ডেস্ক রিপোর্টঃ
পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের ছেলেকে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথ। অভিযোগের তদন্তে ফল জালিয়াতি প্রমাণ হওয়ার পর নায়ায়ণের ছেলে নক্ষত্র দেবনাথের ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সেই ফল বাতিল করে দিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে অনুষ্ঠিত বোর্ডের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় নক্ষত্র দেবনাথের ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। পরে বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সচিব প্রফেসর আমিরুল মোস্তফা।
তিনি বলেন, বোর্ডের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় নক্ষত্র দেবনাথের ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে ফল জালিয়াতির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি নক্ষত্র দেবনাথের ফল বাতিলের সুপারিশ করে বলে তিনি জানান।
জানা যায়, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে থাকাকালে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় নিজের ছেলেকে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে নায়ারণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে করা তদন্তে ফল জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণ হয়।
জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর গত ৯ জুলাই নারায়ণ চন্দ্র নাথকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর মাউশির পরিচালক পদ থেকে তাকে ওএসডি করা হয়। এরপর তদন্ত কমিটির সুপারিশে গত ১৫ সেপ্টেম্বর নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাসহ ব্যবস্থা নিতে মাউশির মহাপরিচালক ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে অংশ নেন নক্ষত্র দেবনাথ। ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ফল ঘোষণার পর তার জিপিএ-৫ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে। সে সময় তার বাবা নারায়ণ চন্দ্র নাথ বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন। অভিযোগ ওঠে, প্রভাব খাটিয়ে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর গণমাধ্যমে ফল জালিয়াতির বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরবর্তী সময়ে ডা. মাহফুজুর রহমান মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের দশম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপরও দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা মিছিল-মিটিং করছে।এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে।
জবাবে উপদেষ্টা জানান, ‘গতকাল ছিল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। তবে আমরা যেমনটি আশঙ্কা করেছিলাম, তেমন বড় জমায়েত তারা করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে নাগাদ হতে পারে- জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছি। তবে নির্বাচন কমিশনই দিন-তারিখ ঠিক করবে। আমরা শুধু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার দায়িত্বে আছি।’
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ভালো থাকে। কিভাবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখা যায় এবং ভালো থাকে- এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মোটামুটি সব বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। তারা আজকে নিশ্চিত করেছেন যে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’ শীর্ষক এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড হাতে হাজারো মানুষ উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই উপচে পড়ে ভিড়ে পরিণত হয় ঐতিহাসিক এই মাঠ।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় মিছিল এসে একত্রিত হতে থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কেউ আসছেন শাহবাগ থেকে, কেউ দোয়েল চত্বর থেকে, আবার কেউ নীলক্ষেতের দিক থেকে। উদ্যানের প্রতিটি গেটে স্বেচ্ছাসেবকরা জনস্রোতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার চেষ্টা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও এর আশেপাশের এলাকায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে দেশীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা সাজিয়ে রাখা হয়। দল-মত, বয়স ও পেশার মানুষ এই সমাবেশে অংশ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি মানবতার জয়গান করেন।
একজন অংশগ্রহণকারী বলেন, “ফিলিস্তিনে নিরীহ মুসলমানদের ওপর ইসরাইল যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে এখানে এসেছি।”
আয়োজকদের দাবি, গাজায় ইসরাইলের নির্মম হামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে জনমত গঠন ও মানবিক সহমর্মিতা বাড়াতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। বেলা ৩টা থেকে মাগরিব পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
ভাঙচুর ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরির অভিযোগে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
রোববার পুলিশের উপ-পরিদর্শক এ কে এম হাসান মাহমুদুল কবীর বাদী হয়ে রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় এ মামলা করেন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) আদালতের সূত্রাপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গতকাল ২৪ নভেম্বর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের ৭-৮ হাজার শিক্ষার্থী বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রসহ দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে। তারা সরকারি অস্ত্র (পিস্তল) গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরি, সরকারি ডিউটিতে ব্যবহৃত এপিসি গাড়ি ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করেছে।
কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করা, জীবননাশের হুমকি দেওয়া এবং ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের আর্মড পুলিশ কার (এপিসি) ও ডিউটিরত পুলিশের মোটরসাইকেল ভাঙচুরের মাধ্যমে মোট দুই লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পেনাল কোড ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারার অধীনে অপরাধ আনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার একটি বড় কারণ হিসেবে চাঁদাবাজির কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আগে যারা চাঁদাবাজি করতো তাদের পাশাপাশি রাজনীতিতে যারা জায়গা দখলের চেষ্টায় আছে তাদের লোকজন চাঁদাবাজি করছে এবং স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য চাঁদাবাজরাও সক্রিয় আছে।
নির্বাচিত সরকার আসার আগে এটির পুরোপুরি সমাধান কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি এখানে লিগ্যাসি প্রবলেম। গত দুই-তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতির এ রকম অবস্থা হয় নাই। প্রচুর আয়-উপার্জন হয়েছে, অনেকে টাকা উড়িয়েছে। কোটি কোটি টাকার মেগা প্রজেক্টস (আরেকটি সমস্যা)। মেগা প্রজেক্টের সমস্যা হলো, রিটার্ন আর আউটপুট দ্রুত আসে না। ব্রিজ হলো, সরবরাহ চেইনে তো দ্রুত কোনো প্রভাব নাই। অ্যাট দ্য সেম টাইম, রেমিট্যান্স অনেকটা কমে গেলো।
এর ফলে মূল্যস্ফীতি আমরা একেবারে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই, তা না। কিছুটা করেছি। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি একটু বেড়েছে। কিন্তু নন-ফুডে আবার কিছুটা কমেছে। সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। আমরা সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব।
সাপ্লাই চেইন ইজ ব্রোকেন। আর অনেক মিডল ম্যান। মহাস্থানগড় থেকে একটি ট্রাক ঢাকায় আসবে। পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া পড়ে ১২ হাজার টাকা। চাঁদাবাজি তো কমে নাই।
চাঁদাবাজি কমানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সরকারের সুবিধা হলো, তার পলিটিক্যাল আর্মস ছিল। আমাদের তো সেরকম নাই। ইউ নো দ্য লিমিটিশেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, একজন দুজন ম্যাজিস্ট্রেট এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
চাঁদাবাজিতে এখন তিনটি বড় দল জড়িত। এক, আগে যারা ছিল তারাও আছে… (আওয়ামী লীগের); দুই, যারা এখন পলিটিক্যালি ইমার্জিং… মাঠপর্যায়ে আছে, তারাও চাঁদাবাজি করছে। তিন, স্থানীয় জনগণ। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট হয়ে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলের তো ভোটের দিকে নজর থাকে। তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। বড় রাজনৈতিক দল যাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মী আছে, তাদের তো নিয়ন্ত্রণ করা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটু কঠিন হয়ে পড়ছে।
দ্বিতীয়ত দুর্যোগের বিষয়টিও, কুমিল্লায় যেমন বন্যা হলো, শেরপুর-ময়মনসিংহে অতিবৃষ্টি হলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্যার সম্মুখীন তো হয়েছি। তাই এখনো মুল্যস্ফীতি অনেক বেশি।
সমস্যাটা সমাধান হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি, জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ এর নিচে নিয়ে আসতে পারবো। একেবারে পাঁচ-ছয়-চারে চলে যাওয়া অসম্ভব। পাঁচ-তো আদর্শিক অবস্থান।
সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভাঙতে চেষ্টা করছি। আমাদের এখন সরকারি কয়েকটি সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যারা কিনা পর্যাপ্ত নয়। টিসিবি কার্ড দিয়ে বা ডেপুটি কমিশনার, ইউএনও দিয়ে তো মার্কেট কনট্রোল করা যাচ্ছে না। তারা একবার গেলো, পরে চলে এলো। মূল বিষয় হচ্ছে, জনগণকে সচেতন হতে হবে।
আমি ডেটা সংগ্রহ করছি, মহাস্থানগড় থেকে শুরু করে কুমিল্লার কংশনগরে ফুলকপি কত টাকা বিক্রি হচ্ছে। ওখানে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ১০ টাকা না, দুই-তিন টাকায়ও পাচ্ছে। ঢাকায় ২০ টাকায় কিনছেন। আমরা ওদিকে (প্রান্তিক পর্যায়) দামটা বাড়িয়ে দিই, কৃষক তো ভুগছে।
খুবই সত্য যে, পুলিশ আগের মতো সক্রিয় না। তাদের নানা কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না, যেমন বাজারে যাও, ধরে নিয়ে আসো।
ব্যাংক নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে এই মুহূর্তে বড় ঋণ নিচ্ছে না। এর আগে কিন্তু ৬০ হাজার কোটি টাকা, ওইটার বেশিরভাগ কিন্তু সরকার নিয়েছিল। আর আমার ২২ হাজার কোটি সরকারকে দিই নাই। বেসরকারি খাতে দিয়েছি। অ্যান্ড দে আর প্রডিউসিং সামথিং। সো দ্যাট ইজ নট কমপ্লিটলি পিউর মানি ক্রিয়েশন। যেটা আমরা বলি যে, স্ট্রেলাইজেশন, আমরা টাকা ছাপাচ্ছি, কিন্তু স্ট্রেলাইজ করছি। কিছু কিছু লিকুইডিটি আবার কনট্রোল করছি।
ভ্যাট-ট্যাক্স নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমার আর্গুমেন্টটা হলো, বাংলাদেশ ইজ এ মোস্ট লিস্ট ট্যাক্সড কান্ট্রি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। এমনকি ভুটানের তুলনায়ও। যাস্ট রেট ইনকাম ট্যাক্স অনুযায়ী আমরা বাড়াবো না তা তো না। এখনো তো বাকি আছে, এটা তো অনলি ভ্যাট, কেবল ১২ হাজার কোটি টাকার একটা... টার্গেট তো কয়েক লাখ কোটি টাকার রেভিনিউ। তাই ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে আমরা রেশনালাইজড হতে চাই। পৃথিবীর কোনো দেশে ভ্যাট দুই দশমিক চার, পাঁচ, সাত, সাত দশমিক পাঁচ এ রকমও না।
বেশিরভাগ দেশে ন্যূনতম ভ্যাট ১৫ শতাংশ। আমরা ভাবছিলাম, পাঁচ যেগুলো আছে দশ করি, সাড়ে দশ করি। অলরেডি কয়েকটা পণ্যে আছে। এজন্য আমরা কিছুটা রেশনালাইজড করতে চেয়েছি। আর আমি চেষ্টা করবো, বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে।
আয়কর নিয়ে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ট্যাক্স নেটটা (করজাল) বাড়াবো। প্রথমত, ট্যাক্স লিকেজ হয়, যারা ট্যাক্স দেওয়ার কথা, যত টাকার দেওয়ার কথা, তা দেয় না। কারণ, তারা টেবিলের নিচে সেটেল করে। এটা আমাদের কর সংগ্রহে বড় একটি দুর্বলতা। যতটা আমরা ধারণা করি, দেওয়ার কথা, তারা ততটা দেয় না। আমরা এনবিআরকে ডিজিটাইলাইজড করার চেষ্টা করছি। এবার যেমন আমরা ১২ লাখ (অনলাইনে রিটার্ন) পেয়েছি।
ব্যক্তিগত আয়করটা আমরা অনলাইন করেছি, কোম্পানিটা এখনো করা হয়নি, এটা করতে আরও সময় লাগবে। কোম্পানিরটা জটিল। এটা করলে কারও কাছে আর যেতে হচ্ছে না, তাই এখানে দুর্নীতিটা কম হবে।
আরেকটা বিষয় স্পর্শকাতর, অনেক সময় এক্সেস ট্যাক্স দেয়, রিটার্নটা পায় না। অন্য দেশে বেশি ট্যাক্স দিলে রিটার্ন আসে, বলা হয় আপনি এত টাকা বেশি দিয়েছেন। পরে এটা অ্যাডজাস্ট করা হয়।
আমাদের এখানে অথরাইজড ভ্যাটের বেলায় পায়, অন্যরা পায় না। এজন্যই তো ছোটখাটো মিষ্টির দোকান পর্যন্ত বলে, আমরা দেবো? রুটি পর্যন্ত আসার আগ পর্যন্ত আটা-ময়দায় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার কাছ থেকে সব আদায় করছে। সেটা হচ্ছে না, এটা একটা প্রবলেম।
অলরেডি কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করনীতি ও কর প্রশাসন আমি আলাদ করে দিচ্ছি। এনবিআর কেবল কর সংগ্রহ করবে। অ্যান্ড পলিসি ইজ ইউল বি ডান বাই ডিফারেন্ট বডি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
২০০৮ সালে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, করনীতি ও কর প্রশাসন আলাদা হবে। কিন্তু এটা হয়নি। কারণ, এনবিআর অফিশিয়ালস এটিকে এলাউ করেনি। বলে কি, আমরা নিজরাই পলিসি করবো।
নিজেরা যদি পলিসি করি, ওটা আমার মন মতো করে করবো। একজনের ওপর ট্যাক্স চাপাবো, এটা এডজুডিকেট আমি করবো, রাইট অর রং। সেটা তো হয় না। পলিসি যারা করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
এটা করলে সুবিধা হবে কী তখন, ব্যবসায়ীরা বলছে, এনবিআরের কাছে আমার ধর্ণা দিতে হয়, টাক্স আরও কমান। এখন থেকে আপনারা আমাদের পলিসি দিয়ে দেবেন, আমার সেটি ফলো করবো। তখন কর সংগ্রহকারী আমাকে ডিসক্রিশিয়নারি কিছু করতে পারবে না। দিজ ইজ দ্য পলিসি, দিজ ইজ দ্য রেট।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, করদাতার সংখ্যা বাড়াবো। আর সিস্টেমটা্ও পরিবর্তন করছি। ডিজিটালাইজেশন প্লাস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ট্যাক্স কালেকশন উইল বি ডিফারেন্ট জব।
করদাতাদের থেকে নেওয়া টাকার পরিমাণ বাড়বে, ২৫-৩০ শতাংশ থেকেও বাড়ানোর চিন্তা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি ওটা চিন্তা করছি না। ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর চিন্তা করছি।
সম্পদের অসমতা নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ন্যারেটিভ হচ্ছে, আমাদের গ্রোথ অনেক হয়েছে। কিন্তু গ্রোথের সুফল তো লোকজন পায়নি। আমাদের আয়ের যে বৈষম্য... আয়ের চেয়ে বেশি খারাপ হলো সম্পদের বৈষম্য অনেক বেশি। একজনের ৫০টা ফ্ল্যাট-বাড়ি, দেশে-বিদেশে। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আমরা একেবারে খুবই হাই গ্রোথ পাবো, আট থেকে নয় পাবো এটি না। আমরা প্রাক্কলন করেছি, পাঁচ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ পাবো। এর ফলটা যেন সবাই পায়, সমভাবে বলছি না, তবে সুফলটা যেন কাছাকাছি আকারে যায়। এটলিস্ট আশা করি, তা কৃষকের যাক, নারী কর্মীদের কাছে যাক, ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে যাক।
মন্তব্য করুন
২০২৪ এর জুলাই-অগাস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার সুষ্ঠুভাবেই করা হবে বলে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, এই বিচার নিয়ে আপনাদের হতাশ হওয়ার কিছু নাই। আমাদের সরকারের আমলেই কাঙ্ক্ষিত রায় পাবেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হওয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার বিষয়ে এক আলোচনাসভা ও তথ্য প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়ার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, এই সরকারের আমলেই গণহত্যার বিচার পাবে শহীদ পরিবার। এমনভাবে সাক্ষ্য এবং প্রক্রিয়া রেখে যাওয়া হবে, যা কোনোভাবেই ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না।’
আসিফ নজরুল বলেন, আর আমি বিশ্বাস করি না, ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসুক, তারা বিচারে শৈথিল্য বা গাফেলতি দেখাবে। তারা সবাই নির্যাতিত মানুষ।
মন্তব্য করুন
বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুবিধা তুলে দেয়া হবে, রাখা হতে পারে অপ্রদর্শিত অর্থ হিসেবে। আজ শনিবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান র্যাপিড আয়োজিত বাজেট আলোচনায় এ কথা জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
উপদেষ্টা বলেন, এই সুযোগ (কালোটাকা সাদা করার সুযোগ) খুব একটা কাজে আসে না। পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে কিনে কেউ যদি এক কোটিও দেখাতে না পারে, তাহলে এটা থাকার তো কোনো দরকার নেই। এতই যখন আলোচনা হয়েছে, তা তুলে দেয়া হোক।
এ সময় তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন একটি প্রস্তুতিহীন পরিকল্পনা। তারা এর জন্য প্রস্তুত নন। এই উত্তরণ মান-সম্মানের ইস্যু নয়, বরং বাস্তবতা।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘এটি একটি প্রস্তুতি পরিকল্পনা, আমরা কোনোমতেই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুত নই।’
তবে উত্তরণ পেছানোর বিপক্ষে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েশন আমাদের হয়ে গেছে ২০২১ সালে। এখন আমরা প্রথম তিন বছরের পর দুই বছর এক ধরনের গ্রেস পিরিয়ডে আছি। এখন নতুন করে যদি তিন বা পাঁচ বছর চাওয়া হয়–এটা এক ধরনের আবদার হতে পারে।’
অর্থনীতিবিদরা বলেন, গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী প্রযুক্তির ব্যবহারে শিল্প খাতে কর্মসংস্থান কমার শঙ্কা আছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে।
র্যাপিড চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘হেলথে যদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বেশি হয়, এডুকেশনে যদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বেশি করতে পারি, স্যোশাল প্রটেকশনে যদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বেশি করতে পারি–এটা হবে এমপ্লয়মেন্ট জেনারেট করার সবচেয়ে বড় জায়গা। এবং আগামী দিনে কৌশলে কিন্তু আমাদের সেটাই চিন্তা করতে হবে।’
মন্তব্য করুন
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, চলতি গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছাতে পারে, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। "জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ" শীর্ষক এই আলোচনায় উপদেষ্টা আরও যোগ করেন, গ্রাম ও শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বণ্টনে সমন্বয় রাখা হবে এবং জ্বালানি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার অস্থায়ী হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প হাতে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে জ্বালানি খাতের বকেয়া পরিশোধকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। "বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ আমাদের সাথে ব্যবসা করতে আগ্রহী হবে না," বলেন তিনি।
এছাড়া, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০% কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্যাস চুরি ও লাইন লিকেজ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এনজিএস আমদানিতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেল বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর পাশাপাশি আগামী বছর বকেয়া পরিশোধের চাপ কমবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। "ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা সংকট থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি," যোগ করেন তিনি।
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, বিটিতে অংশগ্রহণকারী না পাওয়ায় পুনরায় টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণে বিইআরসিকে দায়িত্ব না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তেলের দাম ওঠানামা করে। প্রতিবেশী দেশের বাজার ও ভর্তুকির বিষয়ও বিবেচনায় নিতে হয়।"
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা আরামে কফি খাচ্ছেন, পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাকে বাংলাদেশে আসতেই হবে। বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী চালকদলের উদ্যোগে ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ ও জন আকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, "আপনি (শেখ হাসিনা) যদি খালেদা জিয়াকে জেলখানায় পাঠাতে পারেন, তাহলে আপনাকেও কাশিমপুর কারাগারে যেতে হবে।"
ভারতকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, "আপনারা দয়া করে সোজা হয়ে যান। বিজয় দিবস নিয়ে মমতা কী বললেন, মোদী কী বললেন— তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। বিএনপির তিনটি সংগঠন আগরতলার উদ্দেশ্যে লংমার্চ করেছে। আগরতলার পাশেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া আছে। ভারতের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াই যথেষ্ট। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সচেতন। গরিব হতে পারে, কিন্তু মনটা বড়।"
তিনি আরও বলেন, "জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য আবার ষড়যন্ত্র চলছে। শহীদ জিয়ার জনপ্রিয়তাকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে আওয়ামী লীগের লোকজন ঝামেলার সৃষ্টি করে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে অন্য ধর্মের মানুষ ভালো আছেন।"
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "ওদের (ভারত) কথা চিন্তা করার দরকার নেই। বাংলাদেশের মানুষের কথা চিন্তা করুন। সামনে রোজা আসছে। আওয়ামী লীগের কোনো লোকজন যাতে সিন্ডিকেট না করতে পারে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখুন।"
আয়োজক দলের সভাপতি জসীম উদ্দিন কবিরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আমীর হোসেন আমু, চালকদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খন্দকার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
সারা দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
সার্ভারে প্রবেশের সময় ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) না আসায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ছবি তোলা বায়োমেট্রিক গ্রহণের কার্যক্রম চলমান আছে।
হুমায়ুন কবীর জানায়, এনআইডি সার্ভারে লগইন করার জন্য ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডের (ওটিপি) প্রয়োজন হয়। সে ওটিপি না আসায় কর্মকর্তারা সার্ভার ঢুকতে পারছেন না।
সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে দ্রুতই এনআইডির অনলাইন সেবা চালু হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধিত ৯৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চূড়ান্তভাবে বাতিল করেছে এ এম এম নাসির উদ্দিন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইসি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৯৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। কিন্তু ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন বিষয়ে বিদ্যমান নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামীতে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে নিবন্ধিত করা হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক নিবন্ধন প্রথা শুরু করে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। ওই নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষক ছিল এক লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ২০১৪ সালে ৩৫টি সংস্থার আট হাজার ৮৭৪ জন পর্যবেক্ষক ভোট দেখেছেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১৮টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮১টি দেশি সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৯৬টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮০টির মতো সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট দেখেছেন।
মন্তব্য করুন