

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা থেকে আমদানি করা সকল পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এ ঘোষণাটি হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও শুক্রবার কানাডাকে জানানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
ট্রুডো বলেছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক এবং দ্রুত জবাব দেওয়া হবে। শুক্রবার তিনি বলেন, কানাডা এই সিদ্ধান্তের জবাব দিতে প্রস্তুত এবং লক্ষ্য অর্জনের জন্য দৃঢ় ও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, "আমরা এটি চাই না, কিন্তু যদি ট্রাম্প এগিয়ে আসেন, তাহলে আমরাও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। সব বিকল্পই টেবিলে আছে।"
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অটোয়ার কর্মকর্তারা কী ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করছেন। তবে তারা এখনই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে চাইছেন না।
ট্রুডো তার বক্তব্যে কানাডার নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছেন, সামনে কঠিন সময় আসতে পারে। তিনি কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক এক উপদেষ্টা পরিষদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে দেশটি বর্তমানে একটি সংকটময় পরিস্থিতির মুখোমুখি।
ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে কানাডার পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত অতিক্রম করলেই ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। তবে এই শুল্কের আওতায় কানাডা থেকে আমদানি করা তেল অন্তর্ভুক্ত হবে না। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডার তেলে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন


হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে এক বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তীব্র বাক্বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় একপর্যায়ে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে বলা হয়। মার্কিন এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘটনাটির পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কো রুবিও বলেছেন, জেলেনস্কির উচিত ক্ষমা চাওয়া। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির যে বৈঠক হয়েছে তা বিপর্যয়কর। ইউক্রেনীয় এই নেতার উচিত ক্ষমা চাওয়া।
জেলেনস্কি সম্পর্কে রুবিও আরও বলেন, সেখানে গিয়ে তার প্রতিপক্ষ হওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, "আপনি যখন আক্রমণাত্মকভাবে কথা বলা শুরু করবেন এবং প্রেসিডেন্ট একজন চুক্তিবিশেষজ্ঞ, তিনি সারাজীবন চুক্তি করেছেন— তখন আপনি মানুষকে চুক্তির টেবিলে আনতে পারবেন না।"
রুবিও তার সাক্ষাৎকারে এও উল্লেখ করেন যে, জেলেনস্কি সম্ভবত শান্তিচুক্তি চান না।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে ইউক্রেন কয়েক শ কোটি ডলারের অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা পেয়েছে।
তবে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইউক্রেন নতুন করে সংকটে পড়ে। এই যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কিকে দায়ী করেন ট্রাম্প। তাই গতকালের বৈঠকটি নিয়ে সবার নজর ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ওই বৈঠক চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন


থাইল্যান্ডের সাবেক রানি ও বর্তমান রাজা ভজিরালংকর্নের মা সিরিকিত মারা গেছেন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২১ মিনিটে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে ৯৩ বছর বয়সে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
থাই রাজপরিবারের দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রানি সিরিকিত দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। চলতি মাসে তার রক্তে সংক্রমণ দেখা দেয়।
সিরিকিত ছিলেন থাইল্যান্ডের ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় রাজত্ব করা রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের স্ত্রী। ভূমিবল ২০১৬ সালে মারা যান।
রাজা ভজিরালংকর্ন তার মায়ের রাজকীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন। রানি সিরিকিতের দেহ ব্যাংককের গ্র্যান্ড প্যালেসের দুসিত থ্রোন হলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সংরক্ষিত থাকবে। রাজপরিবারের সদস্যরা এক বছর শোক পালন করবেন।
বিবিসির তথ্যমতে, ফ্রান্সে সঙ্গীত নিয়ে পড়াশোনার সময় রাজা ভূমিবলের সঙ্গে সিরিকিতের পরিচয় হয়। সেই সময় তার বাবা ছিলেন ফ্রান্সে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত। ব্যাংককে রাজা ভূমিবলের অভিষেকের এক সপ্তাহ আগে তারা বিয়ে করেন।
১৯৬০-এর দশকে রাজা-রানিরা বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ার, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও সংগীতশিল্পী এলভিস প্রিসলির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন তারা। রানি সিরিকিত থাইল্যান্ডে মা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তার জন্মদিন ১২ আগস্ট থাইল্যান্ডে মা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
২০১২ সালে স্ট্রোকের পর থেকে তিনি জনসমক্ষে খুব কমই দেখা আসতেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও তিন মেয়েকে রেখে গেছেন।
মন্তব্য করুন


সৌদি আরব গত তিন দিনে ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। গতকাল সোমবার দুই সৌদি নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ‘সন্ত্রাসবাদ-সম্পর্কিত অপরাধের’ দায়ে। এর আগে শনিবার ও রবিবার ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যাদের বেশিরভাগই ছিলেন বিদেশি এবং মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে। গত তিন দিনে মোট ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এই ঘটনা ২০২২ সালের মার্চের পর সবচেয়ে দ্রুত গতির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ঘটনা। ওই সময় এক দিনে ৮১ জনকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র নিন্দার মুখে পড়ে।
শনিবার ও রবিবার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জনকে হাশিশ পাচারের দায়ে এবং একজনকে কোকেন পাচারের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগকারী দেশ। ২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে ২৩৯টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। যা গত বছরের মোট ৩৩৮টি মৃত্যুদণ্ডকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং এটি ১৯৯০-এর দশকে মৃত্যুদণ্ডের তথ্য প্রথম প্রকাশের পর সর্বোচ্চ রেকর্ড।
এএফপির বিশ্লেষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে, এ বছরের মৃত্যুদণ্ডগুলোর মধ্যে ১৬১টি ছিল মাদকসংক্রান্ত অপরাধে এবং ১৩৬ জন ছিলেন বিদেশি নাগরিক।
মানবাধিকার সংস্থা রিপ্রিভ-এর প্রতিনিধি জিদ বাসিউনি সম্প্রতি সতর্ক করে বলেন, ‘হাশিশ-সম্পর্কিত অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে এবং এসবের মধ্যে বিদেশিদের সংখ্যাই বেশি।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে হাশিশ ব্যবহারের অপরাধীকরণ ধীরে ধীরে বাতিলের পথে, সেখানে সৌদি আরবের এই প্রবণতা গভীর উদ্বেগের।’
বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৩ সালে সৌদি আরব যে ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধ’ শুরু করে, বর্তমান মৃত্যুদণ্ডের উল্লম্ফন তারই ফল। কারণ তখন আটক হওয়া অনেক ব্যক্তির এখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে।
২০১৯ সালে সৌদি সরকার মাদকসংক্রান্ত অপরাধে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করলেও ২০২২ সালের শেষ দিকে তা পুনরায় চালু করা হয়।
সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, মৃত্যুদণ্ড শুধুমাত্র সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই কার্যকর করা হয় এবং এটি সমাজে নিরাপত্তা ও মাদক প্রতিরোধে সহায়ক। তবে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ সংস্কার কর্মসূচির অংশ হিসেবে সৌদি আরবকে একটি ‘উন্মুক্ত ও সহনশীল সমাজ’ হিসেবে তুলে ধরার যে প্রচেষ্টা চলছে, তাতে এই মৃত্যুদণ্ডের অব্যাহত ব্যবহার বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সূত্র : এএফপি
মন্তব্য করুন


ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার বিরুদ্ধে ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ইসরায়েলের আদালতে বিচার চলছে। এসব অভিযোগ থেকে রেহাই পেতেই এই ক্ষমার আবেদন করলেন তিনি। খবর বিবিসির।
প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানিয়েছে, হারজগ এই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মতামত নেবেন। এই সিদ্ধান্তের প্রভাব সুদূরপ্রসারী হওয়ায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পক্ষে প্রেসিডেন্ট। নেতানিয়াহু অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে বলেছেন, চাইলে বিচার প্রক্রিয়ার শেষ পর্যন্ত যেতে পারতেন, তবে ‘জাতীয় স্বার্থের’ বিবেচনায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন তিনি।
এই মাসের শুরুর দিকে নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট হারজগকে অনুরোধ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে সময় হারজগ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ক্ষমার জন্য তার কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দিতে হবে।
রোববার প্রেসিডেন্টের দপ্তর নেতানিয়াহু স্বাক্ষরিত ক্ষমার আবেদনের চিঠি প্রকাশ করেছে। তবে হারজগ এ বিষয়ে কবে নাগাদ সিদ্ধান্ত জানাবেন সে সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় কাঠগড়ায় দাঁড়ানো প্রথম ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ২০২০ সালে তার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ ওঠে। প্রথম মামলায় প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, তিনি প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের উপঢৌকনের বিনিময়ে সুবিধা প্রদান করেছেন।
দ্বিতীয় মামলায় অভিযোগ, একটি ইসরায়েলি পত্রিকার প্রচার বাড়াতে সহায়তা করেছেন তিনি। বিনিময়ে নিজের ইতিবাচক সংবাদ কাভারেজ পাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তৃতীয় মামলায় বলা হয়, একটি টেলিকম কোম্পানির মালিকের পক্ষে যায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে ব্যাপক আগ্রহ দেখান তিনি। এর বিনিময়ে একটি সংবাদবিষয়ক ওয়েবসাইটে ইতিবাচক কাভারেজ পান।
নেতানিয়াহু সব অভিযোগ অস্বীকার করে বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘উইচ-হান্ট’ আখ্যা দিয়েছেন।
ইসরায়েলের বেসিক ল অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট ‘দোষী ব্যক্তিকে ক্ষমা করা বা তার শাস্তি কমানো কিংবা পরিবর্তন করার ক্ষমতা’ রাখেন। তবে ইসরায়েলের হাইকোর্ট আগে রায় দিয়েছে, জনস্বার্থে বা ব্যক্তিগত পরিস্থিতি চরম হলে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেও কাউকে ক্ষমা করা যেতে পারে।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেই পশ্চিমবঙ্গে শান্তি ফিরবে। তার মতে, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণেই পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শান্তি তখনই সম্পূর্ণভাবে স্থায়ী হবে, যখন এই অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে।
রবিবার পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ভারতের সবচেয়ে বড় যাত্রী টার্মিনাল ভবন এবং 'মৈত্রী দ্বার' নামে একটি কার্গো গেট উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, 'ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া' (এলপিএআই) এই অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়ন স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বৈধ যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকলে মানুষ অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসে এবং এটি পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতের শান্তি বিঘ্নিত করে।
অমিত শাহ বলেন, ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তার মতে, এটি বাস্তবায়িত হলে সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব আরও শক্তিশালী হবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের সঙ্গে সংস্কৃতি, ভাষা ও আদান-প্রদান বাড়বে, যা এক নতুন অংশীদারিত্বের সূচনা করবে।
উত্তর চব্বিশ পরগনার পেট্রাপোল বন্দরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ আরও বলেন, এলপিএআই একটি ছোট প্রতিষ্ঠান হলেও এর গুরুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নে ভাষা ও সংস্কৃতির আদান-প্রদানের মাধ্যমে এলপিএআই গত দশ বছরে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
অমিত শাহ আরও বলেন, এই ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি নরেন্দ্র মোদির চারটি ‘পি’ সূত্র অনুসরণ করে কাজ করে—প্রসপারিটি (সমৃদ্ধি), পিস (শান্তি), পার্টনারশিপ (অংশীদারত্ব) এবং প্রগ্রেস (উন্নতি)।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও বন্দর প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, এলপিএআই এর চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, বিএসএফ এর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী এবং কেন্দ্রের জয়েন্ট ডিরেক্টর পৌসুমী বসু।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
মুম্বইয়ে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে। তার এই মৃত্যুকে ঘিরে ভারতে তোলপাড় চলছে। সব মিডিয়ায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছে এ ঘটনা। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ সব কাহিনী। কারণ, বাবা সিদ্দিক একজন নামকরা রাজনীতিক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন হরিয়ানার গুরমাইল বলজিত সিং (২৩) এবং উত্তর প্রদেশের ধর্মরাজ কাশ্যপ (১৯)। তৃতীয় জন উত্তরপ্রদেশের শিব কুমার গৌতম হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে চতুর্থ একজন এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বলে মনে করা হয়। তিনি পলাতক রয়েছেন। তবে লরেন্স বিষ্ণুই শনিবার রাতের হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি একটি কুখ্যাত গ্যাংয়ের সদস্য। এই গ্যাংয়ের নাম লরেন্স বিষ্ণুই। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। অভিযোগ আছে লরেন্স বিষ্ণুই পাঞ্জাবের খালিস্তানপন্থি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এই গ্যাংয়ে অস্ত্র চালাতে দক্ষ এমন সদস্য আছে ৭০০।
কে এই লরেন্স বিষ্ণুই: লরেন্স বিষ্ণুইয়ের জন্ম ১৯৯৩ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে। ২০১০ সাল পর্যন্ত তাঁর জীবন কেটেছে রাজ্যের আবোহার শহরে। এরপর তিনি ডিএভি কলেজে ভর্তি হতে চণ্ডিগড়ে পাড়ি জমান। ২০১১ সালে যোগ দেন পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস স্টুডেন্টস কাউন্সিলে। সেখানে তার পরিচয় হয় ‘গ্যাংস্টার’ গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে। এরপর ধীরে ধীরে অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষ্ণুইয়ের বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। রয়েছে হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। যদিও এসব অভিযোগের কোনোটাই স্বীকার করেননি তিনি। গ্যাংয়ের সদস্যদের মাধ্যমে কারাগারে বসেও বাইরের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে চণ্ডিগড়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড শুরু করেন বিষ্ণুই। ২০১৩ সাল নাগাদ তিনি ত্রাস সৃষ্টিকারী এক চরিত্রে পরিণত হন। কয়েকটি হত্যার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে পড়ে। পরে তার গ্যাং মদ বেচাকেনা ও অস্ত্র চোরাচালানে অর্থ লগ্নি শুরু করে। হত্যাকারীসহ ভয়ংকর সব অপরাধীদেরও আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়ে আসছে তারা। লরেন্স বিষ্ণুইয়ের নাম নতুন করে সামনে আসে ২০২২ সালে। সে বছরের ২৯ মে পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসওয়ালাকে হত্যা করা হয়।
কারাগারে বিষ্ণুই: ২০১৪ সালে রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয় লরেন্স বিষ্ণুইয়ের। এরপর তিনি কারাবন্দী হন। সেখান থেকেই আরও সংঘবদ্ধভাবে অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। কারাগারে থাকাকালে জস্বিন্দর সিং ওরফে রকি নামের আরেক অপরাধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার। ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রকি। বন্দী অবস্থায়ও লরেন্স বিষ্ণুইয়ের প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়েই চলেছিল। রাজস্থানের ভারতপুর জেলায় যে কারাগারে তিনি বন্দী ছিলেন, সেখানকার কর্মকর্তাদের হাত করে নানা কার্যসিদ্ধি করতেন। ২০২১ সালে তাকে সেখান থেকে দিল্লির তিহার কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই কারাগারের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, আইপি কলের মাধ্যমে গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বিষ্ণুই। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ভারতের ডানপন্থী নেতা সুখদেব সিং গোগামেদিকে জয়পুরে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সুখদেবের সঙ্গে অস্ত্রধারী একজন চা পান করছেন। তিনিই গুলি চালান। পরে বিষ্ণুইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য রোহিত গোদারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সুখদেবকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। ২০১৮ সালে বলিউড তারকা সালমান খানকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে বিষ্ণুই গ্যাং। সে বছর মুম্বইয়ে সালমানের বাসায় হানা দেন সাম্পাথ নাথ নামে বিষ্ণুই গ্যাংয়ের এক সদস্য। তিনি দাবি করেন, কালো হরিণ শিকারের কারণে সালমানকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তার ওপর। বিরল প্রজাতির এই হরিণকে বিষ্ণুই সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করে। সালমান খানকে সরাসরি হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণুই। ভারতের যোধপুরে আদালতে এক শুনানি চলাকালে তিনি বলেছিলেন, ‘সালমান খানকে এই যোধপুরেই হত্যা করা হবে। তারপর তিনি আমাদের সত্যিকারের পরিচয় জানতে পারবেন।’
এরপর ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সালমান খানের বাসার বাইরে গুলি চালানো হয়। এই এলাকাতেই শনিবার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বাবা সিদ্দিক। সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল তার। সালমানের বাসার বাইরে গুলির পর সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, এ কাজের জন্য দু’জনকে ভাড়া করেছিল বিষ্ণুই গ্যাং।
মন্তব্য করুন


দেশজুড়ে বাড়তে থাকা বন্দুক সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে একটি দপ্তর খোলার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস হবেন সেই দপ্তরের প্রধান।
গত কয়েক বছরে বন্দুক হামলায় নিহতদের স্মরণে শনিবার হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেন এক স্বরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা ও বন্দুক সহিংসতায় নিহতদের আত্মীয়দের উপস্থিতিতে বাইডেন বলেন, ‘ঝড়ের মতো বাড়তে থাকা বন্দুক সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্র ছারখার হয়ে যাচ্ছে। এই সংকট নিয়ন্ত্রণে আমার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
‘এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় শিগগিরই একটি নতুন দপ্তর খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, যেটির কাজ হবে এ সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস হবেন সেই দপ্তরের প্রধান।’
ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তার বক্তব্যে বলেন, ‘এক্ষেত্রে নষ্ট করার মতো সময় কিংবা জীবন— কোনোটাই আমাদের হাতে নেই। কারণ, প্রকৃত স্বাধীনতার সঙ্গে জনগণের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি সরাসরি সম্পর্কিত।’
প্রসঙ্গত, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে এবং নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ডাটাবেইজের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বন্দুক সহিংসতার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ৩৫টি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বন্দুক সহিংসতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গত ৯ মাসে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৭১ জন।
তবে নতুন দপ্তর খোলা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে কতখানি কাজে আসবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষক।
কারণ, বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক ধাপ হলো আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বন্দুক বাণিজ্য, অর্থাৎ কেনা-বেচা নিয়ন্ত্রণ করা। বাইডেন প্রশাসন এর আগে কয়েকবার বন্দুকের সহজলভ্যতা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে চেয়েছে; কিন্তু প্রত্যেকবারই তা ঠেকিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনেটিটিভস এবং উচ্চকক্ষ সিনেটের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা।
বর্তমানে এটি আরও কঠিন, কারণ গত বছর কংগ্রেসের নির্বাচনে নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে রিপাবলিকান পার্টি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই বন্দুক সহিংসতাকে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে হাজির করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জো বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। যদি সত্যিই এমন হয়, সেক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনেও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কমলা হ্যারিসের দাঁড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল।
মন্তব্য করুন


প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলজুড়ে নতুন করে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। রোববার (১৫ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইফা, তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছে। চিকিৎসক ও স্থানীয় মিডিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলের তেল আবিব মেট্রোপলিটন এলাকার বাত ইয়াম শহরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে এখন পর্যন্ত ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। সেই সঙ্গে আহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা মেগান ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, বাত ইয়ামে যে তিনজন নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ১০ বছর বয়সী শিশু রয়েছে। এ ছাড়া নিহত অন্য দুইজন নারীর মধ্যে একজনের বয়স ৬৯ এবং আরেকজনের বয়স ৮০ বছর।
এদিকে ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষ, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া নতুন করে এবার ইরানের তেল স্থাপনা ও গ্যাসক্ষেত্রে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক নিহত হয়েছে। নিহতের মধ্যে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও কমান্ডার ও অন্তত ১২ জন পরমাণুবিজ্ঞানী রয়েছেন।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের ঝাড়খণ্ড থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা। গতকাল শনিবার ঝাড়খণ্ডের পালামৌতে এক জনসভায় তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশের নাগরিক ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় নারীদের বিয়ে করেছেন, তাদের সন্তানদের আদিবাসী অধিকার দেওয়া হবে না। এই তথ্য ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, “প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ঝাড়খণ্ড থেকে ‘ঝেঁটিয়ে’ বিদায় করা হবে। তারা আমাদের স্থানীয় আদিবাসী বোনদের বিয়ে করে আদিবাসী জমির অধিকার পেতে চায়, কিন্তু তাদের সে ইচ্ছা পূর্ণ হবে না। তাদের কখনোই আদিবাসী অধিকার দেওয়া হবে না, এমনকি তাদের সন্তাদেরও আদিবাসী অধিকার দেওয়া হবে না।"
তিনি অভিযোগ করেন, ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের পেছনে ক্ষমতাসীন জনমুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেসের জোট সরকারের হাত রয়েছে। তাদেরই ইন্ধনে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বেড়েছে। জেপি নাড্ডা আরও বলেন, বিজেপি ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় এলে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এছাড়া, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বাংলাদেশের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে ঝাড়খণ্ডে এক নির্বাচনি জনসভায় তিনি বলেছিলেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার গড়লে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের "উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হবে"।
মন্তব্য করুন


বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক জলপথ দক্ষিণ চীন সাগরে ভাসমান ব্যারিয়ার বসিয়েছে চীন। অভিযোগ উঠেছে, সাগরের এমন জায়গায় ব্যারিয়ার বসানো হয়েছে— যেটি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে দেশটির সার্বভৌম এলাকার মধ্যে পড়ে না।
চীনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে এই সাগরপাড়ের অন্যতম দেশ ফিলিপাইন। দেশটির কোস্টগার্ড বাহিনীর মুখপাত্র জায়ে তারিয়েলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) সেই ব্যারিয়ারের ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, সাগরের স্কারবোরোফ শোয়াল নামের এলাকার একটি অংশে বসানো হয়ে এই ব্যারিয়ার এবং এটির কারণে ফিলিপাইনের মৎসজীবীরা মাছ ধরার জন্য সেখানে যেতে পারছেন না।
আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন অনুসারে স্কারবোয়াফ শোয়াল কোনোভাবেই চীনের সার্বভৌম এলাকার মধ্যে পড়ে না দাবি করে এক্স পোস্টে জায়ে তারিয়েলা বলেন, ‘আমাদের সমুদ্র অধিকার ও মেরিটাইম ডোমেইন রক্ষার স্বার্থে এই ইস্যুতে ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী অন্যান্য দেশের সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
মন্তব্য করুন