বিনোদন ডেস্ক:
আম্বানি পরিবারের বিয়ে নিয়ে আবারও শোরগোল চলছে গত কয়েকদিন ধরে। মুম্বাইয়ের বিকেসির জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে ১২ জুলাই আম্বানিপুত্রের গ্র্যান্ড বিবাহের অনুষ্ঠানে বলিউডের জনপ্রিয় সব তারকাদের মেলা বসেছিল।
বিয়েতে বলিউড তারকা জুটি রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট কাপুরও উপস্থিত ছিলেন। রণবীর কাপুর সাদা শেরওয়ানি ও পায়জামা পরে এসেছিলেন। তবে, হট পিংক কালারের শাড়ি পরে আলাদাভাবে সবার নজর কাড়েন আলিয়া ভাট। মনিশ মলহোত্রার আর্কাইভাল উইভ কালেকশন থেকে আলিয়া ভাট এই সিল্ক শাড়িটি কিনেছিলেন বলে জানা যায়।
গোলাপি রঙা পিওর সিল্কের শাড়িটিতে ৯৯ শতাংশ খাঁটি রুপার কাজ করা হয়েছে। রুপার কাজের পাশাপাশি সম্পূর্ণ শাড়িতে গোল্ডেন অ্যান্টিক কাজ ফুটিয়ে তুলতে ৬ গ্রাম স্বর্ণ ব্যবহার হয়। এদিকে শাড়িটির ব্যাপারে ডিজাইনার মনিশ মলহোত্রা একটি বিশেষ তথ্য জানিয়েছেন, আলিয়ার শাড়িটি গুজরাটের ঐতিহ্যবাহী অশাবলী শাড়ি, যা প্রায় ১৬০ বছরের পুরোনো!
আলিয়ার চুলে স্লিক বান ও খোঁপায় জড়ানো ফুল তো ছিলই। এছাড়াও ট্র্যাডিশনাল শাড়ির সঙ্গে মানানসই জুয়েলারি পান্না ও সোনার হার, মাং টিকা ও ঝুমকা ঘরানার দুল পরেও বিশেষভাবে নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। নেটিজেনদের মতে, দুর্দান্ত লাগছিল সেদিন মিষ্টি এ অভিনেত্রীকে।
মন্তব্য করুন
১৯৮৭ সালে বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ এবং সুনীতা আহুজার বিয়ে হয়। সুনীতা তখন মাত্র ১৮ বছর বয়সী ছিলেন। দীর্ঘ ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের সম্পর্কের সমীকরণ সময়ের সঙ্গে অনেকটাই বদলেছে, এমনটাই জানিয়েছেন গোবিন্দের স্ত্রী সুনীতা আহুজা। তবে কি তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে কোনো ফাটল দেখা দিয়েছে? সম্প্রতি সুনীতা আহুজার এক মন্তব্যে সে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
গোবিন্দ তার রোমান্স, কমেডি এবং নাচের জন্য পরিচিত বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। ১৯৯০-এর দশক থেকে আজ পর্যন্ত তিনি একইভাবে জনপ্রিয় রয়েছেন। তবে এবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে গোবিন্দের ব্যক্তিগত জীবন এবং তার দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুনীতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "আমাদের দুটি বাড়ি রয়েছে। একটি অ্যাপার্টমেন্টে আমি এবং আমার সন্তানরা থাকি, অন্যদিকে গোবিন্দ বাংলোয় থাকেন। যখন সে কাজের কারণে দেরি করে, তখন আমাদের যোগাযোগ কিছুটা কমে যায়।"
সুনীতা আরও বলেন, "গোবিন্দ সব সময় তার কাজে ব্যস্ত থাকে এবং রোমান্সের জন্য তার সময় নেই। আমি তাকে বলেছি, ‘আগামী জীবনে যেন আমার স্বামী না হয়’। সে কখনোই ছুটিতে যায় না, আমি এমন একজন যে আমার স্বামীর সঙ্গে রাস্তায় পানি-পুরি খেতে চাই, কিন্তু সে কখনোই তা করতে চায় না।"
সুনীতা আরো বলেন, "আমরা ৩৭ বছর ধরে একসঙ্গে আছি, তবে এখন আমি জানি না সে কেমন বদলে গেছে। তার বয়স ৬০ বছরের বেশি হয়ে গেছে, এবং এখন সে আগের মতো কাজের মধ্যে ডুবে থাকে না। আমি কিছুটা ভয় পেতে শুরু করেছি, কারণ তার বয়স বাড়ছে এবং সে আগের মতো নিজেকে কাজে ডুবিয়ে রাখে না। আগে মনে হতো, আমি নিরাপদ, কিন্তু এখন আমি জানি না। হয়তো তার বয়সের কারণে কিছু ভুল পথে চলে যাচ্ছে, তবে আমি নিশ্চিত নই।" তবে বিচ্ছেদের বিষয়ে সুনীতা সরাসরি কিছু বলেননি।
মন্তব্য করুন
‘করণ অর্জুন’ ছবিটি পরিচালনা করতে গিয়ে কালঘাম ছুটেছিল বলিউড পরিচালক-প্রযোজক রাকেশ রোশনের। ছবির দুই প্রধান নায়ক, শাহরুখ খান ও সালমান খান, এর অন্যতম কারণ ছিলেন। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তথ্যচিত্র সিরিজ ‘দ্য রোশনস’। সেখানে পরিচালক রাকেশ রোশন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান ও ভাইজানখ্যাত সালমান খানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, প্রতিদিন শুটিংয়ে যাওয়ার আগে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতেন।
এই ছবির গল্প নিয়ে শাহরুখ ও সালমানের কোনো আগ্রহই ছিল না। রাকেশ রোশন বলেন, "তাদের প্রতি কোনো আস্থা ছিল না, এবং তারা ছবির বিষয়ে মোটেও সিরিয়াস ছিল না।" এমনকি এই তথ্যচিত্রে শাহরুখ খান নিজেই স্বীকার করেছেন যে, সেই সময় তিনি দুর্ব্যবহার করতেন। এজন্য তিনি রাকেশ রোশনের স্ত্রীর কাছ থেকেও বকুনি খেয়েছিলেন। রাকেশ রোশন ভয়ে ভয়ে থাকতেন, যাতে তিনি নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলেন না।
পরিচালক জানান, "সব ছবিতেই আমি নিশ্চিন্তে কাজ করেছি, কিন্তু 'করণ অর্জুন' ছবিতে প্রথম থেকেই সমস্যা ছিল। একেক দিন ভাবতাম, কেন এসব ঘটছে? তবে মেনে নিয়েছিলাম।" তিনি আরও বলেন, "প্রতিদিন সকালে প্রার্থনা করতাম— যেন আমি মেজাজ হারিয়ে না ফেলি। এই ছেলে দুটো অপরিণত। তারা যেমন আচরণ করছে করুক, আমি যেন মাথা গরম না করি এবং কাজটা শেষ করি।"
রাকেশ রোশন জানান, সালমান ও শাহরুখের ছবির গল্প নিয়ে কোনো আগ্রহই ছিল না। তিনি মনে করেন, "একদিন একটি দৃশ্যের শুটিংয়ের সব কিছু প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল, সূর্য ডোবার মুখে, কিন্তু তারা কোথাও ছিল না। শেষ মুহূর্তে তারা এল এবং তাড়াহুড়ো করে শুটিং শুরু করল।"
এই সিরিজে বর্ষীয়ান অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিংহও তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, "ওরা সত্যিই খুব যন্ত্রণা দিয়েছিল রাকেশ রোশনের, কোনো সহযোগিতা করেনি। এমন পরিস্থিতি দেখে রাকেশের স্ত্রী তাদের খুব বকাঝকা করেছিলেন।"
শাহরুখ খান তার কথায় বলেন, "সালমান আর আমার মধ্যে আমার আচরণ তুলনামূলক ভালো ছিল। অন্তত আমি সামনে ভালো ব্যবহার করতাম। আমরা দুজন বাচ্চা মিলে একজন পিতৃসম ব্যক্তিকে খুব জ্বালিয়েছিলাম।"
মন্তব্য করুন
ইদানিং খুবই আনন্দে রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। আর থাকবেন নাই বা কেন, একেবারে হলিউড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে শ্রাবন্তীর রূপ! সেই রূপে আবার ঘায়েলও হয়েছেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা জন সিনা। হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে। তবে পুরো ব্যাপারটাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে শ্রাবন্তীকে ফলো করা শুরু করেছেন হলিউড অভিনেতা জন সিনা। আর তা দেখেই একেবারে আহ্লাদে আটখান অভিনেত্রী।
এই ঘটনার পর শ্রাবন্তী এক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, প্রথমে তো বিশ্বাস হচ্ছিল না। ভেবেছিলাম হয়তো ফেক অ্যাকাউন্ট। তবে পরে ভাল করে দেখি, অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক রয়েছে। সত্যিই খুব আনন্দ লাগছে।
শ্রাবন্তী এই মুহূর্তে রয়েছেন লন্ডনে। জিতু কমলের সঙ্গে জুটি বেঁধে সেখানে চলছে ‘বাবুসোনা’ ছবির শুটিং। এই ছবিতে জিতু কমলকে দেখা যাবে কিডন্যাপারের চরিত্রে। অন্যদিকে ছবিতে শ্রাবন্তী হবেন চোর। তবে নিজেদের কুকর্মকে ঢাকতে দুইজনেই অন্য পেশার মুখোশ পরে থাকেন। হঠাৎ ছবির গল্পে টুইস্ট। লন্ডনে এক শিশুর অপহরণের ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন দুজনে। তারপর গল্প নেয় নতুন মোড়।
‘বাবুসোনা’ ছবিতে শ্রাবন্তী ও জিতু কমল ছাড়াও রয়েছেন পায়েল সরকার, আলেকজান্দ্রা টেলর, সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়, বিলাস দে, অত্রি ভট্টাচার্য, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
মন্তব্য করুন
মুম্বাইয়ে সোমবার স্ত্রী গৌরী খানের প্রথম বই প্রকাশ করলেন শাহরুখ খান। ডিজাইনার গৌরী খানের এই কফি টেবিল বইয়ের নাম ‘মাই লাইফ ইন ডিজাইন’। মূলত ইন্টিরিয়র ডিজাইন নিয়েই এই বই লেখা। এদিন অনুষ্ঠানে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের সঙ্গে স্ত্রীয়ের সম্পর্ক নিয়েও মুখ খোলেন কিং খান। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা তার কাছে যে স্বামীর ডিউটির থেকেও বেশি, তাও বোঝান।
অভিনেতা বলেন, ‘আমি ও গৌরী একে অপরকে বহু বছর ধরে চিনি। ও তখন ১৪, আমি ১৮ এবং বহু বছর ধরে একে অপরকে চিনি আমরা এবং কখনও কখনও যদি একে অন্যকে এত বছর ধরে চেনা হয়ে যায় তাহলে একে অপরের কাজের প্রতি সেই সম্মানটা হারিয়ে যেতে শুরু করে। কারণ একে অন্যকে তখন আমরা টেকেন ফর গ্রান্টেড করে নিই। আমি আমার কাজ বহুদিন ধরে করছি এবং তাতে গৌরী নিজের যতটুকু অংশ করার তার সেরাটা করেছে। আমরা তিনজন সুন্দর বাচ্চা বড় করেছি। একজন সিনে তারকার স্ত্রী হয়ে থেকেছে ও যে কিনা ঈশ্বর ও মানুষের আশীর্বাদে প্রবল খ্যাতি অর্জন করেছে।’
এরপরও শাহরুখ খান বলেন, আমাদের পরিবারে, আমার ১০ বছরের ছেলে সমেত, সবার মধ্যেই সৃজনশীলতার সূক্ষ্ম একটা বুদ্ধি আছে। আমার মনে হয় আমাদের বিবাহিত জীবনের ২৩ থেকে ২৪ বছর, মুম্বাইয়ে ঘর বাঁধতে এবং আমাদের পেশা থেকে মানুষের এত ভালোবাসা পেতে, বাচ্চাদের বড় করতেও এত ব্যস্ত ছিলাম যে গৌরী বোঝেনি যে ওঁর একটা অন্যদিকও আছে যাকে জীবন দেওয়া প্রয়োজন। এই বইটা আমি মনে করি সেই সবকিছুর প্রতিনিধিত্ব করে।
মন্তব্য করুন
নতুন মা হওয়া বলিউডের তারকা অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন বলেছেন মেয়ের জন্য যখন তাকে রাত জাগতে হয়, তখন কোনো কোনো সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়ে যান তিনি। এর কারণ হল 'ঘুম কম হওয়ার ক্লান্তি'।
হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, গেল সপ্তাহে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ‘লাইভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশন’র অনুষ্ঠানে নতুন মা হওয়ার পর কী ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হচ্ছে সে সব বলেছেন দীপিকা। মানসিক চাপ এবং ঘুম না হওয়ার কারণে কী কী ঘটছে সেসব নিয়েও কথা বলেন নায়িকা।
অভিনেত্রী বলেন, “যখন ঠিকমত ঘুম হয় না, অতিরিক্ত স্ট্রেস থাকে তখন আমার সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়, আবার ভুলভাল সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলি।” চলতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর কন্যা সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন দীপিকা ও রাণবীর সিং। দীপিকা তার এই সময়ের দুঃখ, কষ্ট, রাগ নিয়েও কথা বলেন।
তিনি জানান, “এটা একদম স্বাভাবিক। মানুষমাত্রই তার রাগ, কষ্ট হবে। আর এই অনুভূতিগুলো আমাদের অনেক কিছুই শেখায়। কিন্তু এগুলো থেকে আমি কী শিখছি, পজেটিভলি কীভাবে তাতে রিঅ্যাক্ট করছি সেটাই আসল। কাজের মধ্যে থাকতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে।”
সন্তান জন্মের পর দীপিকা জানিয়েছিলেন, তিনি তার মেয়ের যতœ ন্যানির হাতে ছাড়তে চাইছেন না। তার এবং রাণবীরের সিদ্ধান্ত হল তারা নিজে হাতে মেয়েকে বড় করবেন। এ কাজে বড়জোর তাদের দুই পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে থাকতে পারেন।
এছাড়া এখনই মেয়ের ছবি প্রকাশ করতে রাজি নয় দীপিকা ও রাণবীর। তারা চাইছেন প্রচারের আলো থেকে সন্তানকে দূরে রাখতে। এমনকি সন্তানের বয়স এক মাসের বেশি হলেও তার নাম প্রকাশ করেননি তারকা দম্পতি।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
বিয়ে করতে যাচ্ছেন সালমান খানের ভক্ত ‘বিগ বস’ প্রতিযোগী ও অভিনেতা-গায়ক আবদু রোজিক। সম্প্রতি তিনি নিজেই একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে এই সুখবর ভাগ করে নিয়েছেন।
১৯ বছর বয়সী আমিরাকে বিয়ে করছেন ২০ বছর বয়সী আবদু। আমিরা শারজার মেয়ে।
এক ভিডিও বার্তায় আবদু জানান, তিনি তার জীবনের ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছেন এবং গাঁটছড়া বাঁধতে প্রস্তুত। গেল বুধবার নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে বিয়ের আংটির একটি ছবিও পোস্ট করেছেন আবদু। সাদা শার্ট, কালো ব্লেজার ও ম্যাচিং প্যান্টে ক্যামেরার সামনে বসে লাজুক মুখে বিয়ের কথা জানান তিনি।
ভিডিও বার্তায় আবদু বলেন, বন্ধুরা, আপনারা জানেন যে আমার বয়স ২০ বছর এবং আমি এমন একটি মেয়ের প্রেমে পড়ার স্বপ্ন দেখেছি যে আমাকে সম্মান করবে, যে আমাকে খুব ভালোবাসবে। এটা আমার স্বপ্ন ছিল। হঠাৎ খুঁজে পেলাম সেই মেয়েকে যে আমাকে সম্মান করছে, অনেক বেশি ভালোবাসা দিচ্ছে। আমি জানি না কীভাবে এটি বলব কারণ আমি খুব উত্তেজিত। একটা গয়নার বাক্স বের করে আবদু বলল, ‘তোমাদের সবার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। ’
ক্যাপশনে আবদু লেখেন, আমি জীবনে কখনো ভাবিনি যে আমি এমন একজন ভালোবাসার মানুষ পেয়ে যাব যে আমাকে সম্মান করবে। আমি কতটা খুশি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ের শপিং মলের সিপ্রিয়ানি ডলসিতে আমিরার সঙ্গে আবদুর দেখা হয়। আগামী ৭ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হবে, বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আবদুর ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যানেজমেন্ট (আইএফসিএম)।
আবদু তাজিকিস্তানের একজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। তিনি ‘বিগ বস ১৬’-তে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারতে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তবে পূর্ব পেশাগত বাধ্যবাধকতার কারণে স্বেচ্ছায় ‘বিগ বস ১৬’ ত্যাগ করেন আবদু। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্রের মধ্যে দিয়ে বড় হওয়া আবদু সেই সময় থেকেই রিকেট রোগে আক্রান্ত। ফলে থেমে যায় তার শারীরিক বৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
ইকুয়েডরের মডেল ল্যান্ডি পারাগা গোবুরোকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করেছে অস্ত্রধারীরা।
নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, গত রোববার ২৩ বছর বয়সী মডেলকে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কুখ্যাত এক গ্যাংস্টার দলের সঙ্গে গোপন যোগাযোগের কারণেই খুন হয়েছেন ল্যান্ডি।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, রেস্তোরাঁয় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন ল্যান্ডি। তখন মাস্ক পরা দুই অস্ত্রধারী ভেতরে ঢুকে গুলি চালায়। রেস্তোরাঁর মেঝে রক্তে ভেসে যায়।
নিরাপত্তারক্ষীরা আসার আগেই অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার কারণ ও হত্যাকারীদের খুঁজতে এর মধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। শনিবার এক বিয়ের দাওয়াতে হাজির হয়েছিলেন ল্যান্ডি। এর পরদিনই নির্মমভাবে খুন হলেন তিনি।
২০২২ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইকুয়েডর’-এ অংশ নেন ল্যান্ডি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ১০ লাখের বেশি অনুসারী ছিল।
মন্তব্য করুন
১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তখন তার নামে ৩৬টি মামলায় হয়। ছাত্র রাজনীতিতে তিনি তখন বেশ সক্রিয়, সিনেমা অভিনয় নিয়ে কোনো ভাবনাই ছিল না তার।
তবে একের পর এক যখন মামলা হতে থাকল তখন তার বন্ধুরাই বলল, ‘সিনেমায় ঢুকে যাও।’ সেই ঘটনার বিবরণ দিয়ে ফারুক বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমার নামে হয়রানিমূলক ৩৬টি মামলা হয়। এগুলো থেকে বাঁচার জন্য আমার কিছু বন্ধুবান্ধব বলে, চলচ্চিত্রে ঢুকে যাও। এরপরই চলচ্চিত্রে আসি।’
ফারুকের প্রথম সিনেমা ‘জলছবি’। ছবিটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৬৮ সালে ছবিটির শুটিং শুরু হয় কিন্তু মুক্তি পায় ১৯৭১-এ। মুক্তির তারিখ ২৫-এ মার্চ বা এর দুই কী তিন দিন আগে, ঠিক মনে নেই। ছবিতে আমার সহকর্মী ছিলেন কবরী। বলা যায়, আমার সিনেমাজীবন শুরুই হয় কবরীর সঙ্গে।’
সাক্ষাৎকারে চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পীদের পারিশ্রমিক নিয়েও আক্ষেপ করতে শোনা যায় অভিনেতাকে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই তিনি জানান প্রথম সিনেমা ‘জলছবি’র পারিশ্রমিক কত ছিল। ফারুক বলেন, ‘আমাকে যথাযথ সম্মান ও সম্মানী দেওয়া হয়নি। আমাকে প্রথম ছবিতে পাঁচ শ টাকা দেওয়া হয়েছিল।’
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি অভিনয় করেছেন ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘আলোর মিছিল’, ‘সুজন সখী’, ‘লাঠিয়াল’, ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘মাটির মায়া’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’, ‘নাগরদোলা’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘কথা দিলাম’, ‘মাটির পুতুল’, ‘সাহেব’, ‘ছোট মা’, ‘এতিম’, ‘ঘরজামাই’, ‘মিয়া ভাই’র মতো অসংখ্য সিনেমায়।
ফারুক তার অভিনয়ের জন্য ১৯বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু তার হাতে পুরস্কার উঠেছিল কেবলই একবার। অবশ্য ২০১৬ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। অভিনয়ের বাইরে তিনি ঢাকা ১৭ আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান সম্প্রতি ভক্তদের প্রতি একটি আবেদন জানিয়েছেন। সেটা হলো- তারা যেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের সঙ্গে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে আর প্রশ্ন না করেন।
শনিবার করাচিতে অনুষ্ঠিত ১৭তম উর্দু সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে এই অনুরোধ জানান লাস্যময়ী অভিনেত্রী।
মাহিরা খান বলেন, ‘আমি নিজে থেকে কখনোই শাহরুখ খানের প্রসঙ্গ তুলিনা। কেউ জিজ্ঞেস করলে আমি শুধু তার প্রশ্নের উত্তর দিই’।
৩৯ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘সমস্যা হয় তখন, যখন আমি এ বিষয়ে উত্তর দেওয়ার পর লোকজন মন্তব্য করে যে আমি বারবার শাহরুখ খানকে নিয়ে কথা বলি। কিন্তু বিষয়টি মোটেই তেমন নয়’।
তিনি এ সময় জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি চাই না কেউ আর এই বিষয়ে প্রশ্ন করুক। যাতে আমাকে কোনো উত্তর দিতে না হয়’।
মাহিরা খান ২০১৬ সালে বলিউডের ব্লকবাস্টার সিনেমা রইস-এ শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি তার সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
তবে বারবার এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ায় এ নিয়ে এখন বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
মালাইকা আরোরা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পছন্দ করেন। গত কয়েক বছরে তাকে বিভিন্ন কারণে ট্রোল করা হয়েছে, যার মধ্যে তার হাঁটার ধরন এবং আরবাজ খানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, বয়সে ছোট অর্জুন কাপুরের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়েও নানা সমালোচনা উঠেছে। যদিও মালাইকা হাস্যরসের সাথে একবার দাবি করেছেন যে, তিনি কোনো স্কুলের বাচ্চার সঙ্গে প্রেম করছেন না, তাই এই বিষয়ে এত আলোচনা হওয়ার কিছু নেই।
মালাইকা অর্জুনের চেয়ে ১২ বছরের ছোট। তারা এক ছাদের নিচে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন। অনেকের মতে, মালাইকা অর্জুনের জীবন নষ্ট করছেন। তবে, তাদের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরেছে বলে গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।
নিজের প্রেম জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মালাইকা জানান, তিনি অর্জুনের জীবন নষ্ট করছেন না। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমি কেবল এক বৃদ্ধা নই, বরং আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট একজন যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছি। এটা আমার সাহস, তাই না? আপনাদের মনে হতে পারে, আমি ওর জীবন নষ্ট করছি। কিন্তু আমি কি একজন স্কুল ছাত্রের সঙ্গে প্রেম করছি? আর সে আমার জন্য স্কুল মিস করছে? তার লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে কি আমার জন্য?”
তিনি আরও বলেন, “অর্জুন প্রাপ্তবয়স্ক। আমরা দু'জনেই অ্যাডাল্ট। নিজেদের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারি। যদি কোনো বয়সে বড় মানুষ একজন অল্প বয়সী মেয়েকে বিয়ে করেন, তখন তাকে খেলোয়াড় বলা হয়। কিন্তু উল্টোটা ঘটলে সবাই বলতে থাকেন যে, বিশেষ চাহিদার কারণে নারীটি এমন করেছেন।”
মন্তব্য করুন