

অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্বজুড়ে ছাঁটাই অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে গত বছরের শুরু থেকে চাকরি হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। প্রাথমিকভাবে আর্থিক মন্দার প্রভাব পড়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। কিন্তু ধীরে ধীরে তা অন্য খাতেও ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন সংস্থার বিশ্ববাজারের মন্দার প্রভাবের গ্রাস করেছে ভারতকেও। এবার ভারতে বহু কর্মী ছাঁটাই করল অ্যামাজন। ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক ছাঁটাইয়ের বিষয়ে ঘোষণা করেছে ই-কমার্স কোম্পানিটি।
বছরের শুরু থেকেই অ্যামাজনের কর্মীরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারতসহ সারা পৃথিবীতে অ্যামাজন কয়েক হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। যদিও এখনো কোম্পানির পক্ষ থেকে ঠিক কতজন ভারতীয় কর্মীর ওপর প্রভাব পড়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।
অ্যামাজন সূত্রে খবর, ভারতে প্রায় ৫০০ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এই টেক কোম্পানি ওয়েব সার্ভিস, হিউম্যান রিসোর্স এবং সাপোর্টসহ বিভিন্ন টিমের কয়েক হাজার কর্মীকে চলতি বছরে ছাঁটাই করেছে।
গত জানুয়ারি মাসেই ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছিল অ্যামাজন। আর সেই ছাঁটাইয়ের তালিকায় ভারতের অনেক কর্মী রয়েছেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কোম্পানির সিইও অ্যান্ডি জেসি। সেক্ষেত্রে পূর্বাভাস ছিল, অ্যামাজন ভারতে প্রযুক্তি, হিউম্যান রিসোর্সসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রায় ১০০০ কর্মীকে বরখাস্ত করতে পারে।
বছরের শুরুতে সিইও ছাঁটাই হওয়া প্রত্যেক কর্মীদের একাধিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্যাকেজের মাধ্যমে চাকরি হারানো কর্মীদের বেতন, বিমা এবং বাহ্যিক চাকরির সহায়তা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে প্রথমবার কর্মী ছাঁটাই হয় অ্যামাজনে। সেই সময় এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছিলেন প্রায় ১০ হাজার কর্মী। এরপর ডিসেম্বর মাসে ও ২০২৩ সালের প্রথম দিকে আরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করা হবে বলে অ্যামাজনের পক্ষ থেকে জানানা হয়েছিল।
শুধু অ্যামাজনই নয়, বিশ্বজুড়ে চলতে থাকা আর্থিক মন্দার প্রভাব পড়ছে অনেক নামি কোম্পানিতে। ফেসবুক থেকে টুইটার, মাইক্রোসফট থেকে মেটার মতো একাধিক বহুজাতিক কোম্পানি ছিল ছাঁটাইয়ের তালিকায়। প্রাথমিকভাবে কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছিল টুইটার। এরপর ছাঁটাইয়ের ট্রেন্ড শুধু তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বিভিন্ন খাতের কর্মীদের চাকরিতেও এর প্রভাব পড়েছে।
মন্তব্য করুন


মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাব আসতে পারে আসন্ন বাজেটে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া পণ্যটির দাম কমানোর উদ্দেশ্য নিয়ে এ প্রস্তাব আসতে পারে।
এই পণ্যের উৎসে গড় অগ্রিম আয়কর ৫- ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হতে পারে আসছে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে। কারণ, গড়ে ৫-৭ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দেশের মাংস উৎপাদন ও সরবরাহকারী ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করছে।
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মাংস ও মাংসজাত পণ্যের ওপর অগ্রিম আয়কর কমানোসহ এই পণ্য নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মাংস ও মাংসজাত পণ্যের ওপর অগ্রিম আয়কর কমানোর প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
• আরও পড়ুন : বিদেশ ভ্রমণে গুণতে হবে বাড়তি কর
সে কারণে বাজেটে মাংসের অগ্রিম কর কমানোর প্রস্তাবনা আসতে পারে। এনবিআর এবং অর্থ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের মানুষের আমিষের ঘাটতি মেটানোর জন্য অবশ্যই এ পণ্যকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি অবশ্যই বিবেচনায় আনা দরকার।
তারা বলেন, গরুর মাংস মুসলমানের অনেক পছন্দের খাবার। কয়েক বছরের মধ্যে এ পণ্যের দাম কয়েক বছরের মধ্যে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০০ টাকা হয়েছে। মাংসের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এতে দেশের মানুষ আমিষের ঘাটতিতে পড়বে।
বিভিন্ন সূত্রে আরও জানা যায়, বাংলাদেশের গরুর মাংস যেখানে প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, সেখানে পাকিস্তানে গরুর মাংসের দাম বর্তমানে ৬০০ রুপি যা বাংলাদেশের টাকায় ২৩০ টাকার সমান। অন্যদিকে ভারতে প্রতি কেজি মাংসের দাম ১৭৫ রুপি যা বাংলদেশি টাকায় হয় ২২৪ টাকার মতো। ভারতের কলকাতাতে ১৭৫ রুপি থেকে ১৮০ রুপির মধ্যে গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে। ভারতে গরুর মাংসের দাম অন্যান্য দেশ থেকে অনেকটা কম।
কর্মকর্তারা আরও বলছেন, অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে মূল্যস্ফীতিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর চিঠিতে বলা হয়েছে মাংস উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ১০-১২ শতাংশ গ্রস মার্জিন দিয়ে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ফলে মাংস ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ নিট লাভ মার্জিন ১-৩ শতাংশের বেশি হওয়া সম্ভব হয় না। আয়কর অধ্যাদেশ অনুসারে মাংস ও মাংসজাত পণ্য সরবরাহের ওপর সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ পর্যন্ত উৎসে কর কর্তন করা হয়ে থাকে; যা এই খাতের নীট মার্জিনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
• আরও পড়ুন : সাড়া দেয়নি কোনো পাচারকারীই, দেশে ফেরেনি এক পয়সাও
আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর বিধি-১৬ এর ৫২ ধারার টেবিল-২- এ চাল, ডাল, গম, ময়দা, চিনি, তেল, আলু, খেজুর, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, পাট, সুতাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন আরোপিত রয়েছে। মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে একই শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী। মন্ত্রীর ওই প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে এনবিআর।
এর আগে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক-কর কমানোর দাবি করেছিল। সংস্থাটি বলেছে, শুল্ক-কর কমানো হলে নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষেরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন। বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। এ কারণে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। তাই আগামী বাজেটে আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি। সিপিডির পক্ষ থেকে আমদানি করা ২৮টি পণ্যের একটি তালিকাও এনবিআরকে দেওয়া হয়েছে।
সিপিডি যেসব পণ্যের শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব করেছিল তার মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন ধরনের হিমায়িত পশুর মাংস (গরু, মহিষ, ভেড়া ইত্যাদি), মুরগি, মাছ (রুই, কাতলা, পাঙাশ, কার্প ইত্যাদি), ইলিশ, বিভিন্ন ধরনের দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন, খেজুর, দারুচিনি, গোলমরিচ (পিপার), ধনিয়া, আদা, হলুদ, ভুট্টা, চাল, পাম তেল ও লবণ।
অন্যদিকে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির বিবেচনায় সরকার পোল্ট্রি ও মৎস্য শিল্পের কর ছাড় প্রত্যাহারেও উদ্যোগ নিয়েছে। এনবিআরের মতে হাঁস-মুরগি ও মাছ এখন আমদানি হয় না। তাই বিদেশি উৎপাদকদের সঙ্গে কোনো প্রতিযোগিতা নেই। এই দুটি খাতে কর অব্যাহতির প্রয়োজন নেই। বরং আমদানিতে কর ছাড় প্রত্যাহার হলে স্থানীয় শিল্পগুলো নিজেদের মানের উন্নয়ন ঘটাতে বাধ্য হবে বলে মনে করে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
মন্তব্য করুন


পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডকে বোনাস দেওয়ার সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবার (১৭ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২২ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এরপর কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বিএসইসির কাছে আবেদন জমা দেয়। বিএসইসি সেই আবেদনে সম্মতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
বিদায়ী বছরের কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল দুই টাকা ৮১ পয়সা। এতে কোম্পানির মোট মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯৩ কোটি ৯২ লাখ ৮২ হাজার ৮২০ টাকা।
ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে। এর আগের বছর ২০২১ সালে ছিল শেয়ার প্রতি আয় ৩ টাকা ২০ পয়সা। সে বছর মুনাফা হয়েছিল ৩৩৪ কোটি ৭২ লাখ ২৫ হাজার টাকার।
মন্তব্য করুন


পাকিস্তান থেকে সরকারি উদ্যোগে আমদানি করা ২৬ হাজার ২৫০ টন চালের প্রথম চালান নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে জাহাজটি বন্দরের কনটেইনার টার্মিনালে নোঙর করে। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে রাতেই চাল খালাস শুরু হবে।
এটি স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে সরাসরি বাণিজ্য চুক্তির আওতায় সম্পন্ন হলো। দুই দেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে এই চাল আমদানি করা হয়েছে। খাদ্য বিভাগের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল আমদানির জন্য গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় সরকারি পর্যায়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
খাদ্য অধিদপ্তর এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তানের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। জিটুজি ভিত্তিতে এই আমদানির জন্য ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তানের চেয়ারম্যান সৈয়দ রাফিও বশির শাহ এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল খালেক সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এই চুক্তির আওতায় চালের প্রথম চালান নিয়ে আসা জাহাজটি গত ৪ মার্চ রাত ২টায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। এরপর বুধবার দুপুর ২টায় জাহাজটি বন্দরের সিসিটি-১ টার্মিনালে নোঙর করে।
মন্তব্য করুন


জুন মাসজুড়ে দেশে ২৮২ কোটি ১২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুনের ৩০ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬২ কোটি ৮১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। পাশাপাশি এই সময়ে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪০ কোটি ৬২ লাখ এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭৮ কোটি ৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।
তবে বিদায়ী জুনজুড়ে ৮টি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংক ছাড়াও একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৪টি বেসরকারি ও ২টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে।
এই ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি, বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক পিএলসি।
এছাড়াও বিদায়ী জুনে বিদেশি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমেও দেশে কোনো রেমিট্যান্স পাঠায়নি প্রবাসীরা।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসে বৈধ পথে ৩৩০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। সবশেষ গত এপ্রিলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।
তবে সেই রেকর্ড গত মে মাসে ভেঙেছে। বিদায়ী মাসটিতে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে আমদানি করা চালের প্রথম চালান আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশে পৌঁছাবে। ভারত থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ২৪ হাজার ৬৯০ টন সেদ্ধ চাল আমদানি করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারত থেকে আমদানি করা এই চাল নিয়ে এমভি তানাইজ ড্রিম নামের জাহাজ আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌতপরীক্ষা সম্পন্ন করার পর দ্রুত খালাস কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন


আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে যাচ্ছে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ। এ লক্ষ্যে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে এ অনুমোদন দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
৭৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ৫০ টন করে রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ইলিশ মাছ রপ্তানির বিষয়ে পাওয়া আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে শর্ত সাপেক্ষে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের নামের নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলো।
রপ্তানির শর্তে বলা হয়, রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে, শুল্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রপ্তানির অনুমতি পাওয়া পণ্যের কায়িক পরীক্ষা যথাযথভাবে করতে হবে, প্রতিটি কনসাইনমেন্ট জাহাজীকরণ শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত সব কাগজপত্র ই-মেইল করতে হবে এবং অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রপ্তানি করা যাবে না।
প্রতিটি পণ্যচালান রপ্তানিকালে শুল্ক কর্তৃপক্ষ এসোডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পরীক্ষা করে অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত পণ্য রপ্তানি না করার বিষয়টি নিশ্চিত হবেন, এ অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে।
এতে আরও বলা হয়, সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ করতে পারবে। এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং অনুমোদিত রপ্তানিকারক ব্যতীত সাব কন্ট্রাক্টে রপ্তানি করা যাবে না।
মন্তব্য করুন


দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, এখন দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানান।
গত রোববার দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে ছাড়িয়েছিল ২৬ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভ ৩১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে ছিল ২৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার।
আরিফ হোসেন খান জানায়, আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী আজ দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৬৬ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ১৬৮ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এক হাজার ৮০০ কোটি ডলারের বেশি।
মন্তব্য করুন


চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২ কেজির প্রতি সিলিন্ডারের দাম ১৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চলতি মাসে ১২ কেজির প্রতি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৪৭৮ টাকা, যা আগে ছিল ১,৪৫৯ টাকা।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নতুন এ মূল্য ঘোষণা করে। এই নতুন মূল্য আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
এছাড়া, প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বৃদ্ধি করে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, গত মাসের শুরুতে জানুয়ারি মাসের জন্য এলপি গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১,৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
গত মাসের শুরুতে জানুয়ারি মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম ৩ পয়সা কমানো হয়েছিল, যা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা। তবে গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দাম ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পয়সা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এরপর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমানো হয় এবং নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।
মন্তব্য করুন


ভোজ্যতেলের (সয়াবিন তেল) বাজারে কয়েকদিন ধরে চলা ‘অস্থির’ অবস্থার মধ্যেই বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন এবং পাম তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন এবং পাম তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে কত বাড়ানো হয়েছে তা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হবে।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয়ের অজুহাতে ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে তোড়জোড় শুরু করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্যবসায়ীরা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি থাকলেও বাংলাদেশে তার প্রভাব সব সময় উল্টোভাবে পড়ে। এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমছে না, বরং দিন দিন বাড়ছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয়ভাবে সেবার বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থ বিদেশে পাঠানো প্রক্রিয়া সহজ করেছে। এখন থেকে সেবার অর্থ বিদেশে পাঠাতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তে নিয়মিত বৈদেশিক ব্যয় বাবদ অর্থ বিদেশে পাঠাতে পারবে।
১২ জানুয়ারি, রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে, যার মাধ্যমে বিদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সেবা খাতের ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে: রয়টার্স মনিটর, ব্লুমবার্গ ফি, ব্যাংকার্স আলমনার্ক, ডিউ ডিলিজেন্স রেপোজিটরি ব্যয়, ক্রেডিট রেটিং সার্ভিস ফি, মূল্য যাচাই ফি ইত্যাদি। এছাড়া, ব্যাংকগুলোকে বিদেশ ভ্রমণকারীদের লাউঞ্জ সুবিধা সংক্রান্ত খরচ পরিশোধের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন ব্রোকারেজ ফার্ম, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এবং অন্যান্য আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশে ফি পাঠাতে অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
তবে, একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, বছরে একজন কার্ড হোল্ডার ৫০০ মার্কিন ডলারের বেশি খরচ করতে পারবে না।
মন্তব্য করুন