

স্পোর্টস ডেস্কঃ
পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানের যুবাদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। প্রথম সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে সমান ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। আগামী ৮ ডিসেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
২০২৩ সালের আসরে আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো যুব এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার ভারতের বিপক্ষে শিরোপা ধরে রাখার লড়াই আজিজুল হাকিম তামিমের দলের।
শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতেই অর্ধেক কাজ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। দুই পেসার ইকবাল হোসেন ইমন ও মারুফ মৃধা অগ্নিঝরা বোলিংয়ে মোট ৬ উইকেট তুলে নেন পাকিস্তানের।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ৩৭ ওভারে মাত্র ১১৬ রান করে। জবাব দিতে নেমে ২২.১ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে দাপুটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৩২ রান করেন ফারহান ইউসুফ। ৬৫ বলে ২৮ রান করেন মোহাম্মদ রিয়াজুল্লাহ। ৪১ বলে ১৮ রান করেন অধিনায়ক সাদ বাইগ। ৩০ বলে ১০ রান নেন হারুন আরশাদ। বাকিরা ছিলেন এক অংকে আটকা।
জবাব দিতে নেমে দলীয় ২৮ রানে দুই ওপেনার কালাম সিদ্দিকি (১৪ বলে ০) ও জাওয়াদ আবরারকে (২৫ বলে ১৭) হারায় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে আজিজুল হাকিম ও শিহাব জেমসের ৫৭ রানের জুটিতে জয়ের সুবাস পায় যুব টাইগাররা। ৩৬ বলে ২৬ রান করে শিহাব জেমস আউট হয়ে গেলে রিজান হোসেনকে নিয়ে ম্যাচ জেতান আজিজুল হাকিম।
৪২ বলে ৬১ রানের হার না মানা অনবদ্য ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। তার সঙ্গে রিজান অপরাজিত থাকেন ৫ রানে।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
চলতি মৌসুমের শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে দারুণ পারফর্ম করে চলেছেন ম্যানচেস্টার সিটির ইংলিশ ফুটবলার ফিল ফোডেন। তার পুরস্কারও এবার পেলেন ২৩ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। ইংল্যান্ডের ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এফডব্লিউএ) বিচারে বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন তিনি। মেয়েদের বিভাগে এই পুরস্কার জিতেছেন সিটিরই জ্যামাইকান ফরোয়ার্ড খাদিজা শ।
আজ শুক্রবার এই দুজন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। এটি নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নারী-পুরুষ দুই বিভাগেই বর্ষসেরা পুরস্কার উঠল সিটির ঘরে। ২০১৯ সালে ছেলেদের বিভাগে পুরস্কার জিতেছিলেন রাহিম স্টার্লিং। মেয়েদের বিভাগে জিতেছিলেন নিকিতা প্যারিস।
২০২৩-২৪ মৌসুমে সিটির হয়ে আক্রমণভাগে প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ের নাম হয়ে উঠছেন ফোডেন। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এরই মধ্যে করেছেন ২৪ গোল। এছাড়া সতীর্থদের দিয়ে আরও ১০টি গোল করিয়েছেন এই মিডফিল্ডার।
৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে বর্ষসেরা হয়েছেন ফোডেন। পরের স্থানগুলোতে আছেন ফোডেনের ক্লাব সতীর্থ রদ্রি ও আর্সেনালের মিডফিল্ডার ডেক্লান রাইস। গত বছর এই পুরস্কার জিতেছিলেন সিটির ফরোয়ার্ড আর্লিং হল্যান্ড।
মেয়েদের বিভাগে খাদিজা পেয়েছেন ৫৩ শতাংশ ভোট। চলতি মৌসুমে উইমেনস সুপার লিগে এখনো পর্যন্ত ১৮ ম্যাচে ২১ গোল করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবার ওপরেই আছেন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
মন্তব্য করুন


অবশেষে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরলেন নেইমার। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে এক রাজকীয় আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে নেইমারকে বরণ করে নিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস। নেইমারের ফেরাকে ঘিরে সান্তোসের স্লোগান ছিল—‘দ্য প্রিন্স ইজ ব্যাক’।
বাংলাদেশ সময় গতকাল রাতে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন নেইমার। এর আগে, ব্রাজিলের স্থানীয় সময় সকালে সাও পাওলোতে অবতরণ করে তার ব্যক্তিগত বিমান। কয়েক ঘণ্টা বিশ্রামের পর হেলিকপ্টারে করে সান্তোসে পৌঁছান ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। মাঠের মাঝখানে মঞ্চ সাজানো হয়েছিল। বৃষ্টির মধ্যেই মঞ্চে উঠে দর্শকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন নেইমার।
ঘরের ছেলেকে ফিরে পেয়ে দর্শকরাও তাকে স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান। মাঠে মাথা ও হাত নুইয়ে নিজের বিখ্যাত গোল উদযাপনের ভঙ্গিমা করেন তিনি। এরপর সান্তোসের মাটিতে চুমু খান। ‘নেইমার মিথ’-এর জন্ম তো এই ভিলা বেলমিরোর মাটিতেই।
নেইমার মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতেই দর্শকরা তার পায়ে ড্রিবলিং দেখতে চান। উত্তরে নেইমার বলেন, ‘আমি খুবই সুখী। এখানে দারুণ সময় কেটেছে। সামনে তেমন সময় আরও আছে। (ড্রিবল করতে) সাহসের অভাব হবে না।’
গত সোমবার রাতে নেইমারের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয় সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল। ২০২৩ সালে আল-হিলালে যোগ দেওয়ার পর ইনজুরির কারণে মাত্র ৭ ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন নেইমার। পরে দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতেই চুক্তি বাতিল হয়।
নেইমারের চুক্তি নিয়ে সান্তোসের সহসভাপতি ফার্নান্দো বোনাভিদেস ক্যানাল বলেন, ‘এই চুক্তিপত্র প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের। তবে তাকে ধরে রাখতে আমরা সব রকম চেষ্টাই করব। আমরা চাই, সে যেন আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকে।’
কালো ক্যাপ ও কালো গেঞ্জি পরা নেইমার ছয় মাসের চুক্তিপত্রে সই করার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে সান্তোস শহর এবং ক্লাবটির রাজা হয়ে যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (টুইটার)-এ ‘দ্য প্রিন্স ইজ ব্যাক’ নামে একটি ভিডিও প্রকাশ করে সান্তোস। এর আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে পেলের কণ্ঠে নেইমারকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেটারই দ্বিতীয় সংস্করণে প্রয়াত কিংবদন্তি পেলের প্রতি নেইমারকে বলতে শোনা যায়, ‘কিং পেলে, আপনার ইচ্ছাই আমার জন্য নির্দেশ। সিংহাসন ও মুকুট আপনারই আছে। কারণ, আপনি চিরকালীন। কিন্তু পবিত্র ১০ নম্বর জার্সিটি পরা হবে সম্মানের সঙ্গে, যা সান্তোস এবং এই পৃথিবীর জন্য অনেক কিছু। আপনার রেখে যাওয়া লিগ্যাসিকে সম্মান দিতে আমি সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
সান্তোসের আয়োজনে কোনো কমতি রাখা হয়নি। সবাই জানত, সৌদি আরবের আল-হিলালের পাট চুকিয়ে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরছেন নেইমার। তার জন্য স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে একটি কনসার্টেরও আয়োজন করে ব্রাজিলের শীর্ষ লিগের এই ক্লাব। বৃষ্টির মধ্যেই ভিলা বেলমিরোর গ্যালারিতে প্রায় ২০ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন। স্টেডিয়ামের বাইরেও ছিল ভিড়।
২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের জার্সিতে খেলার এটাই নেইমারের শেষ সুযোগ। সে জন্য ব্রাজিলের জার্সিতে ফিরতে হলে আগে নিয়মিত ম্যাচ খেলার দরকার, যা আল-হিলালে হচ্ছিল না। সান্তোসে সেই সুযোগ পাবেন নেইমার। বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জাতীয় দলে ফিরতে চাই। অর্জনের জন্য এখনো একটি (বিশ্বকাপ) মিশন বাকি আছে, যা আমার শেষ সুযোগ বলে মনে করি। যা–ই হোক না কেন, আমি এটার পেছনে ছুটব।’
সংবাদ সম্মেলনে সান্তোসে ফেরার কারণও ব্যাখ্যা করেন নেইমার। তিনি বলেন, ‘কিছু সিদ্ধান্ত থাকে, যা ফুটবলীয় চুক্তির বাইরে। আল-হিলালে ভালোই ছিলাম। পরিবারও ভালো ছিল। কিন্তু কিছু ঘটনায় সিদ্ধান্তটি নিতেই হলো। অনুশীলনে নিজেকে অসুখী লাগছিল। ফেরার সুযোগটা পেয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়বার ভাবিনি।’
ফেরার পর কেমন লাগছে, তা-ও জানান নেইমার। তিনি বলেন, ‘এখানে পা রাখার পর থেকেই মনে হচ্ছে, ১৭ বছর বয়সে ফিরে গেছি। খুব ভালো লাগছে এবং খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।’
সান্তোসের বয়সভিত্তিক দলে বেড়ে ওঠা নেইমারের। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ক্লাবটির মূল দলে। এরপর ইউরোপযাত্রা। প্রথমে বার্সেলোনা, এরপর পিএসজি হয়ে দেড় বছর আগে সৌদি আরবের আল-হিলালে যোগ দেন। তবে ব্রাজিল ছাড়ার সাড়ে ১১ বছর পর আবারও সান্তোসে ফিরে নেইমার যেন ক্যারিয়ারের চক্র পূরণ করলেন। এর মধ্যে অনেকবার চোটে পড়েছেন। মৌসুমে নিয়মিত মাঠেও নামতে পারেননি। আগের সেই ধারা আছে কি না, সান্তোস ঠিক নিশ্চিত না হলেও ঘরের ছেলেকে আগের মতো হৃদয় দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন ক্লাবটির সমর্থকেরা। পার্থক্য একটাই, প্রথম দফায় খেলেছেন ১১ নম্বর জার্সিতে, এবার ১০ নম্বর জার্সি পরেছেন।
সেই জার্সিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নেইমার ফটোসেশনও করেন। এখন অপেক্ষা শুধু মাঠে ফিরে খেলার। গত বছর নভেম্বরে আল-হিলালের হয়ে ম্যাচে চোট পাওয়ার পর আর মাঠে নামা হয়নি তার। সংবাদ সম্মেলনে নেইমার জানান, শারীরিকভাবে আগের চেয়ে ভালো বোধ করলেও এখনো ১০০ শতাংশ ফিরে পাননি।
ক্যাম্পেওনাতো পলিস্তায় আগামী বুধবার বোটাফোগোর মুখোমুখি হবে সান্তোস। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ জানিয়েছে, এই ম্যাচে সান্তোসের হয়ে দ্বিতীয় দফায় অভিষেকের সম্ভাবনা আছে নেইমারের।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। ১৫ সদ্যসের সেই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি কলিন মুনরোর। তাতে খানিকটা অভিমানেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন এই কিউই ওপেনার।
মুনরো বলেন, ‘ব্ল্যাক ক্যাপসের হয়ে খেলা সবসময়ই আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় অর্জন। আমি সেই জার্সিটি পরার চেয়ে অন্য কোনো কিছুতে বেশি গর্বিত বোধ করিনি। এটি সত্য যে, আমি সব ফরম্যাটে ১২৩ বার এটি করতে পেরেছি। তা নিয়ে আমি সর্বদা অবিশ্বাস্যভাবে গর্বিত হবো।’
‘যদিও আমার শেষ ম্যাচের পর বেশ অনেকটা সময় চলে গেছে। তবে আমি কখনোই আশা ছাড়িনি। আমি মনে করেছি, ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ফর্মে এসে জাতীয় ফিরতে পারবো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ব্ল্যাক ক্যাপস স্কোয়াড ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সেই দরজা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করার উপযুক্ত সময় এসেছে।’-যোগ করেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১২৩টি ম্যাচ খেলেছেন মুনরো। যেখানে একটি টেস্ট, ৫৭টি ওয়ানডে ও ৬৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। সাদা বলের ক্রিকেটে লম্বা সময় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন এই ওপেনার।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন না তামিম ইকবাল। একসময় বোর্ডে সরাসরি কাজ করার আগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
তিনি সাধারণ পরিচালক হিসেবে কাজ করতে চেয়েছিলেন, বিশেষ করে ক্রিকেট অপারেশনে মনোযোগ দিতে চেয়েছিলেন। তবে শেষমেশ তিনি সরে দাঁড়ালেন। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৬ অক্টোবর। আর তার আগে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১ অক্টোবর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে তামিম সরে দাঁড়ালেন বিসিবি নির্বাচন থেকে।
তামিম বাংলাদেশের অন্যতম সফল ক্রিকেটার। দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসের সফলতম অধিনায়কদের তালিকাতেও তার নাম থাকবে ওপরের দিকে।
সেই তামিম এবার খেলোয়াড়ি জীবনের পাট চুকিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে অবদান রাখতে চেয়েছিলেন বোর্ডে এসে। বিশেষ করে ক্রিকেট অপারেশনে সক্রিয় হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। তবে সেটা এবার আর হচ্ছে না।
এদিকে তামিম না থাকায় নির্বাচনে পরিচালক পদ নিয়ে লড়াইয়ের চিত্র অনেকটাই বদলে যাবে। অন্য প্রার্থীদের জন্য সুযোগ বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
মন্তব্য করুন


চলতি আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে রান করে চলেছেন তরুণ ভারতীয় ব্যাটার শুভমান গিল। টুর্নামেন্টটির ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স এবারও রয়েছে সবার ওপরে। যেখানে গিলের অবদান অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। আগের ম্যাচে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকার পর তিনি আর দ্বিতীয় সুযোগটা হাতছাড়া করলেন না। আইপিএলের প্রথম ম্যাজিক ফিগার পেয়েছেন তিনি। তার আলো ছড়ানোর আরেকটি রাতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৪ রানে হারিয়েছে গুজরাট। একইসঙ্গে সবার আগে তারা কোয়ালিফায়ারে ওঠে গেছে।
সোমবার (১৫ মে) রাতে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা গিলের সেঞ্চুরিতে ১৮৯ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় গুজরাট। এটি কেবল গিলেরই নয়, গুজরাটের কোনো খেলোয়াড়েরও আইপিএলে এটাই প্রথম সেঞ্চুরি। এদিন রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহাকে ফেরান হায়দরাবাদের ভুবনেশ্বর কুমার। হায়দরাবাদের এই পেসার ৫ উইকেট নিয়েছেন। তবে তার এমন দাপটও গুজরাটের রানের চাকা বন্ধ করে দিতে পারেনি।
শুরুতেই উইকেট হারালেও ওয়ানডাউনে নামা সাই সুদর্শনের সঙ্গে বড় জুটি গড়েন গিল। দুজনের জুটিতেই গুজরাট ১৪৭ রানের শক্ত ভিত পেয়ে যায়। তখন মাত্র ১৫তম ওভার শুরু হয়। ফলে অনায়াসেই মনে হয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা দুইশ’র কোঠা সহজেই পার করবে। কিন্তু সুদর্শন ৩৬ বলে ৪৭ রান করে আউট হওয়ার পর ধসে পড়ে গুজরাটের মিডল অর্ডার লাইনআপ। এরপর অল্প রানের ব্যবধানেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে থাকেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া, ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াতিয়া।
মন্তব্য করুন


বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি থাকাকালে একের পর এক শিরোপা জেতা ক্লাবটি আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে হারিয়ে যেন পথ হারিয়ে ফেলেছিল। ন্যু ক্যাম্পের আকাশে জমা হয় ঘন কালো মেঘ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ব্যর্থতাতো আছেই, টানা তিন মৌসুমে লিগ শিরোপা জিততে পারেনি কাতালান ক্লাবটি। তবে ২০২১ সালে বার্সার দায়িত্ব নিয়েই দলকে বদলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জাভি হার্নান্দেজ।
অবশেষে সাবেক ফুটবলারের হাত ধরেই তিন মৌসুম পর লা লিগা শিরোপা পুনরুদ্ধার করল কাতালান ক্লাবটি। সেটিও আবার চার ম্যাচ হাতে রেখেই। এটি বার্সেলোনার ২৭তম লিগ শিরোপা। আগের ২৬ শিরোপার ১০টিই জিতেছে একবিংশ শতাব্দীতে; মেসির উপস্থিতিতে।
রোববার রাতে এস্পানিওলের মাঠে শিরোপার সুবাস নিয়েই মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। রবার্ট লেভানদোভস্কির জোড়া গোলে এদিন ৪-২ গোলে জিতেছে জাভির শিষ্যরা। ৩৪ ম্যাচে ২৭ জয় ও ৪ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৮৫। অন্যদিকে বার্সেলোনার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ সমান ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে।
মন্তব্য করুন


ফিফা কর্তৃক আনীত অভিযোগের ওপর বাফুফে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সেই তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে তিনটি সভা করেছে। আজ তৃতীয় সভায় বাফুফের চার জন স্টাফকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বাফুফের নির্বাহী সভায় তদন্ত কমিটির প্রথম সভার পর ৩০ কার্যদিবসের সময়সীমা দিয়েছে। বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই তাদের কাজ সম্পন্ন করার আশাপোষন করলেন, ‘৩০ কার্যদিবস জুনের মাঝামাঝি হয়। আমরা এই সময়ের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করতে পারব। হয়তো ২/১ দিন বেশি লাগতে পারে।’
প্রথম সভায় কমিটি তাদের কর্মপরিধি ও পন্থা নিয়ে আলোচনা করেছে। দ্বিতীয় সভা থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে তলব করেছে। দ্বিতীয় সভা তিন জনের পর আজ তৃতীয় সভায় চারজনকে তলব করেছে। বাফুফে স্টাফদের কাছ থেকে তদন্ত কাজে আন্তরিকতা পাচ্ছেন বলে জানান আহ্বায়ক, ‘যারা তদন্তে আসছেন তারা আমাদের আন্তরিকতা দিয়ে তথ্য দিচ্ছেন’।
ফিফার ৫১ পাতার রিপোর্টে ক্রয় প্রক্রিয়া নিয়ে অসঙ্গতি ছিল অনেক। বাফুফে যে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে সামগ্রী ক্রয় করা হয়েছে। তাদেরকে তদন্তে আনা হবে কিনা এই প্রসঙ্গে নাবিল বলেন, ‘এই বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। প্রয়োজনে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে’।
তদন্ত কমিটি এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি সভা করেছে। চতুর্থ সভাটিও আগামী সপ্তাহের শুরুতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
ভারতীয় অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলার সঙ্গে পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহকে জড়িয়ে কম আলোচনা হয়নি। একটা সময় এই দুজনের প্রেমের গুঞ্জনও ভেসে বেড়িয়েছে। পরে অবশ্য দু’জনই সেসব খবর থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নেন। এবার নাসিমের ব্যবহারে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন আরেক ভারতীয় অভিনেত্রী সোনম বাজওয়া।
সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ফ্যানদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন নাসিম শাহ। সেখানে এক খুদে ভক্ত তাকে দেখে কেঁদে ফেলে। নাসিম তখন সে খুদে ভক্তকে আশ্বস্ত করে বলে, ‘কেঁদো না।’ এরপর সে ভক্তকে নিজের অটোগ্রাফ দেন নাসিম। খুদে ভক্তের কান্না থামাতে নাসিম যোগ করেন, ‘আমি তোমাকে বাবর আজমের (পাকিস্তান অধিনায়ক) অটোগ্রাফও নিয়ে দিতে পারব।’
খুদে ভক্তের সঙ্গে নাসিমের সে আবেগঘন মুহূর্ত নিয়ে বানানো একটি ইনস্টাগ্রাম রিল নিজের স্টোরিতে শেয়ার করেছেন সোনম। সঙ্গে লিখেছেন, ‘খুব সুন্দর এবং কিউট’। সঙ্গে সাদা হৃদয়ের একটি ইমোজিও জুড়ে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
পাকিস্তানি তারকাদের প্রতি ভালোলাগার প্রকাশ অবশ্য এটাই প্রথম নয় সোনমের। এর আগে পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেতাকে ফাওয়াদ খানকে নিজের ‘সবসময়ের ক্রাশ’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন ভারতীয় পাঞ্জাবি সিনেমার পরিচিত মুখ সোনম।
মন্তব্য করুন


ততক্ষণে রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশি বেজে গেছে। কোচ ও বেঞ্চের খেলোয়াড়রা মাঠে দৌড়ে যান। শুরু হয় বার্সেলোনার শিরোপা উৎসব। তবে আল্ট্রা এস্পানিওল বা উগ্রপন্থী সমর্থকদের তোপের মুখে শিরোপা উৎসবে ক্ষান্তি দিয়ে একপ্রকার পালিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় লেভানদোভস্কিদের।
রোববার রাতে এস্পানিওলের মাঠে শিরোপার সুবাস নিয়েই মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। রবার্ট লেভানদোভস্কির জোড়া গোলে এদিন ৪-২ গোলে জিতেছে জাভির শিষ্যরা। আর তাতে তিন মৌসুম পর লা লিগা শিরোপা পুনরুদ্ধার করল কাতালান ক্লাবটি। সেটিও আবার চার ম্যাচ হাতে রেখেই। এটি বার্সেলোনার ২৭তম লিগ শিরোপা। ৩৪ ম্যাচে ২৭ জয় ও ৪ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৮৫। অন্যদিকে বার্সেলোনার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ সমান ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
কোপা আমেরিকার চলতি আসরের শুরু থেকেই ছন্দে নেই আনের্জন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। আসরে এখনও পর্যন্ত গোলের দেখা পাননি ইন্টার মিয়ামির এই তারকা।
চিলির বিপক্ষে খেলতে নেমে ইনজুরিতে পড়েন মেসি। যে কারণে পেরুর বিপক্ষে খেলা হয়নি তার। কোয়ার্টারে ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেললেও মেসি ছিলেন না ফর্মে। টাইব্রেকারে পেনাল্টিও মিস করেন।
মেসির এমন ইনজুরি সঙ্গে ফর্ম নিয়ে সমর্থকরা চিন্তিত হলেও চিন্তিত নন কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেসি যদি শতভাগ ফিট নাও থাকেন, তবুও তাকে কানাডার বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ।
মেসির খেলা প্রসঙ্গে কোচ বলেন, আমরা জানি, সে যদি পুরোপুরি ফিট নাও থাকে, তবুও সে দলের জন্য কী দিতে পারে। ৯৯ শতাংশ সময়ে সে সুস্থ থাকে খেলার জন্য। সে সুস্থ না হয়ে খেলতে নামবে, আমার সঙ্গে এমনটা হয়নি কখনো। সে যখনই খেলতে নামে, পুরোপুরি সুস্থ থেকেই খেলতে নামে। আগামীকালকের ম্যাচের জন্যেও সে পুরোপুরি প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, এটা আমার জন্য একদমই সহজ সিদ্ধান্ত যে, মেসি পুরোপুরি সুস্থ থাকলে পুরো সময় খেলবে এবং কিছুটা ফিট না থাকলে শেষের ৩০ মিনিট খেলবে। সে সুস্থ থাকলে কেন খেলবে না? এটা নিয়ে কি আপনাদের সন্দেহ রয়েছে? আমি দলের কোচ। আমার কোনো সন্দেহ নেই এই ব্যাপারে। সে যদি শতভাগ সুস্থ নাও থাকে, তবুও খেলবে। আমিই এটার দায়িত্ব নিচ্ছি।
মন্তব্য করুন