দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথ সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, গত কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেমন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও তেমন হবে। নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে। সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে।
নির্বাচনের সময় সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ হারিয়েছে- বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই অভিযোগ মিথ্যা। কেননা সবগুলো সিটি করপোরেশন ও উপনির্বাচনে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা শেখ হাসিনার সময়েই বেশি কার্যকর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধন খুব যৌক্তিকভাবে হয়েছে। এটা নিয়ে অযথা সমালোচনা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। সরকার ইসিকে সহযোগিতা করবে।
মন্তব্য করুন
শেরপুর জেলা সদর উপজেলার পাকুরিয়া ভাটিপাড়ার এলাকার মো. আশা মিয়ার ছেলে আটককৃত আমিনুল।
পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা কালাপানি এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। সে সময় ওই এলাকায় কয়েকজন মাদক কারবারি বস্তাভর্তি ভারতীয় মদ নিয়ে পাচারের অপেক্ষায় ছিলো। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও ৫২ বোতল মদসহ আমিনুলকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক।
মন্তব্য করুন
রংপুরে চুরি হয়ে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ওই মোটরসাইকেল চুরির মামলায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর নুরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নগরীর ছোট নুরপুর এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে আশিকুর রহমান পিথিল (২০), বড় নুরপুর এলাকার আব্দুস সালাম শেখের ছেলে মোহাম্মদ আলী শেখ (২১), দক্ষিণ গুপ্তপাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে রবিন (২৫) এবং নুরপুর এলাকার শামসুল আলমের ছেলে আসাদুল ইসলাম আসিফ (২৪)।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বলেন, মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কোতয়ালী থানা এলাকার ঠিকাদারপাড়ার মঞ্জুরুল মাস্টারের বাড়ির সামনে থেকে তিনজন চোর একটি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল মালিক রুবেল ইসলাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে আসামিদের শনাক্ত করেন। পরে বুধবার নগরীর নুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেপ্তারসহ চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে।
ওসি মাহফুজার রহমান বলেন, আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা স্বেচ্ছায় আদালতে মোটরসাইকেল চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছে। পরে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
মন্তব্য করুন
সিলেট নগরীর মিরা বাজারস্থ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হওয়ায় ৯ জনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাম্পের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম মুহিন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নজরুল ইসলাম মুহিন সিলেট নগরীর পশ্চিম পীরমহল্লার ঐক্যাতন ২১৫/৩ মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নজরুল ইসলাম মুহিনের পরিবারের ঘনিষ্ঠজন সাংবাদিক আব্দুল মুকিত অপি।
অগ্নিদগ্ধদের গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক ও পরদিন (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর গত ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর পৃথক সময়ে সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাঁও গ্রামের বাদল দাস (৪০) নামে দুজন মারা যান।
প্রসঙ্গত, গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিলেট নগরের পূর্ব মিরাবাজার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের জেনারেটর কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটে। এতে ৯ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে ম্যানেজারসহ ৭ জন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কাজ করতেন এবং বাকি দুই জন পথচারী ছিলেন। তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর দগ্ধ ৯ জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করা হয়। ঢাকায় পাঠানোদের মধ্যে বেশিরভাগের শরীর ১৫-৪০ ভাগ পর্যন্ত পুড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
মন্তব্য করুন
‘মনিটর এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার ২০২৩’- এ বেস্ট ইন-ফ্লাইট সার্ভিস ক্যাটাগরিতে সেরা হয়েছে এয়ার অ্যাস্ট্রা।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত গালা অ্যাওয়ার্ড নাইটে এয়ার অ্যাস্ট্রার সিইও ইমরান আসিফের হাতে বেস্ট ইন-ফ্লাইট সার্ভিস ক্যাটাগরির গোল্ড পুরস্কার তুলে দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
যাত্রী সন্তুষ্টির প্রতিশ্রুতির জন্য পরিচিত এয়ার অ্যাস্ট্রা ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে বর্তমানে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর এবং সিলেটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এয়ার অ্যাস্ট্রা’র বহরে বর্তমানে তিনটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট। এ ধরনের এয়ারক্রাফট ৭০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম।
বাংলাদেশ মনিটর তাদের বাৎসরিক কার্যক্রম হিসেবে ২০০৭ সালে বাংলাদেশে ‘এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার’ প্রবর্তন করে। এভিয়েশন ও পর্যটনবিষয়ক প্রকাশনা ‘বাংলাদেশ মনিটর’ এর জরিপের ভিত্তিতে বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হয়। বিগত এক বছরে যারা কমপক্ষে তিনবার আকাশপথে ভ্রমণ করেছেন, তারা অনলাইনে নিজের পছন্দের এয়ারলাইন্সকে ভোট দিতে পেরেছেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন। রবিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসকল মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন।এসময় গণভবন প্রান্তে ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর ও খুলনার ফুলতলা মডেল মসজিদ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ দেশের প্রতিটি জেলায় ও উপজেলায় স্থাপন করতে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ২০১৭ সালে গ্রহণ করে সরকার। ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক (২য় সংশোধিত) প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। গণপূর্ত অধিদপ্তর মসজিদগুলো নির্মাণ করছে।
২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়ে, ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে, ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ তৃতীয় পর্যায়ে এবং গত ১৭ এপ্রিল চতুর্থ পর্যায়ে ৫০টি করে মোট ২০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসব মসজিদে ইমাম, মুয়াজ্জিনও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নামাজ আদায় করা হচ্ছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গিয়েছে, প্রতিটি মডেল মসজিদ চারতলা বিশিষ্ট এবং প্রতিটি মসজিদে একসঙ্গে এক হাজার ২০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। অন্যদিকে, তিনতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদগুলোয় একত্রে ৯০০ জন মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
মুম্বইয়ে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে। তার এই মৃত্যুকে ঘিরে ভারতে তোলপাড় চলছে। সব মিডিয়ায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছে এ ঘটনা। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ সব কাহিনী। কারণ, বাবা সিদ্দিক একজন নামকরা রাজনীতিক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন হরিয়ানার গুরমাইল বলজিত সিং (২৩) এবং উত্তর প্রদেশের ধর্মরাজ কাশ্যপ (১৯)। তৃতীয় জন উত্তরপ্রদেশের শিব কুমার গৌতম হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে চতুর্থ একজন এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বলে মনে করা হয়। তিনি পলাতক রয়েছেন। তবে লরেন্স বিষ্ণুই শনিবার রাতের হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি একটি কুখ্যাত গ্যাংয়ের সদস্য। এই গ্যাংয়ের নাম লরেন্স বিষ্ণুই। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। অভিযোগ আছে লরেন্স বিষ্ণুই পাঞ্জাবের খালিস্তানপন্থি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এই গ্যাংয়ে অস্ত্র চালাতে দক্ষ এমন সদস্য আছে ৭০০।
কে এই লরেন্স বিষ্ণুই: লরেন্স বিষ্ণুইয়ের জন্ম ১৯৯৩ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে। ২০১০ সাল পর্যন্ত তাঁর জীবন কেটেছে রাজ্যের আবোহার শহরে। এরপর তিনি ডিএভি কলেজে ভর্তি হতে চণ্ডিগড়ে পাড়ি জমান। ২০১১ সালে যোগ দেন পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস স্টুডেন্টস কাউন্সিলে। সেখানে তার পরিচয় হয় ‘গ্যাংস্টার’ গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে। এরপর ধীরে ধীরে অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষ্ণুইয়ের বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। রয়েছে হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। যদিও এসব অভিযোগের কোনোটাই স্বীকার করেননি তিনি। গ্যাংয়ের সদস্যদের মাধ্যমে কারাগারে বসেও বাইরের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে চণ্ডিগড়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড শুরু করেন বিষ্ণুই। ২০১৩ সাল নাগাদ তিনি ত্রাস সৃষ্টিকারী এক চরিত্রে পরিণত হন। কয়েকটি হত্যার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে পড়ে। পরে তার গ্যাং মদ বেচাকেনা ও অস্ত্র চোরাচালানে অর্থ লগ্নি শুরু করে। হত্যাকারীসহ ভয়ংকর সব অপরাধীদেরও আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়ে আসছে তারা। লরেন্স বিষ্ণুইয়ের নাম নতুন করে সামনে আসে ২০২২ সালে। সে বছরের ২৯ মে পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসওয়ালাকে হত্যা করা হয়।
কারাগারে বিষ্ণুই: ২০১৪ সালে রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয় লরেন্স বিষ্ণুইয়ের। এরপর তিনি কারাবন্দী হন। সেখান থেকেই আরও সংঘবদ্ধভাবে অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। কারাগারে থাকাকালে জস্বিন্দর সিং ওরফে রকি নামের আরেক অপরাধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার। ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রকি। বন্দী অবস্থায়ও লরেন্স বিষ্ণুইয়ের প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়েই চলেছিল। রাজস্থানের ভারতপুর জেলায় যে কারাগারে তিনি বন্দী ছিলেন, সেখানকার কর্মকর্তাদের হাত করে নানা কার্যসিদ্ধি করতেন। ২০২১ সালে তাকে সেখান থেকে দিল্লির তিহার কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই কারাগারের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, আইপি কলের মাধ্যমে গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বিষ্ণুই। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ভারতের ডানপন্থী নেতা সুখদেব সিং গোগামেদিকে জয়পুরে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সুখদেবের সঙ্গে অস্ত্রধারী একজন চা পান করছেন। তিনিই গুলি চালান। পরে বিষ্ণুইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য রোহিত গোদারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সুখদেবকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। ২০১৮ সালে বলিউড তারকা সালমান খানকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে বিষ্ণুই গ্যাং। সে বছর মুম্বইয়ে সালমানের বাসায় হানা দেন সাম্পাথ নাথ নামে বিষ্ণুই গ্যাংয়ের এক সদস্য। তিনি দাবি করেন, কালো হরিণ শিকারের কারণে সালমানকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তার ওপর। বিরল প্রজাতির এই হরিণকে বিষ্ণুই সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করে। সালমান খানকে সরাসরি হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণুই। ভারতের যোধপুরে আদালতে এক শুনানি চলাকালে তিনি বলেছিলেন, ‘সালমান খানকে এই যোধপুরেই হত্যা করা হবে। তারপর তিনি আমাদের সত্যিকারের পরিচয় জানতে পারবেন।’
এরপর ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সালমান খানের বাসার বাইরে গুলি চালানো হয়। এই এলাকাতেই শনিবার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বাবা সিদ্দিক। সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল তার। সালমানের বাসার বাইরে গুলির পর সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, এ কাজের জন্য দু’জনকে ভাড়া করেছিল বিষ্ণুই গ্যাং।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরের দুই টেস্টের জন্য যে দল ঘোষণা করা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আসার পরই হইচই শুরু হয়ে যায়। কারণ দল থেকে ছিটকে পড়েছেন বাবর আজম। তাকে বিশ্রামের কথা বলে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। আর বন্ধুর খারাপ সময়ে তার পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিলেন ফখর জামান। আর তাতেই বাঁহাতি ওপেনারের ওপর চটে লাল পাক ক্রিকেট বোর্ড।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অন্দরে সংঘাতটা লেগেই গেল। গতকাল রোববার পাক বোর্ডের তরফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি দুই টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করা হয়। সেখানেই পাকিস্তানের নয়া নির্বাচক কমিটি ক্রিকেটারদের স্পষ্ট বার্তা দেয়— হয় পারফরম্যান্স কর, নয় সরে দাঁড়াও। বোর্ডের এই অবস্থানের জেরে দল থেকে ছাঁটাই হন বাবর আজম। দলে নেই শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ।
পাক বোর্ডের তরফে মুলতান ও রাওয়ালপিন্ডিতে পরের দুই টেস্টের জন্য যে দল ঘোষণা করা হয়, তা প্রকাশ্যে আসার পরই জানা যায়, দল থেকে বাদ দেওয়া হয় তিন তারকা ক্রিকেটারকে। এর মধ্যে নাম রয়েছে গত এক দশকে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটার বাবর আজমের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফখর জামানের লিখেছেন—খারাপ সময়ে যখন বিরাট কোহলির গড় অত্যন্ত কম ছিল। ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রান পায়নি, তখন ভারতীয় বোর্ড কোহলির পাশে দাঁড়িয়েছিল। অথছ বাবর আজমের খারাপ সময় তার পাশে দাঁড়াল না পাকিস্তান বোর্ড— এটা অত্যন্ত খারাপ একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। পাশাপাশি তিনি এও দাবি করে বলেন, ক্রিকেটারদের ছোট না করে বোর্ডের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।
ফখর জামানের ওপর ক্ষুব্ধ পাকিস্তান বোর্ড। যদিও তার পোস্টের পরই পাক ক্রিকেট বোর্ডের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে তার সঙ্গে। পিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘ফখর জামানের পোস্টে বোর্ড একদমই খুশি নয়। যারা এ বিষয়ে দায়িত্বে রয়েছেন, তারা ইতোমধ্যে ওর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
পাক বোর্ডসূত্রে জানা গেছে, নতুন যে নির্বাচক কমিটি হয়েছে, তার অন্যতম সদস্য সাবেক অধিনায়ক আজহার আলি। তিনি বাবর আজমের সঙ্গে শনিবারই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। এ ছাড়া আরেক নতুন নির্বাচক আকিব জাভেদ জানিয়েছেন— এ মুহূর্তে ক্রিকেটারদের ফর্মের দিকে আমাদের নজর রাখতে হচ্ছে। বাবর-শাহিনদের বোঝানো হয়েছে, ওদের আত্মবিশ্বাস ফেরার জন্য এবং ফিটনেস ফিরে পাওয়ার জন্য এই দুই টেস্টে বিশ্রাম প্রয়োজন। আর আমাদের এই সিরিজে যেভাবেই হোক ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
মন্তব্য করুন
এবার আসছে জুম এয়ারলাইন্স। নয়াদিল্লির গুরুগ্রামের এই উড়োজাহাজ সংস্থা এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট পেয়েছে। মিলেছে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনের সার্টিফিকেটও। এর ফলে জুম এয়ারলাইন্স বাণিজ্যিকভাবে উড়োজাহাজ চালাতে পারবে।
জুম এয়ারলাইন্সের সিইও অতুল গম্ভীর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রকম মাইলস্টোনে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে আমরা আমাদের টিমের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা যাত্রীদের সর্বোচ্চ পরিষেবা দিতে চাইছি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আমাদের সিআরজে ২০০ প্লেনটি আপাতত ডোমেস্টিক ফ্লাইট হিসেবে পরিচালিত হবে। যেভাবে ডোমেস্টিক যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে তাতে আমাদের সংস্থা তাদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা দিতে পারবে।
অতুল গম্ভীর জানান, জুম এয়ারলাইন্স যাত্রীদের অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা দেবে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন কিছু রুট, অভিনব কিছু অভিজ্ঞতা যাতে যাত্রীদের হয় সেটা দেখছে এই উড়োজাহাজ সংস্থা।
উল্লেখ্য, কোভিডের আগে কিছুটা ভিন্ন নামে চলত জুম এয়ারলাইন্স। কিন্তু ২০২০ সালে সেটা বন্ধ হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে বিরাজমান বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে দক্ষিণ কোরিয়াকে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সোমবার (১৭ জুলাই ২০২৩ইং) সকালে বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার আবাসিক রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং সিক তার পরিচয়পত্র পেশকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রাষ্ট্রপতি জানান, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার এবং বাংলাদেশের ইপিজেডসহ বিভিন্ন খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
রাষ্ট্রপ্রধান আরও বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে যৌথ উদ্যোগ নিলে উভয় দেশই উপকৃত হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গভীরভাবে আগ্রহী। এ লক্ষ্যে তিনি দু’দেশের সরকারি-বেসরকারি খাতের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্তব্য করুন
দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথ সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, গত কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেমন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও তেমন হবে। নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে। সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে।
নির্বাচনের সময় সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ হারিয়েছে- বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই অভিযোগ মিথ্যা। কেননা সবগুলো সিটি করপোরেশন ও উপনির্বাচনে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা শেখ হাসিনার সময়েই বেশি কার্যকর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধন খুব যৌক্তিকভাবে হয়েছে। এটা নিয়ে অযথা সমালোচনা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। সরকার ইসিকে সহযোগিতা করবে।
মন্তব্য করুন