স্পোর্টস ডেস্ক:
আগামী ২০ জুন কোপা আমেরিকার ট্রফি ধরে রাখার অভিযান শুরু করবে আর্জেন্টিনা। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবেন লিওনেল মেসিরা। একটিতে প্রতিপক্ষ লাতিন আমেরিকার ইকুয়েডর, আরেকটিতে মধ্য আমেরিকার গুয়েতেমালা।
আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) কাল আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচ দুটির প্রতিপক্ষ ও ভেন্যু নিশ্চিত করেছে।
কোপা আমেরিকার আগে আর্জেন্টিনা দলের প্রীতি ম্যাচের খবর জানা গিয়েছিল আগেই। তবে একটি ম্যাচের প্রতিপক্ষ ও ভেন্যুর বিষয়টি চূড়ান্ত ছিল না। এএফএ ওয়েসবাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৯ জুন শিকাগোর সোলজার ফিল্ড স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলবে আর্জেন্টিনা। আর গুয়েতেমারার বিপক্ষে ম্যাচটি হবে ১৪ জুন ওয়াশিংটন ডিসিতে।
দুটি ম্যাচের মধ্যে লাতিন আমেরিকান দল ইকুয়েডরকে প্রস্তুতির জন্য সেরা প্রতিপক্ষ মনে করছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। ২০২৬ বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে হেরেছে ইকুয়েডর, সর্বশেষ পাঁচটিতে ৩ জয় ২ ড্র তাদের। কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা–ইকুয়েডর দু দলই নিজ গ্রুপ থেকে প্রত্যাশিতভাবে এগোতে পারলে মুখোমুখি দেখা হবে কোয়ার্টার ফাইনাল বা সেমিফাইনালে।
ইকুয়েডরকে ‘কঠিন প্রতিপক্ষ’ আখ্যা দিয়ে স্কালোনি বলেন, খেলোয়াড়েরা লম্বা একটা মৌসুম শেষ করে খেলতে নামবে। অনেকেরই মৌসুমজুড়ে প্রচুর ম্যাচ খেলতে হয়েছে। যে দুটি ম্যাচ আছে, এর মধ্যেই দল প্রস্তুত হয়ে যাবে। ইকুয়েডর কঠিন প্রতিপক্ষ। আর গুয়েতেমালা ম্যাচে অনেক দর্শক হয়। সেটাও ভালো ম্যাচই হবে। কারণ, মানুষ দিন শেষে ভালো ফুটবলই দেখতে আসে।
এদিকে কোপা আমেরিকায় প্রতিটি দলকে ২৩ জনের পরিবর্তে ২৬ জনের স্কোয়াড ঘোষণার সুযোগ দিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। এর আগে উয়েফাও এবারের ইউরোয় ২৬ জনের দলের অনুমোদন দিয়েছে।
কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ ২০ জুন কানাডার বিপক্ষে, আটালান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়াম। ২৫ জুন নিউজার্সিতে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ চিলি। আর ২৯ জুন মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের শেষ প্রতিপক্ষ পেরু।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
আগামী ২০ জুন কোপা আমেরিকার ট্রফি ধরে রাখার অভিযান শুরু করবে আর্জেন্টিনা। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবেন লিওনেল মেসিরা। একটিতে প্রতিপক্ষ লাতিন আমেরিকার ইকুয়েডর, আরেকটিতে মধ্য আমেরিকার গুয়েতেমালা।
আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) কাল আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচ দুটির প্রতিপক্ষ ও ভেন্যু নিশ্চিত করেছে।
কোপা আমেরিকার আগে আর্জেন্টিনা দলের প্রীতি ম্যাচের খবর জানা গিয়েছিল আগেই। তবে একটি ম্যাচের প্রতিপক্ষ ও ভেন্যুর বিষয়টি চূড়ান্ত ছিল না। এএফএ ওয়েসবাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৯ জুন শিকাগোর সোলজার ফিল্ড স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলবে আর্জেন্টিনা। আর গুয়েতেমারার বিপক্ষে ম্যাচটি হবে ১৪ জুন ওয়াশিংটন ডিসিতে।
দুটি ম্যাচের মধ্যে লাতিন আমেরিকান দল ইকুয়েডরকে প্রস্তুতির জন্য সেরা প্রতিপক্ষ মনে করছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। ২০২৬ বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে হেরেছে ইকুয়েডর, সর্বশেষ পাঁচটিতে ৩ জয় ২ ড্র তাদের। কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা–ইকুয়েডর দু দলই নিজ গ্রুপ থেকে প্রত্যাশিতভাবে এগোতে পারলে মুখোমুখি দেখা হবে কোয়ার্টার ফাইনাল বা সেমিফাইনালে।
ইকুয়েডরকে ‘কঠিন প্রতিপক্ষ’ আখ্যা দিয়ে স্কালোনি বলেন, খেলোয়াড়েরা লম্বা একটা মৌসুম শেষ করে খেলতে নামবে। অনেকেরই মৌসুমজুড়ে প্রচুর ম্যাচ খেলতে হয়েছে। যে দুটি ম্যাচ আছে, এর মধ্যেই দল প্রস্তুত হয়ে যাবে। ইকুয়েডর কঠিন প্রতিপক্ষ। আর গুয়েতেমালা ম্যাচে অনেক দর্শক হয়। সেটাও ভালো ম্যাচই হবে। কারণ, মানুষ দিন শেষে ভালো ফুটবলই দেখতে আসে।
এদিকে কোপা আমেরিকায় প্রতিটি দলকে ২৩ জনের পরিবর্তে ২৬ জনের স্কোয়াড ঘোষণার সুযোগ দিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। এর আগে উয়েফাও এবারের ইউরোয় ২৬ জনের দলের অনুমোদন দিয়েছে।
কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ ২০ জুন কানাডার বিপক্ষে, আটালান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়াম। ২৫ জুন নিউজার্সিতে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ চিলি। আর ২৯ জুন মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের শেষ প্রতিপক্ষ পেরু।
মন্তব্য করুন
১০ বছর পর বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ টেস্টে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ৩-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নেয় অজিরা। সিরিজ হারলেও পুরো সিরিজে দাপট দেখিয়েছেন ভারতীয় পেসার জসপ্রীত বুমরাহ। সিরিজ হেরে হতাশ হলেও প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াকে ক্রেডিট দিয়েছেন এই ভারতীয় পেসার।
ম্যাচ শেষে বুমরাহ বলেন, “সিরিজে ভালোই লড়াই হয়েছে। আজ সকালে আমরা লড়াইয়ে ছিলাম। এই সিরিজ আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা দেবে। অনেক কিছু শিখেছি আমরা। আমাদের দলে এখন অনেক তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে, যারা প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট খেলেছে। এই সিরিজ তাদের ভবিষ্যতে সাহায্য করবে। এই অভিজ্ঞতা আগামী দিনে তাদের আরও শক্তিশালী করবে।”
যোগ্য দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “এখানে যেগুলো শিখলাম, সেগুলো আগামী দিনে কাজে লাগাতে হবে আমাদের। ক্রিকেট যেমন শেখার বিষয়, তেমনি পরিবেশ এবং পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়ও। সব মিলিয়ে একটা দারুণ সিরিজ হলো। যোগ্য দল হিসেবে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের অভিনন্দন।”
পিঠের চোটের জন্য সিডনি টেস্টের শেষ দু'দিন দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বল করতে পারেননি বুমরাহ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “খুব হতাশ লাগছে। কিন্তু কখনও কখনও শরীরের কথা ভাবতেই হয়। শরীরের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় না। ইচ্ছা না থাকলেও তাই মেনে নিতে হয়। এই সিরিজে বোলিং খুব উপভোগ করেছি। আজ বল করতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু প্রথম ইনিংসের পর থেকে একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। সকালে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলি। সতীর্থদের ওপর অবশ্য ভরসা ছিল। প্রথম ইনিংসে আমাদের অন্যান্য বোলাররা বেশ ভালো বল করেছে।”
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
কোপা আমেরিকার ফাইনালে আগামীকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র বনাম কলম্বিয়া।যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মিয়ামি গার্ডেনের হার্ড রক স্টেডিয়ামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে।
কোপা আমেরিকার ফাইনালে বিরতির সময়ে মাঠেই পারফর্ম করবেন কলম্বিয়ার জনপ্রিয় গায়িকা শাকিরা।
ফাইনাল ম্যাচে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য বিরতির সময় বৃদ্ধি করে ১৫ থেকে ২৫ মিনিট করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্কঃ
২০২৬ সালের গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসের খেলার সংখ্যা এবং কোন কোন খেলা অনুষ্ঠিত হবে, সে তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকা দেখে বিশেষ করে উপমহাদেশের ক্রীড়া কর্মকর্তা এবং অ্যাথলেটদের মাথায় হাত। ২০২২ সালের চেয়ে অন্তত ৯টি খেলা কমিয়ে আনা হয়েছে ২০২৬ গ্লাসগো গেমসে। যেখানে বাদ দেয়া হয়েছে ক্রিকেট, হকি, ব্যাডমিন্টনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলা।
মূলতঃ স্থান পরিবর্তনের কারণে খেলার সংখ্যাও কমিয়ে আনা হলো। ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমসে হবে মাত্রটি ১০টি খেলা। ২০২২ সালে হয়েছিল ১৯টি। ৯টি খেলা কমিয়ে আনায় উপমহাদেশীয় দেশগুলোর পদক জয়ে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের।
২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমস হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া শহরে; কিন্তু তারা জানিয়ে দেয় আর্থিক সমস্যার কারণে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা সম্ভব না। যে কারণে, ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের সুযোগ পায় স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো।
১২ বছর পর স্কটল্যান্ডের এই শহরে ফিরছে কমনওয়েলথ গেমস; কিন্তু মাত্র ১০ ধরনের খেলা আয়োজন করতে পারবে তারা। আর্থিক কারণেই কম খেলার আয়োজন করা হচ্ছে। ফলে বাদ পড়েছে ক্রিকেট, হকির মতো খেলা। এছাড়া বাদ দিতে হয়েছে ব্যাডমিন্টন, শুটিং, কুস্তিও। এই খেলাগুলো থেকে ভারতেরই সবচেয়ে বেশি পদক জয়ের সম্ভাবনা ছিল।
গ্লাসগোতে ২০২৬ সালে কমনওয়েলথ গেমসে অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স, ট্র্যাক সাইক্লিং, নেট বল, ভারোত্তোলন, বক্সিং, জুডো, বাস্কেটবল এবং লন বল খেলা হবে। মোট চারটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে খেলাগুলো। গেমস উপলক্ষে ভিলেজ তৈরি করা হবে না। খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফদের রাখা হবে হোটেলে।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে গ্লাসগোয় কমনওয়েথ গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সেবার তারা খরচ করেছিলো ৫৪০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৮ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা)। এবার এই খরচ অনেক কমিয়ে আনা হবে। ৭৪টি কমনওয়েলথ দেশ এবং স্বাধীন অঞ্চল থেকে মোট তিন হাজার অ্যাথলেট গেমসে অংশ নেবে।
মন্তব্য করুন
রিয়াল মাদ্রিদ শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও শীর্ষে। লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল এবার গড়েছে আরেকটি ঐতিহাসিক রেকর্ড। ডেলোয়েটের বার্ষিক ফুটবল মানি লিগের তথ্য অনুযায়ী, রিয়াল মাদ্রিদ এক মৌসুমে ১.০৫ বিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা) আয়ের রেকর্ড গড়েছে।
রিয়ালের এই আকাশছোঁয়া আয়ের পেছনে বড় অবদান তাদের সংস্কার করা সান্তিয়াগো বার্নাবেউ স্টেডিয়ামের। স্টেডিয়ামের আধুনিকীকরণের ফলে ২০২৩-২৪ মৌসুমে রিয়ালের ম্যাচডে আয় দ্বিগুণ হয়ে ২৪৮ মিলিয়ন ইউরো হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে স্টেডিয়াম সংস্কারে ক্লাবটি ১ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি ঋণ নিয়েছে।
নতুন বার্নাবেউতে যোগ হয়েছে আধুনিক ধাতব ছাদ, উন্নত ভিআইপি এলাকা, দোকান, রিট্র্যাক্টেবল পিচ এবং আরও অনেক সুবিধা। পপ তারকা টেলর সুইফটের কনসার্ট এবং স্পেনে এনএফএলের প্রথম খেলা এখানেই আয়োজিত হয়েছে। তবে আওয়াজ দূষণের অভিযোগের কারণে কিছু সময়ের জন্য কনসার্ট আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছে।
ডেলোয়েটের মানি লিগে রিয়াল মাদ্রিদ প্রথম (১.০৫ বিলিয়ন ইউরো)। তাদের পরেই রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি (৮৩৮ মিলিয়ন ইউরো) এবং প্যারিস সেন্ট-জার্মেইঁ (৮০৬ মিলিয়ন ইউরো)। শীর্ষ দুই দলের আয়ের ব্যবধান ২০৮ মিলিয়ন ইউরো, যা মানি লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ইংলিশ ক্লাবগুলো টিভি সম্প্রচার রাজস্বের ফলে মানি লিগের শীর্ষ ২০-এ আধিপত্য করেছে। এর মধ্যে ৯টি ক্লাবই ইংল্যান্ডের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরার পর আয়ের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে (৭৭১ মিলিয়ন ইউরো) উঠে এসেছে। অন্যদিকে, ক্যাম্প ন্যু সংস্কারের কারণে বার্সেলোনা ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে।
আর্সেনাল, লিভারপুল, টটেনহ্যাম এবং চেলসি শীর্ষ দশে অবস্থান করছে। যদিও লিভারপুল, টটেনহ্যাম এবং চেলসি গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।
ডেলোয়েট স্পোর্টস বিজনেস গ্রুপের প্রধান টিম ব্রিজ বলেছেন, “ফুটবল ক্লাবগুলো এখন তাদের স্টেডিয়ামকে শুধুমাত্র খেলার স্থান হিসেবে নয়, বরং বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করছে। এটি নতুন দর্শক, স্পনসর এবং ব্যবসার সুযোগ তৈরি করছে।”
রিয়াল মাদ্রিদের নতুন পথচলা শুধু ফুটবল নয়, বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে একটি অনন্য উদাহরণ।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে গতকাল ৭৫ মিনিটে মাঠে নামেন লুকা মদ্রিচ। নেমেই ডিফেন্সচেরা পাসে মনে করিয়ে দেন ফুরিয়ে যাননি এখনো। ম্যাচে দারুণ একটি মাইলফলকও অর্জন করেন ৩৮ বছরের মদ্রিচ। রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে মদ্রিচই এখন সবচেয়ে বেশি বয়সে ম্যাচ খেলা ফুটবলার।
মদ্রিচ ছাড়িয়ে গেছেন রিয়াল কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাসকে। অ্যারিয়েঞ্জ অ্যারিনায় গতকালের ম্যাচের দিন মদ্রিচের বয়স ছিল ৩৮ বছর ২৩৪ দিন। পুসকাস রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলেছিলেন ৩৮ বছর ২২৯ দিন বয়সে।
পুসকাসের তৈরি করা কীর্তি ৫৯ বছর পর ভাঙলেন মদ্রিচ। ১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর তৎকালীন ইউরোপিয়ান কাপে কিলমারনকের বিপক্ষে সেই কীর্তি গড়েছিলেন পুসকাস। রিয়ালের হয়ে সবমিলিয়ে ৫২৮তম ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১১৮তম ম্যাচে কীর্তিটি গড়লেন মদরিচ। তথ্য বেইন স্পোর্টসের।
ম্যাচ খেলার রেকর্ডেও এদিন ভাগ বসিয়েছেন মদ্রিচ। ছাড়িয়ে গেছেন ৫২৭ ম্যাচ খেলা ডিফেন্ডার রবার্তো কার্লোসকে। রিয়ালের ইতিহাসে ১৪তম সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ফুটবলার এখন মদ্রিচ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচ খেলার তালিকায় তিনি এখন পঞ্চম। রিয়ালের হয়ে এই প্রতিযোগিতায় তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন ইকার ক্যাসিয়াস, করিম বেনজেমা, রাউল গঞ্জালেস ও সার্জিও রামোস।
ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলার মদ্রিচ ৩৯ বছরে পা দিচ্ছেন চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর। তবে রিয়ালের সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। রিয়ালের ইতিহাসের সবেচেয়ে বুড়ো খেলোয়াড় হিসেবে ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়তে তাই নতুন চুক্তির আওতায় আসতে হবে মদ্রিচকে। ১৯৬৬ সালের মে মাসে পুসকাস যখন কোপা দেলরেতে রিয়ালের হয়ে শেষ পেশাদার ম্যাচটি খেলেন, তখন তার বয়স হয়েছিল ৩৯ বছর ৩৬ দিন।
রিয়ালের হয়ে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলা সবচেয়ে বুড়ো ফুটবলার
লুকা মদ্রিচ: ৩৮ বছর ২৩৪ দিন
ফেরেঙ্ক পুসকাস: ৩৮ বছর ২২৯ দিন
বুয়ো: ৩৮ বছর ৫৩ দিন
দি স্তেফানো: ৩৭ বছর ৩২৮ দিন
দুদেক: ৩৭ বছর ২৬০ দিন
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে বেলজিয়ামের কেউ নাকে আঘাত করার চেষ্টা করলে একদম অবাক হবেন না কিলিয়ান এমবাপে। তবে দেশের জন্য এই ব্যথা সইতেও প্রস্তুত ফ্রান্স অধিনায়ক।
অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই নাকে আঘাত পেয়েছিলেন এমবাপে। পরে জানা যায়, সময়ের সেরা এই ফুটবলারের নাক ভেঙেই গেছে। যে কারণে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তাকে মাঠে নামাননি ফ্রান্স কোচ দিদিয়ে দেশম।
পরে নাকে মাস্ক পরে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি খেলেন ফ্রান্স অধিনায়ক। ওই ম্যাচেই ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম গোলটিও করেন তিনি। তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিতের পর এবার নকআউটে তাদের প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম। আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় মাঠে নামবে তারা।
নাকে আঘাত পাওয়ার পর এই ম্যাচের আগের দিনই প্রথম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন এমবাপে। ওই সময়ের তাৎক্ষণিক অনুভূতি জানান ফ্রান্স অধিনায়ক। তার এটিও জানা, যে কোনো সময় আরও গুরুতর আঘাত পেতে পারেন নাকে। এমবাপের শঙ্কা, বেলজিয়াম ম্যাচেই আঘাত করা হতে পারে তার ভাঙ নাকে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, আপনি যদি ভাঙা নাক নিয়ে খেলেন এবং নাকের এখনও অপারেশন না করা হয়, তাহলে আপনিই (প্রতিপক্ষের) লক্ষ্য। দেশে ফিরে অপারেশন না করে, খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই আমি জানতাম, কীসের ঝুঁকি নিচ্ছি আমি।
তবে সম্ভাব্য ঝুঁকি মাথায় রেখেই অপারেশন না করিয়ে মাস্ক পরে খেলার সিদ্ধান্তের কথা বলেন তিনি। এমবাপে জানান, হয়তো কিছুটা পেশীশক্তি প্রয়োগ করা হতে পারে আমার ওপর। এটি হয়তো ব্যথার কারণ হবে। তবে এই জার্সির জন্য ও ফ্রান্সকে সাহায্য করার জন্য আমি সব কিছু করতে প্রস্তুত। এটি যদি হয় যে, কেউ আমার নাকে মারবে, তাই হোক। এটি এরই মধ্যে ভাঙা।
মন্তব্য করুন
ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পারফর্ম করা তরুণ ক্রিকেটারদের চান রবি শাস্ত্রী। এদের গড়ে তুলতে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের সাময়িক সময়ের জন্য দলের বাইরে চান ভারতের সাবেক এই কোচ। অবশ্য ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যদি রোহিত-কোহলিরা ফর্মে না থাকেন বা ধারাবাহিক না হন- সেক্ষেত্রে ওই সময়ে এগিয়ে থাকা ক্রিকেটারকেই দলে চান তিনি।
এবারের আইপিএলে দারুণ পারফর্ম করছেন ইয়াশভি জয়সাওয়াল, জিতেশ শর্মা, তিলক ভার্মা, নেহাল ওয়াধেরা, রিঙ্কু সিং, প্রভসিমরান সিং, আনমলপ্রীত সিংদের মতো ক্রিকেটাররা। জয়সাওয়াল, রিঙ্কু, জিতেশরা যেমন আন্তর্জাতিক তারকাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিয়মিত রান করে দল জেতাচ্ছেন, বাকিরাও প্রয়োজন অনুযায়ী দারুণ খেলছেন।
বিশেষ করে ১২০-৩০ বা ১৭০-৮০, এমনকি দুইশর বেশি স্ট্রাইক রেটেও রান করছেন অনেকেই। এসব প্রতিভাবানদের হারাতে চান না শাস্ত্রী। দ্রুতই তাদের ভারতীয় দলে চান সাবেক এই ক্রিকেটার।
শাস্ত্রী বলেন, 'এরপর প্রথম যে টি-টোয়েন্টি সিরিজই আসে, এই তরুণদের খেলানো উচিত। এদের সামনে আনা উচিত। তাদের এখনই প্রস্তুত করা উচিত। রোহিত, কোহলির মতো ক্রিকেটাররা আগেই প্রমাণিত। আপনি জানেন তারা কী করতে পারে।'
'আমি আইপিএলে পারফর্ম করাদেরই দলে চাইব যেন তারা সুযোগ পায়। এতে তারাও যেমন সুযোগ পাবে, রোহিত-কোহলিরাও ওয়ানডে আর টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নিজেদের সতেজ রাখতে পারবে।'
ক্রিকইনফোর সেই অনুষ্ঠানে শাস্ত্রীর এমন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হয়, 'তাহলে রোহিত, কোহলি বা লোকেশ রাহুলরা কি জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন না?'
জবাবে শাস্ত্রী বলেন, 'এক বছর অনেক লম্বা সময়। কেউ ফর্মে থাকতে পারে। ফর্ম হারাতেও পারে। আপনার ওই সময়ের সেরা ক্রিকেটারকে খুঁজে বের করতে হবে। অবশ্যই অভিজ্ঞতা বা ফিটনেস- এসবও বিবেচনায় আসবে। কে সেই মুহূর্তে ধারাবাহিক, রান করছে কিনা, কোথায় রান করছে- এসবও দেখতে হবে।'
'দলে সঠিক পজিশনের জন্য সঠিক ক্রিকেটারকে দরকার। কেউ যদি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে তিন-চারে ব্যাটিং করে তাহলে জাতীয় দলে তাকে দিয়ে আপনি ওপেন করাবেন বা ছয়ে নামাবেন- ব্যাপারটা কিন্তু তেমন নয়।'
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ফিফা বর্ষসেরা কোচের প্রতিযোগিতায় স্থান পেয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি। রিয়াল মাদ্রিদের এই কোচ ছাড়াও সেরা পাঁচে রয়েছেন লিওনেল স্কালোনি, লুইস দে লা ফুয়েন্তে, জাবি আলোন্সো এবং পেপ গুয়ার্দিওলা।
গতকাল শুক্রবার ফিফা বর্ষসেরা কোচ ও খেলোয়াড়ের জন্য মনোনীত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেছে। এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে তাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে।
ফিফার এই পুরস্কারে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে ভক্ত-সমর্থকদেরও। সেরা খেলোয়াড়, সেরা কোচ এবং সেরা গোলকিপারের জন্য দর্শকদের ভোট মোট ভোটের ২৫ শতাংশ দেবে। বাকি ৭৫ শতাংশ ভোট দেবেন ফিফা সদস্যদেশগুলোর অধিনায়ক, কোচ এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।
আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফিফার ওয়েবসাইটে ভোট দেওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন