বলিউড তারকা সালমান খান পশ্চিমবঙ্গের এ সপ্তাহে কলকাতা সফরে গিয়েছিলেন। যেখানেই সালমান পা রেখেছেন, তাকে দেখতে ভক্তরা ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু সালমানের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন টলিপাড়ার অভিনেত্রী আয়ুশী তালুকদার।
সালমানের ভক্ত আয়ুশী বলেন, যে দিন প্রথম শুনেছিলাম যে, উনি কলকাতায় আসছেন, তখন থেকে আমি চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তার চারপাশে কড়া নিরাপত্তা। তাই বুঝতে পারছিলাম না, কীভাবে সাক্ষাৎ কবে। শেষে অভিনেত্রী পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় সালমানের সঙ্গে দেখা করেন আয়ুশী।
তিনি বলেন, পূজা মুম্বাইয়ে কাজ করেন। সালমানের টিমের একজনের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। তাতেই বিষয়টা সহজ হয়ে যায়।
আয়ুশী জানালেন, শোয়ের শেষে মাঝরাতে সালমানের হোটেলের স্যুইটে সুপারস্টারের সঙ্গে তিনি ও পূজা দেখা করেন। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বললেন, শেরা দরজার বাইরে ছিলেন। আমি ভেতরে ঢোকার পর চোখের সামনে সালমানকে দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না! আমাদের দেখেই এমনভাবে সোফায় বসতে বললেন যেন কত দিনের পরিচিত।
তারপর শো কেমন হয়েছে, আয়ুশীর কাছে তা জানতে চান সালমান। আয়ুশী বললেন, উনি তার আগেই ৩-৪ ঘণ্টা পারফর্ম করেছেন। এ দিকে রাত ২টার দিকে আবার মুম্বাইয়ের বিমান ধরবেন। কিন্তু দেখে বোঝার উপায় নেই।
সালমানের সঙ্গে শুধু ছবি তোলাই নয়, অভিনেতার আতিথেয়তায় মুগ্ধ আয়ুশী। বললেন, উনি আমাদের স্ন্যাক্স অফার করলেন। আমি সেটা খাব কী, তখন সময়টা আমার জন্য থেমে গিয়েছিল।
সালমানের জন্য তার টিমের তরফে কলকাতার বিশেষ বিরিয়ানির বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। আয়ুশী বললেন, উনি জানতেন যে, আমরা শো দেখে সরাসরি এসেছি। আমাদের বিরিয়ানি অফার করলেন। আরও একবার আমার অবাক হওয়ার পালা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর খাইনি।
মুম্বাই ফিরে ‘টাইগার ৩’ ছবির শুটিংয়ে যোগ দেবেন সালমান। মঙ্গলবার এই শিডিউলে সালমানের সঙ্গে শাহরুখ খানের ক্যামিয়ো অংশের শুটিং হওয়ার কথা। আয়ুশীকে সেই শুটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সালমান। তিনি বলেন, ‘‘পুজাদির বাড়ির পাশেই লোকেশন। আমাকে শুটিং দেখতে আমন্ত্রণ করেছেন সালমান। হতেই পারে, সোমবার রাতেই আমি ফ্লাইটে মুম্বাই পৌঁছে যেতে পারি!
সালমানের সঙ্গে মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য দেখা করেছিলেন আয়ুশী। বললেন, অল্প কয়েকজন বলিউড তারকার সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। কিন্তু সালমানের সামনে সেগুলো তুচ্ছ। এই অভিজ্ঞতা কোনো দিন ভুলতে পারব না।
মন্তব্য করুন
বলিউড অভিনেতা জায়েদ খান যিনি সিনেমা 'ম্যায় হুঁ না'-এ লক্ষ্মণের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনে সুজান খানের ভাই এবং হৃত্বিক রোশনের প্রাক্তন শ্যালক। শাহরুখ খানের ছোট ভাইয়ের চরিত্রে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হলেও বলিউডে তাঁর বাকি সিনেমাগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ ছিল। তবে অভিনয়ে ফ্লপ হলেও জায়েদ খান একজন সফল ব্যবসায়ী এবং প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক।
জায়েদ খান পরিচালক সঞ্জয় খানের ছেলে এবং অভিনেতা ফিরোজ খানের ভাগ্নে। ২০০৩ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি বলিউডে পা রাখেন। তাঁর প্রথম সিনেমা ‘চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে’ বক্স অফিসে ব্যর্থ হলেও, ২০০৪ সালের ‘ম্যায় হুঁ না’ সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের নজর কাড়েন। এরপর ‘দশ’ সিনেমাও গড়পড়তা সাফল্য পেয়েছিল।
২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত, জায়েদ আরও ১০টি সিনেমায় অভিনয় করেন, যার মধ্যে ছিল ‘ফাইট ক্লাব’, ‘মিশন ইস্তাম্বুল’ এবং ‘তেজ’। কিন্তু এই সিনেমাগুলোও বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শরাফত গয়ি তেল লেনে’ সিনেমাটিও কোনো সাফল্য আনতে পারেনি।
২০১৭ সালে তিনি টিভি শো ‘হাসিল’ দিয়ে অভিনয়ে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। মোট ১৫টি ছবিতে অভিনয়ের মধ্যে জায়েদের হিট সিনেমার সংখ্যা মাত্র ১টি, ১৩টি ফ্লপ, এবং একটি গড়পড়তা সিনেমা।
ব্যবসায়িক সফলতা ও সম্পত্তি
অভিনয়ে ব্যর্থ হলেও জায়েদ খান ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সফল। বিভিন্ন স্টার্টআপ এবং ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন। একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২৪ সালে জায়েদ প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক, যা বলিউডের শীর্ষ তারকা যেমন রণবীর কাপুর (৫৫০ কোটি), প্রভাস (৪০০ কোটি), এবং আল্লু অর্জুন (৩৫০ কোটি)-এর থেকেও বেশি।
এক সাক্ষাৎকারে জায়েদ বলেছিলেন, "মানুষের উচিত নিজের সামর্থ্যের মধ্যে থাকা। যদি ফেরারি কেনার সামর্থ্য থাকে, তবে মার্সিডিজ কিনো; আর যদি মার্সিডিজ কেনার সামর্থ্য থাকে, তবে ফিয়াট কিনো।" তিনি সামাজিক মিডিয়ার যুগে মানুষের অযথা প্রতিযোগিতাকে দায়ী করেছেন এবং সবাইকে দায়িত্বশীলভাবে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
২০২৪ সালে জায়েদ তাঁর ইনস্টাগ্রামে অভিনয়ে ফেরার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তবে তাঁর কামব্যাক প্রজেক্ট নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি জানিয়েছেন, নিজের ব্যবসা এবং অভিনয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে চান।
অভিনয়ে সফল না হলেও জায়েদ খানের ব্যবসায়িক দক্ষতা এবং বাস্তববাদী জীবনদর্শন তাঁকে তাঁর সমসাময়িকদের থেকে আলাদা করেছে।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
সালমান খানের ভাই আরবাজ খানকে বিয়ে করে সংসার পাতেন মালাইকা অরোরা। তাদের সংসারে একটি সন্তানও রয়েছে। তবে এক সময় অর্জুন কাপুরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নিজের বর্তমান সংসার ত্যাগ করেন তিনি। এরপর অর্জুনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।
তবে যদিও তাদের বিয়ের কথা শোনা যাচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। বলিউডের মানুষদের মধ্যে এই বিচ্ছেদ নিয়ে অনেকেই অবাক হয়েছেন। অর্জুন এখন নিজের কাজে মন দিয়েছেন, আর মালাইকা তার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি একটি মজার পোস্ট করেছেন।
মালাইকা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ২৫ নভেম্বর একটি পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে তার সম্পর্কের অবস্থা দেখানো হয়েছিল। অপশনগুলো ছিল ‘রিলেশনশিপে আছি’, ‘সিঙ্গেল’, এবং ‘হেহেহে’। তিনি হাস্যরসাত্মকভাবে তৃতীয় অপশনটি বেছে নিয়েছেন। এই পোস্টটি তার অনুরাগীদের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্কঃ
আর্থিক প্রতারণা মামলায় নাম জড়াল দক্ষিণী অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে ইডির প্রশ্নের মুখে পড়লেন অভিনেত্রী। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ধরে চলল প্রশ্ন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই সংবাদ সংস্থার থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে ইডি দপ্তরে হাজির হন অভিনেত্রী। এইচপিজেড টোকেন মোবাইল অ্যাপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েই ইডির কড়া প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তামান্না।
জানা গেছে, এই মোবাইল অ্যাপের হয়ে প্রচার এবং এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী। আর সেই কারণেই ইডির দপ্তরে তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।
‘ফায়ার প্লে’ নামে এক অবৈধ স্ট্রিমিং অ্যাপ ইদানীং খুবই জনপ্রিয় মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে। মাসিক কোনও টাকা ছাড়াই মাত্র ৫০০ টাকা দিলেই এই অ্যাপের মাধ্যমে দেখা যায় নানা জনপ্রিয় সিরিজ, সিনেমা। এই অ্যাপেই অবৈধভাবে দেখানো হচ্ছিল আইপিএল। আর তা প্রচার করতে গিয়েই বিপাকে পড়েন সঞ্জয় দত্ত ও তামান্না ভাটিয়া।
সূত্র থেকে পাওয়া খবর, ভায়াকম ১৮-এর তরফ থেকেই অভিযোগ আনা হয়। এই সংস্থার মতে, ফায়ার প্লে নামে ওই অ্য়াপ অবৈধভাবে আইপিএলের স্ট্রিমিং করছে। যেহেতু আইপিএলের স্বত্ত্ব ভায়াকমের কেনা, তাই এর ফলে সংস্থার ক্ষতি হচ্ছে। সেই কারণেই এই অবৈধ অ্য়াপের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটি মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ভায়াকম। যেখানে স্ট্রিমিংয়ের প্রচারে দেখা গিয়েছিল তামান্নাকেও। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তামান্নার তরফ থেকে কোনওরকম মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন
বলিউডের প্রথম সারির পরিচালকদের মধ্যে যাঁর নাম দর্শক ও সমালোচকদের কাছে সমাদৃত, তিনি হচ্ছেন অনুরাগ কাশ্যপ। এই মায়ানগরীকে বিদায় জানাচ্ছেন এ স্বনামধন্য পরিচালক। হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত নিলেন কেন তিনি? কারণ বলিউড নিয়ে তিনি নাকি মহাবিরক্ত। সন্তোষজনকভাবে কাজ করতে পারছেন না- এমন অভিযোগই করলেন অনুরাগ কাশ্যপ।
তিনি বলেন, বর্তমানে চলচ্চিত্রের মানোন্নয়ন অপেক্ষা ছবির বাণিজ্যিক দিকে বেশি মনোনিবেশ করা হয়। ছবির কাজ শুরুর আগেই স্থির হয়ে যাচ্ছে কীভাবে প্রচার করা হবে, লাভের অঙ্কের পরিমাণ কত হতে পারে ইত্যাদি। এ বিষয়টি নিয়েই তিনি হতাশ। অনুরাগ এমন জায়গায় ছবি বানাতে চান, যেখানে উদ্দীপনা থাকবে। তাই তিনি দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান।
পরিচালক বলেন, যে যে ছবি ইতোমধ্যে তৈরি রয়েছে, সেগুলোর রিমেক করা হচ্ছে। এই মানসিকতাতেই আমার সমস্যা। এ ছাড়া নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি করছে ‘কাস্টিং এজেন্সি’। ভালো অভিনেতা হওয়ার প্রচেষ্টা নয়, বরং রাতারাতি তারকা হওয়ার পেছনে ছুটছেন তারা। তাতে আখেরে কারও লাভ হচ্ছে না, বরং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছবি। তিনি বলেন, অভিনয়ের ওয়ার্কশপে নয়, শুধুই জিমে পাঠানো হচ্ছে তাদের। আদ্যপান্ত গ্ল্যামারকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
অনুরাগ বলেন, তাদের এমনভাবে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে, তারা অভিনয়ে দক্ষতা চেয়ে প্রচারের আলোয় বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। ছবি নির্মাতাদের সঙ্গে অভিনেতাদের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে এবং এর জন্য দায়ী একমাত্র ‘কাস্টিং এজেন্সি’। নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মাধ্যমে শুধুই অর্থ উপার্জন তাদের লক্ষ্য, নতুন অভিনেতা তৈরির দিকে তাদের নজর নেই বলেও জানান পরিচালক।
মন্তব্য করুন
বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্রনায়ক ফারুকের মরদেহ ঢাকায় আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট তার মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় বলে এয়ারলাইন্সটির জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ইউএস-বাংলার বিএস-৩০৮ ফ্লাইটটি নায়ক ফারুকের মরদেহ নিয়ে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন।
তার ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.বি.এম মফিজুর রহমান খান জানান, গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন চিত্রনায়ক ফারুক। তার বাবা আজগর হোসেন পাঠান উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত আছেন। সেখানেই ফারুকের মরদেহ দাফন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘তার (ফারুক) স্ত্রী ফারজানা পাঠান মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান, ছেলে রওশন হোসেনসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবিত অবস্থায় ফারুক সবাইকে (অসিয়ত) বলে গিয়েছেন, যেন মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সোম গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবা আজগর হোসেন পাঠানের কবরের পাশে শায়িত করা হয়।’
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ইউএস বাংলার ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ আসবে। পরে সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
বেলা ১১টায় জাতীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য নেওয়া হবে। বাদ জোহর এফডিসিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন এবং সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষ সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া দক্ষিণ সোম গ্রামের বাড়িতে চতুর্থ জানাজা সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আজগর হোসেন পাঠানের পাশে শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
ফ্যাশন দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আয়োজন মেট গালা। সেই ‘মেট গালা’ তে তারকাদের দুর্দান্ত সব লুক ট্রেন্ড করছে। আর তাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে।এবার বিশ্বের অন্যতম বড় এই ফ্যাশন ইভেন্ট মেট গালাতে শাড়ি পরে হাজির হয়ে নজর কাড়লেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা যায়, ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা শাড়িতে ট্র্যাডিশনাল লুকে লাল গালিচা মাতিয়েছেন তিনি। মেট গালায় আলিয়ার সাজ মুগ্ধ করেছে ভক্তদের। মেট গালায় তোলা বেশ কিছু ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন আলিয়া ভাট।
আলোচিত এই শাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ১৯৬৫ ঘণ্টা। এতে সিল্ক ফ্লস, গ্লাস বিডিং এবং রতœপাথর দিয়ে হাতের কাজ করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে গোলাপী এবং সবুজ রঙের ফুল, পুঁতির ট্যাসেল। এগুলোও হাতে বসানো। শাড়ির অন্যতম আরেক আকর্ষণ হল সামনের দিকে থাকা রাফলড প্লিট। ব্লাউজেও রয়েছে সূক্ষ্ম হাতের কাজ।
গয়না হিসেবে সব্যসাচী বেছে নেন একটি টিকলি। মাথায় ছিল একটি ব্যান্ড, স্টেটমেন্ট কানের দুল, হাই হিল ও আংটি। সঙ্গে ছিল মেসি হেয়ার।
মেট গালায় এটি ছিল আলিয়া ভাটের দ্বিতীয় উপস্থিতি। ২০২৩ সালে মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্টের আইকনিক সিঁড়িতে প্রথমবার পা রাখেন আলিয়া।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার নতুন ওয়েব সিরিজ ‘হীরামান্ডি দ্য ডায়মন্ড বাজার’। সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত এই সিরিজে মল্লিকা জান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
সম্প্রতি এই ছবির প্রচারে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব এই অভিনেত্রী।
মনীষা কৈরালা জানান, প্রেমের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। নেপালি ব্যবসায়ী, স্বামী সম্রাট দাহালের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে আগেই। আবার নতুন প্রেমের অপেক্ষায় এখন মনীষা।
অভিনেত্রী স্বীকার করেছেন, তিনি একজন জীবনসঙ্গী চান এবং প্রেমে থাকতে চান।
তিনি আরও বলেন, তিনি আবার প্রেম খুঁজতে প্রস্তুত।
মনীষা বলেন, ‘আমি অবশ্যই অনুভব করি যে আমার জীবনে যদি একজন মানুষ থাকত, আমার জীবনে যদি আমার একজন সঙ্গী থাকত, তা হলে হয়তো তাকে পেয়ে ভালো লাগত, কিন্তু তাকে খুব সৎ হতে হবে। আমার ভাগ্যে লেখা থাকলে পাবই। যদি না হয়, এটাও ঠিক আছে। আমি অনুভব করি, আমি একটি পূর্ণ জীবনযাপন করছি। আমি তার জন্য অপেক্ষা করছি না বা তার জন্য আমার সময় নষ্ট করছি না। যদি এটা বুঝতে হবে, অন্যথায় আমি আমার জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি খুব শান্তিপূর্ণ এবং প্রেমময় পরিবারের সমর্থন পেয়েছি। আমি একজন ভালো ভাই, ভগ্নিপতি, ভালো বাবা-মা এবং ভালো ও স্নেহময় বন্ধু পেয়েছি। এ ছাড়া কাজ খুব ভালো চলছে। আমি ঘুরতে খুব পছন্দ করি। এটা করতে মজা পাই। তাই আমি খুব ভালো আছি। আমি মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রতিটি উপায়ে সম্পূর্ণ অনুভব করি। তবে হ্যাঁ, যদি আমার একজন সঙ্গী থাকত, তবে আমি এটি উপভোগ করতাম।’
উল্লেখ্য, এই সিরিজের মধ্য দিয়ে ২৮ বছর পর বানসালির সঙ্গে কাজ করছেন মনীষা। সিরিজটিতে মনীষা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন রিচা চাড্ডা, সোনাক্ষী সিনহা এবং অদিতি রাও হায়দারি প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তখন তার নামে ৩৬টি মামলায় হয়। ছাত্র রাজনীতিতে তিনি তখন বেশ সক্রিয়, সিনেমা অভিনয় নিয়ে কোনো ভাবনাই ছিল না তার।
তবে একের পর এক যখন মামলা হতে থাকল তখন তার বন্ধুরাই বলল, ‘সিনেমায় ঢুকে যাও।’ সেই ঘটনার বিবরণ দিয়ে ফারুক বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমার নামে হয়রানিমূলক ৩৬টি মামলা হয়। এগুলো থেকে বাঁচার জন্য আমার কিছু বন্ধুবান্ধব বলে, চলচ্চিত্রে ঢুকে যাও। এরপরই চলচ্চিত্রে আসি।’
ফারুকের প্রথম সিনেমা ‘জলছবি’। ছবিটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৬৮ সালে ছবিটির শুটিং শুরু হয় কিন্তু মুক্তি পায় ১৯৭১-এ। মুক্তির তারিখ ২৫-এ মার্চ বা এর দুই কী তিন দিন আগে, ঠিক মনে নেই। ছবিতে আমার সহকর্মী ছিলেন কবরী। বলা যায়, আমার সিনেমাজীবন শুরুই হয় কবরীর সঙ্গে।’
সাক্ষাৎকারে চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পীদের পারিশ্রমিক নিয়েও আক্ষেপ করতে শোনা যায় অভিনেতাকে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই তিনি জানান প্রথম সিনেমা ‘জলছবি’র পারিশ্রমিক কত ছিল। ফারুক বলেন, ‘আমাকে যথাযথ সম্মান ও সম্মানী দেওয়া হয়নি। আমাকে প্রথম ছবিতে পাঁচ শ টাকা দেওয়া হয়েছিল।’
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি অভিনয় করেছেন ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘আলোর মিছিল’, ‘সুজন সখী’, ‘লাঠিয়াল’, ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘মাটির মায়া’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’, ‘নাগরদোলা’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘কথা দিলাম’, ‘মাটির পুতুল’, ‘সাহেব’, ‘ছোট মা’, ‘এতিম’, ‘ঘরজামাই’, ‘মিয়া ভাই’র মতো অসংখ্য সিনেমায়।
ফারুক তার অভিনয়ের জন্য ১৯বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু তার হাতে পুরস্কার উঠেছিল কেবলই একবার। অবশ্য ২০১৬ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। অভিনয়ের বাইরে তিনি ঢাকা ১৭ আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মানুষ বড় হয়ে শৈশবে ফিরে যেতে চায়। শৈশবের তোলা ছবি সাামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে বর্তমানের সঙ্গে মিল খোঁজার চেষ্টা করেন অনেকেই। সম্প্রতি ভারতের এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী তার শৈশবের একিটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। কে এই অভিনেত্রী? চলুন জেনে নিই─
থ্রোব্যাক ছবির সুন্দর ছোট্ট মেয়েটি বড় হয়ে এখন অভিনেত্রী আদাহ শর্মা। আসলে এই মেয়েটি আর কেউ নয়, ‘দ্য কেরালা স্টোরির’ নায়িকা। তবে ছবিতে তাকে মোটেও চেনা যাচ্ছে না। তবে ছোট থেকেই সে খুব সুন্দরী ছিল।
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাতে অন্যতম মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছে আদাহ শর্মাকে। আদাহ হিন্দি এবং তেলুগু সিনেমায় অভিনয় করেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও খুব সক্রিয় তিনি।অভিনেত্রী আদাহ শর্মা টিভি শোতে অভিনয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। চলচ্চিত্রে আসেন ২০০৮ সালে। ‘১৯২০’ সিনেমার মাধ্যমে তার অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ। আদাহ শর্মা ‘হাসি তো ফাসি’, ‘সুব্রামানিয়াম ফর সেল’, ‘বাইপাস রোড’ এবং ‘হাম হ্যায় রাহি কার কে’-এর মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন।
আদাহ শর্মা ওয়েব শো ‘পতি পাতনি ওউর পাঙ্গা’য় একজন ট্রান্সজেন্ডারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। বর্তমানে তিনি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র শালিনী উন্নীকৃষ্ণণের চরিত্রের জন্য শিরোনামে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা একটি সুখবর শেয়ার করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি জানান, দীর্ঘ চার বছর ধরে আটকে থাকা সিনেমা ‘জলে জ্বলে তারা’ অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে এই মাসেই।
গতকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে মিথিলা ফেসবুকে একটি খবরের ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমাদের সিনেমা, অরুণ চৌধুরী পরিচালিত ছবি ‘জলে জ্বলে তারা’। আসছে ভালোবাসা দিবসে আপনার কাছের প্রেক্ষাগৃহে।’
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার শুটিং শুরু হয় ২০২১ সালে। কিন্তু শুটিং শুরুর মাত্র তিন মাস পর করোনা মহামারি ও আর্থিক সংকটের কারণে সিনেমার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
একাধিকবার শুটিং বন্ধ হয়ে যাওয়া এ সিনেমার কাজ শেষ হলেও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির ক্ষেত্রে দেখা দেয় নানা জটিলতা। অসংখ্যবার মুক্তির তারিখ ঠিক করা হলেও শেষ পর্যন্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি সিনেমাটি।
রোমান্টিক ঘরানার সিনেমা হওয়ায় সিনেমা সংশ্লিষ্টরা এবার চলতি মাসের ভালোবাসা দিবসেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে চলেছেন নতুন এ সিনেমাটি।
এ সিনেমায় মিথিলার সঙ্গে জুটি গড়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা এফ এস নাঈম। ক্যারিয়ারে নাঈমকে এই প্রথমবারের মতো কোনো সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে দেখবেন দর্শকরা।
মুক্তি প্রতীক্ষিত এ সিনেমায় মিথিলা ও নাঈম ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মনিরা মিঠু, আজাদ আবুল কালাম, নূর ইমরান মিঠু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন