দেশে গত শুক্রবার থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের অন্তত ৩৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সংগঠনটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল ইসলামও রয়েছেন। ২০০৯ সালে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে নিষিদ্ধ সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে সারাদেশে অভিযান চলছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম জানান, সমাবেশের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হিজবুত তাহরীরের অনেক সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলছে।
এছাড়াও, সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কোনো ধরনের চাঁদাবাজিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, চাঁদাবাজিকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া হবে না। চাঁদাবাজ যত শক্তিশালীই হোক কিংবা যে পরিচয়ই দেয়া হোক, তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আগস্ট থেকে ধাপে ধাপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। মাদক বহনকারীদের ধরা যাচ্ছে, কিন্তু মাদকের গডফাদারদের ধরা যাচ্ছে না। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশে এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে রয়েছে। রোববার দুপুরে রাজধানীতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কোনো অনিশ্চয়তা নেই। নির্বাচন নিয়ে কমিশনের কাছে প্রতিকূল পরিস্থিতির তথ্য আসেনি। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা, নিরপেক্ষতা ও যৌক্তিক বিষয় বিবেচনা করে সীমানা নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছি।
তিনি আরও জানান, ভোটারসংখ্যার ভিত্তিতে জেলা পর্যায়ে গড় ও মোট সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোথাও জনসংখ্যা, কোথাও ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং কোথাও প্রশাসনিক দিককে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে শতভাগ একভাবে করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ভোট কি হবে? এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ইসি আনোয়ারুল বলেন, এই প্রশ্ন আমাকেও অনেকে করে। ভোট হবে বলেই আমরা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছি।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রায় সব রিপোর্ট কমিশনের হাতে এসেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার শেষ ধাপে দলগুলোর নাম নিয়ে আপত্তি জানাতে সুযোগ রাখা হবে।
সংবিধান ও বিদ্যমান আইন নিয়ে বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত আরপিও সংশোধনী আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পরই চূড়ান্ত হবে। অন্য কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু থাকলে তা সমন্বয় করা হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন পবিত্র হজ পালন করতে ইচ্ছুকদের দ্রুত নিবন্ধন করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান, এতদিন হজ প্যাকেজের অভাবে অনেকেই নিবন্ধন করতে পারেননি, তবে এখন সময় এসেছে দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করার। ৩০ নভেম্বরের পর নিবন্ধন আর বাড়ানো হবে না।
আজ বুধবার দুপুরে একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি দুটি হজ প্যাকেজের ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন, সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বারবার দ্রুত তাঁবু বুকিং দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। আমাদের হজ প্যাকেজ ঘোষিত না হওয়ায় নিবন্ধনের সংখ্যা কম ছিল। এই কারণে নিবন্ধনের সময় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর পর নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না, কারণ, সৌদি সরকারকে কতজন যাবে তার তালিকা প্রদান করে তাঁবুর বুকিং দিতে হবে।
এর আগে প্রথম দফায় নিবন্ধনের সময় শেষ হয় ২৫ আগস্ট। পরে তা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে মার্চ ও এপ্রিল মাসে মোট তিন লাখ টন চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বিতরণ করা হবে। এই দুই মাসে প্রতি মাসে দেড় লাখ টন করে চাল দেওয়া হবে। এছাড়াও, এই কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ৩০ টাকা কেজি দরে ১৫ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।
সোমবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রথম অধিবেশন শেষে তিনি এসব তথ্য প্রকাশ করেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, রমজান মাসে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য অত্যন্ত সুলভ মূল্যে এবং কিছু ক্ষেত্রে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টিসিবির মাধ্যমে আগামী দুই মাসে আরও এক লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে। এছাড়া, ওএমএসের মাধ্যমে আরও এক লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে। ঈদের সময় এক কোটি পরিবারকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এ ধরনের আরও কিছু কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, এই চাল বিতরণ কার্যক্রম বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ এই বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে, তবে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) এর প্রধান তদারকি করবেন। ঢাকা মেট্রোপলিটনে আগে এই কার্যক্রমগুলি নিবিড়ভাবে তদারকি করা হতো না। এবার ঢাকার সংশ্লিষ্টদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে এই কার্যক্রম কঠোরভাবে তদারকি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিভাগের কমিশনারের সাথে আলাদাভাবে মিটিং করা হয়েছে এবং আবারও মিটিং করা হবে। ঢাকা বিভাগে ১২২টি বিক্রয় কেন্দ্র এবং ৭০টি ট্রাকসেল রয়েছে। টিসিবি ছাড়াও প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে এই কেন্দ্রগুলি তদারকি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসময় খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ দুই মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) ২৪ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের নতুন অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার মামলায় দণ্ডবিধির ১২০ (ক)/ ৪২০/৪০৬ ধারায় অভিযোগ সংযুক্ত করার আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২২ জুন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি।
মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়। তবে মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল না।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওই তিন নির্বাচনে ‘গায়েবী মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেফতার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্যেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
এ ঘটনার সাক্ষী সকল ভোট কেন্দ্র এলাকার ভোটাররা এবং ভোটারদের মধ্যে যারা ভোট প্রদান করতে বঞ্চিত হয়েছেন তারাসহ ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যরা। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে অনেক সৎ প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ অফিসারসহ স্থানীয় লোকজনসহ আরও অন্যান্যরা ঘটনার সাক্ষী হবে। এছাড়া ব্যালট পেপারে যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃতভাবে তারা ভোট দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে উল্লেখিত ঘটনার সঠিক রহস্য তদন্তে সত্য উদঘাটিত হবে।
মন্তব্য করুন
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এখন সরকারি ক্রয় কমিটির বৈঠক ঘন ঘন হয়। ক্রয় কমিটির মিটিং করে অত্যাবশ্যকীয় জিনিস বা জরুরি বিষয় দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সরকার মোটামুটি কর্মব্যস্ত এটা তার একটা প্রমাণ। এত ঘন ঘন মিটিং আমি আগে দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, বাজারে আলুর দাম বেড়েছে, তবে অন্য কিছু পণ্যের দাম কমেছে। দাম বাড়ানোর বিষয়টি সবাই বলে, কিন্তু দাম কমানোর বিষয়ে অনেকেই কথা বলে না। বাজারের পরিস্থিতি এমন যে, এক পণ্যের দাম বাড়বে, অন্যটির দাম কমবে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, দ্রুত প্রসেস করে যে পণ্যগুলো কিনতে হবে, সেগুলো অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। আজকে বিভিন্ন ধরনের সার, এলএনজি, মসুর ডাল এবং সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, কিছু মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে, যা গতকাল বাণিজ্য উপদেষ্টা পরিষ্কার করেছেন। ৩০-৪০ বছরে সয়াবিন তেলের দাম এতটা বেড়েছে, যা আগে কখনো হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবই মুদ্রণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জেনারেল এডুকেশন ও মাদরাসার বইয়ের জন্য দ্রুত কাজ শুরু করা হয়েছে। জানুয়ারির মধ্যে এসব বই মুদ্রণ করা হবে, তবে সব বই জানুয়ারির মধ্যে প্রস্তুত হবে না।
শিক্ষার্থীরা ১ জানুয়ারি পাঠ্যবই পাবে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আজ যেগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর জন্য কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রেসগুলো খুব ব্যস্ত রয়েছে এবং তারা চেষ্টা করছে দ্রুত কাজ শেষ করতে।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজারে আমাদের পদক্ষেপের কিছু প্রভাব অবশ্যই পড়ছে, তবে আপনি শুধু আলুর দাম বাড়ছে বলছেন, কিন্তু অন্যান্য পণ্যের দাম সাশ্রয়ী হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাজারে এক হাজার টাকা নিয়ে গেলে কিছু পণ্যের দাম বেশি হবে, আবার কিছু পণ্যের দাম কম হবে। সব পণ্যের দাম কমানো খুবই কঠিন।
মন্তব্য করুন
ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
আজ মঙ্গলবার থেকে দেশের সাড়ে ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি-বেসরকারি কলেজে ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ মিলিয়ে এ বছর বন্ধ থাকবে মোট ২১ দিন। আজ থেকে ছুটি শুরু হয়ে চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত। আগামী ২৪ জুন থেকে পুনরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে।
এদিকে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজ ১০ দিন বন্ধ থাকবে। কলেজে শুধুমাত্র ঈদের ছুটি থাকবে। সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন অবকাশ নেই। কলেজের শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি কলেজে ঈদুল আজহার ছুটি আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ জুন পর্যন্ত। ১৩ জুন থেকে পুনরায় কলেজে পুরোদমে ক্লাস শুরু হবে।
এবার দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে ছুটির ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৩ দিন বন্ধ, আবার কোথাও মাত্র ১০ দিন ছুটি। সবচেয়ে বেশি ২৫ দিনের ছুটি পাচ্ছেন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, যা শুরু হয়েছে গত রোববার (১ জুন) থেকে। এছাড়াও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ভোকেশনালে আনুষ্ঠানিক ছুটি শুরু হয়েছে। যদিও ছুটি শুরুর আগেই শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় গত ২৯ মে থেকে বন্ধ হয়ে গেছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত চলতি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
কোনো ‘মব’ বা কোনোকিছু করে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে সেনাসদর। সোমবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।
মুক্তিযোদ্ধার বাসায় মব সৃষ্টি করে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের আগেও যেভাবে সশ্রদ্ধ সম্মান করেছি, আজও করি এবং ভবিষ্যতেও অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করবো। কোনো মব করে মুক্তিযোদ্ধা কিংবা মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করার কোনো সুযোগ নেই।
মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের বাড়ির সামনে একটি মব সৃষ্টি হয়েছিল, যখন সেনাবাহিনী মেসেজ পেয়েছে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিট উপস্থিত হয়ে মব নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে ইনশাআল্লাহ।
মবের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, মবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। যেখানে যখন মব হয়েছে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। কয়েকটি জায়গায় আমাদের যে বিলম্ব হয়েছে সেটা সোর্স থেকে তথ্য পেতে বিলম্ব হয়েছে। যে কোনো ঘটনা ঘটার পর সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন হয়। তারপর সেনাবাহিনীকে অনুরোধ জানানো হয়, এরমধ্যে কিন্তু কিছু কালক্ষেপণ হয়ে গেছে, তারপর আমাদের নিকটস্থ ক্যাম্প থেকে যদি পেট্রোল পাঠায় তখনো কিছু সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটে যায় এটার দায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিতে পারে না। এমন একটি উদাহরণ দেখানো যাবে না যে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে সেনাবাহিনী সেখানে যায়নি বা সেনাবাহিনীর সামনে মব হয়েছে সেনাবাহিনী যায়নি। এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনে দিনে অবনতির দিকে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে নৃশংসভাবে কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বাসায় হামলা করা হয়েছে। যারা মব সৃষ্টি করে আইন হাতে তুলে নিচ্ছে তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ধৈর্যের ও পরিশ্রমের সঙ্গে সরকার ও দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। আইনশৃঙ্খলা উন্নতি কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সেনাবাহিনীর একমাত্র কাজ নয়। সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারের মাধ্যমে গ্রেফতার/আটক এবং হস্তান্তর করা যায়। কোনো জুডিশিয়ারি কিংবা আইনি প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনী কাউকে সাজা দিতে পারে না। সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সমন্বিতভাবে একত্রে কাজ করতে হবে। অলরেডি সবাই কাজ শুরু করেছে।
অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সমন্বয়ের অভাব আছে কি না জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, একটা ঘটনা কিংবা মবের সৃষ্টি হলো সেখানে ইমিডিয়েটলি একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়েছে এবং তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। পরবর্তীতে সেখানে সেনাবাহিনীকে রিকোয়েস্ট করার বিষয়টি যদি বিলম্ব হয় কিংবা আমাদেরকে পরে সংবাদ জানানো হয় তাহলে সেনাবাহিনী সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে খারাপ ঘটনার উদ্ভব হয়ে যেতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটা জায়গায় ঘটনা ঘটেছে কেউ জানে না, এমনকি পুলিশও জানে না। আমরা চেষ্টা করছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করার জন্য।
রাজবাড়ীতে নুরুল হক ওরফে ‘নুরা পাগলার’ মরদেহ তুলে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া ও দরবারে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাজবাড়ীর ঘটনা অনেক পরে সেনাবাহিনী জানতে পারে। যখনই জানতে পেরেছে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর রাত ১১টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তৎপর।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সময়ের নির্বাচনকে লায়লাতুল নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলেও তাদের ভোটার অধিকার নিষিদ্ধ নয়, তাই তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দলে ভোট দেবেন, তা কেউ বলতে পারবে না।’
শনিবার সকালে ঢাকার ধামরাই উপজেলা পরিষদে জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি বিষয়ক মতবিনিময়সভায় যোগ দিয়ে তিনি এমন কথা বলেন।
উপদেষ্টা এ সময় বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো দল নেই, তাই অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার, সেই নির্বাচনে কে জিতল কে হারল এটা তাদের দেখার বিষয় না, নির্বাচনে কোনো সরকারি কর্মকর্তারা কারো পক্ষ নিতে পারবে না।’
কেউ কোনো দলের পক্ষ নিলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে যে দলেই জিতুক না কেন সরকারি কর্মকর্তারা সেই দলের পক্ষেই কাজ করবেন, নির্বাচনে ডিসি এসপি ও ওসিরা কারো পক্ষ নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালে যে নির্বাচন করেছিল সেটা দিনের ভোট রাতে হয়েছে, সেটা ছিল লায়লাতুল নির্বাচন।
ফাওজুল কবির খান বলেন, এখন বিদ্যুৎ সংকট নেই, কারখানাগুলোতে কিছুটা গ্যাসের সংকট আছে তা ঠিক হয়ে যাবে, সব সময় সরকার বিদ্যুতের লোডশেডিং মনিটরিং করছে।
সেই সঙ্গে, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নির্মাণ কাজ চলায় মানুষের কিছুটা দুর্ভোগ হচ্ছে। উন্নয়ন কাজে দুর্ভোগ হলে সেটা কিছুই না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা পরে বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত না দিলে সেটি প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে, এমন মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ আইনসহ অন্যান্য সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত আনার বিষয়ে অগ্রগতি কতদূর জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। এরপর ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত না নেয়, তবে সেটি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। এই ব্যাপারে আমরা কী পদক্ষেপ নেবো, তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।"
তিনি আরও বলেন, "ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আমরা যা কিছু করণীয়, তা করেছি এবং আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হলে আমরা তা প্রয়োজনে গ্রহণ করবো।"
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের হয়। এদিকে, তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোগী হয়ে রয়েছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ে ভারতকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ওইদিনই কূটনৈতিক চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার মহেশ সাচদেব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক প্রত্যর্পণ অনুরোধের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, "যেমন ইউরোপীয় কয়েকটি দেশ ভারতের প্রত্যর্পণ অনুরোধ বিভিন্ন শর্তে প্রত্যাখ্যান করেছে, শেখ হাসিনাও একইভাবে বলতে পারেন যে, তিনি তার দেশের সরকারের ওপর আস্থা রাখেন না এবং তার বিরুদ্ধে অবিচারের আশঙ্কা রয়েছে।"
মন্তব্য করুন