রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে সনাতন ধর্মবিশ্বাসী সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার বিকালে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাকে গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দর আসেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৫ আগস্টের পর দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নামে কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেসব সমাবেশ থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে বক্তব্য দেন। এর আগে থেকেই তিনি আলোচনায় ছিলেন, তবে ২৫ অক্টোবর বিকালে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি মাঠে ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে তিনি বেশি আলোচিত হন।
এতে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের নামেও একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশের হিন্দুদের মন্দিরে হামলা, বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। অথচ তার বিরুদ্ধে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় তিনি উসকানিমূলক বক্তব্যও দিয়েছেন।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ইসকনের অন্যতম সংগঠক। তিনি সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। তিনি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষও।
এদিকে, গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। কোতোয়ালী থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন ফিরোজ খান। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়, তারা হলেন রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগত সফরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক যাচ্ছিলেন।
রোববার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগের সূত্র জানায়, শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
সূত্রে বলা হয়, গোলাম ফারুক ব্যাংকক যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরের বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টারে পৌঁছান। তিনি থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংকক যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইমিগ্রেশন কাউন্টারে গিয়ে ইমিগ্রেশন অফিসাররা তার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এর ফলে তাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি।
ডিএমপির সাবেক এই কমিশনার বর্তমানে ইমিগ্রেশন পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। রোববার বিকাল ৫টার সময় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা বা তাকে বাড়িতে ফিরতে দেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের তথ্য জানা যায়নি।
মন্তব্য করুন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে কানাডায় নাগরিকত্বের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালকের পদ পেতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং নিয়মবহির্ভুত কার্যকলাপের আশ্রয় নেয়া হয়েছিল বলেও দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে দুদক জানায়, যৌক্তিক কারণ ছাড়াই সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরের সঙ্গী করা হয়েছে। তার ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে দেয়া তথ্যাদি যথাযথ ছিল না। এছাড়া পুতুল পাসপোর্টধারী কানাডার নাগরিক ছিলেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
পুতুল পারিবারিক রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে বেআইনিভাবে ঢাকার ‘পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্প’-এর ডিপ্লোমেটিক জোনে ১০ কাঠা প্লট আয়ত্ব করেন। এরই মধ্যে তার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে।
বিবৃতিতে দুদক আরও জানায়, এছাড়া পুতুল ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক উপঢৌকন আদায় ও অর্থ আত্মসাত করেছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় অটিস্টিক সেলকে ব্যবহার করে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ লুফে নিয়ে নিজে লাভবান হয়েছেন।
তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওপর অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে ফাউন্ডেশনের নামে প্রাপ্য অর্থ করমুক্ত করিয়ে নেন। এতে সরকারের বিপুল অর্থে ক্ষতি হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিল করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক এবং চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) (চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিলে নামে এমপি মুজিবুল হকের সমর্থকেরা। এসময় আওয়ামী লীগের পদবঞ্চিত নেতারা চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থনে মহাসড়কে নেমে ভাঙচুর চালায়। পরে এমপি মুজিবুল হকের সমর্থকেরা তাদের প্রতিহত করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উভয় পক্ষ মহাসড়ক ছেড়ে চলে গেছে।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার হেলিকপ্টার ভ্রমণ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তিনি উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়ের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করেন, যা নেটিজেনদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে কিছুটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন উপদেষ্টা নিজেই।
২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
পোস্টে উপদেষ্টা তিনটি পয়েন্টের মাধ্যমে পুরো বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
১. প্রথমে গাড়িতে সফর প্ল্যান করা হলে ৬ দিনে শুধুমাত্র ১০ টি উপজেলায় সফর করা যাচ্ছিল। সফরের উদ্দেশ্য ছিল উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের লক্ষ্যে স্থানীয় জনগণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং প্রস্তাবিত উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন, পাশাপাশি শীতবস্ত্র বিতরণ। উপদেষ্টা মহোদয় কম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ উপজেলার জনসাধারণের কথা শুনতে চেয়েছেন৷ ফলে ৬ দিনে ২২ টি উপজেলা ভ্রমণের সিদ্ধান্ত হয় যা গাড়িতে কাভার করা অসম্ভব। তাই মন্ত্রণালয় থেকে সর্বনিম্ন খরচের মধ্যে হেলিকপ্টার হায়ার করা হয়।
২. বিগত ২ দিনের সফরে ঢাকা থেকে যাওয়া আসাসহ মোট ৬ বার হেলিকপ্টারে যাতায়াত করেন মাননীয় উপদেষ্টা। গত বুধবার একদিনে ঠাকুরগাঁও থেকে পঞ্চগড় এবং নীলফামারি এই তিন জেলায় মোট ৪ টি উপজেলায় ৫টি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। সড়কপথে এই একদিনেই প্রায় ২৫০ কিলোমিটারের সফর করে ৫টি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ অসম্ভব। এ ছাড়াও দীর্ঘদিন ঢাকার বাইরে থাকলে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম মন্থর হয়ে যাবে বলে অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে উত্তরবঙ্গের ২২টি উপজেলা পরিদর্শন ও মতবিনিময়ের প্রোগ্রাম ডিজাইন করতে হয়েছে। এ ছাড়াও সচিবালয়ে আগুন লাগার কারণে সফর স্থগিত করে ঢাকায় চলে আসেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
৩. আগামী ৪ দিনে আরও ১৬ টি উপজেলা সফরের কথা থাকলেও সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটায় তৎক্ষণাৎ সফর স্থগিত করে ঢাকায় ফিরে আসেন আসিফ মাহমুদ।
মন্তব্য করুন
সরকারের নির্দেশে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদের অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সরকার ধর্মীয় স্বার্থে উস্কানিমূলক বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, কামারপাড়া, আবদুল্লাহপুর, উত্তরা, এবং তুরাগ নদীর দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সাদপন্থিরা মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান রেজা আরিফ।
তিনি বলেন, সরকার সতর্ক করে দিয়েছে যে, দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সংঘর্ষ এড়াতে সরকারের অনুরোধে সম্মান জানিয়ে উভয় পক্ষকে মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাঠের নিয়ন্ত্রণ সরকার নিজ হাতে নেবে এবং কোনো পক্ষকেই সেখানে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।
এর আগে, বুধবার ভোরে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। তারা হলেন—কিশোরগঞ্জের বাচ্চু মিয়া (৭০), বগুড়ার তাইজুল ইসলাম (৬৫) এবং ঢাকার বেলাল (৬০)। সংঘর্ষে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমার প্রস্তুতি নিতে সাদ অনুসারীরা মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করলে জুবায়েরপন্থিদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। মঙ্গলবার রাত তিনটার পর সাদপন্থিরা কামারপাড়া ব্রিজ পার হয়ে মাঠে প্রবেশ করে। এসময় জুবায়েরপন্থিদের বাধা উপেক্ষা করে তারা বিদেশি নিবাসের গেট খুলে মাঠে ঢোকে এবং সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের উপদেষ্টারা একটি জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং ধর্ম উপদেষ্টা আ ক ম খালিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষের সংঘর্ষ এড়াতে এবং ইজতেমার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
রাষ্ট্রপতির অপসারণের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিতে রাজনৈতিক ঐকমত্যের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রবিবার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, এখানে আমাদের তাড়াহুড়ো করার সুযোগ নেই আবার অনেক বেশি দেরিও করা ঠিক হবে না। রাজনৈতিক ঐক্যমত্য তৈরির প্রচেষ্টা চলছে, সেখান পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির বিষয়ে গোপনীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা প্রকাশ্যে নেওয়া হবে। রাজনৈতিক ঐকমত্য যত তাড়াতাড়ি হবে, তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত আসবে।"
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উল্লেখ করেন, "বিএনপি বলছে যে তারা রাজনৈতিক সংকট দেখছে, আবার বিএনপির কিছু নেতারা বলছেন, তারা সেই সংকট দেখছেন না। যারা রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাচ্ছেন এবং যারা মনে করছেন এটা হলে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে—তাদের মধ্যেই ঐক্যের চেষ্টা চলছে।"
তিনি বলেন, "এখন কোনো সিদ্ধান্ত হবে কি না বা রাজনৈতিক ঐক্যের ফলে সিদ্ধান্ত কী হবে, তা বলা সম্ভব নয়। কারণ রাজনৈতিক ঐক্য কোন দিকে যাবে এবং মতামত কোন দিকে বেশি যাবে, তা পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন।"
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সরকার গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করে এবং গণমাধ্যমের ভূমিকা উন্নত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করবে। কমিশন বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে একটি রূপরেখা তৈরি করবে। সরকার এই রূপরেখা পর্যালোচনা করে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।"
তিনি আরও বলেন, "সাংবাদিকতা একটি বহুমুখী ক্ষেত্র যেখানে বিভিন্ন পক্ষ সক্রিয়। সম্পাদক, মালিক এবং সাংবাদিক—প্রত্যেকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কাজ করেন। তবে তাদের এক জায়গায় আসতে হবে, সম্মিলিতভাবে সমাধান খুঁজতে হবে।"
সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, "এই আইন নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং অন্যান্য আইনও পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে। যত কম আইনি বাধা থাকবে, স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য ততটাই ভালো।"
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে জনগণের সামনে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা উচিত। "যদি কেউ ভুল করে থাকে বা পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকে, তাহলে তা স্বীকার করা উচিত। সত্যের মধ্য দিয়ে রিকনসিলেশন সম্ভব।"
উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, "গণমাধ্যম এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে মতবিরোধ থাকলেও সবাইকে সঠিক পথে কাজ করতে হবে।"
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে ভারত সরকারকে নোট ভারবাল পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি তাদের জানিয়েছি যে, তাকে বিচারিক প্রক্রিয়ার জন্য ফেরত চাওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য ভারতকে সরবরাহ করেছি।
এর আগে সকালে পিলখানায় বিজিবি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
কীভাবে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির আওতায়ই তাকে ফেরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।”
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় গত ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়। গত ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের জন্য ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করার বিষয়ে প্রসিকিউশন পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে আবেদন করে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তাদের অনেককে আমরা ধরেছি। বিদেশে যারা পালিয়ে তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের নৌ পুলিশ সদর দফতর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামি ১০৫ জন। সেখানে গ্রেফতার মাত্র ৩৫ জন। আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কতটা সফল সেটা জনগণ বলতে পারবে। গণমাধ্যমের সহকর্মীরা বলতে পারবেন আমরা কেমন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েছি। সেই থেকে বর্তমান পরিস্থিতি কেমন।
গ্রেফতারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে অনেককে আমরা ধরেছি। আসল জন (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে নেই। আমরা তাকে কোথা থেকে ধরব। যারা দেশে নেই তাদের তো পুলিশ গিয়ে ধরে আনতে পারে না। এইটার এক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে, সেইভাবে তাদের আনার কাজ চলছে।
একই প্রশ্নের জবাবে পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কিছু আসামিদের বিষয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশের অনুরোধ জানিয়েছি। আমার বিশ্বাস দ্রুতই ইন্টারপোলের নোটিশ জারি হবে। তখন সংশ্লিষ্ট দেশের পুলিশের একটি নৈতিক দায়িত্ব হবে এসব আসামিদের গ্রেফতার করার। আমার বিশ্বাস তারা তাদের গ্রেফতার করবে।
থানা ও কারাগারে বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে। হামলার প্রতিকার হচ্ছে বলে এমন ঘটনা ঘটেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিকার হচ্ছে। উত্তরার ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে, এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারাগারের ঘটনায়ও একইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নানা অজুহাতে রাস্তা অবরোধ করা হচ্ছে। এগুলো সরকারকে অস্থিতিশীল করতে করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন, কারণে অকারণে রাস্তাঘাট বন্ধ করা হচ্ছে। গণমাধ্যম ভালোভাবে প্রচার করলে জনগণ রুখে দেবে। ধৈর্যের সীমা শেষ করে দিচ্ছে। রাস্তা বন্ধ না করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ বলতে পারে। কর্তৃপক্ষ কাজ না করলে স্কুল বা কলেজের মাঠে আন্দোলন করতে পারে। সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কাজ না করার আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের ছেলেকে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথ। অভিযোগের তদন্তে ফল জালিয়াতি প্রমাণ হওয়ার পর নায়ায়ণের ছেলে নক্ষত্র দেবনাথের ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সেই ফল বাতিল করে দিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে অনুষ্ঠিত বোর্ডের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় নক্ষত্র দেবনাথের ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। পরে বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সচিব প্রফেসর আমিরুল মোস্তফা।
তিনি বলেন, বোর্ডের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় নক্ষত্র দেবনাথের ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে ফল জালিয়াতির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি নক্ষত্র দেবনাথের ফল বাতিলের সুপারিশ করে বলে তিনি জানান।
জানা যায়, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে থাকাকালে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় নিজের ছেলেকে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে নায়ারণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে করা তদন্তে ফল জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণ হয়।
জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর গত ৯ জুলাই নারায়ণ চন্দ্র নাথকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর মাউশির পরিচালক পদ থেকে তাকে ওএসডি করা হয়। এরপর তদন্ত কমিটির সুপারিশে গত ১৫ সেপ্টেম্বর নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাসহ ব্যবস্থা নিতে মাউশির মহাপরিচালক ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে অংশ নেন নক্ষত্র দেবনাথ। ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ফল ঘোষণার পর তার জিপিএ-৫ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে। সে সময় তার বাবা নারায়ণ চন্দ্র নাথ বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন। অভিযোগ ওঠে, প্রভাব খাটিয়ে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর গণমাধ্যমে ফল জালিয়াতির বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরবর্তী সময়ে ডা. মাহফুজুর রহমান মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্তব্য করুন