বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিনি আশা করেন যে খুব শীঘ্রই জনগণের ইচ্ছানুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। এর মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ পাবে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, "৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করে আমরা একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছি। এই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার করে আমরা বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক, আধুনিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।"
এসময় তার সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়কসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, "সংস্কার নিয়ে একজন উপদেষ্টা গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা মূলত রাজনীতিকে হীন করার একটি প্রচেষ্টা। পৃথিবীর ইতিহাসে সব সংস্কারই রাজনীতিবিদরা করেছেন।"
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার (১৬ জুন) যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক দীর্ঘ সময়। বিচার চলমান প্রক্রিয়া।
সংস্কার হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। সেটা হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি লাগবে না।
আমীর খসরু বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাবে। মানুষ ২০ বছর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।
তরুণরা ভোট দিতে পারেনি। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে অচিরেই দেশের মানুষ ভোটের অধিকার ফিরে পাবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যেহেতু বিএনপি আগামী দিনে সরকার গঠন করবে তাই আমাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচার হচ্ছে। এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে যুব সমাজের প্রত্যাশা ও বিএনপির পরিকল্পনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের নেতা (তারেক রহমান) তার নিজস্ব সংগ্রাম দিয়ে নির্বাচনকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিয়ে এসেছেন। আমাদের দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচন আয়োজনের। সকল সহযোগী সংগঠনকে এ বিষয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশটির সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবছর প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে এবং ১৫ বছরে প্রায় ২৮০ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা সবসময় গণতন্ত্রের কথা বলি, কিন্তু দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হয় না। এ দেশে বারবার গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়নি। তবে এখন দেশ গড়ার একটা সুযোগ এসেছে। ছাত্র-জনতা সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রধান প্রফেসর জাহেদা পারভীন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আ.ন.ম গোলাম রব্বানী, দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল জব্বার, দিনাজপুর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল কাইয়ুম এবং নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মাহবুবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম আল আব্দুল্লাহ, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আইয়ুব আলী, অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং সাবেক শিক্ষার্থী মতিউর রহমান।
স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থনীতি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. ইদ্রিস মিয়া।
উল্লেখ্য, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একসময় দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ সাতজনকে আসামি করে নিজের গুমের অভিযোগ জমা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগ জমা দেন তিনি।
অভিযোগ জমা দিয়ে সালাহউদ্দিন জানান, মামলা করার জন্য আমার আরো আগে আসার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ব্যস্ততা এবং তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে দেরি হয়েছে। এ কারণে যে কাজটা আমি বেশ কয়েক মাস আগে করতে পারতাম, সেটা দেরি হয়ে গেল।
তিনি আরো বলেন, আমি প্রাথমিকবাবে সাতজনকে আসামি করেছি। এর মধ্যে শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ র্যাব পুলিশের কর্মকর্তারা রয়েছেন। তবে আরো অনেক আসামি রয়েছে যারা বিভিন্ন তদন্তের মাধ্যমে বের হবে যেগুলো আমার পক্ষে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এ সময় শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনে জড়িত সকলের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানায় বিএনপির এই নেতা।
এর আগে, গত ১৫ অক্টোবর গুমসংক্রান্ত কমিশনেও নিজের গুমের অভিযোগ জমা দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, গুমের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের সাজা এবং যারা পালিয়ে গেছেন তাদের কমিশনকে খুঁজে বের করতে হবে। এই সরকারের দায়িত্ব সবাইকে আইনের আওতায় আনা।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। প্রায় দুই মাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তার সন্ধান পায়।
এরপর সালাহউদ্দিনকে আটক করা হয়। পরে বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান।
ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।
মন্তব্য করুন
জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ায় কিছু অসামঞ্জস্যতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, জুলাই সনদে কিছু বিষয় সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি।
আজ রবিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ায় কিছু বিষয়ে অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। চূড়ান্ত খসড়া পর্যালোচনা করে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে বিএনপি মতামত।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের সমন্বিত খসড়া পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সে ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্য পাবে। সনদের বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা কিংবা জারির কর্তৃত্ব সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।
এ ছাড়া রাষ্ট্রের সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে যেসব সংস্কারে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
জুলাই সনদের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জোট ও শক্তিসমূহ পারস্পরিক ও সম্মিলিত আলোচনার মাধ্যমে এসব বিষয়ে একমত হওয়া গেছে। তবে সব দল সব বিষয়ে একমত হয়নি, কোনো কোনো দল কোনো কোনো সুপারিশের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। অথচ বিএনপি ও তার দোসররা এ আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
রোববার (১৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে বিএনপিসহ একটি চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্র ও অপকৌশলের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। অথচ বিএনপি ও তার দোসররা এ আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতরা বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে উসকানি দিচ্ছে। সরকার একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনকে কেন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে? কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। ইতোপূর্বে বিএনপি ও তার দোসররা সব আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা শিক্ষার্থীদের এই কোটাবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করছে এবং এটাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। তাই কারও উসকানিতে পড়ে সরকারবিরোধী বক্তব্য না দিয়ে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের মানুষের যৌক্তিক দাবির প্রতি আওয়ামী লীগ সর্বদা আন্তরিক। কোনো যৌক্তিক দাবিই কখনই আওয়ামী লীগের কাছে উপেক্ষিত হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে একটি জনকল্যাণকর উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পুনরায় আহ্বান জানাব, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার জন্য।
মন্তব্য করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, অপরাধী যত বড়ই হোক, ‘মব জাস্টিস’ বা উশৃঙ্খল জনতার বিচার সমর্থনযোগ্য নয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতা–কর্মীদের নিয়ে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচন ছিল শেখ হাসিনার একক নাটকীয় নির্বাচন। এসব নির্বাচনের সময়কার সকল নির্বাচন কমিশনারই ফ্যাসিবাদের অংশ। তবে তারা যত বড় অপরাধীই হোক, বিচার হবে আইনের মাধ্যমেই, মব জাস্টিসের মাধ্যমে নয়। মব জাস্টিস সমর্থনযোগ্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা এবং মব জাস্টিসের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।
রিজভী অভিযোগ করেন, দেশে আবারও করোনার ভয়াবহতা বাড়ছে, কিন্তু সরকার কোনে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। একইভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতিও অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বের হন।
আবদুস সালাম পিন্টুর কারামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিএনপির মিডিয়া সেল।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিএনপির মিডিয়া সেল জানায়, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১৭ বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু।
অবশেষে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
পোস্টে বেশ কিছু ছবিও দেয়া হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে, নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন পিন্টু। এসময় ছাদ খোলা গাড়িতে মাথা বের করে শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশে অনেক সংকট থাকার পরও ড. ইউনুস সরকারকে আমরা সবাই সমর্থন জানিয়েছি। কেননা এই সরকার শেখ হাসিনার সরকারের মতো বিদেশে অর্থ পাচার করবে না। জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে, জনগণের রায় বুঝে আগামী রমজানের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জুলাই-আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুড়িগ্রামের ১০ শহীদ পরিবারকে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর পক্ষে থেকে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারে নামবেন না, তাহলে আপনাদের নিজেদেরই উপর অনেক কিছু নেমে আসেবে। মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শুধু বহিষ্কার নয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় দু-একটি ইসলামী দল রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন। এখন আপনারা টার্গেট করেছেন তারেক রহমান ও বিএনপিকে। বুক পিঠ বলে আপনাদের কিছু নেই। জিয়াউর রহমান মারা গেলে, এরশাদ বন্দুকের নল দিয়ে গণতন্ত্র হত্যা করলো। সেই এরশাদের সঙ্গে কেউ যাবে না বললেও আপনারা চলে গেলেন। শেখ হাসিনার সঙ্গেও চলে গেলেন। সবসময় সুবিধা খুঁজে বেড়ান, সবসময় ধান্দা খুঁজে বেরান। আপনারা চলে গেলেও বিএনপি যায় নাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যায় নাই। জনগণের কাছে দেয়া ওয়াদা থেকে খালেদা জিয়া সরে যায়নি।
তিনি বলেন, আমরা ১৬ বছর লড়াই করেছি। আইনের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হোক, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক, একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। ১৬ বছর ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে এত গড়িমসি কেন? জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগে নির্বাচন দেওয়ার কথা জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে কক্সবাজার ভ্রমণ করায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) দলের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত একটি চিঠি এনসিপির ৫ নেতাকে পাঠানো হয়।
শোকজ হওয়া এই পাঁচজন হলেন, এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদ সাইফুল্লাহ।
চিঠিতে বলা হয়, গতকাল ৫ আগস্ট জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজার যান। এই সফর সংক্রান্ত কোনো তথ্য কিংবা ব্যাখ্যা ‘রাজনৈতিক পর্ষদ’ এর নিকট পূর্বে অবগত করা হয়নি।
এমতাবস্থায়, আপনার এই সিদ্ধান্তের কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নিকট সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্য আপনাকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছরপূর্তির দিনে পূর্বঘোষণা ছাড়াই রহস্যজনকভাবে কক্সবাজারে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় পাঁচ নেতা। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং-বিজি-৪৩৩ যোগে তারা কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। নির্ধারিত কোনো গাড়ির পরিবর্তে বিমানবন্দর পার্কিং এলাকা থেকে একটি নোয়াহ মাইক্রো ভাড়া করে এনসিপির এই নেতারা মেরিন ড্রাইভ দিয়ে ইনানীর হোটেল সি পার্ল অ্যান্ড স্পাতে ওঠেন বলে জানান ভাড়ায় যাওয়া সেই গাড়িচালক। তবে ঢাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছর পূর্তির দিনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরিবর্তে কেন তারা কক্সবাজারে তার কোনো সঠিক বিবরণ মিলছে না।
মন্তব্য করুন