সংবিধান সংশোধন করতে হলে তা অবশ্যই সংসদে করতে হবে। এর বাইরে সংবিধান সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নীলক্ষেতের আইসিএমএবি মিলনায়তনে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারগুলো এখনও আলোচনা হচ্ছে। সংবিধানের যদি কোনো সংশোধন করতে হয় তাহলে সেটা সংসদের মধ্য থেকে করতে হবে। সেটার জন্য ম্যন্ডেট জনগণের থেকে নিতে হবে প্রত্যেকটি দলকে। সেটি হতে হবে সংসদের মধ্যে।
তিনি আরও বলেন, স্বচ্ছতা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয়, সংসদের বাইরে সেটা করার কোনো সুযোগ নেই। যারা বাংলাদেশের আগামীর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা সংসদীয় পদ্ধতিতেও বিশ্বাস করে না। তারা কোন পদ্ধতিতে যাবে তারা নিজেরাও জানে না।
রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন জরুরি উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা যতই সংস্কার করি, কোনো লাভ হবে না। যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে না পারি, কোনো সংস্কার কাজে আসবে না। অপরের মতকে আমাদের সম্মান জানাতে হবে। সহনশীল হতে হবে। এর মাধ্যমেই দেশকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে যেখানে ঐক্য দরকার, সেখানে ঐক্য করতে হবে।
ঐক্য এখনও অটুট আছে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, অনেকেই বলছেন, দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল ৫ আগস্টের পরে তা অনৈক্য হয়ে গেছে। আমি তো কোনো অনৈক্য দেখতে পাচ্ছি না। প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব দর্শন, চিন্তাভাবনা থাকবে। যেখানে আমরা একমত হতে পারবো সেখানে একমত হবো। বাকিটা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। জনগণ হচ্ছে মালিক। তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদে পাস করতে হবে।
মন্তব্য করুন
সংস্কার ও জুলাই সনদ বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনে সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ডোরচেস্টার হোটেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
বৈঠকে জুলাই সনদ নিয়ে কোন কথা হয়েছে কি না যৌথ বিবৃতিতে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে দেশে অলরেডি আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে অলরেডি সিদ্ধান্ত আছে যে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হবে। সংস্কারের ব্যাপারে তিনি বলেন, ঐকমত্যের পরিপেক্ষিতে আমরা সংস্কার ও জুলাই সনদ দুটোই করবো। ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে সেটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে যৌথ বিবৃতি করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং হুমায়ুন কবির।
এর আগে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডোরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা) বৈঠকটি শুরু হয়। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় শেষ হয় প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠক।
মন্তব্য করুন
ভরাডুবির ভয়ে কিছু খুচরা পার্টি নির্বাচন চাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জনতার অধিকার পার্টির উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কিছু খুচরা পার্টি আছে, আমরা জানি- তারা নির্বাচনে আসলে তাদের কোন সম্ভাবনা নাই। নির্বাচনে যাদের ভরাডুবি হবে বলেই তারা নির্বাচন চায় না।
তারা অবৈধভাবে কিছু মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, সেগুলোকে নিজের সম্পত্তি মনে করে। আর আমরা বলেছি, এই সরকারকে সমর্থন করছি। অন্যান্য দল করছে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগস্ট মাসে আমাদেরকে শপথ নিতে হবে, নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
এই আন্দোলন সমাপ্তি হবে না। কারণ জবাবদিহিমূলক সরকার মানুষের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে। মানুষের কথা শুনতে বাধ্য এবং দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পায় ও আইন মতো চলে। আগামীতে গণমুখী রাজনৈতিক ব্যবস্থা যদি প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে নির্বাচিত সরকার অবশ্যই প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের, কারী আবু তাহের, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টার:
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বজনদের প্রার্থী দাঁড় করানোর বিষয়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের ফের নিরুৎসাহিত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। তারা আগে নির্বাচন করেছেন। কেউ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান। তাদের তো রাজনৈতিক জীবনী আছে। তাদেরকে মানা করি কী করে? “তবে এটা ঠিক, এক জায়গায় বউকে দিল, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না। কর্মীদের মূল্যায়ন করা উচিত। সেটাই নেতাকর্মীদেরকে বলতে চেয়েছি।”
দেশের মোট ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় এবার চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকিগুলোয় ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। প্রথমধাপের ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে ৮ মে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রার্থী হতে নিষেধ করেছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। দলীয় কোন্দল নিরসন এবং নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতেই এ সিদ্ধান্ত বলে আওয়ামী লীগের ভাষ্য।
বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবারো সেই বিষয়টি মনে করিয়ে দিলেন আওয়ামী লগী সভানেত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পারিবারিক ফর্মুলা কী? নিজের ছেলে মেয়ে স্ত্রী, এই তো। তারপর হিসাব করে দেখেন কয়জন ছেলেমেয়ে, কয়জন স্ত্রী দাঁড়িয়েছে। এর বাহিরে তো পরিবার ধরা হয় না। আমাদের কথা হচ্ছে নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, আমাদের লক্ষ্য।
“সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেব, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখব না, এটা হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। সবাই দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন করছে, সেটার লক্ষ্য হল নির্বাচনকে অর্থবহ করা।”
জাতীয় নির্বাচনের মত এবারের উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে বিএনপি ও সমমনারা। ক্ষমতাসীন দল স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ তৈরি করতে দলীয় প্রার্থী না দেওয়া এমনকি কাউকে সমর্থন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্য দলগুলোর নির্বাচন বর্জনের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। বর্জন করে কেন? নির্বাচন করার মত সক্ষমতাই নাই। পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হলে জাতিকে দেখাতে হবে যে পরবর্তী নেতৃত্ব কে আসবে, প্রধানমন্ত্রী কে হবে, নেতা কে হবে? একটা নেতা দেখাতে হবে।
“আপনার কাছে উপযুক্ত নেতা না থাকলে তখন তো আপনাকে ছুতা খুঁজতে হয়। নির্বাচন করলাম না, বিরাট ব্যাপার দেখালাম। বাস্তবতা সেটাই। আমাদের দেশে সেটাই হচ্ছে। কারণ সাধারণত আসামিকে দেখালে পাবলিক তো সেটা নিবে না।”
মন্তব্য করুন
কোনো বিশেষ দলকে ক্ষমতায় বসানোর উদ্দেশ্যে নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপণ করলে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য তা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীতে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক র্যালিতে অংশ নিয়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি করেন।
পার্থ বলেন, 'নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপণের কোনও সুযোগ নেই। কোনো দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য যদি বর্তমান সরকার পরিকল্পিত বিলম্ব করে, তাহলে ১৭ মিনিটেই সরকারের পতন ঘটবে।'
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা অর্জিত হলেও দেশের মানুষ এখনো মুক্তির স্বাদ পায়নি। তার মতে, ভালো মানুষ এবং সৎ নেতৃত্ব ছাড়া রাজনীতিতে কোনও সংস্কার সম্ভব নয়।
এ সময় তরুণ প্রজন্ম এবং শিক্ষিত মানুষদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে পার্থ বলেন, '১৭ বছর পর এবার স্বাধীনভাবে বিজয় দিবস পালনের সুযোগ এসেছে। এ সুযোগ আর নষ্ট হতে দেয়া যাবে না।'
পরে তার নেতৃত্বে একটি বিজয় র্যালি বের হয়। র্যালিটি বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনানী মাঠে গিয়ে গুলশান ডিসিসি মার্কেটে শেষ হয়।
সূত্র: ইত্তেফাক
মন্তব্য করুন
সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স-স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (রুনেসা) আয়োজিত ‘রক্তাক্ত মতিহার ও রিজভী আহমেদ: ২২ ডিসেম্বর ১৯৮৪ স্মরণে’ এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রিজভী বলেন, "সরকারের সংস্কারমূলক পদক্ষেপগুলো কেমন হবে, তা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না। তবে সাম্প্রতিক সাইবার সংশোধনের দৃষ্টিতে বোঝা যাচ্ছে, এর থেকে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা যাচ্ছে না।"
তিনি আরও বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা শঙ্কিত ও ভীত। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়, বরং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে ভয়। এর আগেও দেখা গেছে, জনগণের প্রতিবাদের মুখে কোনো সচিব বা মন্ত্রীর সংশ্লিষ্ট নথি গায়েব হয়ে যায় কিংবা সচিবালয়ে আগুন লাগে।"
রিজভী আহমেদ বলেন, "গতকাল (বুধবার) মধ্যরাতে সচিবালয়ে যে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, এতে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। ঘটনাটি জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। মাত্র কিছুক্ষণ আগেই সংবাদপত্রে প্রকাশ হয়েছিল, সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি চাওয়া হয়েছে। এরপরই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে জনমনে বিশাল প্রশ্ন উঠেছে।"
তিনি এই অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেন। তিনি বলেন, "শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠদের কিছু নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে নথিপত্র পুড়ে যাওয়া এবং ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এই ঘটনা মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে এবং সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে।"
রিজভী আরও বলেন, "রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। যদি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নির্ধারণ করে দেয়, তবে মানুষের আত্মত্যাগের কোনো মূল্য থাকবে না।"
ভারতের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। রিজভী বলেন, "গণতান্ত্রিক দেশ হয়েও ভারত কীভাবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছিল? শেখ হাসিনার মাধ্যমে ভারত তার নীতি বাংলাদেশে বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়েছে। তবে শেখ হাসিনার সময়কাল শেষে একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশকে বিশ্বের সবাই স্বীকৃতি দিলেও ভারত তা দেয়নি।"
তিনি বলেন, "বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোর আত্মত্যাগকে কখনো অস্বীকার করা যাবে না। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিকে দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছে কি না, তা নিয়েও জনগণের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে।"
মন্তব্য করুন
মতভেদ থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশ ও জনগণের স্বার্থে এক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জাতীয় কোনো ইস্যুতে বা গণতন্ত্রের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেন মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয় তিনি সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিজয় র্যালির আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বলতে চাই- বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ থাকবে। এসব মতভেদ দূর করতে আমাদের আলোচনা চলবে। জাতীয় কোনো ইস্যুতে, গণতন্ত্রের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেন মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়, সেই লক্ষ্যে জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। কারণ, আমি বিশ্বাস করি ধর্ম, দর্শন, মত যার যার, রাষ্ট্র আমাদের সবার।
এসময় দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে সবার সহযোগিতা ও সমর্থন চান তিনি।
গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকদের আরও সতর্ক ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নাগরিকদের কাছে আহ্বান রাখছি, নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, ফ্যাসিবাদের সময় আমরা নিরাপদ ছিলাম না। আমাদের সন্তানরা নিরাপদ ছিল না। আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পুরো বাংলাদেশকে বর্বর বন্দিশালা বানানো হয়েছিল। গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন না থাকায় এমন হয়েছিল।
গণতন্ত্র ও দেশের জনগণের সামনে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অপার সম্ভাবনা এবং সুযোগ এসেছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, চব্বিশের আন্দোলনের কারণে আসা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠা করা গেলে; জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারলে, ভবিষ্যতে আর কেউ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাবে না। দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে না। আর কোনো রক্তাক্ত চব্বিশ আমাদের দেখতে হবে না।
বিজয় মিছিল আয়োজন নিয়ে তারেক রহমান বলেন, পতিত ও পলাতক ফ্যাসিস্টের আমলে অন্ধকারের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। আজকের বিজয় মিছিল অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আলোর পথে যাত্রা।
মন্তব্য করুন
ঋণ বা টাকা ছাপিয়ে অর্থনীতি চালানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে টেকসই ও উচ্চপর্যায়ে নিতে হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই। বিনিয়োগই অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার একমাত্র টেকসই সমাধান।
আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বিদেশি বিনিয়োগকারী সম্মেলন ২০২৫ এর ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট: বিকাশ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেশনে তিনি এসব কথা বলেন। ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড এ সম্মেলন আয়োজন করে।
আমীর খসরু বলেন, নির্বাচনের খবর দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ায় উদ্যোক্তারা নতুন প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দেশি উদ্যোক্তার পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আজ আমরা তার প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি—জাপান থেকে বিশাল একটি ডেলিগেশন বাংলাদেশে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে এসেছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করা জরুরি। কারণ, পুঁজিবাজার ছাড়া অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের বিনিয়োগকারীদের পণ্য ব্র্যান্ডিং করতে হবে, টেকনিক্যাল ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিতে হবে এবং বিশ্ববাজারে সরাসরি পৌঁছে দিতে হবে। বিনিয়োগই অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার একমাত্র টেকসই সমাধান। ঋণ নেওয়া বা টাকা ছাপিয়ে অর্থনীতি চালানো স্থায়ী সমাধান নয়। এজন্য পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে হবে, কারণ দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য এর বিকল্প নেই।
এই বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশে যে সম্ভাবনা রয়েছে, সেটি কাজে লাগাতে বিদেশি অংশীদারত্ব অত্যন্ত জরুরি। সামাজিক খাত ও অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের ব্যয় বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশি মূলধন প্রবাহ অর্থনীতিকে নতুন গতি দেবে। আগামীদিনের বাংলাদেশের জন্য বিনিয়োগ ও পুঁজিবাজারকে উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।
সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নিয়েছেন।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল জানিয়েছে, এ ধরনের আয়োজন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরবে এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা ড. এম মাসরুর রিয়াজ। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. সাইফউদ্দিন, কনটেক্সচুয়াল ইনভেস্টমেন্ট এলএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকাও হিরোসে এবং এশিয়া ফ্রন্টিয়ার ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের ফান্ড ম্যানেজার রুচির দেশাই। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আনুপাতিক হারে নির্বাচনের প্রশ্নই ওঠে না। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকাস্থ ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না বিএনপি। এছাড়া, বিএনপি আনুপাতিক হারে নির্বাচনের ব্যবস্থার পক্ষে নয়।
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিগত ১৭ বছরের সব গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। তিনি আরও বলেন, দেশে কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা বা নিষিদ্ধ হবে কিনা, তা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।
এছাড়া, ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
মন্তব্য করুন
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার (১৬ জুন) যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক দীর্ঘ সময়। বিচার চলমান প্রক্রিয়া।
সংস্কার হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। সেটা হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি লাগবে না।
আমীর খসরু বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাবে। মানুষ ২০ বছর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।
তরুণরা ভোট দিতে পারেনি। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে অচিরেই দেশের মানুষ ভোটের অধিকার ফিরে পাবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খুব বকবক করছেন, বেশি কথা বলছেন, মনে হচ্ছে বিএনপির জন্য উনার খুব মায়াকান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। মুরগির বাচ্চার জন্য চিল যেমন মায়াকান্না করে ওবায়দুল কাদেরের কান্নাও সে রকম।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে 'দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল, সহ সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলসহ সব রাজবন্দির মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে' এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, তিনি (ওবায়দুল কাদের) মাঝে মাঝে আওয়াজ দেন বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে, বিএনপি ক্লান্ত, হতাশ, বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা যে ভেতর থেকে ধ্বসে গেছে, ভেঙে গেছে- এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, জনগণের সঙ্গে বারবার বিশ্বাসঘাতকতা করা। জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নেওয়া। এ কারণে তাদের (আওয়ামী লীগ) জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক, কয়েকজন ঋণ খেলাপি, কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের লোক আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। এরা তো গণশত্রু, যারা বাজার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়ায়, যারা ব্যাংক লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করে। তাদের সঙ্গে তো দেশের জনগণ থাকে না। এই সরকারের সঙ্গে জনগণের সমর্থন নাই। জনগণের সমর্থন পাবে না বলে তারা এখন ফাঁকা বুলি মারে।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সরকার আবার একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায় সেজন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর তো ২০ থেকে ২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছেন। তারা যদি ভোটে দাঁড়াতে পারেন তাহলে আমরা বাদ যাব কেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ অর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ।
মন্তব্য করুন