কুমিল্লা সদরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাম্প কমান্ডার প্রত্যাহার কথার করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে আইএসপিআর (আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর) নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩১ জানুয়ারি ভোররাতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা হতে আটককৃত মো: তৌহিদুর রহমান (৪০), একই দিন দুপুর ১২:৩০ টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনাটি তদন্তে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, উক্ত সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভ্যুলুশন ঘোষণা করতে হবে। ৩১ ডিসেম্বরের পর এতগুলো দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। এ দেশে অন্য কোনো দেশের দাদাগিরি চলবে না বলেও হুঙ্কার দেন তিনি।
বুধবার বিকালে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে নগরীতে লিফলেট বিতরণ এবং জনসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে কুমিল্লা পুলিশ লাইন থেকে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শুরু করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
হাসনাত বলেন, কুমিল্লা থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা শুরু হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। চব্বিশের বাংলাদেশে আগামীর স্বপ্ন কুমিল্লা থেকে যাত্রা শুরু হবে। আর আপনারা জানেন, কুমিল্লা থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী ধ্বনি সব সময় উচ্চারিত হয়েছে। আগামী ৭ দিন পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ কর্মসূচি পালন করা হবে। দেশটা ফ্যাসিবাদের অষ্টেপৃষ্ঠে শিকলে বাঁধা ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিবাদের শিকলমুক্ত করেছে ভয়হীন তরুণ প্রজন্ম। যে প্রজন্মটাকে আমরা অলস ভাবতাম, মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকত, ওই প্রজন্মই দিন শেষে আমাদের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। আমরা অতীতের রাজনীতির পুনরাবৃত্তি চাই না। তাই বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে হাসনাত বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের আর্তনাদ আমরা এখনো শুনতে পাই। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই দিয়ে তাদের সুবিধাপ্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই চলবে না। এ দেশে অন্য কোনো দেশের দাদাগিরি চলবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন, সদস্য সচিব রুবেল হোসেন, মহানগর সদস্য সচিব রাশেদুল হাসান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারের পরিষেবা আবারও চালু করা হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে সার্ভার চালুর কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, এখন এনআইডি সেবা পাওয়া যাচ্ছে। আজ সকাল থেকে এটি সচল হয়েছে। মাঝে মধ্যে এটির রক্ষণাবেক্ষণের দরকার পড়ে। যার কারণে সার্ভার বন্ধ করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এনআইডি সার্ভারের পরিষেবা বন্ধ করা হয়। এর আগে গত ১৬ আগস্টেও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে এনআইডি সেবা বন্ধ ছিল। এছাড়া চলতি বছরে কয়েকবার এনআইডি সার্ভার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এনআইডি সার্ভারে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাম্প কমান্ডার প্রত্যাহার কথার করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে আইএসপিআর (আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর) নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩১ জানুয়ারি ভোররাতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা হতে আটককৃত মো: তৌহিদুর রহমান (৪০), একই দিন দুপুর ১২:৩০ টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনাটি তদন্তে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, উক্ত সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার দেবিদ্বারে উপজেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে মতবিনিময় সভায় আসা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর একাধিক জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বনকুট এলাকায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালে বিভিন্ন এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিউদ্দিন সফিসহ স্হানীয় বিভিন্ন নেতাকর্মীদের মত বিনিময় সভায় আসার পথে বাঁধা প্রদান করেন এমপি আবুল কালাম আজাদের লোকজন। এ সময় এমপি আজাদের লোকজনের হামলায় ৬ জন আহত হয়। এ সময় যানবাহনও ভাঙচুর করা হয়।
দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল চৌধুরী বলেন, সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রনি ও যুগ্ম আহ্বায়ক সজীবের নেতৃত্বে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে মত বিনিময় সভায় আসা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর হামলা হয়।
মত বিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম সফিউদ্দিন সফির সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্হিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রোশান আলী মাস্টার, দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ওমানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল চৌধুরী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সদস্য সাহিদা রোশন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর গত চার মাস ধরে বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। মারধর করে আহত করা হয়েছে শত শত আওয়ামীলীগ ও এর অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের। আমাদের অপরাধ একটাই, আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করেছি। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলায় আসামি করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসব অন্যায়ের বিচার চাই আমরা।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য আন্দোলন ও সংগ্রাম করে জেল খেটেছেন। আমরা সেই স্বাধীনতার মহান স্থপতির আদর্শের রাজনীতি করি। তাই আপনারা ভয় পাবেন না, অন্যায় কারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হন। ইনশাল্লাহ জয় আমাদের হবে। দেবিদ্বারে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে সকলকে। গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ না করলে দেবিদ্বারে শান্তি আসবে না।
সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বলেন, রাজনীতি কখনো পুজি হতে পারে না। যখন পুজি হয় তখন জমি দখল হয়, হামলা-মামলা, চাদাবাজি হয়। প্রকৃত রাজনীতি করলে টাকা পয়সার মালিক হওয়া যায় না। তবে সম্মান পাওয়া যায়। আমি ১৫ বছরে আপনাদের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। দেবিদ্বার ছিল শান্তির জায়গা। আর এখন দেবিদ্বারজুড়ে হামলা-মামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটছে। আজ মতবিনিময় সভায় আসার পথে মোড়ে মোড়ে বাঁধা দেয়া হল,মারধর করা হল। আপনারা এখন ক্ষমতায়, কিসের এত ভয় আপনাদের? একটা মতবিনিময় সভাকে কেন এত ভয়? দেবিদ্বারে গত ৪০ বছরে যা হয় নি,গত ৪ মাসে তা হচ্ছে দেবিদ্বারে। এই জুলুম-নির্যাতনের বিচার হবে একদিন । কোন ছাড় দেয়া হবে না। আগামী উপজেলা নির্বাচনে দেবিদ্বারকে আবর্জনামুক্ত করতে হবে, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত দেবিদ্বার গড়ে তুলতে হবে।
মত বিনিময় সভায় আসার পথে বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত উপজেলার সাংবাদিকদেরও বাঁধা প্রদান করা হয় ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সংবাদকর্মী জানান, বর্তমানে আমরা খুব খারাপ সময় পার করছি। পথে পথে আমাদের বাধা প্রদান করা হয়েছে যাতে আমরা এই মত বিনিময় সভায় আসতে না পারি। আমাদের বলা হয়েছে আমরা যেন এই সংবাদটি প্রকাশ না করি।
উল্লেখ্য যে, মত বিনিময় সভায় আগামী ২৯ মে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে রোশন আলী মাস্টার কিংবা তার সহধর্মিনী সাহিদা রোশনকে প্রার্থী হওয়ার জন্য আহ্বান জানান স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টার:
তাবলীগ জামাতের একটি পক্ষের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তুলে তা অবিলম্বে ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে দূর করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে এই দাবি বাস্তবায়ন না হলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, “আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে এক গ্রুপের প্রতি চরম বৈষম্য করা হচ্ছে। ইজতেমায় প্রধান মুরুব্বিদের অংশগ্রহণ, কাকরাইল মসজিদ ব্যবহারের অনুমতি, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ ও ইজতেমার সময় বরাদ্দে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। এ ধরনের বৈষম্য ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে দ্রুত দূর করা জরুরি।”
তিনি আরও জানান, “যদি আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তবে আমরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হব।”
এ সময় কুৃমিল্লা সেট্রল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়ুম,উইলস স্কুলের ঢাকার শিক্ষার্থী মো.আবু বক্কর,কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট বাঞ্ছারামপুরের শিক্ষার্থী মো.আনাস খাঁন, ফতেয়াদ নায়েব আলী কলেজের শিক্ষার্থী মো.মহিউদ্দিনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লার চান্দিনায় বন্ধুদের সাথে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ইয়াছিন আহমেদ নামের ১৩ বছরের এক কিশোর। ওই দূর্ঘটনায় আহত হয়েছে তার আরও ২ বন্ধু।
নিহত কিশোর চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের সব্দলপুর গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
ওই দূর্ঘটনায় আহত হয়েছে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম এর ছেলে মোশারফ (২৬), মেহবুব মিয়ার ছেলে অনিক (১৬)। গুরুতর আহত অবস্থায় তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা বাস স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ওই দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইয়াছিন শৈশব থেকেই চঞ্চল প্রকৃতির। তাকে মারধর করেও বিদ্যালয়ে পাঠানো সম্ভব হয়নি। শিক্ষা বিমুখ ইয়াছিন বন্ধুদের সাথে সে প্রায়ই মোটরসাইকেলে কোথাও না কোথাও ঘুরতে যেত। সোমবার দুপুরে তার চাচাতো ভাই মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশ ব্যবসায়ী মোশারফের মোটরসাইকেলে করে ইয়াছিন ও তার বন্ধু অনিক সহ ঘুরতে বের হয়। নিজ বাড়ি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে কুমিল্লায় যাওয়ার পথে নূরীতলা এলাকায় দূর্ঘটনার শিকার হয় তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী সিরাজুল ইসলাম জানান, খুব দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেলটি ছুটে আসছিল। এসময় একটি বাস তাদেরকে ওভারটেকিং করার সময় মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে এক পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে মহাসড়কে আঁছড়ে পড়ে। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াছিন নামের ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর দুজনকে কুমিল্লায় রেফার করেন।
এদিকে সোমবার সকালেই ইয়াছিনের বাবা শাহজাহান মিয়া ও মা জোৎস্না বেগমের চোখের অপারেশন কুমিল্লার আলেখার চরে অবস্থিত চক্ষু হাসপাতালে সম্পন্ন হয়। সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে তারা চোখে বেন্ডেজ লাগানো অবস্থায়ই হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে পৌঁছায়। ইয়াছিন এই দম্পতির কনিষ্ঠ সন্তান।
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (ইন্সপেক্টর) দেওয়ান কৌশিক আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপর আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় কিন্তু সেখানে কাউকে পায়নি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় গতকাল রাতে দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিন আরোহী নিহত হয়েছে। মধ্যরাতে সদর উপজেলার বুড়িচং সড়কের পালপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার আড়াইওরা এলাকার কাউসার খলিলের ছেলে আহাদ হোসেন, ভুবনগড় এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে মিনহাজুল, এবং বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইমন।
নিহত আহাদের মামা পাপন জানান, আহাদ ও ইমন, আড়াইওরা মধ্যমপাড়া এলাকায় মামার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ভিডিওগ্রাফার মিনহাজুলকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে তাদের এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিনুল ইসলাম জানান, গতকাল আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় বুড়িচং সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দ্রুতগামী মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায়, যার ফলে ঘটনাস্থলেই তাদের তিনজনের মৃত্যু হয়। ওসি আরও জানান, নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় একটি বিল থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার জাফরগঞ্জ এলাকার দোয়াইজলা নামক বিলে ফসলি জমির পাশে ওই দুজনের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতরা হলেন- দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ গ্রামের প্রয়াত দুলু মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৩০) এবং খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার সুখাকেন্দ্রায় গ্রামের রহুল আমিন মিয়ার ছেলে মোহন মিয়া (৩৫)। তারা ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগ বিল তোলা, সংযোগ স্থাপন ও মেরামতের কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, মরদেহে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে মরদেহের কাছ থেকে মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এ কারণে তারা নিশ্চিত হতে পারছে না যে, এটি হত্যাকাণ্ড নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হয়েছে।
মনিরের ছোট বোন জান্নাত আক্তার জানান, "মনির আমার একমাত্র ভাই, তাকে কারা হত্যা করেছে আমরা বলতে পারব না। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে, এখন তাদের কি হবে?"
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মরদেহ দুটি খড়ের ওপর পাওয়া গেছে এবং প্রায় ২০-২৫ ফুট দূরে খড়ের একটি গাদা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার রাতের কোনো এক সময় তারা খড় নিয়ে এখানে বসে মাদকসেবন করছিলেন। মাদকে সম্ভবত বিষাক্ত কিছু ছিল, যা সেবনের পর তাদের শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, "রবিবার সকালে দোয়াইজলা বিলে কৃষকরা কাজ করতে এসে দুজনের মরদেহ দেখে আমাকে খবর দেয়। পরে ঘটনা নিশ্চিত হয়ে পুলিশকে খবর দেই। তারা দুজনই ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগের কাজ করতেন। এটি হত্যাকাণ্ড কিনা, এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।"
ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী বদিলউল আলম সানোয়ার বলেন, "মনির ও মোহন আমার প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। মনির বাড়িতে থাকত এবং মোহন অফিসে। মোহনের বাবা আমাকে জানিয়েছেন, রাত ১১টার পর শেষবার মোহনের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারপর তাকে আর অফিসেও পাওয়া যায়নি।"
তারা মাদক সেবন করতেন কিনা জানতে চাইলে সানোয়ার বলেন, "মনির মাদকাসক্ত ছিল, কিন্তু মোহন মাদক সেবন করত কিনা আমি জানি না।"
এ বিষয়ে দেবীদ্বার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ মো. শাহীন জানান, "আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনই বলা সম্ভব নয় এটি হত্যাকাণ্ড নাকি অন্য কিছু। তবে ঘটনাস্থল থেকে সিরিঞ্জ, সিগারেট, স্পিরিটের খালি বোতলসহ বিভিন্ন আলামত পাওয়া গেছে। এগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আরও তথ্য এবং আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে।"
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ভূঁইয়া কানুকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্চিতের একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুছ সরকার অভিযুক্তদের গ্রেফতারে বিবৃতি দিয়েছেন। পাশাপাশি বলেছেন কানুর বিরুদ্ধে ৮-৯টি মামলা রয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানা সূত্রেও জানা যায়, আব্দুল হাই কানুর বিরুদ্ধে ১টি হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, রবিবার দুপুরে স্থানীয় বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযোদ্ধা ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা আব্দুল হাই কানুকে জুতার মালা পড়ায় স্থানীয় প্রবাসী আবুল হাশেমসহ এলাকাবাসী।
এসময় স্থানীয়দের বলতে শোনা যায়, আব্দুল হাই কানুর কারণে তারা গত ১৫ বছর এলাকায় থাকতে পারেনি।
২০১৬ সালের আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ রানা হত্যার প্রতিবাদে এবং কানু ও তার ছেলে বিপ্লবকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে স্থানীয় আ’লীগ সমাবেশ করে।
সমাবেশে উপজেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, আব্দুল হাই কানুর কারণে স্থানীয় আ’লীগ নেতাকর্মীরাও এলাকাছাড়া।
সোমবার সকালে সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় জসিম উদ্দিন বলেন, আবদুল হাই কানুর সাথে আ’লীগ ব্যতিত আর কোন রাজনৈতিক দ্বন্ধ নেই।
ভাইরাল ভিডিওটি রাজনৈতিক নয়। এলাকার ভুক্তভোগীরা ঘটনা করেছে। এসময় আমিও সাথে ছিলাম। হত্যাকান্ডের শিকার রানা হত্যা মামলায় ১নং আসামী কানু। আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন হত্যার ঘটনাও অন্যতম নির্দেশদাতা কানু মেম্বার। কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী এক প্রার্থী আবদুল হালিম মজুমদারকে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দেয়। ঐ নির্বাচনে আমাকেও লাঞ্চিত করে।
স্থানীয় ট্রাক্টর চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, পারিবারিক দ্বন্ধে এ ঘটনা ঘটেছে। এর সাথে রাজনীতির সম্পৃক্ততা নাই। গত ২০১৬ সালের ৩ই সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ রানাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে কানু মেম্বার। ঐদিন আমি নিজেও গুলির শব্দে ব্রীজ থেকে লাফ দিয়ে আহত হই। কানু মেম্বার আমার চাচা নুরুল ইসলাম মিনারকে রাতের আধাঁরে মারধর করে।
আবদুল হালিম মজুমদারের ভাই আবদুর রহমান (৮০) বলেন, কানু আমার ভাইকে বিদ্যালয়ের নির্বাচনের সময়ে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দেয়। আ’লীগ সরকারের সময়ে আমার ভাইয়ের থেকে ২৬লাখ টাকা চাঁদাবাজী করে। এমনকি আমার ঘর নির্মাণের সময় আমার থেকেও ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের দ্বন্ধেই রবিবার দুপুরে কানুকে আটক করে এলাকাবাসী।
সাবেক ইউপি মেম্বার ও অবঃ সেনাসদস্য আবদুল হক বলেন, কানু এই এলাকায় গত ১৭ বছরে সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেছে। একাধিক হত্যা, বাড়িঘর ভাংচুর এবং চাঁদাবাজীর সাথেও সে জড়িত। স্থানীয়রা পূর্বের ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী বেলাল হোসাইন বলেন, আ’লীগ নেতা আব্দুল হাই কানু হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী। পূর্বের বিভিন্ন বিরোধ থেকে এলাকাবাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এর সাথে রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা নাই। এমনটি ভাইরাল ভিডিওকে উল্লেখিত ব্যক্তিগত জামায়াতের কোন পদ-পদবীতে নাই।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আক্তারুজ্জামান সোমবার দুপুরে বলেন, আব্দুল হাই কানুর বিরুদ্ধে ৮-৯টি মামলার বিষয়ে পুরনো অপারেটরের মাধ্যমে জেনেছি। তবে আমার কাছে একটি হত্যা মামলা এবং একটি ভাংচুরের মামলার তথ্য রয়েছে। ভাইরাল ভিডিওতে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিতের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি আমরা। পরিবার থেকে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় একটা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আরাফাতুল ইসলাম বলেন, সকলের সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। তিনি যদি কোন অপরাধ করে থাকেন আইন অনুযায়ী বিচার হবে। অপরাধীকে জুতার মালা পড়ানো সম্মানহানীর কোন সুযোগ আইনে নাই।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর বাউফলে জমি লিখে না দেওয়ায় শ্বশুর ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে। রোববার (১৪ মে) রাতে বাউফল সদর ইউনিয়নের নকুলের হাট সংলগ্ন মিস্ত্রী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘটনার দিন রাতে ওই বাড়ির হীরালাল মিস্ত্রী (৬৫) ও তার স্ত্রী কিরন বালা (৬০) নিজ বাসায় টিভি দেখছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে তাদের মেয়ের জামাই ফনি ভূষণ (৩৫) ছুরি নিয়ে আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়ে দুইজনকে জখম করেন। তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে জামাই ফনি ভূষনকে আটকে বাউফল থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফনি ভূষনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে হীরালালের মেয়ে শিল্পী রানী বলেন, সম্প্রতি আমার বাবা আমাকে ৮ কড়া (স্থানীয় মাপ) জমি লিখে দেন। ওই জমি আমার স্বামী ফনি ভূষণ তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য বাবাকে চাপ প্রয়োগ করেন। বাবা এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ফনি ভূষণ দুইজনকে কুপিয়ে জখম করেন।
এ ব্যাপারে বাউফল থানান পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ফনি ভূষণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিএস
মন্তব্য করুন