

বিনোদন ডেস্কঃ
টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান। তবে ইদানীং ওটিটি কনটেন্টের কাজে ব্যস্ত তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই বিশেষ দিবসের কোনো নাটক ছাড়া টিভিতে তার উপস্থিতি মিলছে না।
অভিনেতা নিজেও বলেছেন, টিভি নাটকে অভিনয় তিনি কমিয়ে দিয়েছেন। এখন মনযোগী হয়েছেন ওয়েবের কাজে।
কিছুদিন আগেই জানিয়েছেন নতুন তিন ওয়েবের কাজে যুক্ত হওয়ার খবর। সম্প্রতি সিরিজটির কাজও তিনি শেষ করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে নারাজ এ অভিনেতা। এটুকু নিশ্চিত যে, রায়হান রাফী পরিচালিত এ সিরিজের নাম ‘যাহা বলিব যত্য বলিব’।
এখানেও তৈরি হয়েছে নায়িকা নিয়ে রহস্য! এতে আগে থেকেই প্রার্থনা ফারদিন দীঘির কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু দীঘি জানান, তিনি এ সিরিজে কাজ করেননি।
তাহলে কে করেছে? এরইমধ্যে গুঞ্জন উঠে তমা মির্জার নাম। তবে এর সত্যতা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অভিনয়শিল্পী, নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কেউ এখনই এ বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী নন। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানানো হবে বলে নিশ্চিত করেন তারা।
জাহিদ হাসান বলেন, আমার কাজ অভিনয় করা। আমি সেটিই করছি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে সব কিছু গণমাধ্যমে জানাবে। তাদের নিশ্চয়ই প্রচারের প্ল্যান রয়েছে।
জানা গেছে, কক্সবাজারের এক বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ঘিরে এই সিরিজের গল্প। এটি একটি অনলাইন পেইড ভার্সনের জন্য নির্মিত হয়েছে। তবে একে প্রথমে সিনেমা ট্যাগ দিয়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার চিন্তা করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
এর আগেও তারা একই প্রক্রিয়ায় ‘৩৬-২৪-৩৬’ নামে একটি ওয়েব কনটেন্ট সিনেমা বলে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিয়েছে। সেটি অবশ্য দর্শক খরায় মুখ থুবরে পড়ে।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্কঃ
জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা সেলেনা গোমেজ বাগদান সেরেছেন। এই তারকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক আগে থেকেই ভক্ত-অনুরাগীদের কৌতূহল ছিল। বিশেষ করে কানাডিয়ান গায়ক জাস্টিন বিবারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে বহুবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন এ গায়িকা। কিন্তু সেই সম্পর্কও টেকেনি। ২০১৮ সালে তাদের ৬ বছরের সম্পর্কে ভাঙন ধরতেই হেইলি বল্ডউইনের সঙ্গে বাগদান সেরে নেন জাস্টিন বিবার। এ বিষয়টি যখন সেলেনা জানতে পারেন, তখন বেশ আঘাত পেয়েছিলেন তিনি।
সেই থেকে নিজের কাজেই মন দেন সেলেনা গোমেজ। ২০১৯ সালে সংগীতশিল্পী বেনি ব্ল্যাঙ্কোর সঙ্গে একটি গানে কাজ করেন গায়িকা। এরপর কেটে যায় কয়েক বছর। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিজেদের প্রেমের কথা প্রকাশ্যে আনেন তারা। বেনির সঙ্গে ৫ বছরের সম্পর্কের মধ্য দিয়ে অবশেষে পূর্ণতা পেল সেলেনার প্রেম।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ ইনস্টাগ্রাম একটি পোস্টে চোখ আটকে যায় সেলেনার ভক্ত-অনুরাগীদের। গায়িকার সেই পোস্টে দেখা যায়, সেলেনার অনামিকা আঙুলে ঝলমলিয়ে উঠেছে একটি হীরের আংটি! শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় ছবিতে নিজের আংটির দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছেন গায়িকা। তৃতীয় ছবিতে হাসিতে ভরা মুখে বাগদানের আনন্দ উপভোগ করছেন তিনি। আর চতুর্থ ছবিতে বেনিকে পাশে নিয়ে গালে চুম্বনের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন সেলেনা গোমেজ। সেই পোস্টের ক্যাপশনে এ গায়িকা লিখেছেন— এখন শুরুটা চিরকালের জন্য।
এদিকে অনুরাগীদেরও আর বুঝতে বাকি নেই যে, প্রেমিক বেনি ব্লাঙ্কোকে নিয়েই বাগদান সেরে নিয়েছেন তাদের প্রিয় গায়িকা। মন্তব্যের ঘর ভরে ওঠে তাদের শুভেচ্ছাবার্তায়। তাদের সঙ্গে মজা করে মন্তব্য করেছেন বেনিও। তিনি লিখেছেন— আরে অপেক্ষা করুন, এটা আমার বউ।
বেনি ব্ল্যাঙ্কো একজন খ্যাতনামা সংগীত প্রযোজক ও গায়ক। তিনি এড শিরান, চার্লি পুথ, উইজ খলিফা, বিটিএস, এমিনেম, জাস্টিন বিবার, হ্যালসি, ক্যাটি পেরি, রিহানাদের মতো শিল্পীদের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে গোমেজের জনপ্রিয় ‘সেইম ওল্ড লাভ’ ও ‘আই কান্ট গেট এনাফ’ গান দুটিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সেলেনা ও ব্ল্যাঙ্কো। ২০২৩ সালে সম্পর্কে থাকার বিষয়টি অফিসিয়ালি জানানোর আগে ভুলবশত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের প্রেমের খবর জানিয়ে দিয়েছিলেন সেলেনা। সেই মন্তব্যটি অবশ্য মুছেও ফেলেছিলেন তিনি।
মন্তব্য করুন


ছোটবেলায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ অভিনেত্রী জামিলা জামিল। এরপর থেকে তার ভেতর সব সময় একধরনের ট্রমা কাজ করে। এড়িয়ে চলেন রগরগে দৃশ্যে অভিনয়, এমনকী কোনো ছবিতে এমন দৃশ্য থাকলে তা দেখেনও না তিনি। আর এ কারণেই নেটফ্লিক্সের সিরিজ ‘ইউ’-এর অডিশন থেকে বেরিয়ে আসেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি ‘দ্য গুড প্লেস’ খ্যাত তারকা পডক্রাশড পডকাস্টে তার নিজের চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন। জামিলা বলেন, “নেটফ্লিক্সের সিরিজ 'ইউ'-এর চতুর্থ সিজনের জন্য আমার অডিশন দেওয়ার কথা ছিল। তবে যখন জানতে পারি এই চরিত্রটি বেশ সেক্সি, তখনই আমি অডিশন থেকে সরে আসার কথা জানিয়ে দিই। কারণ, এ ধরনের যৌন দৃশ্যে আমি স্বচ্ছন্দ নই।’ যদিও ঠিক কোন দৃশ্যের জন্য তিনি অডিশন দিচ্ছিলেন, তা প্রকাশ্যে আনেননি জামিলা জামিল।
কেন যৌন দৃশ্যে তিনি স্বচ্ছন্দ নন, তার অন্যতম কারণ হিসাবে শৈশবের 'ট্রমা' (মানসিক আঘাত), শৈশবের যৌন নির্যাতনের কথা সামনে এনেছেন জামিলা জামিল। অভিনেত্রী জানান, তার শৈশব ভীষণই কঠিন, নোংরা ছিল। শৈশবে তার ওপর চলা যৌন নির্যতনের কথা তিনি ভুলতে পারেননি, সেগুলো থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি। আর তারই ফলস্বরূপ তিনি নিজের জন্য এই নিয়ম তৈরি করেছেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কখনো কোনো যৌন দৃশ্যে তিনি অভিনয় করবেন না।
তার কথায়, ‘অন্য অভিনেতাদের কাছে যৌনদৃশ্য যেমন, আমার কাছে এটা ঠিক তেমন নয়। এমনকী ছবিতে কোনো যৌন দৃশ্য থাকলে সেটা আমি দেখি না, এড়িয়ে যাই।’
জামিলা জামিল জানান, তিনি ‘ইউ’-এর নির্মাতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যদি যৌন দৃশ্য ছাড়া সিরিজে অন্য কোনো চরিত্রে তাকে প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে তারা ডাকতে পারেন।
‘সি-হাল্ক’ অভিনেত্রী আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘এটা লজ্জার কিছু নয়। তবে আমি অনুভব করি যে এটির চারপাশে একটি বিশ্রীতা রয়েছে।’
মন্তব্য করুন


বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্রনায়ক ফারুকের মরদেহ ঢাকায় আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট তার মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় বলে এয়ারলাইন্সটির জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ইউএস-বাংলার বিএস-৩০৮ ফ্লাইটটি নায়ক ফারুকের মরদেহ নিয়ে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন।
তার ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.বি.এম মফিজুর রহমান খান জানান, গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন চিত্রনায়ক ফারুক। তার বাবা আজগর হোসেন পাঠান উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত আছেন। সেখানেই ফারুকের মরদেহ দাফন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘তার (ফারুক) স্ত্রী ফারজানা পাঠান মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান, ছেলে রওশন হোসেনসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবিত অবস্থায় ফারুক সবাইকে (অসিয়ত) বলে গিয়েছেন, যেন মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সোম গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবা আজগর হোসেন পাঠানের কবরের পাশে শায়িত করা হয়।’
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ইউএস বাংলার ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ আসবে। পরে সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
বেলা ১১টায় জাতীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য নেওয়া হবে। বাদ জোহর এফডিসিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন এবং সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষ সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া দক্ষিণ সোম গ্রামের বাড়িতে চতুর্থ জানাজা সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আজগর হোসেন পাঠানের পাশে শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
মন্তব্য করুন


ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির একদিনের মধ্যে জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। আজ সোমবার আত্মসমর্পণ করলে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। জামিন পাওয়ার পর পরীমণি আদালত থেকে ফিরে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন।
তিনি ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘শুরু থেকেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম, এখনও আছি। আমি আইনের ওপর বিশ্বাস রেখেছি। আর আপনারা যেভাবে আমাকে সাপোর্ট করেছেন, সেটা দেখে আমার দুঃখের সব মেঘ কেটে গেছে। আপনাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
পরীমণি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার কিছুই বলার নেই। গতকাল থেকে আপনারা যেভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন, আমি সারাজীবন সেই ভালোবাসার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। আমি ধন্য।’
তিনি বলেন, ‘আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল এবং আমি বিশ্বাস করি, আমি ন্যায়বিচার পাব। আপনারা আমার পাশে থাকবেন। আজ যেমন ভালোবাসা নিয়ে বাড়ি ফিরছি, সেই ভালোবাসার সঙ্গে জয় নিয়ে যেন বাড়ি ফিরতে পারি। আমার জন্য দোয়া করবেন।’
২০২২ সালের ৬ জুলাই পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল পান করেন এবং দামি ক্লাবে ঢুকে পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করেই চলে যান। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি ও ভয় দেখান।
আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাতে সাভারের বোট ক্লাবে পরীমণি বাদী নাসির উদ্দিনকে ডেকে তার সঙ্গে কিছু সময় বসতে বলেন। এক পর্যায়ে পরীমণি নাসির উদ্দিনকে বিনামূল্যে ব্লু লেবেল হুইস্কি বোতল পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন এবং এক পর্যায়ে গ্লাস ও মোবাইল ফোন ছুড়ে মারেন, যাতে নাসির উদ্দিন মাথায় ও বুকে আঘাত পান।
মামলায় আরও বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন এবং ভাঙচুর করেন। এই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া, একই বছরের ৫ আগস্ট বনানী বাসা থেকে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হন পরীমণি। পরে বনানী থানায় মাদক মামলায় তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ২৭ দিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
এবার বলিউডের উঠতি নায়িকা অনন্যা পান্ডের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভাঙল অভিনেতা আদিত্য রায় কাপুরের। তাদের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু বম্বে টাইমসকে বলেন, ‘এক মাস আগে আদিত্য-অনন্যা তাদের সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। তাদের ব্রেকআপ হলেও তাদের মাঝে সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।’
এর আগে ‘খালি পিলি’ সিনেমার সহশিল্পী অর্থাৎ শহিদ কাপুরের ভাই ইশান কাট্টারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অনন্যা। সেই সময় শহিদ কাপুরের পরিবারের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। ইশানকে নিয়েও মালদ্বীপে ছুটি কাটিয়েছেন অনন্যা। এরপর আদিত্যর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অনন্যা। এ জুটি দীর্ঘ ২ বছর সম্পর্কে ছিলেন। যদিও বিচ্ছেদের বিষয়ে এখনো মুখ খুলেননি তাদের কেউ-ই।
সম্প্রতি সময়ে অনন্যা পান্ডে কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন। তবে অভিনেতা আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে কোনো রাখঢাক করেননি অনন্যা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন অনন্যা পান্ডে। তারপর বেশ কিছু সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। অনন্যা পান্ডে অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘খো গায়ে হাম কাঁহা’।
মন্তব্য করুন


বলিউড অন্যতম তারকা দম্পতি ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কাইফ। সম্প্রতি ভিকি কৌশলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ভাল মেয়ে পেলে ক্যাটরিনাকে ডিভোর্স দেবেন কিনা। তবে স্মার্ট ভিকি কিন্তু জুতসই জবাব দিয়েছেন।
ভিকি কৌশল ও সারা আলি খানের নতুন ছবি ‘জারা হাটকে জারা বাঁচকে’র ট্রেলেরে এ প্রশ্ন করা হয়। সাংবাদিকের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে একেবারে হতবাক ভিকি। তবে উত্তর দিতে বেশি সময় নিলেন না।
ভিকি বলেন, ‘আমাকে রাতে বাড়ি ফিরতে হবে। তবে এটুকু বলতে পারি, আমার আর ক্যাটরিনার সম্পর্ক শুধু এই জন্মের নয়, আগামী সাত জন্মের।’
এই প্রথমবার এক সিনেমায় জুটি বেঁধেছেন ভিকি-সারা। লক্ষ্মণ উটেকর পরিচালিত ‘জারা হাটকে জারা বাঁচকে’ সিনেমায় কপিল ও সোমিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন দু’জন। ইন্দোরের মধ্যবিত্ত পরিবারের এই কাহিনীর সূত্রধর পঙ্কজ ত্রিপাঠী। তার কণ্ঠস্বরেই ট্রেলার শুরু হয়। দু’ভাগে বিভক্ত কাহিনী।
মন্তব্য করুন


পরিচালনায় নাম লিখিয়েছেন বলিউড কিং শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান। তিনি নতুন সিরিজ ‘বলিউড দ্য বা**ডস’ নিয়ে আসছেন। গত সোমবার ‘নেক্সট অন নেটফ্লিক্স’ ইভেন্টে চলতি বছরে মুক্তি পেতে যাওয়া সিরিজগুলোর নাম ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকায় আরিয়ান খানের এই নতুন সিরিজটির নামও রয়েছে।
আরিয়ানের ‘বলিউড দ্য বা**ডস’ সিরিজটিতে প্রযোজনা ও অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান নিজেই। অভিনেতা ও প্রযোজক হিসেবে ছেলের পরিচালনায় কাজ করতে গিয়ে কতটা চাপ অনুভব করেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরুখ তার নিজস্ব স্টাইলে বললেন, ‘অন্য সবাই কাজ করে, আমি শুধু নামেই প্রযোজক। এসব প্রযোজক, পরিচালক, লেখক—এরা আমার পোষাবে না… আই অ্যাম আ ব্লাডি স্টার। আমি পেছনে থেকে মিউজিক বাজাই। প্রযোজকদের সঙ্গে এসব কিছুই হয় না।’ শাহরুখের এই মজাদার উত্তরে উপস্থিত সবাই হাততালি দেন।
নেটফ্লিক্স এবং রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট গত নভেম্বরে এই সিরিজটি ঘোষণা করেছিল। শাহরুখ খান ছাড়াও এই ৬ পর্বের সিরিজে সালমান খান, রণবীর কাপুর, বাদশা এবং ববি দেওলের ক্যামিও দেখা যাবে। গত বছরের মে মাসে সিরিজটির শুটিং শেষ করেছিলেন আরিয়ান। আর গত সোমবারই ‘বলিউড দ্য বা**ডস’ এর প্রথম টিজার প্রকাশিত হয়।
মন্তব্য করুন


গত ৫ মে মুক্তি পায় বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন নির্মিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ট্রেলার প্রকাশের পরপরই এই নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ছবি মুক্তির পর দ্বিগুণ হয় বিতর্ক। যার জেরেই মুক্তির চার দিনের মাথায় এই ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অভিযোগ, এই ছবি সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দিচ্ছে।
অশান্তি এড়াতে তাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবিটিকে এ রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মমতার নির্দেশের পরের দিনই ছবিটিতে নিষেধাজ্ঞা তোলার আর্জিতে শীর্ষ আদালতে যান নির্মাতারা। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও বাংলায় কেন দেখানো হবে না এই ছবি? কারণ জানতে চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় টিম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে গত সপ্তাহে নোটিশ দেয় রাজ্য সরকারকে। বুধবার পরবর্তী শুনানি। তার আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ছবি পক্ষপাতদুষ্ট। এখানে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে যা বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত আনতে পারে। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এই ছবির ওপর পশ্চিমবঙ্গে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি চলাকালীন দেশের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘ভারতের অন্যান্য অংশে এই ছবি মুক্তি পেতে পারলে পশ্চিমবঙ্গে নয় কেন?’ পাল্টা রাজ্য সরকারের যুক্তি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব। রাজ্য সরকার প্রযোজক বিপুল শাহকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও খারিজ করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হলেও ভারতজুড়ে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ছবিটি। ইতোমধ্যে দেড় শ কোটি রুপির আয় ছাড়িয়েছে। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি, সিদ্ধি ইদনানি, দেবদর্শিনী, বিজয় কৃষ্ণ, প্রণয় পাচৌরি, প্রণব মিশ্র প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্কঃ
দেশের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকসহ আটটি দিবস বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এমন খবরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নির্মাতা ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতীয় দিবস হিসাবে বাতিল করা হলো আজ! আমি মেহের আফরোজ শাওন, বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে অন্তবর্তীকালীন সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করলাম। ’
শাওন তার স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করেন, ‘কিছুদিন পর দেখা যাবে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস বাদ, নতুন স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ৩৬ জুলাই পালিত হবে হয়তো!’
এরপর নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দালাল উল্লেখ করে শাওন লেখেন, ৭ মার্চের পক্ষে বলার জন্য যদি আমাকে ‘দালাল’ উপাধি পেতে হয় তবে আমি দালাল। আমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দালাল, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দালাল।
প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে জানানো হয়– ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস ও ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস বাতিল হচ্ছে।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে উপদেষ্টা পরিষদ এসব জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৭ অক্টোবর তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
‘শেরশাহ’ মুক্তির পর বলিউডি নায়ক সিদ্ধার্থ মালহোত্রা বলেছিলেন, নায়িকা কিয়ারা আদভানির সঙ্গে রোমান্টিক সিনেমা তিনি মিস করতে চান না। যদিও গত কয়েক বছরে এই দম্পতিকে একসঙ্গে পর্দায় না পেয়ে দর্শকরা তাদের মিস করেছেন। এখন কিয়ারা জানালেন, একে অপরের হাত ধরে ফের পর্দায় আসতে চলেছেন তারা।
এবারের ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় প্রথমবারের মত পা রাখেন কিয়ারা। সেখানে ‘উইমেন ইন সিনেমা গালা’তে অংশ নিয়ে নতুন কাজের খবর দেন এই অভিনেত্রী।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, এই আলোচনার সূত্রপাত হয় কিয়ারা-সিদ্ধার্থ অভিনীত ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘শেরশাহ’কে ঘিরে। ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার জীবন আর কার্গিল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত অ্যাকশনধর্মী ওই সিনেমায় প্রেমের অংশ নেহাত কম থাকলেও, এ চলচ্চিত্রই কিয়ারা-সিদ্ধার্থকে ‘রোমান্টিক জুটি’ আখ্যা দিয়েছে। তাদের অনুরাগীরা চান এক পূর্ণাঙ্গ প্রেমের সিনেমায় তাদের জুটি হিসেবে দেখতে।
কানে ‘শেরশাহ’ প্রসঙ্গ উঠলে কিয়ারা বলেন, “আমি জানি, ‘শেরশাহ’ আমাদের প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে। আমি এবং সিদ্ধার্থ অফুরান ভালোবাসা পেয়েছি। হতাশ করছি না। আমাদের ফের একসঙ্গে শিগগিরই দেখা যাবে। আমরা চাই আবার জুটি হিসেবে সবার ভালোবাসা কুড়াতে। আমরা যেন আমাদের অভিনীত চরিত্রের প্রতি সুবিচার করতে পারি।”
তবে সিনেমা এবং প্রযোজক ও পরিচালকের নাম সামনে আননেনি কিয়ারা। তাদের আগামী কাজ সম্পর্কে জানতে একটু অপেক্ষা করতে অনুরোধ করেছেন সবাইকে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েন কিয়ারা ও সিদ্ধার্থ। এরপর দুজন আলাদাভাবে কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন।
মন্তব্য করুন