

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে জরুরিভিত্তিতে মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলকে ৩০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আর তা না হলে ইসরায়েলকে দেওয়া মার্কিন সরকারের কিছু সামরিক সহায়তায় কাটছাঁট করা হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। বিষয়টি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি সরকারকে ইতোমধ্যেই একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে চিঠিটি পাঠানো হয় গত রোববার। এই চিঠিটি মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে তার মিত্র দেশটির কাছে এখন পর্যন্ত জ্ঞাত সবচেয়ে কঠোর লিখিত সতর্কতা।
এছাড়া উত্তর গাজায় ইসরায়েলের নতুন আক্রমণের মধ্যে মার্কিন চিঠি হাতে পেল ইসরায়েল। এই আক্রমণে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজায় অবনতিশীল মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল গত মাসে গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে মানবিক সহয়িতার পরিবহনের প্রায় ৯০ শতাংশকেই বাধা দিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এই চিঠিটি ইসরায়েল পর্যালোচনা করছে বলে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল “এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে” এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে “দেশটির উত্থাপিত উদ্বেগের সমাধান” করতে চায়।
ইসরায়েল এর আগে বলেছে, তারা গাজার উত্তরে হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে এবং মানবিক সাহায্যের প্রবেশ বন্ধ করছে না।
এছাড়া গাজায় ক্রসিং পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা কোগাট গত সোমবার বলেছে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সাহায্য বহনকারী ৩০টি লরি ইরেজ ক্রসিং দিয়ে উত্তর গাজায় প্রবেশ করেছে।
এর আগে জাতিসংঘ বলেছিল, উত্তরে কোনও ধরনের খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়নি এবং সেখানে ৪ লাখ ফিলিস্তিনির বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা ও অন্যান্য সরঞ্জাম শেষ হয়ে গেছে।
টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত এক বছরে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে আগ্রাসন অব্যাহত রাখতে মার্কিন সরবরাহকৃত বিমান, গাইডেড বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং শেলগুলোর ওপর অনেক বেশি নির্ভর করেছে।
এদিকে ইসরায়েল সরকারের কাছে পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রের এই চিঠির বিষয়বস্তু মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টও নিশ্চিত করেছে। এই চিঠিতে সই করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
এতে বলা হয়েছে, “আমরা এখন গাজার অবনতিশীল মানবিক পরিস্থিতির বিষয়ে মার্কিন সরকারের গভীর উদ্বেগকে জানানোর জন্য লিখছি এবং এই পরিস্থিতি বদলের জন্য এই মাসেই আপনার সরকারের কাছ থেকে জরুরি এবং টেকসই পদক্ষেপ চাই।”
এতে আরও বলা হয়েছে, এলাকা খালি করার ইসরায়েলি আদেশ ১৭ লাখ লোককে সংকীর্ণ উপকূলীয় আল-মাওয়াসি এলাকায় বাধ্য করেছে, সেখানে তারা চরম ভিড়ের কারণে “মারাত্মক সংক্রামনের উচ্চ ঝুঁকিতে” রয়েছেন এবং মানবিক সংস্থাগুলো রিপোর্ট করেছে, তাদের বেঁচে থাকার মতো প্রয়োজন মেটানো যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েলকে আরও বোমা সরবরাহ করতে বাইডেন প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। তিনি এই যুদ্ধের সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে আণবিক বোমা ব্যবহারের তুলনা করেন।
লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, পার্ল হারবারের আক্রমণের পর আমরা নাগাসাকি ও হিরোশিমায় যেভাবে জবাব দিয়েছিলাম, ইসরায়েলেরও তেমন টা করা উচিত। তাদেরকে সেই বোমা সরবারহ করা উচিত।
সম্প্রতি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ সীমান্তে বারবার নিষেধের পরও ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করায় তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানো বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই মার্কিন প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শেষ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ করে একাধিক ধরনের বোমার সরবরাহ বন্ধ রাখছে বাইডেন প্রশাসন, যেগুলি দিয়ে ইসরায়েল গাজার শহরাঞ্চলে আক্রমণ চালাতে পারে।
বোমা সরবরাহ সীমিত করা ও রাফাহ সীমান্তে অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়েছে। তবে ইসরায়েলের কট্টর সমর্থন লিন্ডসে গ্রাহাম। তিনি বলেন, এই যুদ্ধে ইসরায়েলের জয় নিশ্চিতে পর্যাপ্ত বোমা সরবরাহ করা উচিত। কোনোভাবেই তাদের হারতে দেওয়া যাবে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরাল করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৪ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। সর্বক্ষনিক এই আগ্রাসনে গাজা ভূখণ্ড পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে।
প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মরদেহ ছিড়ে খেয়ে ফেলছে কুকুর। এতে করে নিহত অনেকের মরদেহ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন এই সংবাদমাধ্যমটি।
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজার উত্তরাঞ্চলের জরুরি পরিষেবার প্রধান ফারেস আফানা সিএনএনকে বলেছেন, তিনি এবং তার সহকর্মীরা উত্তর গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মরদেহ পেয়েছেন। যার মধ্যে কিছু মরদেহ প্রাণীদের খেয়ে ফেলার লক্ষণ রয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষুধার্ত কুকুরেরা রাস্তায় এসব মরদেহ খাচ্ছে। আর এ কারণে আমাদের জন্য মরদেহ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
উত্তর গাজা এবং জাবালিয়া এলাকায় ইসরায়েলের বিমান ও স্থল হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী সবকিছু ধ্বংস করছে। ইসরায়েলের দাবি, গাজার এই এলাকায় হামাস সদস্যরা পুনরায় সংগঠিত হয়েছে।
গাজা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া ৯৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
সূত্র-দৈনিক ইত্তেফাক
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ থেকে ফিরে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি দেশটির সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে ব্রিফ করেছেন। এতে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।
বিক্রম মিশ্রি কমিটিকে জানান, সোমবার ঢাকা সফরের সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল বা সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ভারত বাংলাদেশের জনগণের সাথে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয় এবং যে কোনো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা যে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন তা ভারত সমর্থন করে না। এটি দুই দেশের সম্পর্কের একটি ক্ষুদ্র প্রতিবন্ধক।’
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, শেখ হাসিনা তার মন্তব্যের জন্য ‘ব্যক্তিগত যোগাযোগ ডিভাইস’ ব্যবহার করছেন। ভারত সরকার তাকে (শেখ হাসিনা) এমন কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুযোগ–সুবিধা দেয়নি, যা দিয়ে তিনি ভারতের মাটিতে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারেন। এটি তৃতীয় কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ না করার ঐতিহ্যগত রীতির অংশ।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার অভিযোগের স্বীকৃতির নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন ছিল। তবে সবশেষ খবর হলো, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এ সংক্রান্ত সহিংসতার ঘটনায় ৮৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। এ খবরকে ভারত স্বাগত জানায়।
সূত্র : দ্য হিন্দু
মন্তব্য করুন


কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে সামরিক মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। সোমবার (৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিমা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে উস্কানিমূলক হুমকির পরে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামরিক মহড়াটি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে যুদ্ধের ময়দানে কৌশলগত নয় এমন পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন ও এর ব্যবহারের প্রস্তুতি নিতেই ওই মহড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন বিষয়ক দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক বিভাগ ও নৌবাহিনী এতে অংশ নেবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কিছু পশ্চিমা কর্মকর্তাদের উস্কানিমূলক বিবৃতি এবং হুমকির প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করাই এ মহড়ার লক্ষ্য।
তবে পশ্চিমা দেশগুলো ও ইউক্রেন জানিয়েছে, রুশ বাহিনী পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত পিছু হটবে না তারা।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিশরের রাজধানী কায়রোতে দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে যুদ্ধবিরতি আলোচনা। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার ও মিশর কর্তৃপক্ষ। তবে হামাসের এক নেতা জানিয়েছেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বাধা দিচ্ছেন।
এছাড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করতে ইসরাইলেও চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। চুক্তি কার্যকর ও জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে নেতানিয়াহু প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন তারা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তর গাজায় এরই মধ্যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। যা পুরো যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে ছড়িয়ে পড়ছে। কারণ ইসরাইল প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহে বাধা দিচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরাইলের হামলায় ৩৪ হাজার ৬৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৭ হাজার ৯০৮ জন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পর বেশ কয়েকটি দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইলবিরোধী আন্দোলন। গত মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বপ্রথম এ বিক্ষোভ শুরু হয়। একপর্যায়ে তা দেশটির অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্সের মতো দেশগুলোতে বিস্তৃত হতে শুরু করে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, বিশ্বের কোন কোন দেশে এ আন্দোলন চলছে।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে দখলদার বাহিনী হামলা চালায়নি। গাজার স্কুল, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, মসজিদ সবকিছুই যেন এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৪৮৭ জন।
এদিকে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তেল আবিবে ইসরায়েলের গোয়েন্দা ঘাঁটিসহ বেশ কিছু স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া উত্তরাঞ্চলীয় হাইফা শহরের একটি নৌঘাঁটিতেও রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই হামলার ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
হিজবুল্লাহ বলছে, তারা ইসরায়েলের নিরিত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। টেলিগ্রামে এক পোস্টে লেবাননভিত্তিক গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি এবং লেবাননের জনগণকে রক্ষায় তারা এই হামলা চালিয়েছে।
হিজবুল্লাহর হামলার পর বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তেল আবিবে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
অপরদিকে গাজার বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়া ফিলিস্তিনিদের সহায়তা দেওয়া উদ্ধারকর্মীদের কাজে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) বলেছে, হত্যা এবং বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনি জনসংখ্যাকে ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠছে ইসরায়েল। ওই এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে দখলদার বাহিনী।
গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। এই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৪২ হাজার ৭১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও এক লাখ ২৮২ জন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় ইসরায়েলে হামাসের হামলায় কমপক্ষে এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে জরুরিভিত্তিতে মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলকে ৩০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আর তা না হলে ইসরায়েলকে দেওয়া মার্কিন সরকারের কিছু সামরিক সহায়তায় কাটছাঁট করা হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। বিষয়টি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি সরকারকে ইতোমধ্যেই একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে চিঠিটি পাঠানো হয় গত রোববার। এই চিঠিটি মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে তার মিত্র দেশটির কাছে এখন পর্যন্ত জ্ঞাত সবচেয়ে কঠোর লিখিত সতর্কতা।
এছাড়া উত্তর গাজায় ইসরায়েলের নতুন আক্রমণের মধ্যে মার্কিন চিঠি হাতে পেল ইসরায়েল। এই আক্রমণে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজায় অবনতিশীল মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল গত মাসে গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে মানবিক সহয়িতার পরিবহনের প্রায় ৯০ শতাংশকেই বাধা দিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এই চিঠিটি ইসরায়েল পর্যালোচনা করছে বলে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল “এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে” এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে “দেশটির উত্থাপিত উদ্বেগের সমাধান” করতে চায়।
ইসরায়েল এর আগে বলেছে, তারা গাজার উত্তরে হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে এবং মানবিক সাহায্যের প্রবেশ বন্ধ করছে না।
এছাড়া গাজায় ক্রসিং পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা কোগাট গত সোমবার বলেছে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সাহায্য বহনকারী ৩০টি লরি ইরেজ ক্রসিং দিয়ে উত্তর গাজায় প্রবেশ করেছে।
এর আগে জাতিসংঘ বলেছিল, উত্তরে কোনও ধরনের খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়নি এবং সেখানে ৪ লাখ ফিলিস্তিনির বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা ও অন্যান্য সরঞ্জাম শেষ হয়ে গেছে।
টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত এক বছরে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে আগ্রাসন অব্যাহত রাখতে মার্কিন সরবরাহকৃত বিমান, গাইডেড বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং শেলগুলোর ওপর অনেক বেশি নির্ভর করেছে।
এদিকে ইসরায়েল সরকারের কাছে পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রের এই চিঠির বিষয়বস্তু মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টও নিশ্চিত করেছে। এই চিঠিতে সই করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
এতে বলা হয়েছে, “আমরা এখন গাজার অবনতিশীল মানবিক পরিস্থিতির বিষয়ে মার্কিন সরকারের গভীর উদ্বেগকে জানানোর জন্য লিখছি এবং এই পরিস্থিতি বদলের জন্য এই মাসেই আপনার সরকারের কাছ থেকে জরুরি এবং টেকসই পদক্ষেপ চাই।”
এতে আরও বলা হয়েছে, এলাকা খালি করার ইসরায়েলি আদেশ ১৭ লাখ লোককে সংকীর্ণ উপকূলীয় আল-মাওয়াসি এলাকায় বাধ্য করেছে, সেখানে তারা চরম ভিড়ের কারণে “মারাত্মক সংক্রামনের উচ্চ ঝুঁকিতে” রয়েছেন এবং মানবিক সংস্থাগুলো রিপোর্ট করেছে, তাদের বেঁচে থাকার মতো প্রয়োজন মেটানো যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের গাজায় নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার ইউএনআরডব্লিউএ’র সমর্থনেও আলাদা প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইসরায়েল আইন করে এই সংগঠনকে তাদের দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে অবিলম্বে নিঃশর্তে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। কর্মকর্তাদের মতে, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধের ফলে গাজায় ৪৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
এই প্রস্তাবকে অবশ্যপ্রতীকী পদক্ষেপ মনে করা হচ্ছে, কারণ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র তা খরিজ করে দিয়েছে। আর ইসরায়েলের ওপর এই প্রস্তাব মানার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতাও নেই। তবে রাজনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে এর একটা চাপ আছে। কারণ, এতগুলো দেশ যখন কোনো প্রস্তাবে সমর্থন দেয়, তখন তাকে পুরো বিশ্বের মত প্রকাশ বলে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ছিল, গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করার শর্তে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। না হলে হামাস ওই বন্দিদের মুক্তি দেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বলেছেন, এই প্রস্তাবের ভাষা ভুল ও লজ্জাজনক।
বুধবার যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৫৮টি দেশ। বিপক্ষে ভোট পড়ে ৯টি। আর ১৩টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থাকে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে নিঃশর্তে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। বন্দিদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে।
এদিন সাধারণ পরিষদে আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সেখানে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের নিয়ে জাতিসংঘের সংগঠন ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে এই প্রস্তাবের পক্ষে ১৫৯টি দেশ ভোট দেয়, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র-সহ সাতটি দেশ এর বিরুদ্ধে ভোট দেয়। ১১টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
এই প্রস্তাবে ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে ইসরায়েলের আইনের নিন্দা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ইসরায়েল যেন ইউএনআরডব্লিউএ-কে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় এবং তাদের কাজে যেন কোনও বাধা না দেয়।
এই প্রস্তাব পাস করার আগে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর অনেকেই তাদের ভাষণে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানায়।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মানসুর বলেন, গাজা এখন যন্ত্রণার ক্ষতচিহ্ন হয়ে আছে। স্লোভেনিয়ার দূত বলেছেন, গাজা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আলজেরিয়ার ডেপুটি অ্যাম্বাসেডার বলেছেন, ফিলিস্তিনের দুরবস্থা নিয়ে চুপ করে থাকার জন্য বিশ্বকে বড় মূল্য দিতে হবে।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় যুদ্ধ ইস্যুতে গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরই মধ্যে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে ব্যাপক দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন নেতানিয়াহু। আমেরিকাও বিষয়টি প্রতিরোধে নানা তৎপরতা শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সংশ্লিষ্ট বিচারকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কথাও ভাবছে দেশটি।
এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকেও টেনে আনল ইসরাইল। দুই ইসরাইলি এবং মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছ, ইসরাইলি সরকার বাইডেন প্রশাসনকে সতর্ক করেছে যে, যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে তারা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া শুরু করবে, যা তাদেরকে পতনের দিকে নিয়ে যাবে।
সম্প্রতি ইসরাইলি গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, আইসিসি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সামরিক বাহিনীর প্রধান হার্জি হালেভি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, যদি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় তবে এটি ‘ঐতিহাসিক পর্যায়ের একটি কেলেঙ্কারি’ হবে।
মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে, তারা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কর রাজস্ব স্থানান্তর বন্ধ করে দেবে। আর এমন পদক্ষেপ নেবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে দেউলিয়া করে দেবে।
প্রসঙ্গত, ইসরাইল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পক্ষে ট্যাক্স সংগ্রহ করে এবং ১৯৯৪ সালে অসলো চুক্তির অধীনে তাদেরকে মাসিক ভিত্তিতে তা স্থানান্তর করে।
মন্তব্য করুন


আফগানিস্তানে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২৫০ জন নিহত এবং ৫০০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির তালেবান কর্মকর্তারা এ খবর জানিয়েছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এনবিসি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, স্থানীয় সময় রবিবার মধ্যরাতে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে জালালাবাদ শহর থেকে ১৭ মাইল দূরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
আফগান জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শরাফাত জামান জানিয়েছেন, যেহেতু ভূমিকম্পটি একটি প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় আঘাত হেনেছে, তাই মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এবং অবকাঠামোর অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে সময় লাগবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বিশাল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষকে সাহায্য করার জন্য একত্রিত হয়েছি।’
আফগানিস্তান সব সময়ই ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকে, কারণ এটি বেশ কয়েকটি ফল্ট লাইনের উপরে অবস্থিত- যেখানে ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান প্লেটগুলি মিলিত হয়। এছাড়া পূর্ব আফগানিস্তানের পাহাড়ী ভূখণ্ডও ভূমিধসের ঝুঁকিতে থাকে, যার ফলে জরুরি পরিষেবাগুলির জন্য উদ্ধার কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
মন্তব্য করুন