বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের আদালতে মুখোমুখি করার উদ্যোগ নিতে হবে৷ এই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে।
শুক্রবার (২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এবি পার্টির উদ্যোগে দলটির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানায়।
তারেক রহমান জানান, দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে৷ তারপরেও সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কেনো এতো সময়ক্ষেপণ করছেন? এ নিয়ে জনগণের মনে ধীরে ধীরে প্রশ্ন বেড়েই চলেছে৷ রাজনৈতিক দলগুলোকে অবজ্ঞা এবং জনগণের রায়কে অবহেলা করে রাজনীতিকরণকে উৎসাহিত করা হলে সেটি শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে৷ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের আদালতে মুখোমুখি করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে৷ এই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানায়, রাষ্ট্র ও রাজনীতি মেরামতের জন্য সংস্কারের কর্মযজ্ঞ চলছে। চলমান সংস্কার যদি রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে অবজ্ঞা করতে হয়; তাহলে সংস্কারের তাৎপর্যটা কি? এটি আজ বহু মানুষের প্রশ্ন৷
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তারেক রহমান জানান, আমাদের দলীয় আর্দশ ভিন্ন হলেও আমাদের উদ্দেশ্যে যেহেতু দেশের স্বার্থ রক্ষা এবং জনগণের কল্যাণ সাধন। লাখো প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের স্বাধীন বাংলাদেশ, ‘৭৫-এর ৭ নভেম্বরে আধিপত্যবিরোধী তাবেদারমুক্ত বাংলাদেশ, ‘৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী বাংলাদেশ এবং ২০২৪-এর ফ্যাসিবাদবিরোধী বাংলাদেশ৷ দেশের ইতিহাসে এমন প্রতিটি বাঁকে মানুষ কেনো অকাতরে জীবন দিয়েছিলেন? কি ছিল এই শহীদদের স্বপ্ন? শহীদদের স্বপ্ন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবল তাদের আত্মত্যাদের প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা আমরা করতে পারি।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘৭১ আর ২৪-এর রাজনৈতিক বার্তাটি হলো- দিল্লির তাবেদার হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে পিন্ডি ত্যাগ করেনি। ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বরে দেশের সিপাহী জনতা এই বার্তাটি দিয়েছিলেন।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারী চৌধুরী, বাংলাদেশ খেলাফত মসজিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, অন্তবর্তী সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কারের পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিলেও আশানুরূপ চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আয়োজনে ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের স্মৃতিচারণ’ প্রেরণার গণঅভ্যুত্থান-২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারদের কাছে গেলে এবং আহতদের পাশে গেলে তারা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বলে, জামায়াতে ইসলামী তাদের জন্য যেই ভূমিকা রেখেছে অন্য কোন দল এমনকি রাষ্ট্রও তা করেনি, করতে পারেনি।
জামায়াত আমির বলেন, এই আন্দোলনের বীরদের জামায়াতে ইসলামী দলীয় সম্পদ বানাতে চায় না। জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে আন্দোলনের শহীদ ও আহত সকল বীর আমাদের জাতীয় সম্পদ।
দলটির আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথম কাজ হবে শিক্ষিত জাতি গঠন করা। যে জাতি যতবেশি শিক্ষিত সেই জাতি ততবেশি উন্নত। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। বিগত সরকারের তৈরি শিক্ষানীতিতে কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী তৈরী হয়েছে। যেই শিক্ষা মানুষকে মানবিক ও আদর্শবান করে না, সেটি কখনো শিক্ষা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে জাতি জানতে পারছে, শেখ হাসিনা তিন বাহিনীর প্রধানদের গণভবনে ডেকে নিদের্শ দিয়েছে যত মানুষ মারার দরকার হয় মারতে। তুব তার ক্ষমতার গদি লাগবে, রাখতে হবে। মানুষ যখন মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলে তখনই এমন অমানবিক কথা বলতে পারে, নিদের্শ দিতে পারে। এক ব্যক্তি বা এক দলের ক্ষমতায় অতিতের সব সরকারকে হিংস্র করে তুলেছে। তারা ক্ষমতার লিপ্সায় মানুষ হত্যা করেছে। জামায়াতে ইসলামী এক ব্যক্তি বা এক দলের ক্ষমতায় বিশ্বাসী নয়। জামায়াতে ইসলামী গণতন্ত্রকামী সব দলের সমন্বয়ে সরকার গঠন করতে চায়। যেখানে একক কোন ব্যক্তি বা দলের ক্ষমতা ও প্রভাব থাকবে না। এমন একটি সরকার গঠন হলে জাতি সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে। একজন নাগরিক তার প্রাপ্য মর্যাদা ও অধিকার পাবে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের চিকিৎসা সহয়তা এবং শহীদদের পরিবারকে আর্থিক দুই লাখ টাকা করে সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী কিছুটা দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছে। শহীদ পরিবারদের সঙ্গে পূর্বে মতবিনিময় করে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা আমরা জানতে পেরেছি। আজ আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের স্মৃতিচারণের মাধ্যমে তাদের আগামী দিনে আশা-আকাঙ্ক্ষা জেনে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর এই আয়োজন।
অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন নিজ ঘরের বেডরুমে গুলিবিদ্ধ দুই বছর বয়সী রাফসানের মা, প্লাম্বার মিস্ত্রি আল-আমীন, জাফরুল হাসান, অটোরিকশা চালক আল-আমীন, লাশ গোসল দানকারী জামাল হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম, মো. মাহবুব, মো. মেহেদী হাসান শুভ, বেলাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, পরিবহন শ্রমিক নুরে আলম, মহি উদ্দিন রাব্বি, নাহিদ হাসান, নারী শ্রমিক পারভীন, মো. আশরাফুল ইসলাম, দোকান কর্মচারী মো. ইউসুফ, টাইলস মিস্ত্রি শাহ আলম, মো. শিফায়েত হোসেন আসিফ, আল-আমীন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. আবু তাহের, বনশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আ. ন. ম সামিত, এশিয়ান প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শারমিন রহমান, খিলগাঁও উত্তর এলাকার মো. নেছার উদ্দিন নাঈম প্রমুখ।
স্মৃতিচারণকালে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোন কিছু পাওয়ার আশায় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করিনি, আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করে নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু যাদের নেতৃত্বে ও আহ্বানে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি তারা আন্দোলন পরবর্তী শহীদ পরিবার ও আহতের থেকে দূরে সরে গেছে।
কেন আহতদের চিকিৎসা না করে ঢাকা মেডিকেল কতৃপক্ষ ফ্যাসিবাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে সে বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি প্রশ্ন রেখে তারা বলেন, আহতরা মারা গেলে বলা হয় আগামীকাল তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে নেয়া হতো! মরার আগে কেন বিদেশে নেয়া হয় না? বক্তারা গণহত্যার অপরাধে খুনি হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির ও এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারী যথাক্রমে মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, মোহাম্মদ কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান, শামসুর রহমান সহ মহানগরীর নেতৃবৃন্দ ও সাংগঠনিক ইউনিটের দায়িত্বশীলসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সচিবালয়ের ভেতরে ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে আছে, যারা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। এ কারণেই কি তাদের সরানো হচ্ছে না?
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র, সংস্কার ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ ধরনের প্রশ্ন তোলেন।
মির্জা আব্বাস দাবি করেন, সচিবালয়ের ভেতরে চারজন ও বাইরে একজনসহ মোট পাঁচজন সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা এবং উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্য প্রধান উপদেষ্টাকে সঠিক পথে চলতে দেবে না। এ কারণে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে। বিএনপিই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত দল। যদি ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশ আবারও ভারতীয় আধিপত্যের কবলে পড়বে।"
তিনি আরও যোগ করেন, মতপার্থক্য থাকলেও জাতীয় স্বার্থে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও অন্যান্য দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "বিপরীত শক্তি আমাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিছু ইউটিউবার দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চাইছে।"
মির্জা আব্বাস বলেন, "বিএনপি সংস্কার ও নির্বাচন—দুটিই চায়। তবে অপ্রয়োজনীয় সংস্কার থেকে দূরে থাকতে হবে, যা বিপদ ডেকে আনতে পারে। নির্বাচন নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে, যা মোটেও কাম্য নয়।"
তিনি জোর দিয়ে বলেন, "প্রশাসনে বিএনপির কোনো লোক নেই। বরং আওয়ামী লীগের দালালরাই সেখানে সুবিধা পাচ্ছে। এনসিপিও তাদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে।" কয়েকজন সচিবের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগের দালালদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে।"
শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, "আপনার আশেপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা আছে। তারা আপনাকে ভুল পথে নিয়ে যেতে পারে। সাবধান থাকুন।"
মন্তব্য করুন
বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সেইফ এক্সিট চাইলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেইফ এক্সিট কারা নেবে জনগণই তা নির্ধারণ করবে।
শনিবার (১৩ মে) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদ মিনারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন। বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা আমাদের বন্ধু। তারা পরামর্শ দিতে পারে, ক্ষমতায় বসাতে পারে না। ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ।
নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতার পরিবর্তন সম্ভব উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি, জনগণ যদি আপনাদের (বিএনপি) চায়, আপনারা ক্ষমতায় যান। জনগণ না চাইলে আমরা সেইফ এক্সিট নেব। দ্যাট উইল বি ডিসাইডেড ইন আওয়ার জেনারেল ইলেকশন। তার আগে নয়। ওইটা ডিসাইড করার ক্ষমতা আর কারও নাই, ক্ষমতা আছে জনগণের।
নির্বাচন সবার জন্য সেইফ এক্সিট উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা (বিএনপি) যদি ক্ষমতায় আসতে চান, পরিবর্তন চান, নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচনে যদি আসতে চান, তাহলে বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেইভাবে নির্বাচন হবে। যাদের কাছে নালিশ করেন, তাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক আছে?
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেবের সেইফ এক্সিট দরকার। যেভাবে লাঠিসোঁটা নিয়ে নেমেছেন। আবারও অগ্নিসন্ত্রাসের আভাস দিচ্ছেন। এটা ভালো নয়। এর পরিণাম শুভ হবে না। আমরা এক্সিট করব না। আমরা ফাইটার। ফাইট করে এসেছি। বন্দুকের নল আমাদের ক্ষমতার উৎস নয়। আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইতিহাসে ষড়যন্ত্র নেই।
মন্তব্য করুন
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের ফেলে পরিবারের লোকদের নিয়ে পালিয়ে যান ভারতে। ক্ষমতায় থাকাকালে যেসব কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন তাদেরকে দলের দু:সময়ে পাশে পাননি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
চরম দুঃসময়ে যেসব নেতা দলীয় কর্মীদের পাশে ছিলেন না তাদের মধ্যে অন্যতম আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গণঅভ্যুত্থানের দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও তিনি টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করেননি। ছিলেন আড়ালে। অথচ আগে প্রায় প্রতিদিনিই বিরোধী দলকে নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতেন তিনি।
সম্প্রতি ওবায়দুল কাদের মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়ালের এক্সিকিউটিভ এডিটর অমল সরকারকে দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের এক সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, জনতার ক্ষোভ থেকে বাঁচতে তিনি স্ত্রীসহ এক বাথরুমে ৫ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন। ৫ আগস্টের পর কতদিন দেশে ছিলেন এবং পরে কীভাবে পালিয়েছেন সেটিও বেরিয়ে এসেছে ওই সাক্ষাৎকারে।
ওই ভিডিওতে ওবায়দুল কাদের ৫ আগস্টের উত্তাল দিনের কথা জানিয়ে বলেন, ‘সংসদ এলাকার আমার নিজের বাসাকে এড়িয়ে পার্শ্ববর্তী আরেকটা বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। তখন চারদিক থেকে মিছিল আসছিল। এটা আসলে ছিল প্রধানমন্ত্রীর (সাবেক) গণভবন কেন্দ্রিক। আমি যে বাসাটায় ছিলাম, তারা সে বাসাতেও হামলা করে। তারা জানত না, যে সেখানে আমি আছি।
ওবায়দুল কাদেরের ভাষ্য, ‘আমি আমার স্ত্রীসহ বাথরুমে লুকিয়ে ছিলাম। অনেকক্ষণ ছিলাম, প্রায় ৫ ঘণ্টা। তারপর একটা পর্যায়ে তারা বাথরুমে ভেতরেও কমোড-বেসিন এগুলো ‘লুটপাট’ করেছে। আমার স্ত্রী তখন বাথরুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বারবার বলছিলেন যে আমি অসুস্থ, যাতে করে তাদের প্রবেশ ঠেকানো যায়। কিন্তু তারা জোরপূর্বক ভেতরে ঢোকার হুমকি দিতে থাকে, বাথরুমে কী আছে তা লুট করতে চায়। এই অবস্থায় আমার স্ত্রী আমাকে জিজ্ঞাসা করে, কী করব? আমি বললাম, দরজা খুলে দাও।’
ওবায়দুল কাদেরের ভাষায়, ‘এরপর ৭-৮ জন যুবক ভেতরে ঢোকে, এবং তারা অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে আচরণ করতে থাকে। হঠাৎ তারা আমার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘নেত্রী তো চলে গেলেন, আপনি যাননি কেন?’ আমি তখন কিছু বলতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু এর মাঝেই তারা আচরণ পাল্টে ফেলে। কেউ একজন বলে, ‘আপনার ছবি তুলব’, তারপর শুরু হয় ছবি তোলা, কেউ কেউ সেলফিও নেয়। ধারণা করি, এদের মধ্যে অনেকেই আমাকে চিনতো।’
তিনি জানান, ঠিক কী কারণে প্রথমে তাদের মধ্যে এত আক্রমণাত্মক মনোভাব ছিল, আর কেন হঠাৎ করে সেই আচরণ শীতল হয়ে গেল- তা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি। আচমকাই তারা ঠান্ডা মাথায় কথা বলা শুরু করে। তাদের মধ্যেই একটা গ্রুপ তখন চাইছিল তাকে রাস্তায় নামিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে, আবার কেউ কেউ চেয়েছিল জনতার হাতে তুলে দিতে। এই পরিস্থিতি তার মনে গভীর চাপ ও মানসিক ভাঙন সৃষ্টি করে। এরপর তারা তাকে একটি শার্ট, লাল পতাকাসংবলিত ব্যাজ এবং মুখে কালো মাস্ক পরিয়ে সংসদ এলাকা থেকে গণভবন অভিমুখী বড় রাস্তায় হাঁটিয়ে নিয়ে যায়। হঠাৎ কোথা থেকে একটি খালি ট্যাক্সি বা ইজি বাইক এসে হাজির হয়- সেই মুহূর্তে রাস্তায় কোনো গাড়ি ছিল না। তিনি মনে করেন, এটি হয়তো তার ভাগ্যের বিষয় ছিল।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বৈরাচার হাসিনার অন্যতম এই সহযোগী বলেন, তাদের মধ্যে দু’জন তাকে ও তার স্ত্রীকে সেই গাড়িতে তোলে এবং পথে যেতে যেতে চারপাশের চেকপোস্ট ও লোকজনকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘চাচা-চাচি অসুস্থ, হাসপাতালে নিচ্ছি, বিরক্ত করবেন না।’ এইভাবেই তারা তাকে অনেক দূরের একটি জায়গায় নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ভাবতেও পারিনি যে যারা কয়েক মিনিট আগে বাথরুমে জোর করে ঢুকেছিল, তারাই আমাদের এভাবে রক্ষা করবে। সেদিন বেঁচে যাওয়া ছিল একেবারে অপ্রত্যাশিত। এটা ছিল পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও পরবর্তী তিনমাস দেশেই ছিলেন ওবায়দুল কাদের। ফন্দি আঁটছিলেন দেশের শ্রমিক অসন্তোষ ও বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর জন্য নির্বাচন বন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। দিনের পর দিন আমরা অনির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ চালাতে দিতে পারি না।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাগপা আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংস্কার নিয়ে কমিশন কাজ করছে ভালো কথা। সংস্কার নতুন কোন ধারণা নয়। সংস্কার নিয়ে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু দেশে যে অস্থিরতা চলছে তা অনেকটা কমে যাবে যদি নির্বাচিত সরকার থাকে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে বিএনপি। আর জুলাই বিপ্লবে স্বতস্ফুর্ত অংশ নিয়েছে দলটি। আওয়ামী লীগ যতোবারই ক্ষমতায় এসেছে ততোবারই ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। গুম খুন, বিনা বিচারে হত্যা এটা আওয়ামী লীগের আমলেই হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ট। কিন্তু সরকার এ নিয়ে কিছু করছে না। জনগণের সমস্যা খুঁজে বের না করে অনেকে রাজনীতিবিদদের দোষ খোঁজে বেড়াচ্ছে। বর্তমান সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন রয়েছে। বর্তমান সরকার সফল হোক, এটাই চায় বিএনপি।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করেছেন যে, নির্বাচন বিলম্বিত হলে আওয়ামী লীগের নিজেদের স্বার্থে তৈরি করা দেশের ভঙ্গুর গণতান্ত্রিক কাঠামো আরও গভীর সংকটে পড়বে।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাব্যবস্থা, কৃষকদের সমস্যা, ব্যবসার চ্যালেঞ্জ এবং বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব—এমন সব ব্যাপক সমস্যা সমাধান করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা এক বার্তায় তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
সন্ধ্যা ৬টা ১৬ মিনিটে শেয়ার করা ওই এক্স-বার্তায় তিনি বলেন, "জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত এবং গঠিত একটি সরকারই কেবল এই জাতির পুনর্গঠন বা সংস্কার শুরু করতে পারবে। জনগণের পছন্দের প্রতিনিধিদের সম্মান জানানো হবে এবং সেই প্রতিনিধিরা জনগণের সেবা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।"
"গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার ও জনগণ—উভয় পক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য," উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, "এবং উভয়ের সক্রিয় অংশগ্রহণই নিশ্চিত করবে যে, বাংলাদেশে সমতা, অন্তর্ভুক্তি এবং সর্বজনীন উন্নয়ন সম্ভব।"
তিনি আরও বলেন, "তাই এখনই সময় জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার করার এবং একটি উন্নত, শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ার পথে অগ্রসর হওয়ার।
মন্তব্য করুন
আগামী ১৩ জুন লন্ডনের একটি হোটেলে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৯ জুন) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপির নেতারা জানান, বৈঠকটি মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন। দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনসংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাবনা ইতোমধ্যেই তারেক রহমানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়।
এদিকে চার দিনের সরকারি সফরে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি ও তার সফরসঙ্গীরা যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হন।
এই সফরে ড. ইউনূসের সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন। সফরটি ঘিরে রয়েছে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক নানা তাৎপর্য।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, সফরের অংশ হিসেবে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ড. ইউনূস। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের কাছ থেকে ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন।
প্রেস সচিব আরও জানায়, লন্ডনে যাত্রার আগে ঢাকায় ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। ওই বৈঠকে সফরের বিভিন্ন দিক ছাড়াও আলোচনায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী। সফরকালে বৈঠক হবে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয় নিয়েও।
চার দিনের এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের আশাও প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে বিএনপির বর্ধিত সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষের অনেক আশা ছিল, ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পর, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পলায়নের পর, দেশে পরিবর্তন আসবে। জনগণের ভোটাধিকার দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া হবে, তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এবং তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সে লক্ষ্যে আমরা সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাচ্ছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, বিএনপিকে গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য কত বড় ত্যাগের মধ্য দিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। ক্রমান্বয়ে শিক্ষাঙ্গনগুলো, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকছে না। অবিভক্ত বাংলায় যেসব বরেণ্য বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, বিশেষ করে পূর্ব বাংলায় জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিত্বদের নাম কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত ও বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি মহল বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে। বাইরে থেকেও এ ধরনের চেষ্টা চলছে। দেশের অভ্যন্তর থেকেও কিছু গোষ্ঠী ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
বিএনপির বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মন্তব্য করুন
রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জানায়, ‘আমরা আবারও বলছি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট এই সংকট দূর করবার একটিমাত্র পথ তা হচ্ছে, অতি দ্রুত নির্বাচনের একটি রোড ম্যাপ ঘোষণা করা। এখানে অন্য কথা বলে লাভ নেই।’
বৃহস্পতিবার (২২ মে) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব ভার্চুয়ালি গণমাধ্যমকে একথা বলেন।
ফখরুল জানায়, সংস্কারের যে বিষয়টা আছে সেটা চলমান প্রক্রিয়া। এটাও প্রপোজ করবে যারা জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে আছে তারা অতিদ্রুত যেগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত্য হয়েছে সেগুলো তারা ঘোষণা করবেন। যেসব বিষয়ে ঐক্যমত্য করে সনদ তৈরি করবেন। সুতরাং এটা নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করা কিংবা এটা নিয়ে টানাহেঁচড়া করা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে। সেই কারণে জনগণের প্রত্যাশা যে, অতিদ্রুত একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং চলমান যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো যেগুলোতে ঐক্যমত্য হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন। আর যেসব সংস্কার প্রস্তাবে ঐক্যমত্য হবে না সেগুলো সনদের ভেতরে নিয়ে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে রাখবেন।’
প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানো ইস্যুতে বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে রায় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব জানান, বিচার বিভাগের উচ্চ আদালত তারা আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যেটা হওয়া উচিত সেই ধরণের রায় তারা দিয়েছেন। এই রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে।’
ইশরাক হোসেনের শপথ দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায় তিনি।
গত ১৪ মে চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য বিএনপি মহাসচিব ব্যাংকক যান। পরদিন ব্যাংকক রুটনিন আই হসপিটালে তার বাম চোখে সফল অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে আছেন চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আনুপাতিক হারে নির্বাচনের প্রশ্নই ওঠে না। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকাস্থ ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না বিএনপি। এছাড়া, বিএনপি আনুপাতিক হারে নির্বাচনের ব্যবস্থার পক্ষে নয়।
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিগত ১৭ বছরের সব গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। তিনি আরও বলেন, দেশে কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা বা নিষিদ্ধ হবে কিনা, তা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।
এছাড়া, ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
মন্তব্য করুন