অবশেষে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরলেন নেইমার। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে এক রাজকীয় আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে নেইমারকে বরণ করে নিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস। নেইমারের ফেরাকে ঘিরে সান্তোসের স্লোগান ছিল—‘দ্য প্রিন্স ইজ ব্যাক’।
বাংলাদেশ সময় গতকাল রাতে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন নেইমার। এর আগে, ব্রাজিলের স্থানীয় সময় সকালে সাও পাওলোতে অবতরণ করে তার ব্যক্তিগত বিমান। কয়েক ঘণ্টা বিশ্রামের পর হেলিকপ্টারে করে সান্তোসে পৌঁছান ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। মাঠের মাঝখানে মঞ্চ সাজানো হয়েছিল। বৃষ্টির মধ্যেই মঞ্চে উঠে দর্শকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন নেইমার।
ঘরের ছেলেকে ফিরে পেয়ে দর্শকরাও তাকে স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান। মাঠে মাথা ও হাত নুইয়ে নিজের বিখ্যাত গোল উদযাপনের ভঙ্গিমা করেন তিনি। এরপর সান্তোসের মাটিতে চুমু খান। ‘নেইমার মিথ’-এর জন্ম তো এই ভিলা বেলমিরোর মাটিতেই।
নেইমার মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতেই দর্শকরা তার পায়ে ড্রিবলিং দেখতে চান। উত্তরে নেইমার বলেন, ‘আমি খুবই সুখী। এখানে দারুণ সময় কেটেছে। সামনে তেমন সময় আরও আছে। (ড্রিবল করতে) সাহসের অভাব হবে না।’
গত সোমবার রাতে নেইমারের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয় সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল। ২০২৩ সালে আল-হিলালে যোগ দেওয়ার পর ইনজুরির কারণে মাত্র ৭ ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন নেইমার। পরে দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতেই চুক্তি বাতিল হয়।
নেইমারের চুক্তি নিয়ে সান্তোসের সহসভাপতি ফার্নান্দো বোনাভিদেস ক্যানাল বলেন, ‘এই চুক্তিপত্র প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের। তবে তাকে ধরে রাখতে আমরা সব রকম চেষ্টাই করব। আমরা চাই, সে যেন আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকে।’
কালো ক্যাপ ও কালো গেঞ্জি পরা নেইমার ছয় মাসের চুক্তিপত্রে সই করার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে সান্তোস শহর এবং ক্লাবটির রাজা হয়ে যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (টুইটার)-এ ‘দ্য প্রিন্স ইজ ব্যাক’ নামে একটি ভিডিও প্রকাশ করে সান্তোস। এর আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে পেলের কণ্ঠে নেইমারকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেটারই দ্বিতীয় সংস্করণে প্রয়াত কিংবদন্তি পেলের প্রতি নেইমারকে বলতে শোনা যায়, ‘কিং পেলে, আপনার ইচ্ছাই আমার জন্য নির্দেশ। সিংহাসন ও মুকুট আপনারই আছে। কারণ, আপনি চিরকালীন। কিন্তু পবিত্র ১০ নম্বর জার্সিটি পরা হবে সম্মানের সঙ্গে, যা সান্তোস এবং এই পৃথিবীর জন্য অনেক কিছু। আপনার রেখে যাওয়া লিগ্যাসিকে সম্মান দিতে আমি সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
সান্তোসের আয়োজনে কোনো কমতি রাখা হয়নি। সবাই জানত, সৌদি আরবের আল-হিলালের পাট চুকিয়ে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরছেন নেইমার। তার জন্য স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে একটি কনসার্টেরও আয়োজন করে ব্রাজিলের শীর্ষ লিগের এই ক্লাব। বৃষ্টির মধ্যেই ভিলা বেলমিরোর গ্যালারিতে প্রায় ২০ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন। স্টেডিয়ামের বাইরেও ছিল ভিড়।
২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের জার্সিতে খেলার এটাই নেইমারের শেষ সুযোগ। সে জন্য ব্রাজিলের জার্সিতে ফিরতে হলে আগে নিয়মিত ম্যাচ খেলার দরকার, যা আল-হিলালে হচ্ছিল না। সান্তোসে সেই সুযোগ পাবেন নেইমার। বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জাতীয় দলে ফিরতে চাই। অর্জনের জন্য এখনো একটি (বিশ্বকাপ) মিশন বাকি আছে, যা আমার শেষ সুযোগ বলে মনে করি। যা–ই হোক না কেন, আমি এটার পেছনে ছুটব।’
সংবাদ সম্মেলনে সান্তোসে ফেরার কারণও ব্যাখ্যা করেন নেইমার। তিনি বলেন, ‘কিছু সিদ্ধান্ত থাকে, যা ফুটবলীয় চুক্তির বাইরে। আল-হিলালে ভালোই ছিলাম। পরিবারও ভালো ছিল। কিন্তু কিছু ঘটনায় সিদ্ধান্তটি নিতেই হলো। অনুশীলনে নিজেকে অসুখী লাগছিল। ফেরার সুযোগটা পেয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়বার ভাবিনি।’
ফেরার পর কেমন লাগছে, তা-ও জানান নেইমার। তিনি বলেন, ‘এখানে পা রাখার পর থেকেই মনে হচ্ছে, ১৭ বছর বয়সে ফিরে গেছি। খুব ভালো লাগছে এবং খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।’
সান্তোসের বয়সভিত্তিক দলে বেড়ে ওঠা নেইমারের। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ক্লাবটির মূল দলে। এরপর ইউরোপযাত্রা। প্রথমে বার্সেলোনা, এরপর পিএসজি হয়ে দেড় বছর আগে সৌদি আরবের আল-হিলালে যোগ দেন। তবে ব্রাজিল ছাড়ার সাড়ে ১১ বছর পর আবারও সান্তোসে ফিরে নেইমার যেন ক্যারিয়ারের চক্র পূরণ করলেন। এর মধ্যে অনেকবার চোটে পড়েছেন। মৌসুমে নিয়মিত মাঠেও নামতে পারেননি। আগের সেই ধারা আছে কি না, সান্তোস ঠিক নিশ্চিত না হলেও ঘরের ছেলেকে আগের মতো হৃদয় দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন ক্লাবটির সমর্থকেরা। পার্থক্য একটাই, প্রথম দফায় খেলেছেন ১১ নম্বর জার্সিতে, এবার ১০ নম্বর জার্সি পরেছেন।
সেই জার্সিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নেইমার ফটোসেশনও করেন। এখন অপেক্ষা শুধু মাঠে ফিরে খেলার। গত বছর নভেম্বরে আল-হিলালের হয়ে ম্যাচে চোট পাওয়ার পর আর মাঠে নামা হয়নি তার। সংবাদ সম্মেলনে নেইমার জানান, শারীরিকভাবে আগের চেয়ে ভালো বোধ করলেও এখনো ১০০ শতাংশ ফিরে পাননি।
ক্যাম্পেওনাতো পলিস্তায় আগামী বুধবার বোটাফোগোর মুখোমুখি হবে সান্তোস। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ জানিয়েছে, এই ম্যাচে সান্তোসের হয়ে দ্বিতীয় দফায় অভিষেকের সম্ভাবনা আছে নেইমারের।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ছাত্র-জনতার প্রতিবাদের মুখে দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলা হলো না সাকিব আল হাসানের। দেশে ফিরতে চাইলেও তাকে দুবাই থেকে ফিরে যেতে হয়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সাকিবকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনের বেলা বেশ নাটক হয়েছে। তিনি দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে দুবাই আসেন ট্রানজিটের জন্য। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তাকে সেখানে অবস্থান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে সাকিব নিজেই জানান, তার দেশের মাটিতে টেস্টকে বিদায় জানানো হচ্ছে না। সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে সরকার তাকে দেশে ফিরতে বারণ করেছে।
এরপর গতকাল রাতেই এ বিষয়ে কথা বলেন ড. আসিফ নজরুল। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসানের দেশে আসা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, 'সাকিব আমাকে কয়েকবার ফোন দিয়েছিল। আমি বলেছি, উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে কথা বলতে যেহেতু এটি আমার বিষয় নয়।'
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, 'সাকিবের মতো ক্রিকেটার বাংলাদেশের ইতিহাসে আর আসেনি। সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি হতে পারত। কিন্তু যখন আন্দোলন চলছে, মানুষ মরছে, ঘরে ঘরে কান্না, ক্ষোভ-কষ্ট—সাকিব তখন পোস্ট দিলো যে সে কোথাও আনন্দ করছে। এটা কি সম্ভব একজন মানুষের পক্ষে?'
তিনি বলেন, 'এছাড়া যে সমস্ত জুয়া, বেটিং, উশৃঙ্খল আচরণ... আমার মনে হয় এটার জন্য শেখ হাসিনার সরকার দায়ী। এমন একটি রাষ্ট্রযন্ত্র তৈরি করা হয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনার প্রতি অনুগত থাকলে আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন। আপনার শাস্তি হবে না। এটা অনেক মানুষকে বিভ্রান্ত করে, তাকেও করেছে। মায়া লাগে। কিন্তু তার প্রতি মানুষ যে ক্ষোভ দেখায়, সেটি একটুও অযৌক্তিক লাগে না।'
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
আগামী ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া আফগানিস্তান সিরিজে খেলবেন সাকিব আল হাসান। আজ বুধবার শেরে বাংলায় বোর্ডের মিটিংয়ের আগে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর সময় ঘনিয়ে এলেও এখনও দল ঘোষণা করা হয়নি। সাকিব এই সিরিজে খেলবেন কিনা, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বিসিবির পক্ষ থেকে। সেজন্য সাকিবের সম্পর্কে জানতে চাইলে বোর্ড সভাপতি বলেন, “সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে বলতে চাই, যেহেতু আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলের নাম এখনও দেওয়া হয়নি, তাই তার (সাকিব) বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে টেস্ট খেলতে সাকিবকে বোর্ড নিষেধ করেছে, এই বিষয়ে স্পষ্টতা দিতে ফারুক বলেন, “সাকিবকে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ টেস্ট খেলতে দেশে ফিরতে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে বোর্ডের কোনো দায় নেই। আমরা ওই পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে জড়িত নই। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সরকার এবং সাকিব (জড়িত) ছিল। আমরা শুধু সহায়ক ভূমিকা পালন করেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যাতে সাকিব ঘরের মাঠে খেলতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “সাকিব শুধু একজন খেলোয়াড় নন, তিনি আগের সরকারের (পতিত শেখ হাসিনা সরকার) সময়ে একজন এমপি ছিলেন। সেক্ষেত্রেও কিছু বিষয় আছে। সব মিলিয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা আর ক্রিকেট বোর্ডের ভাবনা এক ছিল না। আমি একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় হিসেবে দেখেছি, একজন ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে। সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, বাংলাদেশ জন্য অনেক কিছু করেছে। আমি বিশ্বাস করি, যদি সে খেলতে পারতো, তাহলে এটি ভালো হতো।”
ফারুক আহমেদ যোগ করেন, “আমাদের অন্যান্য বিষয়গুলো দেখতে হবে। সেগুলো বিবেচনা করে সে শেষ মুহূর্তে আসতে পারেনি। তবে বোর্ডের করার কিছু ছিল না। এটি সম্পূর্ণ আইনি বিষয় এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিষয়। এটি ছিল সাকিব এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উপর নির্ভরশীল। বোর্ডের এ ব্যাপারে কিছু করার ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী যদি সাকিব আসতেন, তাহলে আমরা যথাযথ নিরাপত্তা দিতে পারতাম। যেহেতু তিনি আসেননি, তাই এ নিয়ে কথা বলার কোনো মানে নেই।”
সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হোমভেন্যু হিসেবে নিয়ে এই সিরিজ আয়োজন করবে আফগানিস্তান। ৬ নভেম্বর সিরিজের প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৯ ও ১১ নভেম্বর সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি জোরদারে প্রতিটি দেশ খেলায় ব্যস্ত।
বাংলাদেশ দল নিজেদের শেষ সময়ের প্রস্তুতি জোরদারে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে দুই ম্যাচ। দুটি ম্যাচে টানা জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের আগে টানা দুই ম্যাচ জয়ের পরও হাতাশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বলছেন- জিম্বাবুয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো তুলনামূলক দুর্বল দলের সঙ্গে জিতে আত্মবিশ্বাস তেমন পাওয়া যাবে না। তার চেয়ে ভারত-পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের মতো ক্রিকেট পরাশক্তি দলগুলোর সঙ্গে খেলতে পারলে ভালো হতো।
ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সাকিব আল হাসান বলেছেন, জিম্বাবুয়ে আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলে বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখা উচিত নয়। বিশ্বকাপ পুরো আলাদা একটা মঞ্চ, অনেক চাপ থাকে। সেই চাপ কাটিয়ে উঠলেই ভালো পারফরমেন্স হবে। তবে গতবারের থেকে এবারের পারফরমেন্স ভালো করার চেষ্টা তো থাকবেই দলের, সেক্ষেত্রে গ্রুপপর্বে তিনটি ম্যাচ জিততেই হবে।
জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ যেহেতু আমাদের অজানা, তাই সেখানে তাদের বিরুদ্ধে খেলার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু একদম দুর্বল প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে খেলে কখনো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়। গতবার নিউজিল্যান্ড আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।
মন্তব্য করুন
চলতি আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে রান করে চলেছেন তরুণ ভারতীয় ব্যাটার শুভমান গিল। টুর্নামেন্টটির ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স এবারও রয়েছে সবার ওপরে। যেখানে গিলের অবদান অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। আগের ম্যাচে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকার পর তিনি আর দ্বিতীয় সুযোগটা হাতছাড়া করলেন না। আইপিএলের প্রথম ম্যাজিক ফিগার পেয়েছেন তিনি। তার আলো ছড়ানোর আরেকটি রাতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৪ রানে হারিয়েছে গুজরাট। একইসঙ্গে সবার আগে তারা কোয়ালিফায়ারে ওঠে গেছে।
সোমবার (১৫ মে) রাতে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা গিলের সেঞ্চুরিতে ১৮৯ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় গুজরাট। এটি কেবল গিলেরই নয়, গুজরাটের কোনো খেলোয়াড়েরও আইপিএলে এটাই প্রথম সেঞ্চুরি। এদিন রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহাকে ফেরান হায়দরাবাদের ভুবনেশ্বর কুমার। হায়দরাবাদের এই পেসার ৫ উইকেট নিয়েছেন। তবে তার এমন দাপটও গুজরাটের রানের চাকা বন্ধ করে দিতে পারেনি।
শুরুতেই উইকেট হারালেও ওয়ানডাউনে নামা সাই সুদর্শনের সঙ্গে বড় জুটি গড়েন গিল। দুজনের জুটিতেই গুজরাট ১৪৭ রানের শক্ত ভিত পেয়ে যায়। তখন মাত্র ১৫তম ওভার শুরু হয়। ফলে অনায়াসেই মনে হয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা দুইশ’র কোঠা সহজেই পার করবে। কিন্তু সুদর্শন ৩৬ বলে ৪৭ রান করে আউট হওয়ার পর ধসে পড়ে গুজরাটের মিডল অর্ডার লাইনআপ। এরপর অল্প রানের ব্যবধানেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে থাকেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া, ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াতিয়া।
মন্তব্য করুন
স্প্যানিশ ফুটবলের নতুন প্রজন্মের আলোচিত নাম লামিনে ইয়ামাল। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলপ্রেমীদের নজর কাড়ছেন এই প্রতিভাবান তরুণ। শিশুকালে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসির সংস্পর্শ পেয়েছিলেন তিনি। এখন নিয়মিত মাঠে মুগ্ধতা ছড়িয়ে বার্সেলোনার হয়ে একের পর এক ট্রফি জিতে নিচ্ছেন নিজের অর্জনের ঝুলিতে।
অনেকে মেসি পরবর্তী যুগে শূন্যস্থান পূরণ হিসেবে এই স্প্যানিশ তারকাকে দেখে থাকেন। তবে মেসি নয়, ইয়ামাল নিজের আইডল মনে করেন সাবেক বার্সা তারকা ব্রাজিলিয়ান সেনসেইশন নেইমারকে। সম্প্রতি সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল নিজের আদর্শ, ভবিষ্যৎ এবং বার্সেলোনার জীবন নিয়ে কথা বলেছেন।
নিজের ফুটবল আদর্শ প্রসঙ্গে ইয়ামাল বলেন, ‘আমি ৫ বছর বয়সে তাকে (নেইমার) সান্তোসে (ব্রাজিলিয়ান ক্লাব) দেখেছিলাম। পরে যখন বয়স সাত হয়, তাকে বার্সেলোনায় ক্যাম্প ন্যু’র একজন সদস্য হিসেবে পাই। তার সরাসরি সাক্ষাৎ পাওয়াটা ছিল অবিশ্বাস্য কিছু। এটি সত্য যে, সেখানে থাকা (লিওনেল) মেসিও একজন দুর্দান্ত ফুটবলার, তবে সে (নেইমার) সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। নেইমার সবসময়ই আমার আদর্শ (আইডল) ছিলেন, তিনি একজন তারকা এবং ফুটবল কিংবদন্তি।’
বার্সেলোনাতে দীর্ঘ সময় খেলার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন এই স্প্যানিশ তরুণ তারকা। ইয়ামাল বলেন, ‘আমি জানি না কখন কী (চুক্তি স্বাক্ষরের সময়) হবে, তবে বিশ্বাস করি সেটি শিগগিররই হবে। সবমিলে বার্সা ক্লাব আমার জীবন, আমি আশা করব যতটা সম্ভব বেশি সময় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিতে যাব। আমি স্প্যানিশ লিগে খেলতে চাই, বার্সার হয়ে খেলতে চাই এবং চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী।’
মন্তব্য করুন
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন এবং হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা কিংবদন্তি অ্যাগনেস কেলেতি ১০৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যু খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার প্রেস কর্মকর্তা তামাস রোখ। তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কেলেতি। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি ঘটে।
এছাড়া কেলেতির ছেলে রাফায়েল বলেন, 'মায়ের জন্য আমরা প্রার্থনা করি। তার জীবনীশক্তি ছিল অসাধারণ।' হাঙ্গেরির গণমাধ্যম নেমজেতি স্পোর্টের সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৯ জানুয়ারি তাকে সমাহিত করা হবে। কারণ এই দিনটি অ্যাগনেসের জন্য বিশেষ দিন, তার জন্মদিন, বেঁচে থাকলে তিনি এ দিনটিতে ১০৪ বছর বয়সে পা রাখতেন।
এ কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদের মৃত্যুতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, 'জাতির শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আমাদের গর্বিত করেছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। তিনি শান্তিতে থাকুন।'
এদিকে অ্যাগনেস শুধু ক্রীড়াবিদ হিসেবেই বিখ্যাত নন; বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুঃসময়ে হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা, তারপর অলিম্পিক গৌরব অর্জন করে জীবনে সাফল্যের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেন। হেলসিঙ্কি (১৯৫২) এবং মেলবোর্ন (১৯৫৬) অলিম্পিকে তিনি মোট ১০টি পদক জেতেন, যার মধ্যে পাঁচটি ছিল সোনা। তবে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন গেমসে চারটি স্বর্ণ জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক নারী জিমন্যাস্ট হিসেবে স্বর্ণ জেতার রেকর্ড গড়েন। এছাড়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপেও রয়েছে তার তিনটি পদক। সেই সময় তিনি 'দ্য কুইন অফ জিমনাস্টিকস' অর্থাৎ 'জিমনাস্টিকসের রানী' হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেন। তবে খেলোয়াড়ি জীবনে তার সাফল্য যেমন অনন্য, তেমনি তার জীবনসংগ্রামও অনুপ্রেরণাদায়ক।
বুদাপেস্টের একটি ইহুদি পরিবারে ১৯২১ সালের ৯ জানুয়ারি জন্ম হয় অ্যাগনেস কেলেতির। মাত্র চার বছর বয়সে জিমন্যাস্টিকসের সঙ্গে তার শুরু হয় পথচলা। ১৬ বছর বয়সে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হন এবং ১৯৩৯ সালে জাতীয় দলে সুযোগ পান। কিন্তু ইহুদি হওয়ার কারণে ১৯৪০ সালের পর থেকে তাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া হয়। পরে ১৯৪৪ সালে হাঙ্গেরি জার্মান নাৎসি বাহিনীর দখলে চলে যায়, ঐ সময় নিজের পরিচয় লুকিয়ে খ্রিষ্টান নারীর ছদ্মবেশে বেঁচে থাকেন অ্যাগনেস। বাঁচার জন্য জাল নথি তৈরি করে একটি গ্রামে লুকিয়ে থেকে কাজ করতেন। তবে গোপনে ঠিকই অনুশীলন চালিয়ে যান। কিন্তু অ্যাগনেস বেঁচে গেলেও তার বাবা এবং পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য হলোকাস্টের নির্মমতার শিকার হন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সব খারাপ অতীত পেছনে ফেলে ফের খেলাধুলায় ফেরেন অ্যাগনেস। তার পরের গল্পতো সবারই জানা। তার অর্জনের শুরুটা হয় ১৯৪৬ সালে হাঙ্গেরির হয়ে চ্যাম্পিয়নশীপ জেতার মধ্য দিয়ে। ১৯৪৭ সালে তিনি সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান জিমন্যাস্টিকস শিরোপা জয় করেন। ১৯৪৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করলেও, গোড়ালিতে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি। ১৯৪৯ সালের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসে তিনি চারটি স্বর্ণ, একটি রৌপ্য এবং একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।
এ দিকে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক শেষে হাঙ্গেরিতে না ফিরে তিনি ইসরাইলে স্থায়ী হন। সেখানে তিনি জিমন্যাস্টিকস কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেন। যদিও পরে খেলাধুলার জন্য জীবন উৎসর্গ করা কেলেতি জীবনের শেষ পর্যায়ে হাঙ্গেরিতে ফিরে আসেন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফ্রান্সের সাবেক সাইক্লিস্ট চার্লস কন্তের নাম উঠে এসেছে, যিনি বর্তমানে ১০০ বছর বয়সী।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ফুটবল ছাড়ার ঘোষণা দিলেন বর্তমান সময়ের বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার টনি ক্রুস। গতকাল নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে এক দীর্ঘ পোস্টের মধ্য দিয়ে চলতি মৌসুম শেষে ক্লাব ফুটবল ও আগামী মাসে নিজেদের ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউরো শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ার বিদায় জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
এরআগে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হওয়া ২০১৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপে শিরোপা জিতে জার্মানি। ঐ আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েন ক্রুস। পরে ২৫ মিলিয়ন ইউরোতে স্বদেশী ক্লাব বায়ান মিউনিখ ছেড়ে নাম লেখান নিজের স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। এরপর আস্তে আস্তে ক্লাবটির মিডফিল্ডে সবচেয়ে বড় আস্থার নাম হয়ে ওঠেন তিনি। আর ইতিমধ্যে তার গায়ে লেগেছে মাদ্রিদের ইতিহাসে অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারের তমকা। ক্লাবটির হয়ে মোট ২৪টি শিরোপা জিতেন এই কিংবদন্তি মিডফিল্ডার।
গতকাল ফুটবলকে বিদায় জানানোর সেই পোস্টে রিয়াল মাদ্রিদ নিয়ে তিনি বলেন, ‘১৭ জুলাই ২০১৪। সেদিন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আমি আমার যাত্রা শুরু করেছিলাম। সেদিনটি আমার জীবন বদলে দিয়েছে। একজন ফুটবলার হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে। ঐদিন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাবের হয়ে আমার নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। দীর্ঘ ১০ বছর পর চলতি মৌসুম শেষে আমার রিয়াল মাদ্রিদের অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। আমি এই সময়গুলো কখনো ভুলবো না। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যারা আমাকে এখানে স্বাগত জানিয়েছে এবং আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে। প্রিয় মাদ্রিদস্তাস, ধন্যবাদ প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত আপনাদের স্নেহ ও ভালোবাসার জন্য।’
এছাড়াও রিয়াল মাদ্রিদ নিয়ে ক্রুস বলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি। রিয়াল মাদ্রিদ আমার শেষ ক্লাব হবে। আমি অনেক আনন্দিত ও গর্বিত। আমার কাছে মনে হয় আমি সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ অন্যদিকে নিজ দেশ জার্মানির জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি একজন ফুটবলার হিসেবে এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের মধ্যে দিয়ে আমি জাতীয় দলের জার্সিকে বিদায় জানাব।’
মন্তব্য করুন
তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানের পারস্পারিক দ্বন্দ্বের কথা একাধিকবার গণমাধ্যমে এসেছে। যদিও এ নিয়ে কখনই স্পষ্টভাবে কিছু বলেননি এই দুই ক্রিকেটারের কেউই। অথচ একটা সময় তাদের বন্ধুত্বের গভীরতা কতটা ছিল, তা সবারই জানা। লম্বা সময়ের এই সম্পর্কে সম্প্রতি কিছুটা ভাটা পড়লেও অধিনায়ক তামিমের প্রশংসা করতে একটুও কার্পণ্য করেননি সাকিব।
পরিসংখ্যান অধিনায়ক তামিমের পক্ষে কথা বললেও অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন এই অভিজ্ঞ ওপেনারের সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে। বিশেষ করে ওয়ানডেতে, গত কয়েক মাস ধরেই কথা বলছে না তার ব্যাট। গতকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে দীর্ঘ ৯ মাস পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল তার স্ট্রাইকরেট। ব্যাট হাতে তার এমন ফর্মের কারণেই প্রশ্ন উঠছে তার নেতৃত্ব নিয়েও। তবে তামিমের নেতৃত্বেই আস্থা রাখার পক্ষে মত সাকিবের।
সোমবার ইংল্যান্ডে একটি অনুষ্ঠানে এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার বলেন, 'এগুলো তো সবই প্রাথমিক পর্যায়। এখানে যে ভুলগুলো হচ্ছে কিংবা যে ভালো জিনিসগুলো হচ্ছে এসবই বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপ থেকে ঠিক হওয়া শুরু হবে। আমাদের সামনে খুব বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচও নেই। আমি নিশ্চিত কোচ, অধিনায়ক এসব চিহিৃত করে। তারা খুবই ভালো চিন্তা করে যে কোন জায়গাতে আরও ভালো করলে আরও একটু ভালো হতো। আমি নিশ্চিত কখনই কোনো দলের নেতা, দেশের প্রধান দেশের জন্য বা দলের জন্য খারাপ চায় না। তাদের ইন্টেনশন কখনই খারাপ থাকে না।সিদ্ধান্ত ঠিক, ভুল সবই হতে পারে।'
এবছর ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। কন্ডিশন আর নিজেদের শক্তিমত্তা বিবেচনায় এই মেগা আসরে বাংলাদেশের বড় সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই। এই বিশ্বকাপ ঘিরে নিজেদের সম্ভাবনা নিয়ে বেশ আশাবাদী সাকিবও।
বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'আইসিসির টুর্নামেন্টে কন্ডিশন সবসময় ফেয়ার থাকে। সব দলের জন্যই ব্যাপারগুলো একই রকম। আমাদের সবকিছুই ভালো করতে হবে, ভালো রেজাল্ট করতে হবে। সবশেষ বিশ্বকাপে আমাদের ভালো সুযোগ ছিল সামান্য কিছু কারণে হয়ত সফল হতে পারিনি।'
মন্তব্য করুন
লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহর সঙ্গে ক্লাবের চুক্তি নবায়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন চলছে। আশা করা হয়েছিল, চলতি জানুয়ারিতেই নতুন চুক্তির খবর আসবে।
কিন্তু মাস শেষ হতে চললেও এখনো তেমন কোনো ঘোষণা আসেনি। ফলে সালাহকে হারানোর আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন লিভারপুল সমর্থকেরা। কারণ, চুক্তির শেষ ছয় মাসে প্রবেশ করা এই তারকা হয়তো মৌসুম শেষে অন্য কোনো ক্লাবে যোগ দেবেন।
এর আগেই সালাহ নিজে জানিয়েছিলেন, এটি লিভারপুলে তার শেষ মৌসুম হতে পারে। এবার লিভারপুল ছাড়ার আগে নিজের একান্ত ইচ্ছাটিও প্রকাশ করেছেন তিনি। সালাহর ভাষায়, "ক্লাব ছাড়ার আগে আরেকবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিততে চাই।"
২০১৭ সালে ইতালিয়ান ক্লাব এএস রোমা থেকে লিভারপুলে যোগ দেন সালাহ। ইয়ুর্গেন ক্লপের অধীনে নিজেকে বিশ্বসেরা ফুটবলারদের কাতারে নিয়ে যান তিনি। ক্লপের কোচিংয়ে লিভারপুলকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে বড় ভূমিকা রাখেন।
লিভারপুলের জার্সিতে সালাহ তার প্রতিভা দিয়ে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের কাতারে নিজের স্থান নিশ্চিত করেছেন।
এমনকি ক্লপ বিদায় নেওয়ার পরও আর্নে স্লটের অধীনে লিভারপুলে নিজের জাদু দেখাচ্ছেন সালাহ। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৩২ ম্যাচে ২৩ গোল করার পাশাপাশি ১৭টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
ক্লাবের হয়ে এমন পারফরম্যান্সের পরও চুক্তি নবায়নের অনিশ্চয়তা সালাহর ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হেড কোচ এরিক টেন হাগকে বরখাস্ত করেছে। এর ফলে রেড ডেভিলদের সঙ্গে ডাচ কোচের আড়াই বছরের সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটলো। বিবিসি এবং ESPN সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর নিশ্চিত করেছে।
গতকাল রবিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ওয়েস্টহ্যামের কাছে পরাজিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে টেন হাগকে বরখাস্ত করা হলো। আজ সোমবার ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাকে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানায়।
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের পর, কেউই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারেননি। সর্বশেষ টেন হাগের অধীনে ক্লাবটি আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। যদিও দীর্ঘদিন ধরেই তার ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
টেন হাগের সময় সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আরেক ডাচ কিংবদন্তি রুড ফন নিস্টেলরয়। তাকেই এবার অন্তবর্তীকালীন হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন