বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, নির্বাচন সংক্রান্ত জরুরি সংস্কারগুলো সম্পন্ন করার পরই তারা নির্বাচন চায়। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জনগণ চায় স্থানীয় সরকার সচল হোক, এবং আমরাও চাই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার। তিনি বলেন, ‘রিফর্ম ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় ‘নো ইলেকশন উইথআউট রিফর্মস।’
তিনি ব্যাখ্যা করেন, এই ক্ষেত্রে সব সংস্কার সুপারিশ নয়, শুধু নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব সুপারিশ অতি জরুরি, সেগুলোই সংস্কার করতে হবে। তিনি বলেন, ‘অন্তত নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান ও অর্গান জড়িত, সেগুলোর সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করতে যে সময়টুকু প্রয়োজন, সেটা করে নির্বাচন দিন।’
জামায়াত ৩০০ আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানায় দলটি। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে গোলাম পারওয়ার বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার বিষয়ে মতবিনিময় হয়েছে। সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ২৩ দফা দাবি জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সেই সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে বলেছি। বাংলাদেশের জন্য এটি প্রয়োজন, সংসদ কার্যকর করার জন্য প্রয়োজন। প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।’
জামায়াতের এই নেতা আরও জানান, নিবন্ধনের বিষয় আদালতে পেন্ডিং আছে, এবং তারা ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বিধি কঠোর, তা বাতিল করা উচিত। সবার রাজনীতি করার অধিকার আছে।’
সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষেও মত দেয় জামায়াত। তবে এই ক্ষেত্রে বিএনপির মন্তব্যের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি জামায়াত সেক্রেটারি। উল্লেখ্য, বিএনপি স্থানীয় নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচন দাবি করে আসছে।
এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম পারওয়ার বলেন, ‘জনগণের আকাঙ্ক্ষা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হোক।’
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করেছেন যে, নির্বাচন বিলম্বিত হলে আওয়ামী লীগের নিজেদের স্বার্থে তৈরি করা দেশের ভঙ্গুর গণতান্ত্রিক কাঠামো আরও গভীর সংকটে পড়বে।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাব্যবস্থা, কৃষকদের সমস্যা, ব্যবসার চ্যালেঞ্জ এবং বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব—এমন সব ব্যাপক সমস্যা সমাধান করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা এক বার্তায় তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
সন্ধ্যা ৬টা ১৬ মিনিটে শেয়ার করা ওই এক্স-বার্তায় তিনি বলেন, "জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত এবং গঠিত একটি সরকারই কেবল এই জাতির পুনর্গঠন বা সংস্কার শুরু করতে পারবে। জনগণের পছন্দের প্রতিনিধিদের সম্মান জানানো হবে এবং সেই প্রতিনিধিরা জনগণের সেবা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।"
"গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার ও জনগণ—উভয় পক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য," উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, "এবং উভয়ের সক্রিয় অংশগ্রহণই নিশ্চিত করবে যে, বাংলাদেশে সমতা, অন্তর্ভুক্তি এবং সর্বজনীন উন্নয়ন সম্ভব।"
তিনি আরও বলেন, "তাই এখনই সময় জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার করার এবং একটি উন্নত, শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ার পথে অগ্রসর হওয়ার।
মন্তব্য করুন
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের কিছু লোক বলছেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা কঠিন। কিন্তু কেনো কঠিন হবে? নির্বাচন করতে এতো সময় কেনো লাগবে? যদি নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে জুন-জুলাই মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজশাহীতে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আহত ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহিদ পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দোয়া কামনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আমরা বিএনপি পরিবার।
রিজভী বলেন, নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি হলে অন্তবর্তী সরকারের বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হবে। আমাদের একটি সংবিধান আছে, তারপরও গণপরিষদ নির্বাচন কেনো? এ ধরনের কথাগুলো মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কারও কাছে মাথা নত করে না, এটাই বিএনপির অপরাধ, এটাই খালেদা জিয়ার অপরাধ। শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত আক্রোশ আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে শাস্তি দিয়ে মিটিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা একটি লুটেরা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি হবু চন্দ্র রাজা ও গবু চন্দ্র মন্ত্রীর মতো একটি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের হত্যা করে রক্তাক্ত হাত নিয়ে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছেন। শহিদদের রক্তের সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
বাংলাদেশ বিষয়ে ভারতের আগ্রহ নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের এত মাথাব্যথা কেনো? যারা লুটেরা, যারা খুনি, তাদেরকে ভারত আশ্রয় দেয়। শেখ হাসিনার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে একটি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া আহত ও নিহত ১৫ জনকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এহসানুল হক সমাজী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বের হন।
আবদুস সালাম পিন্টুর কারামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিএনপির মিডিয়া সেল।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিএনপির মিডিয়া সেল জানায়, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১৭ বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু।
অবশেষে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
পোস্টে বেশ কিছু ছবিও দেয়া হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে, নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন পিন্টু। এসময় ছাদ খোলা গাড়িতে মাথা বের করে শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
শিক্ষকরা রাজনীতিতে জড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)-এ দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, শিক্ষায় গুণগত মান বৃদ্ধিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে কারিকুলাম ও পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাচ্চাদের সামগ্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে শুধুমাত্র বইয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান তিনি।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার মাধ্যমে পড়াশোনার খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।
ড. বিধান রঞ্জন রায় জানান, পরিমার্জন এবং টেন্ডার বাতিলের কারণে কিছু ক্লাসে বই বিতরণে বিলম্ব হয়েছে। তবে জানুয়ারির মধ্যেই প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির সব বই বিতরণ সম্পন্ন হবে।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেপের পরিচালক ফরিদ আহমেদ, উপপরিচালক সাদিয়া উম্মুল বানিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। পরে তিনি দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
মন্তব্য করুন
ইসলামী শরিয়াবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া এবং ইসলামবিরোধী কেউ কোনো কথা না বলাসহ ১০ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে পল্টনস্থ ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
যেসব বিষয়ে দুই দল একমত হয়েছে-
১. আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ-মুক্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম টেকসই রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।
২. দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
৩. ভোটাধিকারসহ সকল মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা।
৪. নূন্যতম প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
৫. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং সকল অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করে নিয়ে আসা।
৬. আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তি দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
৭. ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আঘাত করে কথা বলবে না।
৮. আগামীতে যাতে আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
৯. ইসলামী শরিয়াবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না এবং ইসলামবিরোধী কোনো কথা কেউ বলবে না।
১০. প্রশাসনে এখনো বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ার বরকতউল্লাহ বুলু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব আতিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
সরেজমিনে রাজধানীর পল্টন এলাকায় দেখা গেছে, বিএনপির সমাবেশ দুপুর ২টায় শুরুর কথা থাকলেও সকাল থেকেই দলে দলে আসতে শুরু করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। উপস্থিতি বাড়ার শঙ্কা থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়ানো হচ্ছে পুলিশের জনবলও। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের আর্মড ভেহিক্যাল, এসকর্ট ভেহিক্যাল, সাঁজোয়া যান এপিসি, জলকামান।
নিরাপত্তায় নিয়োজিত ও কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ৩৬ দলের সমাবেশ আজ। সেজন্য পরিস্থিতি অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে।
আজ বিএনপিসহ ৩৬ রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা কিংবা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে কি না– জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। তারা আমাদের কাছে অনুমতি নিয়েই কর্মসূচির আয়োজন করেছে। একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি অপচেষ্টা হতে পারে। তবে সেটা যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে প্রস্তুতি আমাদের আছে।
মন্তব্য করুন
কয়েক দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলু আমদানিরও সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর নগরীর হাজীরহাট চেয়ারম্যানের মোড় এলাকার আরমান কোল্ড স্টোরেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে অভিযানের সময় অসংগতি পাওয়ায় দুজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। তারা হলেন- আরমান কোল্ড স্টোরেজের এজিএম রেজাউল করিম লেবু, আলু ব্যবসায়ী রাসেল।
ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, কোল্ড স্টোরেজে আলুর দাম ২৭ টাকা নির্ধারণ করে হয়েছে। তারপরও অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজের কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে আলুর বাজার অস্থির করছেন। আমরা এসব সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। আরও ৩/৪ দিন দেখব। এরমধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে সরকারের কাছে ডিমের মতো আলু আমদানিরও সুপারিশ করবো।
আরমান কোল্ড স্টোরেজ প্রসঙ্গে সফিকুজ্জামান বলেন, এখানে রাসেল নামের এক ব্যক্তি নিজের উৎপাদিত আড়াই হাজার বস্তা আলু ও স্থানীয় কৃষকদের সাড়ে ১২ হাজার বস্তাসহ মোট ১৫ হাজার বস্তা আলু নিজের নামে রেখেছেন। এভাবে অন্যের আলু নিজের নামে রেখে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন রাসেল। এছাড়া কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ ব্যাংক থেকে চার কোটির বেশি টাকা লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছে। কী উদ্দেশ্যে লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে এবং রাসেল ও কোল্ড স্টোরেজের জিএম রেজাউল করিম লেবুর সিন্ডিকেট বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য তাদেরকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পূর্ব ভারতের ওড়িশায় গতকাল ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে দ্রুতই রিপোর্ট পেশ করা হবে। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা, তা নিয়ে রেল এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের বিস্তর ফারাক দেখা গেছে। স্পষ্ট হয়নি এই ঘটনার মূল কারণ কী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের পেছনের চারটি বগি প্রথমে লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লাইনে উঠে যায়। ওই লাইন দিয়ে এসেই লাইনচ্যুত বগিকে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতেই চেন্নাইয়ের দিকে যাওয়া করমণ্ডলের সামনে পাঁচটি কামরা দুমড়েমুচড়ে যায়।
ওড়িশা রাজ্যের মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা জানিয়েছেন দুর্ঘটনাস্থল বালেশ্বরে অন্তত ২০০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১০০ জন অতিরিক্ত ডাক্তার সেখানে সেবায় নিয়োজিত করা হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮০ জনের নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একজন জানিয়েছেন, তিনি ১০ থেকে ১৫ জনের নিচে চাপা পড়েছিলেন।
তিনি বলেন, আমার হাতে আর ঘাড়ে আঘাত লাগে। আমি যখন ট্রেনের বগি থেকে বের হই, তখন দেখি কেউ হাত হারিয়েছে, কেউ পা হারিয়েছে, কারো আবার মুখ সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে গেছে।
এ ঘটনার পর ওড়িশা রাজ্যে একদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
এই দুর্ঘটনার পর শুক্রবার রাতে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশন একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করে।
সেখানে উল্লেখ করা হয় যে সাধারণত বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাওয়া আসা করতে করমোনডেল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্যবহার করে থাকেন।
বাংলাদেশি কোনো নাগরিক দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনে ছিল কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ রাখতে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন রেল কর্তৃপক্ষ ও ওড়িষ্যার রাজ্য সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এ বিষয়ে তথ্যের জন্য একটি হটলাইন নম্বরও চালু করেছে উপ-হাইকমিশন।
হটলাইন নম্বর: +91 90 38 35 35 33 (হোয়াটসঅ্যাপ)
এনএফ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, অন্তবর্তী সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কারের পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিলেও আশানুরূপ চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আয়োজনে ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের স্মৃতিচারণ’ প্রেরণার গণঅভ্যুত্থান-২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারদের কাছে গেলে এবং আহতদের পাশে গেলে তারা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বলে, জামায়াতে ইসলামী তাদের জন্য যেই ভূমিকা রেখেছে অন্য কোন দল এমনকি রাষ্ট্রও তা করেনি, করতে পারেনি।
জামায়াত আমির বলেন, এই আন্দোলনের বীরদের জামায়াতে ইসলামী দলীয় সম্পদ বানাতে চায় না। জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে আন্দোলনের শহীদ ও আহত সকল বীর আমাদের জাতীয় সম্পদ।
দলটির আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথম কাজ হবে শিক্ষিত জাতি গঠন করা। যে জাতি যতবেশি শিক্ষিত সেই জাতি ততবেশি উন্নত। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। বিগত সরকারের তৈরি শিক্ষানীতিতে কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী তৈরী হয়েছে। যেই শিক্ষা মানুষকে মানবিক ও আদর্শবান করে না, সেটি কখনো শিক্ষা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে জাতি জানতে পারছে, শেখ হাসিনা তিন বাহিনীর প্রধানদের গণভবনে ডেকে নিদের্শ দিয়েছে যত মানুষ মারার দরকার হয় মারতে। তুব তার ক্ষমতার গদি লাগবে, রাখতে হবে। মানুষ যখন মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলে তখনই এমন অমানবিক কথা বলতে পারে, নিদের্শ দিতে পারে। এক ব্যক্তি বা এক দলের ক্ষমতায় অতিতের সব সরকারকে হিংস্র করে তুলেছে। তারা ক্ষমতার লিপ্সায় মানুষ হত্যা করেছে। জামায়াতে ইসলামী এক ব্যক্তি বা এক দলের ক্ষমতায় বিশ্বাসী নয়। জামায়াতে ইসলামী গণতন্ত্রকামী সব দলের সমন্বয়ে সরকার গঠন করতে চায়। যেখানে একক কোন ব্যক্তি বা দলের ক্ষমতা ও প্রভাব থাকবে না। এমন একটি সরকার গঠন হলে জাতি সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে। একজন নাগরিক তার প্রাপ্য মর্যাদা ও অধিকার পাবে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের চিকিৎসা সহয়তা এবং শহীদদের পরিবারকে আর্থিক দুই লাখ টাকা করে সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী কিছুটা দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছে। শহীদ পরিবারদের সঙ্গে পূর্বে মতবিনিময় করে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা আমরা জানতে পেরেছি। আজ আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের স্মৃতিচারণের মাধ্যমে তাদের আগামী দিনে আশা-আকাঙ্ক্ষা জেনে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর এই আয়োজন।
অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন নিজ ঘরের বেডরুমে গুলিবিদ্ধ দুই বছর বয়সী রাফসানের মা, প্লাম্বার মিস্ত্রি আল-আমীন, জাফরুল হাসান, অটোরিকশা চালক আল-আমীন, লাশ গোসল দানকারী জামাল হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম, মো. মাহবুব, মো. মেহেদী হাসান শুভ, বেলাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, পরিবহন শ্রমিক নুরে আলম, মহি উদ্দিন রাব্বি, নাহিদ হাসান, নারী শ্রমিক পারভীন, মো. আশরাফুল ইসলাম, দোকান কর্মচারী মো. ইউসুফ, টাইলস মিস্ত্রি শাহ আলম, মো. শিফায়েত হোসেন আসিফ, আল-আমীন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. আবু তাহের, বনশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আ. ন. ম সামিত, এশিয়ান প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শারমিন রহমান, খিলগাঁও উত্তর এলাকার মো. নেছার উদ্দিন নাঈম প্রমুখ।
স্মৃতিচারণকালে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোন কিছু পাওয়ার আশায় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করিনি, আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করে নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু যাদের নেতৃত্বে ও আহ্বানে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি তারা আন্দোলন পরবর্তী শহীদ পরিবার ও আহতের থেকে দূরে সরে গেছে।
কেন আহতদের চিকিৎসা না করে ঢাকা মেডিকেল কতৃপক্ষ ফ্যাসিবাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে সে বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি প্রশ্ন রেখে তারা বলেন, আহতরা মারা গেলে বলা হয় আগামীকাল তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে নেয়া হতো! মরার আগে কেন বিদেশে নেয়া হয় না? বক্তারা গণহত্যার অপরাধে খুনি হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির ও এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারী যথাক্রমে মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, মোহাম্মদ কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান, শামসুর রহমান সহ মহানগরীর নেতৃবৃন্দ ও সাংগঠনিক ইউনিটের দায়িত্বশীলসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সংস্কার না করে বিএনপি নির্বাচন চায়- এমন ধারণা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আরও বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য সবসময়ই প্রয়োজনীয় সংস্কারের পক্ষে। শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত এক জাতীয় সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমি যেটা মনে করি- আজ অত্যন্ত জরুরি একটা আলোচনা হচ্ছে যা ভীষণ জরুরি। সে আলোচনাটা যদি আমি অংশগ্রহণ করতে পারতাম পুরো সময় এবং সবার বক্তব্য শুনতে পারতাম তাহলে আমি সবচেয়ে উপকৃত হতাম। দুর্ভাগ্য আমার, যে আমি পুরো সময়টা হয়তো থাকতে পারব না। তারপরেও আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজকে যে তারা আজকে একটা অত্যন্ত এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সংলাপের আয়োজন করেছেন আমি সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, যারা আজকে এখানে উপস্থিত আছেন আমাদের দেশের জাতির অত্যন্ত বরেণ্য নেতৃবর্গ আমাদের বুদ্ধিজীবীবৃন্দ এবং আজকের এই সভায় উপস্থিত আমাদের ভাই ও বোনেরা সবচেয়ে বড় যেটা আমাদের যারা এই জুলাইয়ের যে অভ্যুত্থান সেই অভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন তারা এখানে অনেকে আছেন। যারা শহিদ হয়েছেন তাদের আত্মীয়-স্বজনরা এখানে আছেন তাদের সবাইকে আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম। বিষয়টা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে আমি আসলে এত স্বল্প সময়ের মধ্যে এটা আমার কথাগুলো বলা সেই সঙ্গে অন্যদের কথাগুলো শোনা এটা বোধ হয় আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না সেজন্য আমার নিজেরই আমি অত্যন্ত দুঃখিত বোধ করছি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশ একটা অত্যন্ত সবচেয়ে জটিল একটা রাজনৈতিক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়টার মধ্যে আমাদের যে কাজটা আমাদের ওপর পড়েছে সে কাজটা হচ্ছে যে ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে আমরা যেন আমাদের স্বপ্নের মত করে দেখতে পারি সেই বিষয়টাকে কতটা স্থির করা যায় নির্ধারণ করা যায়। আজকে যে প্রশ্নগুলো সামনে এসেছে আমি খুব সংক্ষেপে চলে আসছি সামনের দিকেই এসছি যে আপনার ঐক্য- এরা যেটা নির্ধারণ করেছেন সংস্কার ও নির্বাচন। আজকে ৫৩ বছর পরে এটা আমাদের দুর্ভাগ্য জাতিগতভাবে যে ৫৩ বছর পরে আজকে আমাদেরকে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে হচ্ছে। আমাদের খুব ভালো হতো যদি আমরা প্রথম থেকেই এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে একটা জায়গায় এসে পৌঁছাতে পারতাম। আমরা এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ২০১২ সাল থেকে আমি আমাদের দল থেকে বলতে পারি মনে করেন যে রাজনৈতিক নেতৃবর্গ আছেন আমরা কিন্তু সংগ্রাম শুরু করেছি- তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছি। সেই সময়ে আমাদের অনেক রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে অনেক রাজনৈতিক নেতাদেরকে পঙ্গু করা হয়েছে; কারাগারে দেওয়া হয়েছে এবং দীর্ঘ বছরগুলো ধরে আমরা যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছিলাম আমরা কিন্তু সেই লড়াইটা করছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমার দলের কথা আমি বলতে পারি যেটা আমার বলা উচিত বলে আমি মনে করি সেটা হচ্ছে আমাদের দলেই আমার ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা রয়েছে; আমাদের ৭০০ এর ওপরে নেতাকর্মীকে গুম করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আয়না ঘরের কথা আপনারা সবাই জানেন- ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতাদেরকে। এই একটা অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা কিন্তু কখনো থেমে থাকিনি। আজকে যে কথাটা হচ্ছে সোচ্চার হাওয়া সেই সোচ্চার আমরা প্রথম থেকে থাকার চেষ্টা করেছি। তখন আমরা অনেককে আমাদের সঙ্গে পাইনি এখন আমরা তাদেরকে সামনে দেখছি আমাদের খুব ভালো লাগছে আমরা আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
তিনি বলেন, সংস্কার ব্যাপারটা আমরা অত্যন্ত আন্তরিক আপনাদের অনেকেরই জানা থাকে যদি যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন যে ২০১৬ সালে আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনি ভিশন ২০৩০ একটা আপনার আমরা একটা ডকুমেন্ট বের করেছিলাম যেখানে রাজনৈতিক সংস্কারের কথা খুব পরিষ্কার করে উল্লেখ করা ছিল এবং যে বিষয়গুলো আমরা পরিবর্তন আনতে চাই সেই বিষয়গুলোর কথা আমরা উল্লেখ করেছিলাম। সেখানেই আজকে যে বিষয়গুলো একদম সামনে এসছে যে আপনার প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের যে ক্ষমতা তার ভারসাম্য রক্ষা করা এক ব্যক্তি যেন দুবারের বেশি আসতে না পারেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সে বিষয়টাকে নিশ্চিত করা এবং একই সঙ্গে আপনার যে দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট এটা কিন্তু তখনই অর্থাৎ ২০১৬ সালেই আমরা কিন্তু এই বক্তব্যটা নিয়ে এসেছিলাম। আমরা এটা আলোচনার জন্য দিয়েছিলাম জনগণের সামনে পেশ করেছিলাম। পরবর্তীতে ২০২২ সালে আমরা আমি তখন জেলে চলে গেলাম আমরা বেশ অনেকেই জেলে গেলাম; সেটা আপনাদের মনে থাকার কথা গোলাপবাগে একটা জনসভার মধ্য দিয়ে আমরা প্রথমে ১০ দফা এবং পরে সব রাজনৈতিক দলগুলো আপনারা সেটাকে সমর্থন করেন। পরে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিশেষ করে যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছিলাম তারা আমরা কিন্তু একসঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা ৩১ দফা আমরা একটা কর্মসূচি সংস্কারের আমরা নির্ধারণ করি। এখানে মান্না আছেন, জুনায়েদ সাকি আছেন, আমার অন্যান্য রাজনৈতিক বন্ধুরা আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই দীর্ঘ দুই বছর আমরা আলোচনা করেছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের যারা প্রখ্যাত এই বিষয়গুলোতে আপনার বিশেষজ্ঞ তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে বারবার বসেছি ড. আলী রীয়াজ আছেন তার সঙ্গে কথা হয়েছে অনেকের সঙ্গেই তখন আমরা এই কথাগুলো বলেছি আলোচনা করে নির্ধারণ করেছি সুতরাং সংস্কার পক্ষে আমরা কিন্তু প্রথম থেকে দুর্ভাগ্য আমাদের যে এখন কিছু কিছু বক্তব্য আসছে যে বিএনপি সংস্কার চায় না নির্বাচন চায় এ কথাটা সঠিক নয়। আমরা বারবার করে বলছি যে আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কারটাকে শেষ অর্থাৎ নূন্যতম যে সংস্কার প্রয়োজন একটা নির্বাচন করার জন্যগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য সেই সংস্কারটুকু করে আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। আমরা নির্বাচনের কথা বলছি কেন একথা ড. রীয়াজ বলেছেন সবাই বলছেন আর এটা বাস্তব যে গণতান্ত্রিক একটা ব্যবস্থায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন হচ্ছে প্রধান ফটক প্রধান দরজা যেহেতু ডেমোক্রেসি। আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের প্রধান সমস্যাটা কোথায় আমাদের প্রধান সমস্যা যে এই দেশে গণতান্ত্রিক চর্চাই হয়নি এখানে সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। একটা যে কথাটা বারবার এসেছে যে এখানে একটা ডেমোক্রেটিক কালচার যদি না থাকে তাহলে আপনি সেই ডেমোক্রেসিকে বারবার বলতে হচ্ছে আমাদেরকে এই এটা করতে হবে এটা করতে হবে এটা ডেমোক্রেসি এটা এভাবে যেতে হবে এই জিনিসগুলো কিন্তু আপনার একটা চর্চা ছাড়া বারবার প্র্যাকটিস করা ছাড়া কিন্তু সেটা গড়ে উঠবে না। মির্জা ফখরুল বলেন, ইম্পোজ করে কোনো কিছু করা সম্ভব হবে না। যেমন আমি বলি কেয়ারটেকার গভর্মেন্ট সিস্টেম আপনার আমরা তিনটা ইলেকশন করেছি। এই তিনটা ইলেকশন প্রত্যেকটি ইলেকশন কিন্তু একটা আরেটার চেয়ে ভালো হয়েছে এবং গ্রহণযোগ্য হয়েছে। অর্থাৎ কেয়ারটেকার সিস্টেম আপনার মানুষ করেছে এবং তারা সেটাকে অত্যন্ত জরুরি মনে করেছে এটা মানুষের কাছে একইভাবে আমরা যদি প্রেসিডেনশিয়াল ফর্ম অব গভর্মেন্টে চলে যেতাম অন্য কিছু দিতাম সেটা ওই মুহূর্তে কিন্তু জনগণ সেভাবে গ্রহণ করতো না আমার কাছে মনে হয়েছে।
মন্তব্য করুন