

বিনোদন ডেস্ক:
ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের শহর কানে বসেছে চলচ্চিত্রজগতের সম্মানজনক আসর ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’। গত ১৪ মে এ উৎসবটির ৭৭তম আসরের পর্দা উঠেছে। বরাবরের মতো এবারের আসরেও আবেদনময়ী লুকে রূপের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা।
কানের প্রথম দিনে লাল গালিচায় তোলা কিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন উর্বশী। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন— ‘কান চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।’ তাতে দেখা যায়, গোলাপি রঙের গাউনে সেজেছেন তিনি।
প্রিয় তারকাকে এমন লুকে দেখে প্রশংসা করছেন উর্বশীর ভক্তরা। রীতিমতো মন্তব্যের ঝড় উঠেছে অভিনেত্রীর কমেন্টস বক্সে। একজন লিখেছেন, ‘তোমার সৌন্দর্যের সঙ্গে কেউ পাল্লা দিতে পারবে না। এমনকি কাইলি জেনারও নয়।’ আরেকজন লেখেন, ‘গোলাপি রানি।’
ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুসারে, উর্বশীর গাউনটি ডিজাইন করেছেন তারকা ডিজাইনার খালেদ ও মারওয়ান। লেবাননের বৈরুতে অবস্থিত আউত কুচার নামে একটি ফ্যাশন হাউস তৈরি করেছে অভিনেত্রীর পোশাকটি।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে মিস ডিভা ইউনিভার্স খেতাব জেতেন উর্বশী। একই বছর মিস ইউনিভার্স আসরে ভারতের প্রতিনিধিত্বও করেন তিনি। এখন পর্যন্ত সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি বিজয়ী হওয়ার রেকর্ড রয়েছে তার। পাশাপাশি বলিউডের বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন উর্বশী।
মন্তব্য করুন


দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হৃদয় খান সংগীতের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও মাঝে মধ্যেই আলোচনায় আসেন। বিশেষ করে বারবার বিয়ে ও বিচ্ছেদের কারণে তিনি একাধিকবার শিরোনাম হয়েছেন।
এই তারকা গায়ক ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ২০১০ সালে পূর্ণিমা আকতার নামের একজনকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু মাত্র ছয় মাস পরেই তাদের সংসার ভেঙে যায়। এর কয়েক বছর পর তিনি নিজের থেকে বয়সে বড় জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সুজানা জাফরকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। ২০১৪ সালের ১ আগস্ট তিনি সুজানাকে বিয়ে করেন, কিন্তু এই বিয়েও বেশি দিন টিকে না। ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।
সুজানার সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পারিবারিক আয়োজনে হুমায়রাকে বিয়ে করেন হৃদয় খান। কিন্তু এই বিয়েও টিকল না। এবার জানা গেল, হুমায়রার সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়েছে হৃদয় খানের।
বিয়ের পর কয়েক বছর সংসার করলেও হৃদয় খানের আচরণ ও জীবনযাপনে অতিষ্ঠ হয়ে হুমায়রা তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন। হৃদয় খানের পারিবারিক সূত্র থেকে সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সূত্রটি জানিয়েছে, অনেক আগেই হুমায়রা ও হৃদয়ের বিচ্ছেদ হয়েছে। হৃদয়ের ওপর বিভিন্ন কারণে বিরক্ত হয়ে হুমায়রা ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন। তবে বিষয়টি হৃদয় ও তার পরিবার গোপন রেখেছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে সংবাদমাধ্যম হৃদয় খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, "বিষয়টি খুবই সেনসেটিভ। এ জন্য আপাতত এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। তবে অন্য কোনো কথা থাকলে বলুন।"
অন্যদিকে, হৃদয় খানের বাবা সংগীত পরিচালক রিপন খান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, "এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চাই না আমি। হৃদয়ের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আমার কোনো আলোচনা হয়নি। এ নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছুক নই।"
মন্তব্য করুন


বলিউডের প্রথম সারির পরিচালকদের মধ্যে যাঁর নাম দর্শক ও সমালোচকদের কাছে সমাদৃত, তিনি হচ্ছেন অনুরাগ কাশ্যপ। এই মায়ানগরীকে বিদায় জানাচ্ছেন এ স্বনামধন্য পরিচালক। হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত নিলেন কেন তিনি? কারণ বলিউড নিয়ে তিনি নাকি মহাবিরক্ত। সন্তোষজনকভাবে কাজ করতে পারছেন না- এমন অভিযোগই করলেন অনুরাগ কাশ্যপ।
তিনি বলেন, বর্তমানে চলচ্চিত্রের মানোন্নয়ন অপেক্ষা ছবির বাণিজ্যিক দিকে বেশি মনোনিবেশ করা হয়। ছবির কাজ শুরুর আগেই স্থির হয়ে যাচ্ছে কীভাবে প্রচার করা হবে, লাভের অঙ্কের পরিমাণ কত হতে পারে ইত্যাদি। এ বিষয়টি নিয়েই তিনি হতাশ। অনুরাগ এমন জায়গায় ছবি বানাতে চান, যেখানে উদ্দীপনা থাকবে। তাই তিনি দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান।
পরিচালক বলেন, যে যে ছবি ইতোমধ্যে তৈরি রয়েছে, সেগুলোর রিমেক করা হচ্ছে। এই মানসিকতাতেই আমার সমস্যা। এ ছাড়া নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি করছে ‘কাস্টিং এজেন্সি’। ভালো অভিনেতা হওয়ার প্রচেষ্টা নয়, বরং রাতারাতি তারকা হওয়ার পেছনে ছুটছেন তারা। তাতে আখেরে কারও লাভ হচ্ছে না, বরং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছবি। তিনি বলেন, অভিনয়ের ওয়ার্কশপে নয়, শুধুই জিমে পাঠানো হচ্ছে তাদের। আদ্যপান্ত গ্ল্যামারকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
অনুরাগ বলেন, তাদের এমনভাবে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে, তারা অভিনয়ে দক্ষতা চেয়ে প্রচারের আলোয় বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। ছবি নির্মাতাদের সঙ্গে অভিনেতাদের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে এবং এর জন্য দায়ী একমাত্র ‘কাস্টিং এজেন্সি’। নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মাধ্যমে শুধুই অর্থ উপার্জন তাদের লক্ষ্য, নতুন অভিনেতা তৈরির দিকে তাদের নজর নেই বলেও জানান পরিচালক।
মন্তব্য করুন


গত ৫ মে মুক্তি পায় বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন নির্মিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ট্রেলার প্রকাশের পরপরই এই নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ছবি মুক্তির পর দ্বিগুণ হয় বিতর্ক। যার জেরেই মুক্তির চার দিনের মাথায় এই ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অভিযোগ, এই ছবি সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দিচ্ছে।
অশান্তি এড়াতে তাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবিটিকে এ রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মমতার নির্দেশের পরের দিনই ছবিটিতে নিষেধাজ্ঞা তোলার আর্জিতে শীর্ষ আদালতে যান নির্মাতারা। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও বাংলায় কেন দেখানো হবে না এই ছবি? কারণ জানতে চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় টিম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে গত সপ্তাহে নোটিশ দেয় রাজ্য সরকারকে। বুধবার পরবর্তী শুনানি। তার আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ছবি পক্ষপাতদুষ্ট। এখানে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে যা বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত আনতে পারে। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এই ছবির ওপর পশ্চিমবঙ্গে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি চলাকালীন দেশের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘ভারতের অন্যান্য অংশে এই ছবি মুক্তি পেতে পারলে পশ্চিমবঙ্গে নয় কেন?’ পাল্টা রাজ্য সরকারের যুক্তি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব। রাজ্য সরকার প্রযোজক বিপুল শাহকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও খারিজ করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হলেও ভারতজুড়ে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ছবিটি। ইতোমধ্যে দেড় শ কোটি রুপির আয় ছাড়িয়েছে। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি, সিদ্ধি ইদনানি, দেবদর্শিনী, বিজয় কৃষ্ণ, প্রণয় পাচৌরি, প্রণব মিশ্র প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
ইকুয়েডরের মডেল ল্যান্ডি পারাগা গোবুরোকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করেছে অস্ত্রধারীরা।
নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, গত রোববার ২৩ বছর বয়সী মডেলকে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কুখ্যাত এক গ্যাংস্টার দলের সঙ্গে গোপন যোগাযোগের কারণেই খুন হয়েছেন ল্যান্ডি।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, রেস্তোরাঁয় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন ল্যান্ডি। তখন মাস্ক পরা দুই অস্ত্রধারী ভেতরে ঢুকে গুলি চালায়। রেস্তোরাঁর মেঝে রক্তে ভেসে যায়।
নিরাপত্তারক্ষীরা আসার আগেই অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার কারণ ও হত্যাকারীদের খুঁজতে এর মধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। শনিবার এক বিয়ের দাওয়াতে হাজির হয়েছিলেন ল্যান্ডি। এর পরদিনই নির্মমভাবে খুন হলেন তিনি।
২০২২ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইকুয়েডর’-এ অংশ নেন ল্যান্ডি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ১০ লাখের বেশি অনুসারী ছিল।
মন্তব্য করুন


বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গত মে মাসে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন নুসরাত ফারিয়া। সে সময় তাকে গ্রেপ্তার করায় শিল্পাঙ্গনের অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন, সেই সঙ্গে ক্ষোভও। এর দুই দিন পর কারামুক্ত হন ফারিয়া।
কারাগার থেকে বেরিয়ে তার পাশে থাকার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অভিনেত্রী।
সেই সঙ্গে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, গত কয়েক দিন ছিল তার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়।
এর মধ্যে কেটে গেছে প্রায় চার মাস। সে বিষয় নিয়ে আর কোনো কথা বলেননি ফারিয়া। হত্যা মামলায় জামিনের দীর্ঘদিন পর গ্রেপ্তার ইস্যুতে অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
নিউইয়র্ক থেকে প্রচারিত বাংলা ভাষাভাষীদের গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’র বিশেষ শো ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’-এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন তিনি।
গ্রেপ্তার ইস্যুতে নুসরাত ফারিয়া বলেন, এ রকম কিছু হবে আশা করিনি। কখনো দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। যার জীবন স্কিন কেয়ার, মেকআপ, একটু ঘোরাফেরা, শপিং করা, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ভালো খেতে যাওয়া, এই ছোট ছোট জিনিস নিয়ে যে খুশি তার জীবনে এত জটিলতা! কী করব না করব এগুলো নিয়ে যখন চিন্তা করতে হয় তখন ভীষণ হতাশ হই।
এরপর ফারিয়া বলেন, আমি মনে করি, এটাকেই বড় হওয়া বলে। পরিস্থিতি মানুষকে বড় করে। আমার মনে হয় পুরো ঘটনাতে আমি অবশ্যই মানসিকভাবে বড় হয়েছি। এবং ওইটার (গ্রেপ্তার) পর এটা আমার প্রথম সাক্ষাৎকার। আমি কোথাও কথা বলিনি। এমন না যে আমি কথা বলতে চাইনি। আমি এখনো কথার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নই।
অভিনেত্রী আরো বলেন, আমি মনে করি, আমার সঙ্গে যেটা হয়েছে, সেটা অন্য কারো সঙ্গে হতে পারত। অনেকের সঙ্গেই হয়তো বা হচ্ছে, হবে। আমি এ বিষয়ে জানি না। তবে আমি ভাগ্যবান। আমার কাজের মাধ্যমে গোটা দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। যাদের দোয়া ভালোবাসার কারণে আমি আজকে আপনার (জায়েদ খান) সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমার পরিবার, বাবা-মা, ভাই-বোন তাদের সবার দোয়া এবং ভালোবাসার কারণে কঠিন সময় পার করতে পেরেছি।
হত্যা মামলায় জামিনের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই লাইট ক্যামেরা, অ্যাকশনের জগতে নুসরাত। অভিনেত্রীর কথায়, তার (গ্রেপ্তার) ঠিক ১০-১৫ দিন পর থেকে আমি আবার কাজ করা শুরু করেছি। তবে পুরো ঘটনাটা আমাকে একটা জিনিস শিখিয়ে দিয়েছে, কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। জীবন খুবই অস্থায়ী, অনিশ্চয়তা ভরা। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। এ জন্য নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হবে। তুমি যদি সৎ থাকো তাহলে পৃথিবীর কোনো খারাপ শক্তি তোমাকে আটকে রাখতে পারবে না। তোমাকে বিপদের সম্মুখীন করবে কিন্তু সেই বিপদ থেকে সৃষ্টিকর্তা নিজেই তোমাকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসবেন। এটা আমার জীবন থেকে পাওয়া সবচেয়ে বড় শিক্ষা।
সব শেষে দর্শক, সংবাদিক এবং শোবিজের সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। নুসরাতের কথায়, আমি আমার দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ, তারা যেভাবে একসাথে হয়ে আমার জন্য কথা বলেছেন। আমার মিডিয়ার সহকর্মীরা, সাংবাদিক ভাই-বোনেরা, জন্মের পর থেকে এখন অবধি যাদের চিনি প্রত্যেকটা মানুষ আমার জন্য কথা বলেছেন, কেঁদেছেন। শিল্পী নুসরাত ফারিয়া হিসেবে আমার মনে হয় না এর থেকে বড় অর্জন পাওয়ার আছে।
মন্তব্য করুন


ভারতীয় ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহাল ও তার স্ত্রী ধনশ্রী বর্মার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে এবার সেই গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুলেছেন ধনশ্রী।
বুধবার ধনশ্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করেন। তিনি লেখেন, “গত কয়েকদিন আমার এবং আমার পরিবারের জন্য খুবই কঠিন সময় কেটেছে। সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হলো, কিছু মানুষ যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে ভুল মন্তব্য ও ঘৃণা ছড়াচ্ছেন।”
তিনি আরও লেখেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছি। আমার নীরবতা কোনো দুর্বলতার পরিচয় নয়, বরং এটি আমার শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচকতা খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে। তবে অন্যদের উন্নতির জন্য সহানুভূতি ও সাহসের প্রয়োজন হয়।”
ধনশ্রী আরও বলেন, “আমি সততা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী। এগিয়ে যেতে চাই নিজের আদর্শ মেনে। সত্য একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই। তখন কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন হবে না।”
এর আগেও চাহাল একটি রহস্যজনক পোস্ট করেছিলেন। তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের একটি উক্তি শেয়ার করেন। উক্তিটিতে লেখা ছিল, “নিস্তব্ধতারও সুর আছে। যারা বিকট শব্দের মধ্যেও তা শুনতে পারে, তারাই সেই সুর উপলব্ধি করতে পারে।”
এরপর থেকে চাহাল ও ধনশ্রীর সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন আরও তীব্র হয়। চাহাল তার ইনস্টাগ্রাম থেকে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা সব ছবি মুছে ফেলেছেন। যদিও ধনশ্রীর প্রোফাইলে এখনো তাদের একসঙ্গে তোলা ছবি রয়েছে।
চাহালের আরেকটি পোস্টও এই জল্পনাকে উসকে দিয়েছে। পোস্টটিতে তিনি লেখেন, “কঠোর পরিশ্রম মানুষের চরিত্রকে উজ্জ্বল করে। আপনি জানেন নিজের যাত্রাপথ কেমন ছিল, কীভাবে এই পর্যায়ে পৌঁছেছেন। সেই যাত্রায় যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা আপনিই ভালোভাবে জানেন। নিজের বাবা-মাকে গর্বিত করার জন্য মাথা উঁচু করে সোজা দাঁড়ান।”
এই পোস্টে চাহাল বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেও স্ত্রী ধনশ্রীর নাম উল্লেখ করেননি। যা তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জনকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
উল্লেখ্য, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী বর্মার বিয়ে হয়েছিল ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর। গুরুগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ধনশ্রী ছিলেন চাহালের নাচের শিক্ষক। করোনার সময় অনলাইনে নাচের ক্লাস করার মাধ্যমে তাদের পরিচয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা নিয়মিত একসঙ্গে ছবি শেয়ার করতেন। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী দেখে অনুমান করা যাচ্ছে, তাদের সম্পর্ক এখন আর আগের মতো নেই।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
গোটা দুনিয়ার সিনেপ্রেমী দর্শকের নজর এখন ফ্রান্সের কান সৈকতে। কারণ সেখানেই যে বসেছে সিনেমার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবের আসর। এরই মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পীরা। প্রথমবারের মতো সেখানে এবার গিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা যায়, প্রতিবারই কানে বলিউড অভিনেত্রীদের ভালো প্রভাব থাকে। লাল গালিচায় ভিন্ন ভিন্ন পোশাকে নজর কাড়েন তারা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এরই মধ্যে ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন, অদিতি রাও হায়দারি, সবিতা ধুলিপালা ও উর্বশী রাওতেলা লাল গালিচায় নজর কেড়েছেন।
‘রেড সি ফিল্ম ফাউন্ডেশন উইমেন ইন সিনেমা’ গালায় ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। রেড কার্পেটে হাঁটার আগে নায়িকা তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে কান চলচ্চিত্র উৎসবে নিজের সাজসজ্জার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে কবির সিং’খ্যাত নায়িকা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘রিভেরায় মিলনমেলা।’
এ সময় নায়িকার কানে দেখা যায় মানানসই মুক্তার লম্বা দুল ও পায়ে সাদা হাই হিল। এক হাতে আংটি, অন্য হাতের কবজিতে সুন্দর কাজ করা রিস্টব্যান্ড। কিয়ারার এ পোশাকটি ডিজাইন করেছেন প্রবাল গুরুং। তবে এর মূল্য প্রকাশ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা আরোরা। সম্প্রতি নিজের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছে অভিনেত্রী। কারণ হিসেবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, অর্থকষ্টে রয়েছেন তিনি।
মালাইকাকে সিনেমা থেকে এখন বেশিরভাগ সময় বিচারকের আসনেই দেখা যায়। আর সেখানে তিনি পারিশ্রমিক যে কম নেন তেমনটাও না। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে আর্থিকভাবে কিছুটা সমস্যায় আছেন অভিনেত্রী। এজন্যই নিজের পালি হিলস্-এর ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছেন। যা ভাড়া নিয়েছেন মুম্বাইয়ের খ্যাতনামা পোশাকশিল্পী কশিশ হন্স।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে জানা যায়, মুম্বাইয়ে অভিজাত এলাকা, যেমন বান্দ্রা, পালি হিলসে, এমন বেশ কিছু জায়গায় ফ্ল্যাট রয়েছে অভিনেত্রীর। তারই একটি ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছেন তিনি। মাসিক দেড় লাখ টাকায় ফ্ল্যাটটি তিন বছরের জন্য ভাড়া দিয়েছেন মালাইকা। তবে প্রতি বছর ৫ শতাংশ করে বাড়বে ভাড়া। এ ছাড়া বান্দ্রায় যে ফ্ল্যাটটি রয়েছে অভিনেত্রীর, সেটিও না কি ভাড়া দেওয়া রয়েছে। যদিও মালাইকা নিজে যে বাড়িতে থাকেন বান্দ্রা এলাকাতেই, সেটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা।
সম্প্রতি অভিনেত্রী আরও একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন, যেটি তৈরি হয়ে হাতে পাওয়া নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, আরবাজ খানের সঙ্গে মালাইকার বিবাহ বিচ্ছেদের বেশ কয়েক বছর হয়ে গেছে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই ‘খান’ পদবি নিজের নাম থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মালাইকা।তবে ছেলে আরহাহের কারণে সৌজন্যমূলক একটা সম্পর্ক বজায় রেখেছেন তারা।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
স্কুলজীবন থেকে পরিচিত সারা আলি খান এবং অনন্যা পাণ্ডে। বলিউডে তাদের বন্ধুত্ব নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্প শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। যদিও বন্ধুত্ব রয়েছে, অনন্যা নাকি সারাকে ভয় পেতেন, যেন যমের মতো। সারার নাম শুনলেই তিনি সতর্ক হয়ে থাকতেন।
অনন্যার থেকে তিন বছরের বড় সারা। ছোট থেকেই বেশ ডাকাবুকো স্বভাবের ছিলেন তিনি। মুখের ওপর কথা বলতেন। অনন্যা বলেছেন, "সারা খুব ঠোঁটকাটা স্বভাবের ছিল, এখনও তাই রয়েছে। তবে স্কুলে আরও সাংঘাতিক ছিল। মুখে যা আসত, তাই বলে দিত। আমি ভয়ে ভয়ে থাকতাম, ভাবতাম এই বুঝি আমার সম্পর্কে কিছু বলল।"
এই কারণে সারাকে কিছুটা এড়িয়েই চলতেন অনন্যা। অভিনেত্রীর কথায়, "আমি যদি দেখতাম, সারা কোনো একটা সিঁড়ি থেকে নেমে আসছে, ওই পথ দিয়ে আমি যেতাম না।"
প্রথম দিকে অনন্যার নাম জানতেন না সারা। তাকে 'এই' বলে ডাকতেন সাইফ আলি খানের কন্যা।
অনন্যা স্মৃতিচারণ করে বলেন, "আমার মনে আছে, একসঙ্গে স্কুলে একটা নাটক করেছিলাম। সারাই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছিল। আমি বোধহয় ওর মাথায় ছাতা ধরেছিলাম, পেছনে ছিলাম সারার।"
এ সময় সারা নাকি অনন্যাকে 'এই এই' বলে ডাকতেন এবং খুব রূঢ় ব্যবহার করতেন। যদিও এখন নাকি অনন্যার কাছে সেই কথা স্বীকার করেন না সারা। সারার দাবি, অনন্যার সঙ্গে তিনি নাকি খুব ভালই ব্যবহার করতেন।
মন্তব্য করুন


নির্মাতা আদনান আল রাজীবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। শোবিজ জগতে এই খবরটি কারও অজানা নয়। এবার তাদের এই সম্পর্ককে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করতে চলেছেন এই জুটি।
চলতি মাসেই আদনান আল রাজীবের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন মেহজাবীন ও রাজীব। এর একদিন আগে, অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হবে। ঢাকার অদূরের একটি রিসোর্টে এই বিয়ের আয়োজন চলছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, আদনান আল রাজীবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে শুরু থেকেই নীরব মেহজাবীন চৌধুরী। বিয়ের খবর নিয়েও কোনো মন্তব্য করেননি এই অভিনেত্রী। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
২০১৯ সালে আদনান আল রাজীবের সঙ্গে ঢাকার একটি শপিং মলে মেহজাবীনের হাত ধরে হাঁটার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই তাদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায়। পরবর্তীতে এই জুটিকে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিদেশেও ঘুরতে দেখা গেছে।
মেহজাবীন চৌধুরী ২০০৯ সালে একটি রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে মিডিয়া জগতে প্রবেশ করেন। এরপর থেকে তিনি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করে আসছেন। তবে এখনও পর্যন্ত তিনি কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। অন্যদিকে, আদনান আল রাজীব দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নির্মাতা হিসেবে পরিচিত।
সূত্র: ইত্তেফাক
মন্তব্য করুন