

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন জনপ্রিয় গায়িকা বিয়ন্সে নোলস। শুক্রবার স্থানীয় সময়ে হিউস্টনের একটি জনসমাবেশে এ সমর্থন জানান তিনি।
বিয়ন্সে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, "আমি এখানে একজন সেলিব্রিটি হিসেবে আসিনি, এবং একজন রাজনীতিবিদ হিসেবেও আসিনি। আমি এখানে এসেছি একজন মা হিসেবে।" তিনি বলেন, "একজন মা হিসেবে আমি চাই আমাদের সন্তানরা এমন একটি বিশ্বে বেড়ে উঠুক, যেখানে তাদের নিজেদের স্বত্বার ওপর নিয়ন্ত্রণের স্বাধীনতা থাকবে, যেখানে আমরা বিভক্ত নই—আমাদের অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যতের জন্য।"
হিউস্টনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে, বিয়ন্সে উপস্থিত সবাইকে আহ্বান জানান কমলা হ্যারিসকে নির্বাচিত করার জন্য এবং বলেন, “এবার আমেরিকার জন্য একটি নতুন গান গাওয়ার সময়।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেন।
এসমাবেশে বিয়ন্সের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার সঙ্গী এবং অভিনেত্রী কেলি রাউল্যান্ডও। বিয়ন্সে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “এটি এমনই একটি গান, যা ২৪৮ বছর আগে শুরু হয়েছিল।”
ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সমর্থনে বিয়ন্সের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের সংযুক্তি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে আশাবাদী মনোভাব সৃষ্টি করেছে। তারা মনে করছেন, এটি কমলা হ্যারিসের প্রচারণাকে আরও শক্তিশালী করবে।
এদিকে, রিপাবলিকান প্রার্থী এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও টেক্সাসে তার দলের জন্য প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন, যা এই অঙ্গরাজ্যকে তার দলের জন্য একটি শক্তিশালী অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিয়ন্সের মতো সেলিব্রিটিদের রাজনৈতিক সমর্থন নির্বাচনী প্রচারে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মধ্যে। এর ফলে আগামী নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের জন্য পরিস্থিতি আরও সুবিধাজনক হতে পারে।
মন্তব্য করুন


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) জোয়ারেও মধ্যপ্রাচ্যে বিদেশি কর্মীর চাহিদা কমবে না। বরং সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজারে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ লাখের বেশি কর্মীর চাহিদা তৈরি হবে। চলতি বছর প্রকাশিত এক বৈশ্বিক শ্রমশক্তি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর জিও নিউজের।
গবেষণায় দেখা যায়, এআইয়ের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনার ধরনে পরিবর্তন এলেও উপসাগরীয় অঞ্চলে মানবশ্রমের সামগ্রিক চাহিদা কমছে না। বরং শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প এবং সরকারি ও বেসরকারি সেবাখাতের পরিসর বৃদ্ধি পাওয়ায় এই দুই দেশে টেকসই শ্রমচাহিদা তৈরি করছে।
সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির কারণে শ্রমশক্তির চাহিদা বাড়ছে। এই কর্মসূচির আওতায় নির্মাণ, অবকাঠামো, পর্যটন, উৎপাদন, লজিস্টিকস এবং নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ব্যাপক বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
গবেষণার হিসাব অনুযায়ী, এআই থেকে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি না হলে সৌদি আরবের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার অতিরিক্ত কর্মীর প্রয়োজন হতো। অটোমেশনের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার পরও আগামী বছরগুলোতে দেশটিতে উল্লেখযোগ্য শ্রমঘাটতি দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রমশক্তির চাহিদা আরও দ্রুত বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে আমিরাতের মোট শ্রমশক্তি ১২ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল শ্রমবাজার হতে যাচ্ছে দেশটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গবেষণাভুক্ত শ্রমবাজারগুলোর মধ্যে আমিরাতেই শ্রমশক্তি সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া সৌদি আরবে শ্রমশক্তি বৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। এর তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে এই হার মাত্র ২ দশমিক ১ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে ২ দশমিক ৮ শতাংশ।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার কোম্পানি সার্ভিসনাও এই গবেষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি সরকার ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের জন্য ডিজিটাল ওয়ার্কফ্লো ও অটোমেশন প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে।
গবেষণা অনুযায়ী, প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সেবাখাতের ডিজিটাল রূপান্তরে আমিরাতের জোরালো মনোযোগ চাকরি কমানোর বদলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। দেশটিতে সরকারি ডিপার্টমেন্ট ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম আধুনিকায়ন করার সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন, শিক্ষা, খুচরা বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা, আর্থিক সেবা এবং প্রযুক্তি-সম্পর্কিত খাতে কর্মীর চাহিদা বাড়ছে।
সৌদি আরব ও আরব আমিরাতে নির্মাণ, পরিবহন, লজিস্টিকস, স্বাস্থ্যসেবা, আতিথেয়তা, খুচরা বাণিজ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, আর্থিক সেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি সামনের বছরগুলোতে ব্যাপকহারে বিনিয়োগ হবে। প্রযুক্তির প্রভাবে কাজের ধরন বদলালেও যারা প্রশিক্ষণ ও পুনঃদক্ষতায় বিনিয়োগ করবে, সেসব দেশ ও কর্মীরাই নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুফল সবচেয়ে বেশি ভোগ করতে পারবে।
মন্তব্য করুন


ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এমপি ও দলটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। এ সময় তার বোন ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, শিব সেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) নেতা সঞ্জয় রাউতসহ একাধিক বিরোধী দলের সংসদ সদস্যকে পুলিশ আটক করেছে।
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে তাদের আটক করা হয়। এ নিয়ে আজ সোমবার সকালে দিল্লির কেন্দ্রীয় এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভস্থলের ভিডিওতে দেখা যায়, বহু রাজনীতিবিদ ও কর্মী প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিচ্ছেন। পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে এগোনোর চেষ্টা করছে। পরিস্থিতি আরো নাটকীয় হয়, যখন তৃণমূল সংসদ সদস্য মিতালি বাগ আচমকা অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং রাহুল গান্ধী তাকে সাহায্য করেন।
দিনের শুরুতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের পদযাত্রার পরিকল্পনা করেছিল।
কিন্তু পুলিশ আগেই পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলে এবং প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করে। কিছু বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড টপকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ঘেরাও করে আটক করা হয়। এই পরিস্থিতির জেরে লোকসভা ও রাজ্যসভা দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
বিরোধীদের অভিযোগ — নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা পরিবর্তন ও ভোট কারচুপির মাধ্যমে বিজেপিকে জেতাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।
গত বছরের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই অভিযোগ বাড়ছে। কংগ্রেস, শিব সেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) ও এনসিপি (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী) অভিযোগ করেছে, ভোটার তালিকায় হেরফের করে বিজেপিকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে—ফেডারেল নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের ছয় মাসের মধ্যেই মহারাষ্ট্রে অস্বাভাবিক হারে নতুন ভোটার যোগ হওয়া। একই ধরনের অভিযোগ কর্ণাটকের লোকসভা নির্বাচন নিয়েও উঠেছে।
গত সপ্তাহে রাহুল গান্ধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে তথ্য-প্রমাণ দেখিয়ে দাবি করেন, ভোটার তালিকায় ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে।
তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান—ভোটার তালিকার একটি খসড়া প্রকাশ করা হোক, যাতে বিরোধীরা ভুল খুঁজে বের করতে পারে।
বিক্ষোভ আরো তীব্র হয়, যখন নির্বাচন কমিশন বিহারের ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ প্রক্রিয়া শুরু করে। যা রাজ্যের নির্বাচনের কয়েক মাস আগে চালু হয়। এই প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়।
আবেদনকারীরা অভিযোগ করেন, কমিশনের এই পদক্ষেপ তার ক্ষমতার বাইরে এবং সময়টি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত—যাতে বিরোধীদের ভোটব্যাংক বাদ দেওয়া যায়। এ ছাড়া ভোটার পুনর্যাচাইয়ের জন্য আধার বা কমিশনের নিজস্ব পরিচয়পত্রের মতো সাধারণ সরকারি আইডি বাতিল করায় বিতর্ক বাড়ে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ প্রক্রিয়া চালু রাখতে অনুমতি দেয়, তবে নির্দেশ দেয় যেন প্রকৃত ভোটারদের বাদ না দেওয়া হয় এবং যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে, তাদের আপিল করার যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতেই নেওয়া হয়েছে। রাহুল গান্ধীর অভিযোগের জবাবে কমিশন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছে—তিনি যেন সই করা হলফনামায় প্রমাণসহ তার দাবি জমা দেন।
সূত্র : এনডিটিভি
মন্তব্য করুন


যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শপথ গ্রহণের পর তার প্রথম ভাষণে তিনি জানান, বাইডেন আমলের সব নির্বাহী আদেশ দ্রুত বাতিল করা হবে। শপথের অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে শুরু করেন তিনি।
জানা গেছে, শপথ নেওয়ার পরপরই ট্রাম্প ওভাল অফিসে গিয়ে একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এর মাধ্যমে তিনি বাইডেনের শাসনামলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। এর মধ্যে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের আদেশও রয়েছে।
ট্রাম্প আদেশে স্বাক্ষর করার পর সেটি জনসাধারণকে দেখান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা ছাড়ার আগে রেকর্ডসংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে, এমন আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নেন বাইডেন।
ট্রাম্প তার ভাষণে বলেন, "যে ক্ষমাগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও দ্রুত বাতিল করা হবে।"
অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামলাতে ট্রাম্প মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে একটি নির্বাহী আদেশেও স্বাক্ষর করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ট্রাম্পকে শপথ পাঠ করান। এ সময় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার স্ত্রী জিল বাইডেনসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৭ সালে ন্যাশনাল মলে বড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রথমবার শপথ নিয়েছিলেন। তবে এবার তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শপথ অনুষ্ঠান ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে একই কারণে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে শপথ নিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন


ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য অন্তত ২ লাখ ইউরোপীয় শান্তিরক্ষীর প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এ কথা বলেন তিনি।
জেলেনস্কি জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করছেন। ট্রাম্প সম্প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ক্ষমতায় ফিরে দ্রুত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন।
জেলেনস্কি ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পরদিনই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কথা বলেন। তিনি ইউরোপীয় নেতাদের মহাদেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তবে দ্রুত যুদ্ধবিরতির পর রাশিয়া নতুন করে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। এ ধরনের হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী মোতায়েনের বিষয়টি বারবার আলোচিত হচ্ছে।
জেলেনস্কি তার ভাষণ শেষে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে বলেন, “পুরো ইউরোপ থেকে অন্তত দুই লাখ শান্তিরক্ষী প্রয়োজন। না হলে কোনও সমাধান আসবে না।”
শান্তিরক্ষী হিসেবে জেলেনস্কি যে সংখ্যার কথা বলেছেন, তা ফ্রান্সের সশস্ত্র বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যার কাছাকাছি। ২০২০ সালে ফ্রান্স জানিয়েছিল, তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সংখ্যা দুই লাখের সামান্য বেশি।
বর্তমানে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ, যেখানে ইউক্রেনের রয়েছে এর অর্ধেক। এই বাস্তবতায় কিয়েভের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২ লাখ শান্তিরক্ষী অত্যাবশ্যক বলে যুক্তি দিয়েছেন জেলেনস্কি।
মন্তব্য করুন


ফিলিস্তিনের গাজাগামী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর সবশেষ জাহাজটিও আটক করেছে ইসরাইলি কমান্ডোরা। পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া ফ্লোটিলার একমাত্র জাহাজ দ্য ম্যারিনেটকেও শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে ফিলিস্তিনি উপকূলের কাছে ইসরাইলি বাহিনী আটক করেছে।
লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরাইলি সেনারা জোরপূর্বক জাহাজটিতে প্রবেশ করছে।
ছয়জন নাবিক নিয়ে যাত্রা করা পোল্যান্ডের পতাকাবাহী ম্যারিনেট ছিল ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র শেষ কার্যকর জাহাজ। এর আগে বহরের ৪৩টি জাহাজ আটক করে দখলদার বাহিনী।
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরাইল।
তাদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরাইলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে ৪০টি বেশি নৌযান রয়েছে।
এই নৌবহরের ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইসরাইল। যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজার সংঘাতে মোহাম্মদ আল-তালমাস নামে আরও এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তিনি ১৩ জানুয়ারি, সোমবার গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা বর্ষণের সময় তিনি আহত হন। এ খবরটি আল জাজিরা জানায়।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় ২০৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
আল-তালমাস বার্তা সংস্থা সাফারের সাংবাদিক ছিলেন। তিনি গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট, ফেডারেশন অব আরব জার্নালিস্ট এবং বিশ্বের সকল দেশের সাংবাদিক সংস্থাকে গাজার ফিলিস্তিনি সাংবাদিক এবং মিডিয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের হামলা ও হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা বেশ এগিয়েছে। কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠকের পর হামাসের একটি প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভালভাবে এগিয়ে চলছে। তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও, অন্যদিকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী।
বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র জানিয়েছে, গত ১৩ জানুয়ারি, সোমবার ভোর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার ১২ জন প্রাণ হারিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর উত্তর গাজা অবরোধের শততম দিন পার হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।
এখন পর্যন্ত গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে কমপক্ষে ৪৬ হাজার ৫৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৯ হাজার ৭৩১ জন। প্রতিদিনই ইসরায়েলি হামলায় নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক জলপথ দক্ষিণ চীন সাগরে ভাসমান ব্যারিয়ার বসিয়েছে চীন। অভিযোগ উঠেছে, সাগরের এমন জায়গায় ব্যারিয়ার বসানো হয়েছে— যেটি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে দেশটির সার্বভৌম এলাকার মধ্যে পড়ে না।
চীনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে এই সাগরপাড়ের অন্যতম দেশ ফিলিপাইন। দেশটির কোস্টগার্ড বাহিনীর মুখপাত্র জায়ে তারিয়েলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) সেই ব্যারিয়ারের ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, সাগরের স্কারবোরোফ শোয়াল নামের এলাকার একটি অংশে বসানো হয়ে এই ব্যারিয়ার এবং এটির কারণে ফিলিপাইনের মৎসজীবীরা মাছ ধরার জন্য সেখানে যেতে পারছেন না।
আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন অনুসারে স্কারবোয়াফ শোয়াল কোনোভাবেই চীনের সার্বভৌম এলাকার মধ্যে পড়ে না দাবি করে এক্স পোস্টে জায়ে তারিয়েলা বলেন, ‘আমাদের সমুদ্র অধিকার ও মেরিটাইম ডোমেইন রক্ষার স্বার্থে এই ইস্যুতে ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী অন্যান্য দেশের সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
মন্তব্য করুন


পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সেমে-পোাজির একটি পেট্রোলের ডিপোতে আগুন লেগে এক শিশুসহ ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ ডজনেরও বেশি সংখ্যক মানুষ।
সেমে-পোজি শহরটি নাইজেরিয়ার সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। শনিবার স্থানীয় সময় সকালে ৯টার দিকে ওই ডিপোতে আগুন লাগে বলে এক বিবৃতি জানিয়েছে বেনিনের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বেনিনের সরকারি প্রসিকিউট আবদৌবাকি আদম বোংলে জানান, যে ডিপোতে আগুন লেগেছে— সেখানে নাইজেরিয়া থেকে চোরাইপথে পেট্রোল আসতো। শনিবার সকালে এমন একটি চালান যখন আনলোড হচ্ছিল, সেসময় বিস্ফোরণ ঘটে এবং তার জেরেই আগুনের সূত্রপাত।
এ ঘটনায় নিহতদের সবাই ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন বলে বিবৃতেতে উল্লেখ করেছেন বোংলে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাজার এলাকার দোকানে আগুন লেগেছে এবং বিরাট কালো ধোঁয়ার কুন্ডলি উঠছে। অনেক লোকজন নিরাপদ দূরত্বে থেকে দেখছেন সেই আগুন পরিস্থিতি।
তবে এই ভিডিওটি সত্যিই ঘটনাস্থলের কি না— যাচাই করতে পারে নি রয়টার্স।
মন্তব্য করুন


বর্তমান পরিস্থিতিতে সিরিয়ার দ্রুত সহায়তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে দেশটির জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানান, সিরিয়াকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি।
রবিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। তিনি একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে রিয়াদে গেছেন। সম্মেলনে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানিও উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনের আগে এক সাক্ষাৎকারে বেয়ারবক সাংবাদিকদের বলেন, সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মিত্রদের ওপর, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে জার্মানি নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখবে।
তিনি আরও বলেন, "ক্ষমতার এই পরিবর্তনকালে সিরিয়াকে দ্রুত অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সিরিয়ার জনগণের পাশে দাঁড়াবো, যাদের এখনও মৌলিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা খাদ্য, জরুরি আশ্রয়, এবং স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা দিতে আরও ৫০ মিলিয়ন ইউরো দেব।"
এর আগে দামেস্ক সফরের সময় বেয়ারবক বলেছিলেন, সিরিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে সেখানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়া বা না হওয়ার উপর।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি দ্য ফাইনান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আহ্বান জানাচ্ছে জার্মানি।
মন্তব্য করুন


চাঁদে সূর্য ওঠার পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভারের কোনো সাড়া পায়নি ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, চাঁদে যতক্ষণ সূর্যের আলো থাকবে, তত ক্ষণ বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের জেগে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ইসরো এক চন্দ্রদিবস, অর্থাৎ পৃথিবীর হিসাবে আগামী ১৪ দিন অপেক্ষা করবে।
তিনি আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু সাড়া যে পাওয়া যাবেই না, তেমন কথা বলতে পারছি না। আমরা চাঁদের হিসাবে গোটা একটা দিন অপেক্ষা করতে পারি। কারণ, এই সময়ের মধ্যে অনবরত সূর্যের আলো পড়বে চাঁদের মাটিতে। ফলে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। ১৪তম দিনেও সাড়া মিলতে পারে বিক্রম, প্রজ্ঞান থেকে।
চাঁদের মাটিতে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান চালিয়েছে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান। তারপর তাদের ‘স্লিপ মোডে’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাতে সূর্যের আলো না থাকায় এই যন্ত্রগুলো নিষ্ক্রিয় ছিল। চাঁদে রাতের তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। কখনও কখনও হিমাঙ্কের ২০০ থেকে ২৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত নীচে নামতে পারে পারদ। এই তীব্র ঠান্ডা চন্দ্রযানের যন্ত্রপাতি সহ্য করতে পেরেছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে সূর্যের আলো পেয়ে যন্ত্রগুলো গরম হলে আবার তা থেকে সাড়া মেলার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার যাতে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়, তার জন্য বিক্রমের রিসিভার চালু রেখেছিল ইসরো।
মন্তব্য করুন