

ফিলিস্তিনের আওকাফ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ইসরাইলি বাহিনী ৮১৫টি মসজিদ ধ্বংস করেছে এবং ১৫১টি মসজিদ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ১৯টি কবরস্থান ধ্বংস করা হয়েছে, কবর ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
ইসরাইলি হামলায় গাজা সিটির তিনটি গির্জাও হামলা ও ধ্বংস হয়েছে।
এদিকে গাজায় একদিনে অন্তত ৮৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। তারা মাত্র তিন দিনের মধ্যে ছিটমহলে ১০০ বারের বেশি বোমা হামলা চালিয়ে ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪৫ হাজার ৮০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ৯ হাজার ৬৪ জন আহত হয়েছে। সেদিন হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরাইলে অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দি হয়।
মন্তব্য করুন


চাঁদে সূর্য ওঠার পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভারের কোনো সাড়া পায়নি ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, চাঁদে যতক্ষণ সূর্যের আলো থাকবে, তত ক্ষণ বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের জেগে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ইসরো এক চন্দ্রদিবস, অর্থাৎ পৃথিবীর হিসাবে আগামী ১৪ দিন অপেক্ষা করবে।
তিনি আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু সাড়া যে পাওয়া যাবেই না, তেমন কথা বলতে পারছি না। আমরা চাঁদের হিসাবে গোটা একটা দিন অপেক্ষা করতে পারি। কারণ, এই সময়ের মধ্যে অনবরত সূর্যের আলো পড়বে চাঁদের মাটিতে। ফলে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। ১৪তম দিনেও সাড়া মিলতে পারে বিক্রম, প্রজ্ঞান থেকে।
চাঁদের মাটিতে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান চালিয়েছে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান। তারপর তাদের ‘স্লিপ মোডে’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাতে সূর্যের আলো না থাকায় এই যন্ত্রগুলো নিষ্ক্রিয় ছিল। চাঁদে রাতের তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। কখনও কখনও হিমাঙ্কের ২০০ থেকে ২৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত নীচে নামতে পারে পারদ। এই তীব্র ঠান্ডা চন্দ্রযানের যন্ত্রপাতি সহ্য করতে পেরেছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে সূর্যের আলো পেয়ে যন্ত্রগুলো গরম হলে আবার তা থেকে সাড়া মেলার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার যাতে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়, তার জন্য বিক্রমের রিসিভার চালু রেখেছিল ইসরো।
মন্তব্য করুন


যুক্তরাষ্ট্র ও চীন—বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা এখন প্রায় পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলোর ওপর থেকে শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত রেখেছে, তবে গত বুধবার তারা চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক বাড়িয়ে দেয়। এরপরই বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজ ঘোষণা করে যে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত প্রায় সব চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫% শুল্ক কার্যকর করতে যাচ্ছে।
চীনও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীন মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫% হারে শুল্ক আরোপ করেছে। এর আগে, গত বুধবার চীন মার্কিন পণ্যে ৮৪% শুল্ক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এছাড়া, চীনের ব্যবসায়ীরা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজনে তাদের পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে, চীনের এই সর্বশেষ পদক্ষেপের বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ট্রাম্প প্রশাসন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর এই দুই অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে মোট ৫৮৫ বিলিয়ন ডলার (৫৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলার) মূল্যের পণ্য বাণিজ্য হয়েছে। তবে এই বাণিজ্যে ভারসাম্য যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে ৪৪০ বিলিয়ন ডলার (৪৪ হাজার কোটি ডলার) মূল্যের পণ্য আমদানি করলেও চীন মার্কিন পণ্য আমদানি করেছে মাত্র ১৪৫ বিলিয়ন ডলার (১৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার)।
ফলে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৯৫ বিলিয়ন ডলার (২৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলার), যা মার্কিন অর্থনীতির প্রায় ১% এর সমান। এই বিশাল বাণিজ্য ঘাটতিই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য সংঘাতের মূল কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের মহান বিজয়কে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) নরেন্দ্র মোদি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে এ দাবি করেন।
নরেন্দ্র মোদির পোস্টে লেখা হয়, "আজ বিজয় দিবসে, আমরা ১৯৭১ সালের ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা সাহসী সৈন্যদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই। তাদের নিঃস্বার্থ উৎসর্গ এবং অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে। এই দিনটি তাদের অসাধারণ বীরত্ব এবং অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে থাকবে।"
নরেন্দ্র মোদির এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, "এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু মোদি দাবি করেছেন, এটি ভারতের যুদ্ধ এবং তাদের অর্জন। তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই উপেক্ষা করা হয়েছে।"
তিনি আরও লেখেন, "যখন এই স্বাধীনতাকে ভারত নিজেদের অর্জন হিসেবে দাবি করে, তখন আমি একে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখি। ভারতের এই হুমকির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাওয়া অত্যাবশ্যক। এই লড়াই আমাদের চালিয়েই যেতে হবে।"
মন্তব্য করুন


ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন এবং তা যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো সেটি বজায় রাখা। রুবিওর ভাষায়, ‘প্রতিদিন আমরা খেয়াল রাখছি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কী ঘটছে।’
রোববার (১৭ আগস্ট) মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই প্রতিবেশী পরাশক্তির মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত এড়াতে ভূমিকা রেখেছেন। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অস্ত্রবিরতি তখনই কার্যকর হয় যখন উভয় পক্ষ গুলি চালানো বন্ধে রাজি হয়। কিন্তু রাশিয়া এখনো তাতে সম্মত হয়নি।
তার মতে, ইউক্রেনে সাড়ে তিন বছরের যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির পর যুদ্ধবিরতি হলেও তা দ্রুত ভেঙে যেতে পারে। তবে লক্ষ্য কেবল অস্ত্রবিরতি নয়, বরং এমন এক শান্তিচুক্তি যা বর্তমানেও যুদ্ধ রোধ করবে এবং ভবিষ্যতেও সংঘাত এড়াবে।
ফক্স বিজনেসকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে রুবিও আবারও ট্রাম্পের দাবির প্রতিধ্বনি করে বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে, আমাদের একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি শান্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমরা তা দেখেছি কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডে, ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে, রুয়ান্ডা ও কঙ্গোতে। বিশ্বজুড়ে যেখানে সুযোগ পাওয়া যায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাব।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১০ মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান ‘তাৎক্ষণিক পূর্ণাঙ্গ’ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। এরপর থেকে প্রায় ৪০ বার তিনি বলেছেন যে, তিনি ভারত–পাকিস্তান সংঘাত মিটিয়ে দিয়েছেন এবং দুই দেশকে আশ্বস্ত করেছেন, সংঘাত থামালে আমেরিকা তাদের সঙ্গে বড় অঙ্কের বাণিজ্য করবে।
গত শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের দিনও ট্রাম্প বারবার একই দাবি পুনরাবৃত্তি করেন এবং দিল্লির রাশিয়ার তেল কেনার প্রসঙ্গ তোলেন। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করছিল। সেটা পারমাণবিক পর্যায়ে চলে যেতে পারত। আমি সেটি ঠেকিয়েছি। যুদ্ধ খুবই খারাপ, আর আমি তা এড়ানোর চেষ্টা করি। যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিকে আমি সেই কাজেই ব্যবহার করি।’
অন্যদিকে পাকিস্তান প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়েছে এবং ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিয়েছে। যুদ্ধের পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির দুই দফা যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। এ সময় ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের সঙ্গে তেল চুক্তির ঘোষণাও দিয়েছে।
মন্তব্য করুন


যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারের নতুন একটি সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।
গত নভেম্বরে রাশিয়ায় হামলার জন্য ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ঠিক একদিন পরেই ইউক্রেনকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অ্যান্টি-পার্সোনেল ল্যান্ড মাইন বা স্থলমাইন দেওয়ার জন্যও রাজি হন বাইডেন।
ধারণা করা হচ্ছে, নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগেই যত দ্রুত সম্ভব এই সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা করছেন জো বাইডেন। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের বিজয়ের সম্ভাবনা ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সহায়তা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। এজন্য বাইডেন প্রশাসন আরও বেশি সময় পাবে না ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য ১২৫ মিলিয়ন ডলারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। এর আগে ১০ দিন আগে ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে ৭২৫ মিলিয়ন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ, অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন এবং অন্যান্য অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিল। এবার আবারও একটি নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাইডেন প্রশাসন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি এর আগে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত সামরিক প্যাকেজ প্রদান অব্যাহত রাখবে।
এদিকে, ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া সমালোচনা করেছেন। বৃহস্পতিবার টাইম ম্যাগাজিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধের মাত্রা বাড়িয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, "যা ঘটছে তা এক ধরনের পাগলামি। এটা মূর্খতা। রাশিয়ায় কয়েকশ মাইল দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ব্যাপারে আমি একেবারে একমত নই। আমাদের এটা করার কারণ কী! আমরা শুধু এই যুদ্ধটিকে আরও মারাত্মক করে তুলছি এবং পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছি। এটা অনুমোদন দেওয়া উচিত হয়নি।"
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি মোকাবিলা নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার, ট্রুডোর কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে তিনি তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। চিঠিতে তিনি কানাডার জন্য সর্বোত্তম পথ নিয়ে ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধ এবং ট্রাম্পের ‘আগ্রাসী অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ’ নীতির ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জ’ তুলে ধরেন।
ফ্রিল্যান্ড বলেন, ট্রুডো যখন তাকে জানান যে, তিনি আর ফ্রিল্যান্ডকে তার সরকারের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চান না, তার এক সপ্তাহ পরেই পদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত আসে। ফ্রিল্যান্ডের ধারণা ছিল যে, তিনি পার্লামেন্টে সরকারের বার্ষিক আর্থিক আপডেট উপস্থাপন করবেন, কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের এই ঘোষণা ট্রুডোর প্রশাসনকে সংকটে ফেলতে পারে, কারণ এটি ইতিমধ্যেই নড়বড়ে সংখ্যালঘু সরকারের দিকে চলে যাচ্ছে।
নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর, জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে একের পর এক পদত্যাগের আহ্বান আসছে। অনেকের ধারণা, তিনি তার দলের ভবিষ্যতের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এক জরিপের ফল অনুযায়ী, ২০১৫ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার সময় ট্রুডোর গ্রহণযোগ্যতা ছিল ৬৩ শতাংশ, কিন্তু ২০২৪ সালের জুন মাসে তা কমে ২৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
সোমবার ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পর পাঁচজন লিবারেল সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে ট্রুডোর পদত্যাগের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন


ভারতের দিল্লিতে গত বুধবার বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে, যা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। তবে এরই মধ্যে দেশটির বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)-কে হারিয়ে প্রায় ২৭ বছর পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলো।
বুধবার দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাজিক নম্বর ৩৬। কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি লড়েছে ৭০টি আসনে। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ৬৮ আসনে। দুটি আসন তারা ছেড়েছে জেডিইউ এবং এলজেপি'কে (রামবিলাস)। অধিকাংশ সমীক্ষার ইঙ্গিত, বিজেপি জিততে পারে প্রায় ৪০টির বেশি আসনে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে আছে। এনডিটিভি তাদের খবরের প্রধান শিরোনামে লিখেছে, বিশাল জয়ের পথে বিজেপি।
আনন্দবাজার তাদের লাইভ নিউজে জানিয়েছে, ভোটগণনা শুরুর ৪০ মিনিট পরের পরিসংখ্যা বলছে, আপ ২০টি আসনে এগিয়ে। অন্যদিকে ২৫টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
কী বলছে বুথ ফেরত সমীক্ষা?
চাণক্য স্ট্র্যাটেজিসের সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি পেতে পারে ৩৯-৪৪টি আসন। আপ জিততে পারে ২৫-২৮টি আসনে। কংগ্রেসের ঝুলিতে থাকতে পারে দুই থেকে তিনটি আসন।
ডিভি রিসার্চের বুথ-ফেরত সমীক্ষা অবশ্য কংগ্রেসকে একটি আসনও দেয়নি। তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি পেতে পারে ৩৬-৪৪টি আসন এবং আম আদমি পার্টি জিততে পারে ২৬ থেকে ৩৪টি আসনে।
জেভিসির সমীক্ষার ইঙ্গিত বিজেপি পেতে পারে ৩৯-৪৫টি আসন। আম আদমি পার্টি জিততে পারে ২২ থেকে ৩১টি আসন এবং কংগ্রেস পেতে পারে শূন্য থেকে দু'টি আসন। ম্যাট্রিজের সমীক্ষা অনুযায়ী আপের ঝুলিতে থাকতে পারে ৩২-৩৭টি আসন। বিজেপি জিততে পারে ৩৫ থেকে ৪০টি আসনে। কংগ্রেসের ভাগ্যে একটি আসন জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে এই সমীক্ষাটি।
মন্তব্য করুন


মিয়ানমারের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও সাবেক রাজধানী ইয়াঙ্গুন ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৮।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৮ টা ৫৫ মিনিটে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভব করেন ইয়াঙ্গুন ও তার আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ইয়াঙ্গুন থেকে ৩৯ কিলোমিটার উত্তরে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।
ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন। প্রায় ৮০ লাখ মানুষ বসবাস করেন এই শহরে। ইয়াঙ্গুনের সংলগ্ন অন্যান্য শহরে বসবাস করেন আরও বেশ কয়েক লাখ মানুষ।
ভূতাত্ত্বিক গঠনের কারণে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটিতে ভূমিকম্প প্রায় নিয়মিত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
মন্তব্য করুন


ফিলিস্তিনের আওকাফ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ইসরাইলি বাহিনী ৮১৫টি মসজিদ ধ্বংস করেছে এবং ১৫১টি মসজিদ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ১৯টি কবরস্থান ধ্বংস করা হয়েছে, কবর ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
ইসরাইলি হামলায় গাজা সিটির তিনটি গির্জাও হামলা ও ধ্বংস হয়েছে।
এদিকে গাজায় একদিনে অন্তত ৮৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। তারা মাত্র তিন দিনের মধ্যে ছিটমহলে ১০০ বারের বেশি বোমা হামলা চালিয়ে ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪৫ হাজার ৮০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ৯ হাজার ৬৪ জন আহত হয়েছে। সেদিন হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরাইলে অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দি হয়।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের ঝাড়খণ্ড থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা। গতকাল শনিবার ঝাড়খণ্ডের পালামৌতে এক জনসভায় তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশের নাগরিক ঝাড়খণ্ডের স্থানীয় নারীদের বিয়ে করেছেন, তাদের সন্তানদের আদিবাসী অধিকার দেওয়া হবে না। এই তথ্য ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, “প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ঝাড়খণ্ড থেকে ‘ঝেঁটিয়ে’ বিদায় করা হবে। তারা আমাদের স্থানীয় আদিবাসী বোনদের বিয়ে করে আদিবাসী জমির অধিকার পেতে চায়, কিন্তু তাদের সে ইচ্ছা পূর্ণ হবে না। তাদের কখনোই আদিবাসী অধিকার দেওয়া হবে না, এমনকি তাদের সন্তাদেরও আদিবাসী অধিকার দেওয়া হবে না।"
তিনি অভিযোগ করেন, ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের পেছনে ক্ষমতাসীন জনমুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেসের জোট সরকারের হাত রয়েছে। তাদেরই ইন্ধনে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বেড়েছে। জেপি নাড্ডা আরও বলেন, বিজেপি ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় এলে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এছাড়া, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বাংলাদেশের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে ঝাড়খণ্ডে এক নির্বাচনি জনসভায় তিনি বলেছিলেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার গড়লে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের "উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হবে"।
মন্তব্য করুন