

কুমিল্লা মহানগরীর জাঙ্গালিয়া এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন এবং র্যাব-১১ (সিপিসি-২) এর যৌথ উদ্যোগে একটি বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ নাজমুল ইসলাম শামীম নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) গভীর রাত থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সেনাবাহিনী সূত্র জানায় , গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে মোঃ নাজমুল ইসলাম শামীমের বাসভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তার বাসা থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ স্থানীয়ভাবে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, দেশি ও বিদেশি গোলাবারুদ এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত গোপন আস্তানাগুলোতেও তল্লাশি চালানো হয়, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় জিপিএস ও লোকেশন ট্র্যাকিং পরিচালনা করে সন্দেহভাজন শামীমকে আটক করা হয়।
আটক হওয়া নাজমুল ইসলাম শামীম মহানগরীর ২১ নং ওয়ার্ডের জাঙ্গালিয়া এলাকার মরহুম আব্দুল হালিমের ছেলে।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে স্থানীয়ভাবে তৈরি ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র / পাইপগান, ৬০ রাউন্ড শটগান কার্তুজ, ( ১২ বোর × ৭০ মিমি – ৪০ রাউন্ড ও ১২ বোর × ৭৬ মিমি – ২০ রাউন্ড) । ১৮ রাউন্ড মেশিনগান গোলাবারুদ (৭.৬২×৫৪ মিমি, POF নির্মিত), ১ রাউন্ড পিস্তল গোলাবারুদ (৭.৬২×২৫ মিমি, টোকারেভ: S&B নির্মিত), ১ রাউন্ড রিভলভার/ এয়ারগান গোলাবারুদ, ১০টি ছুরি, চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল। এছাড়া দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ৮টি মানিব্যাগ, এটিএম কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও এনআইডি জব্দ করা হয়।
স্থানীয় বিভিন্ন প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সন্দেহভাজন শামীম জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডের সহ-সভাপতি হিসেবে পরিচিত এবং তিনি পূর্বে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন। এছাড়াও তিনি কুমিল্লা শহরের একজন চিহ্নিত বড় চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত। ভয়ের কারণে অনেকেই প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদান করতে সাহস পান না, তবে একাধিক সূত্র থেকে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পরই সেনাবাহিনী তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে।
সন্দেহভাজন শামীমের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় কমপক্ষে ৭টি মামলা বিদ্যমান।
অস্ত্রসহ তাকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা থেকে অস্ত্রসহ খাজা খায়ের উদ্দিন নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। মঙ্গলবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিমসার গ্রামের একটি অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী।
অভিযানের ফলস্বরূপ ১টি দেশীয় পিস্তল (রিভলবার) এবং ২টি হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত খাজা খায়ের উদ্দিন (৪৮)কে পুলিশ কাছে হস্তান্তর করা হয়। বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।
গ্রেফতারের পর দুপুরে আদালতের মাধ্যমে খাজা খায়ের উদ্দিনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তিনি আরও জানান, অস্ত্র, মাদক এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দমন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এই অভিযান দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর আন্তরিকতা ও সচেষ্টতার একটি প্রমাণ, যা সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রকাশ্যে এক বিএনপি কর্মিকে গুলির পর জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে তাৎক্ষণিক নিহতের স্বজন ও পুলিশ এই হত্যাকান্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের সুজায়েতপুর গ্রামের সুজায়েতপুর পূর্ব জামে মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কবির হোসেন ওরফে ছালি কবির (৩৫) একই ইউনিয়নের সুজায়েতপুর গ্রামের মৃত নুরনবীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছালি কবির স্থানীয় বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের একজন সক্রিয় কর্মি ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পর কবির এলাকায় আসেন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা ছিল। শুক্রবার দুপুরে তিনি বাড়ির পাশের সুজায়েতপুর পূর্ব জামে মসজিদের জুমার নামাজ পড়তে যান। ইমামের পেছনে জুমার ফরজ নামাজ আদায় করেই তিনি মসজিদ থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। ওই সময় মুখোশপরা ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে সুজায়েতপুর পূর্ব জামে মসজিদের সামনে আসেন। এক পর্যায়ে ছালি কবির মসজিদ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে তাকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছোঁড়েন। এতে কবির মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তার বাম পায়ের রগ কেটে, গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.আব্দুল্লাহ্-আল-ফারুক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চলছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে হত্যার কারণ জানাতে পারব।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
সিলেটে পুরোনো গ্যাসকূপ (সিলেট-৭) সংস্কার করতে গিয়ে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। দুই দফা পরীক্ষা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা করা হয়। এতে মাত্র এক হাজার ২০০ মিটার গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান মেলে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পুরাতন গ্যাসকূপ সিলেট-৭ নম্বরে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে মেরামতে কাজ করছি। ১৪ অক্টোবর দুই হাজার ১০ মিটার গভীরতায় পরীক্ষা করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। আজ ওই কূপের আরেকটি জোনে এক হাজার ২০০ মিটার গভীরতায় ফের গ্যাসের সন্ধান মেলে।
তিনি আরও বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষা করলে জানা যাবে কী হরিমাণ গ্যাস মজুত রয়েছে। গ্যাস পরীক্ষা করতে আরও তিন-চারদিন সময় লাগতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।
মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সিলেটে আনার প্রস্তুতি চলছে। তিনি এলে আনুষ্ঠানিকভাবে সবকিছু বলা যাবে।
এর আগে ২৪ মে সিলেটের কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপে গ্যাস পাওয়ার কথা জানায় সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। এ নিয়ে গত এক বছরে সিলেটের পাঁচটি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিললো।
১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। দেশে বর্তমানে গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা হচ্ছে ২৯টি। তার মধ্যে এসজিএফএল নিয়ন্ত্রণে আছে পাঁচটি। এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো হচ্ছে- হরিপুর, রশিদপুর, ছাতক, কৈলাশটিলা ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড।
মন্তব্য করুন


গাজীপুরসহ সারাদেশে শুরু হওয়া অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’-এর অংশ হিসেবে গাজীপুর জেলায় ৬৫ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। গাজীপুর জেলা ও মহানগর পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতদের মধ্যে গাজীপুর জেলার ৫টি থানায় ৪০ জন এবং মহানগরীর ৭টি থানায় ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক জানান, শ্রীপুর, কালীগঞ্জ, কাপাসিয়া, কালিয়াকৈর ও জয়দেবপুর থানায় অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সবাই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
অন্যদিকে, গাজীপুর মহানগরীর ৮টি থানার মধ্যে টঙ্গী পূর্ব ও পূবাইল থানায় একজন করে মোট ২ জন, গাছা থানায় ৫ জন, বাসন থানায় ৮ জন, কোনাবাড়ি থানায় ২ জন, সদর থানায় ৪ জন এবং কাশিমপুর থানায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুরের উপ-কমিশনার (উত্তর) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ রোববার আরও ২৫ জনের আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অটো মিশুক চালক সৈকত হত্যার ঘটনা জড়িত অন্যতম আসামি তুহিন মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২ সদস্যরা।
গ্রেফতার হওয়া তুহিন মজুমদার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের বাবুল মজুমদারের ছেলে। ৭ আগস্ট রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ০৩ জুলাই রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে সৈকত (১৯) নামে এক অটোমিশুক চালক নৃশংসভাবে খুন হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ভিকটিম তাফরুল ইসলাম সৈকত (১৯) অটো মিশুক চালানোর উদ্দেশ্যে গত ০২ জুলাই বিকাল ৫ টায় বাড়ী থেকে বের হয়। রাত ১১ টা অতিবাহিত হওয়ার পরও সৈকত বাড়ীতে না ফেরায় তার পরিবার তাকে বিভিন্ন স্থানে খোজ করতে থাকে। পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে ৫ টায় চৌদ্দগ্রামের মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে ভিকটিম সৈকত (১৯) এর লাশ পাওয়া যায়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-০৭। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে।
গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অন্যতম আসামী তুহিন মজুমদার (৩২) এর অবস্থান চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ০৭ আগষ্ট রাতে র্যাবের অভিযানে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বসন্তপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম আসামী তুহিন মজুমদারকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী সহ অন্যান্য আসামীদের সাথে ভিকটিমের সু-সম্পর্ক ছিল। সে সূত্র ধরে গত ০১ জুলাই রাতে গ্রেফতারকৃত আসামী সহ তার অন্যান্য সহযোগী আসামীরা একত্রে মিলিত হয়ে ভিকটিমকে হত্যা করে তার অটো মিশুকটি ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ০২ জুলাই রাত ১১ টায় আসামীরা অটো মিশুকসহ ভিকটিমকে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল এলাকায় গিয়ে সবাই মিলে বসে গল্প করে। এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রেফতারকৃত আসামীর নির্দেশে ঘটনাস্থলের পাশে লুকিয়ে রাখা চাপাতি দিয়ে অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে কুপিয়ে হত্য করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে ভিকটিমের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল এবং অটো মিশুকটি নিয়ে লাশ খালে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১১, সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের হয়েছে। এসময় আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন চার শিক্ষার্থী।
বোরবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১২ টা দিকে কলেজের কান্দিরপাড়ের উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পর কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আহতরা হলেন, মোস্তাফিজুর রহমান, অনয় দেবনাথ, মো. মাহিন ও মো. রিজভী। তারা কুমিল্লার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, রোববার সকাল ১১টার পর কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শাখার ব্যবসা শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থী জিসান ও ফাহাদের সঙ্গে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী তানভীন সিফাতের সঙ্গে কথাকাটি হয়। এঘটনার সময় সিপাত ফাহাদকে হামলা করে এবং জিসানকে মারধরের হুমকি দেয়। পরে পাহাদ ও সিফাতের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে সিফাত তার বিভিন্ন কলেজে থাকা বন্ধুদের কল দিলে তারাও সিপাতের সঙ্গে এসে যোগ দেয়। বেলা ১২ টার কিছু সময় পর কলেজের শিক্ষার্থীরা বের হওয়া শুরু হলে সিফাত ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা করে। এঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, এক তরুণ হাতে ধারলো রামদা নিয়ে অন্য তরুণদের দৌড়াচ্ছে। এসময় এক তরুণদের হাতে পিস্তল দেখা যায়। তবে তার চেহারা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিলো না। ১২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাওয়া ঐ তরুণ সিফাত বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনায় আহত ৪ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক জনের অবস্থা আশংকাজনক।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঁঞা বলেন, এ ঘটনায় পর কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এঘটনায় যতটুকু জেনেছি আহতদের কেউ ভিক্টোরিয়া কলেজের নয়। তবে ভিক্টোরিয়া কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী এঘটনার সঙ্গে জড়িত। আমরা এঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ইতোমধ্যেই আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং এঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জানানোর ব্যবস্থা করছি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেই পুলিশ পাঠিয়েছি। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ভূঁইয়া কানুকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্চিতের একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুছ সরকার অভিযুক্তদের গ্রেফতারে বিবৃতি দিয়েছেন। পাশাপাশি বলেছেন কানুর বিরুদ্ধে ৮-৯টি মামলা রয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানা সূত্রেও জানা যায়, আব্দুল হাই কানুর বিরুদ্ধে ১টি হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, রবিবার দুপুরে স্থানীয় বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযোদ্ধা ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা আব্দুল হাই কানুকে জুতার মালা পড়ায় স্থানীয় প্রবাসী আবুল হাশেমসহ এলাকাবাসী।
এসময় স্থানীয়দের বলতে শোনা যায়, আব্দুল হাই কানুর কারণে তারা গত ১৫ বছর এলাকায় থাকতে পারেনি।
২০১৬ সালের আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ রানা হত্যার প্রতিবাদে এবং কানু ও তার ছেলে বিপ্লবকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে স্থানীয় আ’লীগ সমাবেশ করে।
সমাবেশে উপজেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, আব্দুল হাই কানুর কারণে স্থানীয় আ’লীগ নেতাকর্মীরাও এলাকাছাড়া।
সোমবার সকালে সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় জসিম উদ্দিন বলেন, আবদুল হাই কানুর সাথে আ’লীগ ব্যতিত আর কোন রাজনৈতিক দ্বন্ধ নেই।
ভাইরাল ভিডিওটি রাজনৈতিক নয়। এলাকার ভুক্তভোগীরা ঘটনা করেছে। এসময় আমিও সাথে ছিলাম। হত্যাকান্ডের শিকার রানা হত্যা মামলায় ১নং আসামী কানু। আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন হত্যার ঘটনাও অন্যতম নির্দেশদাতা কানু মেম্বার। কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী এক প্রার্থী আবদুল হালিম মজুমদারকে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দেয়। ঐ নির্বাচনে আমাকেও লাঞ্চিত করে।
স্থানীয় ট্রাক্টর চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, পারিবারিক দ্বন্ধে এ ঘটনা ঘটেছে। এর সাথে রাজনীতির সম্পৃক্ততা নাই। গত ২০১৬ সালের ৩ই সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ রানাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে কানু মেম্বার। ঐদিন আমি নিজেও গুলির শব্দে ব্রীজ থেকে লাফ দিয়ে আহত হই। কানু মেম্বার আমার চাচা নুরুল ইসলাম মিনারকে রাতের আধাঁরে মারধর করে।
আবদুল হালিম মজুমদারের ভাই আবদুর রহমান (৮০) বলেন, কানু আমার ভাইকে বিদ্যালয়ের নির্বাচনের সময়ে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দেয়। আ’লীগ সরকারের সময়ে আমার ভাইয়ের থেকে ২৬লাখ টাকা চাঁদাবাজী করে। এমনকি আমার ঘর নির্মাণের সময় আমার থেকেও ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের দ্বন্ধেই রবিবার দুপুরে কানুকে আটক করে এলাকাবাসী।
সাবেক ইউপি মেম্বার ও অবঃ সেনাসদস্য আবদুল হক বলেন, কানু এই এলাকায় গত ১৭ বছরে সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেছে। একাধিক হত্যা, বাড়িঘর ভাংচুর এবং চাঁদাবাজীর সাথেও সে জড়িত। স্থানীয়রা পূর্বের ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী বেলাল হোসাইন বলেন, আ’লীগ নেতা আব্দুল হাই কানু হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী। পূর্বের বিভিন্ন বিরোধ থেকে এলাকাবাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এর সাথে রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা নাই। এমনটি ভাইরাল ভিডিওকে উল্লেখিত ব্যক্তিগত জামায়াতের কোন পদ-পদবীতে নাই।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আক্তারুজ্জামান সোমবার দুপুরে বলেন, আব্দুল হাই কানুর বিরুদ্ধে ৮-৯টি মামলার বিষয়ে পুরনো অপারেটরের মাধ্যমে জেনেছি। তবে আমার কাছে একটি হত্যা মামলা এবং একটি ভাংচুরের মামলার তথ্য রয়েছে। ভাইরাল ভিডিওতে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিতের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি আমরা। পরিবার থেকে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় একটা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আরাফাতুল ইসলাম বলেন, সকলের সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। তিনি যদি কোন অপরাধ করে থাকেন আইন অনুযায়ী বিচার হবে। অপরাধীকে জুতার মালা পড়ানো সম্মানহানীর কোন সুযোগ আইনে নাই।
মন্তব্য করুন


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মরণে কুমিল্লা সেনানিবাস সংলগ্ন ময়নামতি কমনওয়েলথ যুদ্ধসমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আট দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও প্রতিনিধিগণ। কমনওয়েলথ দিবসে শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের নেতৃত্বে আট দেশের প্রতিনিধিরা স্মরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন, কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুজান রাইল, জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং জার্মানীর রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ । এছাড়া বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, বাংলাদেশের সামরিক প্রতিনিধিসহ প্রায় ১২০ জন সেখানে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় কুমিল্লা সেনানিবাসের ১০১ বিগ্রেড কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিউগলে বেজে উঠে করুণ সুর। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অতিথিরা স্মৃতিফলক ঘুরে দেখেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্মরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর আগে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে হাইকমিশনার ও প্রতিনিধিরা ময়নামতির যুদ্ধ সমাধির হলিক্রস পাদদেশে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে নিহত সৈনিকদের স্মরণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের প্রতিনিধিরা সমাধিস্থল পরিদর্শন এবং দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। এর আগে শ্রদ্ধা নিবেদনের শুরুতে নিহতদের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের উত্তরে বুড়িচং উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত ময়নামতি যুদ্ধসমাধিতে ১৯৪১ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ৭৩৮ জন সেনাকে সমাহিত করা হয়। ১৯৬২ সালে একজনের দেহাবশেষসহ সমাধির মাটি তার স্বজনরা যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে সেখানে সমাধি রয়েছে ৭৩৭ জনের। কমনওয়েলথ গ্রেভ ইয়ার্ড কমিশন এ যুদ্ধসমাধি ক্ষেত্র তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে। প্রতি বছর এ সময় কমনওয়েলথ্ভুক্ত দেশের হাইকমিশনাররা সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে তাদের স্মরণ করেন।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রামে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) চান্দগাঁও ক্যাম্পের অফিস থেকে পলাশ সাহা নামে এক কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের বহদ্দারহাটে অবস্থিত র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পের তৃতীয় তলার একটি রুম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পলাশ সাহা (৩৭) র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ৩৭তম বিসিএসের পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন।
পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আরিফ হোসেন জানান, পলাশ সাহাকে তার অফিস কক্ষে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে তার পরিবারের উদ্দেশে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। পুলিশ এখন বিষয়টি তদন্ত করছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সূত্রে জানা গেছে, মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে পলাশ সাহার স্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছেছেন।
মন্তব্য করুন


কক্সবাজারের মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নে তিন লবণচাষির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৫ মে) উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর কাশেম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজীর পাড়া গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে রিদোয়ান (৩৫), পানিরছড়া গ্রামের আকতার কবিরের ছেলে মুহাম্মদ নেছার (৩২) ও পানিরছড়া বারঘর পাড়ার মৃত মতনের ছেলে মো. আনছার।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান মীর কাশেম চৌধুরী জানান, রোববার (১৪ মে) সকাল ১০টায় মাঠে পলিথিন ও লবণ উঠানোর জন্য আনুমানিক ৪০-৫০ জন শ্রমিক মাঠে যায়। বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার কারণে ঠান্ডায় ৬/৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রিদওয়ানকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন আর বাকিদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে লবণ মাঠে পলিথিন উঠাতে গিয়ে মৃত্যু হয় মুহাম্মদ নেছার নামের আরেকজনের। তাকে রাত সাড়ে ১০টায় পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় সোনা মিয়া নামের আরেক কৃষককে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এছাড়া এলাকাবাসী রাত সাড়ে ১১টায় লবণ মাঠ থেকে আনছারের মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, হোয়ানকের বিভিন্ন গ্রামের আরও ১০/১৫ জন লবণচাষি এখনও ঘরে ফিরেননি।
এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, তিনজনের মৃত্যু ও কয়েকজন অসুস্থ হওয়ার কথা শুনেছি। তবে কী কারণে তারা মারা গেছেন সেটা সঠিক জানি না। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন