

ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচ্যুইটি সুবিধা নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির মতে, চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কোনো প্রভিডেন্ড ফান্ড সৃষ্টির প্রয়োজন নেই। পাবেন না গ্রাচ্যুইটি সুবিধাও। কারণ এই দুই সুবিধা নিতে অনিয়মের আশ্রয় নিচ্ছেন ব্যাংকাররা।
সোমবার (১৫ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা, সুশাসন এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এবং অধস্তন অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে বয়সসীমার অসমতা দূরীকরণার্থে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত কর্মীর বয়সসীমা ৬৫ (পঁয়ষট্টি) বছর নির্ধারণ করা হয়।
ওই সার্কুলারের মাধ্যমে বেসরকারি ব্যাংকের নিয়মিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অবসর গ্রহণের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য অবসর গ্রহণের বয়সসীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বীয় ব্যাংকের অবসর গ্রহণের বয়স সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করবে মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে, কতিপয় ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিয়মিত চাকরির মেয়াদ সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের মধ্য থেকে কোনো কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তির ক্ষেত্রে তাদের নিয়মিত চাকরিকালীন জমা করার আগের প্রভিডেন্ড ফান্ডের ওপর সুদ হিসাবায়ন অব্যাহত রাখা হয়েছে। তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক সময়কেও নিয়মিত চাকরির সময়ের সঙ্গে যোগ করে সর্বমোট চাকরির মেয়াদ গণনাপূর্বক তার ভিত্তিতে প্রাপ্ত সর্বশেষ বেতনের অর্থকে ভিত্তি ধরে গ্রাচ্যুইটি বাবদ অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে; যা বিধি অনুযায়ী কোনোভাবেই প্রাপ্য নয়।
এই প্রেক্ষাপটে ব্যাংক খাতে অধিকতর শৃঙ্খলা এবং সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যাংকে কর্মরত নিয়মিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের নিয়মিত চাকরিকাল সমাপ্ত করার পর ব্যাংকের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তির ক্ষেত্রে প্রভিডেন্ড ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটি বাবদ প্রাপ্যতা নির্ধারণে এখন থেকে নিম্নোক্ত নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
(ক) ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়মিত চাকরিকাল সমাপ্ত হওয়ার পর চূড়ান্ত অবসরের সময় বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণপূর্বক প্রভিডেন্ড ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রাপ্য অর্থ সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে।
(খ) চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য কোনো প্রভিডেন্ড ফান্ড সৃষ্টির প্রয়োজন নেই এবং তারা এরূপ সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।
(গ) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী নতুন করে কোনো গ্র্যাচুইটি সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।
ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
মন্তব্য করুন


চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২ কেজির প্রতি সিলিন্ডারের দাম ১৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চলতি মাসে ১২ কেজির প্রতি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৪৭৮ টাকা, যা আগে ছিল ১,৪৫৯ টাকা।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নতুন এ মূল্য ঘোষণা করে। এই নতুন মূল্য আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
এছাড়া, প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বৃদ্ধি করে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, গত মাসের শুরুতে জানুয়ারি মাসের জন্য এলপি গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১,৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
গত মাসের শুরুতে জানুয়ারি মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম ৩ পয়সা কমানো হয়েছিল, যা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা। তবে গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দাম ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পয়সা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এরপর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমানো হয় এবং নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।
মন্তব্য করুন


দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি যথাক্রমে ১৪ টাকা ও ১২ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে ভোজ্যতেলের আমদানি, সরবরাহ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, "বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১২ টাকা বৃদ্ধি করে ১৬৯ টাকা করা হয়েছে।"
এছাড়া, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯২২ টাকা এবং খোলা পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এই দাম আজ থেকেই কার্যকর হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও জানান, বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাড়াতে ইতিমধ্যে দুটি তেল কোম্পানি উৎপাদন শুরু করেছে। শিগগিরই আরও ৬-৭টি কোম্পানি তেল উৎপাদনে যুক্ত হবে।
এর আগে, ১৩ এপ্রিল রাতে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত না আসায় সেদিন দাম পরিবর্তন কার্যকর হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
সারা দেশের বাজারে চলমান সংকটের মধ্যেই সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ তথ্য জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি জানান, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে আট টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে আট টাকা বাড়িয়ে ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে সরবরাহ সংকট হয়েছে। এর ফলে দেশে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা মজুতদারি করছে, সেই তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি কিনবে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুর ২টার দিকে ক্রয় কমিটির বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন।
অতিরিক্ত সচিব জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১২ হাজার ৫০০ (+৫%) মেট্রিক টন চিনি Accentuate Technology Inc., USA (Local Agent: OMC Ltd., Dhaka-এর কাছ থেকে কেনা হবে। এই সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটিতে ৯টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৪টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি প্রস্তাব রয়েছে। অনুমোদিত ৯টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৪৮৭ কোটি ৯৬ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৬ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১৩৮ কোটি ৩৬ লাখ ৭৪ হাজার ৫০৬ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও বৈদেশিক ঋণ ১ হাজার ৩৪৯ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৮০ টাকা।
মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুর ২টার সময় ক্রয় কমিটির বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন।
অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো হচ্ছে
প্রস্তাবনা- ১ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১২ হাজার ৫০০ (+৫%) মেট্রিক টন চিনি Accentuate Technology Inc., USA (Local Agent: OMC Ltd., Dhaka)-এর নিকট থেকে ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ২ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ‘বাংলাদেশের ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োজিত Joint Venture of (১) Ranhill; (২) Farhat এবং (৩) DDC-কে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১১ কোটি ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৫৬ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ৩ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড-এর জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন (+১০%) ফসফরিক এসিড মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, ইউএই (স্থানীয় এজেন্ট: মেসার্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনপুট, ঢাকা) হতে ৬০ কোটি ৯৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ৪ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের নিকট থেকে ১৭তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১২০ কোটি ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৭৫০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ৫ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক SABIC Agri-nutrients Company, সৌদি আরব থেকে ২২তম লটে ৩০ হাজার মে.টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১০৬ কোটি ২৫ লাখ ১৩ হাজার ১৮০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ৬ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় MA’ADEN, সৌদিআরব হতে ৩য় লটে ৪০ হাজার মে.টন ডিএপি সার ২২৯ কোটি ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ৭ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর OCP, S.A হতে ২য় লটে ৩০ হাজার মে.টন টিএসপি সার ১২৬ কোটি ৫৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬৫০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ৮ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর OCP, S.A হতে ৩য় লটে ৪০ হাজার মে.টন ডিএপি সার ২৩৩ কোটি ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ২০০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ৯ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় Canadian Commercial Corporation হতে ৪র্থ লটে ৫০ হাজার মে.টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার ২২৫ কোটি ২৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


দেড় মাসের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা নিশ্চিত করেছেন যে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে এই অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
এর আগে, ৬ নভেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলারে ছিল, তবে ধীরে ধীরে তা কমে গিয়ে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ডলারপ্রতি ১২০ টাকার মান নির্ধারণ এবং বাজারের চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় রেখে রিজার্ভ ১৯ থেকে ২০ বিলিয়নের মধ্যে স্থিতিশীল ছিল।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করে দেয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমদানি বৃদ্ধির কারণে ডলারের দাম বাড়তে থাকে। ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে ১২৭.৭০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, যা ব্যাংকগুলোকে নতুন এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলার সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আমদানিতে ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক ১০ শতাংশ। একই সময়ে রেমিট্যান্স ৩০ শতাংশ এবং রপ্তানি ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই ইতিবাচক প্রবণতা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন


ভোজ্যতেলের (সয়াবিন তেল) বাজারে কয়েকদিন ধরে চলা ‘অস্থির’ অবস্থার মধ্যেই বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন এবং পাম তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন এবং পাম তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে কত বাড়ানো হয়েছে তা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হবে।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয়ের অজুহাতে ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে তোড়জোড় শুরু করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্যবসায়ীরা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি থাকলেও বাংলাদেশে তার প্রভাব সব সময় উল্টোভাবে পড়ে। এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমছে না, বরং দিন দিন বাড়ছে।
মন্তব্য করুন


মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাব আসতে পারে আসন্ন বাজেটে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া পণ্যটির দাম কমানোর উদ্দেশ্য নিয়ে এ প্রস্তাব আসতে পারে।
এই পণ্যের উৎসে গড় অগ্রিম আয়কর ৫- ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হতে পারে আসছে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে। কারণ, গড়ে ৫-৭ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দেশের মাংস উৎপাদন ও সরবরাহকারী ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করছে।
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মাংস ও মাংসজাত পণ্যের ওপর অগ্রিম আয়কর কমানোসহ এই পণ্য নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মাংস ও মাংসজাত পণ্যের ওপর অগ্রিম আয়কর কমানোর প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
• আরও পড়ুন : বিদেশ ভ্রমণে গুণতে হবে বাড়তি কর
সে কারণে বাজেটে মাংসের অগ্রিম কর কমানোর প্রস্তাবনা আসতে পারে। এনবিআর এবং অর্থ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের মানুষের আমিষের ঘাটতি মেটানোর জন্য অবশ্যই এ পণ্যকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি অবশ্যই বিবেচনায় আনা দরকার।
তারা বলেন, গরুর মাংস মুসলমানের অনেক পছন্দের খাবার। কয়েক বছরের মধ্যে এ পণ্যের দাম কয়েক বছরের মধ্যে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০০ টাকা হয়েছে। মাংসের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এতে দেশের মানুষ আমিষের ঘাটতিতে পড়বে।
বিভিন্ন সূত্রে আরও জানা যায়, বাংলাদেশের গরুর মাংস যেখানে প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, সেখানে পাকিস্তানে গরুর মাংসের দাম বর্তমানে ৬০০ রুপি যা বাংলাদেশের টাকায় ২৩০ টাকার সমান। অন্যদিকে ভারতে প্রতি কেজি মাংসের দাম ১৭৫ রুপি যা বাংলদেশি টাকায় হয় ২২৪ টাকার মতো। ভারতের কলকাতাতে ১৭৫ রুপি থেকে ১৮০ রুপির মধ্যে গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে। ভারতে গরুর মাংসের দাম অন্যান্য দেশ থেকে অনেকটা কম।
কর্মকর্তারা আরও বলছেন, অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে মূল্যস্ফীতিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর চিঠিতে বলা হয়েছে মাংস উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ১০-১২ শতাংশ গ্রস মার্জিন দিয়ে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ফলে মাংস ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ নিট লাভ মার্জিন ১-৩ শতাংশের বেশি হওয়া সম্ভব হয় না। আয়কর অধ্যাদেশ অনুসারে মাংস ও মাংসজাত পণ্য সরবরাহের ওপর সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ পর্যন্ত উৎসে কর কর্তন করা হয়ে থাকে; যা এই খাতের নীট মার্জিনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
• আরও পড়ুন : সাড়া দেয়নি কোনো পাচারকারীই, দেশে ফেরেনি এক পয়সাও
আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর বিধি-১৬ এর ৫২ ধারার টেবিল-২- এ চাল, ডাল, গম, ময়দা, চিনি, তেল, আলু, খেজুর, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, পাট, সুতাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন আরোপিত রয়েছে। মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে একই শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী। মন্ত্রীর ওই প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে এনবিআর।
এর আগে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক-কর কমানোর দাবি করেছিল। সংস্থাটি বলেছে, শুল্ক-কর কমানো হলে নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষেরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন। বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। এ কারণে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। তাই আগামী বাজেটে আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি। সিপিডির পক্ষ থেকে আমদানি করা ২৮টি পণ্যের একটি তালিকাও এনবিআরকে দেওয়া হয়েছে।
সিপিডি যেসব পণ্যের শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব করেছিল তার মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন ধরনের হিমায়িত পশুর মাংস (গরু, মহিষ, ভেড়া ইত্যাদি), মুরগি, মাছ (রুই, কাতলা, পাঙাশ, কার্প ইত্যাদি), ইলিশ, বিভিন্ন ধরনের দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন, খেজুর, দারুচিনি, গোলমরিচ (পিপার), ধনিয়া, আদা, হলুদ, ভুট্টা, চাল, পাম তেল ও লবণ।
অন্যদিকে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির বিবেচনায় সরকার পোল্ট্রি ও মৎস্য শিল্পের কর ছাড় প্রত্যাহারেও উদ্যোগ নিয়েছে। এনবিআরের মতে হাঁস-মুরগি ও মাছ এখন আমদানি হয় না। তাই বিদেশি উৎপাদকদের সঙ্গে কোনো প্রতিযোগিতা নেই। এই দুটি খাতে কর অব্যাহতির প্রয়োজন নেই। বরং আমদানিতে কর ছাড় প্রত্যাহার হলে স্থানীয় শিল্পগুলো নিজেদের মানের উন্নয়ন ঘটাতে বাধ্য হবে বলে মনে করে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
মন্তব্য করুন


আর্থিক প্রতিবেদনে বড় ধরনের অসংগতি থাকায় পার্কওয়ে প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং পিএলসির কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার (কিউআইও) আবেদন বাতিল করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে বিএসইসি।
তৈরি পোশাক খাতের কোম্পানি পার্কওয়ে প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং পিএলসি ডিবিএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এটি তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য সুতা তৈরি করে। এটি ২০০৮ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। বর্তমানে দিনে ৩৫ হাজার পিস কার্টুন সুতা উৎপাদন করে।
কোম্পানি এর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এসএমই প্ল্যাটফর্ম থেকে কিউআইওর মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্য পদ্ধতিতে পাঁচ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন করেছিল। কোম্পানিটি কার্যকরী মূলধন এবং কিউআইওর খরচ মেটাতে তহবিল ব্যবহার করতে চেয়েছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোম্পানির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, চলতি বছরের জুনের পরে আবার কিউআইওর জন্য আবেদন করতে চান।
বিএসইসির তথ্যমতে, পার্কওয়ে প্যাকেজিং ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ের জন্য আর্থিক বিবৃতি জমা দিয়ে কিউআইও এর জন্য আবেদন করেছিল, তাও কোনো ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (DVS) নম্বর ছাড়াই। শুধু তাই নয়, আর্থিক প্রতিবেদনও যাচাই না করেই। তাই আবেদনে সম্মতি দেয়নি।
এছাড়া বিএসইসি দেখতে পেয়েছে যে, পার্কওয়ে প্যাকেজিং ব্যাংক থেকে ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকার ঋণ নিয়ে তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছে ৩২ কোটি ৯ লাখ টাকা। এতে ব্যাংকে কোম্পানির মোট ৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা নগদ রয়েছে।
কোম্পানির তথ্যমতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত বছরে কোম্পানির গ্রস প্রফিট ১৪ দশমিক ২৩ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। এতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মুনাফা অতিরিক্ত দেখিয়েছে। পাশাপাশি কমিশনের পর্যবেক্ষণে এসে যে, তিন বছরে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৪৫ লাখ টাকা থেকে অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে ৬০ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। তারপরও কোম্পানিটি তার সম্পদ, ইক্যুইটি, অবমূল্যায়ন-অবমূল্যায়ন এবং প্রশাসনিক ব্যয়কে অতিমূল্যায়িত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এমআই/এমজেইউ
মন্তব্য করুন


পাকিস্তান থেকে সরকারি উদ্যোগে আমদানি করা ২৬ হাজার ২৫০ টন চালের প্রথম চালান নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে জাহাজটি বন্দরের কনটেইনার টার্মিনালে নোঙর করে। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে রাতেই চাল খালাস শুরু হবে।
এটি স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে সরাসরি বাণিজ্য চুক্তির আওতায় সম্পন্ন হলো। দুই দেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে এই চাল আমদানি করা হয়েছে। খাদ্য বিভাগের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল আমদানির জন্য গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় সরকারি পর্যায়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
খাদ্য অধিদপ্তর এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তানের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। জিটুজি ভিত্তিতে এই আমদানির জন্য ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তানের চেয়ারম্যান সৈয়দ রাফিও বশির শাহ এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল খালেক সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এই চুক্তির আওতায় চালের প্রথম চালান নিয়ে আসা জাহাজটি গত ৪ মার্চ রাত ২টায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। এরপর বুধবার দুপুর ২টায় জাহাজটি বন্দরের সিসিটি-১ টার্মিনালে নোঙর করে।
মন্তব্য করুন