

ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের মানুষ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্ত করেছে, এখন দেশ গড়ার কাজ। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশ গড়ার জন্য আমরা ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছি। দেশকে নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে, আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে লালমনিরহাটের বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
এ সময় তারেক রহমান বলেন, "আগামীতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। সেখানে সবাইকে তার যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই।"
ডেস্ক রিপোর্ট:
তিনি আরো বলেন, "বিএনপি ক্ষমতায় এলে শহীদ জিয়ার সময়ের মতো নতুন কুড়ি সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে, যাতে ভালো সাংস্কৃতিক কর্মী এবং দক্ষ খেলোয়ার তৈরি করা যায়। শুধু ভালো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার নয়, ভালো রাজনীতিবিদও তৈরি করতে হবে, সেটাই করবে বিএনপি।"
তারেক রহমান বলেন, "দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় খেলা গুলো বাছাই করে, দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে থেকে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়ার তৈরি করা হবে। বিদেশি খেলোয়ারের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। সবকিছু সরকারি উদ্যোগে হবে।"
তিনি আরো বলেন, "যে ব্যক্তি যেই বিষয়ে মেধাবী, তার মেধাকে মূল্যায়ন করে সেই বিষয়ে দক্ষ করে তোলা হবে। সবাইকে নিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়বে বিএনপি।"
ফাইনাল খেলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ, ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান প্রমুখ।
লালমনিরহাটের বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে গত ১২ নভেম্বর শুরু হয় শহীদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট। বিএনপির রংপুর বিভাগের ১০টি সাংগঠনিক দল এতে অংশ নেয়। আজ ফাইনাল খেলায় পঞ্চগড় বিএনপি একাদশ ও রংপুর মহানগর বিএনপি একাদশ মুখোমুখি হয়।
মন্তব্য করুন


মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেয়া হবে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। ইতোমধ্যে তার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে লন্ডনে যাবেন ৬ চিকিৎসকসহ মোট ১৪ জন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে চিকিৎসকসহ ওই ১৪ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
তালিকায় অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে থাকবেন তার পুত্রবধূ সায়দা শামীলা রহমান। পাশাপাশি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক ও চেয়ারপারসনের সহকারী ব্যক্তিগত সচিব মো. মাসুদুর রহমানও লন্ডন সফরে থাকবেন।
এছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে লন্ডনে যাবেন ৬ চিকিৎসক। তারা হলেন- ডা. আবু জাফর মো. জাহিদ হোসেন, ডা. মোহাম্মদ আনামুল হক চৌধুরী, ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. নূরউদ্দিন আহমদ, ডা. জাফর ইকবাল ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।
এদিকে নিরাপত্তার অংশ হিসেবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের হাসান শাহরিয়ার ইকবাল ও সৈয়দ সামিন মাহফুজ বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে লন্ডনে যাবেন। এছাড়াও গৃহপরিচারিকা হিসেবে ফাতেমা বেগম ও রূপা শিকদারকেও সফরসঙ্গী হিসেবে তালিকায় রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অথবা শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে নেয়া হবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের অন্যতম এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে চলেছেন যাতে খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে ওঠেন। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা মিলে যৌথভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন।
দেশের আপামর জনতা খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করছে উল্লেখ করে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ব্রিফিং করে আপডেট জানাবেন।
এদিন, বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন গণঅধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে অবাধ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন


জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, বিএনপির জন্ম হয়েছে ‘হ্যাঁ’ ভোটের মধ্য দিয়ে আর মৃত্যু হবে ‘না’ ভোটের মধ্য দিয়ে।
বৃহস্পতিবার নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘রাজনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
নাসীরুদ্দীন বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে সংস্কার কমিশনকে ভিন্নখাতে পরিচালনা করতে চেয়েছে। জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের ব্যাপারে ছাড় নেই।
তিনি বলেন, জুলাই সনদের প্রস্তাবনার পথেই সরকারকে হাঁটতে হবে। জুলাই সনদে ‘বিবেচনা করবে’ বা ‘হবে’ টাইপ কথার স্পষ্ট ব্যাখ্যা চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি। কাবিন নামায় সাইন করেছে বিএনপি, ‘হ্যাঁ’ বলেছে জুলাই সনদে, তাদের ‘না’ বলার সুযোগ নেই।
ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না দিতে পারলে এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উপদেষ্টাদের অনেক সময় হয়েছে ফ্যামিলি টাইমিংয়ে, এখন কেবল সার্ভিস দিতে হবে। আইন উপদেষ্টার ওপরে আমাদের আস্থা নেই। প্রধান উপদেষ্টাকে শহীদ মিনারে মানুষের মাঝে গিয়ে সংস্কার আদেশ জারি করতে হবে।
মন্তব্য করুন


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশে অনেক সংকট থাকার পরও ড. ইউনুস সরকারকে আমরা সবাই সমর্থন জানিয়েছি। কেননা এই সরকার শেখ হাসিনার সরকারের মতো বিদেশে অর্থ পাচার করবে না। জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে, জনগণের রায় বুঝে আগামী রমজানের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জুলাই-আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুড়িগ্রামের ১০ শহীদ পরিবারকে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর পক্ষে থেকে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারে নামবেন না, তাহলে আপনাদের নিজেদেরই উপর অনেক কিছু নেমে আসেবে। মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শুধু বহিষ্কার নয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় দু-একটি ইসলামী দল রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন। এখন আপনারা টার্গেট করেছেন তারেক রহমান ও বিএনপিকে। বুক পিঠ বলে আপনাদের কিছু নেই। জিয়াউর রহমান মারা গেলে, এরশাদ বন্দুকের নল দিয়ে গণতন্ত্র হত্যা করলো। সেই এরশাদের সঙ্গে কেউ যাবে না বললেও আপনারা চলে গেলেন। শেখ হাসিনার সঙ্গেও চলে গেলেন। সবসময় সুবিধা খুঁজে বেড়ান, সবসময় ধান্দা খুঁজে বেরান। আপনারা চলে গেলেও বিএনপি যায় নাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যায় নাই। জনগণের কাছে দেয়া ওয়াদা থেকে খালেদা জিয়া সরে যায়নি।
তিনি বলেন, আমরা ১৬ বছর লড়াই করেছি। আইনের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হোক, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক, একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। ১৬ বছর ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে এত গড়িমসি কেন? জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগে নির্বাচন দেওয়ার কথা জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, রাজনৈতিক দলের বিভেদের কারণে ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটলে জাতি ক্ষমা করবে না।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘অতীতের ওপর ভিত্তি করে সামনে আগাবো আমরা। আমাদের সন্তানদের জন্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র রেখে যেতে হবে।’
সামনের দিনে রাজনৈতিক দলে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও দেশের প্রশ্নে, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এক থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন ঠেকাবেন বলেও প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিভেদের কারণ ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটলে এই জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে সবাই একত্রিত হয়ে আদর্শগত ও মতপার্থক্য থাকা স্বত্বেও স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে এক হতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকবো আমরা।’
মন্তব্য করুন


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, অপরাধী যত বড়ই হোক, ‘মব জাস্টিস’ বা উশৃঙ্খল জনতার বিচার সমর্থনযোগ্য নয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতা–কর্মীদের নিয়ে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচন ছিল শেখ হাসিনার একক নাটকীয় নির্বাচন। এসব নির্বাচনের সময়কার সকল নির্বাচন কমিশনারই ফ্যাসিবাদের অংশ। তবে তারা যত বড় অপরাধীই হোক, বিচার হবে আইনের মাধ্যমেই, মব জাস্টিসের মাধ্যমে নয়। মব জাস্টিস সমর্থনযোগ্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা এবং মব জাস্টিসের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।
রিজভী অভিযোগ করেন, দেশে আবারও করোনার ভয়াবহতা বাড়ছে, কিন্তু সরকার কোনে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। একইভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতিও অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটা কথা সব সময় মনে রাখতে হবে। বিএনপি হলো সেই রাজনৈতিক দল যে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি হলো সেই রাজনৈতিক দল যে আমাদের মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ২১ দফাকে কেন্দ্র করে বেগম জিয়া নতুন বাংলাদেশের রুপকল্প দিয়েছিলেন। ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা বাংলাদেশ তছনছ হয়ে গেছে, ভেঙ্গে গেছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ভেঙে গেছে সেগুলোকে আবার নতুন করে গড়ে তোলার জন্য, দেশের সব রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলার জন্য, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য তারেক জিয়া ৩১ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আজকে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এ জেলায় নতুন একটি বিএনপি গঠন করবেন। যে বিএনপি একদিকে নতুন পথ দেখাবে। তেমনি অন্যদিকে গণতান্ত্রিক ঠাকুরগাঁও প্রতিষ্ঠিত করবে।
এ সময় তিনি সম্মেলনের সফলতা কামনা করেন এবং সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাসুজ্জামান দুদুসহ স্থানীয় অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন


সরেজমিনে রাজধানীর পল্টন এলাকায় দেখা গেছে, বিএনপির সমাবেশ দুপুর ২টায় শুরুর কথা থাকলেও সকাল থেকেই দলে দলে আসতে শুরু করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। উপস্থিতি বাড়ার শঙ্কা থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়ানো হচ্ছে পুলিশের জনবলও। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের আর্মড ভেহিক্যাল, এসকর্ট ভেহিক্যাল, সাঁজোয়া যান এপিসি, জলকামান।
নিরাপত্তায় নিয়োজিত ও কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ৩৬ দলের সমাবেশ আজ। সেজন্য পরিস্থিতি অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে।
আজ বিএনপিসহ ৩৬ রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা কিংবা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে কি না– জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। তারা আমাদের কাছে অনুমতি নিয়েই কর্মসূচির আয়োজন করেছে। একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি অপচেষ্টা হতে পারে। তবে সেটা যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে প্রস্তুতি আমাদের আছে।
মন্তব্য করুন


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘সংকটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সবার মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।’
নিজের মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থার সর্বশেষ জানিয়ে শনিবার (২৯ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে একথা জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ ও সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন।
তার রোগমুক্তির জন্য দলমত নির্বিশেষে দেশের সব স্তরের নাগরিক আন্তরিকভাবে দোয়া অব্যাহত রেখেছেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তার রোগমুক্তির জন্য দোয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার সর্বত সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। দেশ বিদেশের চিকিৎসকদল বরাবরের মতো তাদের উচ্চ মানের পেশাদারিত্ব ছাড়াও সর্বোচ্চ আন্তরিকতা সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। বন্ধুপ্রতিম একাধিক রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও উন্নত চিকিৎসাসহ সম্ভাব্য সব প্রকার সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে।
’
বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তির জন্য সবার প্রতি দোয়া অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়ে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘সর্বজন শ্রদ্ধেয়া বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সবার আন্তরিক দোয়া ও ভালোবাসা প্রদর্শন করায় জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
দেশে ফেরার প্রসঙ্গে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সবার মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। স্পর্শকাতর এই বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনার অবকাশও সীমিত।
রাজনৈতিক বাস্তবতার এই পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে উপনীত হওয়া মাত্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমার সুদীর্ঘ উদ্বিগ্ন প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আমাদের পরিবার আশাবাদী।’
মন্তব্য করুন


জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াত দল নিয়ন্ত্রণ করেছে, দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জামায়াতের রুকন সম্মেলনে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, ‘পৃথিবীর একমাত্র অসাম্প্রদায়িক ধর্ম ইসলাম। আমরা ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সবার সহযোগিতা চাই।’
জামায়াত নেতাদের কোনো বেগম পাড়া বা পিসি পাড়া নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশের একজন নাগরিকের প্রতিও অবিচার করেনি জামায়াত। জামায়াত যেমনি দল নিয়ন্ত্রণ করেছে, যেমনি দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।’
গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশ বিচারের নামে প্রহসন দেখেছে বলেও অভিযোগ করেন ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের রাজনীতি হবে মানুষ ও মানবতার কল্যাণে। ইসলাম ও দেশপ্রেমিক সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে চাই আমরা।’
মন্তব্য করুন