গাজীপুরসহ সারাদেশে শুরু হওয়া অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’-এর অংশ হিসেবে গাজীপুর জেলায় ৬৫ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। গাজীপুর জেলা ও মহানগর পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতদের মধ্যে গাজীপুর জেলার ৫টি থানায় ৪০ জন এবং মহানগরীর ৭টি থানায় ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক জানান, শ্রীপুর, কালীগঞ্জ, কাপাসিয়া, কালিয়াকৈর ও জয়দেবপুর থানায় অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সবাই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
অন্যদিকে, গাজীপুর মহানগরীর ৮টি থানার মধ্যে টঙ্গী পূর্ব ও পূবাইল থানায় একজন করে মোট ২ জন, গাছা থানায় ৫ জন, বাসন থানায় ৮ জন, কোনাবাড়ি থানায় ২ জন, সদর থানায় ৪ জন এবং কাশিমপুর থানায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুরের উপ-কমিশনার (উত্তর) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ রোববার আরও ২৫ জনের আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার জগতপুর এলাকা থেকে যৌথবাহিনীর একটি দল কামাল হোসেন নামে এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এই যুবদল নেতা বুড়িচং সদর ইউনিয়নের আহ্বায়ক এবং স্থানীয়ভাবে "ফেন্সি কামাল" নামে পরিচিত। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, যৌথবাহিনী দেলোয়ার হোসেন ও সারদুল ইসলাম নামে দুই মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করে, যাদের কাছ থেকে ২১০টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে কামাল হোসেনের নাম উঠে আসে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরে ২১০টি ইয়াবাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করার পর তাদের তথ্যের ভিত্তিতে কামাল হোসেনকে আটক করা হয়।
কামালের বিরুদ্ধে পূর্বে মাদক সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লায় ১৫ কেজি গাঁজাসহ ২ জন যুবককে আটক করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর সদস্যরা।
রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানাধীন কাপ্তানবাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় মাদক পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার খারেরা পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সোলেমান আহমেদ (২০) এবং একই এলাকার শরিফুল ইসলামের ছেলে আবু সায়েম (২১)।
কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত সিএনজি ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
কক্সবাজারে উত্তাল সমুদ্র সৈকতে নেমে প্রাণ গেল এক শিক্ষার্থীর। শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া মাহমুদুর রহমান (১৬) কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার দিদারুল আলমের ছেলে। স্থানীয় জুমছড়ি দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্র সে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও লাইফ গার্ড সদস্যদের বরাতে জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন বলেন, সকালে মাহমুদুর রহমান ছয় বন্ধুকে নিয়ে সৈকতে ঘুরতে যায়। তারা সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে পৌঁছার পর কিছু সময় ফুটবল খেলে। পরে সাগরে গিয়ে গোসলে নামে।
মাহমুদুরের বন্ধুরা জানিয়েছে, গোসলের এক পর্যায়ে পানিতে তলিয়ে যায় সে। এতে ভেসে যেতে থাকলে বন্ধুদের চিৎকারে লাইফ গার্ড ও বিচ কর্মীরা এগিয়ে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় মাহমুদুরকে উদ্ধার করে।
পরে তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সৈকতে বিপদাপন্ন পর্যটকদের উদ্ধারে কাজ করা সি সেইফ লাইফ গার্ডের কর্মী মো. ওসমান গণি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ চলে গেলেও সাগর এখনো উত্তাল। অন্য সময়ের চেয়ে ঢেউয়ের সাইজ বড় হয়ে আঁচড়ে পড়ছে। এসময় হাঁটুপানির নিচে গিয়ে গোসল করা অনিরাপদ। আমরা মাইকিং করে তা বলছি, তবে সৈকতে নামা পর্যটক বা দর্শনার্থীরা কর্ণপাত করছেন না।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থী মাহমুদরাও সেভাবে বুকসমান পানিতে নেমে দুর্ঘটনায় পড়েছে। আমরা তৎক্ষণাৎ উদ্ধারে নামলেও অস্বাভাবিক ঢেউয়ের কারণে তাকে উদ্ধারে বেগ পেতে হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। মরদেহটি মর্গে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট হৃদরোগ, বাতজ্বর ও ডায়াবেটিকস এর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো: রুহুল আমিনকে ফাঁসাতে নানা অপবাদ দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারে নেমেছে কিশোরগঞ্জ জেলার একটি মহল। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ডাক্তার রুহুল আমিন জানান, কিশোরগঞ্জের নিকলী ও বাজিতপুর এলাকায় আমি ১২ বছর যাবত চেম্বার করি।এ এলাকার হাজার হাজার রোগী আমার চিকিৎসায় উপকৃত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। নিকলী হেল্থকেয়ার ডায়াগনস্টিক এর মালিক ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী বিলকিস বিভিন্ন সময় রিপোর্ট জালিয়াতি ও ভুয়া রিপোর্ট করে আমার কাছে ধরা পড়ে। এসব কারনে বিভিন্ন সময় আমি চেম্বার ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেই।তারা আর এসব ভুল করবেনা মর্মে ক্ষমা চায় এবং আমাকে বিভিন্নজনকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে চেম্বার করার অনুরোধ করে। আমি ভুল ও জালিয়াতি না করার প্রতিশ্রুতি পেয়ে চেম্বার অব্যাহত রাখি। উল্লেখ্য আমি নিকলী ও পাশ্ববর্তী সরারচর বাজারে দুইটি চেম্বার করি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরারচর, শুক্রবার সকালে নিকলী ও শুক্রবার বিকেলে পুনরায় সরারচর চেম্বার করি। বৃহস্পতিবার রাতে আমি নিকলী চেম্বার মালিকের বাসায় একটি রুমে থাকি। আমার পরিবার ২০১৭ সালে বাজিতপুর থেকে ঢাকায় চলে আসার পর থেকে আমি ওদের বাসায় প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে অবস্থান করতে হয়। চলতি বছরের ২৩ মার্চ সেহরির সময় চেম্বার মালিক ওমর ফারুক চৌধুরীর মাদকাসক্ত ছেলে ওমর বেলায়েত (পূণ্য)আমার কক্ষে মাদকাসক্ত অবস্থায় প্রবেশ করে আমার মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে যায় এবং আমাকে শারীরিকভাবে আহত করে।
তখন ওর বাবা-মা ৯৯৯ এ কল দিলে মাদকাসক্ত ও উন্মাদ ছেলেকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় পুলিশ দেশীয় অস্ত্রসহ ও আমার লুন্ঠিত মালামালসহ আটক করে।ছেলে পুলিশের হাতে আটক অবস্থায় বের হওয়ার পর আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।আমি চেম্বার মালিককে জানাই ছেলেকে জেল থেকে বের করলে আমাকে জানাতে এবং জেল থেকে রিহ্যাবে দিতে।কিন্তু তারা তা না করে আমাকে না জানিয়ে ছেলেকে জেল থেকে মুক্ত করে। আমি বিষয়টি জেনে আমার নিরাপত্তা ইস্যুটিতে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে ওদেরকে নিকলী চেম্বার ছেড়ে দেয়ার মৌখিক নোটিশ দেই। তারা আমাকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজের চেষ্টা করে।তারপরও আমি ১৮ এপ্রিল চেম্বারে না বসলে আমাকে নারীঘটিত ব্যাপারে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। ঐদিন সন্ধ্যার পর কয়েকজন ব্যাক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে আমার সরারচর চেম্বারে এসে জানায় - নিকলীর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী বিলকিস আমার বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন।
এর মধ্যে তারা বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে এবং সাংবাদিক পরিচয়ে কিছু ব্যাক্তি আমার কাছে নিউজ করার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করতে থাকে। এতে আমি ১৯ এপ্রিল টঙ্গী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি দায়ের করি। আমি কাউকে টাকা না দেয়ায় ২২ এপ্রিল কিছু ব্যাক্তি আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকে। ২৩ এপ্রিল তারা ঠিক একমাস আগে যে মামলায় তাদের নিজের ছেলের বিরুদ্ধে আমার ও তার নিজের বাবা-মায়ের উপর হামলার করেছিলো সেই ঘটনাকেই ভিন্নখাতে সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে শ্লীলতাহানির মামলা করে। আমি মাত্র একটি চেম্বার না করার পরপরই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মামলা করে। অথচ আমি ১২ বছর তাদের চেম্বারে রোগী দেখার পরও তারা কোনদিন আমার বিরুদ্ধে ন্যুনতম অভিযোগ করেনি।
এমতাবস্থায় বিভিন্ন ফেসবুক প্রোফাইল ও সংবাদপত্র আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মুখরোচক ভুয়া নিউজ করে আমার ও আমার পরিবারের জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলেছে। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে নিকলী থানায় ভুয়া অভিযোগ দায়ের করে আমাকে প্রচন্ড হয়রানি করছে। এমতাবস্থায় দেশের বিবেকবান মানুষ, ছাত্রজনতা, ডাক্তার সমাজ, বিবেকবান সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমার অনুরোধ একজন ডাক্তারকে ভয়াবহ হয়রানি থেকে রক্ষা করুন।
মন্তব্য করুন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মিঠু চিকিৎসা ও ব্যবসার জন্য চীনে অবস্থান করেছিলেন। গত ১৮ জুলাই থেকে তিনি চীনে অবস্থান করছেন। এছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের লোকজনের হুমকি-ধমকির জন্য এলাকায় সব সময় অবস্থান করতে পারেননি এই ইউপি চেয়ারম্যান। অথচ তাকে ৫ আগষ্ট সকাল ১০ টায় উপজেলার নিউ মার্কেট চত্ত্বরের মারধরের একটি মামলায় ৮১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। চীনে অবস্থান করে কিভাবে মারধরের মামলার আসামি হলেন , এ বিষয়টি বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে এলাকায়।
দেবিদ্বার উপজেলার দক্ষিণ ভিংলা বাড়ির মো: নাজমুল হক বাদি হয়ে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৪ নং আমলী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দেবিদ্বার উপজেলায় আওয়ামী লীগের মত বিএনপির মধ্যেও গ্রুপিং রয়েছে। আওয়ামী লীগে যেমন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও আবুল কালাম আজাদের দুই গ্রুপ ছিল, তেমনি বিএনপিতেও সাবেক সংসদ সদস্য মনজুরুল আহসান মুন্সি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব তারেক মুন্সির আলাদা আলাদা গ্রুপ রয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের একটা অংশ অপর অংশকে বিপদে ফেলার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সর্ম্পক উন্নয়ন করে বিভিন্ন মামলায় নাম জড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে কোন প্রকার সংঘর্ষে না থেকেও মামলার আসামি হচ্ছেন অনেকে। ফলে প্রকৃত ভুক্তভোগির ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মহিউদ্দিন আহমেদ মিঠু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ধামতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিগত সংসদ নির্বাচনে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি আজাদের ভাই মামুনের পক্ষে কাজ না করায় প্রতিপক্ষের হুমকি-ধমকির ফলে ইউপি কার্যালয়েও যেতে পারতেন না চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠু। চেয়ারম্যান মিঠুর বসতজমিতে হামলা-ভাংচুর হয়েছে। তাঁর জমি দখলের পায়তারাও হচ্ছে। যার ফলে বছরজুড়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এই চেয়ারম্যান। ফলে জুলাই মাসে অসুস্থ্য হয়ে চীনে যান চেয়ারম্যান মিঠু। সেখানেই বর্তমানে অবস্থান করছেন। সেই চীনে থেকে রাজনৈতিক কারনে মামলার আসামি হয়েছেন চেয়ারম্যান মিঠু।
এই বিষয়ে জানতে মামলার বাদি মো: নাজমুল হকের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এই বিষয়ে ধামতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মিঠু জানান, আমি বেশ কয়েক মাস ধরে অসুস্থ্য। তাই চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করছি। আমাকে অন্যায়ভাবেই মামলার আসামি করা হয়েছে। আশা করি প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ বিষয়টির সমাধান করবেন।
এই বিষয়ে জানতে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নে চরম অনিয়ম চলছে বলে নানা অভিযোগ রয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ মহিউদ্দিন মিঠুকে ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করতে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে। আর ভিতরে কোনরকমে যদি প্রবেশ করেও কোন কাজ পরিচালনা করতে পারছে না। আওয়ামী লীগের অপর অংশের নেতাকর্মীরা ইউপির কাজ বন্টন করছে। এমন নানা ধরণের অভিযোগ স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি টিসিবির কার্ড ও প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চালও ভাগাভাগি করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও কয়েকজন ওয়ার্ড মেম্বার। এমনই অভিযোগ উঠেছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠু সমর্থিত নেতাকর্মী ও স্থানীয় সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিগত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠুকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে তেমন যেতে পারেন না। উনার কাজকর্ম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়। টিসিবি কার্ড ও চাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কয়েকজন মিলে ভাগ করে নিজের মত করে বন্টন করেছে। সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনের পর চেয়ারম্যান মিঠু সমর্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপর নানা নির্যাতন, হামলা-মারধর চলছেই। উনার জমি দখল ও কলা গাছ কেটে নিয়ে গেছে। ভয়ে-আতংকে তিনি এলাকাছাড়া।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠু জানান, ইউনিয়নবাসী আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে তাদের সেবা করার জন্য। আমি বিগত সময়ে চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চভাবে জনগণের সেবা করতে। জনগণও আমাকে সব কাজে সহায়তা করেছে। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনের পর আমি বেশ বিপদে আছি। আমাকে আমার কার্যালয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কোন কাজকর্ম আমি করতে পারছি না। পদে পদে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে আমাকে। এই দুইদিনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়নের কয়েকজন সুবিধেভোগি ওয়ার্ড মেম্বার টিসিবি ও চাল নিজেরাই ভাগাভাগি করে বন্টন করেছে। আমাকে একবারও জিগেস করেনি। আমি সব সময় কার্যালয়ে যোতে চাই। জনগণের সেবা করতে চাই। আমি যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি তা মৌখিকভাবে এসিল্যান্ড সাহেবকে এবং পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: তোফায়েল হোসেন, ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার আমির হোসেন চৌধুরী ও ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: জামাল হোসেন জানান, চেয়ারম্যান মিঠু সাহেব অনেকদিন ধরে অসুস্থ্য। তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তাই ইউনিয়ন পরিষদে আসতে পারে না। আমরা সবাই মিলে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অনেককেই ১০ কেজি করে চাল না দিয়ে ২৫০/৩০০ গ্রাম করে কম দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে তাদেরকে টিসিবি কার্ড ও প্রধানমন্ত্রীর উপহারকৃত চাল দেয়া হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় বেশ কয়েকজন মহিলা জানান, আমরা গরীব মানুষ। কিন্তু টিসিবি কার্ড পাইনি। চালও পাইনি। আমাদের অপরাধ আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করছি। চেয়ারম্যান সাহেবও নাই , আর আমরাও চাল পাই না।
এ বিষয়ে ধামতী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান সাহেবকে কার্যালয়ে আসতে কেউ বাঁধা দিচ্ছে কি না তা আমি বলতে পারবো না। আর টিসিবি ও চাল বিতরণ কে ভাগাভাগি করছে, তাও জানি না। কোন জায়গায় সমস্যা তা জানি না। চাল কম দেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি বলেন, অনেক বস্তায় চাল কম থাকে। তাই অনেককে ২০০/১০০ গ্রাম করে চাল কম দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ধামতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান সরকার জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু অনিয়মিত। বেশিরভাগ সময় ইউনিয়ন পরিষদে আসে না। আমরা উনাকে কোন বাঁধা দেইনি আসতে। আর টিসিবি ও প্রধানমন্ত্রীর চাল ভাগাভাগি ও বিতরণ আমি করিনি। সব মেম্বাররা মিলে করেছে। তারা সবাই ভাগাভাগি করে নেওয়ার পর আমাকে এসে ২৫০/৩০০ কার্ড দিয়েছে। তারা বলছে গরীব মানুষের মাঝে বিতরণ করে দিতে। আমি না করেছি। তারা জোর করে দিয়ে গেছে। আমার বিরুদ্ধে আণীত অভিযোগ মিথ্যা। দলীয় অর্ন্তকোন্দল নিরসনে কোন ভূমিকা নিয়েছেন কিনা ? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরাই মিঠুকে চেয়ারম্যান বানিয়েছি। অথচ গত সাংসদ নির্বাচনে সে এমপি সাহেবের( স্বতন্ত্র এমপি আবুল কালাম আজাদ) বিরুদ্ধে কাজ করেছে। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনেও সে আনারস প্রতিকের( এমপি আজাদের ছোট ভাই মামুন) বিপক্ষে কাজ করেছে। এসব কারণে এমপি সাহেবের সাথে তার দূরত্ব রয়েছে। তারপরেও এমপি সাহেব তার বিপক্ষে আজও কোন কথা বলেনি। সর্বোপরি আমরা তাকে কোন বাঁধা দেইনি।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রকাশ্যে এক বিএনপি কর্মিকে গুলির পর জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে তাৎক্ষণিক নিহতের স্বজন ও পুলিশ এই হত্যাকান্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের সুজায়েতপুর গ্রামের সুজায়েতপুর পূর্ব জামে মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কবির হোসেন ওরফে ছালি কবির (৩৫) একই ইউনিয়নের সুজায়েতপুর গ্রামের মৃত নুরনবীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছালি কবির স্থানীয় বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের একজন সক্রিয় কর্মি ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পর কবির এলাকায় আসেন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা ছিল। শুক্রবার দুপুরে তিনি বাড়ির পাশের সুজায়েতপুর পূর্ব জামে মসজিদের জুমার নামাজ পড়তে যান। ইমামের পেছনে জুমার ফরজ নামাজ আদায় করেই তিনি মসজিদ থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। ওই সময় মুখোশপরা ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে সুজায়েতপুর পূর্ব জামে মসজিদের সামনে আসেন। এক পর্যায়ে ছালি কবির মসজিদ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে তাকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছোঁড়েন। এতে কবির মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তার বাম পায়ের রগ কেটে, গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.আব্দুল্লাহ্-আল-ফারুক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চলছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে হত্যার কারণ জানাতে পারব।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা অফিসে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্তকে আসামী করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বাদী মাহবুবুর রহমান। তিনি দৈনিক বাংলা পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টাল নিউজ বাংলার জেলা প্রতিনিধি এবং নোয়াখালী প্রেসক্লাবের কার্য্যনির্বাহী সদস্য । এ ঘটনায় দেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মাওলা জিয়াউল আহসান সুজন ও লাঞ্ছিত হন।
মাহবুবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ অক্টোবর আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এরপর পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। অবশেষে তিন দিন পর পুলিশ মামলা রুজু করে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ে উপ পরিচালক বরাবরে তথ্য চেয়ে আবেদন ফরম জমা দিতে যায় সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান ও দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাওলা রকিবুল আহসান সুজন। সেখানে উপপরিচালক (বীজ বিপণন) নুরুল আলমের সঙ্গে তার কক্ষে কথা বলার সময় প্রতিষ্ঠানের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্ত কক্ষে প্রবেশ করে হঠাৎ ভিডিও করা শুরু করেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা চাঁদা নিতে এসেছেন, এমন দাবি করে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। তাকে চিৎকার-চেঁচামেচি ও ভিডিও করা বন্ধ করতে বলা হলে কর্মচারী মিরাজ হোসেন তাঁকে কিলঘুষি দিতে শুরু করেন। পরে মারধরের জন্য লাঠি নিতে মিরাজ কক্ষ থেকে বের হলে কক্ষে থাকা অপর সাংবাদিক রকিবুল আহসান দরজা বন্ধ করে দেন। গত বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর উপ পরিচালক নুরুল আলম এঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে স্টোর কিপার মিরাজ হোসনকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে 'এঘটনা কেন ঘটিয়েছেন' মর্মে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের কালিকাপুর রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল গ্রামের আলী আহমদ, রফিক মিয়া, সাজু মিয়া, লুৎফা বেগম, সানু বেগম ও সফরজান বেগম এবং পাশের খোদাইধুলি গ্রামের হোসনে আরা বেগম।
ওসি মো. এমরান হোসেন জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ১০টার দিকে কালিকাপুর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি রেলপথ থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই ৪ যাত্রী মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও ৪ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় পথে একজন এবং হাসপাতালে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
মৃত তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও পরিবারের ৪ জন সদস্য সোমবার রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক এর সাথে তার অফিস কক্ষে সাক্ষাত করেন।
এ সময় তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন জিওসি এবং নিহতের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং দোষীসাব্যস্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি আরো জানান যে, তৌহিদের পরিবার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার বিষয়ে সেনাবাহিনী সব সময় পাশে থাকবে এবং সকল প্রকার সহযোগিতা করবে।
তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও পরিবার এতে আশ্বস্ত হয়েছেন। এছাড়াও প্রতারণার মাধ্যমে যারা সেনা ক্যাম্পে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনার দাবী করেছেন। তবে তারা তৌহিদের মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি মামলা দায়ের করার সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন