গাছে গাছে ঝুলছে পরপক্ক বিভিন্ন জাতের আম। কয়েকদিনের মধ্যেই জমে উঠবে আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাজারগুলো। ইতোমধ্যে গাছ থেকে পাড়া শুরু হয়েছে গোলাপভোগ ও গুটি জাতের আম। এর মধ্যে কৃষকদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় মোখার তেমন কোনো প্রভাব না থাকায় স্বস্তি পেয়েছেন আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বা এর আশেপাশে সরাসরি আঘাত না হানলেও কক্সবাজার বা চট্রগ্রাম আঘাত হানলে এর প্রভাবে ঝড় ও টানা বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল। এতে গাছ থেকে আম ঝরে ও টানা বৃষ্টিতে ছত্রাকের আক্রমণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের মনে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ঝড় বা বাতাস কিছুই হয়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এতে রক্ষা পেয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার আম।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
সিলেটে পুরোনো গ্যাসকূপ (সিলেট-৭) সংস্কার করতে গিয়ে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। দুই দফা পরীক্ষা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা করা হয়। এতে মাত্র এক হাজার ২০০ মিটার গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান মেলে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পুরাতন গ্যাসকূপ সিলেট-৭ নম্বরে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে মেরামতে কাজ করছি। ১৪ অক্টোবর দুই হাজার ১০ মিটার গভীরতায় পরীক্ষা করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। আজ ওই কূপের আরেকটি জোনে এক হাজার ২০০ মিটার গভীরতায় ফের গ্যাসের সন্ধান মেলে।
তিনি আরও বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষা করলে জানা যাবে কী হরিমাণ গ্যাস মজুত রয়েছে। গ্যাস পরীক্ষা করতে আরও তিন-চারদিন সময় লাগতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।
মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সিলেটে আনার প্রস্তুতি চলছে। তিনি এলে আনুষ্ঠানিকভাবে সবকিছু বলা যাবে।
এর আগে ২৪ মে সিলেটের কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপে গ্যাস পাওয়ার কথা জানায় সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। এ নিয়ে গত এক বছরে সিলেটের পাঁচটি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিললো।
১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। দেশে বর্তমানে গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা হচ্ছে ২৯টি। তার মধ্যে এসজিএফএল নিয়ন্ত্রণে আছে পাঁচটি। এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো হচ্ছে- হরিপুর, রশিদপুর, ছাতক, কৈলাশটিলা ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড।
মন্তব্য করুন
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নিজ জেলা পাবনায় এসে পৌঁছেছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সোমবার (১৫ মে) বেলা ১২টা ৮ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে রাষ্ট্রপতি এসে পৌঁছান। এরপর ১২টা ১৫ মিনিটে পাবনা সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রপতি গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন।
পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার নবিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সফরসূচি অনুযায়ী জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি আজ দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে জেলা পরিষদে বঙ্গবন্ধু চত্বরের নামফলক উদ্বোধন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর ১টা ৪৫ মিনিটে পাবনা সদরের আরিফপুর কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে বাবা-মায়ের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতে অংশ নেবেন। এরপর দুপুর ২টায় স্কয়ার বাগানবাড়িতে পারিবারিক সমাধিস্থলে উপস্থিত হয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং প্রার্থনায় অংশ নেবেন। সেখান থেকে সার্কিট হাউসে ফিরে রাত্রিযাপন করবেন।
পরের দিন মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ১০টায় পাবনা বিসিক শিল্পনগরীতে স্কয়ার সায়েন্স অ্যান্ড লাইফ প্লান্ট উদ্বোধন করবেন। বেলা ১১টায় পাবনা প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বিকেল ৩টায় পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীতে ৫ আগস্ট আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক ইশতিয়াক সরকার বিপুকে জড়ানো হয়েছে।
রবিবার ( ১০ আগষ্ট) সকালে কুমিল্লা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমতিয়াজ সরকার নিপু।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই ইসতিয়াক সরকার বিপু ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিতে সক্রিয়। ১৯৮৯ সাল থেকে সে ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদল কর্মী হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ২০১৭ সালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বেশ কয়েকবার তাদের দ্বারা হামলা ও মামলার শিকার হয়। ২০১৮ সালের আওয়ামী লীগের দেয়া দুইটি মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করে। দুঃখের বিষয় গণঅভ্যুথানের পরেও বর্তমান সময়ে সেই মামলাগুলো এখনো চলমান রয়েছে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায়ের পর ইসতিয়াক সরকার বিপু ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়। সাথে সাথে শুরু হয় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এরপরের ঘটনা আপনারা সকলেই অবগত আছেন। সম্ভাব্য কাউন্সিলর নির্বাচন ও ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপিতে নিজেকে উপস্থাপন করার সাথে সাথেই নানামুখী ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। এতে আওয়ামীলীগের পতিত নেতাকর্মীরাও নিজেদের শত্রুদের সাথে সখ্যতা ও হাত মেলায়। তাদের প্রতিপক্ষতা ও হিংসা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, ৫ আগস্ট আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে জড়াতে নানাহ আইনী জটিলতা চালায়। ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি এমন কূটকৌশল ও আইনি জটিলতা তারা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। নিজেদের দলের একজন ত্যাগী কর্মীকে ফাঁসাতে এমন জঘন্য অপকর্ম করতেও তারা পিছপা হয়নি।
অথচ ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর দুপুরে ইসতিয়াক সরকার বিপু মোগলটুলি এলাকা থেকে বিজয় মিছিল নিয়ে পূবালী চত্বরে যায়। এরপর পুলিশের ফোনে খবর পায় কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় হামলা হতে পারে। তখন বিকেল বেলা সে তার নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত হয় এবং অবস্থান নেয়। ওই সময়ে থানায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যগণ তাঁদের নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ জানায়। এসময় কোতয়ালী থানায় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার ও সাবেক কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়াসহ মহানগর ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র জনতা । উপস্থিত নেতৃবৃন্দ থানায় মাইকে বক্তব্য রাখেন, যার ভিডিও ফুটেজ কোতয়ালি থানার সিসিটিভি ক্যামেরায় ও বিভিন্ন কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো রয়েছে। রাতে যখন বিপু এলাকায় ফিরে আসেন তখন জানতে পারেন আইনজীবী আবুল কালাম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই ব্যক্তি একই সময়ে পৃথক দুইটি ঘটনায় উপস্থিত থাকতে পারেন না।
আইনজীবি আবুল কালাম আজাদ হত্যার ঘটনাটি জঘন্যতম অপরাধ। তিনি বিএনপি ঘরানার আইনজীবী ছিলেন। আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাচ্ছি। যারা এই হত্যা কান্ডটি সংঘটিত করে তারা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। হত্যার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মোবাইলে ধারণকৃত ফুটেজ অবশ্যই পুলিশের কাছে আছে, পুলিশ তা জানেও। ওই ফুটেজ সমূহ যাচাই-বাছাই করলে হত্যার সময় বিপু এই ঘটনায় ছিল না বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও ষড়যন্ত্র থেমে নেই ।
মামলায় ইসতিয়াক সরকার বিপু স্বাভাবিকভাবেই আসামির তালিকায় ছিল না, থাকবার কথাও নয়। কিন্তু পরে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে বিপুকে জড়িত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে বিপুর নামটি জড়ায় সেও আইনজীবী হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি নয়। পরবর্তীতে অন্য মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলে তাকে এবং তার পরিবারকে বুঝানো হয় তার গ্রেফতারের সাথে বিপুর সম্পর্ক রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপুকে জড়িয়ে বক্তব্য দেয়। ওই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপু তাকে গ্রেপ্তার করিয়ে দিয়েছে বলেও বক্তব্য দেয়। শুধু তাই নয় এই মামলায় ৫নং ওয়ার্ডের আরো কয়েকজন নিরপরাধ মানুষকে জড়ানোর চেষ্টা চূড়ান্ত করা হয়েছে ।
পরবর্তীতে এই ষড়যন্ত্র আরো শক্তিশালী করতে আরও আইনী জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে বলেও আমরা জানতে পেরেছি। আমরা এই কুচক্র, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আমরা গত কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হতে দেখেছি। যেখানে “ফেইস দ্যা পিপল”এর সাংবাদিক সাইফুর রহমান সাগর এই হত্যা মামলার বাদীকে প্রশ্ন করেন ইসতিয়াক সরকার বিপু নামে কাউকে চিনেন কিনা! এবং বাদী সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দেন “না আমি ওই নামের কাউকে চিনি না তদুপরি নামটি আমি এই প্রথম আপনার মুখেই শুনলাম”।
পরিশেষে আমরা বলতে চাই, আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যার ঘটনাটি একটি জঘন্যতম অপরাধ। ওই হত্যার সুষ্ঠু বিচার হোক আমরাও চাই। তবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ইসতিয়াক সরকার বিপুকে জড়ানো হচ্ছে, শুধুমাত্র ফাঁসাতে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পুলিশ ও এলাকার মানুষ সব সত্য জানে। তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সত্য জানাতে ও হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং সুবিচার দাবি করছি।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রকাশ্যে এক বিএনপি কর্মিকে গুলির পর জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে তাৎক্ষণিক নিহতের স্বজন ও পুলিশ এই হত্যাকান্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের সুজায়েতপুর গ্রামের সুজায়েতপুর পূর্ব জামে মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কবির হোসেন ওরফে ছালি কবির (৩৫) একই ইউনিয়নের সুজায়েতপুর গ্রামের মৃত নুরনবীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছালি কবির স্থানীয় বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের একজন সক্রিয় কর্মি ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পর কবির এলাকায় আসেন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা ছিল। শুক্রবার দুপুরে তিনি বাড়ির পাশের সুজায়েতপুর পূর্ব জামে মসজিদের জুমার নামাজ পড়তে যান। ইমামের পেছনে জুমার ফরজ নামাজ আদায় করেই তিনি মসজিদ থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। ওই সময় মুখোশপরা ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে সুজায়েতপুর পূর্ব জামে মসজিদের সামনে আসেন। এক পর্যায়ে ছালি কবির মসজিদ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে তাকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছোঁড়েন। এতে কবির মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তার বাম পায়ের রগ কেটে, গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.আব্দুল্লাহ্-আল-ফারুক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চলছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে হত্যার কারণ জানাতে পারব।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদরের রঘুপুরের কার্তিকপুর এলাকায় ২৩ বীর -এর আওতায় সেনাবাহিনী-র্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদসহ মোঃ আবু ওবায়েদ ওরফে শিমুল আটক হয়েছে।
আটক হওয়া মোঃ আবু ওবায়েদ ওরফে শিমুল কুমিল্লা সদরের চাঁপাপুর কার্তিকপুরের আব্দুল ওয়াহবের ছেলে।
সোমবার ( ১৬ জুন) ভোর ৪ টায় এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় শিমুলের কাছ থেকে ১টি ৭.৬৫ মিমি পিস্তল, ২টি পাইপগান, ৩টি ককটেল, ৬ রাউন্ড শটগান গুলি, ১ রাউন্ড ৭.৬৫ মিমি গুলি, ১টি স্মার্টফোন, ১টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী শিমুল কুমিল্লার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রেজাউলের ডান হাত হিসেবে কাজ করে। এক সময় এই রেজাউল এমপি বাহারের জন্য অস্ত্র আনার দায়িত্বে ছিল। বর্তমানে সে নিজেকে এবং শিমুলকে মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারি আবুর লোক হিসেবে পরিচয় দেয়। তারা অস্ত্র দিয়ে রাজনৈতিক সহিংসতা এবং চাঁদাবাজিতে জড়িত।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের হয়েছে। এসময় আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন চার শিক্ষার্থী।
বোরবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১২ টা দিকে কলেজের কান্দিরপাড়ের উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পর কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আহতরা হলেন, মোস্তাফিজুর রহমান, অনয় দেবনাথ, মো. মাহিন ও মো. রিজভী। তারা কুমিল্লার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, রোববার সকাল ১১টার পর কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শাখার ব্যবসা শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থী জিসান ও ফাহাদের সঙ্গে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী তানভীন সিফাতের সঙ্গে কথাকাটি হয়। এঘটনার সময় সিপাত ফাহাদকে হামলা করে এবং জিসানকে মারধরের হুমকি দেয়। পরে পাহাদ ও সিফাতের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে সিফাত তার বিভিন্ন কলেজে থাকা বন্ধুদের কল দিলে তারাও সিপাতের সঙ্গে এসে যোগ দেয়। বেলা ১২ টার কিছু সময় পর কলেজের শিক্ষার্থীরা বের হওয়া শুরু হলে সিফাত ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা করে। এঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, এক তরুণ হাতে ধারলো রামদা নিয়ে অন্য তরুণদের দৌড়াচ্ছে। এসময় এক তরুণদের হাতে পিস্তল দেখা যায়। তবে তার চেহারা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিলো না। ১২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাওয়া ঐ তরুণ সিফাত বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনায় আহত ৪ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক জনের অবস্থা আশংকাজনক।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঁঞা বলেন, এ ঘটনায় পর কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এঘটনায় যতটুকু জেনেছি আহতদের কেউ ভিক্টোরিয়া কলেজের নয়। তবে ভিক্টোরিয়া কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী এঘটনার সঙ্গে জড়িত। আমরা এঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ইতোমধ্যেই আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং এঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জানানোর ব্যবস্থা করছি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেই পুলিশ পাঠিয়েছি। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৮ ভারতীয় জেলেকে আটক করা হয়েছে।
মোংলা বন্দরের অদূরে ফেয়ারওয়ে-সংলগ্ন গভীর সাগর থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে এসব ট্রলার ও জেলেদের আটক করে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। আজ শুক্রবার তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, মা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন নিশ্চিতে ২২ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ। এ অবস্থায় বঙ্গপোসাগরে দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করছে ভারতীয় জেলেরা। এমন অপরাধে ভারতীয় পতাকাবাহী ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৮ জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড।
পুলিশ বলছে, গত ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের নিয়মিত প্যাট্রোলিং চলাকালে জাহাজের রাডারে সন্দেহজনক ফিশিং ট্রলারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে বিদেশি পতাকাবাহী ট্রলার হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এ সময় দেশীয় প্রশাসনের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ধাওয়া করে ট্রলার তিনটি বাংলাদেশের জলসীমাতেই আটক করতে সক্ষম হয়।
মোংলা থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের শেষে শুক্রবার বিকালে আটক জেলেদের আদালতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেন্টমার্টিনে নভেম্বর মাসে পর্যটক যেতে পারবে, তবে রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ ২ হাজার জন পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবেন। ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্টমার্টিনে পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নভেম্বর মাসে পর্যটকরা যেতে পারবেন, কিন্তু রাতে থাকতে পারবেন না। ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে পারবে না। আর ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটক যাওয়া বন্ধ রাখা হবে। তখন সেন্টমার্টিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সহকারী প্রেস সচিব নাইম আলী ও সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
শারদীয় দুর্গাপূজা যথাযথভাবে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকার অংশ হিসেবে বুধবার কুমিল্লা নগরীর মহেশাঙ্গন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোঃ নাজিম-উদ-দৌলা, এসপিপি, এনডিসি, পিএসসি, পিএইচডি।
তিনি বুধবার (১ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২ টায় পূজামন্ডপে পৌঁছে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনগণ ও সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং পূজামন্ডপ প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন।
সভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ শ্যামল কৃষ্ণ সাহা (আহ্বায়ক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট, কুমিল্লা মহানগর), সনজিৎ দেবনাথ (সদস্য সচিব), রাজীব সাহা (যুগ্ম আহ্বায়ক) ও প্রদীপসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাথে মুক্ত আলোচনা করে সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সিভিল প্রশাসনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের বিষয়টি জিওসি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন।
তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং সমাজের সকল ধর্মাবলম্বীর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী সবসময় পাশে থাকবে বলে মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ঈশ্বর পাঠশালার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ছেলেদের ও মেয়েদের হোস্টেলে দুটি ফ্রিজ উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
পরিদর্শনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইফুল মালিক এবং কোতয়ালি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিনুল ইসলাম। সিভিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি )তানজিনা জাহান।
পরিদর্শনকালে জিওসির সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এনামুল হক এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মেহেদী হাসান। পরিদর্শনের সার্বিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ছিলেন ২৩ বীর এর কমান্ডিং অফিসার ও ইউনিট সদস্যবৃন্দ।
মহেশাঙ্গন পূজামন্ডপে জিওসি মহোদয়ের এ সফর হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা, নিরাপত্তাবোধ ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন।
মন্তব্য করুন
আজ শনিবার কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে জেলাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। কুমিল্লা টাউন হল মাঠে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা (বুলু)।
আজ সম্মেলনে কোন ভোট হচ্ছে না। কাউন্সিলর তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় তা প্রকাশও করা সম্ভব হয়নি। এদিকে সমঝোতার মাধ্যমে শীর্ষ ৫ পদ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
শীর্ষ ৫ পদ ঘোষণা করা হবে সম্মেলনে:
সভাপতি পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন সভাপতি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এদিকে গত প্রায় একমাস ধরে জেলা বিএনপির লাখ লাখ কর্মী তাদের পছন্দের নেতাকে নেতৃত্বে দেখতে অপেক্ষায় ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক পদে জনপ্রিয় দুই নেতা প্রতিদ্বন্দ্বী করায় পুরো জেলাজুড়ে ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল। প্রতিদিনই জেলার সর্বত্র নেতাকর্মীদের আলোচনায় ছিল সাধারণ সম্পাদক দুই প্রার্থীর নাম। কিন্তু হঠাৎ সম্মেলনের ৩ দিন আগে প্রতিদ্বন্দ্বি দুই প্রার্থীর মধ্যে সমঝোতা কিংবা ছাড় দেয়ার ফলে আমীরুজ্জামান আমীর সরে গেলে বা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলে সম্মেলনের আগেই আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। সিনিয়র সহ সভাপতি পদে ৩ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তারা হলেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীতা থেকে সরে আসা আমীরুজ্জামান আমীর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন ও সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিদ্দিক মিয়া। তবে এখানে সমঝোতার মাধ্যমে আমীরুজ্জামান আমীর সিনিয়র সহ-সভাপতি হতে যাচ্ছেন। সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তারা হলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা, বরুড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক স্বপন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম চৌধুরী ও সদর দক্ষিণের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমান । এ পদে কামরুল হুদা সমঝোতার মাধ্যমে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হতে যাচ্ছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তারা হলেন- দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা জামান , দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হক ভূইয়া স্বপন। এ পদে সমঝোতার মাধ্যমে নজরুল হক ভূইয়া স্বপন নির্বাচিত হচ্ছেন।
যে কারনে কাউন্সিলর ( ভোটার) চূড়ান্ত করতে পারেনি আহ্বায়ক কমিটি:
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আওতাধীন উপজেলা ও পৌরসভা মিলিয়ে মোট ১৪টি ইউনিট আছে। প্রতিটি ইউনিট থেকে ১০১ জন কাউন্সিলর (ভোটার) আছেন। সে ক্ষেত্রে কোনো পদে ভোট হলে মোট ১ হাজার ৪১৪ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তবে ৫টি ইউনিট ছাড়া বাকি ৯টি ইউনিটের কমিটি জেলাতে জমা না হওয়ায় কাউন্সিলর ( ভোটার) চূড়ান্ত হয়নি। ফলে প্রার্থী থাকলেও ভোট সম্পন্ন করা সম্ভব হতো না। তাই সমঝোতার মাধ্যমে সেরা ৫ পদ চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি পদগুলো পরে ঘোষণা করা হবে।
এছাড়া প্রচার সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো: মোজাহিদ চৌধুরী।
মো: মোজাহিদ চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন ধরে যারা ছাত্রদল করে আসছে, যারা জেলা ও মহানগরে স্থান পায়নি, তাদের জেলা কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
সহ-সভাপতি পদে আলোচনায় থাকা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা: গোলাম কাদের চৌধুরী নোবেল জানান, প্রথমত আমি চাই জেলা দক্ষিণ বিএনপির এই সম্মেলন সফল হোক। সাংগঠনিক যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই পদ পাবে এই প্রত্যাশা করছি। জাকারিয়া তাহের সুমনের নেতৃত্বে নতুন কমিটি সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আলোচনায় আমীরুজ্জামান আমীর জানান, সকলের প্রচেষ্টায় একটি সফল ও সার্থক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। আশা করি যোগ্য ব্যক্তিরা পদে আসবে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম জানান, আমরা একটি জাকঁজমকপূর্ণ, সার্থক ও সফল সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন