোথাও মাত্র ১০ দিন ছুটি। সবচেয়ে বেশি ২৫ দিনের ছুটি পাচ্ছেন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, যা শুরু হয়েছে গত রোববার (১ জুন) থেকে। এছাড়াও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ভোকেশনালে আনুষ্ঠানিক ছুটি শুরু হয়েছে। যদিও ছুটি শুরুর আগেই শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় গত ২৯ মে থেকে বন্ধ হয়ে গেছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত চলতি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্তব্য করুন