দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার শতাধিক সেনা নিহত হয়েছে। দেশটির একজন সংসদ সদস্য জানান, চলতি মাসে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার পর থেকে অন্তত ১০০ জন উত্তর কোরীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
লি সাং-কওন নামে ওই এমপি জানান, হতাহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও রয়েছেন। সেনাদের অপরিচিত যুদ্ধক্ষেত্র এবং ড্রোন যুদ্ধের অভিজ্ঞতার অভাবের কারণে এই ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।
গত অক্টোবর মাসে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার যুদ্ধে সহায়তার জন্য ১০ হাজার সেনা পাঠায়। চলতি সপ্তাহের শুরুতে, প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার সেনাদের হতাহতের খবর পাওয়া যায়।
এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন মুখপাত্র উত্তর কোরীয় সেনাদের নিহত হওয়ার কথা জানান, তবে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তিনদিনব্যাপী জি-৭ সম্মেলনে ইতালিতে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী সাত দেশ। শুক্রবার জোটটির নেতারা ইরানকে পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি এগিয়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। সেইসঙ্গে জোটটি জানিয়েছে, তেহরান যদি রাশিয়ার কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তর করে তবে জি-৭ ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা তেহরানকে পরমাণু উত্তেজনা বৃদ্ধি বন্ধ ও প্রত্যাহার করার এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান তার ফোরদো সাইটে অতিরিক্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ সেন্ট্রিফিউজ স্থাপন করেছে এবং অন্যান্য সেন্ট্রিফিউজ স্থাপন শুরু করেছে। দেশটি এখন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে।
জি-৭ জানিয়েছে, ইরানকে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। তবে ইরান অনেক আগে থেকেই বলছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে।
জোটটির দাবি, রাশিয়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর জন্য একটি চুক্তি সম্পাদন করেছে ইরান। এ বিষয়ে সতর্ক করে জি-৭ বলছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস থেকে নিউ জার্সি পর্যন্ত কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের প্রায় ছয় কোটি মানুষ তুষারঝড়, তুষারসহ বৃষ্টি এবং তীব্র ঠাণ্ডার কবলে পড়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত সাতটি অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাহত হচ্ছে উড়োজাহাজ চলাচলও।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মারফি অঙ্গরাজ্যটির কয়েকটি কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। এর আগে কানসাস, মিজৌরি, কেন্টাকি, ভার্জিনিয়া, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া এবং আরকানসাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
তুষারঝড়টি এখন মধ্য আটলান্টিক অঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার ওয়াশিংটনে ভারী তুষারপাত হতে পারে।
কানসাস ও মিজৌরির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সড়কগুলো তুষারের চাদরে ঢেকে গেছে। জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া দক্ষিণের ওহাইও থেকে ওয়াশিংটন পর্যন্ত এলাকায় ১৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার তুষারপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিনসিনাটি, ওয়াশিংটন এবং ফিলাডেলফিয়ায় তুষারঝড়ের কারণে আজ কয়েক'শ বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
উড়োজাহাজ চলাচলের ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটএওয়ার জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ হাজার ৫০০ উড়োজাহাজের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া এক দিনে আরও ৫ হাজারের বেশি উড়োজাহাজের যাত্রায় বিলম্ব হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আইফোন ভক্ত তরুণ-তরুণীদের কাছে লাখ টাকা যে কোনও প্রতিবন্ধকতা নয় সেটিই যেন প্রমাণ হলো ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। শুক্রবার দিল্লিতে সর্বশেষ মডেলের আইফোন বিক্রি শুরু হওয়ার পর তা কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন শত শত তরুণ-তরুণী। আর সেখানেই ঘটেছে এক মর্মান্তিক কাণ্ড; অর্থ পরিশোধের পর আইফোন হাতে তুলে দিতে দেরী হওয়ায় দোকানের কর্মীদের বেধড়ক পিটিয়েছেন দুই ক্রেতা।
আইফোন নিয়ে ভারতে ভক্তদের এমন উন্মাদনার শেষ এখানেই নয়। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, দিল্লিতে আইফোনের সর্বশেষ সংস্করণের জন্য দোকানের সামনে ১৭ ঘণ্টা কিংবা তারও বেশি সময় ধরে সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইফোন-১৫ এর ডেলিভারি বিলম্বিত হবে বলে জানানোর পর দিল্লিতে দুই ক্রেতা দোকানের কর্মীদের মারধর করেছেন।
উত্তর দিল্লির কমলানগর মার্কেটে এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, শুক্রবার ইলেকট্রনিক্স শোরুমের দুই কর্মচারীকে লাঞ্ছিত করছেন দুই ব্যক্তি। পরে জাসকিরাত সিং ও মনদীপ সিং নামের ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতে বিক্রি শুরুর প্রথম দিনেই দোকানের কর্মীরা আইফোন সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই দুই ক্রেতাকে তাদের ফোনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি বলে দোকানের পক্ষ থেকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেপে যান তারা।
দুই গ্রাহকে ক্ষোভ এতটাই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল যে, এমনকি ১০ জনের বেশি কর্মচারীর হস্তক্ষেপও তাদের সহকর্মীদের বেধড়ক মারধর থেকে রক্ষা করতে পারেনি। পরে দোকানের এক কর্মচারীর ওপর হামলে পড়েন জাসকিরাত ও মনদীপ। এ সময় তারা তাকে কিল-ঘুষির পাশাপাশি লাথিও মারেন। দোকানের ওই কর্মীর টি-শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন তারা।
ভারতের প্রথম অ্যাপল স্টোর মুম্বাইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সেও (বিকেসি) শুক্রবার নতুন আইফোন, অ্যাপল ওয়াচ এবং এয়ারপডস কেনার জন্য দেশটির বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতাদের আসার খবর পাওয়া গেছে। প্রথম দিনেই আইফোন হাতে পাওয়ার জন্য আহমেদাবাদ এবং বেঙ্গালুরুর মতো স্থান থেকেও অনেক লোকজন মুম্বাইয়ে গেছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
দেশটির বার্তা সংস্থা এএনআইকে একজন আইফোন ক্রেতা বলেছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে আমি এখানে রয়েছি। ভারতের প্রথম অ্যাপল স্টোরে প্রথম আইফোন পাওয়ার জন্য আমি ১৭ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমি আহমেদাবাদ থেকে এসেছি।
বেঙ্গালুরু থেকে আসা আরেক ক্রেতা বিবেক বলেন, ‘নতুন আইফোন ১৫ প্রো পেয়ে আমি খুশি। আমি অত্যন্ত উত্তেজিত।’
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এবার নেটফ্লিক্সে অভিষেক হতে যাচ্ছে সাবেক ইংলিশ ফুটবল অধিনায়ক ডেভিড বেকহামের পত্নী ভিক্টোরিয়ার। তার এই আসন্ন নেটফ্লিক্স শোই নাকি প্রিন্স হ্যারির পত্নী মেগান মার্কেলকে ‘হুমকির’ মুখে ফেলেছে। শোটি নাকি সাসেক্সের ডাচেসকে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ করবে।
সম্প্রতি ফ্যাবুলাসের নতুন একটি প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গায়িকা থেকে ফ্যাশন ডিজাইনারে পরিণত হওয়া ভিক্টোরিয়ার এই নেটফ্লিক্স প্রজেক্ট মেগান এবং তার মধ্যকার বিরোধকে আরও তীব্র করবে।
উভয়ের মধ্যে এই বিরোধ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে, যখন মেগান অভিযোগ করেছিলেন যে, ভিক্টোরিয়া তার ব্যক্তিগত তথ্য গণমাধ্যমে ফাঁস করেছেন।
এ প্রসঙ্গে রয়্যাল লেখক ইঙ্গ্রিড সেওয়ার্ড মন্তব্য করেছেন, ভিক্টোরিয়ার নেটফ্লিক্স শো মেগান মার্কেলের শোয়ের আগে মুক্তি পাবে বলে তিনি বিরক্ত হতে পারেন। তবে তিনি এমনভাবে আচরণ করবেন যেন এতে তার কিছুই যায় আসে না।
ফ্যাবুলাসকে ইঙ্গ্রিড বলেন, "আমি নিশ্চিত, তিনি (মেগান মার্কেল) ক্ষুব্ধ হবেন, কারণ তিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পছন্দ করেন। আমি মনে করি, নেটফ্লিক্সে ভিক্টোরিয়ার শো আগে মুক্তি পাওয়ায় তিনি বিরক্ত হবেন, তবে তিনি গভীরভাবে তা সহ্য করে যাবেন।"
রাজপরিবারের এই লেখক আরও যোগ করেন, "তিনি (মেগান মার্কেল) বিরক্ত হতে পারেন, তবে তা প্রকাশ করতে পারবেন না। তিনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ অভিনেত্রী; তিনি জানেন কীভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি সামলাতে হয়। তাকে বলতে হবে, 'অসাধারণ! ভিক্টোরিয়া কত চমৎকার!
মন্তব্য করুন
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সেমে-পোাজির একটি পেট্রোলের ডিপোতে আগুন লেগে এক শিশুসহ ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ ডজনেরও বেশি সংখ্যক মানুষ।
সেমে-পোজি শহরটি নাইজেরিয়ার সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। শনিবার স্থানীয় সময় সকালে ৯টার দিকে ওই ডিপোতে আগুন লাগে বলে এক বিবৃতি জানিয়েছে বেনিনের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বেনিনের সরকারি প্রসিকিউট আবদৌবাকি আদম বোংলে জানান, যে ডিপোতে আগুন লেগেছে— সেখানে নাইজেরিয়া থেকে চোরাইপথে পেট্রোল আসতো। শনিবার সকালে এমন একটি চালান যখন আনলোড হচ্ছিল, সেসময় বিস্ফোরণ ঘটে এবং তার জেরেই আগুনের সূত্রপাত।
এ ঘটনায় নিহতদের সবাই ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন বলে বিবৃতেতে উল্লেখ করেছেন বোংলে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাজার এলাকার দোকানে আগুন লেগেছে এবং বিরাট কালো ধোঁয়ার কুন্ডলি উঠছে। অনেক লোকজন নিরাপদ দূরত্বে থেকে দেখছেন সেই আগুন পরিস্থিতি।
তবে এই ভিডিওটি সত্যিই ঘটনাস্থলের কি না— যাচাই করতে পারে নি রয়টার্স।
মন্তব্য করুন
বর্তমান পরিস্থিতিতে সিরিয়ার দ্রুত সহায়তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে দেশটির জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানান, সিরিয়াকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি।
রবিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। তিনি একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে রিয়াদে গেছেন। সম্মেলনে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানিও উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনের আগে এক সাক্ষাৎকারে বেয়ারবক সাংবাদিকদের বলেন, সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মিত্রদের ওপর, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে জার্মানি নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখবে।
তিনি আরও বলেন, "ক্ষমতার এই পরিবর্তনকালে সিরিয়াকে দ্রুত অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সিরিয়ার জনগণের পাশে দাঁড়াবো, যাদের এখনও মৌলিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা খাদ্য, জরুরি আশ্রয়, এবং স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা দিতে আরও ৫০ মিলিয়ন ইউরো দেব।"
এর আগে দামেস্ক সফরের সময় বেয়ারবক বলেছিলেন, সিরিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে সেখানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়া বা না হওয়ার উপর।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি দ্য ফাইনান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আহ্বান জানাচ্ছে জার্মানি।
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করেছিল, তবে এটি তাদের জন্য ছিল ব্যবসা। এমনটাই মনে করেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নকে সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হয়েছিল। হ্যাঁ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করেছিল, তবে তাদের জন্য এটি ছিল ব্যবসা।
দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়লাভের সবচেয়ে বড় মূল্য আমাদের সোভিয়েত ইউনিয়নকে দিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নিঃসন্দেহে আমাদের সাহায্য করেছে। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তবে আমেরিকা সর্বদা সবখান থেকে অর্থ উপার্জন করে, আমেরিকার জন্য এটি সর্বদা ব্যবসায়ের বিষয়।
বর্তমানের সময়েও যুক্তরাষ্ট্র এ ধরণের ব্যবসা করছে বলেও মন্তব্য করেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র। বলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সাহায্য করে এবং ইউরোপীয়দের কাছে তার ব্যয়বহুল সম্পদ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে। সুতরাং আপনি যেভাবেই বিশ্লেষণ করেন না কেন, এটি একটি সফল ব্যবসা।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্ষমতায় আসার পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া সহায়তার জন্য ওয়াশিংটন ঋণ পরিশোধও বন্ধ করে দেয়। এটিও ব্যবসা ছিল!
যদিও এর আগে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পেজে এক পোস্টে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কখনই ভুলে যাওয়া উচিত নয়, রাশিয়া আমাদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জিততে সহায়তা করেছিল এবং এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ৬ কোটি প্রাণ হারিয়েছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, মোট ক্ষতির মধ্যে অপূরণীয় ছিল ২৬.৬ মিলিয়ন মানুষ। এদের মধ্যে প্রায় ১৮ মিলিয়ন বেসামরিক এবং প্রায় ৮.৭ মিলিয়ন সামরিক সৈনিক ছিল। এদের মধ্যে ১০ লাখ সোভিয়েত সৈন্য ও অফিসার রয়েছেন যারা ইউরোপের মুক্তির জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পোল্যান্ড সফর বাতিল করেছেন। পোল্যান্ডের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাদিস্লো বার্তোসজেউস্কি এক সাক্ষাৎকারে সতর্ক করেছিলেন যে, নেতানিয়াহু পোল্যান্ডে গেলে গ্রেপ্তার হতে পারেন। এই সতর্কবার্তার পর নেতানিয়াহু তার সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান নাৎসি বাহিনী পোল্যান্ডসহ আশপাশের দেশগুলোর ইহুদিদের যেসব বন্দি শিবিরে আটকে রেখেছিল, সেগুলো আউশউইৎজ নামে পরিচিত। পোল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে এ ধরনের কয়েকটি আউশউইৎজ শিবির ছিল। ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে এসব শিবিরে প্রায় ১০ লাখ ১০ হাজার ইহুদিকে হত্যা করা হয়। নিহতদের বেশিরভাগই পোল্যান্ড ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নাগরিক ছিলেন।
যুদ্ধ শেষে আউশউইৎজ শিবির মুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে এই ঘটনাকে স্মরণ করা হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আউশউইৎজ মুক্তির ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন হবে, যেখানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর অংশগ্রহণের কথা ছিল।
কিন্তু পোল্যান্ডের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্তোসজেউস্কি শনিবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "আমরা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে জানিয়ে দিয়েছি যে, নেতানিয়াহু যদি পোল্যান্ডে আসেন, তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে আমরা পদক্ষেপ নেব। কারণ, পোল্যান্ড আইসিসির নির্দেশনা মেনে চলার চুক্তিবদ্ধ দেশ।"
এই সতর্কবার্তার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পোল্যান্ডকে জানিয়েছে, নেতানিয়াহু এবার সেখানে আসবেন না।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান পরিচালনা এবং সেখানকার বাসিন্দাদের খাদ্য, পানি ও ওষুধ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে আইসিসি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
যদিও ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ আইসিসির সনদে স্বাক্ষর করেছে। পোল্যান্ডও সেই তালিকায় থাকায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে থাকা পরোয়ানা কার্যকর করতে দেশটির আইনত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেই পশ্চিমবঙ্গে শান্তি ফিরবে। তার মতে, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণেই পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শান্তি তখনই সম্পূর্ণভাবে স্থায়ী হবে, যখন এই অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে।
রবিবার পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ভারতের সবচেয়ে বড় যাত্রী টার্মিনাল ভবন এবং 'মৈত্রী দ্বার' নামে একটি কার্গো গেট উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, 'ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া' (এলপিএআই) এই অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়ন স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বৈধ যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকলে মানুষ অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসে এবং এটি পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতের শান্তি বিঘ্নিত করে।
অমিত শাহ বলেন, ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তার মতে, এটি বাস্তবায়িত হলে সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব আরও শক্তিশালী হবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের সঙ্গে সংস্কৃতি, ভাষা ও আদান-প্রদান বাড়বে, যা এক নতুন অংশীদারিত্বের সূচনা করবে।
উত্তর চব্বিশ পরগনার পেট্রাপোল বন্দরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ আরও বলেন, এলপিএআই একটি ছোট প্রতিষ্ঠান হলেও এর গুরুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নে ভাষা ও সংস্কৃতির আদান-প্রদানের মাধ্যমে এলপিএআই গত দশ বছরে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
অমিত শাহ আরও বলেন, এই ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি নরেন্দ্র মোদির চারটি ‘পি’ সূত্র অনুসরণ করে কাজ করে—প্রসপারিটি (সমৃদ্ধি), পিস (শান্তি), পার্টনারশিপ (অংশীদারত্ব) এবং প্রগ্রেস (উন্নতি)।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও বন্দর প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, এলপিএআই এর চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, বিএসএফ এর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী এবং কেন্দ্রের জয়েন্ট ডিরেক্টর পৌসুমী বসু।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি মোকাবিলা নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার, ট্রুডোর কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে তিনি তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। চিঠিতে তিনি কানাডার জন্য সর্বোত্তম পথ নিয়ে ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধ এবং ট্রাম্পের ‘আগ্রাসী অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ’ নীতির ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জ’ তুলে ধরেন।
ফ্রিল্যান্ড বলেন, ট্রুডো যখন তাকে জানান যে, তিনি আর ফ্রিল্যান্ডকে তার সরকারের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চান না, তার এক সপ্তাহ পরেই পদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত আসে। ফ্রিল্যান্ডের ধারণা ছিল যে, তিনি পার্লামেন্টে সরকারের বার্ষিক আর্থিক আপডেট উপস্থাপন করবেন, কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের এই ঘোষণা ট্রুডোর প্রশাসনকে সংকটে ফেলতে পারে, কারণ এটি ইতিমধ্যেই নড়বড়ে সংখ্যালঘু সরকারের দিকে চলে যাচ্ছে।
নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর, জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে একের পর এক পদত্যাগের আহ্বান আসছে। অনেকের ধারণা, তিনি তার দলের ভবিষ্যতের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এক জরিপের ফল অনুযায়ী, ২০১৫ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার সময় ট্রুডোর গ্রহণযোগ্যতা ছিল ৬৩ শতাংশ, কিন্তু ২০২৪ সালের জুন মাসে তা কমে ২৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
সোমবার ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পর পাঁচজন লিবারেল সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে ট্রুডোর পদত্যাগের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন