দেশজুড়ে বাড়তে থাকা বন্দুক সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে একটি দপ্তর খোলার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস হবেন সেই দপ্তরের প্রধান।
গত কয়েক বছরে বন্দুক হামলায় নিহতদের স্মরণে শনিবার হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেন এক স্বরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা ও বন্দুক সহিংসতায় নিহতদের আত্মীয়দের উপস্থিতিতে বাইডেন বলেন, ‘ঝড়ের মতো বাড়তে থাকা বন্দুক সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্র ছারখার হয়ে যাচ্ছে। এই সংকট নিয়ন্ত্রণে আমার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
‘এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় শিগগিরই একটি নতুন দপ্তর খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, যেটির কাজ হবে এ সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস হবেন সেই দপ্তরের প্রধান।’
ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তার বক্তব্যে বলেন, ‘এক্ষেত্রে নষ্ট করার মতো সময় কিংবা জীবন— কোনোটাই আমাদের হাতে নেই। কারণ, প্রকৃত স্বাধীনতার সঙ্গে জনগণের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি সরাসরি সম্পর্কিত।’
প্রসঙ্গত, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে এবং নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ডাটাবেইজের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বন্দুক সহিংসতার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ৩৫টি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বন্দুক সহিংসতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গত ৯ মাসে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৭১ জন।
তবে নতুন দপ্তর খোলা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে কতখানি কাজে আসবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষক।
কারণ, বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক ধাপ হলো আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বন্দুক বাণিজ্য, অর্থাৎ কেনা-বেচা নিয়ন্ত্রণ করা। বাইডেন প্রশাসন এর আগে কয়েকবার বন্দুকের সহজলভ্যতা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে চেয়েছে; কিন্তু প্রত্যেকবারই তা ঠেকিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনেটিটিভস এবং উচ্চকক্ষ সিনেটের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা।
বর্তমানে এটি আরও কঠিন, কারণ গত বছর কংগ্রেসের নির্বাচনে নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে রিপাবলিকান পার্টি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই বন্দুক সহিংসতাকে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে হাজির করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জো বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। যদি সত্যিই এমন হয়, সেক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনেও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কমলা হ্যারিসের দাঁড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শপথ গ্রহণের পর তার প্রথম ভাষণে তিনি জানান, বাইডেন আমলের সব নির্বাহী আদেশ দ্রুত বাতিল করা হবে। শপথের অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে শুরু করেন তিনি।
জানা গেছে, শপথ নেওয়ার পরপরই ট্রাম্প ওভাল অফিসে গিয়ে একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এর মাধ্যমে তিনি বাইডেনের শাসনামলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। এর মধ্যে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের আদেশও রয়েছে।
ট্রাম্প আদেশে স্বাক্ষর করার পর সেটি জনসাধারণকে দেখান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা ছাড়ার আগে রেকর্ডসংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে, এমন আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নেন বাইডেন।
ট্রাম্প তার ভাষণে বলেন, "যে ক্ষমাগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও দ্রুত বাতিল করা হবে।"
অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামলাতে ট্রাম্প মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে একটি নির্বাহী আদেশেও স্বাক্ষর করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ট্রাম্পকে শপথ পাঠ করান। এ সময় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার স্ত্রী জিল বাইডেনসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৭ সালে ন্যাশনাল মলে বড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রথমবার শপথ নিয়েছিলেন। তবে এবার তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শপথ অনুষ্ঠান ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে একই কারণে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে শপথ নিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। ওই দিন দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে খবর প্রকাশ করছে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, নির্যাতনের শিকার হয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশ থেকে দলে দলে পালিয়ে ভারতে যাচ্ছেন।
তবে ভারতের প্রসিদ্ধ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’ এ ধরনের খবরকে ভুয়া বলে আখ্যা দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটছে না। হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ থেকে দলে দলে মানুষের ভারতে পালিয়ে যাওয়া বা ভারতে ঢোকার কোনও চেষ্টা হয়নি।
রবিবার প্রকাশিত দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে পরিসংখ্যান উল্লেখ করে এমনটাই বলা হয়েছে।
দ্য হিন্দু বলছে, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সীমান্তে এক হাজার ৩৯৩ বাংলাদেশি আটক হয়েছেন। এর আগে জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত (আওয়ামী লীগ সরকারের সময়) ১ হাজার ১৪৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। যার অর্থ আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর হাজার হাজার মানুষের সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার কোনও চেষ্টার ঘটনা ঘটেনি।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সব মিলিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তে মোট ৩ হাজার ৯০৭ অনথিভুক্ত ব্যক্তি আটক হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশি, ভারতীয়, এবং অন্যান্য জাতীয়তার মানুষ। ২০২৩ সালে এ সময় পর্যন্ত আটক হওয়া বাংলাদেশিদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৩৭, যা ২০২২ সালের ৩ হাজার ৭৪ জনের কাছাকাছি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ জানিয়েছে, গত আগস্ট মাস থেকে কঠোর নজরদারিতে রয়েছে সীমান্ত। এমএইচএ’র নির্দেশে বৈধ নথি ছাড়া কাউকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। গত ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত কোনও কাগজপত্র ছাড়াই বাংলাদেশে প্রবেশকারী ৮৭৩ ভারতীয়কে আটক করা হয়েছে।
বিএসএফের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের পর সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের নিরাপত্তার ভয়ে ভারতে প্রবেশ করতে চাইতে পারে। কিন্তু রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এমন কোনও দৃশ্য দেখা যায়নি। উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর থেকে কয়েকটি খবর পাওয়া গেলেও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারতে আশ্রয়ের জন্য কোনও বড় ধরনের গণ-অভিবাসনের খবর পাওয়া যায়নি।
বিএসএফ আরও বলেছে, ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন এমন ভারতীয়র সংখ্যা ৩৮৮ জন। এ বছর মিয়ানমারসহ অন্যান্য জাতিসত্তার ১০৯ জনকেও সীমান্তে আটক করা হয়েছে।
২০১৮, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে সীমান্তে আটক বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২ হাজার ৯৯৫ জন, ২ হাজার ৪৮০ জন, তিন হাজার ২৯৫ জন, দুই হাজার ৪৫১ জন এবং তিন হাজার ৭৪ জন।
অর্থাৎ ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সীমান্তে আটক হওয়া বাংলাদেশিদের সংখ্যা ২,৪৮০ থেকে ৩,২৯৫-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। এই ধারাবাহিকতা থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও বড় ধরনের পরিবর্তন হয়নি।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মেনে বৈধ নথিপত্র ছাড়া কাউকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
৫ আগস্টের পর বিএসএফ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনেক বার বৈঠক করেছে। সূত্র: দ্য হিন্দু
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পোল্যান্ড সফর বাতিল করেছেন। পোল্যান্ডের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাদিস্লো বার্তোসজেউস্কি এক সাক্ষাৎকারে সতর্ক করেছিলেন যে, নেতানিয়াহু পোল্যান্ডে গেলে গ্রেপ্তার হতে পারেন। এই সতর্কবার্তার পর নেতানিয়াহু তার সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান নাৎসি বাহিনী পোল্যান্ডসহ আশপাশের দেশগুলোর ইহুদিদের যেসব বন্দি শিবিরে আটকে রেখেছিল, সেগুলো আউশউইৎজ নামে পরিচিত। পোল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে এ ধরনের কয়েকটি আউশউইৎজ শিবির ছিল। ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে এসব শিবিরে প্রায় ১০ লাখ ১০ হাজার ইহুদিকে হত্যা করা হয়। নিহতদের বেশিরভাগই পোল্যান্ড ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নাগরিক ছিলেন।
যুদ্ধ শেষে আউশউইৎজ শিবির মুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে এই ঘটনাকে স্মরণ করা হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আউশউইৎজ মুক্তির ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন হবে, যেখানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর অংশগ্রহণের কথা ছিল।
কিন্তু পোল্যান্ডের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্তোসজেউস্কি শনিবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "আমরা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে জানিয়ে দিয়েছি যে, নেতানিয়াহু যদি পোল্যান্ডে আসেন, তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে আমরা পদক্ষেপ নেব। কারণ, পোল্যান্ড আইসিসির নির্দেশনা মেনে চলার চুক্তিবদ্ধ দেশ।"
এই সতর্কবার্তার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পোল্যান্ডকে জানিয়েছে, নেতানিয়াহু এবার সেখানে আসবেন না।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান পরিচালনা এবং সেখানকার বাসিন্দাদের খাদ্য, পানি ও ওষুধ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে আইসিসি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
যদিও ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ আইসিসির সনদে স্বাক্ষর করেছে। পোল্যান্ডও সেই তালিকায় থাকায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে থাকা পরোয়ানা কার্যকর করতে দেশটির আইনত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট
মন্তব্য করুন
চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত করতে ২০২৫ সালে আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) নতুন বছরের আগমনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, ২০২৪ সালের শেষে চীনের জিডিপি অন্তত ১৭ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। খবরটি রয়টার্সের।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে শি জিনপিং বলেন, গত বছরে চীন দেশের ভিতরে এবং বাইরের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নয়নের উচ্চমান ধরে রাখতে সর্বাত্মক নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
চীন দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ ব্যবসায় মন্দা, স্থানীয় সরকারের ঋণের ঊর্ধ্বগতি এবং ভোক্তাদের আস্থার অভাবে অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে। গত বছর এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে দেশটিকে। এর মধ্যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে উচ্চ রফতানি শুল্ক আরোপের আশঙ্কাও বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, চলমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নতুন কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশের সীমানার বাইরে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, পাশাপাশি পুরোনো থেকে নতুন চালিকাশক্তিতে রূপান্তরের চাপও বাড়ছে।
তবে, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সব বাধা অতিক্রম করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী। শি জিনপিং আরও বলেন, ‘‘প্রতিবারের মতো আমরা ঝড়বৃষ্টির মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠব, কঠিন সময়ের মধ্যে আমরা শক্তিশালী হয়ে উঠব। নিজেদের সক্ষমতার ওপর আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে।’’
চীনের কর্তৃপক্ষ গত সেপ্টেম্বরে ঋণের সুদের হার হ্রাস এবং বাড়ি ক্রয়ে বিধিনিষেধ কমানোর মতো পদক্ষেপ নিয়ে নির্মাণ ব্যবসা ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা চাঙা করার চেষ্টা করেছে।
বিদায়ী বছরের শেষ মাসে শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা ২০২৫ সালে তুলনামূলক সহজ মুদ্রানীতি প্রণয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। এর বাস্তবায়ন হলে, বিগত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বিধিনিষেধমূলক নীতিমালা আসবে। পাশাপাশি, ২০২৫ সালে ভোক্তা ব্যয় এবং বন্ড ইস্যু বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২৫ সালে ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের ট্রেজারি বন্ড ইস্যু করতে সম্মত হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
দেশজুড়ে বাড়তে থাকা বন্দুক সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে একটি দপ্তর খোলার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস হবেন সেই দপ্তরের প্রধান।
গত কয়েক বছরে বন্দুক হামলায় নিহতদের স্মরণে শনিবার হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেন এক স্বরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা ও বন্দুক সহিংসতায় নিহতদের আত্মীয়দের উপস্থিতিতে বাইডেন বলেন, ‘ঝড়ের মতো বাড়তে থাকা বন্দুক সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্র ছারখার হয়ে যাচ্ছে। এই সংকট নিয়ন্ত্রণে আমার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
‘এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় শিগগিরই একটি নতুন দপ্তর খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, যেটির কাজ হবে এ সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস হবেন সেই দপ্তরের প্রধান।’
ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তার বক্তব্যে বলেন, ‘এক্ষেত্রে নষ্ট করার মতো সময় কিংবা জীবন— কোনোটাই আমাদের হাতে নেই। কারণ, প্রকৃত স্বাধীনতার সঙ্গে জনগণের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি সরাসরি সম্পর্কিত।’
প্রসঙ্গত, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে এবং নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ডাটাবেইজের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বন্দুক সহিংসতার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ৩৫টি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বন্দুক সহিংসতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গত ৯ মাসে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৭১ জন।
তবে নতুন দপ্তর খোলা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে কতখানি কাজে আসবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষক।
কারণ, বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক ধাপ হলো আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বন্দুক বাণিজ্য, অর্থাৎ কেনা-বেচা নিয়ন্ত্রণ করা। বাইডেন প্রশাসন এর আগে কয়েকবার বন্দুকের সহজলভ্যতা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে চেয়েছে; কিন্তু প্রত্যেকবারই তা ঠেকিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনেটিটিভস এবং উচ্চকক্ষ সিনেটের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা।
বর্তমানে এটি আরও কঠিন, কারণ গত বছর কংগ্রেসের নির্বাচনে নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে রিপাবলিকান পার্টি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই বন্দুক সহিংসতাকে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে হাজির করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জো বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। যদি সত্যিই এমন হয়, সেক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনেও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কমলা হ্যারিসের দাঁড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই হামলা পরিচালিত হয়। এতে এখন পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছে অনেকেই আহত হয়েছেন।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো জানিয়েছেন, রাশিয়া আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, এর মধ্যে কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ইসকান্দার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
রাশিয়া জানিয়েছে, পশ্চিমাদের সহায়তায় চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেন রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালায়, এবং তার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনের চালানো হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে আজ দীর্ঘ পাল্লার উপযুক্ত অস্ত্র দিয়ে সমন্বিত হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়টি রাশিয়ার জন্য পরাজয়—এমন ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, সিরিয়ায় তাদের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।
নয় বছর আগে, বিদ্রোহী যোদ্ধাদের হটাতে আসাদ সরকারকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিতে রাশিয়া সিরিয়ায় এসেছিল। রাশিয়ার সহায়তায় আসাদের সামরিক বাহিনী গৃহযুদ্ধে সুবিধা পায়। তবে চলতি মাসের শুরুতে বিদ্রোহীরা আসাদ সরকারকে উৎখাত করে, এরপর রাশিয়ায় পালিয়ে যান আসাদ।
মন্তব্য করুন
ইরান দুই দফায় মোট ২৭টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। প্রথম দফায় ২২টি এবং দ্বিতীয় দফায় ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। দুই দফার হামলার মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল মাত্র আধা ঘণ্টা। এ অবস্থায় ইসরায়েল নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল, যার মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার দখলকৃত গোলান মালভূমি, গালিলি অঞ্চলের উত্তরাংশ, এবং উত্তর ও মধ্য উপকূলীয় এলাকা। মোট ১০টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র বা বড় শার্পনেল সরাসরি আঘাত হেনেছে, বিশেষ করে তেল আবিব ও হাইফায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। তবে কোন নির্দিষ্ট স্থাপনা বা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ইসরায়েলের জরুরি চিকিৎসা সেবার প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। চিকিৎসাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে সব আহতকে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যায়।
বিশ্লেষকদের মতে, এত অল্প সময়ের ব্যবধানে পরপর দুই দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এর আগে কখনো দেখা যায়নি। সাধারণত প্রতিটি দফার মধ্যে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান থাকে, কিন্তু এবার মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফার হামলা চালানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে আসা জেজু এয়ারের একটি বিমান অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানটিতে মোট ১৮১ জন আরোহী ছিলেন, যার মধ্যে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু সদস্য। এখন পর্যন্ত দু'জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ জিয়ুল্লা প্রদেশের ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর জানিয়েছে, উদ্ধার কাজ চলছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর আগুন ও ধোঁয়া দেখা গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, থাইল্যান্ড থেকে আসা বিমানটি মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। জেজু এয়ারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছেন।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মু উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলজুড়ে নতুন করে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। রোববার (১৫ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইফা, তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছে। চিকিৎসক ও স্থানীয় মিডিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলের তেল আবিব মেট্রোপলিটন এলাকার বাত ইয়াম শহরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে এখন পর্যন্ত ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। সেই সঙ্গে আহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা মেগান ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, বাত ইয়ামে যে তিনজন নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ১০ বছর বয়সী শিশু রয়েছে। এ ছাড়া নিহত অন্য দুইজন নারীর মধ্যে একজনের বয়স ৬৯ এবং আরেকজনের বয়স ৮০ বছর।
এদিকে ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষ, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া নতুন করে এবার ইরানের তেল স্থাপনা ও গ্যাসক্ষেত্রে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক নিহত হয়েছে। নিহতের মধ্যে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও কমান্ডার ও অন্তত ১২ জন পরমাণুবিজ্ঞানী রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের আওকাফ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ইসরাইলি বাহিনী ৮১৫টি মসজিদ ধ্বংস করেছে এবং ১৫১টি মসজিদ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ১৯টি কবরস্থান ধ্বংস করা হয়েছে, কবর ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
ইসরাইলি হামলায় গাজা সিটির তিনটি গির্জাও হামলা ও ধ্বংস হয়েছে।
এদিকে গাজায় একদিনে অন্তত ৮৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। তারা মাত্র তিন দিনের মধ্যে ছিটমহলে ১০০ বারের বেশি বোমা হামলা চালিয়ে ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪৫ হাজার ৮০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ৯ হাজার ৬৪ জন আহত হয়েছে। সেদিন হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরাইলে অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দি হয়।
মন্তব্য করুন