বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নবীন সৈনিকদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের সীমানা রক্ষায় তোমরা প্রয়োজনে জীবন দেবে, তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হতে দেবে না। সীমান্তে প্রতিপক্ষের কাছে কোনো অবস্থাতেই পিঠ প্রদর্শন করবে না।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার ও কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
নবীন সৈনিকদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে প্রতিপক্ষের কাছে কোনো অবস্থাতেই পিঠ প্রদর্শন না করার জন্য আমি তোমাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। দেশ মাতৃকার রক্ষায় তোমরা প্রয়োজনে জীবন দেবে, তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হতে দেবে না।বিজিবির নবীনদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সীমানা রক্ষায় প্রয়োজনে জীবন দেবে, ‘এক ইঞ্চি মাটি’ হাতছাড়া করবে নাতিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করতে চাই যে, তোমরা আমাদের হতাশ ও নিরাশ করবে না। জেনে রাখবা, তোমাদের দেওয়া নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাই দেশের মানুষের নির্বিঘ্ন ঘুম নিশ্চিত করবে। তোমরাই হবে আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক।
তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে সুপরিচিত এ বাহিনী বাংলাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষা এবং সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের মহান দায়িত্ব অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সফলতার সঙ্গে পালন করে আসছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সৈনিকরা আজ তোমরা যে তেজোদ্দীপ্ত কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেছো তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এটা সম্ভব হয়েছে কেবল তোমাদের কঠোর প্রশিক্ষণ, নিরলস প্রচেষ্টা, আন্তরিকতা ও অদম্য আগ্রহের জন্য। মনে রাখবা, বৃহত্তর কর্মজীবনে কাজের ব্যাপ্তি ও পরিধি আরও বিস্তৃত হবে। তোমরা যখন সীমান্তে নিয়োজিত থাকবে তখন তোমাদের সততা, নিষ্ঠা ও পেশাগত দক্ষতার ওপরই নির্ভর করবে এ বাহিনীর ভাবমূর্তি ও গৌরব।বিজিবির নবীনদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সীমানা রক্ষায় প্রয়োজনে জীবন দেবে, ‘এক ইঞ্চি মাটি’ হাতছাড়া করবে নাএসময় অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১০২তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ গত ৩০ জুলাই বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে (বিজিটিসিঅ্যান্ডসি) শুরু হয়। প্রশিক্ষণ ভেন্যুতে সর্বমোট ৬৯৫ জন রিক্রুটের মধ্যে ৬৪৯ জন পুরুষ এবং ৪৬ জন নারী রিক্রুট মৌলিক প্রশিক্ষণ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে।
দীর্ঘ ২৩ সপ্তাহের অত্যন্ত কঠোর ও কষ্টসাধ্য এ প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করে আজ আনুষ্ঠানিক শপথগ্রহণ ও সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে তাদের সৈনিক জীবনের সূচনা হলো।
মন্তব্য করুন
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ৭০০ জন এখনও পলাতক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে জরুরি সেবা (হটলাইন) উদ্বোধন উপলক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, "৭০০ জনের মতো বন্দি কারাগার থেকে বের হয়ে গেছে, তবে তারা এখনও ধরা পড়েনি। যারা ছিল, তারা এখন কারাগারে রয়েছে।"
একই সময়, তিনি চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "ছিনতাই ও চাঁদাবাজি অস্বীকার করছি না, তবে যারা এসব করছে, তারা ধরা পড়ছে। আবার, যারা পালিয়ে যাচ্ছে, তারা এসব কাজ করছে, যা সত্যি কথা। আমরা চেষ্টা করছি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি কমিয়ে আনার জন্য।"
পুলিশের স্বল্পতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "পুলিশের সংখ্যা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, তবে আগের মতো কাজের উদ্যম নেই। তাদের উদ্যম বাড়ানোর জন্য আমরা সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছি।"
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জামিনে বেরিয়ে আসা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, "তাদের দ্রুত ধরা হয়ে আইনের আওতায় আনা হবে।"
৫ আগস্টের পর অনেক দাগী আসামিকে ক্ষমা করা হয়েছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, "সাধারণ ক্ষমায় কেউ বের হয়নি, তারা জামিনে বের হয়েছে।"
এছাড়া, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এখন থেকে ০৯৬১২০২১৬৯০ নম্বরের মাধ্যমে বন্দিদের অবস্থান, প্যারোলে মুক্তি, শারীরিক অবস্থা, হাজিরা, সাক্ষাৎকার ও কথা বলার তারিখের তথ্য পাওয়া যাবে। বন্দির স্বজনরা এই নম্বরে ফোন করে সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের জরুরি সেবা সার্ভিসে নিয়োগ দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলামের সোনালি যুগে বিশ্বসভ্যতা, বিজ্ঞান, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, রসায়ন, গণিত, চিকিৎসা, জ্যোতির্বিদ্যা ও ভূগোল শাস্ত্রের বিভিন্ন শাখায় মুসলমানদের অবদান এক গৌরবময় ঐতিহ্যের ইতিহাস গড়ে তুলেছিল। মুসলমানরা শৌর্য-বীর্য, জ্ঞানবিজ্ঞান ও সাহিত্য-সংস্কৃতিতে শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে। সেই গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী মুসলমানরা কেন পিছিয়ে পড়ল তা আমাদের বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের মধ্যে কলহ, একে অপরের প্রতি সৌহার্দ্য এবং শ্রদ্ধার অভাব, জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চায় পিছিয়ে পড়াসহ নানা কারণে আজ মুসলমানরা পিছিয়ে পড়েছে। এই সম্মান ফিরে পেতে মুসলমানদের আবার শিক্ষা-গবেষণায় বিনিয়োগ করতে হবে এবং বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়ন করতে হবে। আজ মুসলিমদের দখলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদকে বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজে লাগিয়ে আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক যুগে দুঃখজনকভাবে মুসলিম বিশ্বে মাত্র তিনটি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী গবেষণা ও উন্নয়নে তাদের অপর্যাপ্ত অবদানকে প্রতিফলিত করে। এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে মুসলমানদের আরও প্রচেষ্টার প্রয়োজন, যাতে তারা বেশি করে অবদান রাখতে পারেন। বিশেষ করে যখন বিশ্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং অন্যান্য প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন নিবন্ধন ছাড়া দলগুলোই ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
তিনি বলেন, ৫২টি দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। আর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় না কারা বলি, যেসব দলের নিবন্ধন হয় নাই, যাদের জন্ম ৫ আগস্টের পর। এরা ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
ডিসেম্বর বলছে বিএনপির পক্ষ থেকে। আমি বলছি কেন ডিসেম্বর, কেন সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে নির্বাচন নয়? কোন কাজটা বাকি আমি তো দেখতেছি না।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই একটি দেশের মূল শক্তি। দেশ গড়তে সবাইকে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। বিএনপি সরকার গঠন করলে তা হবে জবাবদিহিমূলক সরকার।
নির্বাচনের সময়সীমা প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্রের পথ কেউ যদি রুদ্ধ করতে চায়, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া কেউ যদি বাধাগ্রস্ত করতে চায়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের রুখে দেওয়া হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে নির্বাচন।
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর দ্বারা কী অর্থ বহন করে এমন প্রশ্ন রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মন্তব্য করুন
পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিরা কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকবেন। পুরো ময়দান সিসি ক্যামেরার আওতায় এনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তিন পর্বের ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় ৬ হাজার পুলিশসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
বুধবার দুপুরে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের পাশে স্থাপিত জিএমপির কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, এবারের ইজতেমা ভিন্ন রকমের, কারণ গত আন্দোলনে পুলিশের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র হারিয়ে গেছে এবং দেশের বিভিন্ন জেলখানা থেকে অস্ত্র লুট হয়েছে। সেসব এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এবার পুরো ইজতেমা ময়দান ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের পাশাপাশি ইজতেমা আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ময়দানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।
তিনি জানান, ইজতেমা ময়দানে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ময়দানের চারপাশে পোশাকধারী, সাদা পোশাকে, ড্রোন ভিউ, সিআইডি, ডিবি, সিসিটিভি মনিটরিং, নাইটভিশন ক্যামেরা, রুফটপ পর্যবেক্ষণ, ওয়াচ টাওয়ারসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম রনি, উপ-পুলিশ কমিশনার এনএম নাসিরুদ্দিন, সিটি এসবির উপ-পুলিশ কমিশনার আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজুল ইসলাম, সহকারি উপ-পুলিশ কমিশনার (টঙ্গী জোন) মেহেদি হাসান দিপু, ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি মাহফুজ হান্নান, মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন, সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দ্বিতীয় ইন্টেরিম রিপোর্ট জমা দিয়েছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন।
বুধবার বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশন প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদন গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘গুম সংক্রান্ত প্রতিবেদন ওয়েবসাইট ও বই আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি ঘিরে শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিকভাবেও আগ্রহ রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, “কী ভয়াবহ একেকটি ঘটনা! আমাদের সমাজের ‘ভদ্রলোকেরা’, আমাদেরই আত্মীয়-পরিজনরা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আপনারা যা যা কিছু পেয়েছেন তার ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত। গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। এই ধরনের বন্দিশালা কেমন হয়, তিন ফিট বাই তিন ফিট খুপড়ির মধ্যে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আটকে থাকার যে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত।”
সদস্যদের মধ্যে নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন এবং নাবিলা ইদ্রিস উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
এ সময় ড. ইউনূস কমিশন সদস্যদের কাছে প্রতিবেদনের আশু করণীয়গুলো চিহ্নিত করে কোনটি কোন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পড়ছে- তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশনা দেন, যাতে করে সরকার স্বল্পসময়ের মধ্যে কাজগুলো শুরু করতে পারে।
একজন কমিশন সদস্য প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘ঘটনাগুলো এতটাই ভয়াবহ যে জড়িত অনেক কর্মকর্তা ও অন্যরাও অনুশোচনায় ভোগেন। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আত্মশুদ্ধির একটা প্রচেষ্টা হিসেবে। দুজন অফিসার লিখিতভাবে এর থেকে পরিত্রাণ চেয়ে চিঠিও লিখেছিলেন। চিঠিগুলো গণভবনে পাওয়া গেছে। তৎকালীন সেনাপ্রধান জনসম্মুখে এই চিঠির কথা স্বীকারও করেছেন।’
কমিশন সদস্যরা জানায়, কমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ এসেছে এবং তারমধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে।
কমিশন সদস্যরা আরও জানায়, অভিযোগের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তিন শতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানান তারা।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার যাতে অন্তত ব্যাংক হিসাবে লেনদেন করতে পারে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান কমিশন
প্রধান।
মঈনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিদ্যমান আইনে কেউ সাত বছর নিখোঁজ থাকলে তাকে মৃত বলে ধরে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আইন সংশোধন করে এটিকে পাঁচ বছর করার সুপারিশ করেন তিনি।
অতিদ্রুত যাতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া যায়, সে বিষয়ে করণীয় জানাতে কমিশনকে পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
কমিশন সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা ভয়-ভীতি, নানান রকম হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছেন। এদেশের মানুষের জন্য আপনারা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। ভবিষ্যতে যারা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করবে আপনারা তাদের অনুপ্রেরণা।’
মন্তব্য করুন
ফিটনেসবিহীন বাসের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তাকে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে পরিদর্শন শেষে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, গত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় সাত হাজার মানুষ নিহত এবং ১২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। অনেক দুর্ঘটনার জন্য ফিটনেসবিহীন যানবাহন দায়ী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এসব ফিটনেসবিহীন যানবাহন কীভাবে সড়কে চলাচল করছে এবং কেন বিআরটিএ এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের যানবাহনের কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফাওজুল কবির খান বলেন, “বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষার সময় মালিকদের নির্দিষ্ট সময়ের আগে ফোন বা মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। মেসেজে লেখা থাকবে— ‘আপনার গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষার সময় হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফিটনেস পরীক্ষা করুন।’ যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফিটনেস পরীক্ষা না করা হয়, তাহলে সেই যানবাহনের রুট পারমিট বাতিল করা হবে।”
গণপরিবহন চালকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, “চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি, চালকরা মাদকাসক্ত কি না তা নিয়মিত পরীক্ষা করা হবে। সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, যা কমানো সম্ভব হচ্ছে না। এটি আমাদের ব্যর্থতা।”
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের আর্থিক সহায়তা দ্রুত নিশ্চিত করতে বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আহত ও নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার কাজ ধীরগতিতে চলছে। এটি দ্রুত করতে হবে।”
বিআরটিএতে প্রায় সাড়ে চার লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স আটকে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন এই লাইসেন্সগুলো দ্রুত বিতরণ করা হয়। আশা করা হচ্ছে, আগামী মার্চের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।”
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইস্যুতে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
রোববার (২০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
বৈঠকে শেখ হাসিনা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হয় প্রণয় ভার্মার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচনা হয়নি। কীভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়া যায়। আমরা মূলত আলোচনা করেছি কীভাবে আমরা কাজগুলো এগিয়ে নিতে পারি।
সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে এ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
সচিবের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে প্রণয় ভার্মা বলেন, এটি নিয়মিত বৈঠক ছিল। আমাদের সম্পর্ক নিয়ে নিয়মিত বৈঠকের অংশ। আমরা দুই দেশের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সম্পর্ক দুই দেশের মানুষের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে। ভারত বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল, বাংলাদেশ ভারতের ওপর নির্ভরশীল, পারস্পরিক নির্ভরশীলতার সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়া দরকার।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ পরামর্শক সভা নিয়ে হাইকমিশনার জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এফওসি করতে চাই।
মন্তব্য করুন
সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চালানো প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “ডেভিল যতদিন শেষ না হবে, ততদিন পর্যন্ত অপারেশন চলবে।”
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের নতুন মৃত্তিকা ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, “গাজীপুরে যারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের টার্গেট করে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলবে।”
গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নড়েচড়ে বসে। এরপরই ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান শুরু করা হয়। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই যৌথ বাহিনী সাড়াশি অভিযান শুরু করে এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টহল জোরদার করা হয়।
ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের অপরাধ দেশবাসীর জানা রয়েছে।”
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক অন্তবর্তীকালীন সরকাকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখবেননা। বরং আপনাদের যে দায়িত্ব রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার গুলোর জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। আগামী নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর চৌমুহনী রেলস্টেশনে নোয়াখালী খেলাফত মজলিসের গণ সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আগস্টের বিপ্লব প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে আগস্টের বিপ্লব ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে। আগে দেশ বাঁচান, দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখুন। আগস্টের বিপ্লব ব্যর্থ হলে কোনো বাংলাদেশী বাংলাদেশে থাকতে পারবেনা। তাই সকলে মিলে স্বৈরাচারী মাফিয়া হাসিনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার না হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জবাবদিহিতা করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দল গুলোকে এক সাথ হয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।
মামুনুল হক বলেন, সব জায়গায় ষড়যন্ত্রের জাল উঠছে। তাই এখনো গোটা বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এখনো আমাদের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ ও প্রতিযোগিতার সময় তৈরী হয়নি।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউছুফ আশরাফ, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির খুরশিদ আলম কাশেম,যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হুসাইন মিয়াজী প্রমূখ।
মন্তব্য করুন
আসন্ন ঈদুল ফিতরে বাসের টিকিট অগ্রিম বিক্রি শুরু হবে আগামী ১৪ মার্চ থেকে। অগ্রিম হিসেবে ২৫ মার্চ থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত মোট ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করা হবে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ বাস-ট্রাক মালিক সমিতির ঈদ সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ বিষয়ে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ জানান, ১৪ মার্চ থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এই দিন থেকে একযোগে অনলাইন এবং কাউন্টার থেকে বাসের টিকিট পাওয়া যাবে। তবে এবার অনেক পরিবহন কোম্পানি পুরোপুরি অনলাইনে টিকিট বিক্রি করবে। ফলে যাত্রীরা দুইভাবে টিকিট কিনতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে বাড়তি কোনো ভাড়া নেয়া যাবে না। সব মালিকদের এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং তারা বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী টিকিট বিক্রি করবেন।
এছাড়া, ঈদের সময় যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে মালিক সমিতির মনিটরিং টিম টার্মিনালে অবস্থান করবে। বিশেষ করে নাইট কোচের নিরাপত্তার জন্য ভিডিও রেকর্ডিংসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তারপর গাড়ি ছাড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন