গণহত্যার জন্য শুধু শেখ হাসিনা নয়, দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুসকে দেখে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সবচেয়ে রোষানলের শিকার বিএনপি। আর সর্বশেষ গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন শেখ হাসিনা। গণহত্যার জন্য শুধু শেখ হাসিনা নয়, দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন আর সংস্কার কখনো সাংঘর্ষিক নয়। দেশের জনগণ নির্বাচন চায়, আর যারাই নির্বাচন পেছানোর কথা বলছেন তাদের আরও ভেবে দেখার আহবান জানান তিনি। এ সময় দেশের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহবান জানান ফখরুল।
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন আমরা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই। এই প্রক্রিয়ায় যত দেরি হবে, ততই আমাদের সংকট আরও গভীর হবে।
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
আমীর খসরু বলেছেন, ‘অগণতান্ত্রিকভাবে যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, একটা পর্যায়ে গিয়ে তারা টিকে থাকার জন্য এবং ক্ষমতা অব্যাহত রাখার জন্য মিডিয়াকে চাপের মধ্যে রাখতে চায়। এটা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। সুতরাং আমাদের ঐক্য হতে হবে গণতন্ত্রের পক্ষে, আমাদের ঐক্য হতে হবে গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য। যার মধ্যে মিডিয়ার স্বাধীনতাও অন্তর্নিহিত। এর কোনো বিকল্প নেই। কোনো রকম বক্তব্য কিংবা তথাকথিত সংস্কার এদেশে গণতান্ত্রিক শাসন নিশ্চিত করতে পারবে না।’
খসরু বলেন, ‘সরকারকে হতে হবে মানুষের কাছে দায়বদ্ধ, জবাবদিহিমূলক। বারবার জনগণের দিকে তাকাতে হবে, জনগণের কাছে যেতে হবে। আর এই জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও মিডিয়া সরাসরি জবাবদিহিতা আদায় করে না, তবুও নির্বাচিত সংসদের মতো মিডিয়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ জবাবদিহিমূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। তারাও জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে আমরা গণতন্ত্র পুনর্প্রবর্তনের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকব। আমরা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই। এই প্রক্রিয়ায় যত দেরি হবে, ততই আমাদের সংকট আরও গভীর হবে।’
তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য, গণতান্ত্রিক অর্ডার যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে আনতে হবে। মিডিয়ার সহযোগিতা ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি—এটাই আমাদের জন্য সর্বাধিক লাভজনক হবে।’
তিনি আরও বলেন, আগামীর ঐক্য হবে গণতন্ত্র, স্বাধীনতার জন্য। এ সময়, আগামীতে মানুষের জন্য দায়বদ্ধ সরকার দরকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যারা শঙ্কা প্রকাশ করেছ, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়- এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, যারা নির্বাচনের বিপক্ষে বক্তব্য দেবে, তাদের বাংলাদেশের জনগণ রুখে দেবে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য, ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সংকল্পবদ্ধ। এর বিপক্ষে যারাই ইনিয়ে-বিনিয়ে কোনো ধরনের বক্তব্য দেবে, যারাই বিভিন্ন রকমের কু-যুক্তি উত্থাপন করে গণতন্ত্রের এই যাত্রাপথকে কণ্টকাকীর্ণ করতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ রুখে দাঁড়াবে। আমরা বিশ্বাস করি, আশা করি- বাংলাদেশের জনগণ ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে যেকোনো রকমের বাধাকে অতিক্রম করতে সংকল্পবদ্ধ।’
আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দোয়া মাহফিল ও সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজকে যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়। তারা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষের শক্তি নয়। তারা হয়ত কোনো না কোনো কারণে নিজের কথাগুলোই ইনিয়ে-বিনিয়ে বলছেন। যাতে করে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা যায় অথবা বানচাল করা যায়। কিংবা নির্বাচন অনুষ্ঠান না হোক সেটা চায়।’
রাজনৈতিক দল ও শক্তির উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আপনারা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে, সেই একই রকমের ঐক্য নিয়ে আসুন- আগামী নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে যেভাবে আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারি, সেইভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, আলাপ-আলোচনা করি এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সহজতর করি।’
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া চড়াই-উতরাই পেরিয়ে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে করতে আজও বাংলাদেশের মানুষের জন্য আলোর দিশারি হয়ে বেঁচে আছেন। তার ৮১তম জন্মদিন। আমরা মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করি, বাংলাদেশের মানুষের সামনে আলোর দিশারি হিসেবে পথপ্রদর্শক হিসেবে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা কবজ হিসেবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে আরও দীর্ঘায়ু করুন, শতায়ু করুন।’
সালাহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের সমসমায়িক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে আমরা সমস্ত বিষয়ে দিক-নির্দেশনা পাচ্ছি বেগম খালেদা জিয়ার কাছ থেকে। তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে সহজতর করতে হবে। তার সেই নির্দেশনা মোতাবেক আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি অনেকবার, সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর সঙ্গে আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐকমত্যের মধ্য দিয়ে একটি সুষ্ঠু সুন্দর শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষমাণ, সারা জাতি অপেক্ষমাণ। আমরা সেই গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষমাণ, যেই গণতন্ত্রের জন্য আমাদের সন্তানেরা শহীদ হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, অন্ধত্ববরণ করেছেন। আমরা অবিরাম ১৬-১৭ বছরের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করেছি, সেই গণতন্ত্রের জন্য আমরা অপেক্ষমাণ।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এই গণতন্ত্রকে যদি আমরা বিনির্মাণ করতে চাই অত্যন্ত শক্তিশালী হিসেবে, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই সাম্যের ভিত্তিতে, তাহলে এই গণতন্ত্রের জন্য আমাদেরকে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই জাতীয় ঐক্যকে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।’
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে সংগঠনের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব বক্তব্য দেন। এছাড়া দোয়া মাহফিলে যুবদলের রেজাউল কবির পল, বেলাল হোসেন তারেক, মহানগরের খন্দকার এনামুল হক এনাম, শরীফ উদ্দিন জুয়েল, রবিউল ইসলাম নয়ন, সাজ্জাদুল মিরাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সরকার চলতি বছরের মাঝপথে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণের ওপর চরম চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই সরকার ১০০টিরও বেশি পণ্যের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক আরোপ করেছে। এ সিদ্ধান্ত জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
বর্তমান রাজস্ব আদায় দিয়ে বাজেট মেটানো সম্ভব হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার কার্যত অর্থনীতিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। এখন ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকার টাকার অযৌক্তিক মুদ্রণ করে অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এভাবে চলতে থাকলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। জ্বালানি খরচসহ দৈনন্দিন খরচও বেড়ে যাবে, যা জনগণের নাভিশ্বাস উঠাবে।’
সরকারের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্প বাদ দিয়ে বাজেটের খরচ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। এতে অন্তত ৬০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাজেটে আরও ১ কোটি টাকার সাশ্রয় করা যেতে পারে।’
আন্তর্জাতিক মহলে সরকারের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে। তাই আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কঠিন শর্ত শিথিল করার চেষ্টা করা উচিত।’
সরকারকে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উচিত সবার আগে বাজেটের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো এবং সঠিক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের স্বস্তি নিশ্চিত করা।’
মন্তব্য করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে চাই। এই জুলাই আগস্টেই তাদেরকে সম্মান দিতে হবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনা সভা ও বিশেষ অনুষ্ঠানের ভেন্যু পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য যে, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে ১ জুলাই সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারের সম্মানে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রিজভী বলেন, আমরা ১ জুলাইকে কেন্দ্র করে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আমরা যথাযথভাবে কর্মসূচি পালন করতে চাই। যাদের সন্তানেরা গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য দুনিয়া থেকে চলে গেছেন তাদেরকে বিশেষ সম্মান জানাতে হবে। সেই প্রত্যয় নিয়ে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জুলাই আন্দোলনে সারাদেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমার জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনের লক্ষ্যে প্রথম কর্মসূচি পালনের জন্য ভেন্যু পরিদর্শন করেছি। এই কমিটির উদ্যোগে ভেন্যু পরিদর্শন করলাম। যাতে অনুষ্ঠান ভাবগাম্ভীর্য সহকারে পালন করতে পারি। অতিথিরা ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা যাতে সুন্দরভাবে বসতে পারে। অনুষ্ঠান যাতে সার্থক হয়।
রিজভী বলেন, জাতির অনেক অর্জনের মধ্যে জুলাই বিপ্লব একটি অর্জন। আমরা প্রথম বর্ষপূর্তি পালন করতে যাচ্ছি। আমরা এমন একটা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি। যে স্বপ্ন সাধারণ মানুষ দেখে। সকলে নিরাপদ জীবন আমরা প্রত্যাশা করি।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক সংকট রয়েছে। মব কালচার আছে। এসব থেকে মুক্ত হতে হবে। গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে। গত বছরেও আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.২। এবার সেটি হয়েছে ৩.৯। আমরা সরকারকে সেটি দেখার জন্য বলব। আমরা তো সমালোচনা করবোই। অবশ্যই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি নির্বাচন কমিশন দ্রুত একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন।
তিনি আরও বলেন, বিগত অগণতান্ত্রিক সরকার দেশের অর্থ লোপাট করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। যার অন্যতম নির্বাচন কমিশন ও মিডিয়া। তারা কখনো প্রকৃত গণতন্ত্র চায়নি। জনগণ মনে করে ড. ইউনূস দেশবাসীর মনের প্রত্যাশা মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, জুলাই বিপ্লবকে স্মরণীয় করে রাখতে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আমাদের দাবি ও প্রত্যাশা খুব শিগগিরই শেখ হাসিনার বিচার কাজ দৃশ্যমান হবে। জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত হবে। আমরা বিশ্বাস করি এই নির্বাচনে জনগণের দল হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জয়লাভ করবে এবং জনগণের সরকারের প্রতিনিধিত্ব করবে।
তিনি বলেন , আমরা শহীদ ও আহত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি এবং করছি। আমরা মনে করি একটি কমিশন বা সংস্থার মাধ্যমে শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়াবো। আমাদের এ ধরনের কাজ অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, অপরাধী যত বড়ই হোক, ‘মব জাস্টিস’ বা উশৃঙ্খল জনতার বিচার সমর্থনযোগ্য নয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতা–কর্মীদের নিয়ে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচন ছিল শেখ হাসিনার একক নাটকীয় নির্বাচন। এসব নির্বাচনের সময়কার সকল নির্বাচন কমিশনারই ফ্যাসিবাদের অংশ। তবে তারা যত বড় অপরাধীই হোক, বিচার হবে আইনের মাধ্যমেই, মব জাস্টিসের মাধ্যমে নয়। মব জাস্টিস সমর্থনযোগ্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা এবং মব জাস্টিসের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।
রিজভী অভিযোগ করেন, দেশে আবারও করোনার ভয়াবহতা বাড়ছে, কিন্তু সরকার কোনে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। একইভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতিও অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকার দেশটাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য এ কর্মশালার আয়োজন করেছি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভোটের আস্থা অর্জন করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, আমরা দেশের জন্য কী করতে চাই তা জনগণকে জানানো এবং জনগণের আস্থা ধরে রাখা।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সকাল ১০টা থেকে মিশনপাড়া এলাকায় বাংলাদেশ হোসিয়ারি মিলনায়তনে দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, কিছু সংখ্যক লোক নিজেদের স্বার্থে আমাদের অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তাই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের আমাদের দলের ৩১ দফার বাস্তবায়নের মাধ্যমে জবাব দিতে হবে। আমরা তাদের কায়দায় জবাব দেবো না।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন কঠিন হবে। শুধু একটি নির্বাচনই নয়, পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিতে হবে। এখন কথায় চিড়া ভিজবে না। জনগণকে জানাতে হবে এবং তাদের বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে। বিগত ১৫ বছরে নির্যাতনের শিকার হয়েও জনগণের পক্ষে কথা বলা বন্ধ করেনি বিএনপি। তাই ব্যক্তি স্বার্থের জন্য কাউকে সুযোগ দেওয়া যাবে না।
তারেক রহমান বলেন, আমরা ব্যক্তি স্বার্থে রাজনীতি করছি না। জনগণ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে, আপনাদেরও জনগণের দিকে তাকাতে হবে। অনেক সময় দলের মধ্যে কিছু দুষ্টু থাকে, তাদের টাইট করে রাখতে হবে। আমাদের ৩১ দফা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে। জনগণের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার, আমাদের।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটির সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপি নেতা মাহমুদা হাবিবা, মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন।
এই বৈঠকে বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক এবং চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাই না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। শনিবার বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা গত ছয় মাসের বর্ণনা দিয়েছেন বলে জানান আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি বলেন, "সারা বাংলাদেশসহ আমরা নেতা-কর্মীরা এ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছি। আন্তর্জাতিক সমাজ দাঁড়িয়েছে, জাতিসংঘ দাঁড়িয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার এই সরকারকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র করেছিল, বিভিন্ন মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছিল, জাতিসংঘের রিপোর্ট আসার পর তা অনেকটাই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। আমাদের এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছে, তাদের আত্মত্যাগকে আমাদের কর্মকাণ্ডে কোনোভাবেই যেন অপমানিত না করা হয়।"
তিনি আরও বলেন, "আগামী ৬ মাস কীভাবে সবাই একসঙ্গে কাজ করব, যে কমিশনগুলো কাজ করেছে, তারা কীভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে, আমাদের কী কী প্রস্তাব আছে সেগুলো নিয়ে কীভাবে বিস্তারিত আলোচনা করব, এই ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা কথা বলেছেন।"
কোনো কোনো নির্বাচন তড়াতাড়ি চায় বলে জানান তিনি। জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান বলেন, "স্থানীয় নির্বাচন দিলে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদে মারামারির সম্ভাবনা আছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনেক বেশি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রাউন্ড রিয়েলিটি আলাদা। আওয়ামী লীগকে গ্রাউন্ড রিয়েলিটি মেনে নিতে হবে। এই সন্ত্রাস কোনোভাবে যাতে না হয়, পরিবেশ যেন স্থিতিশীল থাকে। কোনো সংস্কার যাতে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করে। আবার অনেক রাজনৈতিক দল বলেছে যে, স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে ভালো হবে। আমরা পাশে ছিলাম এবং সামনেও পাশে থাকব। এতগুলো আত্মত্যাগ যেন কোনোভাবে নষ্ট না হয়। এই অর্জনটা কোনো সাধারণ অর্জন নয়। আমাদের নিজেদের স্বার্থে এটাকে যেন কোনোভাবে ক্ষুণ্ণ না করা হয়। আগামীতে সিরিজ মিটিং হবে, সেটিও আমাদের জানানো হবে।"
বর্তমান সরকারের ছয় মাসের কর্মকাণ্ডে তিনি সন্তুষ্ট কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, "আমরা সন্তুষ্ট, আমরা সরকারের পাশে আছি। সরকারের কী ভুল হচ্ছে, আবার কী হচ্ছে না, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমি মনে করি, এটা জনগণের সরকার।"
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতে যাওয়া এবং আমরা নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো কিছুতে বিশ্বাস করি না। গোটা জাতি মনে করে অতি দ্রুত একটি নির্বাচন একমাত্র এখন পথ, যা দিয়ে আমরা বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ করে গণতন্ত্রের দিকে যাবো।
আজ বুধবার গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসন অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ও নির্বাচনী ঘোষণার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা হতাশ হয়েছে, তারা সারাজীবন হতাশ থাকে। আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া হয়তো তারা এখনও দেয়নি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেছে, আমরা আশা করবো তারা একটা পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই জাতীয় এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে পরিষ্কার করবে।
তিনি বলেন, নিশ্চয়ই এখন পর্যন্ত যতগুলো কাজ করে এসেছেন প্রফেসর ড মুহাম্মদ ইউনূস। তাতে প্রমাণ করেছেন, ভবিষ্যতেও তিনি নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য এমন কিছু করবেন না, যেটা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
মন্তব্য করুন
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে কক্সবাজার ভ্রমণ করায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) দলের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত একটি চিঠি এনসিপির ৫ নেতাকে পাঠানো হয়।
শোকজ হওয়া এই পাঁচজন হলেন, এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদ সাইফুল্লাহ।
চিঠিতে বলা হয়, গতকাল ৫ আগস্ট জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজার যান। এই সফর সংক্রান্ত কোনো তথ্য কিংবা ব্যাখ্যা ‘রাজনৈতিক পর্ষদ’ এর নিকট পূর্বে অবগত করা হয়নি।
এমতাবস্থায়, আপনার এই সিদ্ধান্তের কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নিকট সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্য আপনাকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছরপূর্তির দিনে পূর্বঘোষণা ছাড়াই রহস্যজনকভাবে কক্সবাজারে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় পাঁচ নেতা। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং-বিজি-৪৩৩ যোগে তারা কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। নির্ধারিত কোনো গাড়ির পরিবর্তে বিমানবন্দর পার্কিং এলাকা থেকে একটি নোয়াহ মাইক্রো ভাড়া করে এনসিপির এই নেতারা মেরিন ড্রাইভ দিয়ে ইনানীর হোটেল সি পার্ল অ্যান্ড স্পাতে ওঠেন বলে জানান ভাড়ায় যাওয়া সেই গাড়িচালক। তবে ঢাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছর পূর্তির দিনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরিবর্তে কেন তারা কক্সবাজারে তার কোনো সঠিক বিবরণ মিলছে না।
মন্তব্য করুন