ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করেছেন যে, নির্বাচন বিলম্বিত হলে আওয়ামী লীগের নিজেদের স্বার্থে তৈরি করা দেশের ভঙ্গুর গণতান্ত্রিক কাঠামো আরও গভীর সংকটে পড়বে।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাব্যবস্থা, কৃষকদের সমস্যা, ব্যবসার চ্যালেঞ্জ এবং বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব—এমন সব ব্যাপক সমস্যা সমাধান করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা এক বার্তায় তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
সন্ধ্যা ৬টা ১৬ মিনিটে শেয়ার করা ওই এক্স-বার্তায় তিনি বলেন, "জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত এবং গঠিত একটি সরকারই কেবল এই জাতির পুনর্গঠন বা সংস্কার শুরু করতে পারবে। জনগণের পছন্দের প্রতিনিধিদের সম্মান জানানো হবে এবং সেই প্রতিনিধিরা জনগণের সেবা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।"
"গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার ও জনগণ—উভয় পক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য," উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, "এবং উভয়ের সক্রিয় অংশগ্রহণই নিশ্চিত করবে যে, বাংলাদেশে সমতা, অন্তর্ভুক্তি এবং সর্বজনীন উন্নয়ন সম্ভব।"
তিনি আরও বলেন, "তাই এখনই সময় জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার করার এবং একটি উন্নত, শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ার পথে অগ্রসর হওয়ার।
মন্তব্য করুন
ভরাডুবির ভয়ে কিছু খুচরা পার্টি নির্বাচন চাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জনতার অধিকার পার্টির উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কিছু খুচরা পার্টি আছে, আমরা জানি- তারা নির্বাচনে আসলে তাদের কোন সম্ভাবনা নাই। নির্বাচনে যাদের ভরাডুবি হবে বলেই তারা নির্বাচন চায় না।
তারা অবৈধভাবে কিছু মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, সেগুলোকে নিজের সম্পত্তি মনে করে। আর আমরা বলেছি, এই সরকারকে সমর্থন করছি। অন্যান্য দল করছে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগস্ট মাসে আমাদেরকে শপথ নিতে হবে, নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
এই আন্দোলন সমাপ্তি হবে না। কারণ জবাবদিহিমূলক সরকার মানুষের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে। মানুষের কথা শুনতে বাধ্য এবং দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পায় ও আইন মতো চলে। আগামীতে গণমুখী রাজনৈতিক ব্যবস্থা যদি প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে নির্বাচিত সরকার অবশ্যই প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের, কারী আবু তাহের, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। অথচ বিএনপি ও তার দোসররা এ আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
রোববার (১৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে বিএনপিসহ একটি চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্র ও অপকৌশলের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। অথচ বিএনপি ও তার দোসররা এ আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতরা বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে উসকানি দিচ্ছে। সরকার একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনকে কেন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে? কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। ইতোপূর্বে বিএনপি ও তার দোসররা সব আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা শিক্ষার্থীদের এই কোটাবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করছে এবং এটাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। তাই কারও উসকানিতে পড়ে সরকারবিরোধী বক্তব্য না দিয়ে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের মানুষের যৌক্তিক দাবির প্রতি আওয়ামী লীগ সর্বদা আন্তরিক। কোনো যৌক্তিক দাবিই কখনই আওয়ামী লীগের কাছে উপেক্ষিত হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে একটি জনকল্যাণকর উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পুনরায় আহ্বান জানাব, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার জন্য।
মন্তব্য করুন
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের ফেলে পরিবারের লোকদের নিয়ে পালিয়ে যান ভারতে। ক্ষমতায় থাকাকালে যেসব কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন তাদেরকে দলের দু:সময়ে পাশে পাননি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
চরম দুঃসময়ে যেসব নেতা দলীয় কর্মীদের পাশে ছিলেন না তাদের মধ্যে অন্যতম আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গণঅভ্যুত্থানের দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও তিনি টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করেননি। ছিলেন আড়ালে। অথচ আগে প্রায় প্রতিদিনিই বিরোধী দলকে নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতেন তিনি।
সম্প্রতি ওবায়দুল কাদের মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়ালের এক্সিকিউটিভ এডিটর অমল সরকারকে দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের এক সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, জনতার ক্ষোভ থেকে বাঁচতে তিনি স্ত্রীসহ এক বাথরুমে ৫ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন। ৫ আগস্টের পর কতদিন দেশে ছিলেন এবং পরে কীভাবে পালিয়েছেন সেটিও বেরিয়ে এসেছে ওই সাক্ষাৎকারে।
ওই ভিডিওতে ওবায়দুল কাদের ৫ আগস্টের উত্তাল দিনের কথা জানিয়ে বলেন, ‘সংসদ এলাকার আমার নিজের বাসাকে এড়িয়ে পার্শ্ববর্তী আরেকটা বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। তখন চারদিক থেকে মিছিল আসছিল। এটা আসলে ছিল প্রধানমন্ত্রীর (সাবেক) গণভবন কেন্দ্রিক। আমি যে বাসাটায় ছিলাম, তারা সে বাসাতেও হামলা করে। তারা জানত না, যে সেখানে আমি আছি।
ওবায়দুল কাদেরের ভাষ্য, ‘আমি আমার স্ত্রীসহ বাথরুমে লুকিয়ে ছিলাম। অনেকক্ষণ ছিলাম, প্রায় ৫ ঘণ্টা। তারপর একটা পর্যায়ে তারা বাথরুমে ভেতরেও কমোড-বেসিন এগুলো ‘লুটপাট’ করেছে। আমার স্ত্রী তখন বাথরুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বারবার বলছিলেন যে আমি অসুস্থ, যাতে করে তাদের প্রবেশ ঠেকানো যায়। কিন্তু তারা জোরপূর্বক ভেতরে ঢোকার হুমকি দিতে থাকে, বাথরুমে কী আছে তা লুট করতে চায়। এই অবস্থায় আমার স্ত্রী আমাকে জিজ্ঞাসা করে, কী করব? আমি বললাম, দরজা খুলে দাও।’
ওবায়দুল কাদেরের ভাষায়, ‘এরপর ৭-৮ জন যুবক ভেতরে ঢোকে, এবং তারা অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে আচরণ করতে থাকে। হঠাৎ তারা আমার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘নেত্রী তো চলে গেলেন, আপনি যাননি কেন?’ আমি তখন কিছু বলতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু এর মাঝেই তারা আচরণ পাল্টে ফেলে। কেউ একজন বলে, ‘আপনার ছবি তুলব’, তারপর শুরু হয় ছবি তোলা, কেউ কেউ সেলফিও নেয়। ধারণা করি, এদের মধ্যে অনেকেই আমাকে চিনতো।’
তিনি জানান, ঠিক কী কারণে প্রথমে তাদের মধ্যে এত আক্রমণাত্মক মনোভাব ছিল, আর কেন হঠাৎ করে সেই আচরণ শীতল হয়ে গেল- তা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি। আচমকাই তারা ঠান্ডা মাথায় কথা বলা শুরু করে। তাদের মধ্যেই একটা গ্রুপ তখন চাইছিল তাকে রাস্তায় নামিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে, আবার কেউ কেউ চেয়েছিল জনতার হাতে তুলে দিতে। এই পরিস্থিতি তার মনে গভীর চাপ ও মানসিক ভাঙন সৃষ্টি করে। এরপর তারা তাকে একটি শার্ট, লাল পতাকাসংবলিত ব্যাজ এবং মুখে কালো মাস্ক পরিয়ে সংসদ এলাকা থেকে গণভবন অভিমুখী বড় রাস্তায় হাঁটিয়ে নিয়ে যায়। হঠাৎ কোথা থেকে একটি খালি ট্যাক্সি বা ইজি বাইক এসে হাজির হয়- সেই মুহূর্তে রাস্তায় কোনো গাড়ি ছিল না। তিনি মনে করেন, এটি হয়তো তার ভাগ্যের বিষয় ছিল।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বৈরাচার হাসিনার অন্যতম এই সহযোগী বলেন, তাদের মধ্যে দু’জন তাকে ও তার স্ত্রীকে সেই গাড়িতে তোলে এবং পথে যেতে যেতে চারপাশের চেকপোস্ট ও লোকজনকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘চাচা-চাচি অসুস্থ, হাসপাতালে নিচ্ছি, বিরক্ত করবেন না।’ এইভাবেই তারা তাকে অনেক দূরের একটি জায়গায় নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ভাবতেও পারিনি যে যারা কয়েক মিনিট আগে বাথরুমে জোর করে ঢুকেছিল, তারাই আমাদের এভাবে রক্ষা করবে। সেদিন বেঁচে যাওয়া ছিল একেবারে অপ্রত্যাশিত। এটা ছিল পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও পরবর্তী তিনমাস দেশেই ছিলেন ওবায়দুল কাদের। ফন্দি আঁটছিলেন দেশের শ্রমিক অসন্তোষ ও বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন ভারতে। নেতাদের প্রায় সবাই আত্মগোপনে। গ্রেপ্তার হয়েছেন কেউ কেউ। জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীদেরও দেখা মিলছে না। টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের এই হাল নিয়ে নানা আলোচনা। নানা প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ আর রাজনীতিতে ফিরতে পারবে? ফিরলে কীভাবে, কোন কৌশলে ফিরবে? এসব প্রশ্নের চটজলদি জবাব হয়তো কারও কাছে নেই। তবে দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রের বরাতে মানবজমিন জানতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন শেখ হাসিনা। তার ধারণা ওই নির্বাচন আওয়ামী লীগের কোনো সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। সুযোগের বিপরীতে হতাশার বার্তাও নিয়ে আসতে পারে মার্কিন মুলুকের নির্বাচন। আসছে ৫ই নভেম্বর গণতান্ত্রিক পৃথিবীর অন্যতম দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু গত জুলাইয়ে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে সমর্থন দেয়ায় নয়া দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে। এরপর থেকেই ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলকান শিবির প্রচারণায় নেমে পড়েছে। ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিসের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার হাতছানি। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্যও বিশেষ বার্তাবহ হতে পারে। বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সরকারের সম্পর্কের বৈরিতার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে সময়ে সময়ে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির কর্মকর্তাদের হেয় করে কথা বলা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তরফেও বহু চেষ্টা চালানো হয়েছে আওয়ামী লীগের সরকারের সময়ে। দফায় দফায় কর্মকর্তারা সফর করেছেন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গেও নানা সময়ে আলোচনা চালিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই চেষ্টাকে ভালো চোখে দেখেনি বরং গণতান্ত্রিক এই চেষ্টাকে অবজ্ঞা করে স্বৈরতান্ত্রিক ভাবধারায় সরকার পরিচালনা করা হয়েছে। জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে বিদেশি শক্তির হাত থাকতে পারে এমন কথাও বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের কারও কারও তরফে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করেই জানিয়েছে, জুলাই-আগস্টের বিপ্লব বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
আওয়ামী লীগ মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডেমোক্রেট শিবির জয় পেলে বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন হবে না এবং ভারত সরকারের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পর্ক অপরিবর্তিত থাকবে। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হলে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন অবস্থানের হেরফের হতে পারে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন বাতাবরণ তৈরি হতে পারে। সুযোগ তৈরি হতে পারে আওয়ামী লীগের জন্যও। যদিও কূটনৈতিক বোদ্ধারা মনে করেন, নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হলেও যুক্তরাষ্ট্রর নীতি পরিবর্তন খুব একটা হয় না।
এসব দিক চিন্তা করে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরও ওই দেশের নির্বাচন নিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তানভীর কায়সারের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার টেলিফোন আলাপে এমন একটি ইঙ্গিত মিলেছিল। যদিও ওই টেলিফোন আলাপ প্রকাশ হওয়ার পর তানভীরকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই ফোনালাপে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে স্থানীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ৫ই নভেম্বরের আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবস্থানের খুব একটা হেরফের হচ্ছে না। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় দলীয় নির্দেশনা আসতে পারে। পরিবর্তন আসতে পারে দলের নেতৃত্বেও।
ওদিকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রচ্ছন্ন চাপে পড়েছে ভারত সরকার। দেশটিতে আশ্রয় নেয়ার পর শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টে অবস্থানের নির্ধারিত ৪৫ দিন পেরিয়ে গেছে আরও আগেই। এমন অবস্থায় তিনি কোন স্ট্যাটাসে ভারতে অবস্থান করছেন তা যুক্তরাষ্ট্রের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে চাউর হয়েছে ভারতে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট পেয়েছেন শেখ হাসিনা। এই ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে তিনি তৃতীয় কোনো দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। যদিও এই ডকুমেন্ট পাওয়ার বিষয়ে ভারত বা বাংলাদেশ কোনো পক্ষ থেকেই স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট যেকোনো দেশ যেকোনো ব্যক্তিকেই ইস্যু করতে পারে। আমাদের তা ঠেকানোর কোনো উপায় নেই। ভারত ‘ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট’ দিলে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট বা অবনতি হবে এমন আশঙ্কা নেই বলেও তিনি জানান।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনাকে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট নিয়েই ভারতে অবস্থান করতে হবে। এই ডকুমেন্ট দিয়ে তিনি তৃতীয় কোনো দেশেও যেতে পারবেন।
ওদিকে বিভিন্ন সূত্রে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে- ভারতের বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু আমিরাত তাকে গ্রহণ করেনি। তাকে বিমানবন্দরে ১৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় কাটাতে হয়েছে এমন খবরও এসেছে। যদিও এসব খবরের সত্যতা কোনো সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেনি।
ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে ইতিমধ্যে গণহত্যার দায়ে অনেক মামলা দায়ের হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব মামলার বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হতে যাচ্ছে দ্রুতই। এসব মামলায় পরোয়ানা জারি হলে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে করা ভারতের চুক্তির আওতায়ই এটির সুযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে টানাপড়েন হতে পারে এমন আশঙ্কাও রয়েছে। দলীয় সূত্রের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পর দলীয় অনেক বিষয় খোলাসা হতে পারে। শেখ হাসিনা ভারতে থাকবেন নাকি অবস্থান পরিবর্তন করবেন সেটিও এরই মধ্যে নিশ্চিত হতে পারে।
সূত্র: মানবজমিন।
মন্তব্য করুন
জুলাই গণহত্যায় জড়িত অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকর্মীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের যে সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েছে, সেটাকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
রবিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ এ কথা জানায়।
তিনি জানান, রাজনৈতিক দল হিসেবে মাফিয়া আওয়ামী লীগের দেশ-বিদেশে কোথাও স্বীকৃতি নেই। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র মানে না, তাদের ডিএনএতে গণতন্ত্রের কোনো অস্তিত্ব নেই।
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের আওতায় আনতে আইন সংশোধন এবং তাদের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে বিএনপি সাধুবাদ জানায়।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে সরকারকে আগামীতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে।
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের ২ দিনের টানা আন্দোলনের মুখে গতকাল আওয়ামী লীগ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। প্রায় ৩ ঘণ্টা বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগ ও এর নেতাকর্মীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনীতেও উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিয়েছে।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ শনিবার, ১০ মে ২০২৫ তারিখে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, এর পাশাপাশি আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশে দুর্ভিক্ষের আলামত দেখছে বিএনপি। দেশের চলমান এই সংকট নিরসনে নির্বাচনের কোনও বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন রিজভী। তিনি বলেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পেলে সব সমস্যার সমাধান হবে। আর দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে মানুষ কাউকে ছেড়ে দেবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিএনপি সিনিয়রর যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিবিসি হাসিনার খুনের হুকুমের তথ্য প্রমাণ করেছে। এর আগে ৭৫ এর ২৫ জানুয়ারি বাকশালের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছিল। এখন একটি ভিন্ন চক্র ভোট নিয়ে টালবাহানা করছে।
রিজভী বলেন, ১৮-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিএনপি প্রমাণ করেছে হাসিনার অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। ফ্যাসিবাদ নানা ছিদ্রপথে প্রবেশের চেষ্টা করছে, এখনও সচিবালয়ে প্রশাসনে ফ্যাসিবাদ বহাল আছে তারা মাথাচারা দিতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন।
এই বৈঠকে বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক এবং চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশকে আবার কিভাবে গড়ে তোলা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই চেষ্টা করছেন বলে জানায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবদলের গ্রাফিতি আর্টসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই আন্দোলনে বিএরপির কোনো নেতাই মুচলেকা দেননি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গোটা বাংলাদেশ নেমে এসেছিল। জুলাই আন্দোলনে যুবদলের শহীদ ৭৯ জন, ছাত্রদলের ১৪২ জন। যার যা অবদান আছে, তা তাকে দিতে হবে। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কোনো একটি দল বা ছাত্র একা আন্দোলন করেননি, শিশু-বৃদ্ধ সবাই জুলাই অভ্যুত্থানে নেমে এসেছিল। সবার অংশগ্রহণে স্বৈরাচারের বিদায় সম্ভব হয়েছে’।
মির্জা ফখরুল বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীর চাঁদাবাজি- এটা কি আমরা চেয়েছিলাম? এত তাড়াতাড়ি যদি এসব ঘটে, তবে ভবিষ্যৎ কী? গোটা বাংলাদেশ তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছে। হাসিনা পতনের মানুষদের দিকে তাকিয়ে আছে সবাই। কিন্তু দুঃখ হয়, জোর গলায় বলতে পারছি না যে এ দেশ নতুন করে গড়ে উঠবে। দেশ এমন অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ফ্যাসিস্টদের নতুন করে সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাসিনার বিচারের তো কিছু দেখতে পেলাম না, এক বছর হয়ে গেল। যারা প্রকাশ্যে হত্যা করল, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হলো না?
সংস্কার ইস্যুতে বিএনপি সব ধরণের সহযোগিতা করছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কারের বিষয়ে সরকারের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। তবে যতই চাপ তৈরি করে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হোক না কেন, দেশের মানুষ লড়াই করতে জানে। দেশের মানুষ লড়াই করে দেশকে মুক্ত করেছে। তারেক রহমান চেষ্টা করছেন, কিভাবে বাংলাদেশকে আবার গড়ে তোলা যায়।
মন্তব্য করুন
আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজন জনগনের দাবি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যে চিঠি পাঠিয়েছে, এটা হচ্ছে গত এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নির্বাচন কমিশন অফিশিয়ালি এই চিঠি পাওয়ার জন্যই এতদিন অপেক্ষা করছিল। সারা জাতি অপেক্ষা করছিল, আমরা অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তার সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম, সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি- এগুলার একটু বর্তমান অবস্থা দৃশ্যমান হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই কথা আমাদের সাথে আগেও হয়েছে। তো অবশেষে তিনি সন্তষ্ট হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জনদাবি ছিল, রাজনীতির দাবি ছিল, অন্তত আগামী রমজানের আগেউ যেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনের যেন তিনি আগেই হয়, সেটা আমাদের নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের আলোচনায় সম্মত হয়েছিলেন। তারপরে যৌথ ব্রিফিং হয়েছে সে জায়গাই। সেই ব্রিফিংয়ে তিনি একটা কথা বলেছিলেন যে, তবে সংস্কার ও বিচার কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান হওয়া প্রয়োজন। তো সেটা দৃশ্যমান হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আমাদের আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে। সংস্কারের বিষয়ে মোটামোটি একটা জাতীয় ঐকমত্য নিশ্চিত হয়েছে। জুলাই জাতীয় সনদ তৈরিতে প্রস্তুত হচ্ছি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিনি আশা করেন যে খুব শীঘ্রই জনগণের ইচ্ছানুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। এর মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ পাবে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, "৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করে আমরা একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছি। এই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার করে আমরা বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক, আধুনিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।"
এসময় তার সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়কসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, "সংস্কার নিয়ে একজন উপদেষ্টা গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা মূলত রাজনীতিকে হীন করার একটি প্রচেষ্টা। পৃথিবীর ইতিহাসে সব সংস্কারই রাজনীতিবিদরা করেছেন।"
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন