নতুন বছরের সবচেয়ে প্রত্যাশিত সিরিজ ‘স্কুইড গেম ২’। মুক্তির পর দর্শকদের উন্মাদনাও তুঙ্গে পৌঁছেছে। ভাগ্য পরীক্ষা আর মৃত্যুর খেলায় এবার আরও দ্বিগুণ উত্তেজনা নিয়ে ফিরে এসেছে নেটফ্লিক্সের এই সেরা সৃষ্টি। আগামীতে ‘স্কুইড গেম ৩’ আসবে বলে ঘোষণা দিয়েছে নেটফ্লিক্স।
প্রতিশোধের আগুন নিয়ে প্লেয়ার নম্বর ৪৫৬ আবার ফিরে এসেছে সেই মৃত্যুর খেলার মঞ্চে। তবে প্রশ্ন উঠছে, সে কি পারবে জীবনের বিনিময়ে এই ভয়ংকর খেলা বন্ধ করতে, নাকি আবারও অসংখ্য নিরীহ মানুষের প্রাণ ঝরবে? বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় কোরিয়ান সিরিজ ‘স্কুইড গেম’-এর গল্প এমনই— জীবনের বিনিময়ে ভাগ্য বদলের খেলা। বর্তমানে সিরিজটির দ্বিতীয় সিজন নিয়ে উত্তেজনা চলছে সারাবিশ্বে এবং নেটফ্লিক্সে একের পর এক নতুন রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছে।
এই উত্তেজনার মাঝেই নতুন এক ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে নেটফ্লিক্স। নতুন বছরের প্রথম দিনে তারা জানিয়েছে, চলতি বছরেই আসছে ‘স্কুইড গেম’-এর তৃতীয় সিজন। যদিও নির্দিষ্ট মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়নি, তবে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আগামী ২৭ জুন নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে ‘স্কুইড গেম’-এর তৃতীয় সিজন।
এছাড়া, এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ‘স্কুইড গেম’-এর প্রথম সিজন মুক্তি পায় এবং মাত্র ২৮ দিনে দর্শকরা ১.৬ বিলিয়ন ঘণ্টা সময় কাটিয়েছিল এই সিরিজে। সেই সময়েই সিরিজটি বেশ কিছু পুরস্কার অর্জন করেছিল। তিন বছর পর, ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর মুক্তি পায় ‘স্কুইড গেম ২’। প্রথম সিজনের মতো, দ্বিতীয় সিজনেও মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা লি জাং জে, এবং প্রথম সিজনের বেশ কয়েকজন অভিনেতা দ্বিতীয় সিজনেও রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
‘করণ অর্জুন’ ছবিটি পরিচালনা করতে গিয়ে কালঘাম ছুটেছিল বলিউড পরিচালক-প্রযোজক রাকেশ রোশনের। ছবির দুই প্রধান নায়ক, শাহরুখ খান ও সালমান খান, এর অন্যতম কারণ ছিলেন। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তথ্যচিত্র সিরিজ ‘দ্য রোশনস’। সেখানে পরিচালক রাকেশ রোশন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান ও ভাইজানখ্যাত সালমান খানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, প্রতিদিন শুটিংয়ে যাওয়ার আগে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতেন।
এই ছবির গল্প নিয়ে শাহরুখ ও সালমানের কোনো আগ্রহই ছিল না। রাকেশ রোশন বলেন, "তাদের প্রতি কোনো আস্থা ছিল না, এবং তারা ছবির বিষয়ে মোটেও সিরিয়াস ছিল না।" এমনকি এই তথ্যচিত্রে শাহরুখ খান নিজেই স্বীকার করেছেন যে, সেই সময় তিনি দুর্ব্যবহার করতেন। এজন্য তিনি রাকেশ রোশনের স্ত্রীর কাছ থেকেও বকুনি খেয়েছিলেন। রাকেশ রোশন ভয়ে ভয়ে থাকতেন, যাতে তিনি নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলেন না।
পরিচালক জানান, "সব ছবিতেই আমি নিশ্চিন্তে কাজ করেছি, কিন্তু 'করণ অর্জুন' ছবিতে প্রথম থেকেই সমস্যা ছিল। একেক দিন ভাবতাম, কেন এসব ঘটছে? তবে মেনে নিয়েছিলাম।" তিনি আরও বলেন, "প্রতিদিন সকালে প্রার্থনা করতাম— যেন আমি মেজাজ হারিয়ে না ফেলি। এই ছেলে দুটো অপরিণত। তারা যেমন আচরণ করছে করুক, আমি যেন মাথা গরম না করি এবং কাজটা শেষ করি।"
রাকেশ রোশন জানান, সালমান ও শাহরুখের ছবির গল্প নিয়ে কোনো আগ্রহই ছিল না। তিনি মনে করেন, "একদিন একটি দৃশ্যের শুটিংয়ের সব কিছু প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল, সূর্য ডোবার মুখে, কিন্তু তারা কোথাও ছিল না। শেষ মুহূর্তে তারা এল এবং তাড়াহুড়ো করে শুটিং শুরু করল।"
এই সিরিজে বর্ষীয়ান অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিংহও তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, "ওরা সত্যিই খুব যন্ত্রণা দিয়েছিল রাকেশ রোশনের, কোনো সহযোগিতা করেনি। এমন পরিস্থিতি দেখে রাকেশের স্ত্রী তাদের খুব বকাঝকা করেছিলেন।"
শাহরুখ খান তার কথায় বলেন, "সালমান আর আমার মধ্যে আমার আচরণ তুলনামূলক ভালো ছিল। অন্তত আমি সামনে ভালো ব্যবহার করতাম। আমরা দুজন বাচ্চা মিলে একজন পিতৃসম ব্যক্তিকে খুব জ্বালিয়েছিলাম।"
মন্তব্য করুন
মা দিবসে পাত্রী চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলেন বলিউড অভিনেতা বিজয় ভার্মা! ছেলের এমন কাণ্ড দেখে মাথায় হাত অভিনেতার মায়ের। যদিও পুরো বিষয়টি ঘটেছে সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব সিরিজ ‘দাহাড়’-এর প্রচারের স্বার্থে।
গত ১২ মে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেয়েছে বিজয় ভার্মা অভিনীত ‘দাহাড়’। সেই সিরিজের প্রচারণার কৌশল হিসেবেই খবরের কাগজে বেরিয়েছে ওই বিজ্ঞাপন। সিরিজে আনন্দ স্বর্ণকার নামক চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিজয়। পাত্রী চেয়ে খবর কাগজের বিজ্ঞাপন বেরিয়েছে আনন্দ স্বর্ণকারের নামেই।
বিজ্ঞাপনের শিরোনামে লেখা, ‘ইন্ডিয়াজ #১ ব্যাচেলর’, অর্থাৎ দেশের এক নম্বর অবিবাহিত পাত্র তিনি। ঠিক কেমন ধরনের পাত্রী চাই তার? বিজ্ঞাপনে লেখা রয়েছে সেই সব তথ্যও। এদিকে সেই বিজ্ঞাপন চোখে পড়েছে বিজয়ের মায়ের। বিজ্ঞাপনে ছেলের ছবি ও পাত্রী চাইয়ের দাবির তালিকা দেখে মাথায় হাত তার। আন্তর্জাতির মা দিবসে এমনই একটি ছবি সামাজিকমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেছেন বলিউড অভিনেতা।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
সালমান খানের ভাই আরবাজ খানকে বিয়ে করে সংসার পাতেন মালাইকা অরোরা। তাদের সংসারে একটি সন্তানও রয়েছে। তবে এক সময় অর্জুন কাপুরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নিজের বর্তমান সংসার ত্যাগ করেন তিনি। এরপর অর্জুনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।
তবে যদিও তাদের বিয়ের কথা শোনা যাচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। বলিউডের মানুষদের মধ্যে এই বিচ্ছেদ নিয়ে অনেকেই অবাক হয়েছেন। অর্জুন এখন নিজের কাজে মন দিয়েছেন, আর মালাইকা তার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি একটি মজার পোস্ট করেছেন।
মালাইকা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ২৫ নভেম্বর একটি পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে তার সম্পর্কের অবস্থা দেখানো হয়েছিল। অপশনগুলো ছিল ‘রিলেশনশিপে আছি’, ‘সিঙ্গেল’, এবং ‘হেহেহে’। তিনি হাস্যরসাত্মকভাবে তৃতীয় অপশনটি বেছে নিয়েছেন। এই পোস্টটি তার অনুরাগীদের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাবিনা ট্যান্ডন। বিতর্কে জড়াতে খুব একটা দেখা যায় না তাকে। তবে এই অভিনেত্রী এবার নিজেকে বিতর্কে জড়ালেন। পথচারীদের হামলার শিকার হয়েছেন এ অভিনেত্রী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মুম্বাইয়ের রাস্তায় মধ্যরাতে রাবিনার চালক বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে মুম্বাইয়ের কার্টার রোডে রিজভি কলেজের সামনে একই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর স্থানীয়রা যখন তার গাড়ি ঘিরে ধরেন তখন অভিনেত্রী নেমে আসেন।
এই ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে বিষয়টা মেটানোর বদলে নাকি অভিনেত্রী তাদের উপর পাল্টা চড়াও হয়ে তর্ক করেন। তাতে তারা ক্ষেপে যান।
যারা এই দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন তাদের মধ্যে বয়স্ক মানুষও ছিলেন। তারা অভিনেত্রীকে মারতে এলে তখন তিনি ক্ষমা চাইতে শুরু করেন এবং অনুরোধ করেন তাকে যেন মারা না হয়। আর সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এছাড়া জানা গিয়েছে এদিন অভিনেত্রী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তিনি, তার স্বামী এবং যাদের তিনি হেনস্থা করেছিলেন সকলেই থানায় গিয়েছিলেন। তবে পুলিশ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে দেয়নি, এমনটাই জানিয়েছেন আহতদের স্বজন।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
গোটা দুনিয়ার সিনেপ্রেমী দর্শকের নজর এখন ফ্রান্সের কান সৈকতে। কারণ সেখানেই যে বসেছে সিনেমার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবের আসর। এরই মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পীরা। প্রথমবারের মতো সেখানে এবার গিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা যায়, প্রতিবারই কানে বলিউড অভিনেত্রীদের ভালো প্রভাব থাকে। লাল গালিচায় ভিন্ন ভিন্ন পোশাকে নজর কাড়েন তারা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এরই মধ্যে ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন, অদিতি রাও হায়দারি, সবিতা ধুলিপালা ও উর্বশী রাওতেলা লাল গালিচায় নজর কেড়েছেন।
‘রেড সি ফিল্ম ফাউন্ডেশন উইমেন ইন সিনেমা’ গালায় ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। রেড কার্পেটে হাঁটার আগে নায়িকা তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে কান চলচ্চিত্র উৎসবে নিজের সাজসজ্জার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে কবির সিং’খ্যাত নায়িকা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘রিভেরায় মিলনমেলা।’
এ সময় নায়িকার কানে দেখা যায় মানানসই মুক্তার লম্বা দুল ও পায়ে সাদা হাই হিল। এক হাতে আংটি, অন্য হাতের কবজিতে সুন্দর কাজ করা রিস্টব্যান্ড। কিয়ারার এ পোশাকটি ডিজাইন করেছেন প্রবাল গুরুং। তবে এর মূল্য প্রকাশ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন
পরিচালনায় নাম লিখিয়েছেন বলিউড কিং শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান। তিনি নতুন সিরিজ ‘বলিউড দ্য বা**ডস’ নিয়ে আসছেন। গত সোমবার ‘নেক্সট অন নেটফ্লিক্স’ ইভেন্টে চলতি বছরে মুক্তি পেতে যাওয়া সিরিজগুলোর নাম ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকায় আরিয়ান খানের এই নতুন সিরিজটির নামও রয়েছে।
আরিয়ানের ‘বলিউড দ্য বা**ডস’ সিরিজটিতে প্রযোজনা ও অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান নিজেই। অভিনেতা ও প্রযোজক হিসেবে ছেলের পরিচালনায় কাজ করতে গিয়ে কতটা চাপ অনুভব করেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরুখ তার নিজস্ব স্টাইলে বললেন, ‘অন্য সবাই কাজ করে, আমি শুধু নামেই প্রযোজক। এসব প্রযোজক, পরিচালক, লেখক—এরা আমার পোষাবে না… আই অ্যাম আ ব্লাডি স্টার। আমি পেছনে থেকে মিউজিক বাজাই। প্রযোজকদের সঙ্গে এসব কিছুই হয় না।’ শাহরুখের এই মজাদার উত্তরে উপস্থিত সবাই হাততালি দেন।
নেটফ্লিক্স এবং রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট গত নভেম্বরে এই সিরিজটি ঘোষণা করেছিল। শাহরুখ খান ছাড়াও এই ৬ পর্বের সিরিজে সালমান খান, রণবীর কাপুর, বাদশা এবং ববি দেওলের ক্যামিও দেখা যাবে। গত বছরের মে মাসে সিরিজটির শুটিং শেষ করেছিলেন আরিয়ান। আর গত সোমবারই ‘বলিউড দ্য বা**ডস’ এর প্রথম টিজার প্রকাশিত হয়।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্রনায়ক ফারুক। তার বাবা আজগর হোসেন পাঠান উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত আছেন। সেখানেই ফারুকের মরদেহ দাফন করা হবে।
সোমবার (১৫ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিত্রনায়ক ফারুকের ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.বি.এম মফিজুর রহমান খান।
তিনি বলেন, ‘তার (ফারুক) স্ত্রী ফারজানা পাঠান মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান, ছেলে রওশন হোসেনসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবিত অবস্থায় ফারুক সবাইকে (অসিয়ত) বলে গিয়েছেন, যেন মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সোম গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবা আজগর হোসেন পাঠানের কবরের পাশে শায়িত করা হয়।’
তিনি জানান, চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান দুলু ওরফে ফারুকের প্রথম নামাজে জানাজা সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ইউএস বাংলার ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ আসবে। পরে সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
জানাজা শেষে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আজগর হোসেন পাঠানের পাশে শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
উল্লেখ্য, চিত্রনায়ক ফারুক সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে তার মরদেহ দেশে আনা হবে।
মন্তব্য করুন
১৯৮৭ সালে বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ এবং সুনীতা আহুজার বিয়ে হয়। সুনীতা তখন মাত্র ১৮ বছর বয়সী ছিলেন। দীর্ঘ ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের সম্পর্কের সমীকরণ সময়ের সঙ্গে অনেকটাই বদলেছে, এমনটাই জানিয়েছেন গোবিন্দের স্ত্রী সুনীতা আহুজা। তবে কি তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে কোনো ফাটল দেখা দিয়েছে? সম্প্রতি সুনীতা আহুজার এক মন্তব্যে সে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
গোবিন্দ তার রোমান্স, কমেডি এবং নাচের জন্য পরিচিত বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। ১৯৯০-এর দশক থেকে আজ পর্যন্ত তিনি একইভাবে জনপ্রিয় রয়েছেন। তবে এবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে গোবিন্দের ব্যক্তিগত জীবন এবং তার দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুনীতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "আমাদের দুটি বাড়ি রয়েছে। একটি অ্যাপার্টমেন্টে আমি এবং আমার সন্তানরা থাকি, অন্যদিকে গোবিন্দ বাংলোয় থাকেন। যখন সে কাজের কারণে দেরি করে, তখন আমাদের যোগাযোগ কিছুটা কমে যায়।"
সুনীতা আরও বলেন, "গোবিন্দ সব সময় তার কাজে ব্যস্ত থাকে এবং রোমান্সের জন্য তার সময় নেই। আমি তাকে বলেছি, ‘আগামী জীবনে যেন আমার স্বামী না হয়’। সে কখনোই ছুটিতে যায় না, আমি এমন একজন যে আমার স্বামীর সঙ্গে রাস্তায় পানি-পুরি খেতে চাই, কিন্তু সে কখনোই তা করতে চায় না।"
সুনীতা আরো বলেন, "আমরা ৩৭ বছর ধরে একসঙ্গে আছি, তবে এখন আমি জানি না সে কেমন বদলে গেছে। তার বয়স ৬০ বছরের বেশি হয়ে গেছে, এবং এখন সে আগের মতো কাজের মধ্যে ডুবে থাকে না। আমি কিছুটা ভয় পেতে শুরু করেছি, কারণ তার বয়স বাড়ছে এবং সে আগের মতো নিজেকে কাজে ডুবিয়ে রাখে না। আগে মনে হতো, আমি নিরাপদ, কিন্তু এখন আমি জানি না। হয়তো তার বয়সের কারণে কিছু ভুল পথে চলে যাচ্ছে, তবে আমি নিশ্চিত নই।" তবে বিচ্ছেদের বিষয়ে সুনীতা সরাসরি কিছু বলেননি।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্কঃ
মুম্বাইয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে সম্প্রতি খুন হন ভারতীয় রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি। এই হত্যার দায় স্বাকীর করেছেন ভারতের প্রভাবশালী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।
এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সালমান খানে নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা অনিশ্চয়তা। প্রতিদিন নানাভাবে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়ার চিঠি পাওয়ায় দু-চোখ এক করতে পারছেন না সালমানের ভাই আরবাজ, সোহেল। গোটা খান পরিবার রীতিমত আতঙ্কে কাটছে প্রতিটি মহুর্ত।
এমনকি ছেলেকে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সালমানের বাবা সেলিম খান। ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে সালমানের বাবা জানান যে, কৃষ্ণসার হরিণ সালমান শিকার করেননি। তাই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছে বিনা কারণে তার ছেলের ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না’।
সেলিম খান বলেন, যে কারণে সালমান বার বার প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছে, সে ঘটনার সঙ্গে সালমান যুক্ত না। সালমান অন্তত আমাকে মিথ্যা কথা বলবে না। কৃষ্ণসার হরিণ সালমান শিকার করেননি। আমার ছেলে পশু-পাখিদের খুবই ভালোবাসে।
তিনি বলেন, এমন কাজ সে করতে পারেই না। তাই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছে বিনা কারণে ক্ষমা চাইবে কেন? আমার মনে হয় এই বিষয়টা একটু ভেবে দেখা দরকার।
প্রসঙ্গত, বাবা সিদ্দিকির খুনের দায় বিষ্ণোই গ্যাং নেওয়ার পর থেকেই সালমান খানের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। কারণ, সোশাল মিডিয়া পোস্টে তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যে বা যারা সালমান খানের ঘনিষ্ঠ, তাদের সকলকেই এর দাম দিতে হবে।
চলতি বছরেই সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলিবর্ষণ করেছিল এ গ্যাং। এবার বাব সিদ্দিকির খুন, তারপর বৃহস্পতিবার মুম্বাই ট্র্যাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপে আবারও সালমান খানের নামে হুমকির চিঠি।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা ও দন্ত চিকিৎসক মিষ্টি জান্নাত আরেক চিত্রনায়িকা তমা মির্জা’র বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন। তমা মির্জার পাঠানো আইনি নোটিশে মিষ্টির বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলার খবরের পর মিষ্টি জান্নাত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জানা গেছে, মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়া এবং দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশটি মিষ্টির বিরুদ্ধে দিয়েছেন তমা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে তমা মির্জার পক্ষে নোটিশটি পাঠান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তবে এখনো নোটিশ পাননি বলে জানিয়েছেন মিষ্টি জান্নাত। সংবাদ মাধ্যমের বরাতে এই ব্যাপারে অবগত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই আলোচিত চিত্রনায়িকা।
এ প্রসঙ্গে মিষ্টি জান্নাত বলেন, পরিষ্কার বলতে চাই, সাক্ষাৎকারে আমি তার নাম উল্লেখ করে কিছুই বলিনি। উনি কেন গায়ে মাখলেন জানি না। এখন আমি পাল্টা আইনি ব্যবস্থা নেব। এরকম মিথ্যা নোটিশ দিয়ে হয়রানি করার মানে কি? এখন আমাকেও আইনের দ্বারস্থ হতে হবে। এরই মধ্যে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আমার সম্মানহানি করায় উল্টো ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শেষ হলেই ব্যবস্থা নেব।
মূলত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়কে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। মিষ্টি জান্নাতের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার মোটেও ভালোভাবে নেননি তমা মির্জা। সম্প্রতি তমা মির্জা নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এতে তমা কারো নাম উল্লেখ না করলেও স্পষ্ট তিনি মিষ্টি জান্নাতকে ইঙ্গিত করে স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন। এরপর সবকিছু ছিল নীরব ভূমিকায়। হঠাৎ করে তমার আইনি নোটিশের খবরে ফের উত্তাল ঢালিউড।
মিষ্টি জান্নাত বলেন, বিষয়টি ছিল জয় ভাই ও আমার মধ্যে। মাঝখানে তিনি এসে ঢুকে গেলেন। ইঙ্গিতপূর্ণ একটা স্ট্যাটাস দিয়ে শুরুটা কিন্তু তিনিই করেছেন। তারপরও আমি চুপচাপ ছিলাম। ঘটনা যখন শেষের দিকে তখন তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। কোনো ইউটিউবার যদি আমার সাক্ষাৎকারের সঙ্গে নিজের মন মতো থাম্বনেল এবং ক্যাপশন জুড়ে দেয় সেই দায়ভার তো আমি নেব না। কারণ, আমি তো তাকে নিয়ে কিছু বলিনি। সে বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারত। তা না করে আদালতে গিয়েছে। এখন আমিও আইনি ভাবেই বিষয়টি দেখব।
মন্তব্য করুন