১৯৮৭ সালে বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ এবং সুনীতা আহুজার বিয়ে হয়। সুনীতা তখন মাত্র ১৮ বছর বয়সী ছিলেন। দীর্ঘ ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের সম্পর্কের সমীকরণ সময়ের সঙ্গে অনেকটাই বদলেছে, এমনটাই জানিয়েছেন গোবিন্দের স্ত্রী সুনীতা আহুজা। তবে কি তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে কোনো ফাটল দেখা দিয়েছে? সম্প্রতি সুনীতা আহুজার এক মন্তব্যে সে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
গোবিন্দ তার রোমান্স, কমেডি এবং নাচের জন্য পরিচিত বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। ১৯৯০-এর দশক থেকে আজ পর্যন্ত তিনি একইভাবে জনপ্রিয় রয়েছেন। তবে এবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে গোবিন্দের ব্যক্তিগত জীবন এবং তার দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুনীতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "আমাদের দুটি বাড়ি রয়েছে। একটি অ্যাপার্টমেন্টে আমি এবং আমার সন্তানরা থাকি, অন্যদিকে গোবিন্দ বাংলোয় থাকেন। যখন সে কাজের কারণে দেরি করে, তখন আমাদের যোগাযোগ কিছুটা কমে যায়।"
সুনীতা আরও বলেন, "গোবিন্দ সব সময় তার কাজে ব্যস্ত থাকে এবং রোমান্সের জন্য তার সময় নেই। আমি তাকে বলেছি, ‘আগামী জীবনে যেন আমার স্বামী না হয়’। সে কখনোই ছুটিতে যায় না, আমি এমন একজন যে আমার স্বামীর সঙ্গে রাস্তায় পানি-পুরি খেতে চাই, কিন্তু সে কখনোই তা করতে চায় না।"
সুনীতা আরো বলেন, "আমরা ৩৭ বছর ধরে একসঙ্গে আছি, তবে এখন আমি জানি না সে কেমন বদলে গেছে। তার বয়স ৬০ বছরের বেশি হয়ে গেছে, এবং এখন সে আগের মতো কাজের মধ্যে ডুবে থাকে না। আমি কিছুটা ভয় পেতে শুরু করেছি, কারণ তার বয়স বাড়ছে এবং সে আগের মতো নিজেকে কাজে ডুবিয়ে রাখে না। আগে মনে হতো, আমি নিরাপদ, কিন্তু এখন আমি জানি না। হয়তো তার বয়সের কারণে কিছু ভুল পথে চলে যাচ্ছে, তবে আমি নিশ্চিত নই।" তবে বিচ্ছেদের বিষয়ে সুনীতা সরাসরি কিছু বলেননি।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
স্কুলজীবন থেকে পরিচিত সারা আলি খান এবং অনন্যা পাণ্ডে। বলিউডে তাদের বন্ধুত্ব নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্প শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। যদিও বন্ধুত্ব রয়েছে, অনন্যা নাকি সারাকে ভয় পেতেন, যেন যমের মতো। সারার নাম শুনলেই তিনি সতর্ক হয়ে থাকতেন।
অনন্যার থেকে তিন বছরের বড় সারা। ছোট থেকেই বেশ ডাকাবুকো স্বভাবের ছিলেন তিনি। মুখের ওপর কথা বলতেন। অনন্যা বলেছেন, "সারা খুব ঠোঁটকাটা স্বভাবের ছিল, এখনও তাই রয়েছে। তবে স্কুলে আরও সাংঘাতিক ছিল। মুখে যা আসত, তাই বলে দিত। আমি ভয়ে ভয়ে থাকতাম, ভাবতাম এই বুঝি আমার সম্পর্কে কিছু বলল।"
এই কারণে সারাকে কিছুটা এড়িয়েই চলতেন অনন্যা। অভিনেত্রীর কথায়, "আমি যদি দেখতাম, সারা কোনো একটা সিঁড়ি থেকে নেমে আসছে, ওই পথ দিয়ে আমি যেতাম না।"
প্রথম দিকে অনন্যার নাম জানতেন না সারা। তাকে 'এই' বলে ডাকতেন সাইফ আলি খানের কন্যা।
অনন্যা স্মৃতিচারণ করে বলেন, "আমার মনে আছে, একসঙ্গে স্কুলে একটা নাটক করেছিলাম। সারাই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছিল। আমি বোধহয় ওর মাথায় ছাতা ধরেছিলাম, পেছনে ছিলাম সারার।"
এ সময় সারা নাকি অনন্যাকে 'এই এই' বলে ডাকতেন এবং খুব রূঢ় ব্যবহার করতেন। যদিও এখন নাকি অনন্যার কাছে সেই কথা স্বীকার করেন না সারা। সারার দাবি, অনন্যার সঙ্গে তিনি নাকি খুব ভালই ব্যবহার করতেন।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্কঃ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ওপেন কনসার্টের আয়োজন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। সেখানে গাইবেন বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক শিল্পী।
বিজয় দিবসের এই কনসার্টে জেমসসহ গাইবেন খুরশিদ আলম, সৈয়দ আব্দুল হাদী, বেবী নাজনীন, কনক চাঁপা, মনির খান, রাফা, প্রীতম, ইমরান, কনা, মৌসুমী, জেফার ও একদল লোকশিল্পী। এ ছাড়া কনসার্টে অংশ নেবে ডিফারেন্ট টার্চ, সোলস, আর্ক, শিরোনামহীন, আর্টসেল, সোনার বাংলা সার্কাসের মতো বেশ কয়েকটি ব্যান্ড।
আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের উদয় টাওয়ারে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই কনসার্টের ঘোষণা দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী।
এ বছর সার্বজনীনভাবে বিজয় দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। ভিন্নদেশী সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে মুক্তি ও নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাতে ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের এই কনসার্টে বাংলাদেশের গান ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয়েছে।
১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে কনসার্ট চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। তরুণ প্রজন্মকে এই কনসার্টে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
মন্তব্য করুন
বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্রনায়ক ফারুকের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে পৌঁছায়।
বিমানবন্দর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে ইউএস-বাংলার বিএস-৩০৮ ফ্লাইটটি নায়ক ফারুকের মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন।
তার ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.বি.এম মফিজুর রহমান খান জানান, গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন চিত্রনায়ক ফারুক। তার বাবা আজগর হোসেন পাঠান উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত আছেন। সেখানেই ফারুকের মরদেহ দাফন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘তার (ফারুক) স্ত্রী ফারজানা পাঠান মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান, ছেলে রওশন হোসেনসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবিত অবস্থায় ফারুক সবাইকে (অসিয়ত) বলে গিয়েছেন, যেন মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সোম গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবা আজগর হোসেন পাঠানের কবরের পাশে শায়িত করা হয়।’
তিনি জানান, চিত্রনায়কের মরদেহ মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
বেলা ১১টায় জাতীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য নেওয়া হবে। বাদ জোহর এফডিসিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন এবং সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষ সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া দক্ষিণ সোম গ্রামের বাড়িতে চতুর্থ জানাজা সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আজগর হোসেন পাঠানের পাশে শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ভিকি কৌশল সম্প্রতি জানিয়েছেন, ক্যাটরিনা কাইফকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে তিনি দারুণ আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ।
ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কাইফের দাম্পত্য জীবন এখন তিন বছরে পা রেখেছে। এই তিন বছরে স্ত্রী ক্যাটরিনাকে নিয়ে তিনি অত্যন্ত সুখী। সম্প্রতি ভিকি তার স্ত্রীর প্রশংসায় ইন্টারনেটে একটি পোস্ট করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
ভিকি কৌশল বলেন, “দীর্ঘ সময় একসঙ্গে কাটালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এক ধরনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হয়, যা খুবই মূল্যবান।”
তিনি আরও বলেন, “প্রকৃত ভালোবাসা মানে একে অপরের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিকগুলো মেনে নিয়ে চলা। ক্যাটরিনা এমন একজন মানুষ, যিনি আমার বাস্তবতাকে উপলব্ধি করান। তিনি সবসময় আমাকে বলেন, ‘এটা আরও ভালো হতে পারে, ওটা আরও ভালো হতে পারে।’ এমন একজন জীবনসঙ্গীকে পেয়ে আমি ধন্য, যিনি সবসময় আমার সঙ্গে সৎ থাকেন। তার দৃঢ়তা, প্রতিভা এবং অভিনয়ের মাধ্যমে যে পথ তিনি তৈরি করেছেন, তা থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি।”
ক্যাটরিনাকে নিয়ে আরও বলার সময় ভিকি বলেন, “আমি সবসময় ক্যাটরিনাকে সম্মান করব। তিনি কেবল একজন সুপারস্টারই নন, তার মধ্যে এক সুপারস্টারের হৃদয়ও রয়েছে। এ কারণেই আমি তার প্রেমে পড়েছি। আমি মনে করি, এমন একজন মানুষকে পেয়ে আমি ভাগ্যবান, যিনি আমার জীবনের ছোটখাটো সমস্যাগুলোর সমাধান করেন।”
ভিকির এই মন্তব্যগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়েছে। একজন লিখেছেন, “একজন সুপারস্টার এতটা বিনয়ী হতে পারে, সেটা কল্পনাই করা যায় না।” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “নিজের স্ত্রীর প্রশংসা এভাবে করা সত্যিই সহজ নয়।” তৃতীয় একজন লিখেছেন, “ভিকি, তুমি দারুণ মানুষ। তবে এর কৃতিত্ব তোমার মা-বাবারও প্রাপ্য।”
ভিকি কৌশলকে শীঘ্রই লক্ষ্মণ উতেকারের মহাকাব্যিক অ্যাকশন-ড্রামা ছাওয়া ছবিতে দেখা যাবে। এতে আরও অভিনয় করেছেন রাশমিকা মান্দানা, অক্ষয় খান্না, আশুতোষ রানা, দিব্যা দত্ত, নীল ভূপালম এবং প্রদীপ রাওয়াত। এছাড়া, তিনি সঞ্জয় লীলা বানশালির লাভ অ্যান্ড ওয়ার সিনেমায় রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের সঙ্গে কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
বলিউড ভাইজান সালমান খানের জন্মদিনে বিশেষ ধুমধাম আয়োজন করা হয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর রাত থেকেই শুরু হয় তার জন্মদিন উদ্যাপন। প্রতিবছরের মতো, সালমানের বোন অর্পিতা এবং মেয়ে আয়াতের জন্য একটি বিশেষ পার্টি আয়োজন করেন। আয়াতও ২৭ ডিসেম্বর জন্ম নেয়, ফলে সালমানের জন্মদিন ও আয়াতের জন্মদিনের উদ্যাপন একসঙ্গে হয়ে থাকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বছর ৫৯ বছরে পা দিলেন সালমান। তিনি বিলাসবহুল একটি গাড়িতে করে বোনের বাড়িতে পৌঁছান। পরনে ছিল বাদামি রঙের জ্যাকেট এবং কালো টি শার্ট। যদিও এই মুহূর্তে তিনি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন, তবুও জন্মদিনের উদ্যাপন থেমে থাকে না। ভাই আরবাজ খান ও তার স্ত্রী শুরি খান, ছোট ভাই সোহেল ও তার ছেলে নির্বাণ, এবং সালমানের প্রাক্তন প্রেমিকাদের মধ্যে সঙ্গীতা বিজলানি ও ইউলিয়া ভানটুরও উপস্থিত ছিলেন। সালমানের বন্ধুদের মধ্যে ছিলেন প্রয়াত বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকি এবং ফিটনেস ট্রেনার ইয়াসমিন করাচিওয়ালা।
একসময় সঙ্গীতা বিজলানির সঙ্গে সালমানের বিয়ে ভেঙে যায়, শোনা যায় ধোঁকা ছিল তার দিক থেকেই। তবে খান পরিবারের সঙ্গে সঙ্গীতা এখনো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। এই জন্মদিনের পার্টিতেও তাকে দেখা গেছে। এছাড়া অভিনেতা ববি দেওল, রীতেশ দেশমুখ এবং জেনেলিয়া ডিসুজাও পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন, তাদের দুই ছেলে রিয়ান এবং রাহিলের সঙ্গেও।
পার্টির একটি ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিদ খান, যেখানে সালমান খান, ইউলিয়া ভানটুর, অর্পিতা, আয়ুষ শর্মা এবং তাদের মেয়ে আয়াতকে একসঙ্গে দেখা যায়। সাজিদ ক্যাপশনে লিখেছেন, "শুভ জন্মদিন বড় ভাই এবং আমাদের ছোট্ট পরী আয়াত, তোমাদের জন্য দোয়া।"
এদিকে, জন্মদিনের আগের দিন, অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর রাতে মুক্তি পেয়েছে সালমান খানের বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘সিকান্দর’-এর প্রথম পোস্টার। ছবিতে সালমানের ব্যাকব্রাশ করা চুল এবং চাপদাড়ি, হাতে অস্ত্র এবং রহস্যময় আলো-আঁধারির পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। এই ছবির জন্য সালমান অনেকটা ওজন কমিয়েছেন এবং ছিপছিপে অবতারে ‘সিকান্দর’ চরিত্রে উপস্থিত হয়েছেন।
‘গজিনী’ ছবির পরিচালক এ আর মুরুগাদসের সঙ্গে এই ছবিতে প্রথমবার কাজ করছেন সালমান। ২৭ ডিসেম্বর সকালে সিনেমাটির টিজার প্রকাশের কথা ছিল, তবে প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সালমান খান এই সিনেমাতে প্রথমবারের মতো রাশমিকা মান্দানার সঙ্গে পর্দা ভাগ করবেন। সালমানের সর্বশেষ সিনেমা ছিল ‘টাইগার ৩’, যেখানে তিনি ক্যাটরিনা কাইফ ও ইমরান হাশমির সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। ‘টাইগার ৩’ ২০২৩ সালে মুক্তি পায় এবং এটি পরিচালনা করেছিলেন মানিশ শর্মা। এছাড়া, সালমান খান শাহরুখ খানের ব্লকবাস্টার ‘পাঠান’ সিনেমায় ক্যামিও করেছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
‘শেরশাহ’ মুক্তির পর বলিউডি নায়ক সিদ্ধার্থ মালহোত্রা বলেছিলেন, নায়িকা কিয়ারা আদভানির সঙ্গে রোমান্টিক সিনেমা তিনি মিস করতে চান না। যদিও গত কয়েক বছরে এই দম্পতিকে একসঙ্গে পর্দায় না পেয়ে দর্শকরা তাদের মিস করেছেন। এখন কিয়ারা জানালেন, একে অপরের হাত ধরে ফের পর্দায় আসতে চলেছেন তারা।
এবারের ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় প্রথমবারের মত পা রাখেন কিয়ারা। সেখানে ‘উইমেন ইন সিনেমা গালা’তে অংশ নিয়ে নতুন কাজের খবর দেন এই অভিনেত্রী।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, এই আলোচনার সূত্রপাত হয় কিয়ারা-সিদ্ধার্থ অভিনীত ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘শেরশাহ’কে ঘিরে। ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার জীবন আর কার্গিল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত অ্যাকশনধর্মী ওই সিনেমায় প্রেমের অংশ নেহাত কম থাকলেও, এ চলচ্চিত্রই কিয়ারা-সিদ্ধার্থকে ‘রোমান্টিক জুটি’ আখ্যা দিয়েছে। তাদের অনুরাগীরা চান এক পূর্ণাঙ্গ প্রেমের সিনেমায় তাদের জুটি হিসেবে দেখতে।
কানে ‘শেরশাহ’ প্রসঙ্গ উঠলে কিয়ারা বলেন, “আমি জানি, ‘শেরশাহ’ আমাদের প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে। আমি এবং সিদ্ধার্থ অফুরান ভালোবাসা পেয়েছি। হতাশ করছি না। আমাদের ফের একসঙ্গে শিগগিরই দেখা যাবে। আমরা চাই আবার জুটি হিসেবে সবার ভালোবাসা কুড়াতে। আমরা যেন আমাদের অভিনীত চরিত্রের প্রতি সুবিচার করতে পারি।”
তবে সিনেমা এবং প্রযোজক ও পরিচালকের নাম সামনে আননেনি কিয়ারা। তাদের আগামী কাজ সম্পর্কে জানতে একটু অপেক্ষা করতে অনুরোধ করেছেন সবাইকে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েন কিয়ারা ও সিদ্ধার্থ। এরপর দুজন আলাদাভাবে কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন।
মন্তব্য করুন
গত ৫ মে মুক্তি পায় বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন নির্মিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ট্রেলার প্রকাশের পরপরই এই নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ছবি মুক্তির পর দ্বিগুণ হয় বিতর্ক। যার জেরেই মুক্তির চার দিনের মাথায় এই ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অভিযোগ, এই ছবি সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দিচ্ছে।
অশান্তি এড়াতে তাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবিটিকে এ রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মমতার নির্দেশের পরের দিনই ছবিটিতে নিষেধাজ্ঞা তোলার আর্জিতে শীর্ষ আদালতে যান নির্মাতারা। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও বাংলায় কেন দেখানো হবে না এই ছবি? কারণ জানতে চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় টিম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে গত সপ্তাহে নোটিশ দেয় রাজ্য সরকারকে। বুধবার পরবর্তী শুনানি। তার আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ছবি পক্ষপাতদুষ্ট। এখানে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে যা বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত আনতে পারে। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এই ছবির ওপর পশ্চিমবঙ্গে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি চলাকালীন দেশের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘ভারতের অন্যান্য অংশে এই ছবি মুক্তি পেতে পারলে পশ্চিমবঙ্গে নয় কেন?’ পাল্টা রাজ্য সরকারের যুক্তি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব। রাজ্য সরকার প্রযোজক বিপুল শাহকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও খারিজ করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হলেও ভারতজুড়ে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ছবিটি। ইতোমধ্যে দেড় শ কোটি রুপির আয় ছাড়িয়েছে। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি, সিদ্ধি ইদনানি, দেবদর্শিনী, বিজয় কৃষ্ণ, প্রণয় পাচৌরি, প্রণব মিশ্র প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
গত সাত বছর ধরে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন সোনাক্ষী সিনহা ও জাহির ইকবাল। গত ২৩ জুন এ তারকা জুটি আইনি মোতাবেক বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এর পর রিসেপশনের আয়োজন হয়। এ তারকা জুটির বিয়েতে ছিল না কোনো ধর্মীয় আচার। বিয়ের পর সোনাক্ষী ধর্ম পরিবর্তন করবেন না বলেও জানিয়েছিলেন জ়াহির ইকবালের বাবা।
এদিকে বিয়ের দিন রিসেপশেন দেখা যায়নি অভিনেত্রীর দুই ভাই লব সিনহা ও কুশ সিনহার। এ নিয়ে চারদিকে সমালোচনা শুরু হয়। বিয়েতে এসেছিলেন শত্রুঘ্ন সিন্হাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। এ নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে মিশ্র সমালোচনা হয়।
নানা রকম সমালোচনার মাঝে অবশেষে মুখ খুললেন লব সিন্হা। সামাজিকমাধ্যমে একটি পোস্ট করে সোনাক্ষী ও জ়াহিরের বিয়ে নিয়ে কথা বলেন তিনি। লব সিনহা বলেন, এত সমালোচনা সত্ত্বেও পরিবারের প্রতি তার ভালোবাসা কোনোভাবেই কমবে না। পরিবারই তার কাছে প্রাথমিক বিষয়।
কেন তিনি বিয়েতে উপস্থিত থাকেননি জানিয়ে লব সিনহা লিখেছেন— ‘কেন আমি বিয়েতে উপস্থিত থাকিনি, এটিই হলো প্রশ্ন! আমার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যে কথা প্রচার করে কোনো লাভ নেই। আমার কাছে সব সময় আমার পরিবারই অগ্রাধিকার পাবে।‘
এমন প্রশ্ন সোনাক্ষীর আরেক ভাই কুশ সিনহাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সেই সময় লব বলেছিল— ‘দু’একটা দিন সময় দিন। আমার যদি মনে হয়, তা হলে আমি নিশ্চয়ই এই প্রশ্নের উত্তর দেব।‘
বিয়েতে আসেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বাবা হিসেবে মেয়ের বিয়েতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। সিনহা পরিবারের নয়নমণি সোনাক্ষী সিনহা। মা-বাবার চোখের মধ্যমণি। তাই বিয়ের দিনে বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কন্যার জীবনের নতুন ইনিংসে যেমন তিনি উচ্ছ্বসিত, তেমনি চাপাকান্না বুকে কষ্ট।
নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্ট ‘অওরিয়েত’-এ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের সাক্ষী রেখে আইনি বিয়ে সারেন সোনাক্ষী সিনহা ও জাহির ইকবাল। পরনে নবদম্পতির দুধ সাদা পোশাক। মেয়ের পাশেই হাসিমুখে দাঁড়িয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
সেই অনুষ্ঠানে প্রবীণ অভিনেতা বললেন, ‘মেয়েকে পছন্দের পাত্রের হাতে তুলে দেবেন বলে সব বাবাই এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। জাহিরের সঙ্গে আমার মেয়েকে সব থেকে বেশি খুশি থাকতে দেখেছি। তারা সুখে থাকুক, এ প্রার্থনাই করি।‘
জাহির ইকবালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘গুড বয়’ জাহির। খুব ভালো ছেলে। আমার মেয়েকে ভালো রাখবে ওৃ।‘ তিনি আরও বলেন, ’৪৪ বছর আগে আমি একজন সফল, সুন্দরী ও ভীষণ ট্যালেন্টেড একটি মেয়েকে নিজের পছন্দে বিয়ে করেছিলাম। সে হচ্ছে পুনম সিনহা। আজ আমার মেয়ে সোনাক্ষীর পালা। ওর পছন্দই আমাদের পছন্দ। ওর নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে আমি পূর্ণ সমর্থন করি।‘
উল্লেখ্য, এর আগে সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়ের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই শোনা গিয়েছিল শত্রুঘ্ন নাকি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। তিনি বলেছিলেন— এই প্রজন্মের সন্তান কারও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। ওরা শুধু নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়।
সেই থেকেই জল্পনার সূত্রপাত যে, জামাই হিসেবে জাহির ইকবালকে হয়তো পছন্দ নয় শত্রুঘ্ন সিনহার তাই এমন কথা বলেছিলেন! তবে বিয়ের দুদিন আগেই নিন্দুকদের ‘চুপ’ করে দিয়ে জাহির ইকবালকে বুকে টেনে নেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন মানেই ভক্তদের কাছে এক দারুণ উন্মাদনার নাম। তার সে যে কোনো সংবাদই সবার কাছে ভীষণ আগ্রহের।
সেপ্টেম্বরে দীপিকার ঘরে নতুন অতিথি আসতে যাচ্ছে। গর্ভবতী হওয়া সত্ত্বেও সিনেমার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সামনে ‘সিংহাম’ সিনেমার সিক্যুয়ালে দেখা যাবে দীপিকাকে।
অন্যান্য অনেক নায়িকার মতোই দীপিকার একটি অদ্ভূত অভ্যাস রয়েছে। সবসময়েই, নিজের ব্যাগে একটি পেনসিল নিয়ে ঘোরেন দীপিকা।
এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে দীপিকা জানান, সবসময়ে তিনি ব্যাগে একটি খাতা আর পেনসিল রাখতে পছন্দ করেন। দীপিকা টেকনোলজি পছন্দ করলেও, বিভিন্ন বিষয় তিনি মোবাইলে না টাইপ করে, খাতায় লিখে রাখতে পছন্দ করেন।
তাই এ কারণে যেখানেই যান না কেন, দীপিকার ব্যাগে থাকে একটি খাতা ও একটি পেনসিল। কলম রেখে পেনসিল কেন- সেই কথাও খোলসা করেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন।
অভিনেত্রী বলেন তিনি পেনসিল ছোলা, আর ভুল হলে ইরেজার দিয়ে সেটা মুছে ফেলার বিষয়টা খুব পছন্দ করেন। শুধু এই একটা কারণ নয়, দীপিকা পেনসিল ব্যবহার করেন আরও একটি কাজেও।
দীপিকা যে জিনিসটি সবসময় ব্যাগে রাখেন
দীপিকা জানিয়েছেন, যদি কোনো সংলাপ বলতে গিয়ে তিনি বারে বারে আটকে যান, তাহলে বিশেষ একটি ব্যায়াম করেন তিনি। দাঁতের মধ্যে পেনসিল চেপে ধরে সেই সংলাপটি বলতে থাকেন কয়েকবার।
এরপরে দাঁত থেকে পেনসিল বের করে নিলেও, সেই সংলাপটি ঝরঝরে হয়ে যায়। এই কাজটিই নাকি আর ও একটি কারণ, যার জন্য কলম নয়, ব্যাগে পেনসিল রাখতেই পছন্দ করেন দীপিকা।
এছাড়া দীপিকা নিজের ব্যাগে মাউথ ফ্রেশনার, ফেস মিস্ট, পারফিউম, মোবাইল স্ট্যান্ডের মতো ছোট ছোট জিনিস নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করেন। সঙ্গে থাকে দীপিকার বাড়ির চাবি ও চুল বাঁধার জিনিসও।
মন্তব্য করুন
১৯৮৭ সালে বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ এবং সুনীতা আহুজার বিয়ে হয়। সুনীতা তখন মাত্র ১৮ বছর বয়সী ছিলেন। দীর্ঘ ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের সম্পর্কের সমীকরণ সময়ের সঙ্গে অনেকটাই বদলেছে, এমনটাই জানিয়েছেন গোবিন্দের স্ত্রী সুনীতা আহুজা। তবে কি তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে কোনো ফাটল দেখা দিয়েছে? সম্প্রতি সুনীতা আহুজার এক মন্তব্যে সে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
গোবিন্দ তার রোমান্স, কমেডি এবং নাচের জন্য পরিচিত বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। ১৯৯০-এর দশক থেকে আজ পর্যন্ত তিনি একইভাবে জনপ্রিয় রয়েছেন। তবে এবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে গোবিন্দের ব্যক্তিগত জীবন এবং তার দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুনীতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "আমাদের দুটি বাড়ি রয়েছে। একটি অ্যাপার্টমেন্টে আমি এবং আমার সন্তানরা থাকি, অন্যদিকে গোবিন্দ বাংলোয় থাকেন। যখন সে কাজের কারণে দেরি করে, তখন আমাদের যোগাযোগ কিছুটা কমে যায়।"
সুনীতা আরও বলেন, "গোবিন্দ সব সময় তার কাজে ব্যস্ত থাকে এবং রোমান্সের জন্য তার সময় নেই। আমি তাকে বলেছি, ‘আগামী জীবনে যেন আমার স্বামী না হয়’। সে কখনোই ছুটিতে যায় না, আমি এমন একজন যে আমার স্বামীর সঙ্গে রাস্তায় পানি-পুরি খেতে চাই, কিন্তু সে কখনোই তা করতে চায় না।"
সুনীতা আরো বলেন, "আমরা ৩৭ বছর ধরে একসঙ্গে আছি, তবে এখন আমি জানি না সে কেমন বদলে গেছে। তার বয়স ৬০ বছরের বেশি হয়ে গেছে, এবং এখন সে আগের মতো কাজের মধ্যে ডুবে থাকে না। আমি কিছুটা ভয় পেতে শুরু করেছি, কারণ তার বয়স বাড়ছে এবং সে আগের মতো নিজেকে কাজে ডুবিয়ে রাখে না। আগে মনে হতো, আমি নিরাপদ, কিন্তু এখন আমি জানি না। হয়তো তার বয়সের কারণে কিছু ভুল পথে চলে যাচ্ছে, তবে আমি নিশ্চিত নই।" তবে বিচ্ছেদের বিষয়ে সুনীতা সরাসরি কিছু বলেননি।
মন্তব্য করুন