ডেস্ক রিপোর্ট:
মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। রোহিঙ্গা জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগে আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খান এই আবেদন করেছেন।
গত সপ্তাহে করিম খানের অনুরোধে, দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি। এই পরোয়ানা জারির পর, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক চাপের মুখে আছেন তিনি।
আইসিসির একটি তিন সদস্যবিশিষ্ট প্যানেল মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা দেখবেন, মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য ‘উপযুক্ত কারণ’ আছে কি না।
মিয়ানমারের এই জান্তা প্রধানের নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। এর ফলে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
প্রসিকিউটরের আবেদনের পর আইসিসির বিচারকরা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে কখন সিদ্ধান্ত নেবেন, সে ব্যাপারে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে সাধারণত, তিন মাসের মধ্যে এমন আবেদনের বিষয়ে বিচারকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
প্রসিকিউটরের অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে একটি বিস্তৃত, স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের পর তারা তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অনুরোধ করেছে। এছাড়া মিয়ানমারের আরও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারির আবেদন করা হবে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গণহত্যার উদ্দেশ্যে’ রোহিঙ্গাদের ওপর এই নির্যাতন চালানো হয়েছিল।
মিয়ানমার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়, তবে ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে আদালতটির বিচারকরা বলেছিলেন, মিয়ানমারের এই অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার তাদের আছে। কারণ, মিয়ানমারের প্রতিবেশী বাংলাদেশ আইসিসির সদস্য, এবং যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেগুলো দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘটেছে।
আইসিসি গত পাঁচ বছর ধরে রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে তদন্ত করছে, তবে মিয়ানমারে আদালতের প্রসিকিউটরকে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় তদন্তে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে, ২০২১ সালে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন সেনাপ্রধান। তারপর থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়, এবং সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তদন্ত প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে পড়ে।
মন্তব্য করুন
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর নিউ বনেশ্বর এলাকায় জেনারেশন জেড (Gen Z) তরুণদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
ন্যাশনাল ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসক ডা. দিপেন্দ্র পাণ্ডে জানিয়েছেন, সেখানে সাতজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। আরও ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, যাদের মাথা ও বুকে গুলির আঘাত লেগেছে। এ ছাড়া ২০ জনের বেশি আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।
এভারেস্ট হাসপাতালের কর্মকর্তা অনিল আধিকারী জানিয়েছেন, তাদের হাসপাতালে তিনজন মারা গেছেন। ৫০ জনের বেশি আহত চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
সিভিল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহনচন্দ্র রেগমি জানান, তাদের হাসপাতালে দুইজন মারা গেছেন।
এ ছাড়া কেএমসি ও ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতাল, মহারাজগঞ্জে একজন করে মারা গেছেন। নিহতদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান, টিয়ারগ্যাস ও সরাসরি গুলি চালায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিধিনিষেধ ও সরকারি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেনারেশন জেড তরুণদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ এখন শুধু কাঠমান্ডুতেই নয়, দেশের অন্যান্য বড় শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট
মন্তব্য করুন
ভারতের দিল্লিতে গত বুধবার বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে, যা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। তবে এরই মধ্যে দেশটির বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)-কে হারিয়ে প্রায় ২৭ বছর পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলো।
বুধবার দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাজিক নম্বর ৩৬। কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি লড়েছে ৭০টি আসনে। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ৬৮ আসনে। দুটি আসন তারা ছেড়েছে জেডিইউ এবং এলজেপি'কে (রামবিলাস)। অধিকাংশ সমীক্ষার ইঙ্গিত, বিজেপি জিততে পারে প্রায় ৪০টির বেশি আসনে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে আছে। এনডিটিভি তাদের খবরের প্রধান শিরোনামে লিখেছে, বিশাল জয়ের পথে বিজেপি।
আনন্দবাজার তাদের লাইভ নিউজে জানিয়েছে, ভোটগণনা শুরুর ৪০ মিনিট পরের পরিসংখ্যা বলছে, আপ ২০টি আসনে এগিয়ে। অন্যদিকে ২৫টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
কী বলছে বুথ ফেরত সমীক্ষা?
চাণক্য স্ট্র্যাটেজিসের সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি পেতে পারে ৩৯-৪৪টি আসন। আপ জিততে পারে ২৫-২৮টি আসনে। কংগ্রেসের ঝুলিতে থাকতে পারে দুই থেকে তিনটি আসন।
ডিভি রিসার্চের বুথ-ফেরত সমীক্ষা অবশ্য কংগ্রেসকে একটি আসনও দেয়নি। তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি পেতে পারে ৩৬-৪৪টি আসন এবং আম আদমি পার্টি জিততে পারে ২৬ থেকে ৩৪টি আসনে।
জেভিসির সমীক্ষার ইঙ্গিত বিজেপি পেতে পারে ৩৯-৪৫টি আসন। আম আদমি পার্টি জিততে পারে ২২ থেকে ৩১টি আসন এবং কংগ্রেস পেতে পারে শূন্য থেকে দু'টি আসন। ম্যাট্রিজের সমীক্ষা অনুযায়ী আপের ঝুলিতে থাকতে পারে ৩২-৩৭টি আসন। বিজেপি জিততে পারে ৩৫ থেকে ৪০টি আসনে। কংগ্রেসের ভাগ্যে একটি আসন জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে এই সমীক্ষাটি।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেই পশ্চিমবঙ্গে শান্তি ফিরবে। তার মতে, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণেই পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শান্তি তখনই সম্পূর্ণভাবে স্থায়ী হবে, যখন এই অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে।
রবিবার পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ভারতের সবচেয়ে বড় যাত্রী টার্মিনাল ভবন এবং 'মৈত্রী দ্বার' নামে একটি কার্গো গেট উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, 'ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া' (এলপিএআই) এই অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়ন স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বৈধ যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকলে মানুষ অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসে এবং এটি পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতের শান্তি বিঘ্নিত করে।
অমিত শাহ বলেন, ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তার মতে, এটি বাস্তবায়িত হলে সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব আরও শক্তিশালী হবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের সঙ্গে সংস্কৃতি, ভাষা ও আদান-প্রদান বাড়বে, যা এক নতুন অংশীদারিত্বের সূচনা করবে।
উত্তর চব্বিশ পরগনার পেট্রাপোল বন্দরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ আরও বলেন, এলপিএআই একটি ছোট প্রতিষ্ঠান হলেও এর গুরুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নে ভাষা ও সংস্কৃতির আদান-প্রদানের মাধ্যমে এলপিএআই গত দশ বছরে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
অমিত শাহ আরও বলেন, এই ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি নরেন্দ্র মোদির চারটি ‘পি’ সূত্র অনুসরণ করে কাজ করে—প্রসপারিটি (সমৃদ্ধি), পিস (শান্তি), পার্টনারশিপ (অংশীদারত্ব) এবং প্রগ্রেস (উন্নতি)।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও বন্দর প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, এলপিএআই এর চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, বিএসএফ এর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী এবং কেন্দ্রের জয়েন্ট ডিরেক্টর পৌসুমী বসু।
মন্তব্য করুন
আইফোন ভক্ত তরুণ-তরুণীদের কাছে লাখ টাকা যে কোনও প্রতিবন্ধকতা নয় সেটিই যেন প্রমাণ হলো ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। শুক্রবার দিল্লিতে সর্বশেষ মডেলের আইফোন বিক্রি শুরু হওয়ার পর তা কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন শত শত তরুণ-তরুণী। আর সেখানেই ঘটেছে এক মর্মান্তিক কাণ্ড; অর্থ পরিশোধের পর আইফোন হাতে তুলে দিতে দেরী হওয়ায় দোকানের কর্মীদের বেধড়ক পিটিয়েছেন দুই ক্রেতা।
আইফোন নিয়ে ভারতে ভক্তদের এমন উন্মাদনার শেষ এখানেই নয়। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, দিল্লিতে আইফোনের সর্বশেষ সংস্করণের জন্য দোকানের সামনে ১৭ ঘণ্টা কিংবা তারও বেশি সময় ধরে সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইফোন-১৫ এর ডেলিভারি বিলম্বিত হবে বলে জানানোর পর দিল্লিতে দুই ক্রেতা দোকানের কর্মীদের মারধর করেছেন।
উত্তর দিল্লির কমলানগর মার্কেটে এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, শুক্রবার ইলেকট্রনিক্স শোরুমের দুই কর্মচারীকে লাঞ্ছিত করছেন দুই ব্যক্তি। পরে জাসকিরাত সিং ও মনদীপ সিং নামের ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভারতে বিক্রি শুরুর প্রথম দিনেই দোকানের কর্মীরা আইফোন সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই দুই ক্রেতাকে তাদের ফোনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি বলে দোকানের পক্ষ থেকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেপে যান তারা।
দুই গ্রাহকে ক্ষোভ এতটাই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল যে, এমনকি ১০ জনের বেশি কর্মচারীর হস্তক্ষেপও তাদের সহকর্মীদের বেধড়ক মারধর থেকে রক্ষা করতে পারেনি। পরে দোকানের এক কর্মচারীর ওপর হামলে পড়েন জাসকিরাত ও মনদীপ। এ সময় তারা তাকে কিল-ঘুষির পাশাপাশি লাথিও মারেন। দোকানের ওই কর্মীর টি-শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন তারা।
ভারতের প্রথম অ্যাপল স্টোর মুম্বাইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সেও (বিকেসি) শুক্রবার নতুন আইফোন, অ্যাপল ওয়াচ এবং এয়ারপডস কেনার জন্য দেশটির বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতাদের আসার খবর পাওয়া গেছে। প্রথম দিনেই আইফোন হাতে পাওয়ার জন্য আহমেদাবাদ এবং বেঙ্গালুরুর মতো স্থান থেকেও অনেক লোকজন মুম্বাইয়ে গেছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
দেশটির বার্তা সংস্থা এএনআইকে একজন আইফোন ক্রেতা বলেছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে আমি এখানে রয়েছি। ভারতের প্রথম অ্যাপল স্টোরে প্রথম আইফোন পাওয়ার জন্য আমি ১৭ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমি আহমেদাবাদ থেকে এসেছি।
বেঙ্গালুরু থেকে আসা আরেক ক্রেতা বিবেক বলেন, ‘নতুন আইফোন ১৫ প্রো পেয়ে আমি খুশি। আমি অত্যন্ত উত্তেজিত।’
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারের নতুন একটি সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।
গত নভেম্বরে রাশিয়ায় হামলার জন্য ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ঠিক একদিন পরেই ইউক্রেনকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অ্যান্টি-পার্সোনেল ল্যান্ড মাইন বা স্থলমাইন দেওয়ার জন্যও রাজি হন বাইডেন।
ধারণা করা হচ্ছে, নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগেই যত দ্রুত সম্ভব এই সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা করছেন জো বাইডেন। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের বিজয়ের সম্ভাবনা ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সহায়তা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। এজন্য বাইডেন প্রশাসন আরও বেশি সময় পাবে না ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য ১২৫ মিলিয়ন ডলারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। এর আগে ১০ দিন আগে ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে ৭২৫ মিলিয়ন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ, অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন এবং অন্যান্য অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিল। এবার আবারও একটি নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাইডেন প্রশাসন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি এর আগে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত সামরিক প্যাকেজ প্রদান অব্যাহত রাখবে।
এদিকে, ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া সমালোচনা করেছেন। বৃহস্পতিবার টাইম ম্যাগাজিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধের মাত্রা বাড়িয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, "যা ঘটছে তা এক ধরনের পাগলামি। এটা মূর্খতা। রাশিয়ায় কয়েকশ মাইল দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ব্যাপারে আমি একেবারে একমত নই। আমাদের এটা করার কারণ কী! আমরা শুধু এই যুদ্ধটিকে আরও মারাত্মক করে তুলছি এবং পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছি। এটা অনুমোদন দেওয়া উচিত হয়নি।"
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস থেকে নিউ জার্সি পর্যন্ত কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের প্রায় ছয় কোটি মানুষ তুষারঝড়, তুষারসহ বৃষ্টি এবং তীব্র ঠাণ্ডার কবলে পড়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত সাতটি অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাহত হচ্ছে উড়োজাহাজ চলাচলও।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মারফি অঙ্গরাজ্যটির কয়েকটি কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। এর আগে কানসাস, মিজৌরি, কেন্টাকি, ভার্জিনিয়া, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া এবং আরকানসাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
তুষারঝড়টি এখন মধ্য আটলান্টিক অঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার ওয়াশিংটনে ভারী তুষারপাত হতে পারে।
কানসাস ও মিজৌরির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সড়কগুলো তুষারের চাদরে ঢেকে গেছে। জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া দক্ষিণের ওহাইও থেকে ওয়াশিংটন পর্যন্ত এলাকায় ১৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার তুষারপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিনসিনাটি, ওয়াশিংটন এবং ফিলাডেলফিয়ায় তুষারঝড়ের কারণে আজ কয়েক'শ বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
উড়োজাহাজ চলাচলের ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটএওয়ার জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ হাজার ৫০০ উড়োজাহাজের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া এক দিনে আরও ৫ হাজারের বেশি উড়োজাহাজের যাত্রায় বিলম্ব হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ একটি ফুড কোর্টে অভিযান চালিয়ে নয়জন বাংলাদেশিসহ মোট ৫৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে। অভিবাসন আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।
বুধবার ইমিগ্রেশন বিভাগ, জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ, মালয়েশিয়ান সিভিল ডিফেন্স ফোর্স, মানবপাচার ও অভিবাসন চোরাচালান বিরোধী বিভাগ এবং মানি লন্ডারিং অপরাধ তদন্ত দলের ৯৫ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে সেলাঙ্গর রাজ্যের পুচং শহরের একটি ফুড কোর্টে এই অভিযান চালানো হয়।
ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এবং এক সপ্তাহ ধরে নজরদারির পর এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মোট ১০২ জনের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫৮ জন অভিবাসীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধ ধরা পড়ে। তাদের অপরাধের মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়ায় অনুমোদিত সময়ের চেয়ে বেশি অবস্থান, অস্থায়ী কাজের পাসের অপব্যবহার এবং অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা।
আটককৃতদের মধ্যে মিয়ানমারের ৩১ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী, ইন্দোনেশিয়ার দুইজন পুরুষ ও একজন নারী, নয়জন বাংলাদেশি পুরুষ, চারজন ভারতীয় পুরুষ এবং একজন ভিয়েতনামি পুরুষ রয়েছেন। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
আটককৃতদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের আওকাফ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ইসরাইলি বাহিনী ৮১৫টি মসজিদ ধ্বংস করেছে এবং ১৫১টি মসজিদ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ১৯টি কবরস্থান ধ্বংস করা হয়েছে, কবর ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
ইসরাইলি হামলায় গাজা সিটির তিনটি গির্জাও হামলা ও ধ্বংস হয়েছে।
এদিকে গাজায় একদিনে অন্তত ৮৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। তারা মাত্র তিন দিনের মধ্যে ছিটমহলে ১০০ বারের বেশি বোমা হামলা চালিয়ে ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪৫ হাজার ৮০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ৯ হাজার ৬৪ জন আহত হয়েছে। সেদিন হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরাইলে অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দি হয়।
মন্তব্য করুন
‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে বহু শিশু নিহত হয়। এবার সেই নিহত শিশুদের নামে ভারতে আল-ফাত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম পিটিআই এ তথ্য জানিয়েছে।
এক এক্স পোস্টে পিটিআই জানিয়েছে, পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।
শহীদ পাকিস্তানি শিশুদের নামে পাকিস্তানের আল-ফাত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। পাকিস্তান এই শহীদ নিষ্পাপ শিশুদের কথা ভুলে যায়নি এবং ভুলবেও না। ভারতের আগ্রাসনে এই নিষ্পাপ পাকিস্তানি শিশুরা শহীদ হয়েছে।
পোস্টে দুইটি ছবি যুক্ত করা হয়েছে যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী একটি সামরিক যান দেখা যাচ্ছে।
যানটিতে লাগানো একটি পোস্টারে লেখা রয়েছে— হাওয়া বিবি, উরওয়া জুবায়ের, মোহাম্মদ বিন জুবায়ের, উওয়াইম জুবায়ের, উমর জুবায়ের, উমর মুসা, ইরতাজার ভালোবাসায়।
‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ নামের এই অপারেশনে ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম পিটিআই। এছাড়া ভারতের উধমপুরের একটি এবং পাঠানকোটের দুইটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবরুদ্ধ গাজা, যেন এক ভয়ঙ্কর মৃত্যুপুরি। যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই লাশের মিছিল। ইট-পাথর ও কংক্রিটের নিচে ছিন্নভিন্ন দেহাবশেষ। ইসরাইলি বাহিনীর বোমার আঘাতে ঝরে পড়ছে নিরীহ তাজা প্রাণ। তবে গাজাবাসীর এই করুণ দৃশ্য দেখে মানসিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ইসরাইলি সেনারা।
সম্প্রতি গাজা ও লেবাননে যুদ্ধের ফলে ইসরাইলের কমপক্ষে ছয় সেনা আত্মহত্যা করেছেন। দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মানসিক যন্ত্রণা এই আত্মহত্যার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আনাদুলু এজেন্সি এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসা নিচ্ছেন ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর আরও হাজার হাজার সদস্য। দেশটির একটি সংবাদ মাধ্যম এই তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে আত্মহত্যার সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মানসিক সমস্যায় ভোগা তিন ভাগের এক ভাগ সেনার মধ্যেই রয়েছে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের (PTSD) লক্ষণ। তাদের দাবি, চলমান যুদ্ধে আহত সেনাদের চেয়ে মানসিক রোগে ভুগছে এমন সেনার সংখ্যা অনেক বেশি। এক তদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মানসিক আঘাতে ভুগছে এমন সেনার সংখ্যা শারীরিক আঘাতপ্রাপ্ত সেনাদের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ইয়েদিওথ আহরোনোথ বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সামরিক অভিযান শেষ হয়ে গেলে এবং সেনারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পর এই মানসিক স্বাস্থ্য সংকট কেটে যাবে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে গ্রেফতার হতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিট এমন ইঙ্গিত দিয়েছে।
ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে নেতানিয়াহুকে আটক করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র ‘পরিস্থিতিগত প্রশ্নে’ মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, ‘ব্রিটিশ সরকার তার আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করবে।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীন থাকা বাধ্যবাধকতাগুলো সব সময় মেনে চলে যুক্তরাজ্য সরকার। গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু এবং ইসরাইলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। চুক্তি অনুযায়ী, এই আদালতের সদস্য দেশগুলো এই পরোয়ানা কার্যকর করতে বাধ্য। চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যও রয়েছে।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছিল, যুক্তরাজ্য সরকার আইসিসির স্বাধীনতাকে সম্মান করে এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ অব্যাহত রাখবে। যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট অ্যাক্ট ২০০১ অনুযায়ী, সর্বোচ্চ আদালত যদি কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন, তবে একজন মনোনীত মন্ত্রী অনুরোধটি একজন উপযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে পাঠান, এবং ওই কর্মকর্তা পরোয়ানাটি যুক্তরাজ্যে কার্যকর করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
মন্তব্য করুন