স্পোর্টস ডেস্ক:
কোপা আমেরিকা শেষে জাতীয় দলকে বিদায় জানাবেন আনহেল ডি মারিয়া- ঘোষণাটা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। আগামীকালের ফাইনালটাই হতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ডি মারিয়ার শেষ ম্যাচ। কলম্বিয়ার বিপক্ষে এ ম্যাচেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে শেষবারের মতো মাঠে নামবেন আর্জেন্টিনার উইঙ্গার।
যাদের হাত ধরে আর্জেন্টিনা ২৯ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়েছে, ডি মারিয়া তাদের একজন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে জিতেছেন অলিম্পিক, কোপা আমেরিকা, লা ফিনালিসিমা ও অধরা বিশ্বকাপ। এখন আরেকটা ফাইনালের সামনে দাঁড়িয়ে গুনছেন বিদায়ের দিনক্ষণ।
তাইতো বিদায়ের আগে ইনস্টাগ্রামে মেসির সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন ডি মারিয়া।
জানিয়েছেন তার চাওয়া আর পাওয়ার হিসাব। চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাতে গিয়ে ডি মারিয়া লিখেছেন, ‘জীবনে আমি যা চাইতাম, এই জীবন আমাকে তার চেয়ে অনেক বেশি দিয়েছে।’
প্রিয় বন্ধুর শেষ ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া মেসিও। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘ডি মারিয়া আগেই নিজের সিদ্ধান্তের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছিল। ওর সঙ্গ আমি দারুণভাবে উপভোগ করেছি। জয়ের আনন্দ নিয়ে সে যাতে মাঠ ছাড়তে পারে, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা ফাইনাল খেলতে নামব।’
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ব্যক্তিগত জীবনেও ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক খুবই শান্ত মেজাজের। হইচই এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন তিনি। তবে এবার অনন্ত আম্বানি-রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে ধোনি অন্য রূপে ধরা দিলেন।
অতীতে কখনো প্রকাশ্যে যেটা করতে দেখা যায়নি তাকে, সেটাই করলেন। ভারতীয় শিল্পপতি মুকেশ আম্বানীর ছেলে অনন্ত আম্বানী এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে নাচলেন ধোনি।
বিয়ের অনুষ্ঠানে সপরিবার যোগ দিয়েছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। আর সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে ধোনির নাচের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ক্রিকেটার ঈশান কিষাণ এবং স্ত্রী সাক্ষীর অনুরোধে সেখানে নেচেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে দেশ-বিদেশের বহু খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব হাজির হয়েছেন। সেখানে বলিউড তারকা থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদেরও নাচতে-গাইতে দেখা গেছে। তবে সবার নজর কেড়েছে ধোনির নাচের প্রতিভা। এর আগে যে কখনোই কোনো অনুষ্ঠানে তাকে নাচতে দেখা যায়নি।
জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর পর এখন অখণ্ড অবসর সময় কাটছে ধোনির। শুধু আইপিএলের মৌসুম এলেই তাকে ক্রিকেট মাঠে দেখা যায়। ধোনির অধীনে ভারত ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করেছে। খেলোয়াড়ি জীবনে নিজের হেলিকপ্টার শট, ফিনিশিং এবং বুদ্ধিদীপ্ত উইকেটকিপিংয়ের জন্য বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) ২০২৩-২৪ মৌসুম মোটেই ভালো কাটেনি চেলসির। ১ ম্যাচ বাকি থাকলেও লিগে তারা আছে ষষ্ঠ অবস্থানে। তবে আপন আলোয় উজ্জ্বল ছিলেন দলটির তরুণ ফুটবলার কোলে পালমার। ভোটাভুটিতে হয়েছেন প্রিমিয়ার লিগের সেরা তরুণ ফুটবলার।
গত গ্রীষ্মের দলবদলে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে চেলসিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে আসছেন পালমার। এই মৌসুমে ২২টি গোল দেওয়া ছাড়াও ১০টি অ্যাসিস্ট করেছেন এই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার। গোলে অবদানের দিক বিবেচনায় প্রিমিয়ার লিগে যেটি যৌথ সর্বোচ্চ।
কয়েকদিন আগেই ২২তম জন্মদিন পালন করেছেন পালমার। তার আগেই গড়ে ফেলেছেন দারুণ একটি রেকর্ড। প্রিমিয়ার লিগের কোনো মৌসুমে ২১ বছর বা তার আগে ৩০টির বেশি গোলে অবদান রাখা মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় পালমার। এর আগে এই কীর্তি দেখিয়েছেন রবি ফাওলের ও ক্রিস সাটন।
লিগে গোল্ডেন বুটের (সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার) লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হল্যান্ডের পরেই আছেন পালমার। অ্যাসিস্টের দিক দিয়েও যৌথভাবে লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পালমার। ১৩ অ্যাসিস্টে সবার ওপরে অ্যাস্টন ভিলার ওলি ওয়াটকিনস।
২০২৩-২৪ মৌসুমে পালমার
গোল সংখ্যা: ২২, প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয়
অ্যাস্টিস্ট: ১০টি, যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ
গোলে অবদান: ৩২টি, যৌথভাবে সর্বোচ্চ
গোল ও অ্যাসিস্ট দুই বিভাগেই দুই সংখ্যায় পৌঁছানো চার ফুটবলারের একজন পালমার। তিনি ছাড়া এই মাইলফলকে আছেন ওয়াটকিনস, মোহাম্মদ সালাহ ও অ্যান্থনি গর্ডন। এছাড়াও দিদিয়ের দ্রগবা ও ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে চেলসির ঘরের মাঠে এক মৌসুমে ১৬ গোল দেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন পালমার। আগামী রবিবার স্টামফোর্ড ব্রিজে এএফসি বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচে সেই রেকর্ড ভাঙার দারুণ সুযোগ আছে পালমারের সামনে।
প্রিমিয়ার লিগে আগের মৌসুমগুলোতে সেরা তরুণ খেলোয়াড়
২০১৯-২০: ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ড (লিভারপুল)
২০২০-২১: ফিল ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি)
২০২১-২২: ফিল ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি)
২০২২-২৩: আর্লিং হল্যান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি)
মন্তব্য করুন
ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পারফর্ম করা তরুণ ক্রিকেটারদের চান রবি শাস্ত্রী। এদের গড়ে তুলতে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের সাময়িক সময়ের জন্য দলের বাইরে চান ভারতের সাবেক এই কোচ। অবশ্য ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যদি রোহিত-কোহলিরা ফর্মে না থাকেন বা ধারাবাহিক না হন- সেক্ষেত্রে ওই সময়ে এগিয়ে থাকা ক্রিকেটারকেই দলে চান তিনি।
এবারের আইপিএলে দারুণ পারফর্ম করছেন ইয়াশভি জয়সাওয়াল, জিতেশ শর্মা, তিলক ভার্মা, নেহাল ওয়াধেরা, রিঙ্কু সিং, প্রভসিমরান সিং, আনমলপ্রীত সিংদের মতো ক্রিকেটাররা। জয়সাওয়াল, রিঙ্কু, জিতেশরা যেমন আন্তর্জাতিক তারকাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিয়মিত রান করে দল জেতাচ্ছেন, বাকিরাও প্রয়োজন অনুযায়ী দারুণ খেলছেন।
বিশেষ করে ১২০-৩০ বা ১৭০-৮০, এমনকি দুইশর বেশি স্ট্রাইক রেটেও রান করছেন অনেকেই। এসব প্রতিভাবানদের হারাতে চান না শাস্ত্রী। দ্রুতই তাদের ভারতীয় দলে চান সাবেক এই ক্রিকেটার।
শাস্ত্রী বলেন, 'এরপর প্রথম যে টি-টোয়েন্টি সিরিজই আসে, এই তরুণদের খেলানো উচিত। এদের সামনে আনা উচিত। তাদের এখনই প্রস্তুত করা উচিত। রোহিত, কোহলির মতো ক্রিকেটাররা আগেই প্রমাণিত। আপনি জানেন তারা কী করতে পারে।'
'আমি আইপিএলে পারফর্ম করাদেরই দলে চাইব যেন তারা সুযোগ পায়। এতে তারাও যেমন সুযোগ পাবে, রোহিত-কোহলিরাও ওয়ানডে আর টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নিজেদের সতেজ রাখতে পারবে।'
ক্রিকইনফোর সেই অনুষ্ঠানে শাস্ত্রীর এমন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হয়, 'তাহলে রোহিত, কোহলি বা লোকেশ রাহুলরা কি জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন না?'
জবাবে শাস্ত্রী বলেন, 'এক বছর অনেক লম্বা সময়। কেউ ফর্মে থাকতে পারে। ফর্ম হারাতেও পারে। আপনার ওই সময়ের সেরা ক্রিকেটারকে খুঁজে বের করতে হবে। অবশ্যই অভিজ্ঞতা বা ফিটনেস- এসবও বিবেচনায় আসবে। কে সেই মুহূর্তে ধারাবাহিক, রান করছে কিনা, কোথায় রান করছে- এসবও দেখতে হবে।'
'দলে সঠিক পজিশনের জন্য সঠিক ক্রিকেটারকে দরকার। কেউ যদি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে তিন-চারে ব্যাটিং করে তাহলে জাতীয় দলে তাকে দিয়ে আপনি ওপেন করাবেন বা ছয়ে নামাবেন- ব্যাপারটা কিন্তু তেমন নয়।'
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ফিফা বর্ষসেরা কোচের প্রতিযোগিতায় স্থান পেয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি। রিয়াল মাদ্রিদের এই কোচ ছাড়াও সেরা পাঁচে রয়েছেন লিওনেল স্কালোনি, লুইস দে লা ফুয়েন্তে, জাবি আলোন্সো এবং পেপ গুয়ার্দিওলা।
গতকাল শুক্রবার ফিফা বর্ষসেরা কোচ ও খেলোয়াড়ের জন্য মনোনীত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেছে। এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে তাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে।
ফিফার এই পুরস্কারে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে ভক্ত-সমর্থকদেরও। সেরা খেলোয়াড়, সেরা কোচ এবং সেরা গোলকিপারের জন্য দর্শকদের ভোট মোট ভোটের ২৫ শতাংশ দেবে। বাকি ৭৫ শতাংশ ভোট দেবেন ফিফা সদস্যদেশগুলোর অধিনায়ক, কোচ এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।
আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফিফার ওয়েবসাইটে ভোট দেওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
সারা জীবন যে ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন না এটা তিনি ভালই জানেন। সেটা চাইছেনও না। তাই বিরাট কোহলির ইচ্ছা, ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার আগে সব কাজ শেষ করে ফেলার। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু-আরসিবির একটি পডকাস্টে এমনই কথা বলেছেন কোহলি। বেশ কিছু দিন পর ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের মুখে আবার অবসরের কথা শোনা গেল।
রানের প্রতি কোহলির খিদে এখনও আগের মতোই আছে। এ বারের আইপিএলে শতরান করেছেন। মোট আটটি শতরান হয়ে গিয়েছে আইপিএলে। ১৩টি ম্যাচে ৬৬১ রান করে কমলা টুপির দৌড়ে রয়েছেন।
আরসিবির একটি ভিডিওতে কোহলি বলেছেন, ‘কোনও কাজ অসমাপ্ত রেখে যেতে চাই না। আমি চাই না কোনও আক্ষেপ রাখতে। আমি নিশ্চিত যে সেটা হয়তো থাকবেও না। তবে এক বার আমার কাজ শেষ হয়ে গেলেই চলে যাব। তারপর অনেক দিন আমাকে দেখতে পাবেন না।’
কোহলির সংযোজন, ‘যতদিন খেলছি তত দিন নিজের সেরাটা দিতে চাই। এই বিষয়টাই আমাকে সর্বক্ষণ তাড়িয়ে বেড়ায়।’
২০০৮ সালে ভারতকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানোর পরেই কোহলিকে আইপিএল নিলামে কেনে আরসিবি। সেই থেকে একটি দলের হয়েই খেলে চলেছেন তিনি।
কোহলি বলেছেন, ‘ক্রীড়াবিদ হিসাবে আমাদের একটা মেয়াদ থাকে। আমি তাই পিছনের দিকে তাকাচ্ছি না। কোনও নির্দিষ্ট দিনে আমি কী করতে পারতাম সেটা ভাবতে ভাবতে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই না। কারণ সারা জীবন খেলা চালিয়ে যেতে পারব না।’
মন্তব্য করুন
ততক্ষণে রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশি বেজে গেছে। কোচ ও বেঞ্চের খেলোয়াড়রা মাঠে দৌড়ে যান। শুরু হয় বার্সেলোনার শিরোপা উৎসব। তবে আল্ট্রা এস্পানিওল বা উগ্রপন্থী সমর্থকদের তোপের মুখে শিরোপা উৎসবে ক্ষান্তি দিয়ে একপ্রকার পালিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় লেভানদোভস্কিদের।
রোববার রাতে এস্পানিওলের মাঠে শিরোপার সুবাস নিয়েই মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। রবার্ট লেভানদোভস্কির জোড়া গোলে এদিন ৪-২ গোলে জিতেছে জাভির শিষ্যরা। আর তাতে তিন মৌসুম পর লা লিগা শিরোপা পুনরুদ্ধার করল কাতালান ক্লাবটি। সেটিও আবার চার ম্যাচ হাতে রেখেই। এটি বার্সেলোনার ২৭তম লিগ শিরোপা। ৩৪ ম্যাচে ২৭ জয় ও ৪ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৮৫। অন্যদিকে বার্সেলোনার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ সমান ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে।
মন্তব্য করুন
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) ও বাংলাদশে ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আয়োজনে ‘১০ম এএফসি গ্রাসরুটস ফুটবল ডে ২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ মে) একযোগে এর আয়োজন করা হয় ঢাকা, নোয়াখালী, নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ ও বরগুনায়।
ঢাকা ও আশপাশের জেলাসমূহের ১৬টি ফুটবল একাডেমির প্রায় ২০০ কিশোর ফুটবলারকে নিয়ে বাফুফে সংলগ্ন আর্টিফিসিয়াল টার্ফ মাঠে গ্রাসরুট ডে পালিত হয়। এই সময় খেলোয়াড়দের মাঝে টি-শার্ট ও সার্টিফিকেট অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল থমাস স্মলি, জাতীয় দলের কোচ হ্যাভিয়ের ফার্নান্দেজ ক্যাববেরা, বাফুফের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সদস্য আমের খান ও মহিদুর রহমান মিরাজ এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে বান্দরবানে গতকাল গ্রাসরুটস ফুটবল ডে পালন করা যায়নি। তার পরিবর্তে ওই জেলায় আজ অনুষ্ঠানটি হবে।
মন্তব্য করুন
সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ টেবিল টেনিসে অনূর্ধ্ব ১৯ বালক দলগত খেলায় স্বর্ণপদক জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার সেই স্বর্ণপদক অল্পের জন্য মিস হয়েছে। বাংলাদেশ, নেপাল এবং শ্রীলংকার তিন দলের পয়েন্ট সমান হওয়ার ফলে টাই হয়। পরবর্তীতে প্রত্যেক ম্যাচের সেট স্কোর হিসাব করে নেপাল স্বর্ণপদক, শ্রীলঙ্কা রৌপ্য এবং বাংলাদেশ ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে।
গতকাল বাংলাদেশ যদি শুধু নেপালের বিরুদ্ধে একটি সেটও জিতত, তাহলে গতবারের স্বর্ণপদক ধরে রাখতে পারতো বাংলাদেশ। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ইটানগরে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশীপের সমস্ত দলগত খেলা গুলো রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য দলগত খেলায় মিশ্র ফলাফল এসেছে।
আজ সকালে বালক অনূর্ধ্ব -১৯ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩-২ ব্যবধানে জয়লাভ করে। কিন্তু গতকালকে নেপালের বিরুদ্ধে ৩-০ সেটে হারে এবং মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ৩-০ সেটে জিতে । আজকে যে শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশ ৩-২ সেটে হারিয়েছে সেই শ্রীলংকা নেপালকে গতকালকে ৩-১ সেটে হারিয়েছিল।
অনূর্ধ্ব ১৫ বালক দল অল্পের জন্য রৌপ্য পদক মিস করে । বালক দল প্রথমে মালদ্বীপকে (৩-০) ব্যবধানে হারায় ও পরের ম্যাচে শ্রীলংকার সাথে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৩-২ সেটে বাংলাদেশ পরাজিত হয় আজ সকালে নেপালের সাথে (৩-০) জয়লাভ করে এবং পরের খেলায় শক্তিশালী ভারতের সাথে ৩-০ সেটে পরাজিত হয়ে বাংলাদেশ ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে।
বালিকা অনূর্ধ্ব ১৫ দলগত বিভাগে প্রথমবারের মতো ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে । আজ সকালে বাংলাদেশ মালদ্বীপকে ৩-২ সেটে পরাজিত করে । আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে একক, দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈতের খেলা।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ম্যানচেস্টার সিটিকে দেওয়ার মতো যেন আর কিছুই নেই পেপ গার্দিওলার হাতে। যা ছিল, তার সব এরইমধ্যে দিয়ে দিয়েছেন তিনি। গত মৌসুমে সিটিকে ট্রেবল জিতিয়েছেন এই স্প্যানিশ কোচ। চলতি মৌসুমে শিষ্যদের চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতাতে ব্যর্থ হলেও প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতিয়েছেন ঠিকই।
গতকাল রোববার প্রিমিয়ার লিগে মৌসুমের শেষ ম্যাচে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো শিরোপা জিতেছে সিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এর আগে কোনো দল টানা চার শিরোপা জিততে পারেনি।
প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে রেকর্ড গড়ে অনেকটাই অপ্রত্যাশিত এক মন্তব্য করেন গার্দিওলা। সমর্থকদের চমকে দিয়ে ম্যানসিটি ছাড়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে এখনই নয়, ইতিহাদে আরও এক মৌসুম থাকবেন বলে জানিয়েছেন গার্দিওলা। ২০২৪-২৫ মৌসুম শেষ করে সিটিকে বিদায় জানাতে পারেন তিনি।
গার্দিওলার বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে, সিটির সঙ্গে নতুন করে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চান না তিনি। চলমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেই সিটিকে বিদায় বলবেন গার্দিওলা। ২০২৫ সালে চলমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ৫৩ বছর বয়সী এই কোচের।
গার্দিওলা বলেন, ‘বাস্তবতা হলো- আমি থাকার চেয়ে চলে যাওয়ার বেশি কাছে। আমি ক্লাবের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমার অনুভূতি হলো, আমি এখন থাকতে চাই। পরের মৌসুমেও থাকবো এবং সে মৌসুম চলাকালীন আমরা (ক্লাবের সঙ্গে) কথা বলবো। সেটা ৮ বছর শেষে নাকি ৯ বছর পরে, সেটা আমরা দেখবো।’
কেন সিটি ছাড়তে চান, সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন গার্দিওলা। জানান, গেল ৮ বছর ধরে কাজ করতে করতে এখন তিনি ক্লান্ত। তার বিশ্রাম দরকার। আর বিশ্রাম নিতেই সিটি ছাড়তে চান তিনি।
গার্দিওলা বলেন, ‘আমার একটি চুক্তি আছে। আমি এখনও এখানে আছি। কিছু মুহূর্তে আমি ক্লান্ত। কিন্তু এমন কিছু মুহূর্ত আছে, যা আমি ভালোবাসি এবং আমরা এখানে খেলা জিতেছি। নতুন খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকতেও ভালো লাগছে।’
সিটি কোচ বলেন, ‘আমি ভাবতেছি, কেউ টানা চারটি শিরোপা জিততে পারেনি। এটা এ কারণে যে, আমরা চেষ্টা করি না। আমি মনে করি, এখন এটি সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তীতে কী করা যায়, সেটিই আমাদের ভাবতে হবে।’
২০১৬ সালে সিটিতে যুক্ত হওয়ার পর ১৫টি বড় শিরোপা জিতেছেন গার্দিওলা। আগামী সপ্তাহে এই সংখ্যাকে ১৬-তে পরিণত করতে পারেন তিনি। সামনের ম্যাচে এফএ কাপের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারাতে পারলেই সেটি সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
২০১৫ সালে লিভারপুলের কোচ হয়ে আসেন জার্মানির জার্গেন ক্লপ। ২০১৭ সালে তিনি ইতালিয়ান ক্লাব রোমা থেকে লিভারপুলে উড়িয়ে আনেন মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহকে। ৭ বছর যুগলবন্দী হয়ে ক্লাবকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন এই দুজন। এই মৌসুম শেষে লিভারপুল ছাড়ছেন ক্লপ। তাই একসঙ্গে দুজনের পথচলাও শেষ হচ্ছে।
নিজেদের অধ্যায়ের শেষ দিকে এসে ক্লপের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন সালাহ। গত মাসে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্রয়ের ম্যাচে ডাগআউটে ক্লপের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করতে দেখা গেছে সালাহকে। সেই ঘটনা নিয়ে সালাহ বলেছিলেন, তিনি কথা বললে আগুন লেগে যাবে। তবে সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লপের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্কের গল্পই শোনালেন সালাহ।
সালাহ বলেছেন, ‘আমরা যখন প্রথমবার কথা বলেছিলাম, প্রথম তার যে কথাটি আমার মনে আটকে গিয়েছিল সেটি হলো, তিনি আমাকে এখানে (লিভারপুল) নিয়ে আসতে চান। তিনি আসলে ব্যাখ্যা করেছিলেন, নতুনভাবে একটি দল গঠন করছেন তিনি এবং সেখানে সাদিও (মানে) ও ববি (ফিরমিনো) আছে, আমাকেও সেখানে খেলাতে চান। তিনি (ক্লপ) আমাকে বলেছিলেন, ‘‘ফুটবলে আমি তোমার ধার আরও বাড়াবো এবং তুমি যেভাবে চাও তার স্বাধীনতা দেব।’’ আমার অবস্থা এমন ছিল যে, আচ্ছা আমি আসছি। আমি এসেছি এবং তার পরেরটা তো আপনারাই দেখেছেন।’
লিভারপুলে প্রিয় মুহূর্ত প্রসঙ্গে মিশরীয় এই তারকা আরও বলেছেন, ‘আমরা এখানে একসঙ্গে সাত বা আট বছর ধরে আছি, তাই অনেক প্রিয় মুহূর্তই জড়ো হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় যেই ম্যাচে চেলসি ম্যানচেস্টার সিটিকে হারালো আর আমাদের প্রিমিয়ার লিগ নিশ্চিত হলো এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় আমার মাথায় আটকে আছে। কারণ সেখানে অনেক আবেগ জড়িত ছিল।’
দুজন দুজনকে ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন উল্লেখ করে সালাহ বলেন, ‘একজন ভালো খেলোয়াড় হিসেবে তিনি নিশ্চিতভাবে আমার উন্নতি করেছেন এবং তার ভালো ম্যানেজার হয়ে ওঠার পেছনে আমারও অবদান আছে। আমরা একে অপরকে অনেক সাহায্য করেছি। শিরোপা জয়ের জন্য ক্লাবকে সবকিছু দিয়েছি, সবাই সেটা দেখেছে।’
সালাহ আরও বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে আমি যদি সমস্যায় পড়ি আমি তার সঙ্গে কথা বলতে পারি এবং যেকোনো কিছু জিজ্ঞেস করতে পারি। আমার মনে হয়, আমরা অবশ্যই আজীবন আমাদের যোগাযোগ রাখব। কারণ এটা শুধু কাজের ক্ষেত্রের সম্পর্কই নয়, আমরা এটিকে বাইরেও নিয়ে যাই এবং আমাদের চিরকাল যোগাযোগ থাকবে।’
ক্লপের অধীনে লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন সালাহ। ক্লাবের সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৩৪৮ ম্যাচে ২১১ গোল ও ৮৯টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ২০২০ সালে দীর্ঘদিন পর জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগ। ম্যানচেস্টার সিটিকে লিগ শিরোপার লড়াইয়ে বেশ কয়েকবারই টেক্কা দিয়েছে ক্লপ-সালাহর লিভারপুল।
উলভসের বিপক্ষে ম্যাচে শেষবারের মতো লিভারপুলের ডাগআউটে দাঁড়াবেন ক্লপ। সবকিছু ঠিক থাকলে সালাহও এই ম্যাচে খেলতে যাচ্ছেন। ক্লপের সম্মানে এই ম্যাচ শেষে একটি সংবর্ধনারও আয়োজন করা হতে পারে।
মন্তব্য করুন