

ডেস্ক রিপোর্টঃ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ৭৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ তালিকায় আছেন এমবিবিএস ও ইন্টার্ন শেষ করা চিকিৎসকও। এদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের ছাত্র-সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন বহিষ্কার আদেশ সই করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের একাডেমি কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান চমেকের অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কলেজ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও ছাত্র রাজনীতির নাম ভাঙিয়ে একক কর্তৃত্ব, গোষ্ঠীগত আধিপত্য এবং ব্যক্তিগত হিরোইজম প্রদর্শন, ছাত্রাবাসে অবৈধ অনুপ্রবেশ, অবৈধভাবে রুম দখল, অঙ্গীকার ভঙ্গসহ কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট, মারধর ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জনকে দুই বছর, ১৫ জনকে ১ বছর ৬ মাস, ৩৭ জনকে ১ বছর ও ১৬ জনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
মেডিকেল কলেজ সূত্র জানিয়েছে, বহিষ্কার তালিকায় ১৭ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক আছে। তালিকায় এক নম্বরে থাকা এমবিবিএস ৫৯ ব্যাচের মুশফিকুন ইসলাম চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের শিশু সার্জারির বিভাগের মেডিকেল অফিসার। এ ছাড়া ১১ জনের কাছ থেকে অভিভাবক ও শিক্ষার্থী নিজে মুচলেকায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় একযোগে দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফল প্রকাশিত হয়। এবার এইচএসসিতে পাশের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এবার শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ফেল করেছেন হিসাব বিজ্ঞান, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ে।
হিসাব বিজ্ঞানে ফেল করেছেন ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশ শিক্ষার্থী, ইংরেজিতে ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ, আর আইসিটিতে ২৭ দশমিক ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হয়েছেন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।
প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি। যেখানে গত বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজনও পাস করেনি। অন্যদিকে চলতি বছর ৩৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। যেখানে গত বছর এইচএসসিতে ১ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছিল।
ফলাফল বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে এ বছর বরাবরই এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। মোট পাস এবং জিপিএ-৫ এর দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছেন তারা। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ছাত্রের চেয়ে ৮৭ হাজার ৮১৪ জন বেশি ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ছাত্রের চেয়ে ৫ হাজার ৯৭ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন অংশ নেন। উত্তীর্ণ হন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। ছাত্র উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ জন। ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। ছাত্রীদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ৩২ হাজার ৫৩ জন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়ছেন, আর ৩৭ হাজার ৪৪ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়ছেন।
মন্তব্য করুন


২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির ১ম পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আবেদনের সময় শেষ হবে আগামী শুক্রবার (১৫ আগস্ট)। এদিন রাত ৮টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে আগের সূচি অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট। নির্বাচিতদের ফল প্রকাশের পরই দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়েও আবেদন করা যাবে। যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তির কাজ চলবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।
এর আগে, গত ২৪ জুলাই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারও আগের নিয়মেই আবেদন গ্রহণ ও ভর্তির কাজটি করা হবে। একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হবে না (ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা নিয়ে আসছে)। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
অনলাইনে আবেদন যেভাবে-
অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের। অনলাইন ছাড়া ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন করা হবে না। শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২২০ টাকা। এ ফি দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দ দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটিমাত্র কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবে।
তবে যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীর ভর্তির ব্যবস্থা করবে।
গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে হবে-
বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণরা এ দুই গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবে। দাখিল উত্তীর্ণ বিজ্ঞান গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি ও সাধারণ গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না, শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
তিন ধাপে আবেদন ও ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস কবে-
প্রথম ধাপে অনলাইনে একাদশে ভর্তির আবেদনের শেষ দিন ছিল ১১ আগস্ট পর্যন্ত। এখন চারদিন সময় বৃদ্ধি করা হলো। এখন ১৫ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট রাত ৮টার দিকে প্রকাশ হবে। এরপর আরও দুই ধাপে আবেদন গ্রহণ, ফল প্রকাশ, নিশ্চয়ন ও চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু করা হবে।
কলেজে ভর্তি ফি কত-
ভর্তির সময় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরে পাঁচ হাজার টাকা সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি নেওয়া যাবে। ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মহানগর এলাকায় তিন হাজার, জেলায় দুই হাজার ও উপজেলা বা মফস্বল এলাকায় দেড় হাজার টাকা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া এমপিওভুক্ত নয়, এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি কত নেওয়া যাবে, সেটি নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরে বাংলা ভার্সনে সাড়ে সাত হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে সাড়ে আট হাজার টাকা নেওয়া যাবে।
ঢাকা মহানগর বাদে অন্যান্য মহানগর এলাকায় বাংলা ভার্সনে পাঁচ হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে ছয় হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ে বাংলা ভার্সনে তিন হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে চার হাজার টাকা এবং উপজেলা ও মফস্বল এলাকায় বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে তিন হাজার টাকা নেওয়া যাবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। বাকি ৭ শতাংশ আসনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ আসন মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংরক্ষিত থাকবে (ন্যূনতম যোগ্যতা থাকতে হবে)। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তবে পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে এই আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।
মন্তব্য করুন


পুরান ঢাকার একটি পরিত্যাক্ত ভবন থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
জানা গেছে, নিহত জুবায়েদ রহমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি জবিস্থ কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম । তিনি বলেন, ছুরিকাঘাতে জবি শিক্ষার্থী মারা গেছেন। ওইটা তার টিউশনির বাসা ছিল। ওই বাসায় তার টিউশনি ছিল। এখনো কোন কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা তদন্ত করছি। নিহত জুবায়েদ কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন।
মন্তব্য করুন


আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ মে) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এদিন বিকেল ৪টা থেকে সেলফোনে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে ফল জানা যাবে। তাছাড়া ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে (www.nu.ac.bd/admissions) রাত ৯টা থেকে ফল পাওয়া যাবে।
ক্ষুদেবার্তায় ফলাফল জানতে মেসেজ অপশনে গিয়ে nuathnroll no টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ম মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি হয়ে থাকলে তাকে অবশ্যই ২৫ মের মধ্যে পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বাতিল করে অনলাইনে চূড়ান্ত ভর্তি ফরম পূরণ করতে হবে অন্যথায় দ্বৈত ভর্তির কারণে শিক্ষার্থীর ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল বলে গণ্য হবে।
১ম মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী তার বিষয় পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক হলে তাকে চূড়ান্ত ভর্তি ফরমে বিষয় পরিবর্তনের নির্দিষ্ট ঘরে Yes অপশন সিলেক্ট করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিষয় পছন্দক্রম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজে বিষয়ভিত্তিক শূন্য আসনে মেধার ভিত্তিতে বিষয় পরিবর্তন করা হবে। এই শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস ১ জুন থেকে শুরু হবে।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে লটারি নাকি পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল। তবে আগামী শিক্ষাবর্ষেও (২০২৬) স্কুলে ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিগগির লটারি বহাল রেখে ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করবে মন্ত্রণালয়।
বুধবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভা শেষে বিকেলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সভায় নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সার্বিক দিক বিবেচনা করে এবারও লটারির মাধ্যমে স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। শিগগির হয়তো বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
সভায় অংশ নেওয়া মাউশির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, অভিভাবকদের একটি অংশ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে ছিল। আমরা দেখেছি, তারা মানববন্ধনও করেছেন। তাদের বিষয়টি শিক্ষকরাও আমাদের জানিয়েছিল।
‘তবে লটারি পদ্ধতি বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। এটা বাদ দিতে হলে এক বছর হাতে রেখে ঘোষণা দিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার এ ঝুঁকি নিতে চায় না। সেজন্য লটারি বহাল থাকছে’ বলেও জানান মাউশির ওই কর্মকর্তা।
গত ২৭ অক্টোবর স্কুলে ভর্তিতে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবকে লিখিত আবেদন দেন সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি।
তবে একই দিন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে এর বিরোধিতা করা হয়। সংগঠনটি লটারি বহাল রেখে সব কোটা বাতিলের দাবি জানান। দুই পক্ষের এমন মতবিরোধে উৎকণ্ঠায় ছিলেন প্রায় ১০ লাখ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় লটারি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সেই বিতর্কের অবসান হয়েছে।
মন্তব্য করুন


২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেও এখানো চার হাজারের মতো শিক্ষার্থী পিছিয়ে রয়েছে। আবেদন করেও তারা ভর্তির জন্য মনোনীত হয়নি। বর্তমানে তাদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যেসব কলেজে আসন শূন্য রয়েছে সেখানে সরাসরি ভর্তি হওয়া যাবে। আগামী ১৫ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে।
রোববার (১৫ মে) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে যেসব শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেছে কিন্তু কোনো কলেজে ভর্তি হতে পারেনি তাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আগামী ১৫ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ছবিসহ সব তথ্য পূরণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি :
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ ওইএমএস বাটনে ক্লিক করে কলেজের ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। এরপর স্টুডেন্ট লিস্ট (এইচএসসি ২০২২-২৩) মেন্যুতে প্রবেশ করে ক্রিয়েট স্টুডেন্ট বাটনে ক্লিক করে (নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে) নতুন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় উদ্ভূত কোনো জটিলতার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আঞ্চলিক সংগঠন ‘চৌদ্দগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মামুনুর রশীদ মজুমদার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নূরুল করিম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর ইসলাম, এবং সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক সদস্যরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আমন্ত্রিত অতিথিদের ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করা হয়। এরপর নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের বিদায় জানাতে সংবর্ধনা এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া রহমান মলি অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখেছি প্রায় চার মাস হয়ে গেছে। আজকে আমাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে নবীনবরণ ও বিদায়ি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই ছোট্ট সময়ে আমার প্রাণের সংগঠন। আমার অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম প্রোগ্রামে অংশ নিতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে কতটা ভালো লেগেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এখানে এসে আমি এক ধরনের ‘হোম-হোম’ অনুভূতি পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু পড়াশোনা ও ডিগ্রি অর্জনের জন্য নয়, বরং সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলাও একটি বড়ো অর্জন, যা আমি এই অ্যাসোসিয়েশনে এসে উপলব্ধি করেছি।”
প্রধান অতিথি নূরুল করিম চৌধুরী বলেন, “এটা আমার প্রাণের সংগঠন। আমার বাড়িও যেহেতু চৌদ্দগ্রামে, তাই চৌদ্দগ্রামের সন্তানদের নিয়ে গঠিত এই সংগঠনটি আমার কাছে বিশেষ প্রিয়। এই সংগঠনে সকলের অংশগ্রহণ দরকার। যে-কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে গেলে অ্যালামনাইদের এগিয়ে আসতে হবে। সংগঠনে যুক্ত হলে আমরা একে অপরকে চিনতে পারব এবং আমাদের মাঝে সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমাদের যে-কোনো সমস্যায় আমি পাশে থাকব এবং সমাধানের চেষ্টা করব। সবার লক্ষ্য যেন সবসময় উঁচু থাকে, ভবিষ্যতে আরও ভালো করো, এই দোয়া রইল।”
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মামুনুর রশীদ মজুমদার বলেন, “আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, আমি আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পেরেছি। সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাকে সবসময় সহযোগিতা ও সমর্থন করার জন্য। আজকের অনুষ্ঠানের জন্য অতিথিবৃন্দ অনেক কষ্ট করে এসেছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা আমাদের সংগঠনের প্রতিটি কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি। সামনে যারা নেতৃত্বে আসবে, তারাও যেন একইভাবে দায়িত্ব পালন করে এই প্রত্যাশা রাখি।”
উল্লেখ্য নবীণ ও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রেস্ট বিতরণ, কাওয়ালি আসর ও সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
মন্তব্য করুন


এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে মাত্র ১০ দিন বাকি। আগামী ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষার ঠিক আগমুহূর্তে ফরম পূরণের সুযোগ বাড়িয়েছে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস. এম. কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় ১৮ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখও ১৯ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের কাজ শেষ করতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এই সময়সীমার পর কোনোভাবেই ফরম পূরণের আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এবার সারাদেশের ৯ হাজার ৩১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে। ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হবে ২৬ জুন থেকে যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন


চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবীর।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। ফলে এবার পাসের হারে বড় ধরনের ধস দেখা গেছে।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবারের পরীক্ষায় ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ২০২৪ সালে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। সেই হিসাবে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৮৩টি।
অন্যদিকে, এবার মাত্র ৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে। যেখানে গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৬৮টি। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। মোট পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন। এর মধ্যে সাধারণ বোর্ডে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন, মাদরাসা বোর্ডে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি বোর্ডে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ১০ এপ্রিল এবং শেষ হয় ১৩ মে। এবার ফল প্রকাশে কোনো আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে একটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন