ডেস্ক রিপোর্ট:
রাষ্ট্রপতির অপসারণের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিতে রাজনৈতিক ঐকমত্যের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রবিবার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, এখানে আমাদের তাড়াহুড়ো করার সুযোগ নেই আবার অনেক বেশি দেরিও করা ঠিক হবে না। রাজনৈতিক ঐক্যমত্য তৈরির প্রচেষ্টা চলছে, সেখান পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির বিষয়ে গোপনীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা প্রকাশ্যে নেওয়া হবে। রাজনৈতিক ঐকমত্য যত তাড়াতাড়ি হবে, তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত আসবে।"
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উল্লেখ করেন, "বিএনপি বলছে যে তারা রাজনৈতিক সংকট দেখছে, আবার বিএনপির কিছু নেতারা বলছেন, তারা সেই সংকট দেখছেন না। যারা রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাচ্ছেন এবং যারা মনে করছেন এটা হলে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে—তাদের মধ্যেই ঐক্যের চেষ্টা চলছে।"
তিনি বলেন, "এখন কোনো সিদ্ধান্ত হবে কি না বা রাজনৈতিক ঐক্যের ফলে সিদ্ধান্ত কী হবে, তা বলা সম্ভব নয়। কারণ রাজনৈতিক ঐক্য কোন দিকে যাবে এবং মতামত কোন দিকে বেশি যাবে, তা পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন।"
মন্তব্য করুন
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সরকারের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন এবং স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে অক্ষম, বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
গত বৃহস্পতিবার, হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানিয়ে জারি করা রুলের শুনানির সময় এই মন্তব্য করেন শিশির মনির।
এদিন, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এই রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
শিশির মনির আরও বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সরকারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন এবং তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। বিচারকদের ওপর এমন চাপ রয়েছে যে, তাদের রাতে কোর্ট বসিয়ে সাজা দিতে বাধ্য করা হয়েছে, এবং সরকারের পছন্দের আদেশ না দেওয়ার কারণে অনেক বিচারককে পদবিন্যাস করে বান্দরবানে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে অনেক বিচারককে কষ্টে চোখের পানি ফেলতে দেখা গেছে।
তিনি যুক্ত করেন, এই অনুচ্ছেদটি অপসারণ করা হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে।
এছাড়া, ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিষয়টি কেন অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। এর আগে, ২৫ আগস্ট এই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটে দাবি করা হয়, অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলাবিধির দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়।
রিট আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জহিরুর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শাইখ মাহাদী, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল এবং যায়েদ বিন আমজাদ।
রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়।
রিটে ২০১৭ সালে প্রণীত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (ডিসিপ্লিনারি) রুলসের সাংবিধানিক বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়। রিটে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা এবং ২০১২ সালের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে আরও বলা হয়:
১. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। ১১৬ অনুচ্ছেদ এটি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, এবং একইসাথে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি বাস্তবায়ন কার্যত আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।
২. সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী বিলুপ্ত হয়েছে, পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে এবং পঞ্চদশ সংশোধনীতে ১১৬ এর বিধান বহাল রাখা হয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের পরিপন্থি।
৩. পৃথক সচিবালয় না থাকার কারণে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা অধস্তন আদালতের বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না।
মন্তব্য করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সকল পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব হতে পারে। তিনি সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়, এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যুক্ত হতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হয়ে যেতে পারে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। অধৈর্য হলে সমাধান হবে না।" স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানান, ধৈর্যের সঙ্গে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে।
সড়ক অবরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাস্তা বন্ধ না করে মাঠ বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিবাদ জানানো শ্রেয়। তিনি আরও বলেন, জনগণের দুর্ভোগের জন্য অবরোধ করা ঠিক নয়। দাবিদাওয়া থাকলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধান পাওয়ার জন্য তিনি ছাত্রদের অনুরোধ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, "সরকার চায় প্রতিটি বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক।" এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্ররা দেশের জন্য কাজ করে, তারা পজিটিভ কাজই করে, কিছু ভুল হতে পারে, তবে সকল পরিস্থিতিতে ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি অবিলম্বে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান।
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, “চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে, এ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনার মাধ্যমে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। একজন আইনজীবী তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন, এবং তাকে পিটিয়ে হত্যা করা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। যারা এটি করেছে, তারা যেই হোক না কেন, তাদের শাস্তি পেতেই হবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইউনূস সরকার যদি এ সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “বর্তমান ক্ষমতা দখলকারীরা সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই।”
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি আক্রমণ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
“আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করার পরও হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে হয়রানি চলছেই। আমি এসব নৈরাজ্যবাদী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,” বলে বিবৃতিতে জানান শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, সরকারের রাজস্ব প্রয়োজন এবং প্রচুর ভর্তুকিও দিতে হয়। এই অর্থ কোথাও না কোথাও থেকে সংগ্রহ করতে হয়। তাই কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে, এতে সাধারণ মানুষের তেমন কোনো অসুবিধা হবে না।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে মাদারীপুর সার্কিট হাউসে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়া, খাদ্য উপদেষ্টা আরও জানান, এ বছর অকাল বন্যায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যার ফলে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সেই ঘাটতি পূরণের জন্য বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আশাবাদী যে, আগামীতে ভালো ফসল হবে এবং ইরি ধানের বাম্পার ফলন হলে দেশে চালের অভাব হবে না, ফলে আর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হবে না।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করা এবং সেগুলি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সঠিকভাবে পৌঁছানো। দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি কার্যক্রম সহায়ক হবে। এছাড়া, ওএমএস-এর সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। ইতোমধ্যে, প্রতি উপজেলায় দুই টন চাল বিতরণ করা হয়েছে এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আগামী দুই মাসে ৫০ লাখ উপকারভোগী ১৫ টাকা কেজিতে ৩০ কেজি চাল পাবেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে কিছু অনিয়ম রয়েছে এবং সেই বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান করছে। ভবিষ্যতে এ অনুসন্ধান চলবে।
এসময় মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন আক্তার, পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. হাবিবুল আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি (লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস) আমদানি করা হয়। তিনি শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ইকনোমিক রিপোটার্স ফোরামের (ইআরএফ) আয়োজিত “নবায়নযোগ্য শক্তিতে দ্রুত রূপান্তর: দেশীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এলএনজি আমদানি আরও কতটা বাড়ানো যেতে পারে? আমাদের একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে যে, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যেতে হবে। এটি ছাড়া আমাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই। আমরা বলি যে, ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে পাওয়া যাবে, কিন্তু বাস্তবে যদি এটি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে আমাদের অর্জন ২০ শতাংশেরও বেশি হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এনার্জি সমস্যা মূলত প্রাইমারি এনার্জির সমস্যা। বিদ্যুৎ না থাকলে গ্রাহক বুঝতে পারে, কিন্তু একটি শিল্প কারখানা যখন গ্যাস পায় না, তখন তা চোখে পড়ে না। কিন্তু তার উৎপাদন কমে যাওয়া দেখা যায় না। বর্তমানে আমাদের দৈনিক ৪ হাজার এমএমসিএফডি গ্যাস প্রয়োজন। আমাদের দেশীয় উৎপাদন এবং আমদানি মিলিয়ে বর্তমানে ৩ হাজারের কাছাকাছি গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। এক হাজার এমএমসিএফডি গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে, যা ক্রমাগত বাড়ছে কারণ আমাদের উৎপাদন কমছে। আমরা নতুন কূপ খননের মাধ্যমে আরও গ্যাস পাওয়ার চেষ্টা করছি।
এছাড়া, উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করা হবে। এখন থেকে উপদেষ্টা বা সচিবকে চেনার প্রয়োজন নেই। যদি কারো দক্ষতা, আর্থিক সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে তিনি অফিসে বসেই ব্যবসা করতে পারবেন। কারো পরিচিতি প্রয়োজন হবে না। অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা মুক্ত করে জনগণের অধিকার জনগণকে ফেরত দেয়ার লক্ষ্য আমাদের।
আলোচনা সভায় ইকনোমিক রিপোটার্স ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, সিপিডির রিচার্স ডিরেক্টর খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিচার্সের (সিইপিআর) চেয়ারপারসন গৌরঙ্গ নন্দীসহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের কারণে রাখাইনের রাজধানী সিটোয়েতে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা, সেটি এখনও জানা যায়নি। কেননা, নেটওয়ার্কের কারণে মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার (১৪ মে) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক বার্তায় এ তথ্য জানান।
শাহরিয়ার আলম ফেসবুকে লিখেছেন, রাখাইনের রাজধানী সিটোয়েতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। যোগাযোগের মূল টাওয়ার পড়ে গেছে। আমাদের দূতাবাসের দপ্তরটি সমুদ্র থেকে ৭০০ মিটার দূরে। কর্মকর্তারা প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানেই আছেন। তবে এখন তাদের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। যোগাযোগ স্থাপনে সময় লাগবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
ভাঙচুর ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরির অভিযোগে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
রোববার পুলিশের উপ-পরিদর্শক এ কে এম হাসান মাহমুদুল কবীর বাদী হয়ে রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় এ মামলা করেন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) আদালতের সূত্রাপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গতকাল ২৪ নভেম্বর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের ৭-৮ হাজার শিক্ষার্থী বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রসহ দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে। তারা সরকারি অস্ত্র (পিস্তল) গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরি, সরকারি ডিউটিতে ব্যবহৃত এপিসি গাড়ি ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করেছে।
কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করা, জীবননাশের হুমকি দেওয়া এবং ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের আর্মড পুলিশ কার (এপিসি) ও ডিউটিরত পুলিশের মোটরসাইকেল ভাঙচুরের মাধ্যমে মোট দুই লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পেনাল কোড ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারার অধীনে অপরাধ আনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম জানিয়েছেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পেলেই স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ শুরু হবে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে, জনগণ যদি আরও সংস্কারের দাবি করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, "জনগণ যদি মনে করে যে সংস্কারের প্রয়োজন নেই, তবে যেকোনো সময় অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব ছেড়ে দেবে।"
সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা চিকিৎসা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন এবং রোগী ও তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। চিকিৎসা ব্যবস্থার ভঙ্গুর অবস্থা তুলে ধরে তিনি বিগত সময়ে নেয়া বিভিন্ন প্রকল্পের তীব্র সমালোচনা করেন। এসময় তিনি বলেন, "সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরপরই স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।"
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে স্মরণীয় করতে গণভবনে দ্রুত একটি জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা গণভবন পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “জাদুঘরে শেখ হাসিনার শাসনামলের বিভিন্ন দুঃসহ স্মৃতি এবং তাকে উৎখাতের সময় জনগণের ক্ষোভের নিদর্শনগুলো সংরক্ষিত থাকা উচিত।”
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে স্মরণীয় করতে গণভবনে দ্রুত একটি জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা গণভবন পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “জাদুঘরে শেখ হাসিনার শাসনামলের বিভিন্ন দুঃসহ স্মৃতি এবং তাকে উৎখাতের সময় জনগণের ক্ষোভের নিদর্শনগুলো সংরক্ষিত থাকা উচিত।”
গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও সাধারণ জনগণের অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর লাখো জনতা গণভবনে প্রবেশ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা গণভবনের দেয়াল এবং বিভিন্ন কক্ষে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রাফিতি আঁকে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “গণভবনের এই জাদুঘরে একটি 'আয়নাঘর' পুনর্নির্মাণ করা উচিত, যেখানে শেখ হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো গোপনে বিরোধী ও ভিন্নমত পোষণকারীদের আটক করে নির্যাতন চালাতো। জাদুঘরে পরিদর্শনকারী দর্শনার্থীরা এই আয়নাঘর দেখে নির্যাতনের সেই দুঃসহ স্মৃতিগুলো স্মরণ করতে পারবে।”
অধ্যাপক ইউনূস উপদেষ্টা দলকে জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেন এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, “শেখ হাসিনার শাসনের ২০০৯ সাল থেকে ঘটে যাওয়া সকল অপকর্মের স্মৃতিগুলো এই জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকবে।” এছাড়া অন্যান্য দেশে বিপ্লব ও বিদ্রোহের স্মৃতিকে সংরক্ষণে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে জানার জন্যও বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন পবিত্র হজ পালন করতে ইচ্ছুকদের দ্রুত নিবন্ধন করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান, এতদিন হজ প্যাকেজের অভাবে অনেকেই নিবন্ধন করতে পারেননি, তবে এখন সময় এসেছে দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করার। ৩০ নভেম্বরের পর নিবন্ধন আর বাড়ানো হবে না।
আজ বুধবার দুপুরে একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি দুটি হজ প্যাকেজের ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন, সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বারবার দ্রুত তাঁবু বুকিং দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। আমাদের হজ প্যাকেজ ঘোষিত না হওয়ায় নিবন্ধনের সংখ্যা কম ছিল। এই কারণে নিবন্ধনের সময় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর পর নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না, কারণ, সৌদি সরকারকে কতজন যাবে তার তালিকা প্রদান করে তাঁবুর বুকিং দিতে হবে।
এর আগে প্রথম দফায় নিবন্ধনের সময় শেষ হয় ২৫ আগস্ট। পরে তা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন