জুলাই গণহত্যায় জড়িত অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকর্মীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের যে সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েছে, সেটাকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
রবিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ এ কথা জানায়।
তিনি জানান, রাজনৈতিক দল হিসেবে মাফিয়া আওয়ামী লীগের দেশ-বিদেশে কোথাও স্বীকৃতি নেই। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র মানে না, তাদের ডিএনএতে গণতন্ত্রের কোনো অস্তিত্ব নেই।
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের আওতায় আনতে আইন সংশোধন এবং তাদের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে বিএনপি সাধুবাদ জানায়।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে সরকারকে আগামীতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে।
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের ২ দিনের টানা আন্দোলনের মুখে গতকাল আওয়ামী লীগ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। প্রায় ৩ ঘণ্টা বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকর্মীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনীতেও উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিয়েছে।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ শনিবার, ১০ মে ২০২৫ তারিখে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, এর পাশাপাশি আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশকে আবার কিভাবে গড়ে তোলা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই চেষ্টা করছেন বলে জানায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবদলের গ্রাফিতি আর্টসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই আন্দোলনে বিএরপির কোনো নেতাই মুচলেকা দেননি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গোটা বাংলাদেশ নেমে এসেছিল। জুলাই আন্দোলনে যুবদলের শহীদ ৭৯ জন, ছাত্রদলের ১৪২ জন। যার যা অবদান আছে, তা তাকে দিতে হবে। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কোনো একটি দল বা ছাত্র একা আন্দোলন করেননি, শিশু-বৃদ্ধ সবাই জুলাই অভ্যুত্থানে নেমে এসেছিল। সবার অংশগ্রহণে স্বৈরাচারের বিদায় সম্ভব হয়েছে’।
মির্জা ফখরুল বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীর চাঁদাবাজি- এটা কি আমরা চেয়েছিলাম? এত তাড়াতাড়ি যদি এসব ঘটে, তবে ভবিষ্যৎ কী? গোটা বাংলাদেশ তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছে। হাসিনা পতনের মানুষদের দিকে তাকিয়ে আছে সবাই। কিন্তু দুঃখ হয়, জোর গলায় বলতে পারছি না যে এ দেশ নতুন করে গড়ে উঠবে। দেশ এমন অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ফ্যাসিস্টদের নতুন করে সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাসিনার বিচারের তো কিছু দেখতে পেলাম না, এক বছর হয়ে গেল। যারা প্রকাশ্যে হত্যা করল, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হলো না?
সংস্কার ইস্যুতে বিএনপি সব ধরণের সহযোগিতা করছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কারের বিষয়ে সরকারের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। তবে যতই চাপ তৈরি করে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হোক না কেন, দেশের মানুষ লড়াই করতে জানে। দেশের মানুষ লড়াই করে দেশকে মুক্ত করেছে। তারেক রহমান চেষ্টা করছেন, কিভাবে বাংলাদেশকে আবার গড়ে তোলা যায়।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন নিবন্ধন ছাড়া দলগুলোই ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
তিনি বলেন, ৫২টি দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। আর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় না কারা বলি, যেসব দলের নিবন্ধন হয় নাই, যাদের জন্ম ৫ আগস্টের পর। এরা ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
ডিসেম্বর বলছে বিএনপির পক্ষ থেকে। আমি বলছি কেন ডিসেম্বর, কেন সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে নির্বাচন নয়? কোন কাজটা বাকি আমি তো দেখতেছি না।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই একটি দেশের মূল শক্তি। দেশ গড়তে সবাইকে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। বিএনপি সরকার গঠন করলে তা হবে জবাবদিহিমূলক সরকার।
নির্বাচনের সময়সীমা প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্রের পথ কেউ যদি রুদ্ধ করতে চায়, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া কেউ যদি বাধাগ্রস্ত করতে চায়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের রুখে দেওয়া হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে নির্বাচন।
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর দ্বারা কী অর্থ বহন করে এমন প্রশ্ন রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার সূচনা ও ২,৩,৪ দফা নিয়ে আপত্তি আছে বিএনপির। সূচনায় অসত্য তথ্য দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার গুলশানের নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কিছু কিছু বিষয় আলোচনা না হলেও তা জুলাই সনদে রাখা হয়েছে। এছাড়া কিছু বিষয়ে সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়নি। সবকিছু পর্যালোচনা করে কমিশনের মতামত পাঠাবে বিএনপি। আগামী সংসদ গঠনের দুইবছরের মধ্যে সংবিধান সংক্রান্ত সংশোধনী পাশ করার কথা বলা হলেও চূড়ান্ত খসড়ায় তা নেই।
তিনি বলেন, জুলাই সনদে উত্থাপিত ৮৪ দফার মধ্যে যেসব দফায় সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে সেগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, যেসব বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট এসেছে সেগুলোর সুরাহা কীভাবে হবে এবং সংবিধান সংস্কার বিষয়ক যেসব কথা এসেছে তার বাস্তবায়ন কীভাবে, সেটা এখন জরুরি। এ সব কিছু পর্যালোচনা করে কমিশনকে মতামত জানাবে বিএনপি।
জুলাই সনদে সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে কথা এসেছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, অনেক বিষয় আছে যেসব বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন। সেগুলোর অনেক বিষয়ই অধ্যাদেশসহ সরকারের নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নযোগ্য। তবে সংবিধান সংশোধন এবং ঐকমত্য হওয়া সব বিষয় পরবর্তী সংসদ তাদের মেয়াদের দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে বলে অঙ্গীকার দেওয়ার কথা ছিল।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগের সনদে নির্বাচিত সংসদ পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবে বলা হলেও, নতুন সনদে তা নাই। এছাড়া দ্বিতীয় দফার আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অঙ্গীকারনামায় সনদকে সংবিধানের উপরে রাখা হয়েছে। তবে কোনো ডকুমেন্ট সংবিধানের উপরে হতে পারে না। যদি সনদ সংবিধানের উপরে রাখা হয়, তাহলে ভবিষ্যতের জন্য খারাপ নজির হবে। জুলাই সনদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবেনা বলা হয়েছে, এটাও সঠিক হয়নি।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন। কমিশনের প্রস্তুতি প্রায় শেষপর্যায়ে। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা খুব দৃঢ়ভাবে উচ্চারণ করেছেন। এটা নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। যারা নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা মাঠের বক্তৃতায় বলছেন তারা হয়তো নির্বাচনী কৌশল হিসেবে বিভিন্ন পক্ষকে চাপে রাখার জন্য বলতে পারে এটা তাদের বক্তব্য এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
মন্তব্য করুন
বিএনপি ক্ষমতার যাওয়ার জন্য অস্থির নয় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণের মালিকানা তাদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হলে অনেক সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১২টি মৌলিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। বাকীগুলো ঐকমত্যের দিকে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, তা বাদ দিয়ে শুধু মৌলিক বিষয়গুলোই সংস্কার করা উচিত।
গণতন্ত্রে সীমা থাকা উচিত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রে কাঁদা ছোড়াছুড়ি হলেও সেখানে সীমা থাকা উচিত। এমনটা না হলে ভবিষ্যতে তিক্ততা তৈরি হবে।
এ সময় জুলাই-আগস্টে শহীদদের আত্মত্যাগের কথা মনে রেখে সবাইকে দেশ গঠনে ঐকবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে কক্সবাজার ভ্রমণ করায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) দলের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত একটি চিঠি এনসিপির ৫ নেতাকে পাঠানো হয়।
শোকজ হওয়া এই পাঁচজন হলেন, এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদ সাইফুল্লাহ।
চিঠিতে বলা হয়, গতকাল ৫ আগস্ট জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজার যান। এই সফর সংক্রান্ত কোনো তথ্য কিংবা ব্যাখ্যা ‘রাজনৈতিক পর্ষদ’ এর নিকট পূর্বে অবগত করা হয়নি।
এমতাবস্থায়, আপনার এই সিদ্ধান্তের কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নিকট সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্য আপনাকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছরপূর্তির দিনে পূর্বঘোষণা ছাড়াই রহস্যজনকভাবে কক্সবাজারে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় পাঁচ নেতা। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং-বিজি-৪৩৩ যোগে তারা কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। নির্ধারিত কোনো গাড়ির পরিবর্তে বিমানবন্দর পার্কিং এলাকা থেকে একটি নোয়াহ মাইক্রো ভাড়া করে এনসিপির এই নেতারা মেরিন ড্রাইভ দিয়ে ইনানীর হোটেল সি পার্ল অ্যান্ড স্পাতে ওঠেন বলে জানান ভাড়ায় যাওয়া সেই গাড়িচালক। তবে ঢাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছর পূর্তির দিনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরিবর্তে কেন তারা কক্সবাজারে তার কোনো সঠিক বিবরণ মিলছে না।
মন্তব্য করুন
কয়েক দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলু আমদানিরও সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর নগরীর হাজীরহাট চেয়ারম্যানের মোড় এলাকার আরমান কোল্ড স্টোরেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে অভিযানের সময় অসংগতি পাওয়ায় দুজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। তারা হলেন- আরমান কোল্ড স্টোরেজের এজিএম রেজাউল করিম লেবু, আলু ব্যবসায়ী রাসেল।
ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, কোল্ড স্টোরেজে আলুর দাম ২৭ টাকা নির্ধারণ করে হয়েছে। তারপরও অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজের কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে আলুর বাজার অস্থির করছেন। আমরা এসব সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। আরও ৩/৪ দিন দেখব। এরমধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে সরকারের কাছে ডিমের মতো আলু আমদানিরও সুপারিশ করবো।
আরমান কোল্ড স্টোরেজ প্রসঙ্গে সফিকুজ্জামান বলেন, এখানে রাসেল নামের এক ব্যক্তি নিজের উৎপাদিত আড়াই হাজার বস্তা আলু ও স্থানীয় কৃষকদের সাড়ে ১২ হাজার বস্তাসহ মোট ১৫ হাজার বস্তা আলু নিজের নামে রেখেছেন। এভাবে অন্যের আলু নিজের নামে রেখে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন রাসেল। এছাড়া কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ ব্যাংক থেকে চার কোটির বেশি টাকা লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছে। কী উদ্দেশ্যে লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে এবং রাসেল ও কোল্ড স্টোরেজের জিএম রেজাউল করিম লেবুর সিন্ডিকেট বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য তাদেরকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দখলদার-চাঁদাবাজদের স্থান বিএনপিতে হবে না বলে জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার মূলমন্ত্র বুকে ধারণ করে এই দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। গণতন্ত্রের মূলনীতিকে উর্ধ্বে তুলে ধরেই শত প্রতিকূলতা ও ঝড়-ঝাপটা অতিক্রম করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে এসেছে। স্বজাতির সব ধর্ম ও বর্ণের সজ্জন মানুষ ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশায় যুক্ত ব্যক্তিরা এই দলের সদস্য হতে পারেন। সমাজবিরোধী কোনো ব্যক্তি, দখলবাজ, চাঁদাবাজদের স্থান এই দল বরদাশত করে না। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু দল যখনই এ ধরণের ঘটনা অবহিত হয় তখনই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করেনি।
রাজধানীয় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই গণতান্ত্রিক সংবিধান ও সুশাসনের জন্য আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নির্মাণ করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং এর জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম করে এসেছে। এই দল মনে করে একটি আদর্শ রাষ্ট্র ও সমাজে নেতৃস্থানীয় মানুষদের যোগ্যতা, দক্ষতা, ন্যায়পরায়ণতা, সৎ ও মানবিক গুণাবলী থাকা ব্যক্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই উল্লিখিত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। জাতীয়তাবাদী শক্তির সমবেত ধ্বণীই হচ্ছে সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বর্তমান সময়ে নানাবিধ সামাজিক অপরাধের বিভিন্ন মাত্রার প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনিক স্থবিরতার কারণেই ‘মব কালচার’ এর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবৈধ কালো টাকা এবং গোপন অপতৎপরতার প্রভাবে ‘মব কালচার’ এর নামে সমাজে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা চলছে। আবার অন্যদিকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বার্থান্বেষী মহল বিএনপির নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই পরিকল্পিত অপপ্রচার, অপতৎপরতা, কৃত্রিমভাবে তৈরী সামাজিক অশান্তি গণতন্ত্রের পথচলাকে বাধাগ্রস্ত করা এবং নির্বাচন পেছানোর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বলে জনগণ মনে করে। শেখ হাসিনার আমলে অদ্ভুত উন্নয়নের বয়ানের মতো এখন নির্বাচন পেছানো নিয়ে নানা ধরণের বয়ান দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দলের ভেতরে থেকে অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত হলে তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। ইতোমধ্যে বেশ কিছু নেতাকর্মীকে বহিষ্কার, অব্যাহতি প্রদান, পদ স্থগিত, কারণ দর্শাণোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, দলের পক্ষ থেকে এহেন চলমান সাংগঠনিক ব্যবস্থার বিষয়ে গণমাধ্যমে খুব একটা উল্লেখ করা হয়নি। উপরন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঢিলেঢালা ভূমিকা রহস্যজনক। দলের পক্ষ থেকে বারবার অপরাধী ও বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও প্রশাসন নির্বিকার থাকছে। দুস্কতিকারিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দল থেকে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন খুব একটা সক্রিয় হয়নি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কলকাঠি নাড়ছেন বলে স্পষ্টত: প্রতীয়মান হয়। এ রকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে সমাজ-সংস্কৃতি, সভ্য আচরণ বিপন্ন হয়ে পড়বে। প্রশাসনিক এই নিষ্ক্রিয়তার কারণে জনগণের এখন জীবনমরণের প্রশ্ন। গণতন্ত্রের স্থায়ী পুনরুজ্জীবন ও ঐতিহাসিক সার্থকতা নির্ভর করছে রাষ্ট্র ও সমাজে শান্তি ও স্থিতির ওপর। আর এ ক্ষেত্রে দক্ষ প্রশাসন অতীব জরুরী। কিন্তু আওয়ামী আমলের কালো টাকা ও তাদের দোসরদের ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ তৎপরতার কারণে দুস্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে এবং সমাজে নৈরাজ্য তৈরীর সম্ভাবনা সৃষ্টির আলামত দেখা যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি। এজন্য দলের পক্ষে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনী রোডম্যাপ চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে, তা পরিষ্কারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে রোডম্যাপ চাইবে বিএনপি। দল মনে করে জুনের আগে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।
বিএনপির এই নেতা জানায়, সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে কিছু বিষয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে, পঞ্চাদশ সংশোধনীর পূর্ববস্থা বহাল চায় বিএনপি। ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিলের বিষয়ে কোনো প্রস্তাবনা দেওয়া হয়নি, এটা নিয়ে ভুল ব্যখ্যা দেওয়া হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে প্রধান উপদেষ্টার যে আলোচনা হয়েছে তা জনগণের দাবি। এটাকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান কেবল একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য হয়নি। বরং এটি ছিল জনগণের অধিকার রক্ষা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "মৌলিক ও গঠনমূলক সংস্কার করে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচারব্যবস্থা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া সবার জন্য সমান ও স্বচ্ছ হবে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "জুলাই সনদ জাতির সামনে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। এটি আমাদের অঙ্গীকার, এবং এ অঙ্গীকার রক্ষা করতে হবে। যাতে দেশে আর কখনও স্বৈরতন্ত্র বা ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে, সে জন্য সব ধরনের নিষ্ক্রিয়তা ও পথ বন্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংবিধান চাই।"
এনসিপির পক্ষ থেকে এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে একটি পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে।
মন্তব্য করুন