

দেশে চলতি আগস্ট মাসের ১২ দিনে (১ থেকে ১২ আগস্ট) এক বিলিয়ন ডলারের (১০৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার) বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। স্থানীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১২ হাজার ৮৫৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগস্ট মাসের ১২ দিনে ১০৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ে (২০২৪ সালের আগস্টের প্রথম ১২ দিন) দেশে এসেছিল ৭২ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। এ হিসাবে চলতি বছর আলোচ্য সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা ৪ হাজার ৬৩ কোটি টাকা বেশি এসেছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে আসে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। তবে জুলাই মাসে ৮টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি খাতে কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক এবং বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরের রেকর্ড পরিমাণ। পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের তুলনায় যা ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই মাসে আসে ১৯১ দশমিক ৩৭ কোটি ডলার, আগস্টে ২২২ দশমিক ১৩ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে আসে ২৪০ দশমিক ৪১ কোটি ডলার। পরবর্তী মাস অক্টোরে আসে ২৩৯ দশমিক ৫০ কোটি ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। এরপর জানুয়ারি মাসে আসে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চ মাসে আসে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার এবং জুনে আসে ২৮২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
মন্তব্য করুন


দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি যথাক্রমে ১৪ টাকা ও ১২ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে ভোজ্যতেলের আমদানি, সরবরাহ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, "বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১২ টাকা বৃদ্ধি করে ১৬৯ টাকা করা হয়েছে।"
এছাড়া, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯২২ টাকা এবং খোলা পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এই দাম আজ থেকেই কার্যকর হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও জানান, বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাড়াতে ইতিমধ্যে দুটি তেল কোম্পানি উৎপাদন শুরু করেছে। শিগগিরই আরও ৬-৭টি কোম্পানি তেল উৎপাদনে যুক্ত হবে।
এর আগে, ১৩ এপ্রিল রাতে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত না আসায় সেদিন দাম পরিবর্তন কার্যকর হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন


ভোজ্যতেলের (সয়াবিন তেল) বাজারে কয়েকদিন ধরে চলা ‘অস্থির’ অবস্থার মধ্যেই বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন এবং পাম তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন এবং পাম তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে কত বাড়ানো হয়েছে তা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হবে।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয়ের অজুহাতে ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে তোড়জোড় শুরু করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্যবসায়ীরা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি থাকলেও বাংলাদেশে তার প্রভাব সব সময় উল্টোভাবে পড়ে। এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমছে না, বরং দিন দিন বাড়ছে।
মন্তব্য করুন


অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্বজুড়ে ছাঁটাই অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে গত বছরের শুরু থেকে চাকরি হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। প্রাথমিকভাবে আর্থিক মন্দার প্রভাব পড়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। কিন্তু ধীরে ধীরে তা অন্য খাতেও ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন সংস্থার বিশ্ববাজারের মন্দার প্রভাবের গ্রাস করেছে ভারতকেও। এবার ভারতে বহু কর্মী ছাঁটাই করল অ্যামাজন। ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক ছাঁটাইয়ের বিষয়ে ঘোষণা করেছে ই-কমার্স কোম্পানিটি।
বছরের শুরু থেকেই অ্যামাজনের কর্মীরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারতসহ সারা পৃথিবীতে অ্যামাজন কয়েক হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। যদিও এখনো কোম্পানির পক্ষ থেকে ঠিক কতজন ভারতীয় কর্মীর ওপর প্রভাব পড়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।
অ্যামাজন সূত্রে খবর, ভারতে প্রায় ৫০০ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এই টেক কোম্পানি ওয়েব সার্ভিস, হিউম্যান রিসোর্স এবং সাপোর্টসহ বিভিন্ন টিমের কয়েক হাজার কর্মীকে চলতি বছরে ছাঁটাই করেছে।
গত জানুয়ারি মাসেই ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছিল অ্যামাজন। আর সেই ছাঁটাইয়ের তালিকায় ভারতের অনেক কর্মী রয়েছেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কোম্পানির সিইও অ্যান্ডি জেসি। সেক্ষেত্রে পূর্বাভাস ছিল, অ্যামাজন ভারতে প্রযুক্তি, হিউম্যান রিসোর্সসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রায় ১০০০ কর্মীকে বরখাস্ত করতে পারে।
বছরের শুরুতে সিইও ছাঁটাই হওয়া প্রত্যেক কর্মীদের একাধিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্যাকেজের মাধ্যমে চাকরি হারানো কর্মীদের বেতন, বিমা এবং বাহ্যিক চাকরির সহায়তা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে প্রথমবার কর্মী ছাঁটাই হয় অ্যামাজনে। সেই সময় এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছিলেন প্রায় ১০ হাজার কর্মী। এরপর ডিসেম্বর মাসে ও ২০২৩ সালের প্রথম দিকে আরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করা হবে বলে অ্যামাজনের পক্ষ থেকে জানানা হয়েছিল।
শুধু অ্যামাজনই নয়, বিশ্বজুড়ে চলতে থাকা আর্থিক মন্দার প্রভাব পড়ছে অনেক নামি কোম্পানিতে। ফেসবুক থেকে টুইটার, মাইক্রোসফট থেকে মেটার মতো একাধিক বহুজাতিক কোম্পানি ছিল ছাঁটাইয়ের তালিকায়। প্রাথমিকভাবে কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছিল টুইটার। এরপর ছাঁটাইয়ের ট্রেন্ড শুধু তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বিভিন্ন খাতের কর্মীদের চাকরিতেও এর প্রভাব পড়েছে।
মন্তব্য করুন


চলতি বছরের এপ্রিলে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রায় ২ কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে সরকার। প্রতিষ্ঠাটির কাছ থেকে ২০২২ সালের এপ্রিলের তুলনায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা কম রাজস্ব পেয়েছে সরকার। ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, এপ্রিলে পুঁজিবাজারে মোট ১৮ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এই ১৮ দিনের মধ্যে ১২ কর্মদিবস উত্থান আর ৬ কর্মদিবস বাজারে পতন হয়েছে। সব মিলিয়ে মাসটিতে ১৮ লাখ ৭০ হাজার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) ধারী বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার ২৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৪ টাকার শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড কেনা-বেচা করেছেন। সেখান থেকে কর বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ১৭ হাজার ৮০৭ টাকা।
এর আগের বছর ২০২২ সালে এপ্রিল মাসে ১২ হাজার ১০৫ কোটি ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৬১২ টাকার শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছিল। সেখান থেকে ২১ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৯৯ টাকা রাজস্ব আয় অর্থাৎ ১ কোটি ৮০ লাখ ১৬ হাজার ৪৯২ টাকা রাজস্ব কমেছে। লেনদেন কম হওয়ায় সরকার পুঁজিবাজার থেকে রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।
তবে এর মধ্যে ভালো খবরও রয়েছে। সেটি হলো- চলতি বছরের মার্চের মাসের তুলনায় এপ্রিলে লেনদেন বেড়েছে। আর লেনদেন বাড়ায় মার্চের তুলনায় ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার রাজস্ব বেশি পেয়েছে সরকার।
চলতি মার্চে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯ হাজার ৪০৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুায়ল ফান্ডের ইউনিটের। সেখান থেকে লেনদেনের ওপর কমিশন বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৫২ লাখ ৭৮ হাজার ২৯২ টাকা।
আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, দুই ধরনের শেয়ার কেনাবেচা থেকে সরকার রাজস্ব আয় করে। প্রথমটি হলো- কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার কেনাবেচা থেকে রাজস্ব আয়। দ্বিতীয়টি হলো- বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনাবেচায় ব্রোকারেজ হাউজের ওপর আরোপিত কর।
ডিএসইর তথ্য মতে, দুই ধরনের করের মধ্যে প্রথমটি হলো- ৫৩ বিধি ধারা, এই ধারায় ডিএসইর স্টেক হোল্ডারদের অর্থাৎ ব্রোকার হাউজের প্রতিনিধিদের লেনদেনের ওপর দশমিক ০৫ শতাংশ কর। এ খাত থেকে এপ্রিলে রাজস্ব আয় হয়েছে ১০ কোটি ৩২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৫৩ টাকা। যা এর আগের বছরের একই মাসে ছিল ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৯২ হাজার ৫১৭ টাকা।
অন্যদিকে, বিএসইসি রুলস ৫৩-এম অনুসারে, স্পন্সর শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার কেনাবেচা বাবদ লেনদেন ও শেয়ার হস্তান্তর থেকে ৫ শতাংশ হারে কর বাবদ রাজস্ব আয় হয়েছে ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৪৪ হাজার ৪৫৪ টাকা। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ৯ কোটি ৪২ লাখ ৪১ হাজার ৭৮২ টাকা।
সব মিলিয়ে ডিএসই থেকে এপ্রিল মাসে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ১৭ হাজার ৮০৭ টাকা। ডিএসই এই টাকা সরকারের কোষাগার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) জমা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন


জুন মাসজুড়ে দেশে ২৮২ কোটি ১২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুনের ৩০ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬২ কোটি ৮১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। পাশাপাশি এই সময়ে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪০ কোটি ৬২ লাখ এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭৮ কোটি ৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।
তবে বিদায়ী জুনজুড়ে ৮টি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংক ছাড়াও একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৪টি বেসরকারি ও ২টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে।
এই ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি, বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক পিএলসি।
এছাড়াও বিদায়ী জুনে বিদেশি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমেও দেশে কোনো রেমিট্যান্স পাঠায়নি প্রবাসীরা।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসে বৈধ পথে ৩৩০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। সবশেষ গত এপ্রিলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।
তবে সেই রেকর্ড গত মে মাসে ভেঙেছে। বিদায়ী মাসটিতে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন


ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচ্যুইটি সুবিধা নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির মতে, চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কোনো প্রভিডেন্ড ফান্ড সৃষ্টির প্রয়োজন নেই। পাবেন না গ্রাচ্যুইটি সুবিধাও। কারণ এই দুই সুবিধা নিতে অনিয়মের আশ্রয় নিচ্ছেন ব্যাংকাররা।
সোমবার (১৫ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা, সুশাসন এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এবং অধস্তন অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে বয়সসীমার অসমতা দূরীকরণার্থে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত কর্মীর বয়সসীমা ৬৫ (পঁয়ষট্টি) বছর নির্ধারণ করা হয়।
ওই সার্কুলারের মাধ্যমে বেসরকারি ব্যাংকের নিয়মিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অবসর গ্রহণের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য অবসর গ্রহণের বয়সসীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বীয় ব্যাংকের অবসর গ্রহণের বয়স সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করবে মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে, কতিপয় ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিয়মিত চাকরির মেয়াদ সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের মধ্য থেকে কোনো কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তির ক্ষেত্রে তাদের নিয়মিত চাকরিকালীন জমা করার আগের প্রভিডেন্ড ফান্ডের ওপর সুদ হিসাবায়ন অব্যাহত রাখা হয়েছে। তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক সময়কেও নিয়মিত চাকরির সময়ের সঙ্গে যোগ করে সর্বমোট চাকরির মেয়াদ গণনাপূর্বক তার ভিত্তিতে প্রাপ্ত সর্বশেষ বেতনের অর্থকে ভিত্তি ধরে গ্রাচ্যুইটি বাবদ অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে; যা বিধি অনুযায়ী কোনোভাবেই প্রাপ্য নয়।
এই প্রেক্ষাপটে ব্যাংক খাতে অধিকতর শৃঙ্খলা এবং সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যাংকে কর্মরত নিয়মিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের নিয়মিত চাকরিকাল সমাপ্ত করার পর ব্যাংকের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তির ক্ষেত্রে প্রভিডেন্ড ফান্ড এবং গ্রাচ্যুইটি বাবদ প্রাপ্যতা নির্ধারণে এখন থেকে নিম্নোক্ত নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
(ক) ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়মিত চাকরিকাল সমাপ্ত হওয়ার পর চূড়ান্ত অবসরের সময় বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণপূর্বক প্রভিডেন্ড ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রাপ্য অর্থ সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে।
(খ) চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য কোনো প্রভিডেন্ড ফান্ড সৃষ্টির প্রয়োজন নেই এবং তারা এরূপ সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।
(গ) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী নতুন করে কোনো গ্র্যাচুইটি সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।
ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
মন্তব্য করুন


সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটিতে ৯টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৪টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি প্রস্তাব রয়েছে। অনুমোদিত ৯টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৪৮৭ কোটি ৯৬ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৬ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১৩৮ কোটি ৩৬ লাখ ৭৪ হাজার ৫০৬ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও বৈদেশিক ঋণ ১ হাজার ৩৪৯ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৮০ টাকা।
মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুর ২টার সময় ক্রয় কমিটির বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন।
অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো হচ্ছে
প্রস্তাবনা- ১ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১২ হাজার ৫০০ (+৫%) মেট্রিক টন চিনি Accentuate Technology Inc., USA (Local Agent: OMC Ltd., Dhaka)-এর নিকট থেকে ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ২ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ‘বাংলাদেশের ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োজিত Joint Venture of (১) Ranhill; (২) Farhat এবং (৩) DDC-কে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১১ কোটি ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৫৬ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ৩ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড-এর জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন (+১০%) ফসফরিক এসিড মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, ইউএই (স্থানীয় এজেন্ট: মেসার্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনপুট, ঢাকা) হতে ৬০ কোটি ৯৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ৪ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের নিকট থেকে ১৭তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১২০ কোটি ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৭৫০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ৫ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক SABIC Agri-nutrients Company, সৌদি আরব থেকে ২২তম লটে ৩০ হাজার মে.টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১০৬ কোটি ২৫ লাখ ১৩ হাজার ১৮০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ৬ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় MA’ADEN, সৌদিআরব হতে ৩য় লটে ৪০ হাজার মে.টন ডিএপি সার ২২৯ কোটি ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ৭ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর OCP, S.A হতে ২য় লটে ৩০ হাজার মে.টন টিএসপি সার ১২৬ কোটি ৫৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬৫০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ৮ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর OCP, S.A হতে ৩য় লটে ৪০ হাজার মে.টন ডিএপি সার ২৩৩ কোটি ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ২০০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা- ৯ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় Canadian Commercial Corporation হতে ৪র্থ লটে ৫০ হাজার মে.টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার ২২৫ কোটি ২৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। এ ধারা অব্যাহত রয়েছে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসেও। নভেম্বরের প্রথম ২৩ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিভিন্ন দেশ থেকে ১৭২ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এটি দেশের মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) প্রায় ২০ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের ২৩ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৭২ কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ৯০০ কোটি টাকার বেশি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নভেম্বরের ২৩ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৬৪ কোটি ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে এসেছে ৯৫ কোটি ১৩ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
এ সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকগুলোর সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
এর আগে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। পরবর্তী মাস আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং অক্টোবরের ২৪০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।
গত অর্থবছরের জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগে মে মাসে এসেছিল ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার প্রবাসী বাংলাদেশিরা পাঠিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে, যার পরিমাণ ছিল ২৬০ কোটি ডলার। বছরভিত্তিক হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে, যেখানে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার।
মন্তব্য করুন


দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, এখন দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানান।
গত রোববার দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে ছাড়িয়েছিল ২৬ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভ ৩১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে ছিল ২৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার।
আরিফ হোসেন খান জানায়, আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী আজ দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৬৬ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ১৬৮ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এক হাজার ৮০০ কোটি ডলারের বেশি।
মন্তব্য করুন


যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ২০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার জন্য সরকারের সব মহল থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সে আলোচনা এখনো চলমান। চূড়ান্ত চুক্তির আগে সেটা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, আশা করছি শুল্ক কমতে পারে। তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কারণ যারা আরোপ করেছেন (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের ওপর বিষয়টি বেশি নির্ভর করে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তির কোনো তারিখ এখনো পাওয়া যায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের হার ২০ শতাংশের ঘোষণা এলেও দেশটির সঙ্গে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। চুক্তি এ মাসের শেষে হতে পারে। চুক্তির খসড়া তৈরির কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর)।
মন্তব্য করুন