

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন এবং হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা কিংবদন্তি অ্যাগনেস কেলেতি ১০৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যু খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার প্রেস কর্মকর্তা তামাস রোখ। তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কেলেতি। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি ঘটে।
এছাড়া কেলেতির ছেলে রাফায়েল বলেন, 'মায়ের জন্য আমরা প্রার্থনা করি। তার জীবনীশক্তি ছিল অসাধারণ।' হাঙ্গেরির গণমাধ্যম নেমজেতি স্পোর্টের সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৯ জানুয়ারি তাকে সমাহিত করা হবে। কারণ এই দিনটি অ্যাগনেসের জন্য বিশেষ দিন, তার জন্মদিন, বেঁচে থাকলে তিনি এ দিনটিতে ১০৪ বছর বয়সে পা রাখতেন।
এ কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদের মৃত্যুতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, 'জাতির শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আমাদের গর্বিত করেছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। তিনি শান্তিতে থাকুন।'
এদিকে অ্যাগনেস শুধু ক্রীড়াবিদ হিসেবেই বিখ্যাত নন; বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুঃসময়ে হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা, তারপর অলিম্পিক গৌরব অর্জন করে জীবনে সাফল্যের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেন। হেলসিঙ্কি (১৯৫২) এবং মেলবোর্ন (১৯৫৬) অলিম্পিকে তিনি মোট ১০টি পদক জেতেন, যার মধ্যে পাঁচটি ছিল সোনা। তবে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন গেমসে চারটি স্বর্ণ জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক নারী জিমন্যাস্ট হিসেবে স্বর্ণ জেতার রেকর্ড গড়েন। এছাড়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপেও রয়েছে তার তিনটি পদক। সেই সময় তিনি 'দ্য কুইন অফ জিমনাস্টিকস' অর্থাৎ 'জিমনাস্টিকসের রানী' হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেন। তবে খেলোয়াড়ি জীবনে তার সাফল্য যেমন অনন্য, তেমনি তার জীবনসংগ্রামও অনুপ্রেরণাদায়ক।
বুদাপেস্টের একটি ইহুদি পরিবারে ১৯২১ সালের ৯ জানুয়ারি জন্ম হয় অ্যাগনেস কেলেতির। মাত্র চার বছর বয়সে জিমন্যাস্টিকসের সঙ্গে তার শুরু হয় পথচলা। ১৬ বছর বয়সে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হন এবং ১৯৩৯ সালে জাতীয় দলে সুযোগ পান। কিন্তু ইহুদি হওয়ার কারণে ১৯৪০ সালের পর থেকে তাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া হয়। পরে ১৯৪৪ সালে হাঙ্গেরি জার্মান নাৎসি বাহিনীর দখলে চলে যায়, ঐ সময় নিজের পরিচয় লুকিয়ে খ্রিষ্টান নারীর ছদ্মবেশে বেঁচে থাকেন অ্যাগনেস। বাঁচার জন্য জাল নথি তৈরি করে একটি গ্রামে লুকিয়ে থেকে কাজ করতেন। তবে গোপনে ঠিকই অনুশীলন চালিয়ে যান। কিন্তু অ্যাগনেস বেঁচে গেলেও তার বাবা এবং পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য হলোকাস্টের নির্মমতার শিকার হন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সব খারাপ অতীত পেছনে ফেলে ফের খেলাধুলায় ফেরেন অ্যাগনেস। তার পরের গল্পতো সবারই জানা। তার অর্জনের শুরুটা হয় ১৯৪৬ সালে হাঙ্গেরির হয়ে চ্যাম্পিয়নশীপ জেতার মধ্য দিয়ে। ১৯৪৭ সালে তিনি সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান জিমন্যাস্টিকস শিরোপা জয় করেন। ১৯৪৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করলেও, গোড়ালিতে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি। ১৯৪৯ সালের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসে তিনি চারটি স্বর্ণ, একটি রৌপ্য এবং একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।
এ দিকে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক শেষে হাঙ্গেরিতে না ফিরে তিনি ইসরাইলে স্থায়ী হন। সেখানে তিনি জিমন্যাস্টিকস কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেন। যদিও পরে খেলাধুলার জন্য জীবন উৎসর্গ করা কেলেতি জীবনের শেষ পর্যায়ে হাঙ্গেরিতে ফিরে আসেন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফ্রান্সের সাবেক সাইক্লিস্ট চার্লস কন্তের নাম উঠে এসেছে, যিনি বর্তমানে ১০০ বছর বয়সী।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে গতকাল ৭৫ মিনিটে মাঠে নামেন লুকা মদ্রিচ। নেমেই ডিফেন্সচেরা পাসে মনে করিয়ে দেন ফুরিয়ে যাননি এখনো। ম্যাচে দারুণ একটি মাইলফলকও অর্জন করেন ৩৮ বছরের মদ্রিচ। রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে মদ্রিচই এখন সবচেয়ে বেশি বয়সে ম্যাচ খেলা ফুটবলার।
মদ্রিচ ছাড়িয়ে গেছেন রিয়াল কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাসকে। অ্যারিয়েঞ্জ অ্যারিনায় গতকালের ম্যাচের দিন মদ্রিচের বয়স ছিল ৩৮ বছর ২৩৪ দিন। পুসকাস রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলেছিলেন ৩৮ বছর ২২৯ দিন বয়সে।
পুসকাসের তৈরি করা কীর্তি ৫৯ বছর পর ভাঙলেন মদ্রিচ। ১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর তৎকালীন ইউরোপিয়ান কাপে কিলমারনকের বিপক্ষে সেই কীর্তি গড়েছিলেন পুসকাস। রিয়ালের হয়ে সবমিলিয়ে ৫২৮তম ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১১৮তম ম্যাচে কীর্তিটি গড়লেন মদরিচ। তথ্য বেইন স্পোর্টসের।
ম্যাচ খেলার রেকর্ডেও এদিন ভাগ বসিয়েছেন মদ্রিচ। ছাড়িয়ে গেছেন ৫২৭ ম্যাচ খেলা ডিফেন্ডার রবার্তো কার্লোসকে। রিয়ালের ইতিহাসে ১৪তম সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ফুটবলার এখন মদ্রিচ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচ খেলার তালিকায় তিনি এখন পঞ্চম। রিয়ালের হয়ে এই প্রতিযোগিতায় তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন ইকার ক্যাসিয়াস, করিম বেনজেমা, রাউল গঞ্জালেস ও সার্জিও রামোস।
ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলার মদ্রিচ ৩৯ বছরে পা দিচ্ছেন চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর। তবে রিয়ালের সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। রিয়ালের ইতিহাসের সবেচেয়ে বুড়ো খেলোয়াড় হিসেবে ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়তে তাই নতুন চুক্তির আওতায় আসতে হবে মদ্রিচকে। ১৯৬৬ সালের মে মাসে পুসকাস যখন কোপা দেলরেতে রিয়ালের হয়ে শেষ পেশাদার ম্যাচটি খেলেন, তখন তার বয়স হয়েছিল ৩৯ বছর ৩৬ দিন।
রিয়ালের হয়ে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলা সবচেয়ে বুড়ো ফুটবলার
লুকা মদ্রিচ: ৩৮ বছর ২৩৪ দিন
ফেরেঙ্ক পুসকাস: ৩৮ বছর ২২৯ দিন
বুয়ো: ৩৮ বছর ৫৩ দিন
দি স্তেফানো: ৩৭ বছর ৩২৮ দিন
দুদেক: ৩৭ বছর ২৬০ দিন
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
যে কোনো ফরম্যাটে হোক, ভারতকে হারানোর আনন্দটাই আলাদা। সেটা সিনিয়র বা জুনিয়র—যে কোনো পর্যায়েই হোক। এবার যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারত বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায়। ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তেমন ভালো কিছু করতে পারেননি। ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের মুখে ভারতীয় দল কিছুতেই রান তুলতে পারছিল না। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় যুব ক্রিকেট দল এবং সেজন্য বাংলাদেশ যুব দল টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়।
এক বছর আগে, ২০২৩ সালে এই একই দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।
যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে এশিয়ার সেরা দল কে হবে—বাংলাদেশ না ভারত? দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লড়াই শুরু হওয়ার আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। ১৯৭ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করে ফেলার ব্যাপারে যারা নিশ্চিত ছিল, বাংলাদেশের বোলিং শুরু হওয়ার পর তাদের ধারণা পাল্টে যায়। শুরু থেকেই ভারতীয়দের চেপে ধরে বাংলাদেশি বোলাররা।
শুরুতেই ইকবাল হোসেন ইমন এবং আল ফাহাদ মিলে ভারতীয় যুবাদের চাপে ফেলেছিলেন। এর ফলস্বরূপ ৯২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান এবং হার্দিক রাজ কিছুটা প্রতিরোধ তৈরি করেছিল।স্পোর্টস ডেস্ক:
২৩ রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু পরে বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম আসেন এবং শেষ তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন।
ভারতের সামনে ছিল ১৯৯ রানের সহজ লক্ষ্য। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটা মোটেও বড় রান নয়। কিন্তু এই রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে ভারত প্রথমেই ৪ রানে আয়ুশ মাত্রিকে হারায়। এরপর বিভাব সূর্যবংশি মাত্র ৯ রানে আউট হয়ে যান। দলের রান তখন ২৪।
তারপর আন্দ্রে সিদ্ধার্থ ২০ রান করেন। ২১ রান করে আউট হন কেপি কার্তিকিয়া। নিখিল কুমার শূন্য রানে আউট হন। ৬ রানে হারভানস পাঙ্গালিয়া আউট হন। কিরণ চরমালে ১ রানে আউট হন।
৩১.৫ ওভারে দলীয় ১১৫ রানের মাথায় ৮ম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান। ৬৫ বলে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন তিনি। হার্দিক রাজ ২১ বলে ২৪ রান করে আজিজুল হাকিমের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হন। সর্বশেষ চেতন শর্মা ১২ বলে ১০ রান করে আজিজুল হাকিমের বলে কালাম সিদ্দিকীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। এভাবেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মেতে ওঠে বাংলাদেশ দল।
আজিজুল হাকিম এবং ইকবাল হোসেন ইমন নেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট নেন আল ফাহাদ। ১টি করে উইকেট নেন মারুফ মৃধা এবং রিজান হাসান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা বড় কোনো স্কোর গড়তে পারেননি। ৪৯.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ ১৯৮ রান করে। রিজান হাসান সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন। ৪০ রান করেন মোহাম্মদ শিহাব জেমস। ৩৯ রান করেন ফরিদ হাসান এবং ২০ রান করেন জাওয়াদ আবরার।
মন্তব্য করুন


এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান ও সাইফ হাসান র্যাঙ্কিংয়ে বিশাল লাফ দিয়েছেন। বোলিংয়ে এগিয়েছেন মুস্তাফিজ, আর ব্যাটিংয়ে সাইফ।
সাময়িক ফর্মহীনতায় কিছুটা পিছিয়ে পড়ার পর মুস্তাফিজুর রহমান আবারও স্বরূপে ফিরেছেন। এশিয়া কাপের গত দুই ম্যাচে তিনি মাত্র ৮ রান গড়ে ৬ উইকেট শিকার করেছেন, যা তাকে র্যাঙ্কিংয়ে ছয় ধাপ এগিয়ে এনেছে। বর্তমানে তিনি বোলারদের তালিকায় ৯ নম্বরে অবস্থান করছেন। বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানি লেগস্পিনার আবরার আহমেদও দারুণ ফর্মে রয়েছেন। গত সপ্তাহে ১১ ধাপ এগিয়ে আসার পর এবার আরও ১২ ধাপ এগিয়ে তিনি এখন চতুর্থ স্থানে।
তবে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের তারকা স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। বাংলাদেশের অন্যান্য বোলারদের মধ্যে শেখ মেহেদী হাসান তিন ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বরে, তানজিম হাসান সাকিব দুই ধাপ এগিয়ে ৪০তম স্থানে এবং শরীফুল ইসলাম ছয় ধাপ পিছিয়ে ৬৪তম স্থানে আছেন। অন্যদিকে, তাসকিন আহমেদ এক ধাপ পিছিয়ে ৩১ নম্বরে আছেন।
ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে বিশাল লাফ দিয়েছেন সাইফ হাসান। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ব্যাট হাতে ৬১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে তিনি ১৩৩ ধাপ এগিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ৮১তম স্থানে অবস্থান করছেন। ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে রয়েছেন ভারতের অভিষেক শর্মা। ওমানের বিপক্ষে ৩৮ এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৪ রানের ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্সে তার অবস্থান আরও শক্ত হয়েছে। তার সতীর্থ তিলক ভার্মা ১৯ বলে ৩০ রান করে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। পাকিস্তানের সাহিবজাদা ফারহান ৩১ ধাপ এগিয়ে ২৪তম স্থানে উঠে এসেছেন।
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া শীর্ষে থাকলেও পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফ দারুণ পারফর্ম করে ১২ ধাপ এগিয়ে ৩৯তম স্থানে আছেন। শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা দুই ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে এক ধাপ এগিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
২০২১ সালে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার আর্থিক জটিলতায় ক্লাব ছাড়তে হয় লিওনেল মেসিকে। এরপর তিনি পাড়ি দেন ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)। প্যারিসের ক্লাবটিতে মেসি যে সুখী ছিলেন না সেটি জানিয়েছেন বিভিন্ন সময়। ক্লাবে অসুখী মেসি বাড়ি ফিরেও শান্তিতে থাকতে পারতেন না। প্রতিবেশিরা বিরক্ত করতেন তাকে। জনপ্রিয় ক্রীড়া ওয়েবসাইট ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি নিজেই জানিয়েছেন এমন তথ্য।
গোল ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেসিকে প্রতিবেশিরা মূলত বিরক্ত করত তার ছেলেদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে। ইএসপিএনকে মেসি বলেন, ‘প্যারিসে (প্রতিবেশিরা) রাত নয়টা বা দশটার দিকে দরজায় ধাক্কা দিয়ে বলত, আমার বাচ্চাদের ফুটবল খেলা উচিত নয়। প্রতিবেশিরা আমাদের বিরক্ত করত... এটা আমার মনে অনেক বড় দাগ কেটেছিল এবং তার প্রভাব মাঠেও পড়েছে। প্যারিসে ব্যক্তিগতভাবে আমি ভালো অবস্থায় ছিলাম না।’
মেসি আরও জানিয়েছেন, প্যারিসে যেভাবে তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন, ব্যাপারগুলো সেভাবে ঘটেনি। আর্জেন্টিনার হয়ে ২০২২ সালের বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক বলেন, ‘তাদের (পিএসজি) সঙ্গে আমার কোনো কিছুই ছিল না, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি যেভাবে আশা করেছিলাম তেমনটা হয়নি। ব্যক্তিগতভাবে আমি পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম; আমার জন্য ব্যাপারটি কঠিন ছিল। ব্যক্তিগতভাবে এর বাজে প্রভাব আমার ওপর পড়েছে। আমি যখন প্যারিসে ছিলাম, আমার সঙ্গে সবচেয়ে ভালো যেটি হয়েছে সেটি হচ্ছে (আর্জেন্টিনার হয়ে) বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’
২০২৩ সালে পিএসজির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়মিতে ভেড়েন মেসি। সেখানে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। বর্তমানে জাতীয় দলের হয়ে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। কিছুদিন পরই যে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা! শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এবার নামবেন মেসিরা। ২০ জুন কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আলবিসেলেস্তেদের অভিযান।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। ১৫ সদ্যসের সেই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি কলিন মুনরোর। তাতে খানিকটা অভিমানেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন এই কিউই ওপেনার।
মুনরো বলেন, ‘ব্ল্যাক ক্যাপসের হয়ে খেলা সবসময়ই আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় অর্জন। আমি সেই জার্সিটি পরার চেয়ে অন্য কোনো কিছুতে বেশি গর্বিত বোধ করিনি। এটি সত্য যে, আমি সব ফরম্যাটে ১২৩ বার এটি করতে পেরেছি। তা নিয়ে আমি সর্বদা অবিশ্বাস্যভাবে গর্বিত হবো।’
‘যদিও আমার শেষ ম্যাচের পর বেশ অনেকটা সময় চলে গেছে। তবে আমি কখনোই আশা ছাড়িনি। আমি মনে করেছি, ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ফর্মে এসে জাতীয় ফিরতে পারবো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ব্ল্যাক ক্যাপস স্কোয়াড ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সেই দরজা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করার উপযুক্ত সময় এসেছে।’-যোগ করেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১২৩টি ম্যাচ খেলেছেন মুনরো। যেখানে একটি টেস্ট, ৫৭টি ওয়ানডে ও ৬৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। সাদা বলের ক্রিকেটে লম্বা সময় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন এই ওপেনার।
মন্তব্য করুন


চোট কাটিয়ে ফেরার ম্যাচেই জাদু দেখালেন লিওনেল মেসি। বদলি নামার পর এক গোল ও এক অ্যাসিস্ট করে ইন্টার মায়ামিকে ৩-১ ব্যবধানে জয় এনে দিলেন তিনি। শনিবার রাতে চেজ স্টেডিয়ামে এলএ গ্যালাক্সিকে হারিয়ে সাপোর্টার্স শিল্ড ধরে রাখার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নিল মায়ামি।
প্রথমার্ধে জর্দি আলবার গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি।
বিরতির পর সমতা ফেরে গ্যালাক্সি। তবে শেষ ১০ মিনিটে মেসির মন্ত্রমুগ্ধ পারফরম্যান্সেই বদলে যায় ম্যাচের রূপ। ৮৪তম মিনিটে দুর্দান্ত একক প্রচেষ্টায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। পাঁচ মিনিট পর রদ্রিগো দি পলের পাস হিল ফ্লিকে বাড়িয়ে দেন লুইস সুয়ারেজকে, গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ড।
চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠলেও মেসির এমন পারফরম্যান্সে মুগ্ধ মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো। তিনি বলেন, ‘সে অসাধারণ খেলোয়াড়। যদিও আমি দেখেছি, সে পুরোপুরি স্বস্তিতে ছিল না। তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে আরো ছন্দে এসেছে।
আগামীকাল কেমন অনুভব করছে, সেটি দেখতে হবে। আপাতত দিন দিন এগোতে হবে।’
এই গোলেই এমএলএস মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে উঠে গেছেন মেসি। গোল ও অ্যাসিস্ট মিলে তার অবদান এখন ৩০। টানা চতুর্থবার বদলি হিসেবে নেমে গোল করলেন তিনি।
চোটের কারণে গত সপ্তাহে মেসিকে ছাড়া নামা মায়ামি অরল্যান্ডো সিটির কাছে হেরেছিল ৪-১ ব্যবধানে। তাই গ্যালাক্সির বিপক্ষে এই জয়কে মৌসুমের জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বলছে মাসচেরানো। ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা জানি, হারা যায়, কিন্তু কেমনভাবে হারা হচ্ছে সেটিই আসল বিষয়। আমরা যদি মৌসুমের শেষ পর্যন্ত লড়তে চাই, বড় কিছু জিততে চাই, তবে প্রতিটি ক্ষুদ্র বিষয়ই হয়ে উঠবে নির্ণায়ক।’
মন্তব্য করুন


চলতি আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে রান করে চলেছেন তরুণ ভারতীয় ব্যাটার শুভমান গিল। টুর্নামেন্টটির ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স এবারও রয়েছে সবার ওপরে। যেখানে গিলের অবদান অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। আগের ম্যাচে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকার পর তিনি আর দ্বিতীয় সুযোগটা হাতছাড়া করলেন না। আইপিএলের প্রথম ম্যাজিক ফিগার পেয়েছেন তিনি। তার আলো ছড়ানোর আরেকটি রাতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৪ রানে হারিয়েছে গুজরাট। একইসঙ্গে সবার আগে তারা কোয়ালিফায়ারে ওঠে গেছে।
সোমবার (১৫ মে) রাতে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা গিলের সেঞ্চুরিতে ১৮৯ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় গুজরাট। এটি কেবল গিলেরই নয়, গুজরাটের কোনো খেলোয়াড়েরও আইপিএলে এটাই প্রথম সেঞ্চুরি। এদিন রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহাকে ফেরান হায়দরাবাদের ভুবনেশ্বর কুমার। হায়দরাবাদের এই পেসার ৫ উইকেট নিয়েছেন। তবে তার এমন দাপটও গুজরাটের রানের চাকা বন্ধ করে দিতে পারেনি।
শুরুতেই উইকেট হারালেও ওয়ানডাউনে নামা সাই সুদর্শনের সঙ্গে বড় জুটি গড়েন গিল। দুজনের জুটিতেই গুজরাট ১৪৭ রানের শক্ত ভিত পেয়ে যায়। তখন মাত্র ১৫তম ওভার শুরু হয়। ফলে অনায়াসেই মনে হয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা দুইশ’র কোঠা সহজেই পার করবে। কিন্তু সুদর্শন ৩৬ বলে ৪৭ রান করে আউট হওয়ার পর ধসে পড়ে গুজরাটের মিডল অর্ডার লাইনআপ। এরপর অল্প রানের ব্যবধানেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে থাকেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া, ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াতিয়া।
মন্তব্য করুন


২০২৪ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তবে আচমকা জাতীয় দলের কোচিং প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সালাউদ্দিন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন দুই টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর জাতীয় দলের কোচের পদে থাকবেন না তিনি।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সালাউদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিবৃতিতে বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছেন, ‘আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর তিনি (সালাউদ্দিন) পদত্যাগ করতে চান বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য প্রদানের পূর্বে আমরা অভ্যন্তরীণ আলোচনা করব।’
পদত্যাগের বিষয়ে সালাউদ্দিন প্রথমে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। পরে ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় এই কোচ অবশ্য জানিয়েছেন, সময়টা উপভোগ করছেন না তিনি, ‘কোচিং করানোটা আমার উপভোগের একটা জায়গা। মাঠই আমার সব। যদি কোনো কারণে সেটা উপভোগ না করতে পারি, তাহলে সরে যাওয়াই ভালো। আমি আমার দায়িত্বটা আর উপভোগ করছি না।’
কেন উপভোগ করছেন না, সে ব্যাপারে অবশ্য তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। তবে জানিয়েছেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে কাজ করতে তার কোনো সমস্যা নেই। অবশ্য বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান নাজমূল আবেদীনের সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে কথাবার্তাই নাকি বন্ধ সালাউদ্দিনের! জাতীয় দল সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো দেখভাল করে বিসিবির এই ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগই।
গত সোমবার হঠাৎ করেই মোহাম্মদ আশরাফুলকে আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ নিয়োগ করে বিসিবি। তাই সালাউদ্দিনের এই পদত্যাগের সিদ্ধান্তের পেছনে বড় কারণ মনে করা হচ্ছে আশরাফুলকে নতুন ব্যাটিং পরামর্শক নিয়োগ দেওয়াকে। তবে এ ব্যাপারে সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, কোচিং স্টাফে আশরাফুলের অন্তর্ভুক্তিকে তিনি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন।
ফারুক আহমেদ বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর সালাউদ্দিনের বেশ ভূয়সী প্রশংসা করেই তাকে জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে দেখা গেছে ব্যাটিং কোচের অনুপস্থিতিতে সালাউদ্দিনকেই বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে ব্যাটিং কোচের কাজ করতে হয়েছে। কাগজ-কলমে ব্যাটিং কোচ না হওয়া সত্ত্বেও ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
এ ছাড়া সর্বশেষ আফগানিস্তান সিরিজে নুরুল হাসান সোহানকে দিয়ে উইকেটকিপিং না করিয়ে জাকের আলী অনিকের উইকেটকিপিং করানোর দায়ও তাকে দেওয়া হয়েছে। অথচ, সালাউদ্দিন চেয়েছিলেন নুরুলই কিপিং করুক। কিন্তু অধিনায়ক জাকের চেয়েছেন কিপিং তিনি করবেন। সালাউদ্দিনের অনুরোধ সত্ত্বেও প্রধান কোচ ফিল সিমন্স তাতে হস্তক্ষেপ করেননি।
এর আগে, ২০০৬–২০১০ সালে বাংলাদেশের সহকারী কোচ ও ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সালাউদ্দিন। পরবর্তীতে ২০১০-১১ সালে বিসিবির ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির বিশেষজ্ঞ কোচ ছিলেন সালাউদ্দিন। জাতীয় দলের দায়িত্ব ছাড়ায় কোচ সালাউদ্দিন আবার ফিরবেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। আসন্ন বিপিএলেও তাকে দেখা যেতে পারে কোনো দলের কোচ হিসেবে।
মন্তব্য করুন


নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে সমর্থকদের দুয়োধ্বনি শুনলেন লিওনেল মেসি। অবশ্য এমন অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম নয় আর্জেন্টাইন মহাতারকার জন্য। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন এখন প্রতিনিয়তই হচ্ছেন। ম্যাচশেষে পিএসজি কোচ এক প্রতিক্রিয়ায় জানালেন, এসবে (দুয়ো) অভ্যস্ত হয়ে গেছেন মেসি।
শনিবার (১৩ মে) রাতে পার্ক দ্য প্রিন্সেসের মাঠে অ্যাজাক্সের বিপক্ষে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে পিএসজি। জোড়া গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে। একবার করে বল জালে জড়িয়েছেন ফাবিয়ান রুইজ ও আশরাফ হাকিমি। অন্য গোলটি আত্মঘাতী। তবে নির্বাসন কাটিয়ে ফেরা মেসি গোল-অ্যাসিস্ট কিছুই পাননি।
শত্রুভাবাপন্ন ঘরের মাঠে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। যেখানে দুয়ো শোনা এখন এই বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ডের জন্য একরকম স্বাভাবিক হয়ে গেছে। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সুর নরম করা প্যারিসিয়ানদের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন তিনি। পার্ক দ্য প্রিন্সেসের মাঠে যতবারই মেসির পায়ে বল গেছে, ততবারই তিনি ‘আল্ট্রাস’ সমর্থকদের দুয়ো শুনেছেন।
তবে ম্যাচশেষে গণমাধ্যমকে গালটিয়ের বলেন, মেসিকে দুয়ো দেওয়া হচ্ছিল। তবে দ্রুতই স্টেডিয়ামের বড় অংশের দর্শকরা লিওর সমর্থনে সরব হয়। এতে দুয়োধ্বনি চাপা পড়ে যায়।'
পিএসজি কোচ আরও যোগ করেন, 'আমার মনে হয়, সে এ ধরনের পরিস্থিতিতে অভ্যস্ত। সে তার ফুটবল ক্যারিয়ারে এমন পরিস্থিতিতে অনেক পড়েছে। তবে আমি আবার বলতে চাই, মেসিকে দেওয়া প্রতিটি দুয়োই সমর্থকদের অনুপ্রেরণাদায়ী চিৎকারে ঢেকে গেছে।'
এদিকে, সমর্থকদের তোপের মুখে পড়লেও সতীর্থদের সমর্থন পেয়েছেন মেসি। খেলা চলাকালে সুয়ারেজের সঙ্গে নেইমারের কথোপকথনের স্ক্রিনশট পরে নিজেদের কথোপকথনের স্ক্রিনশট ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেছেন ব্রাজিল তারকা। যেখানে তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘একসঙ্গে আমাদের বন্ধু লিওনেল মেসিকে দেখছি।’
পরে নেইমারের সেই পোস্টে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সুয়ারেজও। স্প্যানিশ ভাষায় সুয়ারেজ লিখেছেন, ‘আমি সব সময় গ্রেটদের সম্মান করি।’ তার এই মন্তব্যের ইঙ্গিতটা স্পষ্ট—মেসি ফুটবল–বিশ্বে কতটা শ্রদ্ধার পাত্র, সেটাই পিএসজির সমর্থকদের মনে করিয়ে দিতে চাইলেন বার্সেলোনার সাবেক তারকা।
মন্তব্য করুন


বিপিএল শুরু হতে ২৪ ঘণ্টা বাকি থাকলেও টিকিট না পেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান গেইটে বিক্ষোভ করেন দর্শকরা। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে টিকিটের মূল্য তালিকা প্রকাশ করেছে বিসিবি। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে টিকিট কেনার পদ্ধতি ও স্থান।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় এক বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, বিপিএলের টিকিট সরাসরি ও অনলাইন দুই মাধ্যমেই কেনা যাবে। সরাসরি টিকিট বিক্রি শুরু হবে আজ বিকেল ৪টা থেকে এবং সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে। উদ্বোধনী দিনের জন্য আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি টিকিট কেনা যাবে।
টিকিট বিক্রির জন্য মধুমতি ব্যাংকের সাতটি শাখা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে টিকিট কেনার জন্য www.gobcbticket.com.bd এই ঠিকানা সরবরাহ করা হয়েছে।
এবারের বিপিএলের টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা। ইস্টার্ন গ্যালারির টিকিটের দাম ২০০ টাকা, নর্দার্ন ও সাউদার্ন গ্যালারির টিকিট ৩০০ টাকা। শহীদ মুশতাক ও শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডের টিকিট পাওয়া যাবে ৫০০ টাকায়।
ইন্টারন্যাশনাল গ্যালারির মিডিয়া ব্লক ও করপোরেট ব্লকের টিকিটের মূল্য ১০০০ টাকা। সাউথ করপোরেট ব্লকের টিকিটের দাম ৮০০ টাকা। গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের আপার ও লোয়ার টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে ২০০০ টাকা।
এছাড়া বিশেষভাবে তৈরি জিরো ওয়েস্ট জোনে (শহীদ মুশতাক স্ট্যান্ডের পাশে) ৩০০ আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই জোনের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০০ টাকা।
মন্তব্য করুন