কুমিল্লা সদর উপজেলার ২নং দূর্গাপুর (উঃ) ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তারের প্রতি অনাস্থা প্রদান ও অত্র ইউনিয়নে বিধি মোতাবেক প্রশাসক নিয়োগ প্রদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যরা। এরই প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) সকালে উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ২ নং দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শনে যান এবং এবং কার্যালয়ের বিভিন্নজনের সাথে কথা বলেন। তবে অভিযোগকারী ওয়ার্ড সদস্য কেউই ওইদিন ইউনিয়ন পরিষদে যাননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুত্র জানায়, এখানে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ইউনিয়ন সদস্যদের ঐদিন ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বাধা প্রদান করে।
লিখিত অভিযোগে ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মতিন, আব্দুল জলিল, মোহাম্মদ আবুল হোসাইন, মোঃ আসলাম খান, মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, মোঃ জাহের, রোছমত আলী, নাজমুল হাসান, খোরশেদ আলমসহ আরো অনেকে উল্লেখ করেছেন, আমরা আদর্শ সদর উপজেলার ২নং দূর্গাপুর (উঃ) ইউনিয়নের নির্বাচিত সদস্য। ৫ আগষ্ট প্রেক্ষাপটে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে অত্র ইউনিয়নের ৩নং প্যানেল চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়। এক্ষেত্রে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল ও ২নং প্যানেল চেয়ারম্যান নাজমুল হাসানকে উপেক্ষা করা হয়, যাহা বিধি সম্মত নয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তার দায়িত্ব পাওয়ার পর হতে বিভিন্ন রকম অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িয়ে পরেন। ইউনিয়নের বিভিন্ন রকম ট্যাক্স টোল বৃদ্ধি করে দেয়। বিভিন্ন সরকারি অনুদানের বিষয় আমাদেরকে অবগত না করে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেন নিজের ইচ্ছামত। পরবর্তীতে আমাদেরকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন। জনগণের সামনে আমাদের কে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। ইউনিয়নের রিলিফ বন্টনে নানা অনিয়ম করেন। নিয়মিত অফিস করেন না, ফলে জনসাধারণ বিভিন্ন রকম ভোগান্তিতে পরেন। উল্লেখ্য যে, ইউনিয়নের হতদরিদ্র চাউলের ডিলারশীপ তার মায়ের নামে নিয়ে নিজে পরিচালনা করেন এবং বিতরণে নানা রকম অনিয়ম করেন। এহেন অবস্থায় আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তারের প্রতি অনাস্থা প্রদান করিলাম এবং বিধি মোতাবেক একজন প্রশাসক নিয়োগ করার জন্য মহোদয়ের নিকট সদয় আবেদন করছি।
সমবায় অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, যারা অভিযোগ করেছে তারা আমার পরি পরিদর্শনের দিন ইউনিয়ন পরিষদে আসেনি। ফলে আমি কথা বলতে পারিনি তাদের সাথে । তদন্ত চলছে। পরে বিস্তারিত জানাবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, আমাদেরকে পথে পথে বাঁধা প্রদান করা হয়েছে, হুমকি দেয়া হয়েছে। তাই আমরা আতঙ্কে ঐদিন ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারিনি। বিএনপি'র একটি শক্তিশালী মহল এর যুবলীগ নেত্রী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কে এই পদে বহাল রাখতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার মুঠো ফোনে কল দিলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের ৪ জনসহ মোট ৬ জন নিহত হয়েছে।এই ঘটনায় ঘাতক বাসটির চালক মোহাম্মদ নুরুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ঘাতক বাসটির চালক মোহাম্মদ নুরুদ্দিনকে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর বাসচালক আত্মগোপনে সিদ্ধিরগঞ্জ লুকিয়ে ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা ৩ টি গাড়িতে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে একই পরিবারের ৪ জনসহ দুটি গাড়ির ৬ আরোহী নিহত ও ৪ জন আহত হন। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই ৫ জন ও বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান।
নিহতরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তার ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।
আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলম (৪২), তার বোন ফাহমিদা আক্তার (১৭), প্রাইভেটকারের চালক হাবিবুর রহমান (৩৮) ও মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়া (৪২)।
শুক্রবার দুর্ঘটনার পর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় আহত ব্যক্তিদের।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় ১০ জনকে এ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫ জন হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান। আহত ৫ জনের মধ্যে ৩ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩ জনের মধ্যে গুরুতর আহত রেশমাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছিল। পরে তারা জানতে পারেন, শুক্রবার বিকেলে সেখানে রেশমার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নে তিন লবণচাষির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৫ মে) উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর কাশেম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজীর পাড়া গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে রিদোয়ান (৩৫), পানিরছড়া গ্রামের আকতার কবিরের ছেলে মুহাম্মদ নেছার (৩২) ও পানিরছড়া বারঘর পাড়ার মৃত মতনের ছেলে মো. আনছার।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান মীর কাশেম চৌধুরী জানান, রোববার (১৪ মে) সকাল ১০টায় মাঠে পলিথিন ও লবণ উঠানোর জন্য আনুমানিক ৪০-৫০ জন শ্রমিক মাঠে যায়। বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার কারণে ঠান্ডায় ৬/৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রিদওয়ানকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন আর বাকিদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে লবণ মাঠে পলিথিন উঠাতে গিয়ে মৃত্যু হয় মুহাম্মদ নেছার নামের আরেকজনের। তাকে রাত সাড়ে ১০টায় পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় সোনা মিয়া নামের আরেক কৃষককে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এছাড়া এলাকাবাসী রাত সাড়ে ১১টায় লবণ মাঠ থেকে আনছারের মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, হোয়ানকের বিভিন্ন গ্রামের আরও ১০/১৫ জন লবণচাষি এখনও ঘরে ফিরেননি।
এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, তিনজনের মৃত্যু ও কয়েকজন অসুস্থ হওয়ার কথা শুনেছি। তবে কী কারণে তারা মারা গেছেন সেটা সঠিক জানি না। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের মামলার পলাতক আসামি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের এপিএস আমিনুর রহমান সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে দিঘি এলাকার নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস এম আমান উল্লাহ নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া আমিনুর রহমান সেলিম সদর উপজেলার দিঘি ইউনিয়নের রমনপুর গ্রামের আলতাফ মাস্টারের ছেলে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস এম আমান উল্লাহ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে দিঘি এলাকার নিজ বাসভবন থেকে আমিনুর রহমান সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে আদালতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর কড়াইল বৌ-বাজার বস্তিতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাতটি ইউনিট।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাকিবুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
রাকিবুল ইসলাম জানান, প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে যানজটের কারণে আরও দুটি ইউনিট যোগ দেয়। তবে বস্তির সংকীর্ণ রাস্তায় পানিবাহী গাড়ি প্রবেশে অসুবিধা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এখনো আগুন লাগার কারণ এবং হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, কড়াইল বস্তিতে এর আগেও একাধিকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের কালিকাপুর রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল গ্রামের আলী আহমদ, রফিক মিয়া, সাজু মিয়া, লুৎফা বেগম, সানু বেগম ও সফরজান বেগম এবং পাশের খোদাইধুলি গ্রামের হোসনে আরা বেগম।
ওসি মো. এমরান হোসেন জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ১০টার দিকে কালিকাপুর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি রেলপথ থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই ৪ যাত্রী মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও ৪ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় পথে একজন এবং হাসপাতালে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারের পরিষেবা আবারও চালু করা হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে সার্ভার চালুর কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, এখন এনআইডি সেবা পাওয়া যাচ্ছে। আজ সকাল থেকে এটি সচল হয়েছে। মাঝে মধ্যে এটির রক্ষণাবেক্ষণের দরকার পড়ে। যার কারণে সার্ভার বন্ধ করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এনআইডি সার্ভারের পরিষেবা বন্ধ করা হয়। এর আগে গত ১৬ আগস্টেও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে এনআইডি সেবা বন্ধ ছিল। এছাড়া চলতি বছরে কয়েকবার এনআইডি সার্ভার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এনআইডি সার্ভারে।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুণাইঘর উত্তর ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিদা আক্তারের মতবিনিময় সভায় যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষরা ঘোড়া প্রতিকের দুই কর্মীকে পিস্তল ঠেকিয়ে রড ও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে ।
শুক্রবার (১৭ মে) রাতে ইউনিয়নের বনকুট এলাকায় এ হামলা-মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, দেবিদ্বার উপজেলার গুণাইঘর উত্তর ইউনিয়নের ছেপাড়া গ্রামের মৃত. তাজুল ইসলামের ছেলে মো: দুলাল মিয়া (৩৫) ও একই গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে মো: আজিজ (৩০)। আহতদের দেবিদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বাদি হয়ে দুলাল মিয়া ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে দেবিদ্বার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা হলেন, গুনাইঘর এলাকার মৃত. ইসমাইলের ছেলে মাকবুল হোসেন (৮৮), মৃত. ফরিদ উদ্দিনের ছেলে মো: রাসেল (৪২), মৃত. লতিফ সরকারের ছেলে গাজী আসিফ বিন লতিফ((২৮), গজারিয়া এলাকার সফর আলীর ছেলে মো: কাউসার মেম্বার(৩৬), বাকসার পাঠান বাড়ির মো: শাহানুর (৩০), মৃত. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শফিউল্লাহ (৪৫)।
আহত দুলাল মিয়া ও মোঃ আজিজ জানান, আমরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের কর্মী ও সমর্থক ৷ সাবেক এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল মহোদয়ের বাড়িতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিদা আক্তারের মতবিনিময় সভায় যাওয়ার পথে আসামিরা পিস্তল, ছুরি, রামদা, রড ও লাঠিসোটা আমাদের উপর আক্রমণ করে। তারা আমাদের পথরোধ করে আমাদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মতবিনিময় সভায় যেতে নিষেধ করে। আমরা তাদের কথা শুনব না বলাতে তারা এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে আমাদের আহত করে। আমাদের গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে । তারা আমাদের মারধর করে আমাদের সঙ্গে থাকা নগদ সাড়ে ৩ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং পরনের কাপড় চোপড় ছিড়ে ফেলে ৷ ভবিষ্যতে যাতে ঘোড়া প্রতিকের কোন মিছিল-মিটিংয়ে না যাই, সে নির্দেশনা দিয়ে তারা চলে যায়।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন মিয়া জানান, এ ঘটনায় দুই পক্ষ দুটি অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, আগামী ২৯ মে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বি হলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাষ্টারের স্ত্রী শাহিদা আক্তার ও স্থানীয় এমপি আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই মামুন।
মন্তব্য করুন
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, সামনে নতুন নির্বাচিত সরকার আসবে। তাই ভোট টাকার বিনিময়ে না দিয়ে যোগ্য এবং সৎ প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, "নতুন বাংলাদেশ, নতুন সরকার। সামনে নতুন নির্বাচিত সরকার আসবে। সেই সঙ্গে নতুন মেম্বার, চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে এমপি-মন্ত্রীর নির্বাচন হবে। ভোটের দিন আমরা টাকার বিনিময়ে ভোট না দিয়ে যোগ্য এবং সৎ প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে।"
সারজিস আলম আরও বলেন, "পাঁচ বছরের জন্য একজন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করার সুযোগ আমাদের কাছে মাত্র একবার আসে। যদি আমরা সেই সুযোগ কয়েকশ টাকার বিনিময়ে নষ্ট করি, তাহলে আগামী পাঁচ বছর সেই প্রতিনিধি আমাদের উপর জুলুম করবে। এ দায়ভার আমরা এড়াতে পারব না। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।"
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
মাত্র পাঁচ বছরের এক ছোট্ট শিশু, মুনতাহা আক্তার জেরিন। তার মিষ্টি হাসি ও চঞ্চলতা পরিবারের সবাইকে মুগ্ধ করত। প্রতিবেশীরাও তাকে আপন করে নিয়েছিলেন। তবে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হতে হয় এই শিশুটিকে, এবং এতে জড়িত ছিলেন তার সাবেক গৃহশিক্ষিকা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুনতাহার গৃহশিক্ষক ছিলেন শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫)। কিছুদিন আগে তার খারাপ আচরণের কারণে মুনতাহার বাবা তাকে পড়াতে নিষেধ করেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মার্জিয়া। প্রতিশোধ নিতে গত ৩ নভেম্বর মার্জিয়া ও তার মা আলিফজান বিবি শিশুটিকে কৌশলে তাদের ঘরে নিয়ে যান।
ঘরের ভেতর ওড়না ও রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে মুনতাহাকে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে ঘরে রাখা হয়। গভীর রাতে মরদেহটি পলিথিনে মুড়িয়ে ঘরের পাশের নালায় পুঁতে রাখা হয়। পরদিন ভোরে মরদেহটি পুকুরে ফেলার সময় স্থানীয়রা তা উদ্ধার করেন। এসময় আলিফজান বিবিকে আটক করে স্থানীয় জনতা।
এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষক শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি, প্রতিবেশী ইসলাম উদ্দিন (৪০), এবং মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)।
মুনতাহা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমদের মেয়ে। রোববার বাদ আসর বীরদল পুরানফৌদ জামে মসজিদে জানাজা শেষে গ্রামের পঞ্চায়েত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
গত ৩ নভেম্বর দুপুরে মুনতাহা পার্শ্ববর্তী বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকেল পর্যন্ত না ফেরায় পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সন্ধান না পেয়ে মুনতাহার বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী ও আত্মীয়স্বজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হলে অনেকেই মুনতাহাকে খুঁজে পেতে সাহায্যের জন্য আবেগঘন পোস্ট দেন এবং স্বেচ্ছাসেবায় যুক্ত হন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীতে ৫ আগস্ট আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক ইশতিয়াক সরকার বিপুকে জড়ানো হয়েছে।
রবিবার ( ১০ আগষ্ট) সকালে কুমিল্লা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমতিয়াজ সরকার নিপু।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই ইসতিয়াক সরকার বিপু ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিতে সক্রিয়। ১৯৮৯ সাল থেকে সে ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদল কর্মী হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ২০১৭ সালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বেশ কয়েকবার তাদের দ্বারা হামলা ও মামলার শিকার হয়। ২০১৮ সালের আওয়ামী লীগের দেয়া দুইটি মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করে। দুঃখের বিষয় গণঅভ্যুথানের পরেও বর্তমান সময়ে সেই মামলাগুলো এখনো চলমান রয়েছে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায়ের পর ইসতিয়াক সরকার বিপু ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়। সাথে সাথে শুরু হয় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এরপরের ঘটনা আপনারা সকলেই অবগত আছেন। সম্ভাব্য কাউন্সিলর নির্বাচন ও ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপিতে নিজেকে উপস্থাপন করার সাথে সাথেই নানামুখী ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। এতে আওয়ামীলীগের পতিত নেতাকর্মীরাও নিজেদের শত্রুদের সাথে সখ্যতা ও হাত মেলায়। তাদের প্রতিপক্ষতা ও হিংসা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, ৫ আগস্ট আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে জড়াতে নানাহ আইনী জটিলতা চালায়। ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি এমন কূটকৌশল ও আইনি জটিলতা তারা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। নিজেদের দলের একজন ত্যাগী কর্মীকে ফাঁসাতে এমন জঘন্য অপকর্ম করতেও তারা পিছপা হয়নি।
অথচ ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর দুপুরে ইসতিয়াক সরকার বিপু মোগলটুলি এলাকা থেকে বিজয় মিছিল নিয়ে পূবালী চত্বরে যায়। এরপর পুলিশের ফোনে খবর পায় কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় হামলা হতে পারে। তখন বিকেল বেলা সে তার নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত হয় এবং অবস্থান নেয়। ওই সময়ে থানায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যগণ তাঁদের নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ জানায়। এসময় কোতয়ালী থানায় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার ও সাবেক কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়াসহ মহানগর ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র জনতা । উপস্থিত নেতৃবৃন্দ থানায় মাইকে বক্তব্য রাখেন, যার ভিডিও ফুটেজ কোতয়ালি থানার সিসিটিভি ক্যামেরায় ও বিভিন্ন কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো রয়েছে। রাতে যখন বিপু এলাকায় ফিরে আসেন তখন জানতে পারেন আইনজীবী আবুল কালাম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই ব্যক্তি একই সময়ে পৃথক দুইটি ঘটনায় উপস্থিত থাকতে পারেন না।
আইনজীবি আবুল কালাম আজাদ হত্যার ঘটনাটি জঘন্যতম অপরাধ। তিনি বিএনপি ঘরানার আইনজীবী ছিলেন। আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাচ্ছি। যারা এই হত্যা কান্ডটি সংঘটিত করে তারা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। হত্যার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মোবাইলে ধারণকৃত ফুটেজ অবশ্যই পুলিশের কাছে আছে, পুলিশ তা জানেও। ওই ফুটেজ সমূহ যাচাই-বাছাই করলে হত্যার সময় বিপু এই ঘটনায় ছিল না বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও ষড়যন্ত্র থেমে নেই ।
মামলায় ইসতিয়াক সরকার বিপু স্বাভাবিকভাবেই আসামির তালিকায় ছিল না, থাকবার কথাও নয়। কিন্তু পরে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে বিপুকে জড়িত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে বিপুর নামটি জড়ায় সেও আইনজীবী হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি নয়। পরবর্তীতে অন্য মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলে তাকে এবং তার পরিবারকে বুঝানো হয় তার গ্রেফতারের সাথে বিপুর সম্পর্ক রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপুকে জড়িয়ে বক্তব্য দেয়। ওই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপু তাকে গ্রেপ্তার করিয়ে দিয়েছে বলেও বক্তব্য দেয়। শুধু তাই নয় এই মামলায় ৫নং ওয়ার্ডের আরো কয়েকজন নিরপরাধ মানুষকে জড়ানোর চেষ্টা চূড়ান্ত করা হয়েছে ।
পরবর্তীতে এই ষড়যন্ত্র আরো শক্তিশালী করতে আরও আইনী জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে বলেও আমরা জানতে পেরেছি। আমরা এই কুচক্র, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আমরা গত কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হতে দেখেছি। যেখানে “ফেইস দ্যা পিপল”এর সাংবাদিক সাইফুর রহমান সাগর এই হত্যা মামলার বাদীকে প্রশ্ন করেন ইসতিয়াক সরকার বিপু নামে কাউকে চিনেন কিনা! এবং বাদী সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দেন “না আমি ওই নামের কাউকে চিনি না তদুপরি নামটি আমি এই প্রথম আপনার মুখেই শুনলাম”।
পরিশেষে আমরা বলতে চাই, আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যার ঘটনাটি একটি জঘন্যতম অপরাধ। ওই হত্যার সুষ্ঠু বিচার হোক আমরাও চাই। তবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ইসতিয়াক সরকার বিপুকে জড়ানো হচ্ছে, শুধুমাত্র ফাঁসাতে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পুলিশ ও এলাকার মানুষ সব সত্য জানে। তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সত্য জানাতে ও হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং সুবিচার দাবি করছি।
মন্তব্য করুন