“ভ্যাট দিবো জনে জনে, অংশ নেব উন্নয়নে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভ্যাট প্রদানের প্রতি জনগণকে আরও সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার উদ্যোগে পালিত হলো ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ ২০২৪। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে যথাযথ ভ্যাট প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) কুমিল্লা নগরীর একটি হোটেলে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এসময়, সেমিনারে বক্তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রাজস্ব আহরণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ভ্যাট প্রদানকে সহজ করা এবং ভ্যাট প্রদানে করদাতাদেরকে উৎসাহিত করা ভ্যাট দিবসের লক্ষ্য। রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপির অনুপাত ও দুই ডিজিটে উন্নীত করতে হলে ব্যবসায়ী সমাজ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও চূড়ান্ত করদাতা জনগণকে সমন্বিতভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে, প্রতি ১০০ টাকা রাজস্ব আহরণে বর্তমান ব্যয় মাত্র ১৯ পয়সা হতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করতে সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, আমাদেরকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। আমাদেরকে শত্রু ভাবা যাবে না। আর এভাবেই আমরা সামনে এগিয়ে যাবো। রাষ্ট্রের সিংহভাগ আয় আসে ভ্যাট থেকে। ভ্যাট থেকে দেশের রেভিনিউ এর ৪০ ভাগ আসে৷ উন্নয়নের গতি অটুট রাখতে রাজস্ব বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই৷ ব্যাপক জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই সকল ভ্যাট আদায় সম্ভব হবে। সামগ্রিক ভ্যাট ব্যবস্থাপনাকে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনে আনতে জাতীয় রাজস্ববোর্ড কাজ করে যাচ্ছে। এতে, করদাদাতেরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আর, আপনারা চুরি বন্ধ করে দিন, ভ্যাট কর্মকর্তারা আপনার দরজায় কড়া নাড়বে না।
বক্তারা আরো উল্লেখ করেন, গত অর্থবছরের তুলনায় এ বছর জাতীয় অর্থ বাজেটে ভ্যাটের অবদান বেড়েছে। এছাড়াও, ভ্যাটে প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। আমরা এখন অনলাইনেই আয়কর আবেদন, আয়কর রিটার্ন ও আয়কর জমা দিতে পারি৷ ভ্যাট সফটওয়্যার চলে আসলে আগামীতে আরো উন্নত হবে এই দিকটা। আর, গ্রাহকদেরকে বলবো ভ্যাট দেওয়ার পর অবশ্যই ভ্যাট চালান গ্রহণ করতে হবে৷ সমতাভিত্তিক ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভোজ্য তেল, কীটনাশক, হজ্বযাত্রার টিকেট খরচ ও অন্যান্য ফি'র ক্ষেত্রে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভারী শিল্পের ক্ষেত্রেও ভ্যাট হ্রাস করা হচ্ছে। এসময়, বক্তারা দেশের সার্বিক উন্নয়নে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়া দৃপ্ত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বক্তারা৷
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা কর অঞ্চলের কর কমিশনার শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার কমিশনার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান। স্বাগত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার অতিরিক্ত কমিশনার মির্জা সহিদুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার যুগ্ম কমিশনার মোঃ পায়েল পাশা।
এসময় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার সহকারী কমিশনার ইমরান হোসেন ও রীমা আকতারের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার যুগ্ম কমিশনার স্নিগ্ধা বিশ্বাস, যুগ্ম কমিশনার ফাহাদ আল ইসলাম, কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সহ সভাপতি জামাল আহমেদ। এছাড়াও, সেমিনারে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডার, বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারীগণ ও বিভিন্ন স্তরের সম্মানিত ভ্যাটদাতারা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে অতিথিদের বক্তব্য শেষে, ভ্যাটদাতারা ভ্যাট এক্সাইজ কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এখানে, ভ্যাটদাতারা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন ও কর্মকর্তারা সেগুলোর উত্তর প্রদান করেন। এসময়, ভ্যাটদাতারা ভ্যাটসম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শও প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় একটি বিল থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার জাফরগঞ্জ এলাকার দোয়াইজলা নামক বিলে ফসলি জমির পাশে ওই দুজনের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতরা হলেন- দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ গ্রামের প্রয়াত দুলু মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৩০) এবং খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার সুখাকেন্দ্রায় গ্রামের রহুল আমিন মিয়ার ছেলে মোহন মিয়া (৩৫)। তারা ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগ বিল তোলা, সংযোগ স্থাপন ও মেরামতের কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, মরদেহে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে মরদেহের কাছ থেকে মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এ কারণে তারা নিশ্চিত হতে পারছে না যে, এটি হত্যাকাণ্ড নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হয়েছে।
মনিরের ছোট বোন জান্নাত আক্তার জানান, "মনির আমার একমাত্র ভাই, তাকে কারা হত্যা করেছে আমরা বলতে পারব না। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে, এখন তাদের কি হবে?"
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মরদেহ দুটি খড়ের ওপর পাওয়া গেছে এবং প্রায় ২০-২৫ ফুট দূরে খড়ের একটি গাদা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার রাতের কোনো এক সময় তারা খড় নিয়ে এখানে বসে মাদকসেবন করছিলেন। মাদকে সম্ভবত বিষাক্ত কিছু ছিল, যা সেবনের পর তাদের শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, "রবিবার সকালে দোয়াইজলা বিলে কৃষকরা কাজ করতে এসে দুজনের মরদেহ দেখে আমাকে খবর দেয়। পরে ঘটনা নিশ্চিত হয়ে পুলিশকে খবর দেই। তারা দুজনই ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগের কাজ করতেন। এটি হত্যাকাণ্ড কিনা, এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।"
ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী বদিলউল আলম সানোয়ার বলেন, "মনির ও মোহন আমার প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। মনির বাড়িতে থাকত এবং মোহন অফিসে। মোহনের বাবা আমাকে জানিয়েছেন, রাত ১১টার পর শেষবার মোহনের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারপর তাকে আর অফিসেও পাওয়া যায়নি।"
তারা মাদক সেবন করতেন কিনা জানতে চাইলে সানোয়ার বলেন, "মনির মাদকাসক্ত ছিল, কিন্তু মোহন মাদক সেবন করত কিনা আমি জানি না।"
এ বিষয়ে দেবীদ্বার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ মো. শাহীন জানান, "আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনই বলা সম্ভব নয় এটি হত্যাকাণ্ড নাকি অন্য কিছু। তবে ঘটনাস্থল থেকে সিরিঞ্জ, সিগারেট, স্পিরিটের খালি বোতলসহ বিভিন্ন আলামত পাওয়া গেছে। এগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আরও তথ্য এবং আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে।"
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা থেকে অস্ত্রসহ খাজা খায়ের উদ্দিন নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। মঙ্গলবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিমসার গ্রামের একটি অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী।
অভিযানের ফলস্বরূপ ১টি দেশীয় পিস্তল (রিভলবার) এবং ২টি হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত খাজা খায়ের উদ্দিন (৪৮)কে পুলিশ কাছে হস্তান্তর করা হয়। বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।
গ্রেফতারের পর দুপুরে আদালতের মাধ্যমে খাজা খায়ের উদ্দিনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তিনি আরও জানান, অস্ত্র, মাদক এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দমন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এই অভিযান দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর আন্তরিকতা ও সচেষ্টতার একটি প্রমাণ, যা সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুর নৌরুটে শরিয়তপুর, ভোলা, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাগামী লঞ্চ চলাচল প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার রাত ১০টা ১৫ মিনিট থেকে বন্ধ থাকার পর সোমবার (১৫ মে) সকাল ৯টার দিকে পুনরায় লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নদী বন্দরের নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বন্দর ও পরিবহন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক শাহাদাত হোসেন।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে যাওয়া এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিকূল পরিস্থিতি পূর্বের তুলনায় স্বাভাবিক হওয়ায় বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মোতাবেক প্রায় ৬০ ঘণ্টা পর আজ সোমবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে পুনরায় ঢাকা-চাঁদপুর, চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জসহ চাঁদপুর নৌপথের লঞ্চসহ সকল ধরনের নৌযান চলাচল পুনরায় শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আনোয়ারুল হক/এবিএস
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলেকে ৬ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১ জেলেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ৭ কিশোর জেলেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকার।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আমির হোসেন গাজী, হারুন ঢালী, মো. জাহাঙ্গীর, রিয়াদ রাঢ়ি, রমজান ব্যাপারী,হৃদয় মোল্লা, রিপন খান, মো. ফয়সাল, জনি ব্যাপারী, আল-আমীন মোল্লা, বাদশা হাওলাদার. কিরন খান, ওমর ফাটল রাঢ়ি ও নাজমুল হাসান। ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় মো. ইব্রাহিমকে। আর মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া অপ্রাপ্ত কিশোর জেলেরা হলেন মো. সোহেল, মো. হাবীব, শামীম, কাজল, পারভেজ, ওমর ও মো. হাসিব। আটক এসব জেলেদের বাড়ি শহরের টিলাবাড়ি, বহরিয়া ও গোবিন্দিয়া গ্রামে।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ২২ জেলেকে ইলিশ ধরা অবস্থায় হাতেনাতে আটক, ১০ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও ৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দ কারেন্টজাল কোস্টগার্ড চাঁদপুর ষ্টেশনে আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয় এবং ইলিশ মাছ দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাঙামাটির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মেঘের রাজ্যে পর্যটকদের না যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জোবাইদা আক্তারের সই করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং এ সকল এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিনভর সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজপাড়ায় বিবদমান দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় মূলত বুধবার থেকে সাজেক যেতে না করছে প্রশাসন।
এর আগে, গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে দফায় দফায় সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়। পরে ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটির সকল পর্যটন কেন্দ্র থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরসহ সারাদেশে শুরু হওয়া অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’-এর অংশ হিসেবে গাজীপুর জেলায় ৬৫ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। গাজীপুর জেলা ও মহানগর পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতদের মধ্যে গাজীপুর জেলার ৫টি থানায় ৪০ জন এবং মহানগরীর ৭টি থানায় ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক জানান, শ্রীপুর, কালীগঞ্জ, কাপাসিয়া, কালিয়াকৈর ও জয়দেবপুর থানায় অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সবাই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
অন্যদিকে, গাজীপুর মহানগরীর ৮টি থানার মধ্যে টঙ্গী পূর্ব ও পূবাইল থানায় একজন করে মোট ২ জন, গাছা থানায় ৫ জন, বাসন থানায় ৮ জন, কোনাবাড়ি থানায় ২ জন, সদর থানায় ৪ জন এবং কাশিমপুর থানায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুরের উপ-কমিশনার (উত্তর) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ রোববার আরও ২৫ জনের আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসার কারণে এবার রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট–২০২৩ ব্যাচে প্রশিক্ষণরত অর্ধশতাধিক ক্যাডেট উপপরিদর্শকে (এসআই) কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার ও বৃহস্পতিবার তাদের নোটিশ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণ মাঠে নাশতা নিয়ে হইচই করার কারণে সম্প্রতি একই ব্যাচের ৭০৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ২৫২ জনকে শোকজ করা হয়েছিল। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
একাডেমি সূত্র জানায়, গত সোমবার ওই ব্যাচের ১০ জন এসআইকে দ্বিতীয় দফায় শোকজ করা হয়। এরপর ২৪ অক্টোবর তৃতীয় দফায় আরও ৪৯ জনকে শোকজ করা হয়। তিন দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২৪ অক্টোবর প্রশিক্ষণরত এক এসআইকে দেওয়া শোকজ নোটিশে বলা হয়, গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চেমনি মেমোরিয়াল হলে আইনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারার ওপর প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের ক্লাস ছিল। প্রশিক্ষণ চলাকালে পরিদর্শক পদমর্যাদার চারজন প্রশিক্ষক দেখতে পান, সিটে বসার সময় ওই এসআই শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসে এলোমেলোভাবে বসে হইচই করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছেন। একজন প্রশিক্ষক বারবার শৃঙ্খলার সঙ্গে বসতে বললেও তিনি নির্দেশ অমান্য ও কর্ণপাত না করে বসা নিয়ে হইচই করতে থাকেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, পাঠদান চলাকালে এই এসআইয়ের ক্লাসে কোনো মনোযোগ ছিল না এবং পাশাপাশি বসে কথা বলছিলেন। এ জন্য একজন প্রশিক্ষক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একাডেমির অধ্যক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তাই বিধি অনুযায়ী কেন তাকে চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অব্যাহতি দেওয়া হবে না, তা কৈফিয়ত তলবনামা প্রাপ্তির পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে ওই এসআইকে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলেও পুলিশ একাডেমির পক্ষ থেকে কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ডাম্পট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে পেকুয়ার ধনিয়াকাটা এলাকায় এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- অটোরিকশাচালক মনিরুল মান্নান, যিনি পেকুয়ার ধনিয়াকাটার ছৈয়দ আলমের ছেলে; চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফিরোজ, তার স্ত্রী শারমিন এবং তাদের শিশু সন্তান। নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, সকাল ৭টার দিকে পেকুয়া এবিসি এলাকায় মিনি ট্রাক (ডাম্পট্রাক) ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয় এবং দুইজন আহত হন। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন দুটি জব্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট হৃদরোগ, বাতজ্বর ও ডায়াবেটিকস এর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো: রুহুল আমিনকে ফাঁসাতে নানা অপবাদ দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারে নেমেছে কিশোরগঞ্জ জেলার একটি মহল। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ডাক্তার রুহুল আমিন জানান, কিশোরগঞ্জের নিকলী ও বাজিতপুর এলাকায় আমি ১২ বছর যাবত চেম্বার করি।এ এলাকার হাজার হাজার রোগী আমার চিকিৎসায় উপকৃত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। নিকলী হেল্থকেয়ার ডায়াগনস্টিক এর মালিক ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী বিলকিস বিভিন্ন সময় রিপোর্ট জালিয়াতি ও ভুয়া রিপোর্ট করে আমার কাছে ধরা পড়ে। এসব কারনে বিভিন্ন সময় আমি চেম্বার ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেই।তারা আর এসব ভুল করবেনা মর্মে ক্ষমা চায় এবং আমাকে বিভিন্নজনকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে চেম্বার করার অনুরোধ করে। আমি ভুল ও জালিয়াতি না করার প্রতিশ্রুতি পেয়ে চেম্বার অব্যাহত রাখি। উল্লেখ্য আমি নিকলী ও পাশ্ববর্তী সরারচর বাজারে দুইটি চেম্বার করি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরারচর, শুক্রবার সকালে নিকলী ও শুক্রবার বিকেলে পুনরায় সরারচর চেম্বার করি। বৃহস্পতিবার রাতে আমি নিকলী চেম্বার মালিকের বাসায় একটি রুমে থাকি। আমার পরিবার ২০১৭ সালে বাজিতপুর থেকে ঢাকায় চলে আসার পর থেকে আমি ওদের বাসায় প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে অবস্থান করতে হয়। চলতি বছরের ২৩ মার্চ সেহরির সময় চেম্বার মালিক ওমর ফারুক চৌধুরীর মাদকাসক্ত ছেলে ওমর বেলায়েত (পূণ্য)আমার কক্ষে মাদকাসক্ত অবস্থায় প্রবেশ করে আমার মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে যায় এবং আমাকে শারীরিকভাবে আহত করে।
তখন ওর বাবা-মা ৯৯৯ এ কল দিলে মাদকাসক্ত ও উন্মাদ ছেলেকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় পুলিশ দেশীয় অস্ত্রসহ ও আমার লুন্ঠিত মালামালসহ আটক করে।ছেলে পুলিশের হাতে আটক অবস্থায় বের হওয়ার পর আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।আমি চেম্বার মালিককে জানাই ছেলেকে জেল থেকে বের করলে আমাকে জানাতে এবং জেল থেকে রিহ্যাবে দিতে।কিন্তু তারা তা না করে আমাকে না জানিয়ে ছেলেকে জেল থেকে মুক্ত করে। আমি বিষয়টি জেনে আমার নিরাপত্তা ইস্যুটিতে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে ওদেরকে নিকলী চেম্বার ছেড়ে দেয়ার মৌখিক নোটিশ দেই। তারা আমাকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজের চেষ্টা করে।তারপরও আমি ১৮ এপ্রিল চেম্বারে না বসলে আমাকে নারীঘটিত ব্যাপারে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। ঐদিন সন্ধ্যার পর কয়েকজন ব্যাক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে আমার সরারচর চেম্বারে এসে জানায় - নিকলীর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী বিলকিস আমার বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন।
এর মধ্যে তারা বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে এবং সাংবাদিক পরিচয়ে কিছু ব্যাক্তি আমার কাছে নিউজ করার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করতে থাকে। এতে আমি ১৯ এপ্রিল টঙ্গী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি দায়ের করি। আমি কাউকে টাকা না দেয়ায় ২২ এপ্রিল কিছু ব্যাক্তি আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকে। ২৩ এপ্রিল তারা ঠিক একমাস আগে যে মামলায় তাদের নিজের ছেলের বিরুদ্ধে আমার ও তার নিজের বাবা-মায়ের উপর হামলার করেছিলো সেই ঘটনাকেই ভিন্নখাতে সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে শ্লীলতাহানির মামলা করে। আমি মাত্র একটি চেম্বার না করার পরপরই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মামলা করে। অথচ আমি ১২ বছর তাদের চেম্বারে রোগী দেখার পরও তারা কোনদিন আমার বিরুদ্ধে ন্যুনতম অভিযোগ করেনি।
এমতাবস্থায় বিভিন্ন ফেসবুক প্রোফাইল ও সংবাদপত্র আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মুখরোচক ভুয়া নিউজ করে আমার ও আমার পরিবারের জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলেছে। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে নিকলী থানায় ভুয়া অভিযোগ দায়ের করে আমাকে প্রচন্ড হয়রানি করছে। এমতাবস্থায় দেশের বিবেকবান মানুষ, ছাত্রজনতা, ডাক্তার সমাজ, বিবেকবান সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমার অনুরোধ একজন ডাক্তারকে ভয়াবহ হয়রানি থেকে রক্ষা করুন।
মন্তব্য করুন
“ভ্যাট দিবো জনে জনে, অংশ নেব উন্নয়নে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভ্যাট প্রদানের প্রতি জনগণকে আরও সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার উদ্যোগে পালিত হলো ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ ২০২৪। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে যথাযথ ভ্যাট প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) কুমিল্লা নগরীর একটি হোটেলে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এসময়, সেমিনারে বক্তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রাজস্ব আহরণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ভ্যাট প্রদানকে সহজ করা এবং ভ্যাট প্রদানে করদাতাদেরকে উৎসাহিত করা ভ্যাট দিবসের লক্ষ্য। রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপির অনুপাত ও দুই ডিজিটে উন্নীত করতে হলে ব্যবসায়ী সমাজ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও চূড়ান্ত করদাতা জনগণকে সমন্বিতভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে, প্রতি ১০০ টাকা রাজস্ব আহরণে বর্তমান ব্যয় মাত্র ১৯ পয়সা হতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করতে সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, আমাদেরকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। আমাদেরকে শত্রু ভাবা যাবে না। আর এভাবেই আমরা সামনে এগিয়ে যাবো। রাষ্ট্রের সিংহভাগ আয় আসে ভ্যাট থেকে। ভ্যাট থেকে দেশের রেভিনিউ এর ৪০ ভাগ আসে৷ উন্নয়নের গতি অটুট রাখতে রাজস্ব বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই৷ ব্যাপক জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই সকল ভ্যাট আদায় সম্ভব হবে। সামগ্রিক ভ্যাট ব্যবস্থাপনাকে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনে আনতে জাতীয় রাজস্ববোর্ড কাজ করে যাচ্ছে। এতে, করদাদাতেরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আর, আপনারা চুরি বন্ধ করে দিন, ভ্যাট কর্মকর্তারা আপনার দরজায় কড়া নাড়বে না।
বক্তারা আরো উল্লেখ করেন, গত অর্থবছরের তুলনায় এ বছর জাতীয় অর্থ বাজেটে ভ্যাটের অবদান বেড়েছে। এছাড়াও, ভ্যাটে প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। আমরা এখন অনলাইনেই আয়কর আবেদন, আয়কর রিটার্ন ও আয়কর জমা দিতে পারি৷ ভ্যাট সফটওয়্যার চলে আসলে আগামীতে আরো উন্নত হবে এই দিকটা। আর, গ্রাহকদেরকে বলবো ভ্যাট দেওয়ার পর অবশ্যই ভ্যাট চালান গ্রহণ করতে হবে৷ সমতাভিত্তিক ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভোজ্য তেল, কীটনাশক, হজ্বযাত্রার টিকেট খরচ ও অন্যান্য ফি'র ক্ষেত্রে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভারী শিল্পের ক্ষেত্রেও ভ্যাট হ্রাস করা হচ্ছে। এসময়, বক্তারা দেশের সার্বিক উন্নয়নে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়া দৃপ্ত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বক্তারা৷
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা কর অঞ্চলের কর কমিশনার শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার কমিশনার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান। স্বাগত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার অতিরিক্ত কমিশনার মির্জা সহিদুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার যুগ্ম কমিশনার মোঃ পায়েল পাশা।
এসময় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার সহকারী কমিশনার ইমরান হোসেন ও রীমা আকতারের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার যুগ্ম কমিশনার স্নিগ্ধা বিশ্বাস, যুগ্ম কমিশনার ফাহাদ আল ইসলাম, কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সহ সভাপতি জামাল আহমেদ। এছাড়াও, সেমিনারে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডার, বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারীগণ ও বিভিন্ন স্তরের সম্মানিত ভ্যাটদাতারা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে অতিথিদের বক্তব্য শেষে, ভ্যাটদাতারা ভ্যাট এক্সাইজ কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এখানে, ভ্যাটদাতারা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন ও কর্মকর্তারা সেগুলোর উত্তর প্রদান করেন। এসময়, ভ্যাটদাতারা ভ্যাটসম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শও প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন