

চলতি আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে রান করে চলেছেন তরুণ ভারতীয় ব্যাটার শুভমান গিল। টুর্নামেন্টটির ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স এবারও রয়েছে সবার ওপরে। যেখানে গিলের অবদান অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। আগের ম্যাচে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকার পর তিনি আর দ্বিতীয় সুযোগটা হাতছাড়া করলেন না। আইপিএলের প্রথম ম্যাজিক ফিগার পেয়েছেন তিনি। তার আলো ছড়ানোর আরেকটি রাতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৪ রানে হারিয়েছে গুজরাট। একইসঙ্গে সবার আগে তারা কোয়ালিফায়ারে ওঠে গেছে।
সোমবার (১৫ মে) রাতে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা গিলের সেঞ্চুরিতে ১৮৯ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় গুজরাট। এটি কেবল গিলেরই নয়, গুজরাটের কোনো খেলোয়াড়েরও আইপিএলে এটাই প্রথম সেঞ্চুরি। এদিন রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহাকে ফেরান হায়দরাবাদের ভুবনেশ্বর কুমার। হায়দরাবাদের এই পেসার ৫ উইকেট নিয়েছেন। তবে তার এমন দাপটও গুজরাটের রানের চাকা বন্ধ করে দিতে পারেনি।
শুরুতেই উইকেট হারালেও ওয়ানডাউনে নামা সাই সুদর্শনের সঙ্গে বড় জুটি গড়েন গিল। দুজনের জুটিতেই গুজরাট ১৪৭ রানের শক্ত ভিত পেয়ে যায়। তখন মাত্র ১৫তম ওভার শুরু হয়। ফলে অনায়াসেই মনে হয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা দুইশ’র কোঠা সহজেই পার করবে। কিন্তু সুদর্শন ৩৬ বলে ৪৭ রান করে আউট হওয়ার পর ধসে পড়ে গুজরাটের মিডল অর্ডার লাইনআপ। এরপর অল্প রানের ব্যবধানেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে থাকেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া, ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াতিয়া।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্কঃ
পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানের যুবাদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। প্রথম সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে সমান ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। আগামী ৮ ডিসেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
২০২৩ সালের আসরে আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো যুব এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার ভারতের বিপক্ষে শিরোপা ধরে রাখার লড়াই আজিজুল হাকিম তামিমের দলের।
শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতেই অর্ধেক কাজ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। দুই পেসার ইকবাল হোসেন ইমন ও মারুফ মৃধা অগ্নিঝরা বোলিংয়ে মোট ৬ উইকেট তুলে নেন পাকিস্তানের।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ৩৭ ওভারে মাত্র ১১৬ রান করে। জবাব দিতে নেমে ২২.১ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে দাপুটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৩২ রান করেন ফারহান ইউসুফ। ৬৫ বলে ২৮ রান করেন মোহাম্মদ রিয়াজুল্লাহ। ৪১ বলে ১৮ রান করেন অধিনায়ক সাদ বাইগ। ৩০ বলে ১০ রান নেন হারুন আরশাদ। বাকিরা ছিলেন এক অংকে আটকা।
জবাব দিতে নেমে দলীয় ২৮ রানে দুই ওপেনার কালাম সিদ্দিকি (১৪ বলে ০) ও জাওয়াদ আবরারকে (২৫ বলে ১৭) হারায় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে আজিজুল হাকিম ও শিহাব জেমসের ৫৭ রানের জুটিতে জয়ের সুবাস পায় যুব টাইগাররা। ৩৬ বলে ২৬ রান করে শিহাব জেমস আউট হয়ে গেলে রিজান হোসেনকে নিয়ে ম্যাচ জেতান আজিজুল হাকিম।
৪২ বলে ৬১ রানের হার না মানা অনবদ্য ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। তার সঙ্গে রিজান অপরাজিত থাকেন ৫ রানে।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্কঃ
একটা সময় নিন্দুকেরা বলছেন, নিজের জন্য এবং ক্লাবের জন্য খেলেন মেসি। জাতীয় দলের জন্য না, তার মধ্যে নেই দেশপ্রেম। তবে জাতীয় দলে হয়েও সবকিছু অর্জন করার পর সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে যখন ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়ছিলেন মেসি।
তখন তার চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়েছিল বেদনার অশ্রু। একটা ট্রফির জন্য কিংবদন্তির এমন কান্না দেখে কোটি ফুটবল ভক্তদের হৃদয় কেঁদেছে। আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককে সময়ের সেরা খেলোয়াড় তো বটেই, অনেকে এলএম-টেন মানেন সর্বকালের সেরা ফুটবলার।
এবার এই তালিকায় যোগ দিয়েছে স্প্যানিশ জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম মার্কা। তার হাতে তুলে দিয়েছে সর্বকালের সেরা ও সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী ফুটবলারের পুরস্কার জিতলেন এই কিংবদন্তি। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের একটা সময় স্প্যানিশদের তল্লাটে কাটিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
এক যুগের বেশি সময় ধরে খেলেছেন স্প্যানিশ জায়েন্ট ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে। ক্লাবটিকে চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ১০টি লা লিগায় শিরোপাসহ জিতেছেন মোট ৩৪টি শিরোপা। এছাড়াও পুরো ক্যারিয়ারে ৪৬টি ব্যক্তিগত ও ৫৬টি দলগত শিরোপা জিতেছেন এই কিংবদন্তি। এবার ক্যারিয়ারে গোধূলীলগ্নে এসে স্প্যানিশ জনপ্রিয় দৈনিক মার্কা কর্তৃক সর্বকালের সেরা ও সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন সর্বোচ্চ আট বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এই ফুটবলার।
মন্তব্য করুন


রিয়াল মাদ্রিদ শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও শীর্ষে। লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল এবার গড়েছে আরেকটি ঐতিহাসিক রেকর্ড। ডেলোয়েটের বার্ষিক ফুটবল মানি লিগের তথ্য অনুযায়ী, রিয়াল মাদ্রিদ এক মৌসুমে ১.০৫ বিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা) আয়ের রেকর্ড গড়েছে।
রিয়ালের এই আকাশছোঁয়া আয়ের পেছনে বড় অবদান তাদের সংস্কার করা সান্তিয়াগো বার্নাবেউ স্টেডিয়ামের। স্টেডিয়ামের আধুনিকীকরণের ফলে ২০২৩-২৪ মৌসুমে রিয়ালের ম্যাচডে আয় দ্বিগুণ হয়ে ২৪৮ মিলিয়ন ইউরো হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে স্টেডিয়াম সংস্কারে ক্লাবটি ১ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি ঋণ নিয়েছে।
নতুন বার্নাবেউতে যোগ হয়েছে আধুনিক ধাতব ছাদ, উন্নত ভিআইপি এলাকা, দোকান, রিট্র্যাক্টেবল পিচ এবং আরও অনেক সুবিধা। পপ তারকা টেলর সুইফটের কনসার্ট এবং স্পেনে এনএফএলের প্রথম খেলা এখানেই আয়োজিত হয়েছে। তবে আওয়াজ দূষণের অভিযোগের কারণে কিছু সময়ের জন্য কনসার্ট আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছে।
ডেলোয়েটের মানি লিগে রিয়াল মাদ্রিদ প্রথম (১.০৫ বিলিয়ন ইউরো)। তাদের পরেই রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি (৮৩৮ মিলিয়ন ইউরো) এবং প্যারিস সেন্ট-জার্মেইঁ (৮০৬ মিলিয়ন ইউরো)। শীর্ষ দুই দলের আয়ের ব্যবধান ২০৮ মিলিয়ন ইউরো, যা মানি লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ইংলিশ ক্লাবগুলো টিভি সম্প্রচার রাজস্বের ফলে মানি লিগের শীর্ষ ২০-এ আধিপত্য করেছে। এর মধ্যে ৯টি ক্লাবই ইংল্যান্ডের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরার পর আয়ের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে (৭৭১ মিলিয়ন ইউরো) উঠে এসেছে। অন্যদিকে, ক্যাম্প ন্যু সংস্কারের কারণে বার্সেলোনা ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে।
আর্সেনাল, লিভারপুল, টটেনহ্যাম এবং চেলসি শীর্ষ দশে অবস্থান করছে। যদিও লিভারপুল, টটেনহ্যাম এবং চেলসি গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।
ডেলোয়েট স্পোর্টস বিজনেস গ্রুপের প্রধান টিম ব্রিজ বলেছেন, “ফুটবল ক্লাবগুলো এখন তাদের স্টেডিয়ামকে শুধুমাত্র খেলার স্থান হিসেবে নয়, বরং বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করছে। এটি নতুন দর্শক, স্পনসর এবং ব্যবসার সুযোগ তৈরি করছে।”
রিয়াল মাদ্রিদের নতুন পথচলা শুধু ফুটবল নয়, বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে একটি অনন্য উদাহরণ।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
৮ জুলাই ২০১৪। ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামের বাইরে দর্শকদের হইহুল্লোড় আর উচ্ছ্বাস। স্টেডিয়ামের ভেতরে ব্রাজিল-জার্মানির মধ্যকার ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল উপলক্ষে সব আয়োজন সম্পন্ন। সেখানকার দর্শকদের আনন্দ অভিব্যক্তি দেখে রোমাঞ্চকর এক লড়াই শুরু হওয়ার প্রহর গুনছে পুরো ফুটবলবিশ্ব।
টুর্নামেন্টে তখন পর্যন্ত দুই দলই অপরাজিত। কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমে ইনজুরির স্বীকার ব্রাজিলের প্রধান তারকা নেইমার জুনিয়র হাসপাতালে। আর টানা দুই ম্যাচে হলুদকার্ড দেখে নিষিদ্ধ দলের মূল ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা।
ব্রাজিলের দুই তারকা না থাকলেও আশা করা হচ্ছিল, দুর্দান্ত এক সেমিফাইনালই দেখবে বিশ্ব। কারণ, ২০০২ বিশ্বকাপে এই জার্মানিকেই ২-০ গোলে হারিয়ে পঞ্চম শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল।
খেলা শুরুর আগে মারাকানা স্টেডিয়ামের ভেতরের চিত্র।
কিন্তু কে জানতো, কিছুক্ষণ পরই লেখা শুরু হবে ব্রাজিল ফুটবলের কালো অধ্যায়। যে কালোতে ঢাকা পড়বে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ইতিহাসের আগের সব ক্ষত। ব্রাজিলিয়ানদের হতে হবে সেমির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় খলনায়ক। ঘরের মাঠে টানা ৬২ ম্যাচে অপরাজিত সেলেসাওদের হজম করতে হবে ৭-১ গোলের ন্যাক্কারজনক হার।
টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিলের সঙ্গে ফুটবল ইতিহাসের বিভীষিকাময় ঘটনাই ঘটেছিল সেদিন। ১১ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে ডানপায়ের শটে ব্রাজিলের জালে প্রথম কম্পন সৃষ্টি করেন টমাস মুলার। সেই তো শুরু। এরপর ২৯ মিনিটে ম্যাচের স্কোরলাইনের চিত্র ব্রাজিল ০-৫ জার্মানি।
গোল হজমের পর হতাশায় মুখ লুকাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো।
মারাকানায় সেদিন ৬ মিনিটে ৪ গোল হজম করে ব্রাজিল। ২৩ মিনিটে জার্মানির মিরাস্লাভা ক্লোসা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এতে অনেক ব্রাজিল সমর্থকের অক্ষিকোটর থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে পানির স্রোত। এরপর একের পর এক গোলে সেই পানির স্রোত বইতে শুরু করে পুরো মারাকানায়।
টনি ক্রুসের প্রথম গোল উদযাপন করছে জার্মানি।
২৪ মিনিটে গোল করেন টনি ক্রস। তার ২ মিনিট পরই নিজের দ্বিতীয় গোল করেন জার্মান মিডফিল্ডার। ২৯ মিনিটে মাঝমাঠের খেলোয়াড় সামি খাদিরার গোলে ব্যবধান ৫-০ করে বিরতিতে যায় জার্মানি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯ ও ৭৯ মিনিটে আরও দুটি গোল করেন জার্মান ফরোয়ার্ড আন্দ্রে হর্স্ট স্কুরেল। এতে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ব্রাজিল ০-৭ জার্মানি। ম্যাচের শেষ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অস্কার (৭-১)।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
আজ স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত সব খোলা। এরপরও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে দর্শক উন্মাদনার কমতি নেই। মিরপুর শেরে বাংলায় প্রথম ম্যাচেই গ্যালারি ভরে গেছে দর্শকে। স্টেডিয়ামের গেটেও উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্যনীয়।
দর্শকদের চাপ এত বেশি ছিল, খেলা শুরুর দুই ঘণ্টা আগেই হোম অব ক্রিকেটের মূল প্রবেশদ্বার ২ নম্বর গেটের বাইরে টিকিট না পাওয়া দর্শকদের উন্মত্ত আচরণে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়। টিকিট না পেয়ে ২ নম্বর গেট দিয়ে মূল গেটে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন দর্শকরা। এক পর্যায়ে গেটের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢুকে পড়েন তারা।
অপ্রত্যাশিত এ ঘটনা বাদ দিলে দর্শকদের এই উন্মাদনা বিপিএলের মতো আসরে ইতিবাচক। বিশেষ করে এর আগে বিপিএলে সিলেট, চট্টগ্রামে এই উন্মাদনা থাকলেও ঢাকার মাঠে দর্শক কম দেখা গেছে। এবারের শুরুতে বেশ দর্শক দেখা গেলো।
প্রথম ম্যাচ চলছে ফরচুন বরিশাল আর দুরন্ত রাজশাহীর। দ্বিতীয় ম্যাচ সন্ধ্যায় ঢাকা ক্যাপিটালস আর রংপুর রাইডার্সের। হাইভোল্টেজ সে ম্যাচে দর্শক উন্মাদনা আরও বাড়বে নিঃসন্দেহে।
দেড়মাসব্যাপী বিপিএলের একাদশ আসর ৩০ ডিসেম্বর শুরু হয়ে চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন


স্প্যানিশ ফুটবলের নতুন প্রজন্মের আলোচিত নাম লামিনে ইয়ামাল। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলপ্রেমীদের নজর কাড়ছেন এই প্রতিভাবান তরুণ। শিশুকালে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসির সংস্পর্শ পেয়েছিলেন তিনি। এখন নিয়মিত মাঠে মুগ্ধতা ছড়িয়ে বার্সেলোনার হয়ে একের পর এক ট্রফি জিতে নিচ্ছেন নিজের অর্জনের ঝুলিতে।
অনেকে মেসি পরবর্তী যুগে শূন্যস্থান পূরণ হিসেবে এই স্প্যানিশ তারকাকে দেখে থাকেন। তবে মেসি নয়, ইয়ামাল নিজের আইডল মনে করেন সাবেক বার্সা তারকা ব্রাজিলিয়ান সেনসেইশন নেইমারকে। সম্প্রতি সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল নিজের আদর্শ, ভবিষ্যৎ এবং বার্সেলোনার জীবন নিয়ে কথা বলেছেন।
নিজের ফুটবল আদর্শ প্রসঙ্গে ইয়ামাল বলেন, ‘আমি ৫ বছর বয়সে তাকে (নেইমার) সান্তোসে (ব্রাজিলিয়ান ক্লাব) দেখেছিলাম। পরে যখন বয়স সাত হয়, তাকে বার্সেলোনায় ক্যাম্প ন্যু’র একজন সদস্য হিসেবে পাই। তার সরাসরি সাক্ষাৎ পাওয়াটা ছিল অবিশ্বাস্য কিছু। এটি সত্য যে, সেখানে থাকা (লিওনেল) মেসিও একজন দুর্দান্ত ফুটবলার, তবে সে (নেইমার) সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। নেইমার সবসময়ই আমার আদর্শ (আইডল) ছিলেন, তিনি একজন তারকা এবং ফুটবল কিংবদন্তি।’
বার্সেলোনাতে দীর্ঘ সময় খেলার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন এই স্প্যানিশ তরুণ তারকা। ইয়ামাল বলেন, ‘আমি জানি না কখন কী (চুক্তি স্বাক্ষরের সময়) হবে, তবে বিশ্বাস করি সেটি শিগগিররই হবে। সবমিলে বার্সা ক্লাব আমার জীবন, আমি আশা করব যতটা সম্ভব বেশি সময় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিতে যাব। আমি স্প্যানিশ লিগে খেলতে চাই, বার্সার হয়ে খেলতে চাই এবং চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী।’
মন্তব্য করুন


ব্যালন ডি’অর পুরস্কার নিয়ে গত বছর বেশ কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পরিবর্তে ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার রদ্রিগেকে ব্যালন ডি’অর দেওয়া হলে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ক্ষোভে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। এমনকি তার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদও এই অনুষ্ঠান বয়কট করেছে।
ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের হাতে ব্যালন ডি’অর না যাওয়ার খবর পেয়ে রিয়াল মাদ্রিদ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি। ভিনিসিয়ুস কেন প্যারিসে যাননি, তা নিয়ে দীর্ঘদিন পর এবার তিনি নিজেই কথা বলেছেন।
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ব্যালন ডি’অর নিয়ে ভিনিসিয়ুসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমাকে আমার ক্লাব যা করতে বলেছে, আমি তা-ই করেছি। তারা আমাকে মাদ্রিদে থাকতে বলেছে, আমি সেটাই করেছি। কোনো সমস্যা নেই। আমরা এখন পরের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।"
ব্যালন ডি’অর জয়ের সবচেয়ে বড় দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত পুরস্কারটি না পাওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল—এমন প্রশ্নের জবাবে ভিনিসিয়ুস বলেন, "আমি কখনোই ব্যালন ডি’অর জেতার স্বপ্ন দেখিনি। তবে আপনি যদি এত কাছাকাছি যান, তাহলে অবশ্যই সেটা পেতে চাইবেন। তবে আমার জন্য এখনও ব্যক্তিগত পুরস্কার এবং ক্লাবের হয়ে ট্রফি জেতার সুযোগ আছে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি ইতিমধ্যে দুটি ইউরোপীয় ট্রফি জিতেছি। আরও জেতার জন্যই আমি এখানে আছি।"
ভিনিসিয়ুস শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ইতিহাস গড়ার লক্ষ্য নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, "আমি এখানে ইতিহাস লেখার জন্য এসেছি। এই ক্লাব এবং প্রেসিডেন্ট আমাকে যা দিয়েছেন, আমি তা শোধ করতে চাই। আশা করি, আমি গোল করে যেতে পারব এবং এই জার্সি গায়ে দিয়ে আরও অনেক ম্যাচ খেলব। এখন আমি জয়ের স্বাদ পেয়েছি এবং এখানে আমার ইতিহাস লেখা শুরু করেছি। আমি আরও চাই।"
মন্তব্য করুন


রমজান মাস মুসলিমদের জন্য আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের বিশেষ সময়। এই মাসে মুসলিমরা সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সিয়াম পালন করেন। শুধু সাধারণ মানুষই নন, পেশাদার ক্রীড়াবিদরাও রোজা রেখে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। রোজা রেখে ফুটবলের মতো শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জিং খেলা খেলা সহজ কাজ নয়। তবুও বিশ্বের অনেক মুসলিম ফুটবলার সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে রোজা রাখেন এবং মাঠে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হলো বার্সেলোনার স্প্যানিশ তারকা লামিন ইয়ামাল।
লামিন ইয়ামালের বাবা মরক্কোর এবং মা গিনির বংশোদ্ভূত। তবে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা স্পেনে। মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া এই তরুণ ফুটবলার ইতিমধ্যেই বার্সেলোনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন। পবিত্র রমজান মাসে তিনি অন্যান্য মুসলিমদের মতোই রোজা রাখছেন এবং রোজা অবস্থায়ই লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলছেন।
সম্প্রতি কিছু গুঞ্জন উঠেছিল যে, ক্লাবের পক্ষ থেকে লামিন ইয়ামালের রোজা রাখার বিষয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বেনফিকার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের রাউন্ড অব সিক্সটিনের প্রথম লেগে তাকে দ্রুত বদলি করে নেওয়ার পেছনেও রোজা রাখাকে কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছিল। তবে স্প্যানিশ গণমাধ্যম ডিয়ারিও এএস জানিয়েছে, ট্যাকটিকাল কারণেই সেদিন ইয়ামালকে বদলি করেছিলেন বার্সেলোনার কোচ হ্যান্সি ফ্লিক।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রোজা রাখার ক্ষেত্রে ইয়ামালকে কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। বরং ক্লাবের মেডিক্যাল টিম তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। ক্লাবের পুষ্টিবিদরা ইয়ামালের সাহরি ও ইফতারের মেন্যু ঠিক করে দিচ্ছেন, যাতে তিনি রোজা রাখার পাশাপাশি খেলায় সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স দিতে পারেন।
চলতি মাসে ইয়ামাল বার্সেলোনার নিজস্ব আবাসন প্রকল্প লা মাসিয়া ত্যাগ করে তার দাদি ফাতিমা ও চাচা আব্দুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন। সেখানে পরিবারের সঙ্গে ইফতার ও সাহরি করছেন তিনি। ক্লাবের পক্ষ থেকে ম্যাচের দিন তার ইফতারের সময়সূচির দিকেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
এই উদ্যোগগুলো দেখায় যে, ক্লাব লামিন ইয়ামালের ধর্মীয় বিশ্বাস ও রোজা রাখার সিদ্ধান্তকে সম্মান করছে এবং তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। রোজা রেখেও মাঠে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার মাধ্যমে ইয়ামাল তার ধর্মীয় ও পেশাগত দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করছেন।
মন্তব্য করুন


ফুটবল বিশ্বের সেরা গোলরক্ষকদের মধ্যে বর্তমানে অন্যতম আর্জেন্টাইন তারকা এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তিনি টানা দুই মৌসুমে ব্যালন ডি'অরের মঞ্চে 'ইয়াশিন ট্রফি' জিতেছেন এবং একদিন আগেই 'ফিফা দ্য বেস্ট' গোলরক্ষকের পুরস্কারও অর্জন করেছেন। এসব অর্জন তার মাঠের পারফরম্যান্স এবং দলের প্রতি অবদানকে স্বীকৃতি দেয়। এই পরিস্থিতিতে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কবে গ্লাভস তুলে রাখবেন তিনি।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ২০২২, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ী দলের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলবিসেলেস্তে ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ) একটি সাক্ষাৎকার আয়োজন করে। ভিডিওটি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। এএফএ আয়োজিত 'ফুটবল টক' অনুষ্ঠানে মার্টিনেজ বলেন, "যদি আমি আর্জেন্টিনার হয়ে দু'বার বিশ্বকাপ জিততে পারি, তবে আমি অবসর নেব। আমি আজই প্রতিজ্ঞা করছি, বিশ্বকাপের পর আমি গ্লাভস তুলে রাখব।" পরে তিনি আরও বলেন, "এখন আমার বয়স মাত্র ৩২, যখন বিশ্বকাপ আসবে তখন ৩৩ হবে, অর্থাৎ তখনও যথেষ্ট তরুণ থাকব।"
২০২২ কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ের মুহূর্তটি ছিল ইতিহাসমুখী। সাড়ে তিন যুগ পর আর্জেন্টিনা ফ্রান্সের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ফাইনাল জিতে বিশ্বকাপ শিরোপা অর্জন করে। নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে বড় অবদান ছিল এমিলিয়ানো মার্টিনেজের। তিনি ফরাসি ফরোয়ার্ড কোলো মুয়ানির একটি নিশ্চিত গোল রুখে দেন, যা আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন বানাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সে মুহূর্তের বর্ণনা দিয়ে মার্টিনেজ বলেন, "এমন আরও অনেক কঠিন শট আমি ঠেকিয়েছি, কিন্তু ওই মুহূর্তে আমি চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা করছিলাম, 'যদি প্রয়োজন হয়, আমার মুখ উড়ে যাক।'"
ফাইনালে, লিওনেল মেসি দুটি গোল করেন এবং এমবাপ্পে হ্যাটট্রিক করেন। এরপর টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার জয় নিশ্চিত করেন মার্টিনেজ, এবং আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়। পিটার ড্রুরির কণ্ঠে পুরো ফুটবলবিশ্ব মোহিত হয়ে ওঠে।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপ ঘনিয়ে এলেই যেন তাসকিন আহমেদকে লক্ষ্য করে ওত পেতে থাকে ইনজুরি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। মাংসপেশীর ইনজুরিতে পড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনিশ্চিত তাসকিনের খেলা। তবে এখনো আশা হারায়নি বিসিবি। তাসকিনকে পেতে শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি সংস্থাটি।
তবে বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে যে প্রস্তুতিটা নেওয়া দরকার, সেটি নিতে পারছেন না তাসকিন। আসর শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু ইনজুরির কারণে এই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন তাসকিন। তার বিকল্প হিসেবে ডাক পেতে পারেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। বিসিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খেলতে না পারলেও দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যাবেন তাসকিন। সেখানে চিকিৎসা করা হবে তার। এরপর সময় মতো যদি চোট থেকে সেরে উঠতে পারেন তাসকিন, তাহলে বিশ্বকাপে খেলবেন। যদি চোট কেটে উঠতে না পারেন, তাহলে দেশে ফিরে আসতে হবে ডানহাতি সেনসেশনাল এই পেসারকে।
আগামী ১৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হিউস্টনে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ম্যাচগুলো হবে ২১, ২৩ ও ২৫ মে। বিশ্বকাপের আগে এটিই হবে বাংলাদেশের শেষ প্রস্তুতি।
এদিকে আজ সোমবার বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার জোর সম্ভাবনা থাকলেও তাসকিনের চোটের রিপোর্ট দেখার অপেক্ষায় দল ঘোষণা করেনি বিসিবি। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দল ঘোষণা করা বলে জানিয়েছে বিসিবি।
মন্তব্য করুন