স্পোর্টস ডেস্কঃ
সাকিব আল হাসান ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় বলতে চেয়েছিলেন। তবে সাবেক এই আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য দেশে ফিরে খেলায় অংশগ্রহণ করুন, এটা চান না একদল ক্রিকেটপ্রেমী। তারা মিরপুর স্টেডিয়াম ঘিরে বেশকিছু কর্মসূচি পালনের পর ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বিসিবির পরামর্শে সাকিব এই সিরিজে অংশ নিতে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।
তাই ভারতের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে কানপুরে খেলা টেস্টই সাদা পোশাকে তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হয়ে থাকছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সাধারণ মানুষের তার প্রতি ক্ষোভের বিষয়টি বিবেচনা করে সাকিব কানপুর টেস্ট দিয়েই ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে পারতেন কিনা, সে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।
স্থানীয় একটি ক্রীড়াবিষয়ক প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আলাপচারিতায় সাকিব ইস্যুতে আশরাফুলের সোজাসাপ্টা মন্তব্য, ‘আগেই বলেছি সাকিব চাইলেই তার টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষটা কানপুরেই করতে পারতেন।’
সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমান ক্রিকেট বিশ্লেষক আশরাফুল মনে করেন, সাকিবকে ঘিরে যে পরিস্থিতি এখন তৈরি হয়েছে এটা অনুমান করা খুব কঠিন কিছু ছিল না। তাই ‘রাজনীতিবিদ’ সাকিবের দেশের মাটিতে খেলে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, ‘তাকে ঘিরে দেশে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটা তো তিনি আগেই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। আমার কাছে তো মনে হয় সাকিব এখানেও হয়তো বা এই বিষয়ে একটা গেম খেলেছেন। যেহেতু সে এখন রাজনীতিবিদ। আওয়ামী লীগের সাতমাসের এমপি ছিলেন তিনি।’
কানপুর টেস্ট দিয়েই সাকিব লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বললে ভালো করতেন বলে মত আশরাফুলের, ‘কানপুরেই সাকিব টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করলে আজ হয়তো আমাদের এই পরিস্থিতি দেখতে হতো না।’
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবের তেল কোম্পানি আরামকোর সঙ্গে চুক্তির শুরু থেকেই ফিফাকে নিয়ে সমালোচনা চলছে। এবার নারী ফুটবলাররা ফিফাকে এই চুক্তি বাতিল করতে বলেছেন। ইতোমধ্যে ২৪ দেশের ১০০-এর বেশি নারী ফুটবলার একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন, যাতে তারা ফিফার কাছে আরামকোর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার ভিভিয়েন মিদিমাও রয়েছেন।
ভিভিয়েন মিদিমা বিবিসি স্পোর্টকে জানিয়েছেন, "আমার মতে, ফুটবলাররা, বিশেষ করে নারী ফুটবলাররা, দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বকে দেখাতে চান পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কী সঠিক। আমি মনে করি, এই স্পনসরশিপ ফিফার জন্য যথার্থ মনে হচ্ছে না। আমাদের নারী ফুটবলারেরাও এ দাবির পক্ষে।"
ফিফার সঙ্গে আরামকোর চুক্তির শুরু থেকেই সৌদি আরবের 'স্পোর্টসওয়াশিং' আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। স্পোর্টসওয়াশিং হল একটি কার্যকলাপ, যেখানে ব্যক্তিগত, গোষ্ঠীগত বা রাষ্ট্রীয় স্তরের অপকর্ম ঢাকতে খেলাধুলাকে ব্যবহার করা হয়। সৌদি আরব মানবাধিকার লঙ্ঘন, নারী অধিকার লঙ্ঘন, সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করা এবং বাকস্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করার কারণে সমালোচিত।
আরামকো কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদনকারী কর্পোরেট কোম্পানি। মিদিমা বলেন, "ফিফা সবসময় আওয়াজ তোলে যে তারা খেলাটাকে ছড়িয়ে দিতে চায় এবং একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়। যদি তাই হয়, তাহলে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী স্পনসরদের সঙ্গে চুক্তি করুক।"
চলতি বছরের এপ্রিলে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি আরামকোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ঘোষণা দিয়েছে ফিফা। এই চুক্তির মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত, এবং এটি ২০২৬ সালের পুরুষদের বিশ্বকাপের স্পনসর হিসেবে কাজ করবে। পরের বছর নারীদের বিশ্বকাপ ফুটবলেও পৃষ্ঠপোষকতা করবে তারা। এছাড়া, আরামকো ফর্মুলা ওয়ানের সঙ্গেও স্পনসরশিপ চুক্তি করেছে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) অংশীদার।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
যে কোনো ফরম্যাটে হোক, ভারতকে হারানোর আনন্দটাই আলাদা। সেটা সিনিয়র বা জুনিয়র—যে কোনো পর্যায়েই হোক। এবার যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারত বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায়। ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তেমন ভালো কিছু করতে পারেননি। ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের মুখে ভারতীয় দল কিছুতেই রান তুলতে পারছিল না। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় যুব ক্রিকেট দল এবং সেজন্য বাংলাদেশ যুব দল টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়।
এক বছর আগে, ২০২৩ সালে এই একই দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।
যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে এশিয়ার সেরা দল কে হবে—বাংলাদেশ না ভারত? দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লড়াই শুরু হওয়ার আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। ১৯৭ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করে ফেলার ব্যাপারে যারা নিশ্চিত ছিল, বাংলাদেশের বোলিং শুরু হওয়ার পর তাদের ধারণা পাল্টে যায়। শুরু থেকেই ভারতীয়দের চেপে ধরে বাংলাদেশি বোলাররা।
শুরুতেই ইকবাল হোসেন ইমন এবং আল ফাহাদ মিলে ভারতীয় যুবাদের চাপে ফেলেছিলেন। এর ফলস্বরূপ ৯২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান এবং হার্দিক রাজ কিছুটা প্রতিরোধ তৈরি করেছিল।স্পোর্টস ডেস্ক:
২৩ রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু পরে বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম আসেন এবং শেষ তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন।
ভারতের সামনে ছিল ১৯৯ রানের সহজ লক্ষ্য। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটা মোটেও বড় রান নয়। কিন্তু এই রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে ভারত প্রথমেই ৪ রানে আয়ুশ মাত্রিকে হারায়। এরপর বিভাব সূর্যবংশি মাত্র ৯ রানে আউট হয়ে যান। দলের রান তখন ২৪।
তারপর আন্দ্রে সিদ্ধার্থ ২০ রান করেন। ২১ রান করে আউট হন কেপি কার্তিকিয়া। নিখিল কুমার শূন্য রানে আউট হন। ৬ রানে হারভানস পাঙ্গালিয়া আউট হন। কিরণ চরমালে ১ রানে আউট হন।
৩১.৫ ওভারে দলীয় ১১৫ রানের মাথায় ৮ম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান। ৬৫ বলে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন তিনি। হার্দিক রাজ ২১ বলে ২৪ রান করে আজিজুল হাকিমের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হন। সর্বশেষ চেতন শর্মা ১২ বলে ১০ রান করে আজিজুল হাকিমের বলে কালাম সিদ্দিকীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। এভাবেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মেতে ওঠে বাংলাদেশ দল।
আজিজুল হাকিম এবং ইকবাল হোসেন ইমন নেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট নেন আল ফাহাদ। ১টি করে উইকেট নেন মারুফ মৃধা এবং রিজান হাসান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা বড় কোনো স্কোর গড়তে পারেননি। ৪৯.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ ১৯৮ রান করে। রিজান হাসান সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন। ৪০ রান করেন মোহাম্মদ শিহাব জেমস। ৩৯ রান করেন ফরিদ হাসান এবং ২০ রান করেন জাওয়াদ আবরার।
মন্তব্য করুন
ততক্ষণে রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশি বেজে গেছে। কোচ ও বেঞ্চের খেলোয়াড়রা মাঠে দৌড়ে যান। শুরু হয় বার্সেলোনার শিরোপা উৎসব। তবে আল্ট্রা এস্পানিওল বা উগ্রপন্থী সমর্থকদের তোপের মুখে শিরোপা উৎসবে ক্ষান্তি দিয়ে একপ্রকার পালিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় লেভানদোভস্কিদের।
রোববার রাতে এস্পানিওলের মাঠে শিরোপার সুবাস নিয়েই মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। রবার্ট লেভানদোভস্কির জোড়া গোলে এদিন ৪-২ গোলে জিতেছে জাভির শিষ্যরা। আর তাতে তিন মৌসুম পর লা লিগা শিরোপা পুনরুদ্ধার করল কাতালান ক্লাবটি। সেটিও আবার চার ম্যাচ হাতে রেখেই। এটি বার্সেলোনার ২৭তম লিগ শিরোপা। ৩৪ ম্যাচে ২৭ জয় ও ৪ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৮৫। অন্যদিকে বার্সেলোনার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ সমান ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ভারতীয় অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলার সঙ্গে পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহকে জড়িয়ে কম আলোচনা হয়নি। একটা সময় এই দুজনের প্রেমের গুঞ্জনও ভেসে বেড়িয়েছে। পরে অবশ্য দু’জনই সেসব খবর থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নেন। এবার নাসিমের ব্যবহারে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন আরেক ভারতীয় অভিনেত্রী সোনম বাজওয়া।
সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ফ্যানদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন নাসিম শাহ। সেখানে এক খুদে ভক্ত তাকে দেখে কেঁদে ফেলে। নাসিম তখন সে খুদে ভক্তকে আশ্বস্ত করে বলে, ‘কেঁদো না।’ এরপর সে ভক্তকে নিজের অটোগ্রাফ দেন নাসিম। খুদে ভক্তের কান্না থামাতে নাসিম যোগ করেন, ‘আমি তোমাকে বাবর আজমের (পাকিস্তান অধিনায়ক) অটোগ্রাফও নিয়ে দিতে পারব।’
খুদে ভক্তের সঙ্গে নাসিমের সে আবেগঘন মুহূর্ত নিয়ে বানানো একটি ইনস্টাগ্রাম রিল নিজের স্টোরিতে শেয়ার করেছেন সোনম। সঙ্গে লিখেছেন, ‘খুব সুন্দর এবং কিউট’। সঙ্গে সাদা হৃদয়ের একটি ইমোজিও জুড়ে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
পাকিস্তানি তারকাদের প্রতি ভালোলাগার প্রকাশ অবশ্য এটাই প্রথম নয় সোনমের। এর আগে পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেতাকে ফাওয়াদ খানকে নিজের ‘সবসময়ের ক্রাশ’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন ভারতীয় পাঞ্জাবি সিনেমার পরিচিত মুখ সোনম।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
কয়েকদিন ধরে চলা গুঞ্জন অবশেষে সত্যি হলো। জাভি হার্নান্দেজকে ছাঁটাই করেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা।
শুক্রবার বার্সেলোনা তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে ২০২৪-২৫ মৌসুমে জাভির আর কোচ হিসেবে না থাকার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। এই বৈঠকে জাভি ছাড়াও বার্সেলোনার গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বার্সেলোনা জাভিকে কোচ হিসেবে তার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছে। পাশাপাশি খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক হিসেবে অনবদ্য ক্যারিয়ারের জন্যও তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছে। ভবিষ্যতে ভালো কিছুর জন্য জাভির জন্য শুভকামনা রইল।’
ক্লাবের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে গত জানুয়ারিতেই মৌসুম শেষে বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। গত মাসে তিনি নেন ইউটার্ন, জানান কাতালানদের সঙ্গেই থাকছেন। এরপর আবারও আসে ভিন্ন খবর। জাভিকে ছাঁটাই করার বিষয়ে প্রতিবেদন আসে গণমাধ্যমে। অবশেষে শেষই হলো বার্সার সঙ্গে তার পথচলা।
বার্সেলোনার ডাগআউটে শেষবারের মতো আগামী সোমবার (২৭ মে) সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে দেখা যাবে জাভিকে।
এদেকে, বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্লাবটির কোচ হিসেবে এরপর দেখা যাবে হানসি ফ্লিককে। ২০২০ সালে যিনি বায়ার্নের হয়ে জিতেছিলেন ট্রেবল। এরপর জার্মানি জাতীয় দলের হয়ে দায়িত্ব পালন করেন এই কোচ। যদিও ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে তাকে ছাঁটাই করা হয়।
২০২১ সালে কাতারের ক্লাব আল সাদ থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেন জাভি। ২০২২-২৩ মৌসুমে তার অধীনে দল জেতে লিগ শিরোপা। এরপর থেকে দিন দিন খারাপ হতে থাকে পারফরম্যান্স। চলতি মৌসুমে পিএসজির কাছে হেরে তাদের বিদায় নিতে হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে। বাজে ফর্মে তারা খুঁইয়েছে লিগ শিরোপাও।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
আগামী ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া আফগানিস্তান সিরিজে খেলবেন সাকিব আল হাসান। আজ বুধবার শেরে বাংলায় বোর্ডের মিটিংয়ের আগে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর সময় ঘনিয়ে এলেও এখনও দল ঘোষণা করা হয়নি। সাকিব এই সিরিজে খেলবেন কিনা, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বিসিবির পক্ষ থেকে। সেজন্য সাকিবের সম্পর্কে জানতে চাইলে বোর্ড সভাপতি বলেন, “সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে বলতে চাই, যেহেতু আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলের নাম এখনও দেওয়া হয়নি, তাই তার (সাকিব) বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে টেস্ট খেলতে সাকিবকে বোর্ড নিষেধ করেছে, এই বিষয়ে স্পষ্টতা দিতে ফারুক বলেন, “সাকিবকে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ টেস্ট খেলতে দেশে ফিরতে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে বোর্ডের কোনো দায় নেই। আমরা ওই পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে জড়িত নই। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সরকার এবং সাকিব (জড়িত) ছিল। আমরা শুধু সহায়ক ভূমিকা পালন করেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যাতে সাকিব ঘরের মাঠে খেলতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “সাকিব শুধু একজন খেলোয়াড় নন, তিনি আগের সরকারের (পতিত শেখ হাসিনা সরকার) সময়ে একজন এমপি ছিলেন। সেক্ষেত্রেও কিছু বিষয় আছে। সব মিলিয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা আর ক্রিকেট বোর্ডের ভাবনা এক ছিল না। আমি একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় হিসেবে দেখেছি, একজন ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে। সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, বাংলাদেশ জন্য অনেক কিছু করেছে। আমি বিশ্বাস করি, যদি সে খেলতে পারতো, তাহলে এটি ভালো হতো।”
ফারুক আহমেদ যোগ করেন, “আমাদের অন্যান্য বিষয়গুলো দেখতে হবে। সেগুলো বিবেচনা করে সে শেষ মুহূর্তে আসতে পারেনি। তবে বোর্ডের করার কিছু ছিল না। এটি সম্পূর্ণ আইনি বিষয় এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিষয়। এটি ছিল সাকিব এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উপর নির্ভরশীল। বোর্ডের এ ব্যাপারে কিছু করার ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী যদি সাকিব আসতেন, তাহলে আমরা যথাযথ নিরাপত্তা দিতে পারতাম। যেহেতু তিনি আসেননি, তাই এ নিয়ে কথা বলার কোনো মানে নেই।”
সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হোমভেন্যু হিসেবে নিয়ে এই সিরিজ আয়োজন করবে আফগানিস্তান। ৬ নভেম্বর সিরিজের প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৯ ও ১১ নভেম্বর সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ ক্রিকেটে শেষ হলো চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অধ্যায়। শ্রীলঙ্কান কোচকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই হেড কোচকে অব্যাহতির কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেই সঙ্গে তাকে শোকজও করা হয়েছে। নতুন কোচ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্সের নাম।
হাথুরুকে বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে রাখবেন না ফারুক আহমেদ, এমন গুঞ্জন ছিল দুই মাস আগ থেকেই। অবশেষে গতকাল সোমবার বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগ মুহূর্তে অথবা আগেরদিন রাতেই বিসিবিপ্রধানের ফোনে কোচ পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে জানতে পারেন হাথুরুসিংহে। যদিও সেটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল না।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহকে আনুষ্ঠানিকভাবে অব্যাহতির ঘোষণা দেন ফারুক আহমেদ। তার বদলে ফিল সিমন্সের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানানো হয়।
হাথুরু দুই মেয়াদে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম মেয়াদে ২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরপর নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন হাথুরু।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন হাথুরু। কিন্তু তার প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেটের যতটুকু উন্নতি দেখা গেছে, দ্বিতীয় মেয়াদে সেটা দেখা যায়নি। এমনকি এই সময়ে বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে বিভেদ তৈরি, বিসিবির বিধি ভঙ্গ ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে অশোভন আচরণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে।
হাথুরু এসব অপরাধ হয়তো ঢাকা পড়ে যেতো, যদি ভারত সিরিজে ভালো কিছু করতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে লড়াইটাও করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এমনকি যেভাবে হেরেছে, তাও ছিল দৃষ্টিকটু। এসব কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ সামনে রেখেই হাথুরুকে অব্যাহতি দিয়েছে বিসিবি।
উল্লেখ্য, হাথুরুর সঙ্গে চুক্তি ছিল ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। কিন্তু আগেভাগেই লঙ্কান এই কোচকে বিদায় করে দিলো বিসিবি।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ছাত্র-জনতার প্রতিবাদের মুখে দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলা হলো না সাকিব আল হাসানের। দেশে ফিরতে চাইলেও তাকে দুবাই থেকে ফিরে যেতে হয়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সাকিবকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনের বেলা বেশ নাটক হয়েছে। তিনি দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে দুবাই আসেন ট্রানজিটের জন্য। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তাকে সেখানে অবস্থান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে সাকিব নিজেই জানান, তার দেশের মাটিতে টেস্টকে বিদায় জানানো হচ্ছে না। সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে সরকার তাকে দেশে ফিরতে বারণ করেছে।
এরপর গতকাল রাতেই এ বিষয়ে কথা বলেন ড. আসিফ নজরুল। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসানের দেশে আসা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, 'সাকিব আমাকে কয়েকবার ফোন দিয়েছিল। আমি বলেছি, উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে কথা বলতে যেহেতু এটি আমার বিষয় নয়।'
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, 'সাকিবের মতো ক্রিকেটার বাংলাদেশের ইতিহাসে আর আসেনি। সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি হতে পারত। কিন্তু যখন আন্দোলন চলছে, মানুষ মরছে, ঘরে ঘরে কান্না, ক্ষোভ-কষ্ট—সাকিব তখন পোস্ট দিলো যে সে কোথাও আনন্দ করছে। এটা কি সম্ভব একজন মানুষের পক্ষে?'
তিনি বলেন, 'এছাড়া যে সমস্ত জুয়া, বেটিং, উশৃঙ্খল আচরণ... আমার মনে হয় এটার জন্য শেখ হাসিনার সরকার দায়ী। এমন একটি রাষ্ট্রযন্ত্র তৈরি করা হয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনার প্রতি অনুগত থাকলে আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন। আপনার শাস্তি হবে না। এটা অনেক মানুষকে বিভ্রান্ত করে, তাকেও করেছে। মায়া লাগে। কিন্তু তার প্রতি মানুষ যে ক্ষোভ দেখায়, সেটি একটুও অযৌক্তিক লাগে না।'
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্কঃ
২০২৬ সালের গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসের খেলার সংখ্যা এবং কোন কোন খেলা অনুষ্ঠিত হবে, সে তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকা দেখে বিশেষ করে উপমহাদেশের ক্রীড়া কর্মকর্তা এবং অ্যাথলেটদের মাথায় হাত। ২০২২ সালের চেয়ে অন্তত ৯টি খেলা কমিয়ে আনা হয়েছে ২০২৬ গ্লাসগো গেমসে। যেখানে বাদ দেয়া হয়েছে ক্রিকেট, হকি, ব্যাডমিন্টনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলা।
মূলতঃ স্থান পরিবর্তনের কারণে খেলার সংখ্যাও কমিয়ে আনা হলো। ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমসে হবে মাত্রটি ১০টি খেলা। ২০২২ সালে হয়েছিল ১৯টি। ৯টি খেলা কমিয়ে আনায় উপমহাদেশীয় দেশগুলোর পদক জয়ে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের।
২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমস হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া শহরে; কিন্তু তারা জানিয়ে দেয় আর্থিক সমস্যার কারণে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা সম্ভব না। যে কারণে, ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের সুযোগ পায় স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো।
১২ বছর পর স্কটল্যান্ডের এই শহরে ফিরছে কমনওয়েলথ গেমস; কিন্তু মাত্র ১০ ধরনের খেলা আয়োজন করতে পারবে তারা। আর্থিক কারণেই কম খেলার আয়োজন করা হচ্ছে। ফলে বাদ পড়েছে ক্রিকেট, হকির মতো খেলা। এছাড়া বাদ দিতে হয়েছে ব্যাডমিন্টন, শুটিং, কুস্তিও। এই খেলাগুলো থেকে ভারতেরই সবচেয়ে বেশি পদক জয়ের সম্ভাবনা ছিল।
গ্লাসগোতে ২০২৬ সালে কমনওয়েলথ গেমসে অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স, ট্র্যাক সাইক্লিং, নেট বল, ভারোত্তোলন, বক্সিং, জুডো, বাস্কেটবল এবং লন বল খেলা হবে। মোট চারটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে খেলাগুলো। গেমস উপলক্ষে ভিলেজ তৈরি করা হবে না। খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফদের রাখা হবে হোটেলে।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে গ্লাসগোয় কমনওয়েথ গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সেবার তারা খরচ করেছিলো ৫৪০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৮ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা)। এবার এই খরচ অনেক কমিয়ে আনা হবে। ৭৪টি কমনওয়েলথ দেশ এবং স্বাধীন অঞ্চল থেকে মোট তিন হাজার অ্যাথলেট গেমসে অংশ নেবে।
মন্তব্য করুন
সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ টেবিল টেনিসে অনূর্ধ্ব ১৯ বালক দলগত খেলায় স্বর্ণপদক জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার সেই স্বর্ণপদক অল্পের জন্য মিস হয়েছে। বাংলাদেশ, নেপাল এবং শ্রীলংকার তিন দলের পয়েন্ট সমান হওয়ার ফলে টাই হয়। পরবর্তীতে প্রত্যেক ম্যাচের সেট স্কোর হিসাব করে নেপাল স্বর্ণপদক, শ্রীলঙ্কা রৌপ্য এবং বাংলাদেশ ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে।
গতকাল বাংলাদেশ যদি শুধু নেপালের বিরুদ্ধে একটি সেটও জিতত, তাহলে গতবারের স্বর্ণপদক ধরে রাখতে পারতো বাংলাদেশ। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ইটানগরে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশীপের সমস্ত দলগত খেলা গুলো রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য দলগত খেলায় মিশ্র ফলাফল এসেছে।
আজ সকালে বালক অনূর্ধ্ব -১৯ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩-২ ব্যবধানে জয়লাভ করে। কিন্তু গতকালকে নেপালের বিরুদ্ধে ৩-০ সেটে হারে এবং মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ৩-০ সেটে জিতে । আজকে যে শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশ ৩-২ সেটে হারিয়েছে সেই শ্রীলংকা নেপালকে গতকালকে ৩-১ সেটে হারিয়েছিল।
অনূর্ধ্ব ১৫ বালক দল অল্পের জন্য রৌপ্য পদক মিস করে । বালক দল প্রথমে মালদ্বীপকে (৩-০) ব্যবধানে হারায় ও পরের ম্যাচে শ্রীলংকার সাথে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৩-২ সেটে বাংলাদেশ পরাজিত হয় আজ সকালে নেপালের সাথে (৩-০) জয়লাভ করে এবং পরের খেলায় শক্তিশালী ভারতের সাথে ৩-০ সেটে পরাজিত হয়ে বাংলাদেশ ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে।
বালিকা অনূর্ধ্ব ১৫ দলগত বিভাগে প্রথমবারের মতো ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে । আজ সকালে বাংলাদেশ মালদ্বীপকে ৩-২ সেটে পরাজিত করে । আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে একক, দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈতের খেলা।
মন্তব্য করুন